বাজারে বাড়ছে উত্তাপ। রমজান মাসকে সামনে রেখে প্রায় প্রতিটি প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে নানান পদক্ষেপের কথা বললেও কার্যত কোনো কিছুই কাজে আসছে না।
এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ, কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে মধ্যবিত্তের মানুষও হিমশিম খাচ্ছেন বাজারে গিয়ে। বলছেন, আয় না বাড়লেও কয়েক গুণ খরচ বেড়েছে।
রোজায় সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা, খেজুর, ডাল, পোলাওয়ের চাল ও মাংসের। রোজার ১৫ দিন বাকি থাকতেই এসব পণ্যের দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে গেছে।
পণ্যের দাম ক্রেতাদের কাছে সহনীয় রাখতে কনজ্যুমার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন মালেক পণ্যের সরবরাহ চ্যানেল নিরবচ্ছিন্ন করার ওপর জোর দেন। সে সঙ্গে বাজারে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, অতি মুনাফা প্রবণতা দমনে কঠোর তদারকির কথা বলেন তিনি।
ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্যতালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ গত দুই বছরে মোটা দানার মসুর ডাল ৬৩, চিনি ৩২, বোতলজাত সয়াবিন তেল ৫৫, খোলা সয়াবিন তেলের দাম ৮৩ শতাংশ বেড়েছে।
ভোজ্য তেল সয়াবিন
গত মাসের প্রথম দিকে ভোজ্য তেল সয়াবিনের লিটারে ১২ টাকা নতুন করে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে ব্যবসায়ীরা। সে প্রস্তাবে সরকার না কলে দিলে বাজারে তৈরি হয় কৃত্রিম সংকট। তখন থেকেই হু হু করে সারা দেশে বাড়তে থাকে তেলের দাম।
গেল ৬ ফেব্রুয়ারি ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে বোতলজাত সয়াবিনের লিটার ১৬৮ এবং খোলা সয়াবিনের দাম বেঁধে দেয়া হয় ১৪০ টাকা। আর পাম অয়েল প্রতি লিটার ১৩৩ টাকা।
অথচ ক্রেতাদের অভিযোগ, তারা কোনো তেলই ২০০ টাকা লিটারের কমে কিনতে পারছেন না। এমনকি খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, তাদের কাছেও পাইকারি বিক্রেতারা দাম নিচ্ছেন বেশি।
এ জন্য ব্যবসায়ীরা বিশ্ববাজারে তেলের দামের অজুহাত দিচ্ছেন। গত বছর বিশ্ববাজারে প্রতিটন সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১ হাজার ২৩৫ ডলার। এখন সেটি ১ হাজার ৯৩০ ডলারে কিনতে হচ্ছে। যেহেতু ভোজ্য তেলে প্রায় শতভাগ আমদানিনির্ভর, তাই বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির সঙ্গেই দেশে দাম বাড়িয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য, দেশে প্রতিবছর ভোজ্য তেলের চাহিদা গড়ে ২০ লাখ টন। সে হিসাবে মাসে চাহিদা প্রায় দেড় লাখ টন। আর রমজানে এ চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় সাড়ে তিন থেকে ৪ লাখ টন।
সরিষার তেল
সয়াবিনের পাশাপাশি হঠাৎ দাম বেড়ে গেছে সরিষার তেলের। বাজারে রাঁধুনী ব্র্যান্ডের প্রতি লিটার সরিষার তেল ২৯৫ টাকা, প্রাণের ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কনজ্যুমার ফোরামের বাজারদর গবেষণার তথ্য বলছে, এক মাস আগেও রাঁধুনীর সরিষার তেলের দাম ছিল ২৮০ টাকা। সেই হিসাবে বছর ব্যবধানে তাদের তেলের দাম বেড়েছে ২২ শতাংশ।
স্বাদ ব্র্যান্ডের সরিষার তেল এখন ১০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকা লিটার, দাম বেড়েছে ১৩ দশমিক ০৪ শতাংশ।
সরিষার তেলের বার্ষিক চাহিদা কত তার অবশ্য সঠিক কোনো হিসাব নেই। বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন বলছে, দেশে বছরে সরিষার তেল উৎপাদন হয় ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে দুই লাখ মেট্রিক টন, বিপরীতে চাহিদা অনেক বেশি।
বাংলাদেশ অয়েল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ জানান, সয়াবিন তেলের ওপর সরকারের বেশি গুরুত্বারোপের কারণে সরিষার তেলের উৎপাদন বাড়েনি।
তিনি বলেন, ‘সয়াবিন তেলে শুল্ক ছাড়সহ শিল্প স্থাপনে নানা সুবিধা দিলেও সরিষা উৎপাদনকারীরা তেমন সুবিধা পায়নি। অনেক উদ্যোক্তাই এই ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। চাহিদা বাড়তে থাকায় নতুনরা অবশ্য ব্যবসায়ে নামছে।’
খেজুর
রোজার আগেই বেড়েছে খেজুরের দাম। কয়েক দিন খুচরাপর্যায়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হওয়া কিছুটা নিম্নমানের খেজুর এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। মাঝারি মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, যা কিছুদিন আগে ছিল ২২০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। অপেক্ষাকৃত ভালো মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। কিছুদিন আগে এই খেজুরের দাম ছিল ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘আড়তে খেজুরের দাম বেড়ে গেছে। কিছুদিন আগে আমরা যে খেজুর ২০০ টাকায় বিক্রি করেছি, তা এখন ২৫০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে।’
