× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Traffic jam in Dhaka Which way to solve
google_news print-icon

ঢাকার যানজট: সমাধান কোন পথে

ঢাকার-যানজট-সমাধান-কোন-পথে
রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে যানজটে স্থবির যানবাহন। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা
নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহন নিরুৎসাহিত করে ব্যক্তিগত গাড়িকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যেখানে গণপরিবহন ব্যবস্থাকে প্রাধিকার দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা, সেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন দিয়ে রাস্তাগুলোতে বাড়তি চাপ দেয়া হচ্ছে।’

রাজধানীতে যানজট এক নির্মম বাস্তবতা। এতে আটকা পড়ে প্রতিদিন রাস্তায় অপচয় হয় অসংখ্য কর্মঘণ্টা। এতে সাধারণের অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। উন্নতির বদলে দিনের পর দিন পরিস্থিতির অবনতিই হচ্ছে।

এমনটা কেন হচ্ছে, প্রতিকারের উপায়ই বা কী তা জানতে পরিবহন বিশেষজ্ঞ, নগর পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈজ্ঞানিক উপায় উপেক্ষা করে গণপরিবহন কমিয়ে পরিকল্পনাহীনভাবে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এ অবস্থায় রাস্তায় ধারণক্ষমতার বেশি গাড়ি চলছে। ফলে যানজট নিয়ন্ত্রণ তো দূরের কথা, সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।

সরেজমিন চিত্র

রাজধানীতে ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই ‍শুরু হয় কর্মচাঞ্চল্য। কাজের তাগিদে মানুষ বেরিয়ে আসে আবাসস্থল থেকে। ছুটে চলে শহরের এ প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে, কিন্তু সকালের তড়িঘড়ি এই যাত্রায় তাদের নিত্যসঙ্গী ট্রাফিক জ্যাম।

বিজয় সরণি-জাহাঙ্গীর গেট হয়ে মহাখালী-গুলশান-বনানী-উত্তরা যাদের গন্তব্য, তাদের প্রথমেই পড়তে হয় বিএএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ গেটের সামনে যানজটের ফাঁদে। এখানে স্কুলের সামনে মূল সড়কে কয়েক লেনে পার্ক করা থাকে শিক্ষার্থীদের বহন করা ব্যক্তিগত গাড়ি। তাতে দীর্ঘ সময়ের জন্য অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় পুরো সড়কে। গাড়ির চাকা সচল হতে কখনো দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লেগে যায়।

প্রতিদিন এমন চিত্র দেখা যায় রাজধানীর অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনেও। মাঝে করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি। স্কুল-কলেজ খোলার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে এসেছে যানজটের পুরোনো চিত্র।

ঢাকার যানজট: সমাধান কোন পথে

তেজগাঁও সাত রাস্তার মোড়ে জটে নিশ্চল যানবাহন। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা

রাজধানীতে যানজটের বড় কারণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি। নগরের ব্যস্ততম এলাকাগুলোর অধিকাংশেই উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। এসব মহাপ্রকল্প ও সংস্কারকাজের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে যানজট স্থায়ী রূপ নিয়েছে।

উত্তরা-মিরপুর-ফার্মগেট-কারওয়ানবাজার থেকে মতিঝিল এলাকায় মেট্রোরেল, উত্তরা-বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ নানা কর্মযজ্ঞে প্রায়ই স্থবির থাকে এসব এলাকার সড়কপথ।

সংকুচিত রাস্তা, মূল সড়কে রিকশার আধিক্য, ফুটপাত দখল, ঘিঞ্জি এলাকার কারণে গুলিস্তান, পল্টন এবং পুরান ঢাকাজুড়ে যানজটে নাকাল ঘরের বাইরে বের হওয়া নগরবাসী।

যানজটের আরেক অনুষঙ্গ হিসেবে যোগ হয়েছে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক সিগন্যাল। অটোমেশন পদ্ধতি বাদ দিয়ে এখনও হাতের ইশারায় শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ।

