দেশের জুয়েলারি শিল্পকে দেশে ও বিদেশে নতুন করে তুলে ধরতে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে ‘বাংলাদেশ জুয়েলারি এক্সপো-২০২২’।
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আয়োজিত তিন দিনের জুয়েলারি এক্সপো উদ্বোধন হবে।
১৭ থেকে ১৯ মার্চ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার নবরাত্রি ও পুষ্পগুচ্ছ হলে এ মেলা হবে। মেলায় দেশ-বিদেশের অনেক ক্রেতা-বিক্রেতার শতাধিক স্টল অংশ নেবে। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে বিশাল মূল্যছাড়সহ আকর্ষণীয় সব অফার।
বুধবার বাজুসের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাজুস জানায়, মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য র্যাফেল ড্রয়ের ব্যবস্থা থাকবে। প্রথম পুরস্কার হিসেবে থাকছে ১০ লাখ টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রথমবারের মতো দেশে জুয়েলারি মেলার আয়োজন করেছে বাজুস। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, ‘এই এক্সপো দেশীয় অলংকার শিল্পকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশকে স্বর্ণ এবং স্বর্ণজাত শিল্প রপ্তানির ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থানে নিতে অবদান রাখবে, যা আমাদের জিডিপি হারকে সন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নীত করতে সক্ষম হবে।’
মেলায় মোট ৭০টিরও বেশি স্টল থাকবে। দুই লাখেরও বেশি দর্শনার্থী ও ক্রেতা মেলায় আসবে বলে প্রত্যাশা বাজুসের।
ভারতীয়দের বাধায় সিলেট বিভাগের তিন শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আপত্তিতে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি হচ্ছে না। ফলে স্থবির হয়ে আছে এসব বন্দর ও শুল্ক স্টেশন।
জানা যায়, ভারতের আসাম রাজ্যের শ্রীভূমিতে (করিমগঞ্জ) সনাতনী ঐক্য মঞ্চ নামের একটি সংগঠনের বিক্ষোভের মুখে গত রোববার সিলেটের বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দর ও সোমবার জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে ভারতীয়দের বিক্ষোভের কারণে গত ৩০ নভেম্বর থেকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে শুল্কায়ন জটিলতায় তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।
আমদানিকারক সূত্র জানায়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ ও ইসকন থেকে বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গত রোববার ভারতের শ্রীভূমি জেলার সুতারকান্দি স্থলবন্দরে মিছিল নিয়ে জড়ো হয় কয়েক শ’ লোক। তারা সীমান্ত এলাকায় বিক্ষোভ করে। পরে ভারতীয় বিক্ষোভকারীরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে সুতারকান্দি (বাংলাদেশের শেওলা) স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।
সোমবার একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ভারতের করিমগঞ্জ শুল্ক স্টেশনে। ফলে সোমবার থেকে ওই স্টেশন দিয়েও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে পণ্য পরিমাপ সংক্রান্ত জটিলতায় গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারতের ডাউকি স্থলবন্দর (বাংলাদেশের তামাবিল) দিয়ে পাথর-চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
এই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যে পাথর আমদানি করা হয় তা সরাসরি খনি থেকে ট্রাকে লোড করা হয়। ফলে পাথরের সঙ্গে মাটি ও বালি মিশ্রিত থাকে। আগে শুল্কায়নের পূর্বে বন্দর কর্তৃপক্ষ মাটি ও বালির ওজন বাদ দিয়ে পাথরের ওজন নির্ণয় করত। কিন্তু বর্তমানে স্থলবন্দরের নতুন কর্মকর্তারা মাটি ও বালির ওজন ছাড় না দেয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।
ওয়েট স্কেলে কড়াকড়ি ওজন নির্ণয়ের কারণে কয়লা-পাথর আমদানি থেকে বিরত রয়েছেন জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, এ অবস্থায় আমদানি অব্যাহত রাখলে পাথরবাহী প্রতি ট্রাকে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হবে। বিষয়টি নিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বললেও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না বলে জানান তারা।
