× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Daily death is not true drama
google_news print-icon

‘দৈনিক ইন্তেকাল’ সত্যি নয়, নাটক

দৈনিক-ইন্তেকাল-সত্যি-নয়-নাটক
‘এটা আসলে আমাদের নাটকের একটা সিকোয়েন্স। এটা ভাইরাল করার কোনো প্ল্যান আমাদের ছিল না। যাদের হলুদ সাংবাদিক বলা হয়, মূলত যাদের কোনো অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট নেই। এর পরও বিভিন্নভাবে টাকা-পয়সা বা বিভিন্ন লবিং বা বড়ভাইয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকের একটা কার্ড পায়। সেই কার্ড দিয়ে যেহেতু সে অশিক্ষিত, তাই বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজি করে, মিথ্যা বানোয়াট কথা বলে হুমকি দিয়ে টাকা নেয়ার একটা ধান্ধা। এ রকম একটা চরিত্রে আবুল মিয়া নামের একজনকে দেখানো হয়।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই দিন ধরে ভাইরাল হওয়া ‘দৈনিক ইন্তেকাল’ নামের একটি আইডি কার্ড নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

কার্ডটিতে আবুল মিয়া নামের নিচে বাংলায় ছোট করে লেখা আছে সাংবাদিক। বাঁয়ে একটি স্বাক্ষরসহ কর্তৃপক্ষ লেখা। তারও নিচে বড় অক্ষরে ইংরেজিতে লাল রঙে লেখা প্রেস।

কার্ডটিতে যে ব্যক্তির ছবি রয়েছে তার নাম মো. সাদ্দাম মাল। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সামসুর হক মালের ছেলে তিনি।

না, আসলে তিনি কোনো সাংবাদিক নন আর এই নামে কোনো পত্রিকাও নেই। মূলত ফেসবুক ও ইউটিউবভিত্তিক চ্যানেল ‘কুয়াকাটা মাল্টিমিডিয়া’র কনটেন্ট তৈরি করতে এটি তৈরি করা হয়েছিল।

এই চ্যানেলের প্রধান চরিত্রে অভিনয়কারীই হলেন এই সাদ্দাম। মূলত তার চ্যানেলে প্রচারের জন্য কনটেন্ট তৈরির একটি অংশ ছিল ছবিসহ এই কার্ডটি। ‘দৈনিক ইন্তেকাল’ নামের একটি নাটকের শুটিং চলাকালে কেউ একজন এ কার্ডটির ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন। তার পরই এটি ভাইরাল হয়।

ভাইরাল হওয়া ছবির পোস্টের নিচে অনেকে মজা করে মন্তব্য করলেও অনেকে করেছেন সমালোচনা।

প্রথম আলোর পটুয়ালাখীর কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি নেছার উদ্দিন আহমেদ টিপু বলেন, ‘সাংবাদিকতাকে এভাবে তুলে ধরা কতটা যৌক্তিক সে প্রশ্ন এসে গেছে। সাংবাদিকতা পেশায় শুধু যে খারাপ হচ্ছে, তা নয়। সব পেশায়ই ভালো-মন্দ দেখা যায়। দৈনিক ইন্তেকাল নামকরণটাও সংবাদপত্রশিল্পকে কটাক্ষ করার ইঙ্গিত বহন করে।’

যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার বিলাস দাস বলেন, ‘তাদের নাটক বেশি প্রচারের জন্যই পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকতা পেশাকে ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। একদল লোক সব সময় মিডিয়ার পেছনে লেগেই থাকে। এটা তারই একটি অংশ হতে পারে।

‘পত্রিকার যে নাম ব্যবহার করা হয়েছে, বাস্তবে এটার বিরুদ্ধে সিনিয়র সাংবাদিকদের ব্যবস্থা নেয়া দরকার। ফেসবুকে সস্তায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার আশায় এই ধরনের কুরুচিপূর্ণ নাম ব্যবহার করা হয়েছে।’

