× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The risk of having a baby with Down syndrome due to late marriage
google_news print-icon

দেরিতে বিয়ের কারণে শিশুর ডাউন সিনড্রোম ঝুঁকি

দেরিতে-বিয়ের-কারণে-শিশুর-ডাউন-সিনড্রোম-ঝুঁকি-
ডাউন সিনড্রোমযুক্ত শিশুদের প্রতি সচেতনতা বাড়াতে বিশ্ব ভালবাসা দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠান আয়োজন করে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে জন্মগতভাবে ডাউন সিনড্রোম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে ৩৫ বছর বয়সের পর নারীরা মা হলে শিশুর এতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। মায়ের বয়স যত বেশি হয়, শিশুর ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা তত বেশি থাকে।

মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী হাজেরা বেগম। পড়াশোনা ও চাকরি শেষে যখন বিয়ে করেন, তখন তার বয়স ৩৪ বছর। বিয়ের দুই বছর পর সন্তানের মা হন। কিন্তু অন্যান্য শিশুর মতো স্বাভাবিক, নিয়মিত আচরণ করে না তার পুত্রসন্তান। শুরুর দিকে তেমন গুরুত্ব দেননি হাজেরা। সন্তানের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আচরণগত নানা পরিবর্তন দেখা দেয়।

মাদারীপুর থেকে চার বছরের শিশু সাইফকে চিকিৎসার জন্য তিনি আনেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, শিশু সাইফ ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত। শনাক্ত হওয়ার পর দুই বছর ধরে মাদারীপুর থেকে এসে সন্তানের চিকিৎসা করাচ্ছেন হাজেরা বেগম।

হাজেরা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুরুর দিকে তেমন সমস্যা দেখা যায়নি। তবে সাইফের চার বছর বয়স হওয়ার পর বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে জন্মগতভাবে ডাউন সিনড্রোম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে ৩৫ বছর বয়সের পর নারীরা মা হলে শিশুর এতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। মায়ের বয়স যত বেশি হয়, শিশুর ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা তত বেশি থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩৫ বছর বয়সের প্রতি ৩৫০ জন গর্ভবতী মায়ের মধ্যে একজনের এবং ৪০ বছর বয়সের প্রতি ১০০ জন মায়ের একজনের ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশু হতে পারে। অন্যদিকে কোনো মায়ের আগে একটি ডাউন শিশু থাকলে পরবর্তী সময়ে ডাউন শিশু জন্মের আশঙ্কা বাড়ে। মা-বাবা ত্রুটিযুক্ত ক্রোমোজমের বাহক হলে তাদের সন্তানও ‘ডাউন’ শিশু হতে পারে। যদি বাহক বাবা হন, সে ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকে ৩ শতাংশ আর মা হলে তা বেড়ে হয়ে যায় ১২ শতাংশ।

এই চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত একাধিক চিকিৎসক বলেন, মানুষের দেহকোষের ক্রোমোজমের অসামঞ্জস্যের কারণে জন্মগতভাবে বিশ্বে প্রতি ৮০০ শিশুর মধ্যে একটি শিশু ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত হচ্ছে। দেশে এখন এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ। তবে এখনও শনাক্তের বাইরে রয়েছে ৩০ শতাংশ রোগী।

প্রাথমিক পর্যায়ে এই সমস্যা শনাক্ত না হওয়ায় ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্তরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমা নিউজবাংলাকে বলেন, প্রতিবছর কী পরিমাণ শিশু এই সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে, তার কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও প্রাথমিক সমীক্ষায় দেখা যায়, দেশে ২ লাখ মানুষ ডাউন সিনড্রোমে ভুগছেন। তবে আগের তুলনায় এখন সেবা নেওয়া মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমে সেবা নেওয়ার জন্য প্রতিদিন ১০০-এর বেশি মানুষ আসেন। এর মধ্যে প্রতিদিন তিন থেকে চারজন নতুন রোগী পাওয়া যাচ্ছে।’

ডা. কানিজ ফাতেমা জানান, আগে শুধু শহরের মানুষ এখানে সেবা নিতে এলেও এখন গ্রামের মানুষ এই সেবার আওতায় আসছে। পরীক্ষার মাধ্যমে শিশুর জন্মের আগেই তার ডাউন সিনড্রোমের ঝুঁকি আছে কি না তা নির্ণয় করা যায়। আলট্রাসনোগ্রাফি করেও ১১ থেকে ১৪ সপ্তাহের গর্ভস্থ শিশুর ডাউন সিনড্রোমের ঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। ডাউন সিনড্রোম সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ক্রনিওনিকভিলাস স্যামপ্লিং বা অ্যাওসেন্টেসিস নামক পরীক্ষা করা প্রয়োজন হবে। তবে ক্রোমোজম পরীক্ষাই এ রোগ নিশ্চিতকরণের একমাত্র উপায়।

