রাজধানীতে যানজট এক নির্মম বাস্তবতা। এতে আটকা পড়ে প্রতিদিন রাস্তায় অপচয় হয় অসংখ্য কর্মঘণ্টা। এতে সাধারণের অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। উন্নতির বদলে দিনের পর দিন পরিস্থিতির অবনতিই হচ্ছে।
এমনটা কেন হচ্ছে, প্রতিকারের উপায়ই বা কী তা জানতে পরিবহন বিশেষজ্ঞ, নগর পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈজ্ঞানিক উপায় উপেক্ষা করে গণপরিবহন কমিয়ে পরিকল্পনাহীনভাবে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এ অবস্থায় রাস্তায় ধারণক্ষমতার বেশি গাড়ি চলছে। ফলে যানজট নিয়ন্ত্রণ তো দূরের কথা, সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
সরেজমিন চিত্র
রাজধানীতে ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই শুরু হয় কর্মচাঞ্চল্য। কাজের তাগিদে মানুষ বেরিয়ে আসে আবাসস্থল থেকে। ছুটে চলে শহরের এ প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে, কিন্তু সকালের তড়িঘড়ি এই যাত্রায় তাদের নিত্যসঙ্গী ট্রাফিক জ্যাম।
বিজয় সরণি-জাহাঙ্গীর গেট হয়ে মহাখালী-গুলশান-বনানী-উত্তরা যাদের গন্তব্য, তাদের প্রথমেই পড়তে হয় বিএএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ গেটের সামনে যানজটের ফাঁদে। এখানে স্কুলের সামনে মূল সড়কে কয়েক লেনে পার্ক করা থাকে শিক্ষার্থীদের বহন করা ব্যক্তিগত গাড়ি। তাতে দীর্ঘ সময়ের জন্য অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় পুরো সড়কে। গাড়ির চাকা সচল হতে কখনো দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লেগে যায়।
প্রতিদিন এমন চিত্র দেখা যায় রাজধানীর অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনেও। মাঝে করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি। স্কুল-কলেজ খোলার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে এসেছে যানজটের পুরোনো চিত্র।
তেজগাঁও সাত রাস্তার মোড়ে জটে নিশ্চল যানবাহন। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা
রাজধানীতে যানজটের বড় কারণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি। নগরের ব্যস্ততম এলাকাগুলোর অধিকাংশেই উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। এসব মহাপ্রকল্প ও সংস্কারকাজের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে যানজট স্থায়ী রূপ নিয়েছে।
উত্তরা-মিরপুর-ফার্মগেট-কারওয়ানবাজার থেকে মতিঝিল এলাকায় মেট্রোরেল, উত্তরা-বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ নানা কর্মযজ্ঞে প্রায়ই স্থবির থাকে এসব এলাকার সড়কপথ।
সংকুচিত রাস্তা, মূল সড়কে রিকশার আধিক্য, ফুটপাত দখল, ঘিঞ্জি এলাকার কারণে গুলিস্তান, পল্টন এবং পুরান ঢাকাজুড়ে যানজটে নাকাল ঘরের বাইরে বের হওয়া নগরবাসী।
যানজটের আরেক অনুষঙ্গ হিসেবে যোগ হয়েছে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক সিগন্যাল। অটোমেশন পদ্ধতি বাদ দিয়ে এখনও হাতের ইশারায় শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ।
বিজয় সরণি মোড়ে রোববার সকাল ৮টায় দেখা যায়, চারটি সড়কের মুখে চারজন ট্রাফিক পুলিশ হাত ইশারায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন। প্রতি ৫ মিনিট অন্তর একটি সড়কের গাড়িগুলোকে এগিয়ে যেতে ইশারা দেয়া হচ্ছে। আগের সিগন্যালের কারণে ফার্মগেট-মহাখালী-চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকা থেকে আসা গাড়ির খুব একটা জট সৃষ্টি না হলেও বিপত্তি ঘটছে বিজয় সরণি ওভারপাস ধরে নেমে আসা গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে।
মগবাজার-বেইলি রোড এলাকা থেকে আসা গাড়িগুলোকে ওভারপাসে উঠে আসতে কোনো সিগন্যালে দাঁড়াতে হচ্ছে না। সে সুবাদে অসংখ্য গাড়ি টানা ছুটে আসছে আর জমা হচ্ছে ওভারপাসের ওপর। আর ক্রমে পেছনে গাড়ির লাইন চলে যাচ্ছে মগবাজার মোড় পর্যন্ত। আর এভাবেই নানা সিগন্যালের অসামঞ্জস্যতায় তৈরি হচ্ছে ট্রাফিক জ্যাম।
যানজট নিরসনের সম্ভাব্য উপায়
বিজ্ঞানভিত্তিক উপায় উপেক্ষা করে শুধু কাঠামোগত উন্নয়ন দৃশ্যমান করার ভুল চেষ্টা থেকে ঢাকায় যানজটের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, অল্প খরচে সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না করে কেবল একটি বিশেষ শ্রেণির যাতায়াতকে গুরুত্ব দিয়ে আসা হচ্ছে। এই একটি কারণ ও উন্নয়ন দৃশ্যমান করতে গিয়ে শহরের সড়ককে সময় নষ্টের ফাঁদ বানানো হয়েছে।
নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহন নিরুৎসাহিত করে ব্যক্তিগত গাড়িকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যেখানে গণপরিবহন ব্যবস্থাকে প্রাধিকার দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা, সেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন দিয়ে রাস্তাগুলোতে বাড়তি চাপ দেয়া হচ্ছে।