তবে কুয়াকাটা মাল্টিমিডিয়ার লেখক ও পরিচালক শুভ হোসাইন কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা আসলে আমাদের নাটকের একটা সিকোয়েন্স। এটা ভাইরাল করার কোনো প্ল্যান আমাদের ছিল না। যাদের হলুদ সাংবাদিক বলা হয়, মূলত যাদের কোনো অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট নেই। এর পরও বিভিন্নভাবে টাকা-পয়সা বা বিভিন্ন লবিং বা বড়ভাইয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকের একটা কার্ড পায়।

‘সেই কার্ড দিয়ে যেহেতু সে অশিক্ষিত, তাই বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজি করে, মিথ্যা বানোয়াট কথা বলে হুমকি দিয়ে টাকা নেয়ার একটা ধান্ধা। এ রকম একটা চরিত্রে আবুল মিয়া নামের একজনকে দেখানো হয়।’

‘দৈনিক ইন্তেকাল’ সত্যি নয়, নাটক


তিনি বলেন, ‘আমাদের নাটকে যারা ভালো সাংবাদিক তাদের চরিত্রও দেখানো হয়। শেষমেশ সে তার আচার-আচরণের জন্য পুলিশের কাছে ধরা পড়ে এবং একপর্যায়ে বলে যে সে স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য। পরে প্রেস ক্লাবের সভাপতিও সেখানে উপস্থিত হন এবং জানা যায় যে, আসলে আবুল মিয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য নন। তখন সভাপতি নিজেও পুলিশের কাছে আবুলকে তুলে দিতে বলেন। পরে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়।’

কবির বলেন, ‘আবুলের আইডি কার্ডটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর আমাদের ফেসবুক পেজে বক্তব্য তুলে ধরেছি। ইচ্ছা করলে আপনি সেখান থেকেও আমাদের বক্তব্য নিতে পারেন।’

হলুদ সাংবাদিকতা নিয়ে কেন কনটেন্ট করতে গেলেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে শুভ বলেন, ‘আমাদের ইউটিউব চ্যানেল দেখলেই বুঝতে পারবেন। আমরা সমাজের বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরার চেষ্টা করছি। হলুদ সাংবাদিকতাও সমাজের জন্য একটা ঝুঁকি। এটা মূলধারার সাংবাদিকতাকে কলুষিত করছে। প্রকৃত সাংবাদিকতাকে আমরা শ্রদ্ধা করি।’

সাবস্ক্রাইব বাড়ানোর জন্য সাংবাদিকতা পেশাকে অসম্মান করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে শুভ বলেন, ‘ভালো সাংবাদিকের চরিত্র আমাদের নাটকে তুলে ধরছি। দেখলেই বুঝতে পারবেন।’

হলুদ সাংবাদিকতা সম্পর্কে ধারণা নেই জানিয়ে এ ইউটিউবার বলেন, ‘আমি যতদূর জানি বা শুনেছি সাংবাদিক হতে হলে সর্বনিম্ন অষ্টম শ্রেণি পাস দরকার। একদম যদি ক্যামেরাম্যানও হতে হয় তাহলেও তার অন্তত অষ্টম শ্রেশি পাস দরকার।

‘যারা অশিক্ষিত কিছু করতে পারে না, তারা একটা কার্ড নিয়ে সারা দিন ঘুরে বেড়িয়ে নিজেকে জাহির করে অপসাংবাদিকতা করে। মূলত অপসাংবাদিকতাই হলো হলুদ সাংবাদিক।’

শুভ বলেন, ‘দেখেন আইনে কী আছে সেটা আমার দেখা হয়নি। আমি যেটা জেনেছি সেটা বলেছি। আমি মূলত এটার পরিচালক। আমার লেখক আছেন। আপনি চাইলে তার সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’

দৈনিক ইন্তেকাল নাটকের লেখক এবং প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা আবুল মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সাংবাদিকতা পেশাকে সমাজের আয়না হিসেবে দেখি। যারা সমাজের সংগতি, অসংগতিগুলো মানুষের সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন।