ডাউন সিনড্রোম নিয়ে এখন দেশে অনেক সংগঠন কাজ করছে। এ রকমই একটি সংগঠন ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি। এর অধীনে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তার উদ্দেশ্যে অভিভাবকদের সংগঠনের পাশাপাশি আক্রান্তদের ভাই-বোনদের নিয়েও বিশেষ সাপোর্ট গ্রুপে তৈরি করা হয়েছে।

এই বিশেষ রোগটির বিষয়ে জানতে চাইলে ডাউন সিনড্রোম সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরদার রাজ্জাক নিউজবাংলাকে বলেন, পরিবারের মানুষজনের সমর্থন ও সহায়তা পেলে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সহজেই সমাজের নাগরিক হিসেবে জীবনযাপন করতে পারেন। ডাউন সিনড্রোমে ভুগতে থাকা শিশুরা গতানুগতিক স্কুলে গেলেও অনেক সময় সহশিক্ষার্থীদের বা তাদের মা-বাবার বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হন। সহশিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভুল ধারণার জন্যই এমনটা ঘটে থাকে।’

তিনি বলেন, মানুষের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যেমন আচার-আচরণ, বুদ্ধিমত্তা, চেহারা, উচ্চতা, গায়ের রং সবকিছুই ক্রোমোজমের ভেতরের ডিএনএ-এর মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। এই ডিএনএ বা ক্রোমোজমের অসামঞ্জস্যতা থাকলে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন ত্রুটি দেখা দেয়। ২১ নম্বর ক্রোমোজমের জায়গায় একটি বাড়তি ক্রোমোজমের কারণে ডাউন সিনড্রোম হয়। একে ‘ট্রাইসোমি ২১’ বলে। ৯৫ শতাংশ ডাউন সিনড্রোমই এই কারণে হয়ে থাকে। এতে শিশুদের বিশেষ কিছু শারীরিক ও মানসিক ত্রুটি দেখা যায়।

সরদার রাজ্জাক জানান, এ বিষয়ে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা দরকার। যেহেতু মায়ের কম বা বেশি বয়সের সঙ্গে ডাউন শিশু হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে, তাই চিকিৎসাবিজ্ঞানে অধিক বয়সে, বিশেষ করে পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব বয়সে বিয়ে হওয়াকে নিরুৎসাহিত করা হয়। মায়ের আগের শিশুটি যদি ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত থাকে, তবে পরের সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কীভাবে বুঝবেন শিশুর ডাউন সিনড্রোম

ডা. কানিজ ফাতেমা বলেন, জন্মের পর ডাউন সিনড্রোম শিশুদের শরীরের মাংসপেশি দুর্বল হয়ে থাকে। মাংসপেশিতে স্বাভাবিক শিশুর মতো শক্তি পায় না। চোখের বাইরের কোনা বাঁকাভাবে ওপরের দিকে উঠে থাকা, হাতের তালু জুড়ে একটিমাত্র রেখা থাকতে পারে, নাক চ্যাপ্টা, কান ছোট ও নিচু, জিহ্বা বের হয়ে থাকা, জন্মের সময় শিশুর ওজন ও দৈর্ঘ্য কম, উচ্চতা কম হতে পারে।

ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তদের মধ্যে ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন মাত্রার বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত অক্ষমতা থাকে। এ ছাড়া আক্রান্ত অনেক শিশুর বিভিন্ন শারীরিক ও স্বাস্থ্যগত সমস্যা যেমন জন্মগত হৃদরোগ, অন্ত্রের অস্বাভাবিকতা, শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তির বৈকল্য, থাইরয়েডের ত্রুটিপূর্ণ ক্রিয়া, অধিক সংক্রমণের আশঙ্কা, ঘাড়ের হাড়ের সমস্যা, রক্তের রোগ হয়ে থাকে। কিছু শিশুর এর কোনোটিই হয় না, আবার কাউকে এর কয়েকটি ভোগ করতে হয়। তবে প্রাথমিক পর্যায়ের এই সমস্যাগুলো শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হলে তারাও অনেকটা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে।

আজকের দিবসটি উপলক্ষে কর্মসূচি

এমন পরিস্থিতিতে বিশেষত জন্মগত সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়তে আজ সোমবার সারা বিশ্বের মতো দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস। ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দিনটি পালিত হয়ে আসছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘ইনক্লুশন মিন্স ইনক্লুসিভ এডুকেশন, ইনক্লুসিভ পার্টিসিপেশন’, যার মূল কথা ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্তদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দেওয়া।

দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী বিএসএমএমইউতে বিনা মূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। এই দিন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বুদ্ধির মাত্রা পরীক্ষার পাশাপাশি আচরণগত সমস্যা ও কথা বলতে দেরি হওয়ার জন্য স্পিচ থেরাপি, ফিজিওথেরাপি, হার্ট ও থাইরয়েড সমস্যার সেবা প্রদান করা হবে। এ ছাড়া ২৪ মার্চ এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
3 more people

