× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The banned drug Tapentadol is spreading
google_news print-icon

ছড়িয়ে পড়ছে নিষিদ্ধ মাদক ট্যাপেন্টাডল

ছড়িয়ে-পড়ছে-নিষিদ্ধ-মাদক-ট্যাপেন্টাডল
স্বল্প দামের ওষুধ হওয়ায় শহর থেকে গ্রাম-গঞ্জে সবার অগোচরে এটি ছড়িয়ে পড়েছে ট্যাপেন্টাডল
মাদকাসক্তরা ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ট্যাপেন্টাডল ওষুধ সেবন করছে। ইয়াবা না পাওয়া গেলেই তারা এটি হাতে তুলে নিচ্ছে। বাংলাদেশে এটির উৎপাদন নিষিদ্ধ হলেও প্রতিবেশী ভারতে এখনও এটি বৈধ হওয়ায় এটি পাচার হয়ে আসছে।

ইয়াবা ও পরবর্তীতে হেরোইনে আসক্ত ছিলেন বগুড়া শহরের এক যুবক। বছর তিনেক আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মাদক ব্যবসা ঝিমিয়ে পড়েছিল। ওই সময় ইয়াবা হাতের কাছে না পাওয়ায় ট্যাপেন্টাডল নামের একটি ওষুধের দিকে ঝুঁকেছিলেন তিনি।

এখন নেশার জীবন থেকে ফিরে এসে তিনি অন্য মাদকাসক্তদের সুস্থ করে তুলতে কাজ করছেন।

৩৯ বছরের এ যুবক নিউজবাংলাকে বলেন, ট্যাপেন্টাডল বর্গের ওষুধটির কোনো স্বাদ নেই। কিন্তু ইয়াবা, হেরোইন যখন হাতের কাছে পাওয়া যেত না, তখন এটিই হয়ে ওঠে অনেকের নেশা করার ভরসা।

নেশার জগত থেকে ফিরে আসা ওই যুবক জানান, ধনী-গরিব সব শ্রেণির লোকজন এটা সেবন করে। তবে নিম্ন থেকে মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরা বেশি খায়। তাদের কাছে এটা ইয়াবার বিকল্প।

ব্যথা নিরাময়ের জেনেরিক ওষুধ ট্যাপেন্টাডলের চাহিদা বেশি দিন আগের নয়। দু বছর আগে এটি বৈধ ওষুধ ছিল। দেশের আটটি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এটি বাজারজাত করত। নেশা হিসেবে ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ২০২০ সালে ট্যাপেন্টাডল নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর থেকে দেশীয়ভাবে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

নিষিদ্ধ হলেও ওষুধটির ব্যবসা বন্ধ হয়নি। জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন ফার্মাসিতে এখনও এটি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গোপনে হাতে হাতে এর বিক্রি তো রয়েছেই।

স্বল্প দামের ওষুধ হওয়ায় শহর থেকে গ্রাম-গঞ্জে সবার অগোচরে এটি ছড়িয়ে পড়েছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যতটুকু জব্দ হয়েছে, তার কয়েকগুণ বেশি ট্যাপেন্টাডল বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে।

বগুড়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিন মাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জেলায় গত তিন মাসে প্রায় ২২ হাজার নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রশ্ন উঠেছে, দেশে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও বাজারে এটি আসে কীভাবে? এ ছাড়া মানুষের মাঝে এই ওষুধের চাহিদা কেন হলো?

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, মাদকাসক্তরা নেশাদ্রব্য ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ট্যাপেন্টাডল ওষুধ সেবন করছে। ইয়াবা না পাওয়া গেলেই তারা এটি হাতে তুলে নিচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বলছে, বাংলাদেশে এটির উৎপাদন নিষিদ্ধ হলেও প্রতিবেশী ভারতে এখনও এটি বৈধ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। কালোবাজারে অতিরিক্ত মূল্য হওয়ায় ভারত থেকে এসব সরবরাহ করছে মাদক ব্যবসায়ীরা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানায়, ট্যাপেন্টাডল মূলত ব্যথানাশক ওষুধ। এই ওষুধে অ্যামফেটামিন রয়েছে, যার কারণে এটিকে নেশাদ্রব্য হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে অনেকে। অনেক মাদকসেবী ট্যাপেন্টাডলকে ইয়াবার মতো আগুনে পুড়িয়ে সেবন করে থাকে।

পরবর্তীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রস্তাব মতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ ট্যাপেন্টাডল বাতিলের সুপারিশ করে। ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৫ ধারা অনুযায়ী ওই আইনে ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে টাপেন্টাডলকে তফসিলভুক্ত করা হয়।

জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার অনুমোদিত ওষুধের দোকান আছে। এর মধ্যে শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক দোকানে কোনো ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই ‘নেশাজাতীয়’ এমন ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। শহরের খান মার্কেট, তিনমাথা এলাকায় হাত বাড়ালেই এ ওষুধ পাওয়া যায়।

