× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
People will get cheaper medicines
google_news print-icon

‘জনগণ আরও সস্তায় ওষুধ পাবে’

জনগণ-আরও-সস্তায়-ওষুধ-পাবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ও ফার্মেসি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ও ফার্মেসি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। ওষুধ শিল্পের বর্তমান অবস্থা, সমস্যা, সম্ভানা ও এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আবু কাওসার।

ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পর দৃষ্টি এখন কাঁচামাল উৎপাদনে। এ জন্য আলাদা শিল্প পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ চরছে।

দেশের চহিদার ৯৮ শতাংশ উৎপাদন করলেও কাঁচামাল আমদানি করার কারণে ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। এই শিল্প পার্ক হলে এবং কাঁচামাল দেশেই পাওয়া গেলে ওষুধের দাম কমে আসবে বলে আশা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।

নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই সম্ভাবনার পাশাপাশি ওষুধ খাত নিয়ে তার কিছু পর্যবেক্ষণ ‍উঠে এসেছে।

ওষুধ শিল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে কিছু বলুন।

আ ব ম ফারুক: এক সময় দেশের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ ওষুধ আমদানি হতো। বাকি ২০ শতাংশ উৎপাদন হতো অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে। বাজার দখলে ছিল কয়েকটি বহুজাতিক কম্পানির হাতে।

স্বাধীনতার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালায়ের অধীনে ছোট একটা ড্রাগ সেকশন ছিল। বঙ্গবন্ধু এটাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনে ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তৈরি করেন।

তিনি বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও বাংলাদেশ শিল্পঋণ সংস্থাকে নির্দেশ দেন কেউ যদি ওষুধ কম্পানি করতে চায়, তাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টাকা দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘আমরা পেটেন্ট মানি না।’

১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদ স্থানীয় শিল্পবান্ধব ওষুধ নীতি (ড্রাগ পলিসি) করেছিলেন। এতে বলা হলো: দেশীয় কোম্পানি ওষুধ বানাতে পারবে, সেটা বিদেশিদের বানাতে দেয়া যাবে না। যেগুলো দেশে তৈরি হয়, সেগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা যাবে না। এমন সাহসি সিদ্ধান্তের ফলে দেশীয় কোম্পানিগুলো দাঁড়িয়ে গেল।

ওষুধ শিল্পের ক্রমান্বয়ে বিকাশের ফলে এখন আমাদের মোট চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশেই তৈরি হচ্ছে। দুনিয়ার আর কোনো দেশে স্থানীয় কোম্পানি বার্ষিক চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধের জোগান দিতে পারে বলে আমার জানা নেই। শুধু উচ্চ প্রযুক্তিতে তৈরি কিছু ওষুধ বাইরের দেশ থেকে আসে।

ওষুধ শিল্প বিকাশে সরকারের নীতি সহায়তা কি যথেষ্ট বলে আপনি মনে করেন?

আ ব ম ফারুক: বিদ্যমান নীতিমালা খারাপ না। এই শিল্পের প্রধান সমস্যা কাঁচামাল। ওষুধ শিল্পকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে কাঁচামাল আমদানি বন্ধ করতে হবে এবং দেশেই তৈরি করতে হবে। সরকার সমস্যাটা বুঝতে পেরেছে। ফলে এপিআই পার্ক করছে। কিন্তু অনেক বছর আগে উদ্যোগ নিলেও এর কাজ শেষ হয়নি এখনও।

এপিআই (ওষুধ শিল্প) পার্কের সুবিধা কী?

আ ব ম ফারুক: এখানে ওষুধের কাঁচামাল তৈরি হবে। এপিআই পার্ককে কেন্দ্র করে পশ্চাদ সংযোগ শিল্পগুলো গড়ে উঠবে। ফলে অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে।

এপিআই পার্ক উৎপাদনে গেলে বাইর থেকে কাঁচামাল আনতে হবে না। দেশের ভেতরেই তৈরি হবে। ফলে কোম্পানিগুলো আরও কম খরচে ওষুধ তৈরি করতে পারবে। ভোক্তা কম দামে ওষুধ পাবে। এ ছাড়া আমাদের রপ্তানিও বাড়বে। সব দিকে আমরা লাভবান হবো এপিআই পার্ক হলে।

করোনাকালে দেশের ওষুধ ব্যবসা রমরমা হওয়ার কারণ কী?

আ ব ম ফারুক: এই সময়ে বেক্সিমকো, ইনসেপ্টা, এসকেএফসহ অনেক কোম্পানির কাছ থেকে বিদেশিরা ওষুধ কিনেছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, করোনাকালে বিদেশিরা এ দেশ থেকে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার ওষুধ নিয়েছে। যদি এপিআই পার্ক চালু থাকত, তাহলে আরও বেশি রপ্তানি করা যেত।

বহির্বিশ্বে ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান কেমন?