ডাল
গত তিন-চার মাসে মসুর ডালের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। রাজধানীর কয়েকটি বাজারে দেখা গেছে, আমদানি করা মসুর ডালের কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকা এবং দেশি মসুর ডাল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মুগ ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৫০ এবং অ্যাঙ্কর ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে মসুর, খেসারি, মাষকলাই, মটর, মুগ, ছোলাসহ ডালজাতীয় ফসলের মোট উৎপাদন হয়েছে ৯ লাখ ৩১ হাজার ২১০ টন। এই উৎপাদন আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার টন কম। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই উৎপাদন ছিল ১০ লাখ ৬৪ হাজার টন।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ডাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ ২ হাজার ৮৭ টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশে সব ধরনের ডালের চাহিদা ২৬ থেকে ২৭ লাখ টন। দেশে গড়ে উৎপাদন ৯-১০ লাখ টন। আর বাকি প্রায় ১৭ লাখ টন ডাল আমদানি করতে হয়।
চিনি
কয়েক মাস স্থির থাকার পর আবার বেড়েছে চিনির দাম। ১৫ থেকে ২০ দিন আগে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হয়েছিল ৭৫-৭৬ টাকায়, ৫ থেকে ৬ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮২ টাকায়।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) এবং টিসিবির হিসাবে বছরে দেশে চিনির চাহিদা ১৫ থেকে ১৭ লাখ টন। মোট চাহিদার এক থেকে দেড় লাখ টন চিনির জোগান আসে রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫টি কারখানা থেকে। তা ছাড়া বছরের বিভিন্ন সময় সরকার টিসিবির মাধ্যমেও কিছু চিনি আমদানি করে। অর্থাৎ চাহিদার প্রায় ৭ থেকে ৮ শতাংশ চিনির জোগান আসে সরকারিভাবে। বাকি চিনির জোগান আসে বেসরকারি কারখানা থেকে।
ছোলা
রমজানকে সামনে রেখে গত এক-দু মাসেই ছোলার দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি, কয়েক দিন আগেও এটি ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন বলছে, দেশে বছরে ১০ থেকে ১৫ লাখ টন ছোলার প্রয়োজন হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে ছোলা উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৫ হাজার ৬৭৬ টন। আর সারা বছর যে পরিমাণ ছোলার প্রয়োজন হয়, তার অর্ধেকই লাগে রমজানে।
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, রোজার মাসে দেশে ছোলার চাহিদা ৮০ হাজার টন।
ছোলার অভ্যন্তরীণ চাহিদার বেশির ভাগ পূরণ হয় অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানির মাধ্যমে। রোজায় বাড়তি চাহিদার কারণে মাঝেমধ্যে মিয়ানমার থেকেও অল্প পরিমাণ আমদানি করা হয়।
নতুন উচ্চতায় মূল্যস্ফীতি
এক কথায়, মূল্যস্ফীতি হচ্ছে দামের একক। অর্থাৎ কোনো পণ্যের প্রকৃত যে দাম, তার চেয়ে বেশি দামে কেনার নামই মূল্যস্ফীতি। অর্থনীতির এই সূচক উসকে যাওয়ায় বাড়ছে নাভিশ্বাস।
সরকারের মূল্যস্ফীতির হিসাবের সঙ্গে বেসরকারি গবেষণা তথ্যের ফারাক অনেক। সরকারের দাবি, দেশে এখন মূল্যস্ফীতি সাড়ে পাঁচ থেকে ৬ শতাংশ।
অন্যদিকে গবেষণা সংস্থা সানেম বলছে, এই হার এখন ১২ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
সানেমের জরিপ বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শহর এলাকায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। শহরের মানুষ তাদের আয়ের ৬১ দশমিক ১৩ শতাংশ অর্থ খাদ্যপণ্যে ব্যয় করে। আর গ্রামাঞ্চলে থাকা মানুষের মূল্যস্ফীতির হার ১২ দশমিক ১০ শতাংশ।
শহরের গার্মেন্টস শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তারা খাদ্যপণ্য কিনতে ব্যয় করে আয়ের ৬০ দশমিক ৫২ শতাংশ অর্থ। এ ছাড়া দৈনিকভিত্তিক শ্রমিকদের আয়ের ৬১ দশমিক ৫৯ শতাংশ ব্যয় করে খাদ্যপণ্য কিনতে।
রিকশা ও ভ্যানচালক শ্রেণির মানুষ খাদ্যপণ্য কিনতে ব্যয় করে আয়ের ৬০ দশমিক ৯১ শতাংশ, ছোট ব্যবসায়ীরা ৬১ দশমিক ৫১ শতাংশ অর্থ খরচ করেন।
আরও পড়ুন:শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত ০২ জুন, সোমবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি।
জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মরতুজা, মোঃ ফয়েজ আলম ও মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহসভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। আবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। ট্রেড লাইসেন্স নিতেও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্রের বাধ্যবাধকতায় এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। এত দিন ৪৬টি সেবায় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা ছিল।
