× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The banned drug Tapentadol is spreading
google_news print-icon

ছড়িয়ে পড়ছে নিষিদ্ধ মাদক ট্যাপেন্টাডল

ছড়িয়ে-পড়ছে-নিষিদ্ধ-মাদক-ট্যাপেন্টাডল
স্বল্প দামের ওষুধ হওয়ায় শহর থেকে গ্রাম-গঞ্জে সবার অগোচরে এটি ছড়িয়ে পড়েছে ট্যাপেন্টাডল
মাদকাসক্তরা ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ট্যাপেন্টাডল ওষুধ সেবন করছে। ইয়াবা না পাওয়া গেলেই তারা এটি হাতে তুলে নিচ্ছে। বাংলাদেশে এটির উৎপাদন নিষিদ্ধ হলেও প্রতিবেশী ভারতে এখনও এটি বৈধ হওয়ায় এটি পাচার হয়ে আসছে।

ইয়াবা ও পরবর্তীতে হেরোইনে আসক্ত ছিলেন বগুড়া শহরের এক যুবক। বছর তিনেক আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মাদক ব্যবসা ঝিমিয়ে পড়েছিল। ওই সময় ইয়াবা হাতের কাছে না পাওয়ায় ট্যাপেন্টাডল নামের একটি ওষুধের দিকে ঝুঁকেছিলেন তিনি।

এখন নেশার জীবন থেকে ফিরে এসে তিনি অন্য মাদকাসক্তদের সুস্থ করে তুলতে কাজ করছেন।

৩৯ বছরের এ যুবক নিউজবাংলাকে বলেন, ট্যাপেন্টাডল বর্গের ওষুধটির কোনো স্বাদ নেই। কিন্তু ইয়াবা, হেরোইন যখন হাতের কাছে পাওয়া যেত না, তখন এটিই হয়ে ওঠে অনেকের নেশা করার ভরসা।

নেশার জগত থেকে ফিরে আসা ওই যুবক জানান, ধনী-গরিব সব শ্রেণির লোকজন এটা সেবন করে। তবে নিম্ন থেকে মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরা বেশি খায়। তাদের কাছে এটা ইয়াবার বিকল্প।

ব্যথা নিরাময়ের জেনেরিক ওষুধ ট্যাপেন্টাডলের চাহিদা বেশি দিন আগের নয়। দু বছর আগে এটি বৈধ ওষুধ ছিল। দেশের আটটি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এটি বাজারজাত করত। নেশা হিসেবে ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ২০২০ সালে ট্যাপেন্টাডল নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর থেকে দেশীয়ভাবে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

নিষিদ্ধ হলেও ওষুধটির ব্যবসা বন্ধ হয়নি। জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন ফার্মাসিতে এখনও এটি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গোপনে হাতে হাতে এর বিক্রি তো রয়েছেই।

স্বল্প দামের ওষুধ হওয়ায় শহর থেকে গ্রাম-গঞ্জে সবার অগোচরে এটি ছড়িয়ে পড়েছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যতটুকু জব্দ হয়েছে, তার কয়েকগুণ বেশি ট্যাপেন্টাডল বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে।

বগুড়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিন মাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জেলায় গত তিন মাসে প্রায় ২২ হাজার নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রশ্ন উঠেছে, দেশে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও বাজারে এটি আসে কীভাবে? এ ছাড়া মানুষের মাঝে এই ওষুধের চাহিদা কেন হলো?

