করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে প্রথমবারের মতো ফেব্রুয়ারির পাশাপাশি মার্চের অর্ধেক পর্যন্ত চলছে বইমেলা। বাকি আর মাত্র তিনদিন। বইমেলায় এখন বিদায়ের সুর। তবে মেলার শেষ দিনগুলোতে প্রতিবছর ভালো বিক্রি হলেও এবার সেরকম বিক্রি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ফেব্রুয়ারি মাসের মেলা ফেব্রুয়ারিতেই জমে। কেউ আবার অতিরিক্ত তাপমাত্রাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আবার কেউ বিক্রিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
পাঞ্জেরি প্রকাশনীর কোষাধ্যক্ষ মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসের মেলাটা ফেব্রুয়ারিতেই ভালো হয়। ১৫ তারিখ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত মেলার ভালো বিক্রি ছিল। যখন মার্চ মাসে চলে আসলাম তখন মেলাটা সেভাবে জমছে না। পাঠক আসছে না, সেভাবে বিক্রিও হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘মার্চ মাস মানেই হলো প্রচণ্ড রোদ। রাতের তাপমাত্রাও থাকে বেশি। এই তাপমাত্রায় বেলা ৩টা থেকে মেলায় না আসতে না চাওয়া একটা কারণ হতে পারে। মার্চে আশানুরূপ বিক্রি হয়নি।’
শিখা প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী নাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে মেলা বেশি জমেনি। ফেব্রুয়ারি মাসের মেলা ফেব্রুয়ারিতেই জমে। মার্চে তেমন একটা সাড়া পাচ্ছি না। শুধু শুক্রবার আর শনিবার মেলায় একটু বিক্রি হয়।’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলা একাডেমির স্টলের উপপ্রধান শামসুল হক বলেন, ‘করোনার পর মানুষের বই কেনার আগ্রহ বেশি বেড়েছে। অন্যবার থেকে এইবার বেশি বিক্রি হয়েছে। ভিড় হিসেবে ঠিক আছে। ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারিতে বেশি বিক্রি হয়েছে। আর শুক্র-শনিবার একটু বেশিই বিক্রি হয়। শেষ মুহূর্ত হিসেবে এখন বিক্রি বাড়েনি, তবে খারাপ না।’
নালন্দা প্রকাশনীর কম্পিউটার অপারেটর মো. ইমরান বলেন, টমেলার প্রথমদিকে আমাদের বিক্রিটা ভালো হচ্ছিল। কারণ যখন বলা হয়েছে মেলা ১৫ দিন হবে তখন ক্রেতারা এসে ভালোই বই কিনেছে। তবে যখন মেলা বাড়ানো হলো, তখন কাস্টমার কমে গেছে। শুক্র-শনিবার যেরকম বিক্রি হয় শেষের দিকে এসে শুক্র-শনিবারেও সে পরিমাণ বিক্রি হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘মেলার প্রথমদিকে আমাদের নিয়মিত এক-দেড় লাখ টাকা বিক্রি হয়। এখন ৪০-৪৫ হাজার বিক্রি করতেই বেগ পেতে হচ্ছে। কারণ যাদের বই কেনার তারা প্রথম দিকেই কিনে ফেলেছে। শেষ মুহূর্তে এসে আমাদের যেরকম আশানুরুপ বিক্রি হওয়ার কথা সেরকম হচ্ছে না।’
বইমেলা শেষের দিকে হলেও এখনও মেলায় আসছে নতুন বই। সোমবার মেলার ২৮তম দিনে নতুন বই এসেছে ৭৬টি।
আরও পড়ুন:ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দ্রুতগতির একটি প্রাইভেট কার উল্টে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ের যাত্রী ছাউনির পাশে ঢাকামুখী লেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকামুখী বেপরোয়া গতির প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজনের রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। গাড়িটিতে চারজনই ছিলেন।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। অন্য দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে চিকিৎসকরা আরও একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ দুর্ঘটনার কারণে প্রায় এক ঘণ্টা ওই সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের উদ্ধার অভিযানের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, গাড়িটি সরিয়ে নেওয়ার পর সকাল সোয়া ৭ টার দিকে ঢাকামুখী লেনে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শ্রীনগর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় প্রাইভেট কারটির ভাঙা অংশের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রক্ত। পড়ে আছে দুটি মরদেহ, আর আহত একজনের কান্না শোনা যাচ্ছিল।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ উপস্থিত সকলের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যে গতিতে এগোচ্ছে আরও গতি বাড়াতে সমন্বয় টিমের মাধ্যমে কাজ করতে চাই। আমি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় সেবা দরিদ্র, দুঃস্থ, অসহায়, অসচ্ছল মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সকলের সহযোগিতা চাই। এজন্য আমরা সবাই একসাথে কাজ করবো।
তিনি আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
নতুন সচিব বলেন,
আমি এই মন্ত্রণালয়ের সুনাম কাজের মাধ্যমে, আইন কানুন মেনে মানুষের সেবা দ্রুত নিশ্চিত করতে আপনাদের সহযোগিতা চাই। তিনি বলেন, সচিবের রুম আপনাদের জন্য সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে এবং ফাইল দ্রুত নিষ্পত্তি করে কাজের যথার্থতা নিশ্চিত করবেন। আপনারা নির্ভয়ে কাজ করবেন, আমার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আমিও আপনাদের থেকে শিখতে চাই এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ফেনীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ'র আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে পুনরায় ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে না। ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ কমবে, সংলাপের সংস্কৃতি গড়ে উঠবে ও প্রতিটি ভোটারের ভোট কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হবে। ফলে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠাও সম্ভব হবে।