আ ব ম ফারুক: খুবই ভালো। তার কারণ বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের অবকাঠামো পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় ভালো। এমনকি প্রতিবেশি দেশ ভারত, নেপাল, মিয়ানমারের চেয়ে অনেক এগিয়ে।

নেপালের ওষুধ শিল্পের অবকাঠামো খুবই দুর্বল। সেখানে ওষুধের কোম্পানি সীমিত। নেপালে অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদার মাত্র ১৭ শতাংশ পূরণ করে স্থানীয় কোম্পানিগুলো। অবশিষ্ট ওষুধ আমদানি করা হয়।

বাংলাদেশ ৯৮ শতাংশ ওষুধ অভ্যন্তরীণভাবে তৈরি করে। বাকি ২ শতাংশ বাহির থেকে আনা হয়। মিয়ানমারে ওষুধ কোম্পানি আছে মাত্র একটি। সেখানে টেকনিক্যাল লোকের অভাব। ফার্মাসিস্ট নেই। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে পূঁজি আছে। কিন্তু তারা ফ্যাক্টরি করছে না। কারণ পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নেই।

ভারতে ওষুধের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। তবে ধারণা করা হয়, মোট চাহিদার ৮২ শতাংশ উৎপাদন করা হয় স্থানীয় পর্যায়ে। বাকিটা তারা আমদানি করে। ফলে ওষুধ উৎপাদনের শতকরা হারে বাংলাদেশ এগিয়ে ভারতের চেয়ে।

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বের হয়ে যাবার পর দেশের ওষুধশিল্প কোনো চ্যালঞ্জের মুখে পড়বে কি?

আ ব ম ফারুক: কিছুই হবে না। আমারা যেরকম আছি, সে রকমই থাকব। সমস্যা হতে পারে ২০৩২ সালের পর। এ জন্য আগে থেকেই তৈরি হতে হবে। তা না হলে কপালে দুঃখ আছে। বর্তমানে পেটেন্ট ছাড়ের সুবিধার আওতায় ওষুধ তৈরির ফলে সস্তায় ওষুধ সেবন করতে পারছে জনগণ।
স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কপিরাইট আইন বা মেধাস্বত্ব ছাড়ের সুবিধা ভোগ করছে বাংলাদেশ।

এই সুবিধার আওতায় ওষুধ উৎপাদনে বিদেশি পেটেন্ট ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশকে কোনো রয়ালিটি বা কোনো ধরনের ফি দিতে হয় না। যে কারণে অনেক দেশের তুলনায় সস্তায় ওষুধ তৈরি করতে পারছে বাংলাদেশ।

এই সুবিধা থেমে যেত, যদি ট্রিপস চুক্তি বা মেধাস্বত্ব আইন অনুযায়ী ২০০৫ সাল থেকে আমাদের পেটেন্ট মানতে হতো। এর বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড, আমেরিকা, অস্ট্রিয়া ও কোরিয়ায় আন্দোলন হয়েছে। ফলে ২০০০ সালে ‘দোহা ডিক্লারেশন’-এ ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছাড় দেয়া হয়।

২০১৫ সালের আগেই এটা নিয়ে আমরা হৈ-চৈ শুরু করলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাউথ এশিয়ান কনজিউমার ফোরামের সাত দিনব্যাপী সম্মেলনে ট্রিপসের ব্যাপারে আলোচনা হয়। জাতিসংঘে স্মারকলিপি পাঠানো হয়। তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ খুব ভালো ভূমিকা রাখলেন। আমরা ২০৩২ সাল পর্যন্ত পেটেন্ট ছাড় পেয়েছি। এর মধ্যেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।

প্রস্তুতি কীভাবে নিতে হবে?

আ ব ম ফারুক: বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে ২০৩২ সালের পরও দেশের ওষুধ শিল্পের সুরক্ষায় পেটেন্ট (মেধাস্বত্ব) ছাড়ের সুবিধা অব্যাহত রাখতে হবে। সে অনুযায়ী সরকারকে কাজ করতে হবে। যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক এখান থেকে সরা যাবে না।

আরেকটা কাজ করতে হবে, তা হলো পাবলিক হেলথ বা জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য যে সব ওষুধ জরুরি, সেই সব ওষুধের ওপর পেটেন্ট আইন প্রযোজ্য হবে না। এ জন্য সরকারকে একটা অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগ লিস্ট বা ‘অত্যাবশ্যকীয়’ ওষুধের তালিকা বানাতে হবে। এখন এটা আছে।

এই তালিকা দুই-তিন বছর পর পর হালনাগাদ করতে হবে। নতুন নতুন ওষুধ তৈরি হচ্ছে। ওই ওষুধ থেকে কোন কোন ওষুধ ‘অত্যাবশ্যকীয়’, তা নির্ধারণ করে তালিকায় যুক্ত করতে হবে। এটা করা খুবই জরুরি।

এ তালিকা না থাকলে পরবর্তীতে পেটেন্ট ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যাবে না। বর্তমানে অত্যাবশ্যকীয় তালিকায় ২৮৬টি ওষুধ আছে।

২০৩৩ সালের পর চ্যালেঞ্জ কোথায়?