এ ছাড়া বখশিবাজার, বউবাজার ও কলোনিতে কিছু নির্দিষ্টি দোকানে এসব ওষুধ কেনেন দরজিসহ বিভিন্ন পেশার শ্রমিক। শহরের একটু দূরে ফুলবাড়ি ও মাটিডালি, চেলোপাড়া, তিনমাথা, চারমাথা, সাবগ্রাম এলাকার বিভিন্ন দোকানে এসব ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে।

এসব দোকান থেকে কেনা ওষুধ মাদক হিসেবে সেবনের বিষয়ে জেলা ওষুধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষও জানে। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন দোকানে অভিযানও চালিয়েছে বলে দাবি করছে।

ছড়িয়ে পড়ছে নিষিদ্ধ মাদক ট্যাপেন্টাডল

কয়েকজন মাদকসেবী সঙ্গে নিউজবাংলা কথা বললে তারা জানান, সকালে এবং রাতের দিকে এই ওষুধগুলো বেশি কেনেন মাদকসেবীরা। তবে এখন দোকান থেকে আর কিনতে হয় না। মুঠোফোনে বেচাকেনা করা হয় ট্যাপেন্টাডল।

নিষিদ্ধ হওয়ার আগে এই ওষুধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ছিল (প্রতি পিস) ১৪ টাকা। কিন্তু এখন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন দোকানিরা।

সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা নজরদারি চালিয়ে জানিয়েছে, বগুড়ায় খান মার্কেট ও নদী বাংলা মাকের্টে ১০ থেকে ১২টি দোকান এ কাজ করে। এর মধ্যে পাঁচটি দোকান ট্যাপেন্টাডল পাইকারি বিক্রি করে। খুচরা বিক্রি করে সাতটি। তারা সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে মাদকসেবীদের কাছে এসব নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রি করে। আর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যেও বিক্রি বেশ রমরমা থাকে।

এসব তথ্যের ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক অভিযানে কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে খান মার্কেটের উত্তরণ ফার্মেসির মালিক ও একজন কর্মচারি বিপুল পরিমাণ ট্যাপেন্টাডল ওষুধসহ গ্রেপ্তার হন। বছরখানেক আগে এই দোকান মালিক একই অপরাধে দণ্ডিত হয়েছিলেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বগুড়া ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর। এ জেলার বাসিন্দাদের দেশের সব বড় শহরগুলোয় যাতায়াত আছে। পাশাপাশি বগুড়ার কাছেই ভারত সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলা রয়েছে। সেগুলোয় ট্যাপেন্টাডলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য চোরাচালান করে অবৈধ ব্যবসায়ীরা।

পাশের জেলা জয়পুরহাটের হিলি সীমান্ত দিয়ে নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টাডল ওষুধ সবচেয়ে বেশি চোরাচালান হয়। হিলি থেকে এসব মাদকদ্রব্য সান্তাহারে আনা হয়। সেখান থেকে বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে এই মাদকদ্র্রব্য। সম্প্রতি রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত দিয়েও ট্যাপেন্টাডল চোরাচালান করা হয়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারত থেকে এই ট্যাপেন্টাডল এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও প্রবেশ করছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, বগুড়ায় গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি মার্চ মাস পর্যন্ত প্রায় এ ধরনের ২৩ হাজার ওষুধ জব্দ হয়েছে।

গত জানুয়ারিতেই পুলিশের অভিযানে জব্দ হয় ৬ হাজার ৬০ পিস ট্যাপেন্টাডল। ওই ঘটনায় তন্ময় মজুমদার নামে এক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হন। তন্ময় সদরের সাবগ্রাম চকআলম এলাকার ছেলে।

গত ১০ মার্চ শহরের চকসূত্রাপুর এলাকা থেকে ৯০৫ পিস ট্যাপেন্টাডলসহ বেহুলা নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৮ হাজার ১৩৭ পিস ট্যাপেন্টাডলের সবচেয়ে বড় চালান নিয়ে ধরা পড়েন শহরের উত্তরণ ফার্মেসির মালিক আপেল মাহমুদ। তিনি গত বছরও একই অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

র‌্যাব জানায়, গত বছরের ৯ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সংস্থাটির অভিযানে ১৫ হাজার ৭৪২টি ট্যাপেন্টাডল ওষুধ জব্দ করা হয়। এগুলোর বেশিরভাগই পাওয়া গেছে জেলার বিভিন্ন ফার্মাসিতে।

এ বিষয়ে র‌্যাব-১২ বগুড়ার কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার সোহরাব হোসেন জানান, ‘ট্যাপেন্টাডল ওষুধ ভারত সীমান্ত দিয়ে দেশের ভিতরে ঢুকছে। এ সংক্রান্ত অনেক গোয়েন্দা তথ্য আমাদের রয়েছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। ট্যাপেন্টাডল ওষুধের বিস্তারকে আমরা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’

