× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
There is no rein in the meat market
google_news print-icon

মাংসের বাজারে লাগাম নেই

মাংসের-বাজারে-লাগাম-নেই
এক বছরের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। ফাইল ছবি
পণ্যমূল্য বৃদ্ধির তালিকায় এখন জায়গা করে নিয়েছে মাংস। গরু কিংবা খাসি, সব ধরনের মাংসের দাম বাড়ছে। বলা হচ্ছে গুটিকয়েক ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ায় বাড়ছে পশুর দাম।

শবে বরাতে খাবারের তালিকায় হালুয়া, রুটির সঙ্গে বরাবর গরুর মাংস রাখেন তৌফিক ইসলাম। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই ব্যক্তি বলেন, ‘এবারই ছিল ব্যতিক্রম। গরু বা খাসির মাংসের যে দাম, তাতে এবার কেনা সম্ভব হয়নি। সব কিছুর ব্যয় মেটাতে হাঁপিয়ে ওঠার মতো অবস্থা।’

শুধু তৌফিকই নয়, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির বড়সংখ্যক মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে মাংস। পণ্যমূল্য বৃদ্ধির তালিকায় এখন জায়গা করে নিয়েছে মাংস। গরু কিংবা খাসি, সব ধরনের মাংসের দাম বাড়ছে। বলা হচ্ছে গুটিকয়েক ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ায় বাড়ছে পশুর দাম।

এক বছরের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। আর খাসির মাংসের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা।

মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতি বছর সিটি করপোরেশন দাম নির্দিষ্ট করে দেয়, কিন্তু মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা তারা করে না।’

মাংসের বাজার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে মাংস আমদানি করে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় মাংস ও পশু আমদানির প্রতিবাদ হচ্ছে না। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো মন্ত্রণালয় আলোচনা করে না।’

মাংসের অতিরিক্ত দামের কারণে অনেক মাংসের দোকান বন্ধ হয়ে গেছে এবং অনেকে পেশা ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানান রবিউল।

তিনি বলেন, ‘করোনার দোহাই দিয়ে গত দুই বছরে মাংস রপ্তানি বা চামড়াশিল্প নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো মিটিং হয়নি।’

কত দামে বিক্রি হচ্ছে মাংস

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস ৬৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

শেওড়াপাড়ার বিসমিল্লাহ মাংস বিতানের ব্যবসায়ী মাসুদ মিয়া জানান, শবে বরাতের দুই দিন আগে মাংসের দাম বেড়েছে। বাড়তি দামে তারা মাংস কিনছেন। এ জন্য তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

আগারগাঁওয়ের ব্যবসায়ী হাবিব আলম বলেন, ‘বর্তমানে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ১০-১৫ দিন আগেও বিক্রি করা হয়েছে ৬০০ টাকায়। আর খাসির মাংস ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকা। এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০০ টাকা।’

একই এলাকার বিসমিল্লাহ গোস্ত বিতানের মূল্যতালিকা নতুন করে টানানো হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ টাকা। হাড় ছাড়া শুধু মাংস নিলে সেটা কেজিপ্রতি ৭৫০ টাকা। আর কলিজা ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। গরুর মাথার মাংস প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, বট ২৫০ টাকা ও পায়া ৪০০ টাকা।

খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা।

লাফিয়ে বাড়ছে দাম

ট্রেডিং করপোরেশনের বাজার দরের ডাটাবেজে দেখা যায়, রোববার গরুর মাংস প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ৬২০ থেকে ৬৫০ টাকা। এক মাস আগে দর ছিল ৬০০ থেকে ৬২০ টাকা। এক মাসে দর বেড়েছে ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

২০২১ সালের একই সময়ে গরুর মাংস কেজিপ্রতি দাম ছিল ৫৬০ থেকে ৬০০ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

খাসির মাংস কেজিপ্রতি বিক্রি ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকা, এক সপ্তাহ আগেও যা একই ছিল। এক মাস আগে দাম ছিল ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। এক বছর আগেও কেজিপ্রতি খাসির মাংস বিক্রি হয় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

ক্যাবের হিসাব

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্যাব) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৬ সালে গড়ে ৪২০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস পাওয়া যেত। ২০১৭ সালে সেই দাম লাফিয়ে বেড়ে যায়। আগের বছরের তুলনায় এক লাফে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বেড়ে ৫২০ টাকায় ওঠে ওই বছর।