বুধবার (২০ আগষ্ট) বিকেলে ফেনী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফেনী জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা গাজী এনামুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ফেনীতে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল করিম আকরাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ইসলাম, কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি প্রকৌশলী আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আল মোবারক, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা একরামুল হক ভূঁইয়া, ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাইফ উদ্দিন শিপন, জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আবদুল হান্নান ও জেলা হেফাজতের সেক্রেটারী মাওলানা ওমর ফারুক।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরের পতিত ফ্যাসিবাদের বিষাক্ত ছোঁয়া এখনও দেশকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আক্রমণের সময় শিষ্টাচার মানা জরুরি, কারণ কোনো অবস্থাতেই ফ্যাসিবাদকে ফের সুযোগ দেওয়া যাবে না। প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর রাষ্ট্র কাঠামো ও আইনী সংস্কারের কিছুটা অগ্রগতি হলেও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসেনি। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, এমনকি রাজনৈতিক পরিচয়ে ধর্ষণের মতো অপরাধও বেড়েছে। মিডফোর্ট হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জনতার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হলেও তা রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে আড়াল করা হয়েছে। এসব অপরাধের সাথে বিএনপির সম্পৃক্ততা ও তাদের দলীয়দের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত তা প্রমাণিত হয়েছে। তাই বিএনপিকে এর দায় নিতে হবে। বিএনপির ভেতরের অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।জুলাই বিপ্লব ছিল নতুন বাংলাদেশ আবিষ্কারের সূচনা। বিপ্লবীদের শ্লোগান ছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক বাক্সে ব্যালেটের মাধ্যমে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাআল্লাহ।
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের কাউটাইল এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীর দখল করে নির্মিত সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বাংলোবাড়ি উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ। বুধবার সকালে নদীর জায়গা দখলমুক্ত করতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান নদীর জমি দখল করে অবৈধভাবে বাংলোবাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল যা দীর্ঘদিন ধরে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছিল।
অভিযানে তিনটি ভবন টং ঘর এবং বিভিন্ন গাছপালা উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ, র্যাব-১০, ফায়ার সার্ভিস এবং আনসার সদস্যরা সহায়তা করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্টও পরিচালিত হয়।
বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন নদী রক্ষায় নিয়মিত এ ধরনের উচ্ছেদ অভিযান চলবে। প্রভাবশালী বা পরিচিতি কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আলোচিত স্যুটার মান্নান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি জুয়েল প্রধানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেল পাঁচটায় যশোরের বেনাপোল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা যায়।
আটক জুয়েল প্রধান (৩৫) গজারিয়া উপজেলার ষোলআনী গ্রামের শহীদুল্লাহ প্রধানের ছেলে।
খবর নিয়ে জানা যায়, স্যুটার মান্নান হত্যাকাণ্ডের পরও জুয়েল এলাকায় অবস্থান করছিল। এলাকার অবস্থান করে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে এমন খবরের ভিত্তিতে ০৯ আগস্ট ভোর ছয়টার দিকে ইমামপুর ইউনিয়নের ষোলআনীতে জুয়েলের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় জুয়েলসহ কয়েকজন পালিয়ে গেলেও পাঁচ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি পিস্তলসহ শাহ আজিজুর রহমান পলাশ নামে জুয়েলের এক সহযোগী আটক হয়। এ ঘটনার পর থেকে জুয়েলকে গ্রপ্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো পুলিশ। সর্বশেষ বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেল পাঁচটায় যশোরের বেনাপোল থেকে তাকে আটক করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ' বিকাল পাঁচটার দিকে আমি খবরটি পাই। আটকের পর তাকে গজারিয়া থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে'।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে দুদকের তৃতীয় দফায় অভিযানে খাবারে অনিয়ম, ঔষধে ঘাটতি, রোগীদের চিকিৎসা অবহেলা, নোংরা পরিবেশ সহ বিভিন্ন অনিয়মের সত্যতা মিলেছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে দুর্ণীতি দমণ কমিশন ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে।