তামাবিল কয়লা, পাথর ও চুনাপাথর আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন লিপু বলেন, ‘ওজন জটিলতায় আমরা পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছি। লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেও পাথর আমদানি করতে গিয়ে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
‘আমদানি বন্ধ থাকায় ওপারে ভারতে কয়লা-পাথরবাহী শত শত ট্রাক লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখন রপ্তানিকারকরা আমাদের কাছে পণ্যবাহী ট্রাকের ক্ষতিপূরণ দাবি করছে।’
তামাবিল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা তানভির হোসেন বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। ব্যবসায়ীরা পাথর আমদানি বন্ধ রাখায় এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় কয়লা-পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। আমরা কয়লা-পাথর ব্যবসায়ীদের সমস্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’
এদিকে ভারতীয়দের বাধায় অন্য সীমান্ত দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে সিলেট পাথর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আতিক হোসেন বলেন, ‘ইসকন ইস্যুতে ভারতের সুতারকান্দি ও করিমগঞ্জ বর্ডার দিয়ে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় লোকজনের বাধার মুখে ভারত থেকে বাংলাদেশে কিংবা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে পারছে না।’
তিনি জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারতের সুতারকান্দিতে পাথরসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী অন্তত দুশ’ ট্রাক এবং এপারে শেওলা শুল্ক স্টেশনে অর্ধশতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে। এছাড়া সিলেটের জকিগঞ্জের ওপারে ভারতের করিমগঞ্জে আটকা পড়েছে ফল ও কাঁচামাল বোঝাই অর্ধশতাধিক ট্রাক। পণ্য খালাস না হওয়ায় ট্রাকে ফলসহ কাঁচামাল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, বর্ডারে পণ্য আটকা পড়ায় ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রতিদিনই আমদানিকারকদের ব্যাংক ঋণের সুদ গুনতে হচ্ছে। এছাড়া পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ থাকায় লোড-আনালোড এবং স্থানীয় পাথরভাঙার কলগুলোর হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।
বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এই বন্দর দিয়ে মূলত কয়লা ও পাথর আমদানি হয়। আর রপ্তানি হয় ভোগ্যপণ্য, সিমেন্টসহ কিছু পণ্য। তবে ভারত সীমান্তে সমস্যার কারণে তিনদিন ধরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।’
এদিকে জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আরিফ উদ্দিন বলেন, ‘এই স্টেশন দিয়ে মূলত কমলাসহ কিছু ফলমূল আমদানি হয়। তবে সোমবার থেকে কোনো পণ্য আমদানি হয়নি।’
আরও পড়ুন:সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন বৈশ্বিক ও দেশীয় চ্যালেঞ্জের কারণে যেসব পরিচালন ব্যয় বেড়েছিল, আগামী বছরগুলোতে তা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক নথি অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকারি ব্যয়ের ৫৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ হবে পরিচালন ব্যয়।
চলতি অর্থবছরে মোট সরকারি ব্যয়ের ৫৯ শতাংশ পরিচালন ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও মজুরি, পণ্য ও সেবা ক্রয়, ভর্তুকি ও স্থানান্তর পেমেন্ট, দেশীয় ও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এবং ‘খাদ্য হিসাব পরিচালনা’ সংক্রান্ত ব্যয়।
নথি অনুসারে, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ২০১৯ সালের পরিচালন ব্যয় ৫৫.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ৬২.৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বর্ধিত ব্যয়ের মূল চালিকাশক্তি
ক্রমবর্ধমান ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতায় সুদ পরিশোধ ক্রমাগত বেড়েছে।
নথিতে বলা হয়, সামাজিক কল্যাণ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পদক্ষেপের ওপর জোর দিয়ে ২০১৯ সালে মোট সরকারি ব্যয়ের ভর্তুকি এবং স্থানান্তর সংক্রান্ত ব্যয় ২.৯ শতাংশ থেকে ২০২৪ সালে বেড়ে প্রায় ৪ শতাংশ হয়েছে।
