× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Traffic jam in Dhaka Which way to solve
google_news print-icon

ঢাকার যানজট: সমাধান কোন পথে

ঢাকার-যানজট-সমাধান-কোন-পথে
রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে যানজটে স্থবির যানবাহন। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা
নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহন নিরুৎসাহিত করে ব্যক্তিগত গাড়িকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যেখানে গণপরিবহন ব্যবস্থাকে প্রাধিকার দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা, সেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন দিয়ে রাস্তাগুলোতে বাড়তি চাপ দেয়া হচ্ছে।’

রাজধানীতে যানজট এক নির্মম বাস্তবতা। এতে আটকা পড়ে প্রতিদিন রাস্তায় অপচয় হয় অসংখ্য কর্মঘণ্টা। এতে সাধারণের অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। উন্নতির বদলে দিনের পর দিন পরিস্থিতির অবনতিই হচ্ছে।

এমনটা কেন হচ্ছে, প্রতিকারের উপায়ই বা কী তা জানতে পরিবহন বিশেষজ্ঞ, নগর পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈজ্ঞানিক উপায় উপেক্ষা করে গণপরিবহন কমিয়ে পরিকল্পনাহীনভাবে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এ অবস্থায় রাস্তায় ধারণক্ষমতার বেশি গাড়ি চলছে। ফলে যানজট নিয়ন্ত্রণ তো দূরের কথা, সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।

সরেজমিন চিত্র

রাজধানীতে ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই ‍শুরু হয় কর্মচাঞ্চল্য। কাজের তাগিদে মানুষ বেরিয়ে আসে আবাসস্থল থেকে। ছুটে চলে শহরের এ প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে, কিন্তু সকালের তড়িঘড়ি এই যাত্রায় তাদের নিত্যসঙ্গী ট্রাফিক জ্যাম।

বিজয় সরণি-জাহাঙ্গীর গেট হয়ে মহাখালী-গুলশান-বনানী-উত্তরা যাদের গন্তব্য, তাদের প্রথমেই পড়তে হয় বিএএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ গেটের সামনে যানজটের ফাঁদে। এখানে স্কুলের সামনে মূল সড়কে কয়েক লেনে পার্ক করা থাকে শিক্ষার্থীদের বহন করা ব্যক্তিগত গাড়ি। তাতে দীর্ঘ সময়ের জন্য অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় পুরো সড়কে। গাড়ির চাকা সচল হতে কখনো দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লেগে যায়।

প্রতিদিন এমন চিত্র দেখা যায় রাজধানীর অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনেও। মাঝে করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি। স্কুল-কলেজ খোলার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে এসেছে যানজটের পুরোনো চিত্র।

ঢাকার যানজট: সমাধান কোন পথে

তেজগাঁও সাত রাস্তার মোড়ে জটে নিশ্চল যানবাহন। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা

রাজধানীতে যানজটের বড় কারণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি। নগরের ব্যস্ততম এলাকাগুলোর অধিকাংশেই উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। এসব মহাপ্রকল্প ও সংস্কারকাজের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে যানজট স্থায়ী রূপ নিয়েছে।

উত্তরা-মিরপুর-ফার্মগেট-কারওয়ানবাজার থেকে মতিঝিল এলাকায় মেট্রোরেল, উত্তরা-বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ নানা কর্মযজ্ঞে প্রায়ই স্থবির থাকে এসব এলাকার সড়কপথ।

সংকুচিত রাস্তা, মূল সড়কে রিকশার আধিক্য, ফুটপাত দখল, ঘিঞ্জি এলাকার কারণে গুলিস্তান, পল্টন এবং পুরান ঢাকাজুড়ে যানজটে নাকাল ঘরের বাইরে বের হওয়া নগরবাসী।

যানজটের আরেক অনুষঙ্গ হিসেবে যোগ হয়েছে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক সিগন্যাল। অটোমেশন পদ্ধতি বাদ দিয়ে এখনও হাতের ইশারায় শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ।