‘অনেক টাকা বিনিয়োগ করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে, যা শুধুই ধনী শ্রেণির ৮ শতাংশ মানুষকে সুবিধা দিচ্ছে। এসব ফ্লাইওভারে গণপরিবহন চলতে দেখা যায় খুব কম।’
ইকবাল হাবিব আরও বলেন, ‘অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বাস্তবায়ন ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ—যানজট নিরসনে এই তিনটি বিষয় সমভাবে জরুরি। এক যুগের বেশি সময় ধরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজগুলো চলছে ঢিমেতালে।
‘ঢাকার চারপাশে বাইপাস সড়ক করে একাধিক রাস্তার কাজ আটকে আছে। যত্রতত্র বাস স্টপ, পথচারীদের হাঁটার ব্যবস্থা না করা, ট্রাফিক সিস্টেম অটোমেশন না করা, রাইড শেয়ারের মাধ্যমে মোটরসাইকেলকে গণপরিবহন হিসেবে বানানোর প্রচেষ্টা, এসব কারণে যানজট কমার বদলে উল্টো বাড়ছে।’
আরেক নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনও বলেন, ‘ঢাকার রাস্তায় প্রতিদিন ১০ হাজার নতুন গাড়ি নামছে। এর বিপরীতে রাস্তা তো আর বাড়ছে না। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে বড় সহায়ক হতে পারে। রাস্তায় দাঁড়ালেই যখন বাস পাওয়া যাবে, তখন মানুষ রিকশা বা ব্যক্তিগত গাড়িতে না চড়ে বাসে চড়বে। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট কোয়ালিটিফুল ও ম্যানেজমেন্ট ঠিকমতো হলে মানুষ শুধু ছুটির দিনে গাড়ি নিয়ে নগরের রাস্তায় বের হবে।’
বুয়েটের পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, ‘ঢাকার রাস্তার ধারণক্ষমতা বিবেচনায় না নিয়ে ছোট গাড়িকে উৎসাহিত করে গণপরিবহনকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। রাস্তার একটি নির্দিষ্ট ক্যাপাসিটি আছে। এর বেশি সে ধারণ করতে পারে না। প্রথমেই ছোট ছোট গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নিরুৎসাহিত করতে হবে।
‘প্রয়োজনে কিছু সময়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে। বিপরীতে বড় গাড়ি বা গণপরিবহনকে উৎসাহিত করতে হবে। রাস্তায় একটি ডাবল ডেকার চললে ২০টি সিএনজিচালিত অটোরিকশার চাহিদা মিটবে।’
যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে করোনা মহামারির কারণে মানুষকে গণপরিবহনে চড়ার জন্য নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। সে সময় মানুষ কষ্ট করে হলেও একটা গাড়ি কিনেছে চলাচলের জন্য। মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং বাংলাদেশ ছাড়া আর কোনো দেশে নেই। মোটরসাইকেলের সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে, এখন পথচারীদের বদলে ঢাকার ফুটপাত দখল করে নিয়েছে মোটরসাইকেল।
‘বিগত বছরগুলোর তুলনায় গত দুই বছর ধরে প্রতিদিন দ্বিগুণ হারে নতুন নতুন প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে। এটা বন্ধ না হলে যানজট কমার প্রশ্নই আসে না।’
যানজটের জন্য পরিকল্পনাহীন নানা মহাপ্রকল্প ও এসব বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, ‘একটা সমস্যা সমাধান করার জন্য যে পরিকল্পনা দরকার, তা কখনও মানা হয় না। ঢাকা শহরে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হিসেবে চালানোর জন্য যেভাবে পেশাদারি কাজ করার কথা ছিল, সেভাবে কোনো সংস্থাই কাজ করছে না। প্রতিটি সংস্থার নজর মেগা প্রকল্পের দিকে।
‘মেগা প্রকল্প হলে উন্নয়ন দেখানো যায়। সে সঙ্গে বড় বিনিয়োগের বিষয় থাকে। তাই অল্প টাকায় সহজ সমাধান রেখে পরিকল্পনাহীনভাবে মেগা প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত সবাই, কিন্তু এভাবে বিজ্ঞানকে উপেক্ষা করে যানজট নিরসন করা অসম্ভব।’
যানজটে দীর্ঘ সময় ধরে রাজধানীতে একই স্থানে আটকে থাকে গাড়ি। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা
সঠিক পরিকল্পনা ও দূরদর্শিতার অভাবে মহাপ্রকল্পগুলোর কয়েক দফা মেয়াদ বৃদ্ধি সাধারণের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়ায় বলে মন্তব্য করেন নগর পরিকল্পনাবিদ মোবাশ্বের হোসেন।
তিনি বলেন, ‘রাজধানীর উন্নয়নে জড়িত সংস্থাগুলোর নজর কম খরচের সমাধান বাদ দিয়ে মেগা প্রকল্পের দিকে, কিন্তু সেটারও সঠিক বাস্তবায়ন হয় না সঠিক পরিকল্পনা না থাকার কারণে। প্রকল্পগুলো তৈরির জন্য দীর্ঘ সময় নিয়ে গবেষণা করতে হয়, কিন্তু তা না করেই গোঁজামিল দিয়ে প্রকল্প পাস করিয়ে নেয়া হয়। আর গবেষণাটা হয় পরে। এর ফলে কয়েক দফায় প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়াতে হয়।’
মহাপ্রকল্প থেকে নজর সরিয়ে গণপরিবহন বাড়িয়ে একদিকে সরকারের খরচ কমিয়ে আনা এবং যানজটমুক্ত নগরী গড়তে রাজনৈতিক পদক্ষেপ দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
