টানা চার দিন উত্থান শেষে দেশের পুঁজিবাজারে সূচক সামান্য কমেছে। পাশাপাশি কিছুটা কমেছে লেনদেন।
ব্যাংক ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর পর পর দুই দিন লেনদেন হলো এক হাজার কোটি টাকার নিচে, যদিও আগের দিন নয় কর্মদিবস পরে লেনদেন হাজার কোটির ওপরে উঠে এসেছিল।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয় ১৩ পয়েন্ট বেড়ে। পরে দিনভর উত্থান পতনের মধ্যে বেলা শেষে ১.৭৯ পয়েন্ট কমে শেষ হয় তা।
সূচকের এই কমে যাওয়া একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল এমন নয়। আগের চার দিন বাড়ার কারণে কিছুটা সংশোধন হতেই পারে- এমন একটি ধারণা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছড়িয়েছিল আগেই।
তবে সংশোধনে সূচকের পতনের খুব বেশি সুযোগ নেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা দুই শতাংশ নির্ধারণ করে দেয়ায়।
১৬৭টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ১৭৮টি কোম্পানির দরপতনের ভিড়ে ৫৩টি কোম্পানির দর কমেছে নতুন সার্কিট ব্রেকার। আরও ২০টির বেশি কোম্পানি দর পতনের সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি থেকে লেনদেন শেষ করেছে।
লেনদেন হয়েছে ৯৮৬ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৯৯৮ কোটি ৭৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।
গত বৃহস্পতিবার ৯ কর্মদিবস পর লেনদেন এক হাজার ৬১ কোটি ২০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা হয়েছিল।
এরপর সেখান থেকে লেনদেন কমে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে, বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা এলেও শেয়ার কেনায় সতর্ক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পুঁজিবাজারে যে ধস দেখা দেয়, সেখান থেকে বাজার ঘুরে দাঁড়ায় গত ৮ মার্চ। সেদিনও এক ঘণ্টা যেতে না যেতেই সূচক ১৩৭ পয়েন্ট কমে গেলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বিশেষ উদ্যোগে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায়।
এরপর থেকে টানা চার দিনে সূচকে যোগ হয় ৩০৯ পয়েন্ট। আগের ৮ কর্মদিবসে সূচক থেকে হারিয়ে গিয়েছিল ৩৮২ পয়েন্ট।
বাজারের ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে এক শ কোটি টাকা জরুরি ভিত্তিতে বিনিয়োগের ঘোষণা কাজ করেছে। এর পর আসে আরেক সিদ্ধান্ত। একদিনে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয় ২ শতাংশ।
এরপর বাজারে তারল্যপ্রবাহ বাড়াতে বিএসইসি ব্যাংক ও সম্পদ ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে বৈঠক করে। ৯ মার্চ ব্যাংক ও পরের দিন মিউচ্যুয়াল ফান্ড পরিচালনাকারী সম্পদ ব্যবস্থাপকরা পুঁজিবাজারে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দেন।
সোমবার খাতওয়ারি সবচেয়ে ভালো দিন গেছে জীবন বিমা খাতের। এই খাতের ১৩টি কোম্পানির মধ্যে ১২টিরই দর বেড়েছে। কমেছে একটির।
৩৬টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৮টির। কমেছে কেবল একটির। বাকিগুলো দর ধরে রাখতে পেরেছে।
সিমেন্ট খাতের সাতটির মধ্যে ৬টি, কাজগ ও আনুষঙ্গিক খাতের ৬টির মধ্যে ৪টির দর বেড়েছে।
ব্যাংক, ফার্মা, প্রকৌশল ও খাদ্য খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। আগের দিন বস্ত্রের প্রায় সব কোম্পানির দর বাড়লেও এদিন কমেছে বেশিরভাগের।
দর বৃদ্ধির সেরা দশে বস্ত্রের প্রাধান্য
এদিন সবচেয়ে বেশি ৯.৮১ শতাংশ বা ৩ টাকা ৭০ পয়সা বেড়েছে তথ্য প্রযুক্তি খাতের বিডিকমের দর। এ নিয়ে টানা ছয় কর্মদিবস শেয়ারটি লেনদেন হলো দিনের সর্বোচ্চ সীমায়।
গত ৩ মার্চ শেয়ারের দর ছিল ২৩ টাকা ৬০ পয়সা, সেখান তেকে এখন তা উঠে এসেছে ৪১ টাকা ৪০ পয়সায়।
দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হয়েছে জেড ক্যাটাগরির লোকসানি কোম্পানি সাভার রিফ্রাকটরিজেরও। ৮.৭৩ শতাংশ দর বেড়েছে কোম্পানিটির।
আর কোনো কোম্পানির দর সার্কিট ব্রেকার ছুঁতে পারেনি।
দর বৃদ্ধির সেরা ১০ কোম্পানিতে থাকা অন্য সাতটি কোম্পানির মধ্যে চারটিই বস্ত্র খাতের। এগুলো হলো এনভয় টেক্সটাইল, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, ভিএসএফ থ্রেড ও মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস।
বাকি তিন কোম্পানি হলো ফার কেমিক্যাল, রূপালী লাইফ ও এশিয়ান টাইগার মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
দর পতনের সেরা ১০
এই তালিকাতেও দেখা গেছে বস্ত্র খাতের প্রাধান্য। শীর্ষে ছিল আলিফ ম্যানিফেকচারিং কোম্পানি, যার দর কমেছে ২ শতাংশ। বাকি ৯টি কোম্পানির মধ্যে আরও চারটি একই খাতের।
কোম্পানিগুলো হলো এম এল ডায়িং, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ম্যাকসন্স স্পিনিং ও আমান কটন।
বাকি ৫ কোম্পানির মধ্যে খাদ্য খাতে ছিল দুই লোকসানি কোম্পানি জিলবাংলা ও মেঘনা পেট, প্রকৌশল খাতের বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম ও ইয়াকিন পলিমার এবং জ্বালানি খাতের অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন।
লেনদেনে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ
গত কয়েকদিনের মতো আবার এই তালিকার শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিডেট। ৫৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এই একটি কোম্পানির।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ কোটি ২০ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে ভিএসএফ থ্রেডের।
অন্য আটটি কোম্পানি হলো বিডিকম, অগ্নি সিস্টেমস, ওরিয়ন ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, কেয়া কসমেটিকস, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, জিএসপি ফাইন্যান্স এবং ড্রাগন সোয়েটার।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য