বিজয় সরণি মোড়ে রোববার সকাল ৮টায় দেখা যায়, চারটি সড়কের মুখে চারজন ট্রাফিক পুলিশ হাত ইশারায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন। প্রতি ৫ মিনিট অন্তর একটি সড়কের গাড়িগুলোকে এগিয়ে যেতে ইশারা দেয়া হচ্ছে। আগের সিগন্যালের কারণে ফার্মগেট-মহাখালী-চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকা থেকে আসা গাড়ির খুব একটা জট সৃষ্টি না হলেও বিপত্তি ঘটছে বিজয় সরণি ওভারপাস ধরে নেমে আসা গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে।

মগবাজার-বেইলি রোড এলাকা থেকে আসা গাড়িগুলোকে ওভারপাসে উঠে আসতে কোনো সিগন্যালে দাঁড়াতে হচ্ছে না। সে সুবাদে অসংখ্য গাড়ি টানা ছুটে আসছে আর জমা হচ্ছে ওভারপাসের ওপর। আর ক্রমে পেছনে গাড়ির লাইন চলে যাচ্ছে মগবাজার মোড় পর্যন্ত। আর এভাবেই নানা সিগন্যালের অসামঞ্জস্যতায় তৈরি হচ্ছে ট্রাফিক জ্যাম।

যানজট নিরসনের সম্ভাব্য উপায়

বিজ্ঞানভিত্তিক উপায় উপেক্ষা করে শুধু কাঠামোগত উন্নয়ন দৃশ্যমান করার ভুল চেষ্টা থেকে ঢাকায় যানজটের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, অল্প খরচে সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না করে কেবল একটি বিশেষ শ্রেণির যাতায়াতকে গুরুত্ব দিয়ে আসা হচ্ছে। এই একটি কারণ ও উন্নয়ন দৃশ্যমান করতে গিয়ে শহরের সড়ককে সময় নষ্টের ফাঁদ বানানো হয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহন নিরুৎসাহিত করে ব্যক্তিগত গাড়িকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যেখানে গণপরিবহন ব্যবস্থাকে প্রাধিকার দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা, সেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন দিয়ে রাস্তাগুলোতে বাড়তি চাপ দেয়া হচ্ছে।

‘অনেক টাকা বিনিয়োগ করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে, যা শুধুই ধনী শ্রেণির ৮ শতাংশ মানুষকে সুবিধা দিচ্ছে। এসব ফ্লাইওভারে গণপরিবহন চলতে দেখা যায় খুব কম।’

ইকবাল হাবিব আরও বলেন, ‘অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বাস্তবায়ন ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ—যানজট নিরসনে এই তিনটি বিষয় সমভাবে জরুরি। এক যুগের বেশি সময় ধরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজগুলো চলছে ঢিমেতালে।

‘ঢাকার চারপাশে বাইপাস সড়ক করে একাধিক রাস্তার কাজ আটকে আছে। যত্রতত্র বাস স্টপ, পথচারীদের হাঁটার ব্যবস্থা না করা, ট্রাফিক সিস্টেম অটোমেশন না করা, রাইড শেয়ারের মাধ্যমে মোটরসাইকেলকে গণপরিবহন হিসেবে বানানোর প্রচেষ্টা, এসব কারণে যানজট কমার বদলে উল্টো বাড়ছে।’

আরেক নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনও বলেন, ‘ঢাকার রাস্তায় প্রতিদিন ১০ হাজার নতুন গাড়ি নামছে। এর বিপরীতে রাস্তা তো আর বাড়ছে না। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে বড় সহায়ক হতে পারে। রাস্তায় দাঁড়ালেই যখন বাস পাওয়া যাবে, তখন মানুষ রিকশা বা ব্যক্তিগত গাড়িতে না চড়ে বাসে চড়বে। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট কোয়ালিটিফুল ও ম্যানেজমেন্ট ঠিকমতো হলে মানুষ শুধু ছুটির দিনে গাড়ি নিয়ে নগরের রাস্তায় বের হবে।’