এখন ১১ ধরনের সেবা নিতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন) সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র দাখিল করলেই হবে। ওই ১১টি সেবা হলো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণে; সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তিতে; সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ারের নতুন লাইসেন্স গ্রহণে; ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ ও নবায়নে; চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী ও কর আইনজীবী, অ্যাকচুয়ারি, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণে; পাঁচ লাখ টাকার অধিক পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়; এমপিওভুক্তির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মচারীর কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্ট্যাম্প, কোর্ট ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তিতে; ত্রি-চক্র মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নে; ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং অথরিটির কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, ২০১৫ সালের পর এখন পর্যন্ত বেতন কাঠামো প্রণীত না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।
ঘরে বসে যেসব ক্রেতারা কেনাকাটা করতে চান, তাদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা আগামী অর্থবছর থেকে খানিকটা ব্যয়বহুল হতে পারে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় থেকে কমিশনের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পণ্যের দাম বেশি হতে পারে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ।
জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে ভিন্ন আঙ্গিকে পেশ হলো বাজেট। এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপন করার পর ৩০ জুন তা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর করা হবে।
তবে অতীতের রেওয়াজ মেনে বাজেট ঘোষণার পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাজেট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া পুরো জুন মাসজুড়ে অংশীজনদের মতামত নেওয়ার কথাও তিনি বলেছেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে সরকারের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করায় এবং সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাওয়ায় মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তার এ বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে তখন আমাদের সামনে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেয়া।
তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি। এর ফলে নীতি সুদের হার ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে সহায়তা করতে সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি অনুসরণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনায় সার্বিকভাবে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০.৮৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আশার কথা হলো এবারের রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সবচাইতে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সাথে এ লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।’
মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা জরুরি উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকা অত্যাবশ্যক। প্রবাস আয়ের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক হওয়ায় এবং রপ্তানি স্থিতিশীল থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এপ্রিল মাসে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সে কারণে আমরা বিগত ১৪ মে তারিখে বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালু করেছি।
১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আর্থিক অস্থিরতা সামাল দিতে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। এর মূল লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক মুদ্রানীতি সমন্বয় সাধন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে উৎসাহ দেওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা। বহু দেশ সংকটে পড়ে এই সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে- কেউ সাময়িকভাবে রক্ষা পেয়েছে, কেউ আবার দীর্ঘমেয়াদি ঋণনির্ভরতার ফাঁদে পড়ে গেছে।
আজ, যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য ক্রমশ পশ্চিমকেন্দ্রীকতা থেকে সরে পূর্ব ও দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন আইএমএফ তার প্রাসঙ্গিকতা ও নৈতিক অবস্থান নিয়ে এক নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন।
ঋণ সহায়তা, নাকি ঋণের ফাঁদ?
