× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The decision to increase was immediately delayed by the announcement of price reduction
google_news print-icon

বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সঙ্গে সঙ্গে, দাম কমানোর ঘোষণায় গড়িমসি

বাড়ানোর-সিদ্ধান্তে-সঙ্গে-সঙ্গে-দাম-কমানোর-ঘোষণায়-গড়িমসি
কমদামে তেল কিনতে টিসিবির ট্রাকের লাইনে ক্রেতারা। ফাইল ছবি
তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পর খুচরা বাজারে প্রভাব পড়তে দেরি না হলেও এখন কেন এমনটি হবে- এমন প্রশ্নের জবাব না খুচরা ব্যবসায়ী, না পাইকারি ব্যবসায়ী, না উৎপাদক-পরিবেশক- কারও কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। 

ভোজ্যতেলের বাড়ন্ত বাজার আপাতত ঠান্ডা হলো ভ্যাট প্রত্যাহারে। সেই সঙ্গে কিছুটা কমানো হয়েছে দর।

তবে সরকার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিলে পর দিন থেকেই বাজারে নতুন দামে বিক্রির যে ঘটনা দেখা যায়, কমানোর সিদ্ধান্তে সেটি দেখা গেল না।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১৬৮ টাকা লিটারের জায়গায় ১৬০ টাকা লিটার ধরে যে তেল মিল থেকে ছাড়া হচ্ছে, সেটি এখনও খুচরা পর্যায়ে দেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

কোম্পানিগুলো বলছে, নতুন দামে নিজ নিজ পরিবেশকদের কাছে তেল দিচ্ছে আমদানিকারক, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো। তবে স্বল্প প্রস্তুতির কারণে সরবরাহের ছিল কম।

আবার মিল থেকে যেটুকুই ছাড়া হয়েছে সেটিও পৌঁছেনি পাইকারি পর্যায় হয়ে খুচরা পর্যায়ে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগবে। তেলের দাম আরও বাড়তে পারে- এমনটি ভেবে যারা মজুত করেছিলেন, তারা সেই তেল বিক্রি করে নতুন তেল কিনবেন।

তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পর কেন খুচরা বাজারে প্রভাব পড়তে দেরি না হলেও এখন কেন এমনটি হবে- এমন প্রশ্নের জবাব না খুচরা ব্যবসায়ী, না পাইকারি ব্যবসায়ী, না উৎপাদক-পরিবেশক- কারও কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।

করোনা পরিস্থিতি উন্নতির সঙ্গে সারা বিশ্বেই পণ্যমূল্য বাড়ছে ব্যাপক হারে। এর প্রভাব পড়েছে দেশেও। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা সয়াবিন তেল নিয়ে।

গত বছর রোজার সময় দাম ছিল লিটারে ১৩৪ টাকা। সেটি গত ৬ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ হয় ১৬৮ টাকা। মার্চ থেকে আরও ১২ টাকা বাড়িয়ে লিটারে ১৮০ টাকা করতে চেয়েছিল ব্যবসায়ীরা।

সরকার এবার দাম বাড়ানোর প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ার পর বাজারে সরবরাহে দেখা দেয় ঘাটতি। চাহিদা ও যোগানের মধ্যে সমন্বয়হীনতার মধ্যে সরকার তেলের উৎপাদন ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেয়।

তেলের সিংহভাগ আমদানি করে পরিশোধন করা হয়। আর উৎপাদন ও বিক্রয় পর্যায়ে পুরোটা আর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ রেখে বাকি সব ভ্যাট প্রত্যাহার করার পর খরচ ও মুনাফা হিসাব করে লিটারে দাম আট টাকা কমানো হয়েছে।

নতুন দাম সোমবার থেকেই কার্যকর, সেটি জানিয়ে দেয়া হয় আগের দিনই। তবে এই দাম মিল গেটে হবে-এটাও বলা ছিল। মিলগেট থেকে পাইকারিতে, পরে খুচরায় প্রভাব পড়তে চার থেকে পাঁচ দিন লেগে যাবে।