২০১৮ সালে ৫২৭ টাকা কেজি ছিল গরুর মাংস। ২০১৯ সালে সেটা বেড়ে হয় ৫৪০ টাকা। ২০২০ সাল শেষে গড়ে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দর ছিল ৫৮৮ টাকা। ২০২১ সাল শেষে গরুর মাংসের দাম বেড়ে কেজিপ্রতি ৬০০ টাকা হয়।

গরুর মাংসের দাম বাড়া নিয়ে কয়েক বছর আগে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের করা একটি জরিপে বলা হয়, গোখাদ্য ও পশুর ওষুধের দাম বৃদ্ধি, চামড়ার দাম কমে যাওয়া, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের পরিবহন খরচ বৃদ্ধি, দোকান ভাড়া ও অন্যান্য ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মাংসের দামে প্রভাব পড়েছে।

অন্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশে দাম বেশি

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে দামের তুলনায় বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম অনেক বেশি।

গত মার্চের তুলনায় চলতি মার্চে দেশীয় বাজারে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ৮০ টাকা। গত বছরের মার্চে এক কেজি গরুর মাংস ছিল ৫৬০ টাকা। বর্তমানে সেটা ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এক বছর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ছিল ৪০০ টাকা। চলতি বছর সেটা বেড়ে প্রায় ৫০০ টাকা ছুঁয়েছে। অর্থাৎ অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে গরুর মাংস কেজিপ্রতি দেড় শ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

দাম বাড়ায় কারা

মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আরও বলেন, গাবতলীর গরুর হাটে একটি সিন্ডিকেট আছে, তারা সরকারের কোনো আইন-কানুন মানে না। তারা লাগামহীনভাবে মাংসের ব্যবসা করছে। পশুর হাটের খাজনা সহজ ও মাস্তানমুক্ত করতে হবে বলে জানান তিনি।

চামড়া বিক্রির ব্যবস্থা করা, সিটি করপোরেশনে একটি স্থায়ী পশুর হাট তৈরি করা এবং মানসম্মত একাধিক কসাইখানা তৈরি না করা গেলে মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণ কঠিন বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, ভারতীয় গরু, মহিষ ও মাংস বাংলাদেশে পাচার বন্ধ করতে হবে। চর ও বনাঞ্চলকে ২০ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণের মাধ্যমে পশুপালনের আওতায় আনতে পারলে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব হবে।

মাংসের চাহিদা

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, একজন মানুষের দৈনিক মাংসের চাহিদা ১২০ গ্রাম। সে হিসাবে বছরে মাংসের চাহিদা ৭৪ লাখ ৩৭ হাজার মেট্রিক টন।

দেশে ২০২০-২১ অর্থবছরে মাংসের উৎপাদন ছিল ৮৪ লাখ ৪০ হাজার টন। আর চাহিদা ৭৪ লাখ ৩৭ হাজার মেট্রিক টন। অর্থাৎ মাংসের উদ্বৃত্ত ১০ লাখ টন।

বাড়ছে পশু উৎপাদন

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে পশু উৎপাদন হয় ৫ কোটি ৬৩ লাখ ২৮ হাজার। এর মধ্যে ৪৪ শতাংশ গরু, ৪৫ শতাংশ ছাগল। বাকিগুলো মহিষ ও ভেড়া।

গত অর্থবছর গরুর উৎপাদন বেড়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার। গরুর মোট উৎপাদন ছিল ২ কোটি ৪৫ লাখ। আগের বছর ছিল ২ কোটি ৪৩ লাখ ৯১ হাজার।

এর আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরে পশু উৎপাদন হয়েছিল ৫ কোটি ৫৯ লাখ ২৬ হাজার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে উৎপাদন ৩ লাখ ৯৯ হাজার বেড়েছে।

আরও পড়ুন:
বন্ধ হচ্ছে মাংস আমদানি
মন্দিরে ‘গরুর মাংস’, বিচারে আলটিমেটাম  
অসুস্থ, মরা ছাগলের মাংস বিক্রিই তাদের পেশা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The Fisheries Departments premises held a meeting meeting to keep hundreds of tobacco free

মৎস্য অধিদপ্তরের প্রাঙ্গণ শতভাগ তামাকমুক্ত রাখতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মৎস্য অধিদপ্তরের প্রাঙ্গণ শতভাগ তামাকমুক্ত রাখতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