বুয়েটের পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, ‘ঢাকার রাস্তার ধারণক্ষমতা বিবেচনায় না নিয়ে ছোট গাড়িকে উৎসাহিত করে গণপরিবহনকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। রাস্তার একটি নির্দিষ্ট ক্যাপাসিটি আছে। এর বেশি সে ধারণ করতে পারে না। প্রথমেই ছোট ছোট গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নিরুৎসাহিত করতে হবে।

‘প্রয়োজনে কিছু সময়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে। বিপরীতে বড় গাড়ি বা গণপরিবহনকে উৎসাহিত করতে হবে। রাস্তায় একটি ডাবল ডেকার চললে ২০টি সিএনজিচালিত অটোরিকশার চাহিদা মিটবে।’

যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে করোনা মহামারির কারণে মানুষকে গণপরিবহনে চড়ার জন্য নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। সে সময় মানুষ কষ্ট করে হলেও একটা গাড়ি কিনেছে চলাচলের জন্য। মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং বাংলাদেশ ছাড়া আর কোনো দেশে নেই। মোটরসাইকেলের সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে, এখন পথচারীদের বদলে ঢাকার ফুটপাত দখল করে নিয়েছে মোটরসাইকেল।

‘বিগত বছরগুলোর তুলনায় গত দুই বছর ধরে প্রতিদিন দ্বিগুণ হারে নতুন নতুন প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে। এটা বন্ধ না হলে যানজট কমার প্রশ্নই আসে না।’

যানজটের জন্য পরিকল্পনাহীন নানা মহাপ্রকল্প ও এসব বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, ‘একটা সমস্যা সমাধান করার জন্য যে পরিকল্পনা দরকার, তা কখনও মানা হয় না। ঢাকা শহরে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হিসেবে চালানোর জন্য যেভাবে পেশাদারি কাজ করার কথা ছিল, সেভাবে কোনো সংস্থাই কাজ করছে না। প্রতিটি সংস্থার নজর মেগা প্রকল্পের দিকে।

‘মেগা প্রকল্প হলে উন্নয়ন দেখানো যায়। সে সঙ্গে বড় বিনিয়োগের বিষয় থাকে। তাই অল্প টাকায় সহজ সমাধান রেখে পরিকল্পনাহীনভাবে মেগা প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত সবাই, কিন্তু এভাবে বিজ্ঞানকে উপেক্ষা করে যানজট নিরসন করা অসম্ভব।’

ঢাকার যানজট: সমাধান কোন পথে

যানজটে দীর্ঘ সময় ধরে রাজধানীতে একই স্থানে আটকে থাকে গাড়ি। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা

সঠিক পরিকল্পনা ও দূরদর্শিতার অভাবে মহাপ্রকল্পগুলোর কয়েক দফা মেয়াদ বৃদ্ধি সাধারণের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়ায় বলে মন্তব্য করেন নগর পরিকল্পনাবিদ মোবাশ্বের হোসেন।

তিনি বলেন, ‘রাজধানীর উন্নয়নে জড়িত সংস্থাগুলোর নজর কম খরচের সমাধান বাদ দিয়ে মেগা প্রকল্পের দিকে, কিন্তু সেটারও সঠিক বাস্তবায়ন হয় না সঠিক পরিকল্পনা না থাকার কারণে। প্রকল্পগুলো তৈরির জন্য দীর্ঘ সময় নিয়ে গবেষণা করতে হয়, কিন্তু তা না করেই গোঁজামিল দিয়ে প্রকল্প পাস করিয়ে নেয়া হয়। আর গবেষণাটা হয় পরে। এর ফলে কয়েক দফায় প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়াতে হয়।’