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, মাদকাসক্তরা নেশাদ্রব্য ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ট্যাপেন্টাডল ওষুধ সেবন করছে। ইয়াবা না পাওয়া গেলেই তারা এটি হাতে তুলে নিচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বলছে, বাংলাদেশে এটির উৎপাদন নিষিদ্ধ হলেও প্রতিবেশী ভারতে এখনও এটি বৈধ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। কালোবাজারে অতিরিক্ত মূল্য হওয়ায় ভারত থেকে এসব সরবরাহ করছে মাদক ব্যবসায়ীরা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানায়, ট্যাপেন্টাডল মূলত ব্যথানাশক ওষুধ। এই ওষুধে অ্যামফেটামিন রয়েছে, যার কারণে এটিকে নেশাদ্রব্য হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে অনেকে। অনেক মাদকসেবী ট্যাপেন্টাডলকে ইয়াবার মতো আগুনে পুড়িয়ে সেবন করে থাকে।

পরবর্তীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রস্তাব মতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ ট্যাপেন্টাডল বাতিলের সুপারিশ করে। ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৫ ধারা অনুযায়ী ওই আইনে ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে টাপেন্টাডলকে তফসিলভুক্ত করা হয়।

জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার অনুমোদিত ওষুধের দোকান আছে। এর মধ্যে শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক দোকানে কোনো ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই ‘নেশাজাতীয়’ এমন ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। শহরের খান মার্কেট, তিনমাথা এলাকায় হাত বাড়ালেই এ ওষুধ পাওয়া যায়।

এ ছাড়া বখশিবাজার, বউবাজার ও কলোনিতে কিছু নির্দিষ্টি দোকানে এসব ওষুধ কেনেন দরজিসহ বিভিন্ন পেশার শ্রমিক। শহরের একটু দূরে ফুলবাড়ি ও মাটিডালি, চেলোপাড়া, তিনমাথা, চারমাথা, সাবগ্রাম এলাকার বিভিন্ন দোকানে এসব ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে।

এসব দোকান থেকে কেনা ওষুধ মাদক হিসেবে সেবনের বিষয়ে জেলা ওষুধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষও জানে। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন দোকানে অভিযানও চালিয়েছে বলে দাবি করছে।

ছড়িয়ে পড়ছে নিষিদ্ধ মাদক ট্যাপেন্টাডল

কয়েকজন মাদকসেবী সঙ্গে নিউজবাংলা কথা বললে তারা জানান, সকালে এবং রাতের দিকে এই ওষুধগুলো বেশি কেনেন মাদকসেবীরা। তবে এখন দোকান থেকে আর কিনতে হয় না। মুঠোফোনে বেচাকেনা করা হয় ট্যাপেন্টাডল।

নিষিদ্ধ হওয়ার আগে এই ওষুধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ছিল (প্রতি পিস) ১৪ টাকা। কিন্তু এখন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন দোকানিরা।

সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা নজরদারি চালিয়ে জানিয়েছে, বগুড়ায় খান মার্কেট ও নদী বাংলা মাকের্টে ১০ থেকে ১২টি দোকান এ কাজ করে। এর মধ্যে পাঁচটি দোকান ট্যাপেন্টাডল পাইকারি বিক্রি করে। খুচরা বিক্রি করে সাতটি। তারা সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে মাদকসেবীদের কাছে এসব নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রি করে। আর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যেও বিক্রি বেশ রমরমা থাকে।

এসব তথ্যের ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক অভিযানে কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে খান মার্কেটের উত্তরণ ফার্মেসির মালিক ও একজন কর্মচারি বিপুল পরিমাণ ট্যাপেন্টাডল ওষুধসহ গ্রেপ্তার হন। বছরখানেক আগে এই দোকান মালিক একই অপরাধে দণ্ডিত হয়েছিলেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বগুড়া ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর। এ জেলার বাসিন্দাদের দেশের সব বড় শহরগুলোয় যাতায়াত আছে। পাশাপাশি বগুড়ার কাছেই ভারত সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলা রয়েছে। সেগুলোয় ট্যাপেন্টাডলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য চোরাচালান করে অবৈধ ব্যবসায়ীরা।

পাশের জেলা জয়পুরহাটের হিলি সীমান্ত দিয়ে নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টাডল ওষুধ সবচেয়ে বেশি চোরাচালান হয়। হিলি থেকে এসব মাদকদ্রব্য সান্তাহারে আনা হয়। সেখান থেকে বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে এই মাদকদ্র্রব্য। সম্প্রতি রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত দিয়েও ট্যাপেন্টাডল চোরাচালান করা হয়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারত থেকে এই ট্যাপেন্টাডল এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও প্রবেশ করছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, বগুড়ায় গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি মার্চ মাস পর্যন্ত প্রায় এ ধরনের ২৩ হাজার ওষুধ জব্দ হয়েছে।