বিজয় সরণি মোড়ে রোববার সকাল ৮টায় দেখা যায়, চারটি সড়কের মুখে চারজন ট্রাফিক পুলিশ হাত ইশারায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন। প্রতি ৫ মিনিট অন্তর একটি সড়কের গাড়িগুলোকে এগিয়ে যেতে ইশারা দেয়া হচ্ছে। আগের সিগন্যালের কারণে ফার্মগেট-মহাখালী-চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকা থেকে আসা গাড়ির খুব একটা জট সৃষ্টি না হলেও বিপত্তি ঘটছে বিজয় সরণি ওভারপাস ধরে নেমে আসা গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে।

মগবাজার-বেইলি রোড এলাকা থেকে আসা গাড়িগুলোকে ওভারপাসে উঠে আসতে কোনো সিগন্যালে দাঁড়াতে হচ্ছে না। সে সুবাদে অসংখ্য গাড়ি টানা ছুটে আসছে আর জমা হচ্ছে ওভারপাসের ওপর। আর ক্রমে পেছনে গাড়ির লাইন চলে যাচ্ছে মগবাজার মোড় পর্যন্ত। আর এভাবেই নানা সিগন্যালের অসামঞ্জস্যতায় তৈরি হচ্ছে ট্রাফিক জ্যাম।

যানজট নিরসনের সম্ভাব্য উপায়

বিজ্ঞানভিত্তিক উপায় উপেক্ষা করে শুধু কাঠামোগত উন্নয়ন দৃশ্যমান করার ভুল চেষ্টা থেকে ঢাকায় যানজটের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, অল্প খরচে সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না করে কেবল একটি বিশেষ শ্রেণির যাতায়াতকে গুরুত্ব দিয়ে আসা হচ্ছে। এই একটি কারণ ও উন্নয়ন দৃশ্যমান করতে গিয়ে শহরের সড়ককে সময় নষ্টের ফাঁদ বানানো হয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহন নিরুৎসাহিত করে ব্যক্তিগত গাড়িকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যেখানে গণপরিবহন ব্যবস্থাকে প্রাধিকার দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা, সেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন দিয়ে রাস্তাগুলোতে বাড়তি চাপ দেয়া হচ্ছে।

‘অনেক টাকা বিনিয়োগ করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে, যা শুধুই ধনী শ্রেণির ৮ শতাংশ মানুষকে সুবিধা দিচ্ছে। এসব ফ্লাইওভারে গণপরিবহন চলতে দেখা যায় খুব কম।’

ইকবাল হাবিব আরও বলেন, ‘অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বাস্তবায়ন ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ—যানজট নিরসনে এই তিনটি বিষয় সমভাবে জরুরি। এক যুগের বেশি সময় ধরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজগুলো চলছে ঢিমেতালে।

‘ঢাকার চারপাশে বাইপাস সড়ক করে একাধিক রাস্তার কাজ আটকে আছে। যত্রতত্র বাস স্টপ, পথচারীদের হাঁটার ব্যবস্থা না করা, ট্রাফিক সিস্টেম অটোমেশন না করা, রাইড শেয়ারের মাধ্যমে মোটরসাইকেলকে গণপরিবহন হিসেবে বানানোর প্রচেষ্টা, এসব কারণে যানজট কমার বদলে উল্টো বাড়ছে।’

আরেক নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনও বলেন, ‘ঢাকার রাস্তায় প্রতিদিন ১০ হাজার নতুন গাড়ি নামছে। এর বিপরীতে রাস্তা তো আর বাড়ছে না। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে বড় সহায়ক হতে পারে। রাস্তায় দাঁড়ালেই যখন বাস পাওয়া যাবে, তখন মানুষ রিকশা বা ব্যক্তিগত গাড়িতে না চড়ে বাসে চড়বে। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট কোয়ালিটিফুল ও ম্যানেজমেন্ট ঠিকমতো হলে মানুষ শুধু ছুটির দিনে গাড়ি নিয়ে নগরের রাস্তায় বের হবে।’

