ফরিদপুরের নগরকান্দায় চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের আইনপুর গ্রামের কুমার নদে একটি নৌকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
অভিযুক্ত অশোক মালো শিশুর প্রতিবেশী। ৩৫ বছরের মালো এক সন্তানের জনক।
এজাহারে বলা হয়, আইনপুর গ্রামের নারান মালোর ছেলে অশোক, শিশুটিকে নৌকায় ঘোরানোর কথা বলে বাড়ির পাশে কুমার নদে নিয়ে যান। নৌকায় শিশুকে ধর্ষণ করেন তিনি। শিশুর চিৎকারে তার বাবাসহ অন্যরা এগিয়ে গেলে অশোক পালিয়ে যান।
বিষয়টি নিয়ে এলাকার মাতুব্বররা আপোষ-মীমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন শিশুর চাচি।
ঘটনার পর থেকে অশোক মালো পলাতক। অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অশোকের মা বলেন, ‘আমার ছেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অভিযোগ ঠিক না।’
নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিল হোসেন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়ে ধর্ষণ মামলা নেয়া হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে নিখোঁজ কিশোরের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জেলার মুক্তারপুর সেতুর পশ্চিম প্রান্তে মালিপাথর এলাকায় নদীর অংশ থেকে সোমবার রাত ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত মো. রাসেলের বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলায়। পরিবারসহ তিনি মুন্সীগঞ্জ সদরের দশকানি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
মুক্তারপর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমান এসব নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাই ওই কিশোরের মরদেহ নদীতে ভেসে উঠেছে। মুক্তারপুর সেতুর পশ্চিম পাশে ১০০ মিটার দূর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়ার জন্য মরদেহ নৌপুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।’
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুল হাকিম স্থানীয়দের বরাতে জানান, তিন কিশোর শনিবার দুপুরে টিকটক ভিডিও করার জন্য মুক্তারপুর সেতুতে যায়। এর মধ্যে দুজন ভিডিওর জন্য নদীতে ঝাঁপ দেয়। তাদের একজন হামিম সাঁতরে তীরে উঠলেও রাসেলকে পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খুঁজেও রাসেলকে পাওয়া যায়নি। রোববার রাতে মরদেহ ভেসে উঠলে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে মাদ্রাসাশিক্ষকের পিটুনিতে ১২ বছর বয়সী ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
জেলা শহরের কাউতলীর ইব্রাহিমীয়া হাফিজিয়া কোরআন মাদ্রাসা থেকে রোববার দুপুরে মোহাম্মদ আলী নামে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আলীর বাড়ি কাউতলীতেই। তার বাবা কাউসার মিয়া জানান, আড়াই বছর আগে এই মাদ্রাসায় তাকে ভর্তি করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি ঘটনার সততা নিশ্চিত করেন।
তিনি স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, রোববার সকালে আলীকে মাদ্রাসায় দিয়ে যান তার বাবা। দুপুরে ছেলের জন্য খাবার নিয়ে এলে তার মরদেহ দেখতে পান মেঝেতে। বাবার চিৎকারে এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে পুলিশে খবর দেন।
মোহাম্মদ আলীর চাচা মোস্তাক অভিযোগ করেন, শিক্ষক হোসাইন আহমেদের পিটুনির কারণে তার ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আলী হেফজখানায় পড়ছিল। কোরআন শরিফের অর্ধেক সে মুখস্থ করে ফেলেছিল। প্রতিদিনকার মতো আজও আলীর বাবা তাকে সকালে মাদ্রাসায় দিয়ে যায়। পড়া না পারায় তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তাকে হত্যা করে বাথরুমে আটকে রাখে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক হোসাইন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আলী কোরআন শরিফের ২৬ পাড়া মুখস্থ করে ফেলেছিল...। কিছুদিন ধরে সে আধা পৃষ্ঠা পড়াও ঠিকভাবে দিতে পারছিল না। আজ সকালেও ঠিক এমনই হয়েছে।
‘পড়া দিতে না পারায় তার হাতে ও পায়ের ঊরুতে দুইবার বেত্রাঘাত করি। পরে দুপুরে নামাজ শেষে সে বাথরুমে যায়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ বাথরুম থেকে বের না হলে দেয়ালের ফাঁক দিয়ে অন্য এক ছাত্র উঁকি দিয়ে দেখে সে গলায় ফাঁস দিয়ে পড়ে আছে। তাকে বাথরুম থেকে বের করি। এরই মধ্যে তার বাবা মাদ্রাসায় এসে ছেলের লাশ দেখতে পায়।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক হোসাইন আহমেদ বেত্রাঘাতের কথা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিক অবস্থায় এটি আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর আসল কারণ জানা যাবে।’
আরও পড়ুন:নেত্রকোণার কলমাকান্দায় নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর গুমাই নদী থেকে সাগর মিয়া নামের কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার রাজনগর গ্রামে নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সাগর মিয়া কলমাকান্দার পোগলা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের শাহর আলীর ছেলে। সে হাজীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ত।
কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান এসব তথ্য জানান।
সাগরের বাবা শাহর আলী জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এক বন্ধুর মোবাইল কল পেয়ে সাগর বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে না ফেরায় তারা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। এ সময়ে সাগরের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল।
দুপুর ২টার দিকে রাজনগর গ্রামে গুমাই নদীতে সাগরের মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী থানায় জানান। পুলিশ গিয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে নেয়।