কারণ হিসেবে তারা বলছেন, দেশের অনেক ব্যবসায়ী এখন রাজনীতিবিদ হয়েছেন। তারা নানা সময়ে নিজেদের সুবিধার জন্য নানা মহাপ্রকল্প পাস করিয়ে আনছেন। ফলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া এই যানজট থেকে মুক্তির পথ মিলবে না। তেমনই একাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছে আলাদা আলাদা উন্নয়ন দায়িত্ব থাকলেও এই কাজ সঠিকভাবে করা সম্ভব হবে না। তাই পুরো পরিবহন ও নগর উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা দুই মেয়রের অধীনে রাখাটা যৌক্তিক হবে।
ঢাকার যানজট নিরসনে এর বাইরে আরও বেশি সড়ক নির্মাণ, রিকশা চলাচল আবাসিক এলাকাভিত্তিক করা, ফুটপাতগুলো ব্যবহার উপযোগী করা, অটোমেটিক ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা বাস্তবায়নসহ রেল ও নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন:সৌদি আরবের মদিনা থেকে ৩৮৭ জন হজযাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট অবতরণের পর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ কারণে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
শনিবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি১৩৮ ফ্লাইটটি শাহ আমানতে অবতরণের পর এ গোলযোগ দেখা দেয়। এরপর ত্রুটি সারিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে নমিয়ে আনা হয়।
বিষয়টি নিশ্চত করে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, আজ সকালে অবতরণের পর রানওয়ে-২৩ প্রান্তে গিয়ে ফ্লাইটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে থেমে যায় এবং আর চলতে পারে না।
এরপর বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বিমানটিকে টাগকারের মাধ্যমে রানওয়ে থেকে সেটিকে সরিয়ে অ্যাপ্রোনে নেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় রানওয়ে সাময়িক বন্ধ থাকলেও বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং ফ্লাইটে থাকা সব হজযাত্রী নিরাপদেই ছিলেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃক আজ শনিবার (০৫ জুলাই) সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর উদ্যান সংলগ্ন ডিএসসিসি অঞ্চল-০৪ এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংসে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া এঁর উপস্থিতিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় বিভাগের সম্মানিত সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী উপর্যুক্ত অভিযানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ০৬:০০ ঘটিকায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থানা বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের ছয় শতাধিক কর্মী এবং স্থানীয় সোসাইটির জনগণ এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে ডিএসসিসির অঞ্চল-০৪ ভুক্ত ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৪২ ও ৪৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় ড্রেন, নর্দমা ও ফুটপাতের ময়লা পরিষ্কার ও মশার ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অংশগ্রহণে জনসচেতনতামূলক একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
পরিচ্ছন্নতা প্রোগ্রাম চলাকালীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় বিভাগের সম্মানিত সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, "ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনগণের অংশগ্রহণ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অংশগ্রহণ ব্যতিত বিশাল জনসংখ্যার এই ঢাকা শহরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়।আমরা যদি নিজেরা সচেতন হই, অন্তত নিজের আঙিনা নিজে পরিষ্কার করি তাহলে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।" সরকার 'ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অনান্য রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকা-২০২৫' প্রণয়ন করছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, নির্দেশিকায় সরকারের এবং নাগরিকদের দায়িত্ব সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, "ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও বিশেষ মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানের এটি আমাদের চতুর্থ পর্ব। বিশেষ এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় নাগরিকদের সম্পৃক্তকরণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি।" বিশেষ অভিযানের পাশাপাশি নিয়মিত কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রশাসক বলেন, এডাল্টিসাইডিংয়ে ব্যবহৃত প্রতিটি ফগার মেশিন প্রতি কীটনাশক ৩০ লিটার থেকে দ্বিগুন বৃদ্ধি করে ৬০ লিটার করা হয়েছে। এছাড়া, মশার ঔষধ ছিটানো নিশ্চিতকরণে অঞ্চলভিত্তিক তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে।
পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো: জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ সকল বিভাগীয় প্রধান এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহত নরসিংদী বেলাবো উপজেলার মো. ইমরান হোসেনের চিকিৎসা ও অপারেশনের সার্বিক দায়িত্ব নিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান।
তারেক রহমানের নির্দেশনায় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহর নেতৃত্বে এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুনের উপস্থিতিতে শুক্রবার রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে যান একটি প্রতিনিধি দল।
এ সময় নেতৃবৃন্দ চিকিৎসাধীন মো. ইমরান হোসেনের কাছে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট ডা. জুবাইদা রহমানের সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এম আর হাসান, ডা. রাকিব জামান, শেকৃবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক কৃষিবিদ নাহিয়ান হোসেন, কৃষিবিদ মহতির অন্তর, কৃষিবিদ মিসবাউল আলম, কৃষিবিদ শোয়াইব হোসেন, কৃষিবিদ মোরসালিন অনিক, কৃষিবিদ সালমান রকিব, কৃষিবিদ মারুফ আহমেদ, কৃষিবিদ আল মোন্তাকিম নোমান, কৃষিবিদ তাকরিম তাসওয়ার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের ডা. ফিরোজ আহমেদ, ডা. নাফিস বিন শামিম, ডা. নাফিস মাহমুদ ও ডা. আজহারুল ইসলামসহ অসংখ্য কৃষিবিদ ও ডাক্তার ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
বিএনপি’র মিডিয়া সেলের ফেইসবুক পেইজে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
বেশ কয়েকদিন পর গতকাল সকালে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ পাঁচ থেকে বের হয়েছিল পাকিস্তানের লাহোর। তবে এক দিন পরই বায়ুমানে ফের অবনতি হয়েছে শহরটির। অন্যদিকে, কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে ঢাকার বাতাসের।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় লাহোরের বাতাসের একিউআই সূচক ছিল ১৫৩, দূষণের এই মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত।
কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
দীর্ঘদিন একিউআই স্কোর ১৫০ বা তার ওপরে থাকা লাহোরের বাতাসের মান গতকাল সকালে ১২৪-এ নামে। সেইসঙ্গে দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ পাঁচ থেকেও বের হতে সক্ষম হয় শহরটি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই তা আবারও পুরনো জায়গায় ফিরে গেছে পাকিস্তানের এই শহর।
আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ শহর হয়েছে লাহোর। ১৫৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তার ঠিক উপরে রয়েছে মিসরের কায়রো। আর ১৮৯ একিউআই স্কোর নিয়ে আজ সকালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস বিরাজ করছে চিলির সান্তিয়াগোতে।
কেমন আছে ঢাকা
এদিকে, বর্ষার কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে ঢাকার বায়ুমান ‘মাঝারি’ অবস্থায় রয়েছে। গতকালও তা-ই ছিল, তবে আজ বাতাসের মানে তার চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে ঢাকার।
আজ সকালে ৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকার ৩১তম স্থানে অবস্থান করছে ঢাকা। গতকাল সকালে এই স্কোর ছিল ৭৯।
সাধারণত বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’।
এই সময়ে ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ুমানও ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে ছিল, তবে গতকাল সকালের মতোই তা ঢাকার চেয়ে কিছুটা খারাপ। একই সময়ে দিল্লির বাতাসের সূচক ৮৯ এবং দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় অবস্থান ছিল ২০তম।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
বৃষ্টির মৌসুম শুরু হতেই ঢাকার বায়ুমানে উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত কয়েকদিনের মতো আজও ঢাকার বাতাস যেকোনো প্রকার অস্বাস্থ্যকর শ্রেণি থেকে বেশ দূরে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল দশটার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৭৯, একিউআই সূচকে যা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ।
সাধারণত বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’।
