পুঁজিবাজারের মন্দা কাটাতে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল চেয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন- বিএমবিএ। বাজারের তারল্য বৃদ্ধির জন্য মধ্যস্থতাকারীদের জন্য এই তহবিল চেয়েছে সংগঠনটি।
এই টাকা উত্তোলনে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অবণ্টিত লভ্যাংশ দিয়ে যে স্থিতিশীলতা তহবিল গঠন করা হয়েছে, তার মাধ্যমে বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব দিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে তহবিলটি মধ্যস্বত্বভোগীদের মধ্যে কম খরচে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের আকারে বিতরণ করার কথা বলেছে।
বিএমবিএ বলেছে, বাংলাদেশে পুঁজিবাজারের প্রধান দুর্বলতা হচ্ছে এখানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কম। ব্যক্তিশ্রেণির ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে। পুঁজিবাজারের প্রধান এই দুর্বলতা কাটাতে এ ধরনের একটি তহবিল দরকার।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া বাজার সংশোধন কাটিয়ে পুঁজিবাজার চলতি বছরের জানুয়ারিতে উত্থানের আভাস দিয়েছিল। তবে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসির মধ্যে মতভিন্নতা দূর না হওয়া নিয়ে চাপের মধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় নামে ধস।
সোমবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ প্রস্তাব দিয়েছে বিএমবিএ।
এক দশকেরও বেশি সময়ের মন্দা কাটিয়ে ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে উত্থানে থাকা পুঁজিবাজারে গত কয়েক মাসের মন্দাভাবে বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মধ্যে বিএমবিএ সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ মতিতের সই করা চিঠিতে কীভাবে এই তহবিলের সংস্থান হতে পারে সে বিষয়েও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া বাজার সংশোধন কাটিয়ে পুঁজিবাজার চলতি বছরের জানুয়ারিতে উত্থানের আভাস দিয়েছিল। তবে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসির মধ্যে মতভিন্নতা দূর না হওয়া নিয়ে চাপের মধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় নামে ধস।
এই পরিস্থিতিতে বিএসইসি এক দিনে শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ নির্ধারণের পাশাপাশি স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের নির্দেশ দেয়।
এ ছাড়া ব্যাংক ও মিউচুয়াল ফান্ড পরিপালনকারী সম্পদ ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে বৈঠক করে সংস্থাটি। দুই বৈঠক শেষেই বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা আসে।
এরপর টানা চার কর্মদিবসে সূচক বাড়ে ৩০০ পয়েন্টেরও বেশি। কিন্তু চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে একটি জাতীয় দৈনিকের এক সংবাদে শেয়ারগুলো দর হারাতে থাকে আবার।
সেই সংবাদে বলা হয়, শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আবার ১০ শতাংশ করা হচ্ছে। এই খবরে এক দিনেই অল্প কিছু বাদে প্রায় সব শেয়ারের দর পড়ে।
তহবিলের সীমাবদ্ধতার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারের অংশগ্রহণ প্রত্যাশিত পর্যায়ে নেই। বাহ্যিক মৌলিক কারণগুলোর পরিবর্তনের কারণে বাজারের অবস্থারও অবনতি হতে পারে। খুচরা বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে বিক্রির চাপ বাড়ায়। যেহেতু বাজার পতন অব্যাহত রয়েছে, তাই মার্জিন ঋণ প্রদানকারীদের শেয়ার বিক্রি করে তাদের মার্জিন অনুপাত সামঞ্জস্য করতে হবে।’
সেদিনই বিএসইসি থেকে বার্তা আসে, এই তথ্যটি সঠিক নয়। পরদিন লেনদেনের একপর্যায়ে আবার ঢালাও পতন দেখা দেয়। তবে শেষ বেলায় হারানো সূচক কিছুটা ফিরে পায়।