বুয়েটের পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, ‘ঢাকার রাস্তার ধারণক্ষমতা বিবেচনায় না নিয়ে ছোট গাড়িকে উৎসাহিত করে গণপরিবহনকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। রাস্তার একটি নির্দিষ্ট ক্যাপাসিটি আছে। এর বেশি সে ধারণ করতে পারে না। প্রথমেই ছোট ছোট গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নিরুৎসাহিত করতে হবে।

‘প্রয়োজনে কিছু সময়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে। বিপরীতে বড় গাড়ি বা গণপরিবহনকে উৎসাহিত করতে হবে। রাস্তায় একটি ডাবল ডেকার চললে ২০টি সিএনজিচালিত অটোরিকশার চাহিদা মিটবে।’

যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে করোনা মহামারির কারণে মানুষকে গণপরিবহনে চড়ার জন্য নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। সে সময় মানুষ কষ্ট করে হলেও একটা গাড়ি কিনেছে চলাচলের জন্য। মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং বাংলাদেশ ছাড়া আর কোনো দেশে নেই। মোটরসাইকেলের সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে, এখন পথচারীদের বদলে ঢাকার ফুটপাত দখল করে নিয়েছে মোটরসাইকেল।

‘বিগত বছরগুলোর তুলনায় গত দুই বছর ধরে প্রতিদিন দ্বিগুণ হারে নতুন নতুন প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে। এটা বন্ধ না হলে যানজট কমার প্রশ্নই আসে না।’

যানজটের জন্য পরিকল্পনাহীন নানা মহাপ্রকল্প ও এসব বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, ‘একটা সমস্যা সমাধান করার জন্য যে পরিকল্পনা দরকার, তা কখনও মানা হয় না। ঢাকা শহরে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হিসেবে চালানোর জন্য যেভাবে পেশাদারি কাজ করার কথা ছিল, সেভাবে কোনো সংস্থাই কাজ করছে না। প্রতিটি সংস্থার নজর মেগা প্রকল্পের দিকে।

‘মেগা প্রকল্প হলে উন্নয়ন দেখানো যায়। সে সঙ্গে বড় বিনিয়োগের বিষয় থাকে। তাই অল্প টাকায় সহজ সমাধান রেখে পরিকল্পনাহীনভাবে মেগা প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত সবাই, কিন্তু এভাবে বিজ্ঞানকে উপেক্ষা করে যানজট নিরসন করা অসম্ভব।’

ঢাকার যানজট: সমাধান কোন পথে

যানজটে দীর্ঘ সময় ধরে রাজধানীতে একই স্থানে আটকে থাকে গাড়ি। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা

সঠিক পরিকল্পনা ও দূরদর্শিতার অভাবে মহাপ্রকল্পগুলোর কয়েক দফা মেয়াদ বৃদ্ধি সাধারণের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়ায় বলে মন্তব্য করেন নগর পরিকল্পনাবিদ মোবাশ্বের হোসেন।

তিনি বলেন, ‘রাজধানীর উন্নয়নে জড়িত সংস্থাগুলোর নজর কম খরচের সমাধান বাদ দিয়ে মেগা প্রকল্পের দিকে, কিন্তু সেটারও সঠিক বাস্তবায়ন হয় না সঠিক পরিকল্পনা না থাকার কারণে। প্রকল্পগুলো তৈরির জন্য দীর্ঘ সময় নিয়ে গবেষণা করতে হয়, কিন্তু তা না করেই গোঁজামিল দিয়ে প্রকল্প পাস করিয়ে নেয়া হয়। আর গবেষণাটা হয় পরে। এর ফলে কয়েক দফায় প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়াতে হয়।’