২০১৯ অর্থবছর থেকে ২০২৩ অর্থবছর পর্যন্ত পরিচালন ব্যয় গড়ে জিডিপির ৭ দশমিক ৬ শতাংশ বজায় ছিল।
২০২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ অঙ্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৬ শতাংশে।
দেশীয় সুদের হারের ঊর্ধ্বগতি এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বিনিময় হারের অস্থিরতা থেকে এটি বেড়েছে এবং এটি একই সঙ্গে সুদ পরিশোধ ব্যয়ও বাড়িয়েছে।
এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সরকার কৌশলগত সমন্বয় ও আর্থিক শৃঙ্খলার মাধ্যমে মধ্যমেয়াদে পরিচালন ব্যয় জিডিপির ৮.৩ শতাংশে স্থিতিশীল রাখার প্রত্যাশা করছে।
২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে খাদ্য ভর্তুকি ১৪.১ শতাংশ বেড়েছে। এটিও পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধির একটি কারণ।
বেতন ও পণ্য ব্যয় ব্যবস্থাপনা
বেতন ও ভাতা সংক্রান্ত খাতে ২০১৯ সালে জিডিপির ১.৮ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে ১.৪ শতাংশ কমে গেছে, তবে তা বেতন কমানোর কারণে নয়, বরং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণেই হয়েছে।
২০২৫ সালে বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় জিডিপির ১ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা ২০১৯ সালের ১ দশমিক ৮ শতাংশের চেয়ে কম।
নথিতে বলা হয়, দক্ষ সরকারি সেবা প্রদান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় বাড়াতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কোভিড-১৯ মহামারির বছরগুলোতে আরও গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে সম্পদের পুনর্বিন্যাস এবং ২০২২ সাল থেকে গৃহীত সাশ্রয়ী নীতির কারণে পণ্য ও সেবার ওপর ব্যয় ২০২১ সালের মোট ব্যয়ের ৭.৩ শতাংশ ছিল। ২০২৩ সালে সেখান থেকে কমে দাঁড়ায় ৫.৯ শতাংশে।
২০২৪ অর্থবছরের সংশোধিত প্রাক্কলনে দেখা যায়, এ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা খাতে ব্যয় ছিল মোট ব্যয়ের ৬ দশমিক ১ শতাংশ।
মধ্যমেয়াদে পণ্য ও সেবা খাতে ব্যয় ৬ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে বলে প্রাক্কলন করেছে অর্থ বিভাগ।
ভর্তুকি যৌক্তিকীকরণ এবং সামাজিক সমর্থন জোরদার করা
সরকার ভর্তুকি বরাদ্দগুলো যুক্তিসঙ্গতভাবে নির্ধারণের জন্য একটি কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণের জন্য জীবনযাত্রা সহায়তা কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয় ব্যয়ের মধ্যে কৃষি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে রয়েছে।
জ্বালানি খাতে ধীরে ধীরে ভর্তুকি কমানো হবে। নিয়মতান্ত্রিক মূল্য সমন্বয় এবং ফর্মুলাভিত্তিক জ্বালানি মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের মাধ্যমে এটি করা হবে।
প্রবৃদ্ধি ও স্থায়িত্ব বাড়ানো
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সরকার রপ্তানি বহুমুখীকরণ, রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি, কৃষি উন্নয়ন এবং তৈরি পোশাক খাতে সবুজ প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের পরিকল্পনা করেছে।
হাইব্রিড প্রযুক্তি, বৈদ্যুতিক যানবাহন এবং আইসিটি পরিষেবা রপ্তানির ওপরও জোর দেয়া হচ্ছে।
দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি কৃষি ও রপ্তানিতে বিশেষ মনোযোগ দেয়া হবে বলে নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:গাড়ির দামসহ বিভিন্ন তথ্য জানতে অনেকেই সার্চ ইঞ্জিন কিংবা পরিচিত লোকজনের আশ্রয় নেন। এ প্রক্রিয়ায় সবসময় সব তথ্য একসঙ্গে পাওয়া যায় না। বিষয়টি মাথায় রেখে দেশের বাজারে যাত্রা শুরু করেছে টুইনকার ডটকম ডটবিডি।
উদ্যোক্তার ভাষ্য, আধুনিক ও ব্যবহারকারীবান্ধব ওয়েবসাইট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে টুইনকার। গাড়ির ক্রেতা ও ব্যবহারকারীদের জন্য এটি নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হবে।
সাইটটিতে বাংলাদেশে গাড়ির দাম, বৈশিষ্ট্য ও সর্বশেষ তথ্যগুলো পরিবেশন করা হবে।
যেসব সেবা মিলবে টুইনকারে
১. বাজারমূল্য: বাজারের সব গাড়ির বর্তমান আনুমানিক মূল্য।