অধূমপায়ীদের সুরক্ষা এবং তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় মৎস্য অধিদপ্তরের অফিস প্রাঙ্গণ শতভাগ তামাকমুক্ত রাখার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে তামাক বিরোধী সংগঠন তাবিনাজ (তামাক বিরোধী নারী জোট)। সভাটি আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আব্দুর রউফ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (প্রশাসন), পরিচালক (অভ্যন্তরীণ মৎস্য), প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, উপপরিচালক, সিনিয়র সহকারী পরিচালক, সহকারী পরিচালক ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ প্রায় ৪০ জন কর্মকর্তা।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আতাউর রহমান মাসুদ। তিনি তামাকজাত দ্রব্যের ভয়াবহ ক্ষতিকর দিক এবং এর বহুমুখী প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তাবিনাজের পরিচালক সীমা দাস সীমু তার বক্তব্যে ধোঁয়ামুক্ত ও ধোঁয়াযুক্ত তামাকজাত দ্রব্য এবং গবেষণালব্ধ তথ্য তুলে ধরেন। তাবিনাজ কর্মী শারমিন কবীর বীণা গ্রামীণ তামাক চাষ ও এর ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোকপাত করেন।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা অফিস প্রাঙ্গণ শতভাগ তামাকমুক্ত রাখতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ও কর্মপরিকল্পনা দেন।

সুপারিশসমূহ:
১. অফিস প্রাঙ্গণে ধূমপানের জন্য কোনো স্মোকিং জোন থাকবে না।
২. ক্যান্টিনে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হবে।
৩. দেশব্যাপী মৎস্য অধিদপ্তরের সকল অফিস প্রাঙ্গণকে শতভাগ তামাকমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
৪. সকল অফিস প্রাঙ্গণে ‘তামাকমুক্ত এলাকা’ লেখা সম্বলিত সাইনেজ প্রতিস্থাপন করা হবে।
সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা তামাকমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার প্রয়াসে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
National University Vice Chancellor is working to build skilled human resources to address challenges

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে কাজ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে কাজ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য

অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে স্নাতকে (অনার্স) তথ্য প্রযুক্তি ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

আধুনিক পাঠ্যক্রম প্রণয়নের পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে গতকাল বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের এটুআই প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এসব কথা বলেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষাক্রমের আইসিটি বিষয়ের ‘টিচিং, লার্নিং অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট স্ট্র্যাটেজি’ শীর্ষক এ কর্মশালার প্রথম সেশনে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মো. রশিদুল মান্নাফ কবীর।

উপাচার্য বলেন, কলেজগুলোতে তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষাদানে শিক্ষক সংকটসহ নানা সমস্যা রয়েছে। এ বিষয়ে সহায়তার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সব টেকনিক্যাল কলেজ ও কম্পিউটার কাউন্সিলের সাথে আলোচনা করছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের কলেজ শিক্ষার্থীদের মেধার ঘাটতি নেই। সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে তারা সহজেই তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে উঠবে।

শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক, সময়োপযোগী ও কর্মমুখী তথ্য প্রযুক্তি পাঠ্যক্রম প্রণয়নে সরকারের এটুআই প্রোগ্রাম ও শিক্ষাবিদদের প্রতি আহ্বান জানান অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ।

কর্মশালার দ্বিতীয় সেশনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম।

দিনব্যাপী এ কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন কলেজের ৮টি বিভাগের ৪০ জন তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. নাজমা তারা এবং মির্জা মোহাম্মদ দিদারুল আনাম।

এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Meeting of the Advisory Council held

উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Courtesy of the Director General of the Pakistan Civil Aviation Authority with the Baby Chairman

বেবিচক চেয়ারম্যানের সাথে পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ

বেবিচক চেয়ারম্যানের সাথে পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ

আজ ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুর ১২টায় বেবিচক সদরদপ্তরে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক, বিএসপি, জিইউপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, এসিএসসি, পিএসসি (Air Vice Marshal Md Mostafa Mahmood Siddiq, BSP, GUP, ndc, afwc, acsc, psc) এর সাথে পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালক জনাব নাদির শাফি দার (Mr. Nadir Shafi Dar) এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল পুনঃস্থাপন বিষয়ে ফলপ্রসূ মতবিনিময় হয় এবং উভয় পক্ষই এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৈঠকে ভবিষ্যতে বিমান চলাচল খাতে প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো আরও সুদৃঢ় করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