মহাপ্রকল্প থেকে নজর সরিয়ে গণপরিবহন বাড়িয়ে একদিকে সরকারের খরচ কমিয়ে আনা এবং যানজটমুক্ত নগরী গড়তে রাজনৈতিক পদক্ষেপ দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

কারণ হিসেবে তারা বলছেন, দেশের অনেক ব্যবসায়ী এখন রাজনীতিবিদ হয়েছেন। তারা নানা সময়ে নিজেদের সুবিধার জন্য নানা মহাপ্রকল্প পাস করিয়ে আনছেন। ফলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া এই যানজট থেকে মুক্তির পথ মিলবে না। তেমনই একাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছে আলাদা আলাদা উন্নয়ন দায়িত্ব থাকলেও এই কাজ সঠিকভাবে করা সম্ভব হবে না। তাই পুরো পরিবহন ও নগর উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা দুই মেয়রের অধীনে রাখাটা যৌক্তিক হবে।

ঢাকার যানজট নিরসনে এর বাইরে আরও বেশি সড়ক নির্মাণ, রিকশা চলাচল আবাসিক এলাকাভিত্তিক করা, ফুটপাতগুলো ব্যবহার উপযোগী করা, অটোমেটিক ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা বাস্তবায়নসহ রেল ও নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন:
পুরান ঢাকায় যানজটের যত কারণ
মেট্রোরেলের নিচে এক কিলোমিটার যেতে দেড় ঘণ্টা
৫ কিলোমিটার যেতে ২ ঘণ্টা
ট্রেন যখন যানজটে আটকা
স্কুল পুরোদমে খুলতেই অচল ঢাকা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
On the first day after a long holiday the second Dhaka in the world in air pollution

দীর্ঘ ছুটি শেষে প্রথম দিনই বায়ুদূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা

দীর্ঘ ছুটি শেষে প্রথম দিনই বায়ুদূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা

ঈদুল আজহায় টানা ছুটির মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকার বাতাস মোটামুটি স্বাস্থ্যকর ছিল। তবে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিহীন শুষ্ক পরিবেশ আর ক্রমেই রাজধানীর পুরনো ভিড় বাড়তে থাকায় দূষণও বাড়ছে সমান তালে।

রবিবার (১৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ফের শীর্ষস্থানগুলোতে জায়গা করে নিয়েছে ঢাকা। এ সময়ে ১৪২ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত বাতাসের শহর ছিল বাংলাদেশের রাজধানী, সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য যা অস্বাস্থ্যকর।

এ সময় ১৫৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষ দূষিত শহর ছিল ইন্দোনেশিয়ার মেদান। এ ছাড়া ১২৬ ও ১২৪ স্কোর নিয়ে ঢাকার পরেই ছিল যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও মিসরের কায়রো।

কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
RABs clothing is robbed

র‌্যাবের পোশাক পরে উত্তরায় কোটি টাকা ছিনতাই

র‌্যাবের পোশাক পরে উত্তরায় কোটি টাকা ছিনতাই

রাজধানীর উত্তরায় র‍্যাব পরিচয়ে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ‘নগদের’ এক পরিবেশকের এক কোটি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর সড়কে এই ঘটনা ঘটেছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানায়, ‘আব্দুল খালেক নয়ন নগদের একজন পরিবেশক। তিনি উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের একটি ফ্লাটে থাকেন। শনিবার সকালে তিনি তার চারজন এমপ্লয়িকে দুইটি মোটরসাইকেলযোগে বাসার পাশেই পরিবেশক অফিসে পাঠাচ্ছিলেন। সাথে এক কোটি টাকার বেশি ছিল।’

‘তাদের বহনকারী মোটরসাইকেল দুটি বারো নম্বর রোড ক্রস করে যখন তেরো নম্বর রোডে ঢুকছিল, তখন ওৎপেতে থাকা একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাস তাদের গতি রোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে র‌্যাবের পোশাক পরিহিত তিন থেকে চারজন নেমে এসে টাকার ব্যাগ বহনকারী মোটরসাইকেল আরোহীদের ধাওয়া করে।’