২. ডিটেইলড ফিচার: গাড়ির ইঞ্জিন, মাইলেজ, জ্বালানি খরচ ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য।
৩. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজড (এসইও) কনটেন্ট: গাড়ি সম্পর্কে খোঁজাখুঁজির ক্ষেত্রে সহজেই প্রাসঙ্গিক তথ্য পেতে সহায়ক হবে সাইটটি।
৪. বাংলাদেশি বাজারমুখী: স্থানীয় গাড়ি বাজারের তথ্য,পরামর্শ ও খবর মিলবে এ প্ল্যাটফর্মে।
৫. অফার: ক্রেতাদের গাড়ি অনুযায়ী অফারের সুযোগ থাকবে।
গাড়িপ্রেমীদের জন্য কমিউনিটি
উদ্যোক্তার ভাষ্য, বাংলাদেশে গাড়ি কেনা এখন বড় বিনিয়োগ, কিন্তু সঠিক তথ্যের অভাবে অনেক সময় ক্রেতারা বিভ্রান্ত হন। টুইনকার ডটকম ডটবিডি ক্রেতাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি শুধু একটি ওয়েবসাইট হিসেবে নয়, গাড়িপ্রেমীদের জন্য একটি কমিউনিটি হিসেবে বিকশিত হতে চায়।
সাইটটি শুধু গাড়ির দাম সম্পর্কে তথ্য প্রদান করবে না, বরং বাজারের সর্বশেষ প্রবণতা, গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের পরামর্শ ও উপযুক্ত গাড়ি নির্বাচনেও সহায়তা করবে।
টুইনকার ডটকম ডটবিডির বিষয়ে উদ্যোক্তা বলেন, ‘বাংলাদেশে গাড়ির ক্রেতারা প্রায়ই সঠিক তথ্যের অভাবে সমস্যায় পড়েন। আমরা চেয়েছি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে, যা ক্রেতাদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে এবং তাদের অভিজ্ঞতাকে সহজ ও ঝামেলাহীন করবে।’
আরও পড়ুন:নগদ অর্থের সংকটে পড়া দেশের কয়েকটি ব্যাংককে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দপ্তরের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পদক্ষেপের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেন গভর্নর।
ব্যাংকিং খাতে তারল্য বাড়াতে টাকা না ছাপানোর সিদ্ধান্ত থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সাময়িকভাবে সরে এসেছে বলে স্বীকার করেন ড. মনসুর।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং আর্থিক প্রবাহ বজায় রাখার জন্য সাময়িকভাবে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কঠোর আর্থিক নীতি অপরিবর্তিত রয়েছে এবং বাজারে অতিরিক্ত তারল্য কমানোর জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
নতুনভাবে সংযোজন করা তহবিলের সম্ভাব্য অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগের বিষয়ে গভর্নর ড. মনসুর বলেন, ‘বর্তমান পদক্ষেপগুলো সাম্প্রতিক অতীতের পুনরাবৃত্তি নয়। সে সময় অর্থ মুদ্রণের ফলে অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। চুরির সুযোগ দূর করে স্বচ্ছ ও নিরাপদে তহবিল বরাদ্দের বিষয়টি এবার নিশ্চিত করেছি আমরা।’
আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির ওপরও জোর দেন গভর্নর। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ব্যাংকে প্রত্যেক মানুষের আমানত নিরাপদ ও সুরক্ষিত। আমানতকারীদের আস্থা ধরে রাখতে অবিরাম প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’
ড. মনসুর বলেন, ‘ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থের সাময়িক ঘাটতি মেটাতে গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলনের সুযোগ করে দিতে তারল্য সহায়তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সহায়তা সহজতর করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের অস্থায়ী প্রয়োজন মেটাতে সাময়িকভাবে অর্থ মুদ্রণ করবে।’
ব্যাংকে সব আমানত সুরক্ষিত রয়েছে বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেন গভর্নর। একইসঙ্গে জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়া বা অযথা অর্থ উত্তোলন না করার আহ্বান জানান তিনি।
বাজারে প্রবর্তিত অতিরিক্ত তারল্য মুদ্রাস্ফীতির চাপ রোধে বিভিন্ন ধরনের বন্ডের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
আরও পড়ুন:দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারলে কর সংগ্রহে তা ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিতে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেছেন, ‘যদি আমরা দুর্নীতির পাহাড় থেকে জনগণের সম্পদ ফিরিয়ে দিতে না পারি তবে আমরা কেমন বিপ্লব করেছি?’