মহাপ্রকল্প থেকে নজর সরিয়ে গণপরিবহন বাড়িয়ে একদিকে সরকারের খরচ কমিয়ে আনা এবং যানজটমুক্ত নগরী গড়তে রাজনৈতিক পদক্ষেপ দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

কারণ হিসেবে তারা বলছেন, দেশের অনেক ব্যবসায়ী এখন রাজনীতিবিদ হয়েছেন। তারা নানা সময়ে নিজেদের সুবিধার জন্য নানা মহাপ্রকল্প পাস করিয়ে আনছেন। ফলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া এই যানজট থেকে মুক্তির পথ মিলবে না। তেমনই একাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছে আলাদা আলাদা উন্নয়ন দায়িত্ব থাকলেও এই কাজ সঠিকভাবে করা সম্ভব হবে না। তাই পুরো পরিবহন ও নগর উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা দুই মেয়রের অধীনে রাখাটা যৌক্তিক হবে।

ঢাকার যানজট নিরসনে এর বাইরে আরও বেশি সড়ক নির্মাণ, রিকশা চলাচল আবাসিক এলাকাভিত্তিক করা, ফুটপাতগুলো ব্যবহার উপযোগী করা, অটোমেটিক ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা বাস্তবায়নসহ রেল ও নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন:
পুরান ঢাকায় যানজটের যত কারণ
মেট্রোরেলের নিচে এক কিলোমিটার যেতে দেড় ঘণ্টা
৫ কিলোমিটার যেতে ২ ঘণ্টা
ট্রেন যখন যানজটে আটকা
স্কুল পুরোদমে খুলতেই অচল ঢাকা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Savar residents want metro rail up to the memorial

স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত মেট্রোরেল চান সাভারবাসী

স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত মেট্রোরেল চান সাভারবাসী ছবি: নিউজবাংলা
সড়কের উপর দিয়ে সম্ভব না হলে মাটির নিচ দিয়ে মেট্রোরেলের যে প্রকল্প রয়েছে, সেই প্রকল্পে সাভারকে যুক্ত করার দাবি জানানো হয়।

মেট্রোরেলের চলমান প্রকল্পটি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় নাগরিক সমাজ।

বৃহস্পতিবার সকালে সাভার উপজেলা পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মেট্রোরেলের এমআরাটি-৫ ও এমআরটি-৬-এর চলমান প্রকল্পটি হেমায়েতপুর থেকে নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ অথবা দিয়াবাড়ি থেকে সাভারের রেডিও কলোনি পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই প্রকল্পে সরকার যদি কোনোরকম জটিলতা মনে করে তাহলে এমআরটি-৬ প্রকল্প উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে বিরুলিয়া হয়ে সাভার রেডিও কলোনি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। পর্যায়ক্রমে তা নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবিও জানান তারা।

কর্মসূচিতে সড়কের উপর দিয়ে সম্ভব না হলে মাটির নিচ দিয়ে মেট্রোরেলের যে প্রকল্প রয়েছে, সেই প্রকল্পে সাভারকে যুক্ত করার দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন সাভার নাগরিক কমিটির সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সভাপতি কামরুজামান খান।

তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের প্রকল্প সাভার পৌর এলাকার শেষ সীমানা পর্যন্ত সম্প্রসারণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বরাবর আবেদন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবকে এ ব্যাপারে অবগতপত্র দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে রেলমন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালকে পত্র দিয়ে এবং সরাসরি সবকিছু অবগত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত সাভারবাসী রেলসেবা পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছে। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাভারের লাখ লাখ মানুষ মেট্রেরেলের সুবিধা প্রত্যাশা করেন। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া হক, সাভার নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষানুরাগী সালাহউদ্দিন খান নঈম, সাভার পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মিজানুর রহমান মাসুদ, সংস্কৃতিকর্মী স্বরণ সাহা, প্রভাত ডি রোজারিও, বন্ধুরহাট যুব সংগঠনের আলোকুর রহমান, জাগরণী থিয়েটারের সভাপতি আজিম উদ্দিনসহ আরও অনেকে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Not only the recognition but also the quality of the product should be looked at
১৪টি জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী

শুধু স্বীকৃতি নয়, পণ্যের মানের দিকেও নজর দিতে হবে

শুধু স্বীকৃতি নয়, পণ্যের মানের দিকেও নজর দিতে হবে বাংলাদেশ ফরিন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মাল্টিপারপাস হলে বৃহস্পতিবার ডিপিডিটি আয়োজিত ১৪টি জিআই পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। ছবি: নিউজবাংলা
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।’

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ‘পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনাময় দেশ। ষড়ঋতুর এ দেশকে প্রকৃতি যেমন দুহাত ভরে তার বৈচিত্র্যময় সম্পদ ঢেলে দিয়েছে, তেমনি এদেশের মেহনতি মানুষ তাদের আপন শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্যসাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।’

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরিন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মাল্টিপারপাস হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও নরসিংদীর অমৃত সাগর কলাসহ ১৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডিপিডিটির মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা, ফরিন সার্ভিস অ্যাকাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা।

শুধু স্বীকৃতি নয়, পণ্যের মানের দিকেও নজর দিতে হবে

মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জিআই পণ্যের প্রচার ও প্রসারে আমাদের এখনই কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিতে হবে। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনসমূহ, দেশের সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কেন্দ্রীয়ভাবে এসব পণ্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলায় জিআই পণ্যসমূহ প্রদর্শন করা যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিপিডিটি, বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এসব পণ্যের উন্নয়ন ও প্রসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।’

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন কোনো খালি বাস্কেট নয়, এটি একটি পরিপূর্ণ ভরা বাস্কেট। আমাদের সম্পদের কোনো অভাব নেই, শুধু প্রয়োজন এর সদ্ব্যবহারের। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা, কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব সম্পদ ও পণ্যের প্রচার-প্রসার ঘটাতে হবে।’

জ্যেষ্ঠ শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে এমন ৫০০টি পণ্যের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছি। একটু দেরিতে হলেও আমরা এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় আমরা ২০১৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়ন করি এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জিআই পণ্যকে সুরক্ষা দিতে হবে এবং একই সঙ্গে এর পেটেন্ট দিতে হবে। জিআই পণ্যের প্রচার-প্রসারে বিভিন্ন উৎসব, পালাপার্বণ ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এসব পণ্যকে আমরা উপহার হিসেবে প্রদান করতে পারি। তাছাড়া এসব পণ্য সম্পর্কে টিভিসি (বিজ্ঞাপন), ডকুমেন্টারি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।’

অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল শাড়িসহ বাংলাদেশের মোট ১৪টি ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ প্রদান করা হয়।

সেগুলো হলো যথাক্রমে- গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথা।

এ নিয়ে ডিপিডিটি কর্তৃক জিআই সনদপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১টিতে।

আরও পড়ুন:
‘আমি বরই দিয়ে ইফতার করব, আর তুই খেজুর-আঙুর খাবি?’
‘টাঙ্গাইল শাড়ি আমাদেরই থাকবে’
গোপালগঞ্জের রসগোল্লা পেল জিআই পণ্যের স্বীকৃতি
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল মুক্তাগাছার মণ্ডা
টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য ঘোষণা করেছে সরকার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Democracy established on January 7 will fail if upazila elections fail CEC

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে: সিইসি

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে: সিইসি সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ফাইল ছবি
সিইসি বলেন, ‘দেশের নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন) যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটি ব্যর্থ হবে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘দেশের নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।’

সভায় দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
নৌকা ২২২ লাঙ্গল ১১ স্বতন্ত্র পেল ৬২ আসন
ভোট ৪০ শতাংশের মতো, আরও বাড়তে পারে: সিইসি
বেশির ভাগ জায়গায় নৌকা ছাড়া অন্য এজেন্ট পেলাম না: সিইসি
ভোট দিলেন সিইসি
জাতির উদ্দেশে ভাষণে সিইসি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Human chain in front of FDC to protest the attack on journalists

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তি দাবিতে বুধবার এফডিসির সামনে মানববন্ধন করেন সাংবাদিকরা। ছবি: সংগৃহীত
মানববন্ধনে বক্তারা এফডিসিতে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেয়া জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোসহ এতে জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা।

টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজে সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাস সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেন তাদেরকে আমরা মননশীল মনে করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?

