পুঁজিবাজারে ধস ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুটি পদক্ষেপের পর টানা চার কর্মদিবস বাড়ল সূচক। আগের সপ্তাহের শেষ তিন দিনে দুইশ পয়েন্টের বেশি সূচক বাড়ার সুখস্মৃতি নিয়ে নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনও প্রায় একশ পয়েন্ট যোগ হলো।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রতিক্রিয়ায় আট কর্মদিবসে ৩৮২ পয়েন্ট সূচক পতনে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল, সেটি কেটেছে অনেকটাই।
পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের নির্দেশ, এক দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ নির্ধারণের আদেশ দেয়ার পর চার দিনে সূচকে যোগ হলো ৩০৯ পয়েন্ট।
তবে সূচক হারানো অবস্থান ফিরে পেলেও লেনদেনে সেভাবে গতি আসেনি এখনও। বরং গত বৃহস্পতিবার লেনদেন এক হাজার কোটি টাকার ঘর ছাড়ালেও রোববার তা আবার নেমে এসেছে হাজার কোটির নিচে।
৯ কর্মদিবস পর বৃহস্পতিবার লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে হয়েছিল এক হাজার ৬১ কোটি ২০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
পরের কর্মদিবসে সেটি কমে হয়েছে ৯৯৮ কোটি ৭৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।
অথচ দরপতন ঠেকাতে বিএসইসি এই দুটি সিদ্ধান্তের সঙ্গে তারল্য বাড়াতেও ব্যাংক ও সম্পদ ব্যবস্থাপকদের সঙ্গেও বৈঠকে বসেছিল। দুই পক্ষই বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়।
বুধবার প্রথম বৈঠক শেষে ঘোষণা ছিল, যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগ তাদের মূলধনের ২৫ শতাংশের নিচে, সেগুলো দ্রুত ২ শতাংশ বিনিয়োগ বাড়াবে। যেসব কোম্পানি বিশেষ তহবিলে এখনও ২০০ কোটি টাকা জমা দেয়নি, সেগুলো দ্রুত জমা দেবে, আর যেসব ব্যাংক টাকা জমা দিয়েও বিনিয়োগে যায়নি, তারা দ্রুত বিনিয়োগে যাবে।
পরের দিন মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে জানানো হয়, মৌলভিত্তির অনেক কোম্পানির শেয়ারদর অনেকটাই কমে এসেছে। এই মুহূর্তে সেগুলোতে বিনিয়োগ লাভজনক হতে পারে। বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা আসে এই বৈঠক শেষেও।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছাইদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একটা বড় ধাক্কা সামলে বাজার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। পতন ঠেকাতে বিএসইসির পদক্ষেপগুলো কাজে দিচ্ছে। আশা করছি বাজার এখন আস্তে আস্তে ভালোর দিকে যাবে। গত কয়েক দিনের লেনদেনে তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’
লেনদেন সেভাবে না বাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একটা বড় ধসের পর সবাই এখন সতর্ক বিনিয়োগ করছে। সে কারণেই লেনদেন ধীরে ধীরে বাড়ছে। হঠাৎ করে বেশি লেনদেন হওয়াটাও কিন্তু বাজারের জন্য ভালো না। আমি মনে করি বর্তমান বাজারে এক-দেড় হাজার টাকা লেনদেন হলে মন্দ নয়।
‘তারা রাতারাতি বিনিয়োগ বাড়াবে-এমনটা ভাবা ঠিক নয়। বাজারের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তারা বিনিয়োগ বাড়াাচ্ছে। ভবিষ্যতে তাদের বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলে আমি আশা করছি।’
স্থিতিশীলতা তহবিল, ব্যাংক ও সম্পদ ব্যবস্থাপকদের বিনিয়োগ বাড়ানোর সম্মিলিত ঘোষণার পর রোববার সকাল থেকেই লেনদেন হয় সূচক বেড়ে। ৯ পয়েন্ট বেড়ে শুরু হওয়া লেনদেন বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে আরও বেশি। লেনদেন শেষের কিছুক্ষণ আগে তা বেশি ছিল ১১১ পয়েন্ট। তবে শেষ সময়ের সমন্বয়ে ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয় লেনদেন।
বেড়েছে ২৭৩টি কোম্পানির শেয়ারদর, কমেছে ৮৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২০টির দর।