ট্যাপেন্টাডল ওষুধের দোকানগুলিতে গোপনে বিক্রি হলেও এ নিয়ে খুব একটা নজরদারি নেই জেলা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের। এর কারণ হিসেবে লোকবল সংকটের কথা উল্লেখ করেন বগুড়া ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শরিফুল ইসলাম মোল্লা।

তিনি জানান, ‘২০২০ সালের মার্চে ট্যাপেন্টাডল ওষুধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলেও ওষুধটির বেচাকেনার কিছু খবর আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি এখন গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তবে আমাদের লোকবল সংকটের কারণে কিছুটা পিছিয়ে পড়ি। তারপরও খবর পেলে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নিই।’

ওষুধের দোকানে ট্যাপেন্টাডল বিক্রি ধরা পড়লে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়, জানতে চাওয়া হলে শরিফুল ইসলাম বলেন, কোনো ফার্মাসি একাধিকবার একই অপরাধ করলে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়। তবে আমাদের জেলা অফিস থেকে কারো লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা নেই। আমরা ওষুধের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করতে পারি।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপরিচালক মেহেদী হাসান জানান, এটি মূলত ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয়। আর নিষিদ্ধ হওয়ার পর পাশের দেশ ভারত থেকে একচেটিয়াভাবে পাচার হয়ে আমাদের এখানে আসছে।

জেলায় প্রায় ১৫টি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে অন্তত ২৩০ জন মাদকসেবী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের একটি অংশ ট্যাপেন্টাডলে আসক্ত বলে জানিয়েছে।

মেহেদী হাসান বলেন, ‘মাদকসেবীদের নিয়ে অনেক বেশি জরিপ করা প্রয়োজন। এ জন্য আমাদের জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়াতে হবে।’

আরও পড়ুন:
ইয়াবা সরিয়ে আইসের দাপট, আসছে সাগরপথে
ইয়াবা-হেরোইনসহ গ্রেপ্তার প্যানেল মেয়রের ছেলে কারাগারে
ইয়াবা-হেরোইনসহ উত্তর ঢাকার প্যানেল মেয়রের ছেলে গ্রেপ্তার
লবণ ব্যবসার আড়ালে মাদক কারবার
ফেব্রুয়ারিতে যত চোরাচালান ও মাদক জব্দ করল বিজিবি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
In July 2021 the growth rate of revenue collection is about 20 percent 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৭,২৪৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। বিগত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১,৯১৬ কোটি টাকা। জুলাই-২০২৫ মাসে বিগত জুলাই-২০২৪ মাসের তুলনায় ৫,৩৩৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। জুলাই ২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪.৩৩%।

জুলাই’২৫ মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে। এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ১১,৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায়ের পরিমান ছিল ৮,৫৭১ কোটি টাকা। জুলাই ২০২৫ মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৩২.৪৫%।

আয়কর ও ভ্রমন কর খাতে জুলাই’২৫ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬,২৯৫ কোটি টাকা যা জুলাই’২০২৪ মাসের একই খাতে আদায়কৃত ৫,১৭৫ কোটি টাকার চাইতে ১,১২০ কোটি টাকা বেশি। আয়কর ও ভ্রমন করের ক্ষেত্রে জুলাই ২০২৫ মাসের আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২১.৬৫%।

২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে আমদানি ও রপ্তানি খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯,৬০২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮,১৭০ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ১৭.৫২%।

রাজস্ব আদায়ের এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং কাস্টমস শুল্ক-কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

সম্মানিত করদাতাগণ আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ পরিমান কর পরিশোধের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজের অন্যতম অংশীদার হবেন মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The main accused arrested in the murder of UP member

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র‍্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন

র‍্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।

মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।

কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।

ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
July in Kaliganj People from all walks of life took oath with millions of voices

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে শপথ গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী আয়োজিত ‘লাখো কণ্ঠে শপথ পাঠ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক ভাবগম্ভীর পরিবেশে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই মাসে নিহত শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ। তিনি উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান। দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, দুর্নীতি ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করার অঙ্গীকার করেন অংশগ্রহণকারীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও তনিমা আফ্রাদ বলেন, "জুলাই পুনর্জাগরণ কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি আমাদের চেতনার বাতিঘর। সেই শহীদদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। আজকের এই সম্মিলিত শপথ হোক দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার একটি নতুন অঙ্গীকার। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারে।"

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম উর্মি, কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।

বক্তারা জুলাইয়ের শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের এই সফল আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে এক নতুন মাত্রা দেয়। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি কালীগঞ্জের মানুষের মধ্যে দেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Snake panic in Feni after flood

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The creation of waterlogging at Benapole ports

পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

ব্যাহত হচ্ছে বন্দরে খালাশ প্রক্রিয়া
পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।

তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chakrias escaped accused Sajjad was detained in Coxs Bazar DB

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।

চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।

এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে