× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Traffic jam in Dhaka Which way to solve
google_news print-icon

ঢাকার যানজট: সমাধান কোন পথে

ঢাকার-যানজট-সমাধান-কোন-পথে
রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে যানজটে স্থবির যানবাহন। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা
নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহন নিরুৎসাহিত করে ব্যক্তিগত গাড়িকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যেখানে গণপরিবহন ব্যবস্থাকে প্রাধিকার দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা, সেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন দিয়ে রাস্তাগুলোতে বাড়তি চাপ দেয়া হচ্ছে।’

রাজধানীতে যানজট এক নির্মম বাস্তবতা। এতে আটকা পড়ে প্রতিদিন রাস্তায় অপচয় হয় অসংখ্য কর্মঘণ্টা। এতে সাধারণের অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। উন্নতির বদলে দিনের পর দিন পরিস্থিতির অবনতিই হচ্ছে।

এমনটা কেন হচ্ছে, প্রতিকারের উপায়ই বা কী তা জানতে পরিবহন বিশেষজ্ঞ, নগর পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈজ্ঞানিক উপায় উপেক্ষা করে গণপরিবহন কমিয়ে পরিকল্পনাহীনভাবে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এ অবস্থায় রাস্তায় ধারণক্ষমতার বেশি গাড়ি চলছে। ফলে যানজট নিয়ন্ত্রণ তো দূরের কথা, সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।

সরেজমিন চিত্র

রাজধানীতে ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই ‍শুরু হয় কর্মচাঞ্চল্য। কাজের তাগিদে মানুষ বেরিয়ে আসে আবাসস্থল থেকে। ছুটে চলে শহরের এ প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে, কিন্তু সকালের তড়িঘড়ি এই যাত্রায় তাদের নিত্যসঙ্গী ট্রাফিক জ্যাম।

বিজয় সরণি-জাহাঙ্গীর গেট হয়ে মহাখালী-গুলশান-বনানী-উত্তরা যাদের গন্তব্য, তাদের প্রথমেই পড়তে হয় বিএএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ গেটের সামনে যানজটের ফাঁদে। এখানে স্কুলের সামনে মূল সড়কে কয়েক লেনে পার্ক করা থাকে শিক্ষার্থীদের বহন করা ব্যক্তিগত গাড়ি। তাতে দীর্ঘ সময়ের জন্য অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় পুরো সড়কে। গাড়ির চাকা সচল হতে কখনো দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লেগে যায়।

প্রতিদিন এমন চিত্র দেখা যায় রাজধানীর অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনেও। মাঝে করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি। স্কুল-কলেজ খোলার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে এসেছে যানজটের পুরোনো চিত্র।

ঢাকার যানজট: সমাধান কোন পথে

তেজগাঁও সাত রাস্তার মোড়ে জটে নিশ্চল যানবাহন। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা

রাজধানীতে যানজটের বড় কারণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি। নগরের ব্যস্ততম এলাকাগুলোর অধিকাংশেই উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। এসব মহাপ্রকল্প ও সংস্কারকাজের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে যানজট স্থায়ী রূপ নিয়েছে।

উত্তরা-মিরপুর-ফার্মগেট-কারওয়ানবাজার থেকে মতিঝিল এলাকায় মেট্রোরেল, উত্তরা-বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ নানা কর্মযজ্ঞে প্রায়ই স্থবির থাকে এসব এলাকার সড়কপথ।

সংকুচিত রাস্তা, মূল সড়কে রিকশার আধিক্য, ফুটপাত দখল, ঘিঞ্জি এলাকার কারণে গুলিস্তান, পল্টন এবং পুরান ঢাকাজুড়ে যানজটে নাকাল ঘরের বাইরে বের হওয়া নগরবাসী।

যানজটের আরেক অনুষঙ্গ হিসেবে যোগ হয়েছে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক সিগন্যাল। অটোমেশন পদ্ধতি বাদ দিয়ে এখনও হাতের ইশারায় শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ।

বিজয় সরণি মোড়ে রোববার সকাল ৮টায় দেখা যায়, চারটি সড়কের মুখে চারজন ট্রাফিক পুলিশ হাত ইশারায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন। প্রতি ৫ মিনিট অন্তর একটি সড়কের গাড়িগুলোকে এগিয়ে যেতে ইশারা দেয়া হচ্ছে। আগের সিগন্যালের কারণে ফার্মগেট-মহাখালী-চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকা থেকে আসা গাড়ির খুব একটা জট সৃষ্টি না হলেও বিপত্তি ঘটছে বিজয় সরণি ওভারপাস ধরে নেমে আসা গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে।