আর্থিক খাতের কোনো কোম্পানির শেয়ারের দর কমেনি। দুটি কোম্পানির দর ছিল অপরিবর্তিত, বেড়েছে বাকি সবগুলোর।
বস্ত্র খাতে কমেছে ৫টি কোম্পানির দর, অপরিবর্তিত ছিল আরও ৫টির, বেড়েছে বাকি ৪৮টির দর।
ওষুধ ও রসায়ন, জ্বালানি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ব্যাংক, প্রকৌশল, বিবিধ ও সিরামিক খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরাই হাসিমুখে শেষ করেছে লেনদেন।
সূচক বাড়ানোর প্রধান ভূমিকায় বহুজাতিক কোম্পানি
প্রায় একশ পয়েন্ট সূচকের প্রায় এক তৃতীয়াংশই বাড়িয়েছে বহুজাতিক চারটি কোম্পানি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩.৬২ শতাংশ বাড়িয়েছে গ্রামীণফোন। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১.৯৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১.৫২ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে সূচকে ৭.৬১ পয়েন্ট যোগ করেছে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি।
লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের দর বেড়েছে ৫.০৭ শতাংশ, কোম্পানিটি সূচকে যোগ করেছে ৬.৩২ পয়েন্ট। আর রবি যোগ করেছে ৫.০৩ পয়েন্ট। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১.৬৭ শতাংশ।
অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্কয়ার ফার্মা ৩.৫৫ পয়েন্ট, বেক্সিমকো লিমিটেড ৩.৩৭ পয়েন্ট, পাওয়ারগ্রিড ২.২৮ পয়েন্ট, বেক্সিমকো ফার্মা ২.২১ পয়েন্ট, সামিট পাওয়ার ২.০৫ পয়েন্ট এবং সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি ১.৮ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ৪৭.৮৪ পয়েন্ট। এর মধ্যে বহুজাতিক চার কোম্পানির ভূমিকাই ৩২.৫৮ পয়েন্ট।
অন্যদিকে সূচক থেকে ৩.০৬ পয়েন্ট হারিয়েছে ওয়ালটনের ০.৫৮ শতাংশ দরপতনে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ০.৭৭ পয়েন্ট সূচক কমেছে লিনডে বিডির শেয়ারের ১.৯৮ শতাংশ দরপতনে।
রেকিট বেনকিনজারের ১.৬৬ শতাংশ দরপতনে সূচক কমেছে ০.৬৯ শতাংশ।
এছাড়া ডেল্টা লাইফের কারণে ০.৩৮ পয়েন্ট, ফরচুন সুজের দরপতনে ০.৩৪ পয়েন্ট, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের কারণে ০.২৭ পয়েন্ট, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের দরপতনে ০.২১ পয়েন্ট, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স ও ফারইস্ট লাইফের দরপতনে সূচক কমেছে ০.২০ পয়েন্ট করে এবং ব্যাংক এশিয়ার দরপতনে সূচক কমেছে ০.১৯ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৬ পয়েন্ট।
লভ্যাংশ ঘোষণা করা তিন কোম্পানির চিত্র
বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে লভ্যাংশ ঘোষণা করা তিনটি কোম্পানিই রোববার দর হারিয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫.১৯ শতাংশ দর হারিয়েছে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
কোম্পানিটির আয় কমে গেছে। আগের বছরে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২ টাকা ৪ পয়সা, সেটি এবার কমে হয়েছে ১ টাকা ৬৫ পয়সা।
আগের দিন শেয়ার দর ছিল ৫৫ টাকা ৮০ পয়সা। দিন শেষে তা দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৯০ পয়সা। তবে এক পর্যায়ে দাম কমে ৪৮ টাকা হয়ে গিয়েছিল।
শেয়ার প্রতি ৫৫ টাকা লভ্যাংশের ঘোষণায় লিনডে বিডির শেয়ারদর কমেছে ৩১ টাকা ৪০ পয়সা। তবে কোম্পানটির আয় গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। এক পর্যায়ে দাম ৬৩ টাকা কমে গিয়েছিল।
অন্যদিকে শেয়ার প্রতি ১৬৫ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণার প্রস্তাবে রেকিড বেনকিনজারের শেয়ার দর হারিয়েছে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ৯০ টাকা ৮০ পয়সা। এই কোম্পানিটিও এক পর্যায়ে দর হারিয়ে ফেলে ১৪৬ টাকা ৯০ পয়সা।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য