তবে গত ৬ ফেব্রুয়ারি যখন তেলের দাম লিটারে আট টাকা বাড়িয়ে ১৬৮ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়, তখন খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়তে এই চার/পাঁচ দিন লাগেনি। পরের দিন না, ওই সন্ধ্যা থেকেই বেড়ে যায় দাম।

বাণিজ্যিকভাবে দেশে এখন পর্যন্ত খোলা সয়াবিন ও পামতেলের চাহিদাই বেশি। অন্যদিকে বাসাবাড়িতে বেশি ব্যবহার হয় বোতলজাত সয়াবিন। এ বোতলজাত সয়াবিনের বড় অংশই সরবরাহ করছে গুটিকয়েক কোম্পানি।

এদের মধ্যে তীর ব্র্র্যান্ডের তেল বাজারজাত করছে সিটি গ্রুপ, ফ্রেশ ব্র্যান্ডের মেঘনা গ্রুপ, রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড, পুষ্টি ব্র্যান্ডের টিকে গ্রুপ ও বসুন্ধরা ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন বাজারজাত করছে বুসন্ধরা গ্রুপ।

এর বাইরে এস আলম গ্রুপের মোরগ, এস এ গ্রুপের মুসকান, নূরজাহান গ্রুপের নূরজাহান, ইলিয়াস ব্র্যাদার্সের দাদা, মোস্তফা ভেজিটেবলের মোস্তফা, রুবাইয়া ভেজিটেবলের রুবাইয়া ব্র্যান্ডের সয়াবিন বাজারজাত হচ্ছে।

এস আলম গ্রুপের সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক কাজী সালাহউদ্দিন আহাম্মদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রোববার বিকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন দাম মিল পর্যায়ে কার্যকরের বিষয়ে কোম্পানির নির্দেশনা গতকালই মিলের উৎপাদন বিভাগে চলে গেছে। স্বল্প প্রস্তুতির মধ্যেও কারখানা থেকে সোমবারই নতুন দামে মাল ছাড়া শুরু হয়েছে।’

দাম কমালে বাজারে প্রভাব পড়াতে দেরির কারণ উঠে এলো তার বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘হ্রাসকৃত দামের খোলা সয়াবিন আমরা সোমবারই তালিকাভূক্ত ডিলারদের কাছে সরবরাহ দিয়েছি। তারা পাইকারদের কাছে দেবে এবং তারপর খুচরা পর্যায়ে যাবে। তাই নতুন দাম ভোক্তা লেভেলে পৌঁছাতে হয়ত দুই-একদিন সময় লাগবে।

‘বৈশ্বিক কারণে সম্প্রতি দেশে মাসাধিককাল দেশে ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা গেছে। তাই দাম বাড়তে পারে ধারণা করে অনেকে আগে থেকেই কিছু পরিমাণ তেল মজুদ করেছিল। এখন তারা সেই মজুত শেষ না করে তো নতুন মাল নেবে না।’

মৌলভীবাজার ভোজ্যতেল পাইকারি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা বলেন, ‘দাম বাড়লে সঙ্গে সঙ্গে বাজারে প্রভাব পড়ে এবং কমলে একটু দেরিতে পড়ে কথাটি আংশিক সত্য। কারণ দাম যখন বাড়তি থাকে তখন বাজারপর্যায়ে চাহিদার কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে এবং এতে বিক্রি কম হয়। ফলে তখন বিভিন্নস্তরে আগের সরবরাহকৃত মালের মজুত তৈরি হয়। তখন ব্যবসায়ীদের উভয়সংকটে পড়তে হয়।’

তিনি বলেন, ‘যখন দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসে তখন কম দামে কেনা খোলা সয়াবিনের আগের মজুত বাড়তি দামে বিক্রির সুযোগ থাকলেও বোতলজাত সয়াবিনের ক্ষেত্রে সে সুযোগ নেই। আবার দাম কমার ঘোষণা আসলে আগের মজুতে বোতলের গায়ে বাড়তি দাম উল্লেখ থাকলে সেটিও কমে বিক্রির সুযোগ নেই।’