তবে বিনিয়োগ বাড়ানোর যে ঘোষণা এসেছিল, সেটি আদৌ হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়। গত দুই দিন পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে ১১ মাসের সর্বনিম্ন।
চিঠিতে যা বলা হয়েছে
এই পরিস্থিতিতে মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের পুঁজিবাজারের প্রধান কাঠামোগত সমস্যাগুলোর একটি হলো- খুচরা বিনিয়োগকারীরা দ্বারা বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে আছে।
এখানে বাজার মধ্যস্থতাকারীদের দ্বারা ডিলার বিনিয়োগসহ প্রাতিষ্ঠানিক অংশগ্রহণ খুব দুর্বল এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কম। বাজারের মধ্যস্থতাকারীদের তহবিলের উৎস সীমিত হওয়া এসব সমস্যার কারণ। তাদের (মধ্যস্থতাকারীদের) তহবিলের প্রধান উৎস পরিশোধিত মূলধন।
অন্যদিকে বেশির ভাগ মধ্যস্থতাকারীর কাছে ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জামানত না থাকলেও পুঁজিবাজারের এক্সপোজার ইস্যুতে সীমাবদ্ধতা রয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত অতিরিক্ত ১ শতাংশ সাধারণ বিধানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
ফলে ব্যাংকগুলো বাজারের মধ্যস্থতাকারীদের ঋণ দিতে নিরুৎসাহিত বোধ করে। পুঁজিবাজার বিনিয়োগের অন্তর্নিহিত ঝুঁকির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও উচ্চহারে সুদ নেয়।
বাজারের মধ্যস্থতাকারীদের জন্য যদি এই বিশেষ তহবিল গঠন করা হয় এবং এটি যদি সঠিকভাবে বাজারে বিনিয়োগ করা হয়, তাহলে বাজারে বর্তমান মন্দাভাব কেটে যাবে এবং বাজারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তারল্য ঘাটতির সমস্যা সমাধান হবে। এ ছাড়া এই উদ্যোগ বাজার অংশগ্রহণকারীদের সংকেত দেবে যে সরকারের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থা পুঁজিবাজারের উন্নতির জন্য কাজ করছে। এইভাবে বিনিয়োগকারীদের আস্থা দৃঢ়ভাবে পুনরুজ্জীবিত হবে এবং বাজার স্থিতিশীল থাকবে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘তহবিলের সীমাবদ্ধতার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারের অংশগ্রহণ প্রত্যাশিত পর্যায়ে নেই। বাহ্যিক মৌলিক কারণগুলোর পরিবর্তনের জন্য বাজারের অবস্থারও অবনতি হতে পারে।
‘খুচরা বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে বিক্রির চাপ বাড়ায়। যেহেতু বাজার পতন অব্যাহত রয়েছে, তাই মার্জিন ঋণ প্রদানকারীদের শেয়ার বিক্রি করে তাদের মার্জিন অনুপাত সামঞ্জস্য করতে হবে।’
এটি বারবার ঘটতে পারে- এই বিষয়টি উল্লেখ করে বিএমবিএ বলছে, ‘এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের বিশেষ ঋণ সুবিধা/তহবিল সহায়তার ব্যবস্থা করে বাজারের মধ্যস্থতাকারীদের শক্তিশালী করতে হবে; যাতে তারা হঠাৎ গুজবসহ অন্য যেকোনো ধরনের পতন থেকে বাজারকে সমর্থন করতে পারে।’
‘সে কারণেই এই বিশেষ তহবিল গঠন জরুরি’ উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, ‘বাজারের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্যই ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা প্রয়োজন।’
চিঠিতে বলা হয়, ‘বাজারের মধ্যস্থতাকারীদের জন্য যদি এই বিশেষ তহবিল গঠন করা হয় এবং এটি যদি সঠিকভাবে বাজারে বিনিয়োগ করা হয়, তাহলে বাজারে বর্তমান মন্দাভাব কেটে যাবে এবং বাজারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তারল্য ঘাটতির সমস্যা সমাধান হবে।
‘এ ছাড়া এই উদ্যোগ বাজার অংশগ্রহণকারীদের সংকেত দেবে যে সরকারের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থা পুঁজিবাজারের উন্নতির জন্য কাজ করছে। এইভাবে বিনিয়োগকারীদের আস্থা দৃঢ়ভাবে পুনরুজ্জীবিত হবে এবং বাজার স্থিতিশীল থাকবে।’
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য