‘কিন্তু কিছু লোক আছে যাদের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতাই নেই, তারা সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতা করে বেড়ায়। এটা সমাজের জন্য ঝুঁকি। আমার নাটকে সেই বিষয়টিই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যেখানে আমরা দুটি চরিত্র তুলে ধরেছি। একটা হলো একজন ভালো সাংবাদিকের চরিত্র কেমন হয়, আরেকটি হলো একজন অপসাংবাদিকের চরিত্র কেমন হয়।’

ভাইরাল হওয়া ছবির মধ্যে পুলিশের পোশাক পরা দুজন ব্যক্তিকে স্যান্ডেল পরা অবস্থায় দেখা গেলেও আবুল মিয়া জানান, আসলে নাটকে ওই দৃশ্য দেখা যাবে না।

অনুমতি না নিয়ে পুলিশের পোশাক ব্যবহার করার বিষয়ে আবুল মিয়া বলেন, ‘দেখেন ওগুলো হলো ছায়া পোশাক। তা ছাড়া লাখ লাখ ইউটিউবার এ রকম পোশাক ব্যবহার করছে।’

এ বিষয়ে মহীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, ‘এটা আমার জানা ছিল না। তারা কীভাবে পুলিশের পোশাক ব্যবহার করছে, সেটা খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুন:
সাংবাদিক নান্টু পুরস্কৃত নিউজবাংলায়
সাংবাদিকতার নক্ষত্র স্যার হ্যারল্ড ইভানস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Bangladeshi killed in BSF firing at Lalmonirhat border

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত  

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত   সীমান্তে সশস্ত্র বিএসএফ সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
৬১ বিজিবির (তিস্তা) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভারতীয় অংশে বিএসএফের গুলিতে ইউসুফ আলী নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আমাদের টহল টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে। আমরা পতাকা বৈঠকের আহ্বান করেছি। বিএসএফের পক্ষ থেকে সাড়া পেলে পতাকা বৈঠকে অংশগ্রহণ করব।’

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তের ভারতীয় অংশে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

পাটগ্রামের কালীরহাট সীমান্তের ভারতীয় অংশে রোববার রাত পৌনে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো ওই বাংলাদেশি ২৫ বছর বয়সী ইউসুফ আলী।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, রোববার গভীর রাতে ইউসুফ আলীসহ তার সঙ্গীরা গরু পারাপারের জন্য সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ভারতীয় অংশের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার ১৬৯ রানীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়ান মীররাপা ক্যাম্পের টহল দল তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ইউসুফ আলী গুলিবিদ্ধ হয়ে সেখানেই নিহত হন। এ সময় তার সঙ্গীরা পালিয়ে যান। পরে বিএসএফের সহযোগিতায় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।

৬১ বিজিবির (তিস্তা) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভারতীয় অংশে বিএসএফের গুলিতে ইউসুফ আলী নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আমাদের টহল টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে। আমরা পতাকা বৈঠকের আহ্বান করেছি। বিএসএফের পক্ষ থেকে সাড়া পেলে পতাকা বৈঠকে অংশগ্রহণ করব।’

আরও পড়ুন:
এক বাইকে চার আরোহী, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ৩
সাভারে গাড়িচাপায় পথচারী নিহত
বসতঘরে উঠল কাভার্ড ভ্যান, প্রাণ গেল ঘুমন্ত মা-মেয়ের
মহাখালী উড়ালসেতু থেকে পড়া রড মাথায় ঢুকে শিশু নিহত
মাইক্রোবাসে ট্রাকের ধাক্কায় দুইজন নিহত  

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The family of that rickshaw puller got an FDR of Tk 5 lakh