নারকীয় এই হামলায় নেতৃত্ব দেয়া জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোসহ হামলায় জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বোর নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন চারজন।

তদন্ত কমিটি

এদিকে হামলার ঘটনা তদন্তে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

দশজনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয় ও আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল ও রত্না রয়েছেন।

আরও পড়ুন:
এফডিসিতে সাংবাদিকদের বেধড়ক পেটালেন শিল্পীরা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Relatives of Minister MPs do not simplify the system from the upazila elections Kader

উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা না সরলে ব্যবস্থা: কাদের

উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা না সরলে ব্যবস্থা: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
কাদের বলেন, ‘দলীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে  নির্দেশনা, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি।’

উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী ও এমপিদের স্বজনরা সরে না দাঁড়ালে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার দলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

কাদের বলেন, ‘দলীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে নির্দেশনা, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি।

‘নির্বাচন কমিশনে সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে কেউ ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারেন। এ বিষয়টা চূড়ান্ত হতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে দলে; সময়মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয়টি আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রত্যাহার করবে না, এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত সময়মতো নেয়া হবে।’

চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেও কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল। সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।’

বিএনপির সমাবেশের দিনে আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ থাকে—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাস থেকে জনগণকে রক্ষায় কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকেই যায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আছে।

‘আমরা মাঠে থাকলে তারা এসব অপকর্ম করতে মানসিকভাবে চাপে থাকবে। সে জন্য আমরা কর্মসূচি দিই। বিএনপির চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করতে জনগণের স্বার্থে আমাদের কর্মসূচি থাকা উচিত।’

আরও পড়ুন:
ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন ৫ জুন
উপজেলা নির্বাচন: চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণ ৫ জুন
উপজেলা ভোটে প্রথম ধাপে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
ইউপি চেয়ারম্যানরা পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
ভোটের মাঠে উপজেলা প্রতি থাকছে ২-৪ প্লাটুন বিজিবি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There will be no gas in Shanirakhra Jurain from noon

শনির আখড়া-জুরাইনে দুপুর থেকে গ্যাস থাকবে না

শনির আখড়া-জুরাইনে দুপুর থেকে গ্যাস থাকবে না ফাইল ছবি
আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে জানিয়ে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস।

গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য বুধবার তিন ঘণ্টা রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গ্যাস থাকবে না।

এদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করবে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, যেসব এলাকায় সব শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে সেগুলো হলো- শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী।

আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে জানিয়ে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fire at launch in Shyambazar

শ্যামবাজারের লঞ্চের আগুন নিয়ন্ত্রণে

শ্যামবাজারের লঞ্চের আগুন নিয়ন্ত্রণে শ্যামবাজার ঘাটে আগুনে পুড়ল লঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চারটি ইউনিট। পরে যোগ দেয় আরও একটি ইউনিট।

রাজধানীর সদরঘাটের শ্যামবাজার ঘাটে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ওই আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এমভি বাঙালি নামের লঞ্চটিতে কোনো যাত্রী ছিল না।

ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চারটি ইউনিট। পরে যোগ দেয় আরও একটি ইউনিট।

তিনি জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। লঞ্চটির তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত। আগুনের কারণ ও বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, লঞ্চটি নোঙর করা ছিল। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

p
উপরে