তাই এমন প্রেক্ষাপটে বাজারে যে তেল আছে তার মজুত না ফুরানো পর্যন্ত তেলের দাম কমার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।

সিটি গ্রুপের পরিচালক (অর্থ) বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘আমরা নতুন দামে বাজারে বোতলজাত সয়াবিন সরবরাহ শুরু করেছি। প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার টন তেল আমরা মিল থেকে সরবরাহ দেই। সোমবার আমরা সেই স্বাভাবিক সরবরাহ দিতে পারিনি। কারণ সরবরাহকৃত বোতলজাত সয়াবিনের দাম সম্বলিত লেভেল প্রিন্টিংয়ের বিষয় আছে। আজও বোতলের গায়ে নতুন দামের লেভেল প্রিন্টিং হচ্ছে। এটা চলতে থাকবে। দুই-একদিনের মধ্যে আমরা সরবরাহের সবটুকুই নতুন দামে দিতে পারব।’

টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতাহার তসলিম বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পরই আমরা মিলপর্যায়ে বোতলজাত সয়াবিনের লেভেলে নতুন দাম প্রিন্টিং করার নির্দেশনা পাঠিয়েছি। স্বল্প সময়ের মধ্যে যা উৎপাদন হয়েছে আজ তার ডেলিভারি হয়েছে। তবে মঙ্গলবার থেকে পুরোদমে ডেলিভারি শুরু হবে।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আমদানি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘কোম্পানিগুলো মিল থেকে নতুন দামে স্বল্প পরিসরে সয়াবিন বাজারজাত শুরু করেছে। তবে এখানে লাখ লাখ বোতলের লেবেলে নতুন দাম প্রিন্টিং করার বিষয় রয়েছে। এর জন্য প্রস্তুতি ও সময়ের ব্যাপার রয়েছে।

‘গতকাল নতুন দামের প্রিন্ট শুরু করেছে। দুই-একদিনের মধ্যেই মিল পর্যায় থেকে এই দামের সয়াবিনের স্বাভাাবিক সরবরাহ আমরা দেখব।’

বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের বাজার প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২০ লাখ টন। এর মধ্যে রমজান মাসেই চাহিদা প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ টন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, স্থানীয় উৎপাদন প্রায় দুই লাখ টন। বাকি প্রায় ১৮ লাখ টন আমদানি করে ভোক্তার চাহিদা পূরণ করতে হয়।

আরও পড়ুন:
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে ১৬০
বিশ্ববাজারে বৃদ্ধির সুযোগে কিছু কামানোর চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী
সয়াবিনের উত্তাপ সরিষার তেলেও
সয়াবিন তেল কিনতে চাইলে পোলাও চাল নেয়ার শর্ত
সরকারের ‘না’র পর সরবরাহে টান, বেড়েছে দাম

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The highest profit of the history of Bangladesh Airlines in the fiscal year 2021 27 Tk 1 crore

২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ইতিহাসের সর্বোচ্চ মুনাফা – ৯৩৭ কোটি টাকা

২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ইতিহাসের সর্বোচ্চ মুনাফা – ৯৩৭ কোটি টাকা

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৯৩৭ কোটি টাকা অনিরীক্ষিত মুনাফা অর্জনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠার ৫৫ বছরের ইতিহাসে এক অনন্য রেকর্ড গড়েছে। এই সাফল্যের জন্য বিমানের সম্মানিত যাত্রী ও গ্রাহকদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানানো হচ্ছে, যাদের আস্থা ও সমর্থন এই রেকর্ড মুনাফা অর্জনে সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। এই সাফল্য এসেছে দক্ষ সম্পদ ব্যবস্থাপনা, কার্যকর কৌশল গ্রহণ এবং যাত্রীসেবার ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলস্বরূপ। উল্লেখযোগ্য যে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আগে বিমানের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জিত হয় ২০২১-২২ অর্থবছরে, যার পরিমাণ ছিল ৪৪০ কোটি টাকা।