উভয় পক্ষ আশা প্রকাশ করেন যে, বিমান চলাচল পুনঃস্থাপন হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, পর্যটন ও জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেবিচক এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং PIA এর CEO ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Meeting seven political parties with the chief adviser

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাত রাজনৈতিক দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাত রাজনৈতিক দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ বিকেল ৫টায় সাতটি রাজনৈতিক দল ও একটি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বৈঠকে অংশ নেন- এবি পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণফ্রন্ট এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

এরআগে গত রোববার প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি’র সঙ্গে বৈঠক করেন।

ধারাবাহিক এই বৈঠক আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
International Crimes Tribunal 1 may be formed Law Advisor

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-৩ গঠন করা হতে পারে: আইন উপদেষ্টা

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-৩ গঠন করা হতে পারে: আইন উপদেষ্টা

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-৩ গঠন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

আজ সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ভবন ও সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় আইন উপদেষ্টা বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। বিগত সরকারের হত্যা, গুম, নির্যাতনসহ সব ধরনের অপরাধের বিচারের বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আইন উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবন সংলগ্ন টিনশেড ভবন খালি হয়ে গেলে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-৩ গঠন করতে পারি। এটি করা গেলে গুমসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার কাজ দ্রুত করা যাবে।

তিনি আরো বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে বেশ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন আমাদের বিচারকসহ প্রসিকিউশন ও তদন্ত টিম।

আইন উপদেষ্টা বলেন, দেশের ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থে আমাদের যে ন্যায়বিচার আছে, আইনের শাসন আছে ও মানবাধিকার আছে এটাকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বার্থে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এক হাজারেরও বেশি ছাত্র-জনতাকে হত্যা এবং হাজারও মানুষকে পঙ্গু করার ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার অপরিহার্য-অনিবার্য। সেই বিচারকার্যের প্রথম থেকেই আমরা অবিচল আছি। বিচারের যে গতি আছে সেটা নিয়েও আমরা সন্তুষ্ট আছি।

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবন আজ পরিদর্শন করেন। এসময় তাদের সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ অপর প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
People will play a key role in the free and fair and participatory elections Home Advisor

অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনগণই মুখ্য ভূমিকা রাখবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনগণই মুখ্য ভূমিকা রাখবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনগণই মুখ্য ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

উপদেষ্টা আজ সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় সিলেট বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), আনসার-ভিডিপি, কারা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সিলেট জেলার বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

উপদেষ্টা বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে মাঠ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য শুধু নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি যথেষ্ট নয়, মাঠ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে। জনগণ যেন নির্ভয়ে নির্বাচন কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট প্রদান করতে পারে সেরকম পরিবেশ তৈরি করতে প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে একযোগে কাজ করতে হবে। সকলের সহযোগিতায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভবপর হবে।

পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়োগ ও পদায়ন সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, এবার বিভিন্ন বাহিনীর নিয়োগ প্রক্রিয়া ও পদায়ন অনেক স্বচ্ছ হয়েছে। তাই সবাইকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মাদককে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য অন্যতম হুমকি উল্লেখ করে তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি জিরো টলারেন্স দেখানোর নির্দেশনা দেন। এছাড়া পরিবেশ রক্ষায় সিলেটের পাথরখেকোদের বিরুদ্ধে সবসময় সজাগ থাকার কথা বলেন।

দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব তুলে ধরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, কৃষকরাই এদেশের খাদ্য নিরাপত্তার মূল কারিগর। তাই উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষকেরা যেন তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। উপদেষ্টা এসময় পতিত কৃষিজমিগুলো আবাদের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।

সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাবৃন্দ সিলেটের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও এর চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে বিভিন্ন মতামত প্রদান করেন। উপদেষ্টা সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যৌক্তিক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। মতবিনিময় সভা শেষে উপদেষ্টা উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।

উপদেষ্টা এর আগে বিজিবি'র সিলেট সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স এবং সিলেট পুলিশ লাইন পরিদর্শন করেন।

মন্তব্য

p
উপরে