ওসি জানান, সাগরের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন:শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে রোগীর লাঞ্ছিত হওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনাটি গত শনিবারের। ভিডিওতে লাঞ্ছিত করার দৃশ্য দেখা গেলেও ওই চিকিৎসক এটিকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
চিকিৎসক আকরাম এলাহী সদর হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জন।
২ মিনিট ৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, হাসপাতালে নিজ চেম্বারে বসে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন আকরাম। এর মধ্যে একজন তার পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে বসেন। আকরাম তার পিঠে কিল দেন ও লাথি মারেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে চিকিৎসক আকরাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি কোনো রোগীর গায়ে হাত তুলিনি। ঘটনার দিন রোগীর অনেক চাপ ছিল। ওই সময় ওই রোগী জোর করে আমার চেম্বারে ঢোকার চেষ্টা করলে আমার সহকারী তাকে বাধা দেয়। বাধা দিলে সে ওই সহকারীর গায়ে হাত তোলে।
‘আমার সহকারী এমনিতেই অসুস্থ, হার্টের রোগী। পরে সে আমার চেম্বারে ঢুকে আমাকে কামড় দিতে গেলে আমি দূরে সরে আসি।’
রোগীকে লাঞ্ছনার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোনো রোগীকে থাপ্পর বা লাথি মারিনি। আমি আমি নিজেকে বাঁচাতে সরে এসেছি। আর যেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে এগুলো মিথ্যে। আমি কোনো রোগীকে মেরেছি এমন কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি।’
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন আবদুল্লাহ আল মুরাদ এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন জানিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ভিডিওর ওই রোগীর পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি চিকিৎসক আকরাম বা হাসপাতালের কেউ। এ কারণে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জে দিনদুপুরে ব্যস্ততম সড়কে ছিনতাই করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের হাতে আটক হয়েছেন এক ব্যক্তি। পরে ছিনতাইয়ের কারণ হিসেবে নিজের বেকারত্বের কথা জানান তিনি।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের বাতেন খাঁ মোড় এলাকায় এক ব্যক্তির টাকা ছিনতাই করে পালানোর সময় আশপাশের মানুষ ধাওয়া করে ধরে ফেলে তাকে। পরে মারধর করে ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
এর আগে ওই ছিনতাইকারী জানান, তার নাম মাসুদ রানা। বয়স ৩২ বছর। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বিদিরপুর মহল্লায় বসবাস করেন তিনি। রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালান। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে কোনো কাজ না থাকায় ছিনতাইয়ের পথ বেছে নিয়েছেন।
ছিনতাইয়ের শিকার আব্দুল বাসির জানান, তিনি একটি কাপড়ের ব্যাগে কিছু টাকা নিয়ে বাতেন খাঁ মোড়ে ডাব কিনে খান। এ সময়ই তার হাতে থাকা ব্যাগটি নিয়ে দৌড় দেয় ছিনতাইকারী। পরে তার চিকৎকার শুনে আশপাশের মানুষ ধাওয়া করে ছিনতাইকারীকে ধরে টাকা উদ্ধার করে দেয়।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ওসি মোজাফফর হোসেন জানান, ৯৯৯-তে কলের মাধ্যমে ছিনতাইয়ের ঘটনা জানতে পেরে বাতেন খাঁ মোড় থেকে আটক ছিনতাইকারীকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। ছিনতাইয়ের ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
ঘোষণা ছাড়াই বন্ধ হওয়ার ১২ দিন পর ময়মনসিংহ-সিলেট রুটে শুরু হয়েছে বাস চলাচল।
পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতাদের বৈঠক শেষে বাস ফের চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নিউজবাংলাকে রোববার রাত সাড়ে ৯টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব মো. মাহবুবর রহমান।
তিনি বলেন, ‘বিকেলে হবিগঞ্জের একটি হোটেলে সিলেট, নেত্রকোণা ও ময়মনসিংহ মোটর মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা আলোচনায় বসেন। দীর্ঘ আলোচনা শেষে তারা বিকেল ৫টা থেকেই ময়মনসিংহ-সিলেট রুটে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। সন্ধ্যার পর ময়মনসিংহ-সিলেট রুটে কয়েকটি বাস চলাচল শুরু হয়েছে। সোমবার থেকে এ রুটে পুরোদমে বাস চলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিলেট মালিক সমিতি চেয়েছিল তাদের নতুন দুটি বাস সিলেট-নেত্রকোণার কলমাকান্দা রুটে চলুক। আজকেও নেত্রকোণা মালিক সমিতি এটি মেনে নেয়নি। তবে তারা সিলেট-নেত্রকোণার বিরিশিরি রুটে বাস চলাচল করতে দিতে রাজি হয়েছে।
‘কিন্তু সিলেট মালিক সমিতির নেতারা আগামী তিন দিনের মধ্যে নেত্রকোণার বিরিশিরি রুটে বাস চালাবে কি না আমাদের জানাবেন। যদি তারা চায়, নেত্রকোণার বিরিশিরি রুটেই বাস চলবে। নয়তো আমাদের নেতারা নেত্রকোণা মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিলেট-নেত্রকোণার কলমাকান্দা রুটেই বাস চলাচলের ব্যবস্থা করবে।’
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের টেকনাফে নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্প থেকে বিদেশি পিস্তলসহ এক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
রোববার রাত ৮টার দিকে নয়াপাড়া ক্যাম্পের সি-ব্লক থেকে ওই রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) হাসান বারী নূর।
তিনি জানান, ২৮ বছর বয়সী আটক রোহিঙ্গা যুবকের নাম মোহাম্মদ হারুন। নয়াপাড়া ক্যাম্পের সি-ব্লকের ৮০২ নং শেডের ফজল আহমদের ছেলে তিনি।
হাসান বারী নুর বলেন, ‘রাত ৮টার দিকে সি-ব্লকের একটি এলাকায় অবস্থানকালে হারুনের দেহ তল্লাশি করে বিদেশি পিস্তল ও একটি ম্যাগজিন পাওয়া যায়। পরে তাকে আটক করা হয়।’
আটক হারুনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান ১৬ এপিবিএন কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য