১৯৭২ সালে মাত্র ১.৯০ কোটি টাকা আয় দিয়ে যাত্রা শুরু করা বিমান, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সীমিত অবকাঠামো ও সম্পদের মধ্যে থেকে ধীরে ধীরে আজকের আধুনিক ও প্রতিযোগিতামুলক এয়ারলাইন্সে পরিণত হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমান ১১,৬৩১.৩৭ কোটি টাকা আয় করেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে, বিমান প্রথমবারের মতো ১০,০০০ কোটির বেশি আয়কারী কোম্পানিতে পরিণত হয়। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ৫৫ বছরের যাত্রায় বিমান মোট ২৬টি বছরে লাভ করেছে। ২০০৭ সালে করপোরেশন থেকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের পর গত ১৮ বছরে বিমানের পুঞ্জীভূত মোট মুনাফা হয়েছে ৫৮৯ কোটি টাকা যা এই সংস্থার স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদি সফলতার প্রমাণ।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমানের বহরে ২১টি উড়োজাহাজ ছিল, যার মধ্যে বর্তমানে ১৯টি নিজস্ব মালিকানাধীন উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক ও জ্বালানি সাশ্রয়ী চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮ এবং দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার। বিমানের আর একটি বড় শক্তি হলো এর নিজস্ব বহর রক্ষণাবেক্ষণ সক্ষমতা - লাইন মেইনটেন্যান্স থেকে শুরু করে বড় ধরনের চেক পর্যন্ত সবই দেশেই সম্পন্ন করতে পারে, যা ব্যয় সাশ্রয়, দ্রুত সেবা প্রদান এবং আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমানের কার্যক্রমে যাত্রী পরিবহন হয়েছে ৩.৪ মিলিয়ন, কার্গো পরিবহন ৪৩,৯১৮ টন, এবং কেবিন ফ্যাক্টর ৮২%-এ উন্নীত হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। এছাড়াও ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে বিমানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ টিকিট বিক্রির রেকর্ড অর্জিত হয়েছে, যা বাজারে বিমানের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ও যাত্রীদের আস্থার প্রতিফলন। দ্রুত লাগেজ সরবরাহ, উন্নত ইন-ফ্লাইট সেবা এবং বিমানবন্দর প্রক্রিয়ার আধুনিকায়ন যাত্রী সন্তুষ্টি বাড়িয়েছে। পাশাপাশি, বিমান আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মান কঠোরভাবে অনুসরণ করে ধারাবাহিকভাবে প্রশংসনীয় সেফটি রেকর্ড বজায় রেখেছে। জাতীয় সংবাদমাধ্যম ও এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিমানের বহর আধুনিকায়ন, লাভজনক আন্তর্জাতিক রুট সম্প্রসারণ এবং উন্নত গ্রাহকসেবা প্রদানের প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নতুন ব্যবস্থাপনা দক্ষ অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ, কার্যকর সম্পদ বণ্টন এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে এই বছরের রেকর্ড মুনাফায় বড় ভূমিকা রেখেছে।

বিমানের ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় রয়েছে নতুন জনপ্রিয় গন্তব্যে রুট সম্প্রসারণ, যাত্রীসেবা ও পরিচালনায় ডিজিটাল রূপান্তর, এবং কার্গো সেবা শক্তিশালীকরণ। বিমানের লক্ষ্য হলো জাতীয় গৌরবকে ধারণ করে বিশ্বমানের সেবা, নির্ভরযোগ্যতা এবং সম্মানিত যাত্রীগণের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইন্সে পরিণত হওয়া।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
While some indexes have economic progress there are many challenges GED

কিছু সূচকে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হলেও নানা চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে: জিইডি

কিছু সূচকে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হলেও নানা চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে: জিইডি