সেই রিকশাচালকের পরিবার পেল ৫ লাখ টাকার এফডিআর

সেই রিকশাচালকের পরিবার পেল ৫ লাখ টাকার এফডিআর গত ১৪ মে বিদ্যুতের তার পড়ে প্রাণ যায় রিকশাচালক জাহেদুলের। ছবি: সংগৃহীত
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা হুছাইন মুহাম্মদ বলেন, ‘পিডিবির কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল স্থায়ী আমানতের নথিপত্র জাহেদুলের স্বজনদের হাতে তুলে দিয়েছেন।’

চট্টগ্রামের অক্সিজেন মোড়ে চলন্ত রিকশার ওপর বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে প্রাণ হারানো রিকশাচালক জাহেদুলের পরিবারকে ৫ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত (এফডিআর) করে দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল সোমবার এফডিআরের নথিপত্র জাহেদুলের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের অনুরোধে ওই রিকশাচালকের পরিবারকে ৫ লাখ টাকার এফডিআর করে দিতে বিদ্যুৎ সচিব ও পিডিবির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৫ জুন সোনালী ব্যাংকের চট্টগ্রাম কোর্ট হিল শাখায় রিকশাচালকের স্ত্রী উম্মে কুলসুম ও বাবা মো. মাহাতাব আলীর নামে ৫ লাখ টাকার এফডিআর খোলে পিডিবি।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা হুছাইন মুহাম্মদ বলেন, ‘পিডিবির কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল স্থায়ী আমানতের নথিপত্র জাহেদুলের স্বজনদের হাতে তুলে দিয়েছেন।’

গত ১৪ মে সকালে নগরীর অক্সিজেন মোড়ে হাজি ওয়াজেদ পেট্রোল পাম্পের দিক থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দিকে রিকশা চালিয়ে যাওয়ার পথে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে দগ্ধ হন রিকশাচালক জাহেদুল। পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।

অক্সিজেন এলাকায় ছিঁড়ে পড়া ওই তার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি)। ওই ঘটনার পর রিকশাচালকে ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন পিডিবি চট্টগ্রাম শাখার প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম, তবে রিকশাচালকের পরিবারকে ৫ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত করে দেয়ার ঘোষণার পর পিছিয়ে আসেন তিনি।

রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা এখান থেকে (চট্টগ্রাম কার্যালয়) একটা আর্থিক ক্ষতিপূরণের চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু যেহেতু এখন একটা হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্টের বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি, তাই আর এগোচ্ছি না।’

ঘটনার দুই দিন পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে রিকশাচালকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিদ্যুৎ সচিব ও পিডিবির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এই বিষয়ে সে সময় চট্টগ্রামের ডিসি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছিলেন, “সকালে আমি প্রতিমন্ত্রী সাহেবের সাথে কথা বলেছি, মারা গেলেন যে রিকশাচালক, উনার তো ৭ মাসের একটা বাচ্চা আছে। উনাকে কোনো আর্থিক সহায়তা দেয়া যায় কি না। তো উনি আমার কাছ থেকে বিস্তারিত জানলেন। জিজ্ঞেস করলেন যে এটা কাদের, পিডিবির কি না। লাইনটা পিডিবির জানার পর উনি বললেন যে, ‘আমি পিডিবির চেয়ারম্যানকে বলে দিব ৫ লাখ টাকার এফডিআর করে দেয়ার জন্য।’ উনি আমাকে বললেন যে, পিডিবির চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ সচিব সাহেবের সাথে যোগাযোগ করার জন্য।”

ডিসি আরও বলেন, ‘তো আমি বিদ্যুৎ সচিবের সাথে যোগাযোগ করেছি। বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান মহোদয় বললেন যে, নিহত রিকশাচালকের পরিবারে উপযুক্ত কেউ থাকলে একটি চাকরির ব্যবস্থা করবেন।’

দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর পর রিকশাচালকের পরিবারকে দাফন-কাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে চলছে ভোট
শিশু ধর্ষণের অভিযোগে কারাগারে মাদ্রাসা শিক্ষক
প্লেনের খালি সিটে মিলল সোয়া কোটি টাকার স্বর্ণ
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ
খাবারে পচা আলু, কাচ্চি ডাইনকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A Rohingyas wrists were severed and sent back by the kidnappers still abducted 4

এক রোহিঙ্গার হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে ফেরত পাঠাল অপহরণকারীরা

এক রোহিঙ্গার হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে ফেরত পাঠাল অপহরণকারীরা  ফাইল ছবি
টেকনাফ থানার ওসি মো. আবদুল হালিম জানান, ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনকারী এপিবিএন সদস্য ও থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অপহরণের শিকার রোহিঙ্গাদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে না আনায় অপহৃত পাঁচ রোহিঙ্গার মধ্যে এক কিশোরের বাম হাত কবজি থেকে বিচ্ছিন্ন করে বাসায় পাঠিয়েছে অপহরণকারীরা। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায় অপহরণকারীরা।

কক্সবাজারের টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁটাতারের পাশের পাহাড়ের পাদদেশে গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়া ওই কিশোর ১৬ বছর বয়সী জাহাঙ্গীর আলম আলীখালী ২৫ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক ডি-২২-এর সামসু আলমের ছেলে।

এর আগে শুক্রবার রাতে আলীখালী ক্যাম্প থেকে জাহাঙ্গীর আলমসহ পাঁচ রোহিঙ্গাকে অপহরণ করা হয়।

অপহৃত অন্য ব্যক্তিরা হলেন একই ক্যাম্পের নুর হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুস, মোহাম্মদ রফিকের ছেলে মোহাম্মদ সুলতান, আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ এবং মোহাম্মদ সৈয়দের ছেলে আনোয়ার ইসলাম।

ওই ক্যাম্পের কমিউনিটি নেতা (মাঝি) নুরুল আমিন জানান, শুক্রবার রাতে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা পাঁচ রোহিঙ্গাকে অপহরণ করে পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে যায়। শনিবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পের কাঁটাতারের পাশের পাহাড়ের পাদদেশে জাহাঙ্গীর আলমের একটি হাত বিচ্ছিন্ন করে, কাটা হাতসহ তাকে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে জাহাঙ্গীর আলমের চিকিৎসা চলছে।

তিনি আরও জানান, অপহরণকারী চক্রটি অপহৃত অন্য চারজনের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে, না দিলে তাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে।

টেকনাফ থানার ওসি মো. আবদুল হালিম জানান, ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনকারী এপিবিএন সদস্য ও থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অপহরণের শিকার রোহিঙ্গাদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, আলীখালী ক্যাম্প থেকে অপহৃত রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের তৎপরতা চলছে।

আরও পড়ুন:
এপিবিএনের সঙ্গে আরসা সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি, নারীসহ নিহত ২
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএনের অভিযান, গোলাগুলিতে আরসা কমান্ডার নিহত
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ২
উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
অপহরণের ২৪ ঘণ্টা পর মিলল রোহিঙ্গার ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Finally the OC of Belkuchi police station was withdrawn

অবশেষে বেলকুচি থানার ওসি প্রত্যাহার

অবশেষে বেলকুচি থানার ওসি প্রত্যাহার সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার সদ্য সাবেক ওসি আসলাম হোসেন। ফাইল ছবি
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, বেলকুচি থানার ওসি আসলাম হোসেনকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার স্থলে নতুন ওসি হিসেবে খায়রুল বাশারকে নিযুক্ত করা হয়েছে।

একের পর এক জনপ্রতিনিধির ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও মিথ্যা মামলায় ঘটনায় স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি ফোরামের আন্দোলনের মুখে অবশেষে বেলকুচি থানার ওসি আসলাম হোসেনকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে প্রশাসন। সোমবার বিকেলে তাকে প্রত্যাহার করে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, ওসি আসলাম হোসেনকে প্রত্যাহারের পর বেলকুচি থানার নতুন ওসি হিসেবে খায়রুল বাশারকে নিযুক্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বেলকুচির পৌর কাউন্সিলর মাহাবুবুল আজাদ তারেকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় রোববার মানববন্ধন করেন জনপ্রতিনিধিরা।