গত জানুয়ারিতেই পুলিশের অভিযানে জব্দ হয় ৬ হাজার ৬০ পিস ট্যাপেন্টাডল। ওই ঘটনায় তন্ময় মজুমদার নামে এক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হন। তন্ময় সদরের সাবগ্রাম চকআলম এলাকার ছেলে।

গত ১০ মার্চ শহরের চকসূত্রাপুর এলাকা থেকে ৯০৫ পিস ট্যাপেন্টাডলসহ বেহুলা নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৮ হাজার ১৩৭ পিস ট্যাপেন্টাডলের সবচেয়ে বড় চালান নিয়ে ধরা পড়েন শহরের উত্তরণ ফার্মেসির মালিক আপেল মাহমুদ। তিনি গত বছরও একই অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

র‌্যাব জানায়, গত বছরের ৯ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সংস্থাটির অভিযানে ১৫ হাজার ৭৪২টি ট্যাপেন্টাডল ওষুধ জব্দ করা হয়। এগুলোর বেশিরভাগই পাওয়া গেছে জেলার বিভিন্ন ফার্মাসিতে।

এ বিষয়ে র‌্যাব-১২ বগুড়ার কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার সোহরাব হোসেন জানান, ‘ট্যাপেন্টাডল ওষুধ ভারত সীমান্ত দিয়ে দেশের ভিতরে ঢুকছে। এ সংক্রান্ত অনেক গোয়েন্দা তথ্য আমাদের রয়েছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। ট্যাপেন্টাডল ওষুধের বিস্তারকে আমরা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’

ট্যাপেন্টাডল ওষুধের দোকানগুলিতে গোপনে বিক্রি হলেও এ নিয়ে খুব একটা নজরদারি নেই জেলা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের। এর কারণ হিসেবে লোকবল সংকটের কথা উল্লেখ করেন বগুড়া ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শরিফুল ইসলাম মোল্লা।

তিনি জানান, ‘২০২০ সালের মার্চে ট্যাপেন্টাডল ওষুধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলেও ওষুধটির বেচাকেনার কিছু খবর আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি এখন গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তবে আমাদের লোকবল সংকটের কারণে কিছুটা পিছিয়ে পড়ি। তারপরও খবর পেলে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নিই।’

ওষুধের দোকানে ট্যাপেন্টাডল বিক্রি ধরা পড়লে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়, জানতে চাওয়া হলে শরিফুল ইসলাম বলেন, কোনো ফার্মাসি একাধিকবার একই অপরাধ করলে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়। তবে আমাদের জেলা অফিস থেকে কারো লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা নেই। আমরা ওষুধের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করতে পারি।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপরিচালক মেহেদী হাসান জানান, এটি মূলত ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয়। আর নিষিদ্ধ হওয়ার পর পাশের দেশ ভারত থেকে একচেটিয়াভাবে পাচার হয়ে আমাদের এখানে আসছে।

জেলায় প্রায় ১৫টি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে অন্তত ২৩০ জন মাদকসেবী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের একটি অংশ ট্যাপেন্টাডলে আসক্ত বলে জানিয়েছে।

মেহেদী হাসান বলেন, ‘মাদকসেবীদের নিয়ে অনেক বেশি জরিপ করা প্রয়োজন। এ জন্য আমাদের জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়াতে হবে।’

আরও পড়ুন:
ইয়াবা সরিয়ে আইসের দাপট, আসছে সাগরপথে
ইয়াবা-হেরোইনসহ গ্রেপ্তার প্যানেল মেয়রের ছেলে কারাগারে
ইয়াবা-হেরোইনসহ উত্তর ঢাকার প্যানেল মেয়রের ছেলে গ্রেপ্তার
লবণ ব্যবসার আড়ালে মাদক কারবার
ফেব্রুয়ারিতে যত চোরাচালান ও মাদক জব্দ করল বিজিবি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
During the illegal infiltration the Bangladeshi detained with the smugglers on the Garo Hill border