অন্তর্বর্তী সরকারের ১ বছরে কিছু সূচকে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করলেও এখনো নানা চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। আগস্ট মাসের মাসিক অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছে বিভাগটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুব বেকারত্ব, শহর-গ্রামের বৈষম্য, বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের উচ্চহার এবং জলবায়ু ঝুঁকি দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে রয়েছে। তা ছাড়া, অনেক সংস্কারের সফলতা নির্ভর করছে আগামী নির্বাচিত সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার ওপর। তবে অন্তর্বর্তী সরকার অন্তত একটি নকশা বা রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছে, যার ওপর ভবিষ্যতের সরকারগুলো কাজ এগিয়ে নিতে পারবে।

মোবাইল আর্থিক পরিষেবা লেনদেনের উন্নতি:

মোবাইল আর্থিক পরিষেবা লেনদেন উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির গতি প্রদর্শন করেছে, যা বছরের পর বছর উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির প্রতিনিধিত্ব করছে। সকল বিভাগে, বিশেষ করে বণিকদের অর্থপ্রদান, বেতন বিতরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমের শক্তিশালী সম্প্রসারণ হয়েছে। ২০২৫ সালের মার্চ ছিল ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ লেনদেনের মাস। উৎসব ব্যয়ের কারণে জুন মাসের পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণ ১৫৩৭৫৭৯.৮ থেকে ১৭৮১২৭৯.২ মিলিয়ন টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। এই টেকসই প্রবৃদ্ধির গতিপথ শক্তিশালী ভোক্তা চাহিদা নির্দেশ করে।

ই-কমার্স লেনদেন বেড়েছে:

বাংলাদেশ ব্যাংকের ই-কমার্স লেনদেনের তথ্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি প্রকাশ করেছে। ২৪ এ লেনদেন তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল। বিপরীতে, আর্থিক বছর ২৫’এ উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে, জুলাই মাসে ১৪৪৮৭.৯ মিলিয়ন থেকে শুরু হয়ে মে মাসে ২৩৬৫৪.২ মিলিয়ন টাকায় পৌঁছেছে- প্রায় ৬৪% বৃদ্ধি।

সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি:

৭ মাস ধরে অব্যাহত মন্দার পর জুলাই মাসে মূল মুদ্রাস্ফীতি আগের মাসের ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ থেকে সামান্য বেড়ে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশে পৌঁছেছে। ২০২৪ সালের আগস্টে, যখন অন্তর্বর্তী সরকার দুই অঙ্কেরও বেশি মূল্যস্ফীতি নিয়ে যাত্রা শুরু করে, তখন প্রায় ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে অর্থবছর শেষ করার জন্য যথেষ্ট আশাবাদী হওয়া কঠিন ছিল। অর্থবছরের প্রথমার্ধে অনেক সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছিল, যা এখন সুষমভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর টানা দ্বিতীয় মাসে মুদ্রাস্ফীতি ৯ শতাংশের নিচে এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের নিচে নিবন্ধিত হয়েছে। সরবরাহ পক্ষের সমস্যা এখনো রয়ে গেলেও রাজস্ব এবং আর্থিক উভয় পক্ষ থেকেই সমন্বিত প্রচেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতি বিবৃতি ঘোষণা করেছে, যার লক্ষ্য ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে ৭ শতাংশের নিচে মুদ্রাস্ফীতি কমানো। পরবর্তী পদক্ষেপ হবে দেশীয় বাজার পরিস্থিতি এবং ব্যবস্থাপনার ওপর ধারাবাহিকভাবে নজর রাখা এবং সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় কৃষি ইনপুট সরবরাহ করা।

গত অর্থবছর জুড়ে খাদ্যবহির্ভূত মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল ছিল। খাদ্যের বিস্তৃত বিভাগে, শাকসবজি এবং মূল ফসলের অবদান উল্লেখযোগ্যভাবে ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সহায়তা করেছে। বিচ্ছিন্ন স্তরে, ইলিশ, বেগুন, টমেটো, সয়াবিন তেল এবং অন্যান্য পণ্য উচ্চ থেকে মাঝারি পরিমাণে অবদান রেখেছে- যেখানে আলু এবং পেঁয়াজ খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে অবদান রেখেছে ১৫ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