এ সময় উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দ বলেন, ‘প্রায় ৬ মাস আগে বেলকুচি থানার ওসির দায়িত্বে আসেন আসলাম হোসেন। এর পর থেকে বেলকুচি উপজেলায় ৬ জন জনপ্রতিনিধির ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় থানায় মামলা পর্যন্ত নেয়া হয়নি। উপরন্তু আমাদের নামে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।’

স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি ফোরামের এই সাধারণ সম্পাদক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ওসি আসলাম হোসেনকে প্রত্যাহার না করা হলে জনপ্রতিনিধিরা কলম বিরতিতে যাবেন।’

আরও পড়ুন:
দলে ফিরেই এমপির রোষানলে মেয়র!

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The ousted Japa vice chairman sought votes for the boat

নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে বহিষ্কৃত জাপার ভাইস চেয়ারম্যান

নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে বহিষ্কৃত জাপার ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ ইয়াহ্ইয়াকে আগে শোকজ হয়। তার জবাব সন্তোষজনক না হওয়া পার্টির মহাসচিব মুজিবুল চুন্নুর সুপারিশে পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহম্মদ কাদের তাকে সাময়িকভাবে অব্যাহতির আদেশ অনুমোদন করেন।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত মেয়র প্রার্থীকে পাশ কাটিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ায় দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহ্ইয়া চৌধুরীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জাতীয় পার্টি।

রোববার এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জাপার দপ্তর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ ইয়াহ্ইয়াকে আগে শোকজ হয়। তার জবাব সন্তোষজনক না হওয়া পার্টির মহাসচিব মুজিবুল চুন্নুর সুপারিশে পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহম্মদ কাদের তাকে সাময়িকভাবে অব্যাহতির আদেশ অনুমোদন করেন।

জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সিলেট-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে গত নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হয়ে জামানত হারান।

গত নির্বাচনে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সিলেট-২ থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এবার সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন আনোয়ারুজ্জামান। দুজনের বাড়িই একই এলাকায়।

গত ১২ মে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর একটি নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়ে ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী তার পক্ষে ভোট চান বলে অভিযোগ ওঠে।

সিলেট সিটি করেপারেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে প্রার্থী হয়েছেন দলটির সিলেট মহানগর শাখার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বাবুল। ইয়াহ্ইয়ার চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ১৩ মে দলের চেয়ারম্যানের কাছে নালিশ করেন বাবুল। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ মে ইয়াহ্ইয়া চৌধুরীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় জাতীয় পার্টি।

নোটিশে বলা হয়, ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী গত ১২ মে রাত ৯টার দিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঝেরঝেরিপাড়ায় মঞ্চে উপস্থিত হয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থীর পক্ষে বক্তব্য রেখে ভোট চেয়েছেন। দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও এমন কর্মকাণ্ড সুস্পষ্টভাবে দলীয় শৃঙ্খলা ও স্বার্থের পরিপন্থী। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে কেন শাস্তিমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, এ বিষয়ে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ইয়াহ্ইয়া চৌধুরীকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।

ওই কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব পাওয়ার পর দল থেকে বহিষ্কৃত হলেন ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী।

এ ব্যাপারে সোমবার ইয়াহ্ইয়া চৌধুরীর বক্তব্য জানতে তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

তবে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ ওঠার পর ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী বলেছিলেন, আমি এলাকাবাসীর আয়োজনে একটি অনুষ্ঠানে গিায়েছিলাম। সেটি দলীয় কোন অনুষ্ঠান ছিলে না। কারো পক্ষে ভোটও চাইনি।

