টানা চার দিন উত্থান শেষে দেশের পুঁজিবাজারে সূচক সামান্য কমেছে। পাশাপাশি কিছুটা কমেছে লেনদেন।
ব্যাংক ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর পর পর দুই দিন লেনদেন হলো এক হাজার কোটি টাকার নিচে, যদিও আগের দিন নয় কর্মদিবস পরে লেনদেন হাজার কোটির ওপরে উঠে এসেছিল।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয় ১৩ পয়েন্ট বেড়ে। পরে দিনভর উত্থান পতনের মধ্যে বেলা শেষে ১.৭৯ পয়েন্ট কমে শেষ হয় তা।
সূচকের এই কমে যাওয়া একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল এমন নয়। আগের চার দিন বাড়ার কারণে কিছুটা সংশোধন হতেই পারে- এমন একটি ধারণা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছড়িয়েছিল আগেই।
তবে সংশোধনে সূচকের পতনের খুব বেশি সুযোগ নেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা দুই শতাংশ নির্ধারণ করে দেয়ায়।
১৬৭টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ১৭৮টি কোম্পানির দরপতনের ভিড়ে ৫৩টি কোম্পানির দর কমেছে নতুন সার্কিট ব্রেকার। আরও ২০টির বেশি কোম্পানি দর পতনের সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি থেকে লেনদেন শেষ করেছে।
লেনদেন হয়েছে ৯৮৬ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৯৯৮ কোটি ৭৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।
গত বৃহস্পতিবার ৯ কর্মদিবস পর লেনদেন এক হাজার ৬১ কোটি ২০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা হয়েছিল।
এরপর সেখান থেকে লেনদেন কমে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে, বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা এলেও শেয়ার কেনায় সতর্ক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পুঁজিবাজারে যে ধস দেখা দেয়, সেখান থেকে বাজার ঘুরে দাঁড়ায় গত ৮ মার্চ। সেদিনও এক ঘণ্টা যেতে না যেতেই সূচক ১৩৭ পয়েন্ট কমে গেলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বিশেষ উদ্যোগে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায়।
এরপর থেকে টানা চার দিনে সূচকে যোগ হয় ৩০৯ পয়েন্ট। আগের ৮ কর্মদিবসে সূচক থেকে হারিয়ে গিয়েছিল ৩৮২ পয়েন্ট।
বাজারের ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে এক শ কোটি টাকা জরুরি ভিত্তিতে বিনিয়োগের ঘোষণা কাজ করেছে। এর পর আসে আরেক সিদ্ধান্ত। একদিনে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয় ২ শতাংশ।
এরপর বাজারে তারল্যপ্রবাহ বাড়াতে বিএসইসি ব্যাংক ও সম্পদ ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে বৈঠক করে। ৯ মার্চ ব্যাংক ও পরের দিন মিউচ্যুয়াল ফান্ড পরিচালনাকারী সম্পদ ব্যবস্থাপকরা পুঁজিবাজারে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দেন।
সোমবার খাতওয়ারি সবচেয়ে ভালো দিন গেছে জীবন বিমা খাতের। এই খাতের ১৩টি কোম্পানির মধ্যে ১২টিরই দর বেড়েছে। কমেছে একটির।
৩৬টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৮টির। কমেছে কেবল একটির। বাকিগুলো দর ধরে রাখতে পেরেছে।
সিমেন্ট খাতের সাতটির মধ্যে ৬টি, কাজগ ও আনুষঙ্গিক খাতের ৬টির মধ্যে ৪টির দর বেড়েছে।
ব্যাংক, ফার্মা, প্রকৌশল ও খাদ্য খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। আগের দিন বস্ত্রের প্রায় সব কোম্পানির দর বাড়লেও এদিন কমেছে বেশিরভাগের।
দর বৃদ্ধির সেরা দশে বস্ত্রের প্রাধান্য
এদিন সবচেয়ে বেশি ৯.৮১ শতাংশ বা ৩ টাকা ৭০ পয়সা বেড়েছে তথ্য প্রযুক্তি খাতের বিডিকমের দর। এ নিয়ে টানা ছয় কর্মদিবস শেয়ারটি লেনদেন হলো দিনের সর্বোচ্চ সীমায়।
গত ৩ মার্চ শেয়ারের দর ছিল ২৩ টাকা ৬০ পয়সা, সেখান তেকে এখন তা উঠে এসেছে ৪১ টাকা ৪০ পয়সায়।
দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হয়েছে জেড ক্যাটাগরির লোকসানি কোম্পানি সাভার রিফ্রাকটরিজেরও। ৮.৭৩ শতাংশ দর বেড়েছে কোম্পানিটির।
আর কোনো কোম্পানির দর সার্কিট ব্রেকার ছুঁতে পারেনি।
দর বৃদ্ধির সেরা ১০ কোম্পানিতে থাকা অন্য সাতটি কোম্পানির মধ্যে চারটিই বস্ত্র খাতের। এগুলো হলো এনভয় টেক্সটাইল, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, ভিএসএফ থ্রেড ও মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস।
বাকি তিন কোম্পানি হলো ফার কেমিক্যাল, রূপালী লাইফ ও এশিয়ান টাইগার মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
দর পতনের সেরা ১০
এই তালিকাতেও দেখা গেছে বস্ত্র খাতের প্রাধান্য। শীর্ষে ছিল আলিফ ম্যানিফেকচারিং কোম্পানি, যার দর কমেছে ২ শতাংশ। বাকি ৯টি কোম্পানির মধ্যে আরও চারটি একই খাতের।
কোম্পানিগুলো হলো এম এল ডায়িং, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ম্যাকসন্স স্পিনিং ও আমান কটন।
বাকি ৫ কোম্পানির মধ্যে খাদ্য খাতে ছিল দুই লোকসানি কোম্পানি জিলবাংলা ও মেঘনা পেট, প্রকৌশল খাতের বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম ও ইয়াকিন পলিমার এবং জ্বালানি খাতের অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন।
লেনদেনে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ
গত কয়েকদিনের মতো আবার এই তালিকার শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিডেট। ৫৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এই একটি কোম্পানির।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ কোটি ২০ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে ভিএসএফ থ্রেডের।
অন্য আটটি কোম্পানি হলো বিডিকম, অগ্নি সিস্টেমস, ওরিয়ন ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, কেয়া কসমেটিকস, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, জিএসপি ফাইন্যান্স এবং ড্রাগন সোয়েটার।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য