চালের দাম এখনো স্থিতিশীল হয়নি:

খাদ্য মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির জন্য চালের দাম এখনো একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। খাদ্য মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে চালের অবদান মে মাসে ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে জুলাই মাসে ৫১ দশমিক ৫৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মাঝারি চাল এবং মোটা চাল জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে যথাক্রমে ২৪ শতাংশ এবং ১৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ অবদান রেখেছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে চালের উভয় শ্রেণিই দ্বি-অঙ্কের মুদ্রাস্ফীতি অর্জন করেছে- যেখানে মাঝারি চালের মূল্যস্ফীতি গত ১২ মাসে দুই অঙ্কের রয়ে গেছে। জুলাই মাসে, তিনটি শ্রেণির চালের মূল্যস্ফীতি প্রায় ১৫ শতাংশ। জুন থেকে বোরো ধানের ফলন চালের দামকে দমন করবে বলে আশা করা হয়েছিল।

রপ্তানি বেড়েছে:

গেল এক বছরে রপ্তানি গতিশীল হচ্ছে, যা বাংলাদেশের জন্য শক্তিশালী বাণিজ্য সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশের রপ্তানি কর্মক্ষমতা স্পষ্টভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখায়- যা দেশের বহির্বাণিজ্য খাতে নতুন গতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়। ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় এ বছর ধারাবাহিক উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে।

আমদানি প্রবণতা প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত:

ক্রমবর্ধমান আমদানি এবং স্থিতিশীল মূলধনী পণ্যের প্রবাহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের শক্তিশালীকরণকে প্রতিফলিত করে। ২০২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের আমদানি প্রবণতা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে একটি মাঝারি কিন্তু অর্থবহ প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, বিশেষ করে অর্থবছরের শেষার্ধ্বে। সামগ্রিক আমদানি শক্তিশালী রয়েছে, যা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মাসগুলোতে গত বছরের স্তরকে ছাড়িয়ে গেছে।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে:

গেল ১২ মাসে রেমিট্যান্স প্রভাবে স্থিতিশীলতা এসেছে এবং পারিবারিক আয় বৃদ্ধি করেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স প্রবাহে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যা প্রবাসী সম্প্রদায়ের শক্তিশালী সম্পৃক্ততা এবং উন্নত স্থানান্তর চ্যানেলের ইঙ্গিত দেয়। মাসিক রেমিট্যান্স পরিসংখ্যান ধারাবাহিকভাবে পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় বেশি ছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Onion claims to reconsider IP policy

পেঁয়াজে আইপি নীতি পুনর্বিবেচনার দাবি

পেঁয়াজে আইপি নীতি পুনর্বিবেচনার দাবি

পেঁয়াজ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা নিয়ে শঙ্কায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারকরা। এ কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে আইপি বা ইমপোর্ট পারমিট নীতি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

গতকাল রোববার দুপুরে সোনামসজিদ আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি একরামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সীমিত পরিমাণে আইপি দিচ্ছে। কখনও ৫০ টন, আবার কখনও ৩০ টন। অথচ ভারত থেকে প্রতিটি ট্রাকে সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ টন পেঁয়াজ আসে। ফলে ৩০ টনের আইপি দিলে এলসি, শুল্ক, সিএন্ডএফসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাবে। এর প্রভাব সরাসরি বাজারে পড়বে এবং দাম অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে।

তিনি আরও বলেন, আগের মতো উন্মুক্তভাবে আইপি দেওয়া হলে আমদানিকারকরা সুবিধা পাবেন। তাদের সময় ও খরচ সাশ্রয় হবে এবং বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।

আমদানিকারক গ্রুপের নেতাদের দাবি, সীমিত আইপি বরাদ্দ অব্যাহত থাকলে বাজারে সরবরাহ ব্যাহত হবে, ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। তাই ভারত থেকে দেশে পেঁয়াজ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বর্তমান আইপি নীতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সোনামসজিদ আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, কোষাধ্যক্ষ নাজমুল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মাসুম বিল্লাহসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
ECNEC meeting approves a project of Tk