আনোয়ারুজ্জামানের সমর্থনে ওই সভাটি হয় নগরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঝেরঝেরিপাড়ায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই সভার ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে ইয়াহ্ইয়া চৌধুরীকে বলতে শোনা যায়, দল মত নির্বিশেষে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করে সিলেটের উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানকে বিজয়ী করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আনোয়ারুজ্জামান একজন ভালো মনের মানুষ। দীর্ঘদিন থেকে আমি চিনি। তিনি নগরবাসীর উন্নয়নে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। আগামী ২১ জুন নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নৌকাকে বিজয়ী করার আহ্বান জানাই।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
School student raped by batasa in Kabiraj Jail

বাতাসা খাইয়ে স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণ, কবিরাজ কারাগারে

বাতাসা খাইয়ে স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণ, কবিরাজ কারাগারে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত কবিরাজকে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো হয়। ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ জানায়, সোমবার (২৯ মে) বিকেল ৩টার দিকে হাতের আঁচিল তুলতে এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে কবিরাজ কাইয়ুম শেখের বাড়িতে যায় ওই শিক্ষার্থী। কবিরাজ আঁচিল তোলার চিকিৎসার সময় রোগীর সঙ্গে অন্য কেউ থাকা যাবে না বলে তার বান্ধবীকে বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে মেয়েটিকে বাতাসা খেতে দেন।

বাতাসা খাইয়ে অচেতন করে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় বাগেরহাটে কাইয়ুম শেখ নামে এক কবিরাজ গ্রেপ্তার হয়েছেন।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে সোমবার ভোরে ফকিরহাট থানা পুলিশের একটি দল জেলার চিতলমারী উপজেলার কলাতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

৪৫ বছর বয়সী কাইয়ুম শেখ ফকিরহাট উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের মতলেব শেখের ছেলে।

পুলিশ জানায়, সোমবার (২৯ মে) বিকেল ৩টার দিকে হাতের আঁচিল তুলতে এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে কবিরাজ কাইয়ুম শেখের বাড়িতে যায় ওই শিক্ষার্থী। কবিরাজ আঁচিল তোলার চিকিৎসার সময় রোগীর সঙ্গে অন্য কেউ থাকা যাবে না বলে তার বান্ধবীকে বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে মেয়েটিকে বাতাসা খেতে দেন। এরপর মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাতে অভিযুক্ত কাইয়ুম শেখের বিরুদ্ধে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফকিরহাট মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলীমুজ্জামান বলেন, ‘ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামী কাইয়ুম শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
হাসপাতালে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবকের নামে মামলা
ধর্ষণের শিকার চিকিৎসাধীন শিশুর মৃত্যু, অভিযুক্ত আটক
মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার
ধর্ষণ মামলায় আ.লীগ নেতা বড় মনির কারাগারে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Lose weight in load shedding

লোডশেডিংয়ে হাতে হারিকেন

লোডশেডিংয়ে হাতে হারিকেন হারিকেনের দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে বাগেরহাটের মানুষ। ছবি: নিউজবাংলা
বাগেরহাট শহরের ব্যবসায়ী দিপক সাহা বলেন, ‘গরম ও লোডশেডিংয়ে আমরাও কষ্টে আছি। তবে হাতপাখা ও হারিকেনের চাহিদা অভাবনীয় হারে বেড়েছে। আগে যেখানে দিনে এক থেকে দুটি হাতপাখা, হারিকেন ও চেরাগ (কুপি) বিক্রি হয়েছে, সেখানে দিনে ১০ থেকে ১৫টি হারিকেন ও চেরাগ বিক্রি হচ্ছে।’

সারা দেশের ন্যায় তীব্র তাপদাহে ওষ্ঠাগত বাগেরহাট জেলাবাসীর প্রাণ। মরার ওপর খাড়ার ঘায়ের মতো এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং। একদিকে গরমে ফ্যান বন্ধ, অন্যদিকে রাতে অন্ধকার। সব মিলিয়ে হাতপাখা ও হারিকেনের দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে জেলার মানুষ।