পুলিশ আরও জানায়, এদের মধ্যে একজন আরোহী দৌড়ে পালিয়ে গেলেও তিনজনকে টাকার ব্যাগসহ তারা মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরবর্তীতে তারা উত্তরা সতেরো নম্বর সেক্টরে নগদ মাইক্রোবাস থেকে তাদের ফেলে দিয়ে টাকার ব্যাগ সহ পালিয়ে যায়।

যোগাযোগ করা হলে উত্তরা ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার মইদুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, ‘ঘটনার পরপরই তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সিসিটিভির ফোটেজ সংগ্রহ করেছেন। ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The wind of Dhaka is better today than Chicago Barcelona

ঢাকার বাতাস আজ শিকাগো-বার্সেলোনার চেয়েও ভালো

ঢাকার বাতাস আজ শিকাগো-বার্সেলোনার চেয়েও ভালো

ঈদ উপলক্ষে লম্বা ছুটিতে বেশ কিছুদিন ধরে একপ্রকার ফাঁকা হয়ে গেছে শহর ঢাকা। সড়কগুলোতে নেই যানবাহনের চাপ; স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালতও বন্ধ; রাস্তায় লোকজনও হাতেগোনা। এই অবস্থায় গত কয়েকদিন বৃষ্টি কমে গেলেও রাজধানীর বাতাসের মানে খুব বেশি অবনতি হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ১০টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল মাত্র ৬৬। আর দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান আরও অবাক হওয়ার মতো। প্রতিনিয়ত বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় জায়গা করে নিলেও ঢাকার অবস্থান আজ ৫৫তম।

কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’। ঢাকার বাতাস আজ মাঝারি হলেও ‘ভালো’ থেকে খুব বেশি দূরে নয়।

এই সময়ে ৬৭ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকার ৫২তম স্থানে ছিল স্পেনের বার্সেলোনা, ৫০তম স্থানে সুইজারল্যান্ডের বেয়ার্ন, ৬৮ স্কোর নিয়ে ৪৯তম স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের সল্ট লেক সিটি, ৭০ ও ৭১ স্কোর নিয়ে ৪৪ ও ৪৩তম স্থানে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসি, ৭৩ স্কোর নিয়ে ৩৮তম স্থানে কানাডার টরেন্টো, ৮০ স্কোর নিয়ে ২৭তম দূষিত শহর শিকাগো, ৯৯ স্কোর নিয়ে ১৫তম স্থানে ইতালির রোম এবং ১২৮ স্কোর নিয়ে তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে মিলান।

তবে ১৬৮ একিউইউ স্কোর নিয়ে এই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল ভারতের দিল্লি। ১৬২, ১৫৬ ও ১৩৭ স্কোর নিয়ে এর পরের তিন দূষিত শহর যথাক্রমে ইরাকের বাগদাদ, পাকিস্তানের লাহোর ও সৌদি আরবের রিয়াদ।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Emergency Meeting held to prevent the spread of Aedes mosquitoes in Dhaka South City Corporation area and prevent corona