আরো ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

আরো ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে কেউ মারা যায়নি। আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ দিন প্রতি ১০০ নমুনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ‘২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু ২৯ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এছাড়া ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ১২৭ জন। এর মধ্যে গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫৮২ জন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The number of people in the dengue is increasing

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে

একদিনে রেকর্ড ৪২৯ জন শনাক্ত, চলতি বছর ১০ হাজার ছাড়াল
ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

এডিশ মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সারা দেশে মশা নিধন কার্যক্রমের দুর্বলতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মোড় নিয়েছে। চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় জুন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বছরের শুরুর দিকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। জানুয়ারিতে ১,১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬ এবং এপ্রিলে ৭০১ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে মে মাস থেকে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে এবং জুনে এসে তা ভয়াবহ রূপ নেয়। আশঙ্কার বিষয় হলো, ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে, বিশেষ করে বরগুনায়, ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি।

এদিকে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ২৯৬ জনে পৌঁছেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে
অঞ্চলভেদে নতুন শনাক্ত ৪২৯ জন ডেঙ্গু রোগীর তালিকা:

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন শনাক্ত ৪২৯ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে— বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪৯ জন; চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৭ জন; ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬১ জন; ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৪২ জন; ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৪৫ জন; খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১ জন ও রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৫৮ জন রোগী। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৮৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং নারী ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে কোনো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৪২ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে একজন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এডিস মশার বিস্তার এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। বিশেষ করে রাজধানীর বাইরের এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, 'মে মাসের তুলনায় জুনে আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে জুলাইয়ে এ সংখ্যা চার থেকে পাঁচগুণ এবং আগস্টে দশগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে।'

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৯৬ জনে। এর আগে ২০২৩ সালের পুরো বছরে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন। ২০২৪ সালের পুরো বছরের (১ জানুয়ারি–৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) সর্বমোট হিসাব অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ৫৭৫ জন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The body of 20 more people in the country

দেশে আরও ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

দেশে আরও ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের মধ্যে দেশে আরও ২১ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

রবিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব শনাক্ত হয়েছে। তবে, নতুন করে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি এই সময়ের মধ্যে।

সোমবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৫২ হাজার ১১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২২ জন। আর দেশে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫২১ জনের।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dengue death of 5 more people in a day

একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৮৩ জন রোগী। এসব রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩৬ জন আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৮, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৮, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৩৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৩৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ হাজার ৭২৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৯ হাজার ৮৬৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের।

মন্তব্য

সিলেটে করোনায় একজনের মৃত্যু

সিলেটে করোনায় একজনের মৃত্যু

সারাদেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পর সিলেট এ ভাইরাসে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার দুপরে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন করে করোনার আক্রমন শুরুর পর সিলেটে প্রথম এই কোন রোগী মারা গেলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনায় আক্রান্ত ৬৯ বছর বয়েসি পুরুষ ১৯ জুন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান তিনি। এছাড়া সিলেটে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ জন বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. মিজানুর রহমান জানান, নিহত ব‍্যক্তির বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়। তিনি করোনা ছাড়াও আরও অন‍্যান‍্য জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
One more death in Karona in Chittagong is the new identification

চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬

চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে; গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ছয়জন। এ নিয়ে চলতি জুন মাসেই জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা সাতজনে দাঁড়াল।

২৮ জুন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলার মিরসরাই উপজেলার বাসিন্দা সালেহা বেগম (৪০) নামে এক নারী শুক্রবার নগরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই তিনি হৃদরোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

এদিকে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৯১টি নমুনা পরীক্ষা করে ছয়জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন নগরের এবং দুজন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে নগরের শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চারজন এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে দুজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে চলতি জুন মাসে মোট ১৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৬ জন পুরুষ, ৬৩ জন নারী ও একজন শিশু রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two more deaths in Barisal Dengue

বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

নতুন আক্রান্ত ১০৫
বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

মশাবাহীত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের দুই জেলায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় গোটা বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ১০৫ জন আক্রান্ত রোগী। এ নিয়ে বর্তমানে বিভাগের ছয় জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩৫ জন। মৃত্যুবরণ করা দুজন হলেন- বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আ. করিম (৫০) ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রাজপাড়া এলাকার মো. ইউসুফ খন্দকার (৭২)। এর মধ্যে আ. করিম বরিশাল শেরইবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ও বৃদ্ধ মো. ইউসুফ খন্দকার কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উদ্বেগ ও আশঙ্কাজনক। এ পরিস্থিতি থেকে বেরোতে হবে। চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ জরুরি। তাই মশার বিস্তার রোধ করতে বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৩০৫ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩৫ জন।

বরগুনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মৃত ১১ জনের মধ্যে ছয়জনেরই বরগুনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। শুধু মৃত্যুই নয় এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি, বরগুনা জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬৩২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মন্তব্য

p
উপরে