দুর্ণীতি দমণ কমিশন ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মুস্তাফিজ বলেন, রাজবাড়ী জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা প্রদানে হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুর কর্তৃক একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে হাসপাতালের বহি:বিভাগ, জরুরি বিভাগ, সার্জারি বিভাগসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং রোগীদের খাবারের মান পরিদর্শন করা হয়। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা ও রোগীদের সাথে আলাপচারিতায় প্রতীয়মান হয় যে, হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা প্রকট। রোগীর তুলনায় চিকিৎসকের সংকটও অত্যন্ত দৃশ্যমান। হাসপাতালের ওয়াশরুমগুলো অপরিচ্ছন্ন এবং ভর্তি রোগীদের সকলকে নিয়মিত খাবার সরবরাহ করা হয় না মর্মে টিম পরিলক্ষিত করে। অভিযানকালে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে জরুরি বিভাগে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসক কর্তব্যরত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা, হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও খাবারের মান উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করে এনফোর্সমেন্ট টিম। অভিযানকালে খাবারে অনিয়ম, ঔষধে ঘাটতি, রোগীদের চিকিৎসা অবহেলা, নোংরা পরিবেশ সহ বিভিন্ন অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যায়। প্রাপ্ত তথ্যাবলির প্রেক্ষিতে টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
তিনি আরও বলেন, অভিযানচালে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. এসএম আব্দুল হান্নান কাঙ্খিত সহযোগিতা করেনি। তিনি অভিযান চলাকালে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান।
অভিযানে সহযোগিতা করেন, দুর্ণীতি দমন কমিশন ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান, সহকারী পরিদর্শক শামীম।
অভিযান চলাকালে রাজবাড়ী জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের একটি টিম হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। তারা দীর্ঘ সময় তত্বাবধায়কের অফিসে বসে থাকলেও তাকে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব তুহিনুর রহমান বলেন, আমরা জেলা, সদর ও পৌর স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতারা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে হাসপাতাল পরিদর্শন করি। চিকিৎসায় অবহেলা, নোংরা পরিবেশ, দালালদের দৌরাত্ব সহ নানা অনিয়ম পাই। বিষয়টি তত্বাবধায়ককে অবগত করতে ও সেবার মান বাড়াতে কথা বলতে গেলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
ফের ৬ ইঞ্চি করে ছাড়া হলো রাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের (কপাবিকে) ১৬ টি জলকপাট। বিষয়টি নিশ্চিত করে কপাবিকে এর ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, হঠাৎ করে গত কয়েকদিন ধরে কাপ্তাই লেকের তীরবর্তী অঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় মুহূর্তে মুহূর্তে লেকের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় অথাৎ বিপদ সীমার উপর অতিক্রম করায় ফের দ্বিতীয় বারের মতো আজ বুধবার (২০ আগস্ট) রাত ৮ টার কিছু সময় পর কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে করে কাপ্তাই লেক হতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। তিনি আরোও জানান বুধবার ( ২০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭ টায় কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা ছিল ১০৮. ৩৫ ফুট মীনস সি লেভেল। লেকে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট মীনস সি লেভেল।
প্রসঙ্গত: রাঙামাটির কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা বীপদ সীমার উপর অতিক্রম করায় অথাৎ ১০৯ ফুটের প্রায় কাছাকাছি চলে আসায় চলতি মাসের গত ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২ টা ৫ মিনিটে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের( কপাবিকে) ১৬ টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ড ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক হতে কর্ণফুলি নদীতে নিষ্কাশন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লেকের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এরপর কেন্দ্রের জলকপাট দেড় ফুট, পরবর্তীতে আড়াই ফুট এবং সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ফুট পর্যন্ত করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে পানি ছাড়ার ৭ দিন পর লেকে পানির উচ্চতা কমে আসায় গত ১২ আগস্ট সকাল ৯ টায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল রাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট।
মন্তব্য