পুঁজিবাজারে ধস ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুটি পদক্ষেপের পর টানা চার কর্মদিবস বাড়ল সূচক। আগের সপ্তাহের শেষ তিন দিনে দুইশ পয়েন্টের বেশি সূচক বাড়ার সুখস্মৃতি নিয়ে নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনও প্রায় একশ পয়েন্ট যোগ হলো।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রতিক্রিয়ায় আট কর্মদিবসে ৩৮২ পয়েন্ট সূচক পতনে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল, সেটি কেটেছে অনেকটাই।
পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের নির্দেশ, এক দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ নির্ধারণের আদেশ দেয়ার পর চার দিনে সূচকে যোগ হলো ৩০৯ পয়েন্ট।
তবে সূচক হারানো অবস্থান ফিরে পেলেও লেনদেনে সেভাবে গতি আসেনি এখনও। বরং গত বৃহস্পতিবার লেনদেন এক হাজার কোটি টাকার ঘর ছাড়ালেও রোববার তা আবার নেমে এসেছে হাজার কোটির নিচে।
৯ কর্মদিবস পর বৃহস্পতিবার লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে হয়েছিল এক হাজার ৬১ কোটি ২০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
পরের কর্মদিবসে সেটি কমে হয়েছে ৯৯৮ কোটি ৭৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।
অথচ দরপতন ঠেকাতে বিএসইসি এই দুটি সিদ্ধান্তের সঙ্গে তারল্য বাড়াতেও ব্যাংক ও সম্পদ ব্যবস্থাপকদের সঙ্গেও বৈঠকে বসেছিল। দুই পক্ষই বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়।
বুধবার প্রথম বৈঠক শেষে ঘোষণা ছিল, যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগ তাদের মূলধনের ২৫ শতাংশের নিচে, সেগুলো দ্রুত ২ শতাংশ বিনিয়োগ বাড়াবে। যেসব কোম্পানি বিশেষ তহবিলে এখনও ২০০ কোটি টাকা জমা দেয়নি, সেগুলো দ্রুত জমা দেবে, আর যেসব ব্যাংক টাকা জমা দিয়েও বিনিয়োগে যায়নি, তারা দ্রুত বিনিয়োগে যাবে।
পরের দিন মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে জানানো হয়, মৌলভিত্তির অনেক কোম্পানির শেয়ারদর অনেকটাই কমে এসেছে। এই মুহূর্তে সেগুলোতে বিনিয়োগ লাভজনক হতে পারে। বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা আসে এই বৈঠক শেষেও।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছাইদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একটা বড় ধাক্কা সামলে বাজার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। পতন ঠেকাতে বিএসইসির পদক্ষেপগুলো কাজে দিচ্ছে। আশা করছি বাজার এখন আস্তে আস্তে ভালোর দিকে যাবে। গত কয়েক দিনের লেনদেনে তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’
লেনদেন সেভাবে না বাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একটা বড় ধসের পর সবাই এখন সতর্ক বিনিয়োগ করছে। সে কারণেই লেনদেন ধীরে ধীরে বাড়ছে। হঠাৎ করে বেশি লেনদেন হওয়াটাও কিন্তু বাজারের জন্য ভালো না। আমি মনে করি বর্তমান বাজারে এক-দেড় হাজার টাকা লেনদেন হলে মন্দ নয়।
‘তারা রাতারাতি বিনিয়োগ বাড়াবে-এমনটা ভাবা ঠিক নয়। বাজারের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তারা বিনিয়োগ বাড়াাচ্ছে। ভবিষ্যতে তাদের বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলে আমি আশা করছি।’
স্থিতিশীলতা তহবিল, ব্যাংক ও সম্পদ ব্যবস্থাপকদের বিনিয়োগ বাড়ানোর সম্মিলিত ঘোষণার পর রোববার সকাল থেকেই লেনদেন হয় সূচক বেড়ে। ৯ পয়েন্ট বেড়ে শুরু হওয়া লেনদেন বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে আরও বেশি। লেনদেন শেষের কিছুক্ষণ আগে তা বেশি ছিল ১১১ পয়েন্ট। তবে শেষ সময়ের সমন্বয়ে ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয় লেনদেন।
বেড়েছে ২৭৩টি কোম্পানির শেয়ারদর, কমেছে ৮৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২০টির দর।