এই সময়ে ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ুমানও ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে ছিল, তবে তা ঢাকার চেয়ে কিছুটা খারাপ ছিল। দিল্লির বাতাসের সূচক ছিল তখন ৯০ এবং দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় অবস্থান ছিল ১৭তম।
তবে অবশেষে আজ দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ পাঁচ থেকে বের হতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। একই সময়ে ১২৪ স্কোর নিয়ে তালিকার অষ্টম স্থানে অবস্থান করছিল শহরটি। বেশ কিছুদিন পর আজ সকালে লাহোরের বায়ুমানে এত উন্নতি হয়েছে। সাধারণত ১৫০-এর নিচে নামে না লাহোরের একিউআই স্কোর।
আজ সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল চিলির সান্তিয়াগো। শহরটির সূচক ছিল ১৬২। ১৬০, ১৫৬ ও ১৫৪ স্কোর নিয়ে তার পরের তিন শহর ছিল উগান্ডার কাম্পালা, বাহরাইনের মানামা ও কঙ্গোর কিনশাসা। শীর্ষ চার শহরের বায়ুমানই ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’। পঞ্চম স্থানে থাকা মিসরের কায়রোর বাতাসের স্কোর ছিল এই সময় ১৩২, অর্থাৎ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।
কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী পার্বত্য ফল উৎসব ও মেলা।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র মেলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকছে।
আজ বিকেলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য কমপ্লেক্সে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন পাহাড়ি সংস্থা পাহাড়ি ফলমূল নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন।
মেলা উপলক্ষে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান- বিজয় সরণি, সার্ক ফোয়ারা, রমনা পার্ক, বেইলি রোডের পশ্চিম পাশে রমনা পার্ক সংলগ্ন ও পূর্ব পাশে অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন, টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স-এর সম্মুখে একটি বেলুন স্থাপন করা হয়েছে।
রাজধানীর ৩৩ বেইলি রোডে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতিদিন এই মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা কমিটির ৭ম (সপ্তম) কর্পোরেশন সভা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনা কমিটির ৭ম (সপ্তম) কর্পোরেশন সভা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এর প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা কমিটির ২৫ (পঁচিশ) জন সদস্য আজ সোমবার নগর ভবনে উপর্যুক্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভার শুরুতে ০৫ মে ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ কর্পোরেশনের সভার কার্য বিবরণী দৃঢ়ীকরণ এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়। পরবর্তীতে সভার আলোচ্য সূচি অনুযায়ী আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (অতি. দা.) জনাব আলী মনসুর। পরবর্তীতে, পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন প্রদান করেন।
বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণ ও অনুমোদন প্রদান করায় পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এর প্রশাসক বলেন, “ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বাজেট কেবল গাণিতিক সংখ্যা নয়। এই বাজেট আমাদের কাছে সম্মানীত করদাতাদের আমানত। এই বাজেট সফলভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করছে আমাদের সবার প্রিয় এই নগরীর ব্যবস্থাপনা এবং আমাদের দৈনন্দিন নাগরিক সমস্যার সমাধান।”
সভায় ১৯৯৮ সাল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী নগরবাসীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও মাতৃত্বকালীন বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী ‘আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রকল্প-২ পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং বিদ্যমান প্রকল্পের আওতায় সেবা প্রদানকারী এনজিওসমূহের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
পরবর্তীতে, অর্থ বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত সাময়িক শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৬০০/- (ছয় শত) টাকা হতে ৮০০/- (আট শত) টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, মন্ত্রীপাড়ায় অবস্থিত অস্থায়ী মসজিদটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক একটি তিনতলাবিশিষ্ট নান্দনিক মসজিদে রূপান্তরের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব জনাব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ সকল বিভাগীয়গণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য