সোমবার বিকেল ৩টায় বাগেরহাটে ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে মোংলা আবহাওয়া অফিস। এর আগে রোববার জেলার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আগামী সাতদিন এমন তাপদাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে বৃষ্টি হলে জেলার তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ।

এদিকে, তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ে জেলার সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের।

লোডশেডিংয়ে হাতে হারিকেন
গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা বাগেরহাটের মানুষের। ছবি: নিউজবাংলা

রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত ও সঙ্গে লোডশেডিং থাকায় ভোগান্তির মাত্রা দ্বিগুণ হয়েছে। বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। তীব্র গরম ও রোদের তাপে কৃষক, দিনমজুর, রিকশাচালকরা কাজ করতে পারছেন না।

এদিকে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের ফলে বেচাকেনা বেড়েছে হাতপাখা ও হারিকেনের দোকানগুলোতে। জেলার হারিকেন, কুপি ও হাতপাখার দোকানগুলোতে মানুষের ভীড় লক্ষ্য করার মতো।

মাত্রই যাত্রী নামিয়ে গরমে দরদর করে ঘামছিলেন রিকশাচলক করিম শেখ। তিনি বলেন, ‘তীব্র গরমে ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। রিকশার হ্যান্ডেলের সাথে ছাতা বেঁধে কোনোমতে সূর্যের তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছি। কিন্তু গরম কি আটকানো যায়!

‘পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হতে বাধ্য হয়েছি। কারণ একদিন ইনকাম না হলে পরেরদিন আমাকে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।’

লোডশেডিংয়ে হাতে হারিকেন
লোডশেডিংয়ে অভাবনীয় হারে বিক্রি বেড়েছে হারিকেন ও কুপির দোকানগুলোতে। ছবি: নিউজবাংলা

শহরের দক্ষিণ সরুই এলাকার বাসিন্দা আলম শেখ বলেন, ‘এত গরম আমার জীবনে দেখিনি। সে সঙ্গে কষ্ট আরও বাড়িয়েছে লোডশেডিং। ঘরে ও রাস্তায় কোথায়ও দাঁড়াতে পারছি না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চারবার গোসল করেছি। তাতেও শান্তি পাচ্ছি না।’

বাগেরহাট শহরের নাগের বাজার এলাকার ব্যবসায়ী দিপক সাহা বলেন, ‘গরম ও লোডশেডিংয়ে আমরাও কষ্টে আছি। তবে হাতপাখা ও হারিকেনের চাহিদা অভাবনীয় হারে বেড়েছে। আগে যেখানে দিনে এক থেকে দুটি হাতপাখা, হারিকেন ও চেরাগ (কুপি) বিক্রি হয়েছে, সেখানে দিনে ১০ থেকে ১৫টি হারিকেন ও চেরাগ বিক্রি হচ্ছে।’

লোডশেডিংয়ে হাতে হারিকেন
গরম বাড়ায় রমরমিয়ে ব্যবসা করছেন হাতপাখা দোকানী লক্ষ্মী রানী সাহা। ছবি: নিউজবাংলা

নাগেরবাজার এলাকার হাতপাখা দোকানী লক্ষ্মী রানী সাহা বলেন, ‘গত কয়েক বছরে হাতপাখার এমন চাহিদা দেখিনি। আমার দোকানে যত হাতপাখা ছিল সব বিক্রি হয়ে গেছে। নতুন করে হাতপাখার অর্ডার দিয়েছি। বেচাকেনা অনেক ভালো।’

আরও পড়ুন:
সময় এখন হাতপাখার
লোডশেডিং আরও ২ সপ্তাহ
ধানের বাজারে লোডশেডিংয়ের প্রভাব
লোডশেডিং দু’দিনের মধ্যে কাটার আশ্বাস প্রতিমন্ত্রীর

মন্তব্য

p
উপরে