আর্থিক খাতের কোনো কোম্পানির শেয়ারের দর কমেনি। দুটি কোম্পানির দর ছিল অপরিবর্তিত, বেড়েছে বাকি সবগুলোর।
বস্ত্র খাতে কমেছে ৫টি কোম্পানির দর, অপরিবর্তিত ছিল আরও ৫টির, বেড়েছে বাকি ৪৮টির দর।
ওষুধ ও রসায়ন, জ্বালানি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ব্যাংক, প্রকৌশল, বিবিধ ও সিরামিক খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরাই হাসিমুখে শেষ করেছে লেনদেন।
সূচক বাড়ানোর প্রধান ভূমিকায় বহুজাতিক কোম্পানি
প্রায় একশ পয়েন্ট সূচকের প্রায় এক তৃতীয়াংশই বাড়িয়েছে বহুজাতিক চারটি কোম্পানি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩.৬২ শতাংশ বাড়িয়েছে গ্রামীণফোন। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১.৯৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১.৫২ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে সূচকে ৭.৬১ পয়েন্ট যোগ করেছে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি।
লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের দর বেড়েছে ৫.০৭ শতাংশ, কোম্পানিটি সূচকে যোগ করেছে ৬.৩২ পয়েন্ট। আর রবি যোগ করেছে ৫.০৩ পয়েন্ট। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১.৬৭ শতাংশ।
অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্কয়ার ফার্মা ৩.৫৫ পয়েন্ট, বেক্সিমকো লিমিটেড ৩.৩৭ পয়েন্ট, পাওয়ারগ্রিড ২.২৮ পয়েন্ট, বেক্সিমকো ফার্মা ২.২১ পয়েন্ট, সামিট পাওয়ার ২.০৫ পয়েন্ট এবং সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি ১.৮ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ৪৭.৮৪ পয়েন্ট। এর মধ্যে বহুজাতিক চার কোম্পানির ভূমিকাই ৩২.৫৮ পয়েন্ট।
অন্যদিকে সূচক থেকে ৩.০৬ পয়েন্ট হারিয়েছে ওয়ালটনের ০.৫৮ শতাংশ দরপতনে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ০.৭৭ পয়েন্ট সূচক কমেছে লিনডে বিডির শেয়ারের ১.৯৮ শতাংশ দরপতনে।
রেকিট বেনকিনজারের ১.৬৬ শতাংশ দরপতনে সূচক কমেছে ০.৬৯ শতাংশ।
এছাড়া ডেল্টা লাইফের কারণে ০.৩৮ পয়েন্ট, ফরচুন সুজের দরপতনে ০.৩৪ পয়েন্ট, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের কারণে ০.২৭ পয়েন্ট, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের দরপতনে ০.২১ পয়েন্ট, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স ও ফারইস্ট লাইফের দরপতনে সূচক কমেছে ০.২০ পয়েন্ট করে এবং ব্যাংক এশিয়ার দরপতনে সূচক কমেছে ০.১৯ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৬ পয়েন্ট।
লভ্যাংশ ঘোষণা করা তিন কোম্পানির চিত্র
বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে লভ্যাংশ ঘোষণা করা তিনটি কোম্পানিই রোববার দর হারিয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫.১৯ শতাংশ দর হারিয়েছে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
কোম্পানিটির আয় কমে গেছে। আগের বছরে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২ টাকা ৪ পয়সা, সেটি এবার কমে হয়েছে ১ টাকা ৬৫ পয়সা।
আগের দিন শেয়ার দর ছিল ৫৫ টাকা ৮০ পয়সা। দিন শেষে তা দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৯০ পয়সা। তবে এক পর্যায়ে দাম কমে ৪৮ টাকা হয়ে গিয়েছিল।
শেয়ার প্রতি ৫৫ টাকা লভ্যাংশের ঘোষণায় লিনডে বিডির শেয়ারদর কমেছে ৩১ টাকা ৪০ পয়সা। তবে কোম্পানটির আয় গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। এক পর্যায়ে দাম ৬৩ টাকা কমে গিয়েছিল।
অন্যদিকে শেয়ার প্রতি ১৬৫ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণার প্রস্তাবে রেকিড বেনকিনজারের শেয়ার দর হারিয়েছে প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে ৯০ টাকা ৮০ পয়সা। এই কোম্পানিটিও এক পর্যায়ে দর হারিয়ে ফেলে ১৪৬ টাকা ৯০ পয়সা।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য