‘বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ওপেন বাজেট সার্ভে ২০২৩-এর ফলাফল’ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এই সেমিনারের আয়োজন করে ইআরএফ ও রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড)।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর শ্বেতপত্র তৈরির জন্য গঠিত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আগামী ১ ডিসেম্বর রোববার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়া হবে। আর প্রতিবেদনটির ফলাফল ২ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা হবে।’
দাতা সংস্থা ও বিনিয়োগকারীদের সন্দেহের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেক বড় প্রকল্পে দাতা সংস্থা ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অর্থায়ন করেছেন। তারা উদ্বিগ্ন যে এই প্রকল্পগুলো চলবে কি না। আগামী দিনে বাংলাদেশ কীভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে- এমন জিজ্ঞাসা তাদের।’
জানুয়ারিতে দাতা সংস্থা ও সরকারের মধ্যে একটি বৈঠকের প্রস্তাব দিয়ে দেবপ্রিয় আগামী দু’মাসের মধ্যে ‘ফোরাম ফর ইনক্লুসিভ অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির সুপারিশ করেন।
তিনি বলেন, ‘এই ফোরাম তৈরি করে দাতা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। পাঁচটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে, যার প্রথমটি হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। অন্য বিষয়গুলো হলো– ব্যক্তিগত বিনিয়োগের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা, জ্বালানি সংকটের সমাধান, সরকারি অর্থায়নের প্রতিবন্ধকতা দূর করে দ্রুত প্রকল্প সম্পন্ন করা এবং সঠিকভাবে কর সংগ্রহ নিশ্চিতকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।’
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে সরকারের লক্ষ্য পূরণ হবে না বলেও মন্তব্য করেন এই অর্থনীতিবিদ।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্টে সফলভাবে আয়োজন করা হয়েছে আকিজ বশির গ্রুপের ছয় দিনব্যাপী বিজনেস কনফারেন্স ‘ইভলভ বিয়ন্ড ২০২৪’।
এ আয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড— আকিজ সিরামিকস, অরা, রোসা, আকিজ বোর্ড ও আকিজ ডোরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১ হাজার দুই শর বেশি ব্যবসায়িক সহযোগী একত্রিত হয়েছিলেন।
কোম্পানির বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের সব কর্মকর্তাসহ আয়োজনটিতে উপস্থিত ছিলেন আকিজ বশির গ্রুপের নবনিযুক্ত ম্যানেজিং ডিরেক্টর তসলিম মো. খান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শামসুদ্দিন আহমেদ এফসিএ ও চিফ অপারেটিং অফিসার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।
কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারীদের জন্য ছিল বিভিন্ন সেশন, ব্যবসায়িক কৌশল নিয়ে আলোচনা, পুরস্কার বিতরণী এবং জমকালো ‘গালা নাইট’।
কোম্পানির সাফল্য উদযাপনের পাশাপাশি আসন্ন বছরের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে সবার অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে কনফারেন্সটি।
এসব আয়োজন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অনুপ্রেরণা ও পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাবকে আরও শক্তিশালী করেছে।