একনেক সভায় ৯ হাজার ৩৬১ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন

একনেক সভায় ৯ হাজার ৩৬১ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আজ ৯ হাজার ৩৬১ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১১ টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।

অনুমোদিত প্রকল্পে সরকারি অর্থায়ন ৬ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা, প্রকল্প ঋণ ২ হাজার ৪২৮ কোটি ৪ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৫৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৫টি, সংশোধিত প্রকল্প ২টি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির ৩টি প্রকল্প রয়েছে।

একনেক চেয়ারপার্সন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গতকাল রোববার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

আজকের সভায় অনুমোদিত ১১ প্রকল্পসমূহ হলো: কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রংপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘বাপবিবোর বিদ্যমান শিল্পসমৃদ্ধ এলাকার ৩৩/১১ কেভি আউটডোর উপকেন্দ্রের আধুনিকায়ন ও ক্ষমতা বর্ধন’ প্রকল্প, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘বিএমআর অব কেরু অ্যান্ড কোং (বিডি) লি. (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ স্থাপন’ প্রকল্প, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘৫টি নির্ধারিত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিলেট, বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী এবং ফরিদপুর) বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকাস্থ আজিমপুর সরকারি কলোনির ভেতরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (জোন-সি)’ প্রকল্প, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ২টি বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ’ প্রকল্প, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা এনভায়রনমেন্টাল সাসটেনেবল ওয়াটার সাপ্লাই (তৃতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প ও ‘বান্দরবান পৌরসভা এবং বান্দরবান জেলার ৩টি উপজেলা সদরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ‘চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’ প্রকল্প, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ‘উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্যায়) (প্রস্তাবিত প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প।

সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা কর্তৃক ইতোমধ্যে অনুমোদিত ৯টি প্রকল্প সর্ম্পকে একনেক সদস্যদের অবহিত করা হয়। সেগুলো হলো ১. হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন (২য় সংশোধিত), ২. রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগে নেসকোর আওতাধীন এলাকায় স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্বাপন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, ৩. বরগুনা জেলার ২টি পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ৪. তিন পার্বত্য জেলায় দুর্যোগ ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক উন্নয়ন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, ৫. লাঙ্গলবন্দ মহাষ্টমী পুণ্যস্নান উৎসবের অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় সংশোধিত), ৬. তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি (২য় সংশোধিত), ৭. সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, ৮. কপোতাক্ষ নদ ও তৎসংলগ্ন এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ (২য় পর্যায়) (১ম সংশোধিত), ৯. বিদ্যালয় বহির্ভূত কিশোর-কিশোরীদের জন্য দক্ষতা কেন্দ্রিক সাক্ষরতা (২য় সংশোধিত) প্রকল্প।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
12 types of income for government officials

সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৪২ ধরনের আয় করমুক্ত

সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৪২ ধরনের আয় করমুক্ত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের আয়কর নির্দেশিকায় সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৪২টি ভাতা বা আয়ের উৎস করমুক্ত ঘোষণা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে মূল বেতন, উৎসব ভাতা ও বোনাস করযোগ্য আয়ের আওতায় থাকবে।
এনবিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক হলেও, নির্দিষ্ট কিছু আয়ের ওপর তাদের কর দিতে হবে না। এসব করমুক্ত আয় মূলত কর্ম-সম্পর্কিত বিভিন্ন ভাতা ও ভ্রমণ সুবিধা।
করমুক্ত ঘোষিত ৪২টি আয়ের ধরন হলো- চিকিৎসা ভাতা, নববর্ষ ভাতা, বাড়িভাড়া ভাতা, শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা, শিক্ষাসহায়ক ভাতা, কার্যভার ভাতা, পাহাড়ি ভাতা, ভ্রমণ ভাতা, যাতায়াত ভাতা, টিফিন ভাতা, পোশাক ভাতা, আপ্যায়ন ভাতা, ধোলাই ভাতা, বিশেষ ভাতা, প্রেষণ ভাতা, প্রশিক্ষণ প্রেষণ ভাতা, জুডিশিয়াল ভাতা, চৌকি ভাতা, ডোমেস্টিক এইড অ্যালাউয়েন্স, ঝুঁকি ভাতা, অ্যাকটিং অ্যালাউয়েন্স, মোটরসাইকেল ভাতা, আর্মরার অ্যালাউয়েন্স, নিঃশর্ত যাতায়াত ভাতা, টেলিকম অ্যালাউয়েন্স, ক্লিনার ও ড্রাইভার অ্যালাউয়েন্স, মাউন্টেড পুলিশ, পিবিএক্স, সশস্ত্র শাখা, বিউগলার ও নার্সিং ভাতা, দৈনিক/খোরাকি ভাতা, ট্রাফিক অ্যালাউয়েন্স, রেশন মানি, সীমান্ত ভাতা, ব্যাটম্যান ভাতা, ইন্সট্রাকশনাল অ্যালাউয়েন্স, নিযুক্তি ও আউটফিট ভাতা এবং গার্ড পুলিশ ভাতা।
করযোগ্য আয়, মূল বেতন, উৎসব ভাতা, বোনাস এসব আয়ের ওপর আয়কর আইন অনুযায়ী নির্ধারিত হারে কর দিতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The target of export of goods and services in the current fiscal year is and 1 billion

চলতি অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রফতানির লক্ষ্য ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার

চলতি অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রফতানির লক্ষ্য ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা রফতানি হবে বাংলাদেশ থেকে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে এ ঘোষণা দেয়া হয়। বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এ ঘোষণা দেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লিখিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সমাপ্ত অর্থবছর ২০২৪-২৫ এ বাংলাদেশ পণ্য খাতে ৫০.০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪৮.২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৭% এবং পূর্ববর্তী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ৮.৫৮% বেশী।

সেবা খাতের লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫০ বিলিয়নের বিপরীতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ৫.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.১৩% বেশী।

অর্থবছরে রপ্তানি খাতে অর্জিত প্রবৃদ্ধির গতিধারা, পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণ ও বহুমুখীকরণ, বিশ্ব বাণিজ্যের সাম্প্রতিক গতিধারা, ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব, দেশীয় ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মধ্যপ্রাচ্য সংকট, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, অংশীজনদের মতামত, বিগত অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা এবং লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জনের হার ও পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হার ইত্যাদি পর্যালোচনাপূর্বক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Nonprising land ports will be shut down shipping adviser

অলাভজনক স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

অলাভজনক স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনে গিয়ে বস্ত্র ও নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘সরকার বিভিন্ন স্থলবন্দর প্রাইভেট সেক্টরের কাছে হস্তান্তর করার পরিকল্পনা করছে। একই সঙ্গে, যেসব স্থলবন্দর থেকে সরকার কোনো রাজস্ব আহরণ করতে পারছে না, সেগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

শনিবার দুপুরে হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ২৪টি স্থলবন্দর রয়েছে, যার মধ্যে ইতোমধ্যে চারটি স্থলবন্দর বন্ধ করা হয়েছে। আরো চারটি অলাভজনক স্থলবন্দর বন্ধের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘উন্নয়নশীল স্থলবন্দরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনাও প্রণয়ন করা হচ্ছে এবং ধাপে ধাপে এসব বন্দরের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

হিলি স্থলবন্দর সভাকক্ষে কাস্টমস, বন্দরের কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ব্যবসায়ীরা রাস্তা-ঘাট সংস্কার, ওয়্যারহাউজ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে দ্রুত সেসব সমাধানের অনুরোধ করেন।

উপদেষ্টা হিলি স্থলবন্দর ও কাস্টমস বিভাগের বিভিন্ন অবকাঠামো ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, রংপুর কাস্টমসের বিভাগীয় কমিশনার অরুন কুমার বিশ্বাস, হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার এ এস এম আকরামসহ আরো অনেকেই।

মন্তব্য

p
উপরে