আ ব ম ফারুক: ধরা যাক, এমন একটা ওষুধ বানানো প্রয়োজন হয়ে পড়ল, যেটা পেটেন্ট ছাড়ের সুবিধা পেল না। তখন কী হবে? ২০৩২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা পেটেন্টের আওতায় বাইরে থাকব। ফলে এই সময়ে ওষুধ উৎপাদনে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু ২০৩৩ সাল থেকে যখন পেটেন্ট সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে, তখন তো সমস্যা হবে। সে জন্যই বিদ্যমান সুবিধা অব্যাহত রাখতে হবে এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে।

সরকারের করণীয় কি?

আ ব ম ফারুক: বাংলাদেশে ওষুধের দাম কম। এটা অব্যাহত রাখতেই হবে। এর জন্য যা যা করা দরকার, সে বিষয়ে প্রস্ততি নিতে হবে এখন থেকেই।

‘অত্যাবশ্যকীয়’ ওষুধের তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। করোনার জন্য কিছু নতুন ওষুধ আছে। তালিকায় এগুলো যোগ করতে হবে। তা না হলে পরবর্তীতে করোনার ওষুধ উৎপাদনে সমস্যা দেখা দিবে।

এপিআই পার্কের যাত্রা শুরু হয় ২০০৮ সালে। এত বছর পরও কেন উৎপাদনে যেতে পারল না?

আ ব ম ফারুক: বেসরকারি কোম্পানিগুলো এপিআই-এ অবকাঠামো ঠিকমতো তৈরি করছে না, এটা দুঃখজনক। আমি যা বুঝি, ফিনিশড প্রডাক্ট বানালে যে পরিমাণ লাভ হয়, কাঁচামাল বানালে তা হবে না। আমাদের ৪২টি কোম্পানি, তারা যদি পাঁচটা করেও কাঁচামাল বানায়, তাও তো ২০০ কাঁচামাল হচ্ছে। বিশাল ব্যাপার।

এপিআই হলে ওষুধশিল্পের কাঁচামালের আমদানি নির্ভরতা কমবে। শুধু তা-ই নয়, কাঁচামাল রপ্তানি করা সম্ভব হবে। সময় মতো এপিআই পার্ক না হওয়াটাই ওষুধশিল্পের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

ভোক্তা পর্যায়ে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অরাজকতা চলছে। এর জন্য দায়ী কে?

আ ব ম ফারুক: যে কোনো দেশে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকায় থাকা ওষুধগুলোর দাম নির্ধারণ করে সরকার। এটাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম। আমাদের দেশের ১৯৮২ সালের ওষুধ নীতিতেও তা ছিল। কিন্তু ১৯৯৪ সালে ওষুধ কোম্পানির দাবির মুখে বলা হলো, ১৭ শতাংশ ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করবে, বাকিটা কোম্পানি। এটাকে বলা হলো ইন্ডিকেটিভ প্রাইস। এ রকম আজগুবি নিয়ম দুনিয়ার কোথাও নেই।

২০১৬ সালে আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম, ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের উদ্যোগে কমিটি গঠন করা হবে, যেখানে ওষুধ কম্পানি, ডাক্তার, ওষুধশিল্প সমিতি, ফার্মাসিস্ট, রোগী এবং যারা ওষুধটা বিক্রি করে তাদের একজন করে প্রতিনিধি থাকবে। সরকারের একজন বা দুজন থাকবে। যেদিন যে কম্পানির ওষুধ নিয়ে আলোচনা হবে, সেদিন সংশ্লিষ্ট কোম্পানির লোক থাকবে না। মিটিংয়ে মূল্য পর্যালোচনা হবে। কাঁচামালের দাম কমা-বাড়ার সঙ্গে ওষুধের দামও কমবে-বাড়বে। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের উপায়ও বলে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই নিয়ম আর কার্যকর হলো না।

আরও পড়ুন:
ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের জেনেরিক নাম লেখার নির্দেশনা বাস্তবায়ন কবে
মানুষ আইলে কাইন্দা ঢং করত: স্ত্রীকে নিয়ে দুই শিশুর বাবা
ওষুধশিল্পে চ্যালেঞ্জ দেখছেন না উদ্যোক্তারা
উত্তরণ-পরবর্তী ওষুধশিল্পের সংকট কোথায়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
3 more people

আরো ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

আরো ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে কেউ মারা যায়নি। আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ দিন প্রতি ১০০ নমুনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ‘২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু ২৯ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এছাড়া ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ১২৭ জন। এর মধ্যে গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫৮২ জন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The number of people in the dengue is increasing

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে

একদিনে রেকর্ড ৪২৯ জন শনাক্ত, চলতি বছর ১০ হাজার ছাড়াল
ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

এডিশ মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সারা দেশে মশা নিধন কার্যক্রমের দুর্বলতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মোড় নিয়েছে। চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় জুন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বছরের শুরুর দিকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। জানুয়ারিতে ১,১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬ এবং এপ্রিলে ৭০১ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে মে মাস থেকে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে এবং জুনে এসে তা ভয়াবহ রূপ নেয়। আশঙ্কার বিষয় হলো, ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে, বিশেষ করে বরগুনায়, ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি।

এদিকে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ২৯৬ জনে পৌঁছেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে
অঞ্চলভেদে নতুন শনাক্ত ৪২৯ জন ডেঙ্গু রোগীর তালিকা:

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন শনাক্ত ৪২৯ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে— বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪৯ জন; চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৭ জন; ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬১ জন; ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৪২ জন; ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৪৫ জন; খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১ জন ও রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৫৮ জন রোগী। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৮৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং নারী ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে কোনো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৪২ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে একজন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এডিস মশার বিস্তার এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। বিশেষ করে রাজধানীর বাইরের এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, 'মে মাসের তুলনায় জুনে আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে জুলাইয়ে এ সংখ্যা চার থেকে পাঁচগুণ এবং আগস্টে দশগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে।'

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৯৬ জনে। এর আগে ২০২৩ সালের পুরো বছরে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন। ২০২৪ সালের পুরো বছরের (১ জানুয়ারি–৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) সর্বমোট হিসাব অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ৫৭৫ জন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The body of 20 more people in the country

দেশে আরও ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

দেশে আরও ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের মধ্যে দেশে আরও ২১ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

রবিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব শনাক্ত হয়েছে। তবে, নতুন করে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি এই সময়ের মধ্যে।

সোমবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৫২ হাজার ১১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২২ জন। আর দেশে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫২১ জনের।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dengue death of 5 more people in a day

একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৮৩ জন রোগী। এসব রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩৬ জন আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৮, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৮, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৩৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৩৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ হাজার ৭২৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৯ হাজার ৮৬৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের।

মন্তব্য

সিলেটে করোনায় একজনের মৃত্যু

সিলেটে করোনায় একজনের মৃত্যু

সারাদেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পর সিলেট এ ভাইরাসে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার দুপরে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন করে করোনার আক্রমন শুরুর পর সিলেটে প্রথম এই কোন রোগী মারা গেলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনায় আক্রান্ত ৬৯ বছর বয়েসি পুরুষ ১৯ জুন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান তিনি। এছাড়া সিলেটে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ জন বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. মিজানুর রহমান জানান, নিহত ব‍্যক্তির বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়। তিনি করোনা ছাড়াও আরও অন‍্যান‍্য জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
One more death in Karona in Chittagong is the new identification

চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬

চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে; গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ছয়জন। এ নিয়ে চলতি জুন মাসেই জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা সাতজনে দাঁড়াল।

২৮ জুন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলার মিরসরাই উপজেলার বাসিন্দা সালেহা বেগম (৪০) নামে এক নারী শুক্রবার নগরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই তিনি হৃদরোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

এদিকে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৯১টি নমুনা পরীক্ষা করে ছয়জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন নগরের এবং দুজন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে নগরের শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চারজন এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে দুজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে চলতি জুন মাসে মোট ১৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৬ জন পুরুষ, ৬৩ জন নারী ও একজন শিশু রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two more deaths in Barisal Dengue

বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

নতুন আক্রান্ত ১০৫
বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

মশাবাহীত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের দুই জেলায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় গোটা বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ১০৫ জন আক্রান্ত রোগী। এ নিয়ে বর্তমানে বিভাগের ছয় জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩৫ জন। মৃত্যুবরণ করা দুজন হলেন- বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আ. করিম (৫০) ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রাজপাড়া এলাকার মো. ইউসুফ খন্দকার (৭২)। এর মধ্যে আ. করিম বরিশাল শেরইবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ও বৃদ্ধ মো. ইউসুফ খন্দকার কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উদ্বেগ ও আশঙ্কাজনক। এ পরিস্থিতি থেকে বেরোতে হবে। চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ জরুরি। তাই মশার বিস্তার রোধ করতে বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৩০৫ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩৫ জন।

বরগুনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মৃত ১১ জনের মধ্যে ছয়জনেরই বরগুনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। শুধু মৃত্যুই নয় এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি, বরগুনা জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬৩২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মন্তব্য

p
উপরে