আরও পড়ুন:দীর্ঘদিন ধরেই স্মার্টফোনের বাজারে প্রযুক্তিগত দিক থেকে কে সেরা, তা নিয়ে চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা, যার দৌড়ে আছে তরুণদের প্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। এ প্রতিযোগিতায় তারা হাঁটছে একটু ভিন্ন পথে।
সম্প্রতি বাজারে আসা ইনফিনিক্সের হট ৫০ সিরিজ জেনজিদের মন জয় করতে স্টাইল, সৃজনশীলতা ও বিনোদনের ওপর জোর দিচ্ছে।
ইনফিনিক্স হট ৫০ সিরিজ এ প্রজন্মের পছন্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এমন সব স্মার্টফোন ডিজাইন করেছে, যাতে তারা ফ্যাশন ও প্রোডাকটিভিটির সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে পায়।
সিরিজের ফ্ল্যাগশিপ মডেল ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো প্লাস বোল্ড ডিজাইন ও হাই পারফরম্যান্সের একটি দারুণ কম্বিনেশন। এর ফেদারলাইট উইং ডিজাইন এবং বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা থ্রিডি কার্ভড স্ক্রিন এটিকে শুধু একটি ফোনের চেয়েও বেশি একটি উচ্চমানের ফ্যাশন অনুষঙ্গে পরিণত করেছে।
ড্রিমি পার্পল, টাইটানিয়াম গ্রে এবং স্লিক ব্ল্যাকের মতো আকর্ষণীয় রঙে বাজারে আসা ডিভাইসটি ক্যাজুয়াল, স্পোর্টি বা এলিগ্যান্ট, যেকোনো লুককেই পরিপূর্ণ করে তোলে,
তবে নকশার ওপর জোর দিলেও ফোনটি স্থায়িত্বের সঙ্গে আপস করেনি।
টাইটান উইং আর্কিটেকচার ফোনটিকে হালকা ও মজবুত করেছে। কর্নিং গরিলা গ্লাস দিয়ে তৈরি স্ক্রিন স্ক্র্যাচ-প্রতিরোধী ও শক-প্রুফ।
জেনজির অ্যাকটিভ ও কনটেন্ট বেইজড লাইফস্টাইলের চাহিদা পূরণের জন্য ফোনটি ডিজাইন করা হয়েছে।
ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট।
হট ৫০ প্রো প্লাস স্মার্টফোনটিতে ৫০ মেগাপিক্সেল মূল ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো লেন্স এবং ১৩ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা রয়েছে।
এআই নাইট মোড, এআই ফেস ডিটেকশন এবং এআই ভয়েস ক্যাপচারসহ এআইচালিত এসব ফিচার ছবি তোলা সহজ ও সৃজনশীল করেছে।
এআই ভয়েস ক্যাপচার ব্যবহারকারীদের কণ্ঠস্বর দিয়ে টাচ ছাড়াই ছবি তোলার সুবিধা দেয়, যা তাৎক্ষণিক মুহূর্তগুলো সহজে ধরে রাখতে সহায়তা করে।
সিরিজটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তির জন্যও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাইপাস চার্জিং ও ওভারনাইট চার্জিং প্রোটেকশনের মতো ফিচার ব্যবহারকারীদের কাছে ব্র্যান্ডটির নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি করেছে।
দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের জন্য স্মার্টফোনটিকে কার্যকর অপশনে পরিণত করে তুলেছে।
একই সঙ্গে এর টাইটান আর্মার প্রোটেকশন ও বিশ্বের প্রথম ৫ বছরের TÜV SÜD ফ্লুয়েন্সি সার্টিফিকেট নিশ্চিত করে যে এটি জেনজির সক্রিয় ও চলমান জীবনধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম।
হট ৫০ প্রো প্লাসের সাফল্য হট ৫০ সিরিজের বাকি মডেলগুলোর প্রতিও আগ্রহ বাড়িয়েছে।
ফোনগুলোর মধ্যে রয়েছে মধ্যে হট ৫০ আই, হট ৫০ ও হট ৫০ প্রো ।
বিভিন্ন দামে উন্নত ফিচার নিয়ে আসা সিরিজটি স্মার্টফোনকে জনসাধারণের কাছে সহজলভ্য করে তোলার জন্য প্রশংসিত হয়েছে।
হট ৫০ প্রো প্লাসের দাম ২৩ হাজার ৯৯৯ টাকা। অন্যদিকে হট ৫০ আই, হট ৫০ ও হট ৫০ প্রো বাজারে যথাক্রমে ১৩ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৬ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ১৮ হাজার ৯৯৯ টাকা দামে পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য