মগবাজার-বেইলি রোড এলাকা থেকে আসা গাড়িগুলোকে ওভারপাসে উঠে আসতে কোনো সিগন্যালে দাঁড়াতে হচ্ছে না। সে সুবাদে অসংখ্য গাড়ি টানা ছুটে আসছে আর জমা হচ্ছে ওভারপাসের ওপর। আর ক্রমে পেছনে গাড়ির লাইন চলে যাচ্ছে মগবাজার মোড় পর্যন্ত। আর এভাবেই নানা সিগন্যালের অসামঞ্জস্যতায় তৈরি হচ্ছে ট্রাফিক জ্যাম।

যানজট নিরসনের সম্ভাব্য উপায়

বিজ্ঞানভিত্তিক উপায় উপেক্ষা করে শুধু কাঠামোগত উন্নয়ন দৃশ্যমান করার ভুল চেষ্টা থেকে ঢাকায় যানজটের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, অল্প খরচে সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না করে কেবল একটি বিশেষ শ্রেণির যাতায়াতকে গুরুত্ব দিয়ে আসা হচ্ছে। এই একটি কারণ ও উন্নয়ন দৃশ্যমান করতে গিয়ে শহরের সড়ককে সময় নষ্টের ফাঁদ বানানো হয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহন নিরুৎসাহিত করে ব্যক্তিগত গাড়িকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যেখানে গণপরিবহন ব্যবস্থাকে প্রাধিকার দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা, সেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন দিয়ে রাস্তাগুলোতে বাড়তি চাপ দেয়া হচ্ছে।

‘অনেক টাকা বিনিয়োগ করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে, যা শুধুই ধনী শ্রেণির ৮ শতাংশ মানুষকে সুবিধা দিচ্ছে। এসব ফ্লাইওভারে গণপরিবহন চলতে দেখা যায় খুব কম।’

ইকবাল হাবিব আরও বলেন, ‘অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বাস্তবায়ন ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ—যানজট নিরসনে এই তিনটি বিষয় সমভাবে জরুরি। এক যুগের বেশি সময় ধরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজগুলো চলছে ঢিমেতালে।

‘ঢাকার চারপাশে বাইপাস সড়ক করে একাধিক রাস্তার কাজ আটকে আছে। যত্রতত্র বাস স্টপ, পথচারীদের হাঁটার ব্যবস্থা না করা, ট্রাফিক সিস্টেম অটোমেশন না করা, রাইড শেয়ারের মাধ্যমে মোটরসাইকেলকে গণপরিবহন হিসেবে বানানোর প্রচেষ্টা, এসব কারণে যানজট কমার বদলে উল্টো বাড়ছে।’

আরেক নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনও বলেন, ‘ঢাকার রাস্তায় প্রতিদিন ১০ হাজার নতুন গাড়ি নামছে। এর বিপরীতে রাস্তা তো আর বাড়ছে না। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে বড় সহায়ক হতে পারে। রাস্তায় দাঁড়ালেই যখন বাস পাওয়া যাবে, তখন মানুষ রিকশা বা ব্যক্তিগত গাড়িতে না চড়ে বাসে চড়বে। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট কোয়ালিটিফুল ও ম্যানেজমেন্ট ঠিকমতো হলে মানুষ শুধু ছুটির দিনে গাড়ি নিয়ে নগরের রাস্তায় বের হবে।’

বুয়েটের পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, ‘ঢাকার রাস্তার ধারণক্ষমতা বিবেচনায় না নিয়ে ছোট গাড়িকে উৎসাহিত করে গণপরিবহনকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। রাস্তার একটি নির্দিষ্ট ক্যাপাসিটি আছে। এর বেশি সে ধারণ করতে পারে না। প্রথমেই ছোট ছোট গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নিরুৎসাহিত করতে হবে।

‘প্রয়োজনে কিছু সময়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে। বিপরীতে বড় গাড়ি বা গণপরিবহনকে উৎসাহিত করতে হবে। রাস্তায় একটি ডাবল ডেকার চললে ২০টি সিএনজিচালিত অটোরিকশার চাহিদা মিটবে।’

যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে করোনা মহামারির কারণে মানুষকে গণপরিবহনে চড়ার জন্য নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। সে সময় মানুষ কষ্ট করে হলেও একটা গাড়ি কিনেছে চলাচলের জন্য। মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং বাংলাদেশ ছাড়া আর কোনো দেশে নেই। মোটরসাইকেলের সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে, এখন পথচারীদের বদলে ঢাকার ফুটপাত দখল করে নিয়েছে মোটরসাইকেল।

‘বিগত বছরগুলোর তুলনায় গত দুই বছর ধরে প্রতিদিন দ্বিগুণ হারে নতুন নতুন প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে। এটা বন্ধ না হলে যানজট কমার প্রশ্নই আসে না।’

যানজটের জন্য পরিকল্পনাহীন নানা মহাপ্রকল্প ও এসব বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, ‘একটা সমস্যা সমাধান করার জন্য যে পরিকল্পনা দরকার, তা কখনও মানা হয় না। ঢাকা শহরে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হিসেবে চালানোর জন্য যেভাবে পেশাদারি কাজ করার কথা ছিল, সেভাবে কোনো সংস্থাই কাজ করছে না। প্রতিটি সংস্থার নজর মেগা প্রকল্পের দিকে।

‘মেগা প্রকল্প হলে উন্নয়ন দেখানো যায়। সে সঙ্গে বড় বিনিয়োগের বিষয় থাকে। তাই অল্প টাকায় সহজ সমাধান রেখে পরিকল্পনাহীনভাবে মেগা প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত সবাই, কিন্তু এভাবে বিজ্ঞানকে উপেক্ষা করে যানজট নিরসন করা অসম্ভব।’

ঢাকার যানজট: সমাধান কোন পথে

যানজটে দীর্ঘ সময় ধরে রাজধানীতে একই স্থানে আটকে থাকে গাড়ি। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা

সঠিক পরিকল্পনা ও দূরদর্শিতার অভাবে মহাপ্রকল্পগুলোর কয়েক দফা মেয়াদ বৃদ্ধি সাধারণের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়ায় বলে মন্তব্য করেন নগর পরিকল্পনাবিদ মোবাশ্বের হোসেন।

তিনি বলেন, ‘রাজধানীর উন্নয়নে জড়িত সংস্থাগুলোর নজর কম খরচের সমাধান বাদ দিয়ে মেগা প্রকল্পের দিকে, কিন্তু সেটারও সঠিক বাস্তবায়ন হয় না সঠিক পরিকল্পনা না থাকার কারণে। প্রকল্পগুলো তৈরির জন্য দীর্ঘ সময় নিয়ে গবেষণা করতে হয়, কিন্তু তা না করেই গোঁজামিল দিয়ে প্রকল্প পাস করিয়ে নেয়া হয়। আর গবেষণাটা হয় পরে। এর ফলে কয়েক দফায় প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়াতে হয়।’

মহাপ্রকল্প থেকে নজর সরিয়ে গণপরিবহন বাড়িয়ে একদিকে সরকারের খরচ কমিয়ে আনা এবং যানজটমুক্ত নগরী গড়তে রাজনৈতিক পদক্ষেপ দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

কারণ হিসেবে তারা বলছেন, দেশের অনেক ব্যবসায়ী এখন রাজনীতিবিদ হয়েছেন। তারা নানা সময়ে নিজেদের সুবিধার জন্য নানা মহাপ্রকল্প পাস করিয়ে আনছেন। ফলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া এই যানজট থেকে মুক্তির পথ মিলবে না। তেমনই একাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছে আলাদা আলাদা উন্নয়ন দায়িত্ব থাকলেও এই কাজ সঠিকভাবে করা সম্ভব হবে না। তাই পুরো পরিবহন ও নগর উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা দুই মেয়রের অধীনে রাখাটা যৌক্তিক হবে।

ঢাকার যানজট নিরসনে এর বাইরে আরও বেশি সড়ক নির্মাণ, রিকশা চলাচল আবাসিক এলাকাভিত্তিক করা, ফুটপাতগুলো ব্যবহার উপযোগী করা, অটোমেটিক ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা বাস্তবায়নসহ রেল ও নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন:
পুরান ঢাকায় যানজটের যত কারণ
মেট্রোরেলের নিচে এক কিলোমিটার যেতে দেড় ঘণ্টা
৫ কিলোমিটার যেতে ২ ঘণ্টা
ট্রেন যখন যানজটে আটকা
স্কুল পুরোদমে খুলতেই অচল ঢাকা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The air quality of Dhaka is moderate today

ঢাকার বাতাসের মান আজ ‘মাঝারি’

ঢাকার বাতাসের মান আজ ‘মাঝারি’

আজ সোমবার, সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস। আজ সকালে ঢাকার আকাশে উঁকি দিয়েছে রোদ। বৃষ্টি কমে রোদ উঠতেই ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি দেখা গেছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৬। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাসের মান ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়েছে।

গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘ভালো’, দূষণ-মান ছিল ৫০। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৭৪তম স্থানে নেমে গিয়েছিল ঢাকা। তবে আজ আবার তালিকার ২৬তম স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।

এদিকে, গতকালের তুলনায় পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসের মানে উন্নতি দেখা গেছে। ৮৩ স্কোর নিয়ে তালিকার ১২ তম স্থানে রয়েছে লাহোর। তবে ভারতের দিল্লির বায়ুদূষণ আজও অব্যাহত রয়েছে। ১২৩ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি।

একই সময়ে ১৬৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ এবং ১৪৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা।

কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

মন্তব্য

লালবাগে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু 

লালবাগে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু 

রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।

রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DMPs 24 cases in violation of traffic laws in the capital

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,২৪৬ মামলা

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,২৪৬ মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
TCBs fair priced products in the capital started selling

রাজধানীতে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু

রাজধানীতে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।

ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।

প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।

টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।

জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।

এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।

দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two women members of the Dhakkamara Chakra in the capital

রাজধানীতে ধাক্কামারা চক্রের ২ নারী সদস্য গ্রেফতার

রাজধানীতে ধাক্কামারা চক্রের ২ নারী সদস্য গ্রেফতার

ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।

ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।

গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।

তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।

এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
212 cases in violation of traffic laws in the capital 

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,১৭২টি মামলা 

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,১৭২টি মামলা 

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

আইসিডিডিআরবির গবেষণা

ঢাকায় বস্তির ৯৮ শতাংশের দেহে অতিমাত্রায় সিসা

ঢাকায় বস্তির ৯৮ শতাংশের দেহে অতিমাত্রায় সিসা

রাজধানী ঢাকার বস্তির শিশুদের দেহে নীরব ঘাতক সিসার বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব শিশুদের ৯৮ শতাংশের দেহে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসা শনাক্ত করা হয়েছে।

আইসিডিডিআরবির (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার আইসিডিডিআরবির সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখ্য, ‍যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) শিশুদের দেহে প্রতি লিটারে ৩৫ মাইক্রোগ্রামের উপস্থিতিকে উদ্বেগজনক মাত্রা বলে বিবেচনা করে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সিসার যেকোনো মাত্রাই শিশুর জন্য ক্ষতিকর।

আইসিডিডিআরবি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে থাকা বস্তির শিশুদের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। ওই গবেষণায় ২ থেকে ৪ বছর বয়সী ৫০০ শিশুর রক্তের নমুনা নেওয়া হয়।

আইসিডিডিআরবির অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট ডা. জেসমিন সুলতানা জানান, এসব শিশুর রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে অর্ধেকের শরীরের এই মাত্রা ছিল ৬৭ মাইক্রোগ্রামের বেশি। গবেষণায় দেখা যায়, সিসা পোড়ানো, গলানো বা রিসাইক্লিংয়ের (পুনঃচক্র) মতো কাজগুলো যেখানে হয়, সেসব এলাকার শিশুদের মধ্যে সিসায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।

উদাহরণ দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, গবেষণায় চিহ্নিত সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের রক্তে সিসার মাত্রা ছিল পাঁচ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে বসবাসকারী শিশুদের তুলনায় ৪৩% বেশি। সিসার অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে ঘরের ভেতর ধূমপান, দূষিত ধূলিকণা, সিসাযুক্ত প্রসাধনসামগ্রী ও রান্নার পাত্র।

এই আলোচনা সভা থেকে লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি বানানো বা রিসাইক্লিং করার কারখানা বা স্থান, অথবা যেসব কারখানা বা স্থাপনায় সিসা গলানো বা পোড়ানো হয়, এমন সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিলে বা দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নিলে সেসব এলাকার শিশুদের সিসা দূষণ থেকে বাঁচানো সম্ভব।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির রিসার্চ ট্রেইনি ডা. সানজিদা তাপসি আদিবা। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির হেলথ সিস্টেম অ্যান্ড পপুলেশন স্টাডিজ ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. সারাহ স্যালওয়ে।

মন্তব্য

p
উপরে