এডিস মশার বিস্তার রোধে দ্বিগুণহারে কীটনাশক প্রয়োগের সিদ্ধান্ত ডিএসসিসির 

এডিস মশার বিস্তার রোধে দ্বিগুণহারে কীটনাশক প্রয়োগের সিদ্ধান্ত ডিএসসিসির 

এডিস মশার বিস্তার রোধে তাৎক্ষণিক ফল পেতে ১৪ জুন থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন(ডিএসসিসি) এলাকায় দ্বিগুণহারে কীটনাশক প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এডিস মশার বিস্তার রোধে করণীয় নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও করোনা প্রতিরোধে ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে আজ রাজধানীর ওয়াসা ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় অ্যাডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমে (ফগার মেশিন দ্বারা পরিচালিত) বর্তমানে ব্যবহৃত ৩০ লিটার কীটনাশকের পরিবর্তে দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থাৎ ৬০ লিটার কীটনাশক প্রতিদিন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ ছাড়া অঞ্চলভিত্তিক ডেঙ্গু মনিটরিং টিম গঠন ও জনবল ঘাটতি পূরণে উদ্যোগসহ জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় মশক কর্মীদের সকাল ও বিকেলে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা, সঠিক অনুপাতে কীটনাশক প্রয়োগ যাচাই, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং মশক কর্মী দ্বারা বাড়ির ভিতর, আঙিনা ও ছাদের জমানো পানিসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক এবং সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে অঞ্চল ভিত্তিক ডেঙ্গু মনিটরিং টিম গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়া, ডেঙ্গু ও করোনা বিষয়ে ডিএসসিসি সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফারিয়া ফয়েজকে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে মনোনীত করা হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি মাসের মধ্যে কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে নগর ভবনে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতিদিনের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের হালনাগাদ তথ্য ডিএসসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। মশক নিধনে জনবল ঘাটতি পূরণে নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখাসহ ডেঙ্গু ও করোনা রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A special operation in Mohammadpur was arrested

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৫

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৫

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এ কে এম মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- সেলিম (৪৫), রফিক (৪০), সাদ্দাম (৩০), উজ্জ্বল (৩২) ও শামীম (২৫)।

গতকাল সোমবার (৯জুন) মোহাম্মদপুর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদের মধ্যে রয়েছে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ১জন, মাদক মামলায় ১জন, দূস্যতার মামলায় ১জন এবং অন্যান্য মামলায় ২জন।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jear of prerequisites

পূর্বশত্রুতার জের: পল্লবীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

পূর্বশত্রুতার জের: পল্লবীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

রাজধানীর পল্লবী থানার মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় পূর্বশত্রুতার জেরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।

নিহত ওই যুবকের নাম রাকিবুল হাসান সানি (২৯)। ভোর ৪টা থেকে ৫টার মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদক চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সকাল সাতটার দিকে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছি। পরে মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হবে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদক বিক্রির আধিপত্য বিস্তার ও দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে রাতের আঁধারে হত্যাকারীরা কীভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে; তা এখনও স্পষ্ট নয়।

নিহতের পরিবারের দাবি, সানি একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, গেল রমজান মাসেও একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র তার ওপর হামলা চালিয়েছিল।

ঘটনার পর থেকে মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং এলাকায় পুলিশ ও সিআইডি সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Metrorail meat cannot be carried

চলছে মেট্রোরেল, মাংস বহন করা যাবে না

চলছে মেট্রোরেল, মাংস বহন করা যাবে না

গতকাল শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে বন্ধ থাকার পর আজ রোববার থেকে ফের চালু হয়েছে মেট্রোরেল। তবে মেট্রোতে কোরবানির পশুর চামড়া, কাঁচা বা রান্না করা মাংস পরিবহন করা যাবে না।

রোববার সকাল ৮টা থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে জানা যায়, আজ (রোববার) প্রতি ৩০ মিনিট পরপর ট্রেন চলছে। আগামীকাল সোমবার থেকে মেট্রোরেল সরকারি ছুটির দিনের সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করবে।

গত মঙ্গলবার ডিএমটিসিএলের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলমের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মেট্রোরেলে কোরবানির পশুর চামড়া, কাঁচা বা রান্না করা মাংস পরিবহন করা যাবে না। মেট্রো স্টেশনের প্রতিটি গেটে যাত্রীদের যথাযথভাবে তল্লাশি করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনো যাত্রীর কাছে কাঁচা বা রান্না করা মাংস পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক তার মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ আটকে দেওয়া হবে। মেট্রোরেলের নিরাপত্তা কর্মীদের এসব নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতেও বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে