গত অর্থবছরে দারুণ লভ্যাংশ দেয়ার পরও ব্যাপক দরপতনের শিকার মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে হঠাৎ করেই চাঙাভাব দেখা দিল পুঁজিবাজারে।
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে এক দিনে দাম বেড়েছে ৩৪টির। বাকি দুটির মধ্যে একটির ইউনিট মূল্য কমেছে ২০ পয়সা, বাকিটির অপরিবর্তিত থাকে।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধির তালিকার ১০টির মধ্যে তিনটিই মিউচ্যুয়াল ফান্ড আর ২০টির মধ্যে সাতটি। এই সাতটির দর বেড়েছে সর্বনিম্ন ৬.৪৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৯.৭৪ শতাংশ।
সব মিলিয়ে দুটি ফান্ডের দর বেড়েছে সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি, একটির প্রায় ৮ শতাংশ, দুটির প্রায় ৭ শতাংশ, দুটির প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ, একটির ৬ শতাংশের বেশি, ছয়টির ৫ শতাংশের বেশি, ৯টির ৪ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে, ৫টির ৩ থেকে ৪ শতাংশ এবং ৬টির দর বেড়েছে ২ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে।
যে ফান্ডগুলোর দর বেড়েছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নতুন সিদ্ধান্তে সেগুলোর ইউনিটমূল্য আগামী কর্মদিবসে খুব একটা কমতে পারবে না। ১০ টাকার নিচের ফান্ডগুলোর ইউনিটমূল্য সর্বোচ্চ ১০ পয়সা, ১৫ টাকার নিচেরগুলোর ২০ পয়সা, ২০ টাকার নিচেরগুলোর ৩০ পয়সা কমতে পারবে।
এর কারণ এক দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা আছে ২ শতাংশ। কিন্তু যেহেতু শেয়ার বা ইউনিটের দর সর্বনিম্ন ১০ পয়সার হিসাব করে বাড়ানো বা কমানোরা অর্ডার দেয়া যায়, তাই ২ শতাংশ কমা সম্ভব হবে না সব সময়।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকে টানা চার কর্মদিবস তিন শতাধিক পয়েন্ট সূচক বাড়ার পর সোমবার ১.৭৯ পয়েন্ট সূচক পড়লেও পরদিন তা বেড়েছে ১.৫৪ পয়েন্ট।
দুই কর্মদিবস পর লেনদেন আবার এক হাজার কোটি টাকার বেশি বেড়েছে। সব মিলিয়ে হাতবদল হয়েছে এক হাজার ৬৫ কোটি ৬৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা।
আগের দিন লেনদেন ছিল ৯৮৬ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
সব মিলিয়ে ১৫১টি কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ১৯৯টির। অপরিবর্তিত ছিল বাকি ২৯টির দর।
আগের দিনের মতোই লেনদেনের সাড়ে চার ঘণ্টায় সূচক উঠানামা করেছে। তবে খুব বেশি কমেনি কখনও, বাড়েওনি সেখাবে।
লেনদেন শুরু হয়েছিল ৫ পয়েন্ট বেড়ে, এক পর্যায়ে তা নেমে যায় ১৫ পয়েন্টের মতো। তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২১ পয়েন্টের মতো বাড়ে বেলা পৌনে একটায়। পরে সেখান থেকে কিছুটা কমে।
আগ্রহ বেশি বস্ত্র খাতে
আগের কর্মদিবসের মতোই সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বস্ত্র খাতে। মোট ১৬০ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে এই খাতটিতে। আগের দিন লেনদেন ছিল ১৮০ কোটি টাকার বেশি।
তবে শতকরা হিসেবে লেনদেন অনেকটাই কমেছে। আগের দিন মোট লেনদেনের ২০ শতাংশের বেশি ছিল এই খাতে, এবার তা কমে হয়েছে ১৫ শতাংশের কিছু বেশি।
তবে লেনদেনে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেলেও এই খাতের বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। দর বেড়েছে ১৫টি কোম্পানির, বিপরীতে কমেছে ৩৪টির। বাকি ৯টি কোম্পানির দর ছিল অপরিবর্তিত।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বিবিধ থাকে। এই খাতের ১৪টি কোম্পানিতে ১৩১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে অবশ্য কেবল বেক্সিমকো লিমেটেডের লেনদেন ছিল ১০৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
তথ্য প্রযুক্তি খাতেও হঠাৎ করে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের। এই খাতের ১১টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ১৩০ কোটি টাকার বেশি। দাম বেড়েছে সব কটি কোম্পানির।
১০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন এবং প্রকৌশল খাতেও।
লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা ব্যাংক খাতে লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি টাকার কিছু বেশি। কমেছে বেশিরভাগ শেয়ারের দর। বেড়েছে ৮টি কোম্পানির শেয়ারদর, হারিয়েছে দ্বিগুণ সংখ্যক কোম্পানির। অন্যদিকে ৯টি কোম্পানির দর ছিল অপরিবর্তিত।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
এই তালিকায় প্রাধান্য ছিল তথ্য প্রযুক্তি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের। দুই খাতেরই তিনটি করে কোম্পানি বা ফান্ড ছিল এতে।
প্রায় ১০ শতাংশ করে বেড়েছে ই জেনারেশন, সম্প্রতি চাঙা হয়ে উঠা বিডিকম ও আমরা নেটওয়ার্কের শেয়ারদর।
জ্বালানি খাতের কোম্পানি অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন, মিউচুয়াল ফান্ড খাতের সিএপিএম আইবিবিএল ও ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটও দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হয়েছে।
শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো বস্ত্র খাতের এনভয় টেক্সটাইল, প্রকৌশল খাতের সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, ফার্স্ট জনতা মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের সিলভা ফার্মা।
দর পতনের সর্বোচ্চ সীমায় বিমার আধিক্য
বিএসিইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২ শতাংশের কাছাকাছি কমেছে ৩০টির বেশি কোম্পানির শেয়ারদর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোম্পানি আছে সাধারণ বিমা খাতের।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে ৫ টাকার নিচে লেনদেন হওয়া কোম্পানির শেয়ারদর কমা সম্ভব নয়, ৫ টাকা থেকে ১০ টাকার নিচের কোম্পানির শেয়ারদর সর্বোচ্চ ১০ পয়সা, ১০ টাকা থেকে ১৪ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত ২০ পয়সা, ১৫ টাকা থেকে ১৯ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত ৩০ পয়সা, ২০ টাকা থেকে ২৪ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত ৪০ পয়সা, ২৫ টাকা থেকে ২৯ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত ৫০ পয়সা, ৩০ টাকা থেকে ৩৪ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত ৬০ পয়সা, ৩৫ টাকা থেকে ৩৯ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত ৭০ পয়সা দাম কমতে পারে এক দিনে।
যতটা কমা সম্ভব ততটাই কমেছে এমন কোম্পানিগুলোর মধ্যে ছিল ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, শ্যামপুর সুগার, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, এনআরবিসি, এপেক্স স্পিনিং, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স।
অর্থাৎ দর পতনের সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৬টিই ছিল সাধারণ বিমা খাতের।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য