আইএমএফ সাধারণত এমন শর্তে ঋণ দেয়, যার মধ্যে থাকে কঠোর ব্যয়সংযম, ভর্তুকি হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারমুখী সংস্কার; কিন্তু এই শর্তগুলো অনেক সময় জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। স্থানীয় শিল্প ধসে পড়ে, বৈষম্য বেড়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে। আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞতা এর এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। ২০১৮ সালে আইএমএফ ইতিহাসের বৃহত্তম ঋণ প্যাকেজ ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করে। ফল ছিল বিপরীত- মুদ্রাস্ফীতি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, দারিদ্র্য আরও বেড়ে যায় এবং দেশটি আবার মন্দার মুখে পড়ে।
এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে শুধু অর্থনৈতিক সমীকরণ দিয়ে কোনো দেশের সামাজিক বাস্তবতা নির্ধারণ চলে না।
আইএমএফের নীতিনির্ধারণ কাঠামো এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী শক্তির ভারসাম্যের প্রতিচ্ছবি। উন্নত দেশগুলো (বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সংগঠনের ভোটের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশগ্রহণ প্রায় অনুপস্থিত। এই গণতান্ত্রিক ঘাটতি আজ দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গভীর অসন্তোষ ও অবিশ্বাসের জন্ম দিচ্ছে।
বিকল্প প্রতিষ্ঠানের উত্থান
এই প্রেক্ষাপটে বিকল্প আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (NDB), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (AIIB) এবং ল্যাটিন আমেরিকান রিজার্ভ ফান্ড (FLAR) নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। (NDB) এর সহায়তা তুলনামূলকভাবে শর্তমুক্ত এবং অংশগ্রহণমূলক। এখানে প্রতিটি দেশের ভোটের ও প্রতিনিধিত্বের সমান সুযোগ আছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলো আরও আগ্রহী করে তুলেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন শুধু আর্থিক বিকল্প নয়- এরা এক নতুন উন্নয়ন দর্শনের বাহক। সেই দর্শনে উন্নয়ন নির্ধারিত হয় স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে, বাইরের চাপ বা রূঢ় শর্ত নয়।
বিশ্ব আজ বহুমেরু। অর্থনৈতিক শক্তি ছড়িয়ে পড়ছে নানা অঞ্চলে। এই বাস্তবতায় টিকে থাকতে হলে আইএমএফকে নিজস্ব কাঠামো ও দর্শনে রূপান্তর আনতে হবে। প্রয়োজন গভর্ন্যান্সের সংস্কার, নীতিনির্ধারণে সমান অংশগ্রহণ, এবং সর্বোপরি সহানুভূতিশীল ঋণ নীতিমালা।
আইএমএফ যদি সত্যিই বৈশ্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতার অভিভাবক হতে চায়, তাহলে তাকে হতে হবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক, এবং আঞ্চলিক বাস্তবতাসম্মত এটি শুধু আইএমএফের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন নয়; এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্ন।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচার হওয়া অর্থ জব্দ কর তা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার পরমর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময়ে এবারের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর এফডিসিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচারকৃত অর্থ জব্দের মাধ্যমে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করলে তা হতে পারে এবারের বাজেটের একটি অভিনব উৎস।’
‘গত সরকারের রেখে যাওয়া বিদেশি ঋণের চাপ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এই সরকারের এই সময়ে অন্যতম সাফল্য ৫০০ কোটি (৫ বিলিয়ন) ডলার পরিশোধ করে বিদেশি ঋণের চাপ কমিয়ে আনা,’ যোগ করেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ঋণ বিলিয়ন ডলার করে বছর বছর বাড়ছিল। সামগ্রিকভাবে এই সরকারের সাফল্যের জায়গাটা হলো বহির্খাত, রেমিট্যান্স, রপ্তানি, দায়-দেনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মজুদ বাড়ানো ও টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখা।’
তবে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘খেলাপি ঋণ আদায়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এবং করের আওতা বাড়ানোর মতো নতুন কোনো কিছু না থাকায় এবারের বাজেটে কোনো চমক থাকছে না।’
‘যে প্রকল্পগুলো সরকারের কাছে আছে, তা অতিমূল্যায়িত ও তার ৪০ শতাংশ ব্যয়ই ভুয়া। আগের যে প্রকল্পগুলো থেকে রক্তক্ষরণ হতো, সেগুলো অব্যাহত আছে,’ বলেন তিনি।
সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো বলেন, ‘রাজস্ব ব্যয় সঠিকভাবে না করলে করদাতাদের উৎসাহ থাকে না। আমাদের কর কাঠামো বৈষম্যনির্ভর। আমাদের বৈদেশিক খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা অর্জিত হলেও ব্যক্তি খাতে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ এখনো আশানুরূপ অর্জিত হয়নি।’
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামের একটি বিতর্ক সংগঠন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজকে পরাজিত করে ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
মন্তব্য