গত অর্থবছরে দারুণ লভ্যাংশ দেয়ার পরও ব্যাপক দরপতনের শিকার মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে হঠাৎ করেই চাঙাভাব দেখা দিল পুঁজিবাজারে।
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে এক দিনে দাম বেড়েছে ৩৪টির। বাকি দুটির মধ্যে একটির ইউনিট মূল্য কমেছে ২০ পয়সা, বাকিটির অপরিবর্তিত থাকে।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধির তালিকার ১০টির মধ্যে তিনটিই মিউচ্যুয়াল ফান্ড আর ২০টির মধ্যে সাতটি। এই সাতটির দর বেড়েছে সর্বনিম্ন ৬.৪৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৯.৭৪ শতাংশ।
সব মিলিয়ে দুটি ফান্ডের দর বেড়েছে সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি, একটির প্রায় ৮ শতাংশ, দুটির প্রায় ৭ শতাংশ, দুটির প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ, একটির ৬ শতাংশের বেশি, ছয়টির ৫ শতাংশের বেশি, ৯টির ৪ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে, ৫টির ৩ থেকে ৪ শতাংশ এবং ৬টির দর বেড়েছে ২ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে।
যে ফান্ডগুলোর দর বেড়েছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নতুন সিদ্ধান্তে সেগুলোর ইউনিটমূল্য আগামী কর্মদিবসে খুব একটা কমতে পারবে না। ১০ টাকার নিচের ফান্ডগুলোর ইউনিটমূল্য সর্বোচ্চ ১০ পয়সা, ১৫ টাকার নিচেরগুলোর ২০ পয়সা, ২০ টাকার নিচেরগুলোর ৩০ পয়সা কমতে পারবে।
এর কারণ এক দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা আছে ২ শতাংশ। কিন্তু যেহেতু শেয়ার বা ইউনিটের দর সর্বনিম্ন ১০ পয়সার হিসাব করে বাড়ানো বা কমানোরা অর্ডার দেয়া যায়, তাই ২ শতাংশ কমা সম্ভব হবে না সব সময়।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকে টানা চার কর্মদিবস তিন শতাধিক পয়েন্ট সূচক বাড়ার পর সোমবার ১.৭৯ পয়েন্ট সূচক পড়লেও পরদিন তা বেড়েছে ১.৫৪ পয়েন্ট।
দুই কর্মদিবস পর লেনদেন আবার এক হাজার কোটি টাকার বেশি বেড়েছে। সব মিলিয়ে হাতবদল হয়েছে এক হাজার ৬৫ কোটি ৬৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা।
আগের দিন লেনদেন ছিল ৯৮৬ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
সব মিলিয়ে ১৫১টি কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ১৯৯টির। অপরিবর্তিত ছিল বাকি ২৯টির দর।
আগের দিনের মতোই লেনদেনের সাড়ে চার ঘণ্টায় সূচক উঠানামা করেছে। তবে খুব বেশি কমেনি কখনও, বাড়েওনি সেখাবে।
লেনদেন শুরু হয়েছিল ৫ পয়েন্ট বেড়ে, এক পর্যায়ে তা নেমে যায় ১৫ পয়েন্টের মতো। তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২১ পয়েন্টের মতো বাড়ে বেলা পৌনে একটায়। পরে সেখান থেকে কিছুটা কমে।
আগ্রহ বেশি বস্ত্র খাতে
আগের কর্মদিবসের মতোই সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বস্ত্র খাতে। মোট ১৬০ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে এই খাতটিতে। আগের দিন লেনদেন ছিল ১৮০ কোটি টাকার বেশি।
তবে শতকরা হিসেবে লেনদেন অনেকটাই কমেছে। আগের দিন মোট লেনদেনের ২০ শতাংশের বেশি ছিল এই খাতে, এবার তা কমে হয়েছে ১৫ শতাংশের কিছু বেশি।
তবে লেনদেনে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেলেও এই খাতের বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। দর বেড়েছে ১৫টি কোম্পানির, বিপরীতে কমেছে ৩৪টির। বাকি ৯টি কোম্পানির দর ছিল অপরিবর্তিত।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বিবিধ থাকে। এই খাতের ১৪টি কোম্পানিতে ১৩১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে অবশ্য কেবল বেক্সিমকো লিমেটেডের লেনদেন ছিল ১০৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
তথ্য প্রযুক্তি খাতেও হঠাৎ করে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের। এই খাতের ১১টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ১৩০ কোটি টাকার বেশি। দাম বেড়েছে সব কটি কোম্পানির।
১০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন এবং প্রকৌশল খাতেও।
লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা ব্যাংক খাতে লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি টাকার কিছু বেশি। কমেছে বেশিরভাগ শেয়ারের দর। বেড়েছে ৮টি কোম্পানির শেয়ারদর, হারিয়েছে দ্বিগুণ সংখ্যক কোম্পানির। অন্যদিকে ৯টি কোম্পানির দর ছিল অপরিবর্তিত।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
এই তালিকায় প্রাধান্য ছিল তথ্য প্রযুক্তি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের। দুই খাতেরই তিনটি করে কোম্পানি বা ফান্ড ছিল এতে।
প্রায় ১০ শতাংশ করে বেড়েছে ই জেনারেশন, সম্প্রতি চাঙা হয়ে উঠা বিডিকম ও আমরা নেটওয়ার্কের শেয়ারদর।
জ্বালানি খাতের কোম্পানি অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন, মিউচুয়াল ফান্ড খাতের সিএপিএম আইবিবিএল ও ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটও দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হয়েছে।
শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো বস্ত্র খাতের এনভয় টেক্সটাইল, প্রকৌশল খাতের সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, ফার্স্ট জনতা মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের সিলভা ফার্মা।
দর পতনের সর্বোচ্চ সীমায় বিমার আধিক্য
বিএসিইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২ শতাংশের কাছাকাছি কমেছে ৩০টির বেশি কোম্পানির শেয়ারদর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোম্পানি আছে সাধারণ বিমা খাতের।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে ৫ টাকার নিচে লেনদেন হওয়া কোম্পানির শেয়ারদর কমা সম্ভব নয়, ৫ টাকা থেকে ১০ টাকার নিচের কোম্পানির শেয়ারদর সর্বোচ্চ ১০ পয়সা, ১০ টাকা থেকে ১৪ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত ২০ পয়সা, ১৫ টাকা থেকে ১৯ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত ৩০ পয়সা, ২০ টাকা থেকে ২৪ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত ৪০ পয়সা, ২৫ টাকা থেকে ২৯ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত ৫০ পয়সা, ৩০ টাকা থেকে ৩৪ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত ৬০ পয়সা, ৩৫ টাকা থেকে ৩৯ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত ৭০ পয়সা দাম কমতে পারে এক দিনে।
যতটা কমা সম্ভব ততটাই কমেছে এমন কোম্পানিগুলোর মধ্যে ছিল ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, শ্যামপুর সুগার, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, এনআরবিসি, এপেক্স স্পিনিং, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স।
অর্থাৎ দর পতনের সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৬টিই ছিল সাধারণ বিমা খাতের।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য