অবৈধ পথে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে পাচারকারীসহ ৭ বাংলাদেশী আটক

অবৈধ পথে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে পাচারকারীসহ ৭ বাংলাদেশী আটক

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর নিরাপত্তাহীনতায় পুনরায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যসহ ৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি।

সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল পৌণে সাতটার দিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার নকশি সীমান্ত পথে নকশি ক্যাম্পের টহলরত বজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে বিকেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

বিষয়টি ২৬ আগষ্ট সকালে বিজিবি পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।

আটককৃতরা হলো মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রমজান আলী (২৪) ও আসমত আলীর ছেলে রাসেল (১৬)। আটক অনুপ্রবেশকারীরা হলো, নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বোমবাঘ গ্রামের শামীম শেখ (২৩), আফসানা খানম (২২), রুমা বেগম (৩২), মিলিনা বিশ্বাস (২৮) ও তিন বছর বয়সী শিশু কাশেম বিশ্বাস।

বিজিবি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, মাথাপিছু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২৩ আগস্ট রাতের আধারে নালিতাবাড়ীর সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ পথে নারী এবং শিশুসহ ৫ বাংলাদেশীকে ভারতে পাঠায় মানব পাচারকারী রমজান আলী ও রাসেল। কিন্তু ভারতীয় পুলিশের তৎপরতায় নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে এ পাঁচ বাংলাদেশী। এ কারণে ২৫ আগষ্ট সোমবার সকাল পৌণে সাতটার দিকে ঝিনাইগাতির নকশি সীমান্তের কালিমন্দির এলাকা দিয়ে পুনরায় তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা টের পেয়ে সবাইকে আটক করে। পরে মানব পাচারে জড়িত দুইজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে এবং অন্য ৫ জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং সবাইকে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ময়মনসিংহ বিজিবি’র ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Police Super Ujjal Kumar Roy inaugurated the Loto Showroom in Jhalakathi

ঝালকাঠিতে লোটো শোরুম উদ্বোধন করলেন পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়

ঝালকাঠিতে লোটো শোরুম উদ্বোধন করলেন পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়

ঝালকাঠিতে গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় এনে ব্রান্ডশপ লোটো ও লি কুপার প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১৩২তম ফ্লাগশিপ আউটলেট উদ্বোধন করেছে।

এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্ট লিঃ এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী জাভেদ ইসলাম সহ কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে নিয়ে ফিতা কেটে আউটলেটটি উদ্বোধন করেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়।

পৌর শহরের সাধনার মোড়ে মঙ্গলবার ২৬ আগষ্ট সকাল ১০টায় লোটো ও লি কুপারের ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটদ্বয়ের শুভ উদ্বোধন আনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ঝালকাঠিতে কোম্পানীর এ যাত্রার প্রথম দিনে স্থানীয় ফ্যাশন সচেতন তরুণ তরুণীরা তাদের পছন্দের পন্য কালেকশন বেছে নিতে ভীর জমায়।

কোম্পানীর পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রথম তিনদিনের প্রতিদিন প্রথম ৩০ জন পাবেন ৫০% ছাড়, ২য় ৩০ জন পাবেন ৪০% ছাড়, ৩য় ৩০ জন পাবেন ৩০% ছাড়, ৪র্থ ৩০ জন পাবেন ২০% ছাড় এবং তৎপরবর্তী সকল কাস্টমার পাবেন ১০% ছাড়। এই বিশেষ ছাড় ২৬শে আগষ্ট থেকে শুরু হয়ে ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে

মন্তব্য

সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ, আসামীর যাবজ্জীবন

সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ, আসামীর যাবজ্জীবন

নওগাঁয় সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ মামলায় আ: সালাম (৩৮) নামে এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আ: সালাম সদর উপজেলার বর্ষাইল মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম ওই শিক্ষার্থীর পরিবার পত্নীতলা উপজেলায় ভাড়া থাকতেন। ভাঙ্গারী ব্যবসার সুবাদে আসামী আ: সালামও পাশাপাশি একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভিকটিম মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে আ: সালাম বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতো এবং রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামী আ: সালাম ওই ভিকটিমের পরিবারকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখাতো। এরই একপর্যায়ে ২০২২ সালের ১১ জুলাই বিকেল তিনটার দিকে আসামী আ: সালাম একটি বাজার এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীপুর দক্ষিন পাড়া গ্রামের মোজাফ্ফর রহমানের ভাড়া বাড়িতে আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা পত্নীতলা থানায় অভিযোগ করলে র‌্যাব ওই বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেফতার ও মেয়েকে উদ্ধার করে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামী আ: সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ আ: সালামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। বাকি আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়।

মামলার এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম সন্তোষ প্রকাশ করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ফাহমিদা কুলসুম উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।

মন্তব্য

হিল্লা বিয়ে না করার জেরে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' দম্পতি

হিল্লা বিয়ে না করার জেরে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' দম্পতি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামে রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুনরায় তাকে বিয়ে করায় এক দম্পতিকে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে নালিশ দেওয়ার জের ধরে পেটানো হয় দিনমজুর আব্দুল জলিল প্রামানিককে। প্রতিপক্ষের লোকজনের মারধরে এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে গেছে।

এঘটনায় তিনি একটি থানায় অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে সেটি মামলাটি হিসেবে রের্কড করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।

সরেজমিনে বালুকাপাড়া গ্রামে গিয়ে আব্দুল জলিলকে ১৮ মাস ধরে সমাজচ্যুত করে রাখার তথ্য জানা গেছে। আব্দুল জলিলের সমাজচ্যুত করার ঘটনাটি স্থানীয় রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশীদ মন্ডলও অবগত আছেন। তিনি দুই পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকেও সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি।

গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কলহের কারণে আব্দুল জলিল প্রামানিক রাগের মাথায় তার স্ত্রীকে তালাক দেন। এঘটনার ২৯ দিন পর তিনি আবারও স্ত্রীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় গ্রাম্য মাতব্বরেরা ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল জলিল প্রামানিকের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখেন। সেই সময় জলিল প্রামানিক বিষয়টি আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে জানান। ইউএনও রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মণ্ডলকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেন। ইউপি চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। তবে কার্যত কোন কোনো সমাধান করতে পারেননি। এতে গ্রাম্য মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলের ওপর আরও ক্ষুব্ধ হন। সমাজচ্যুত করে রাখা আব্দুল জলিল গত ১৫ আগস্ট রাত আটটার দিকে গ্রামের মসজিদের দিকে রওনা হন। এসময় মাতব্বরেরা তাকে দুই দফায় প্রচন্ড মারধর করেন। এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে যায়। তিনি চিকিৎসা নিয়ে থানায় আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বালুকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেড় বছর আগে আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। কয়েক দিন পর আবার সংসার শুরু করেন। এনিয়ে গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিল প্রামানিককে সমাজচ্যুত করেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় বৃদ্ধা লুৎফন নেছা বলেন, আমি কাজ করতে পারিনি। আব্দুল জলিলের বউ আমার বাড়িতে এসে জবাই করা মুরগির তরকারি রান্না করে দিয়েছিল। আমি জলিলের বাড়িতে গিয়ে এক বাটি মুরগির মাংসের তরকারি দিয়ে এসেছি। এতে আমাকেও সমাজচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিল।

বালুকাপাড়া গ্রামের মোড়ের দোকানি হাফিজার রহমান বলেন, বউকে তালাক দেওয়ার ঘটনায় আব্দুল জলিল প্রামানিককে গ্রামের মাতব্বরেরা সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল গ্রামের সামাজিক কোন কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেয় না।

আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, আমি রাগের মাথায় স্ত্রী তালাক দিয়েছিলাম। ২৯ দিন পর আবার বিয়ে পড়ে নিয়েছি। একারণে গ্রামের মাতব্বর রকি খান, মিল্টন খাঁ, আবু সুফিয়ানসহ আরও ১০-১২ জন আমাকে সমাজচ্যুত করেছেন। রাগের মাথায় স্ত্রীক। তালাক দিলে পুনরায় বিয়ে করা যাবে ঢাকার একজন মুফতির মতামত নিয়ে আসার পরও তারা মানেনি। তারা বলছে হিল্লা বিয়ে ছাড়া আমার বিয়ে বৈধ হবে না। তারা আমাকে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে গ্রামের মসজিদে নামাজ আদায়ে করতে ও জানাজায় শরিক হতে বা দেননি। মিলাদ মাহফিল দাওয়াত দেওয়ার মাতব্বরদের চাপে পর ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি গ্রামের কারও জমিতে দিনমজুরি কাজও করতে পারব না বলে লোকজন জানিয়ে দেন। একারণে কেউ আমাকে কাজে নেয় না। সমাজচ্যুত করার জের ধরে মসজিদে যাওয়ার সময় মাতব্বরদের একাংশের লোকজন আমাকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছেন।

গ্রামের মাতব্বদের একজন মো. মিল্টন খাঁ। তিনি আব্দুল জলিলের দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামি। তাকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কাজ করেছেন। একারণে গ্রামের লোকজন তাকে সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কি কাজ করেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার স্ত্রীকে নিয়েছেন। এটা সমাজ বিরোধী কাজ।

আক্কেলপুর রায়কালী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মন্ডল বলেন, আব্দুল জলিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। এঘটনায় গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলকে সমাজচ্যুত করেন। আব্দুল জলিল ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। ইউএনও স্যার আমাকে ঘটনাটি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। উভয়পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছি। আব্দুল জলিল যেন সামাজিকভাবে মিশতে পারে সেটি বলেছি। সমাজচ্যুতের ঘটনার জের ধরে আব্দুল জলিলকে মারধর করা হয়েছে। এতে তার বাম হাত ভেঙেছে বলে জেনেছি।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আব্দুল জলিল প্রামানিক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেটি মামলা হিসেবে রের্কড করা হয়েছে। আসামি আট জনের মধ্যে ইতিমধ্যে আদালত থেকে পাঁচজন আসামি জামিন নিয়েছেন, অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In July 2021 the growth rate of revenue collection is about 20 percent 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৭,২৪৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। বিগত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১,৯১৬ কোটি টাকা। জুলাই-২০২৫ মাসে বিগত জুলাই-২০২৪ মাসের তুলনায় ৫,৩৩৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। জুলাই ২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪.৩৩%।

জুলাই’২৫ মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে। এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ১১,৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায়ের পরিমান ছিল ৮,৫৭১ কোটি টাকা। জুলাই ২০২৫ মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৩২.৪৫%।

আয়কর ও ভ্রমন কর খাতে জুলাই’২৫ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬,২৯৫ কোটি টাকা যা জুলাই’২০২৪ মাসের একই খাতে আদায়কৃত ৫,১৭৫ কোটি টাকার চাইতে ১,১২০ কোটি টাকা বেশি। আয়কর ও ভ্রমন করের ক্ষেত্রে জুলাই ২০২৫ মাসের আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২১.৬৫%।

২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে আমদানি ও রপ্তানি খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯,৬০২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮,১৭০ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ১৭.৫২%।

রাজস্ব আদায়ের এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং কাস্টমস শুল্ক-কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

সম্মানিত করদাতাগণ আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ পরিমান কর পরিশোধের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজের অন্যতম অংশীদার হবেন মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The main accused arrested in the murder of UP member

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র‍্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন

র‍্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।

মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।

কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।

ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

p
উপরে