× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Country to export electronics products through Walton BSEC Chairman
google_news print-icon

ওয়ালটনের হাত ধরে ইলেকট্রনিকস পণ্য রপ্তানিতে দেশ: বিএসইসি চেয়ারম্যান

ওয়ালটনের-হাত-ধরে-ইলেকট্রনিকস-পণ্য-রপ্তানিতে-দেশ-বিএসইসি-চেয়ারম্যান
দুবাইয়ে ‘ইনভেস্টমেন্ট ফ্ল্যাশ মব: নেটওয়ার্কিং ডিনার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘একসময় দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে প্রচুর ইলেকট্রনিকস পণ্য আমদানি করা হতো। তবে ওয়ালটন এসব পণ্য এখন দেশেই উৎপাদন করছে। বর্তমানে স্থানীয় ফ্রিজের বাজারে প্রায় ৭০ শতাংশ চাহিদা ওয়ালটন একাই পূরণ করছে। পাশাপাশি তাদের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।’

বাংলাদেশ শুধু বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ নয় বরং এখন ইলেকট্রনিকস পণ্যের মতো অনেক কিছুই দেশের বাইরে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ফেস্টিভ্যাল সিটির হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ইনভেস্টমেন্ট ফ্ল্যাশ মব: নেটওয়ার্কিং ডিনার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি কথা বলেন।

প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে বিএসইসি অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে। এতে সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিকস জায়ান্ট ওয়ালটন। অনুষ্ঠানে আরব আমিরাতের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারী এবং স্টেক হোল্ডাররা অংশ নেন।

ওয়ালটনের হাত ধরে ইলেকট্রনিকস পণ্য রপ্তানিতে দেশ: বিএসইসি চেয়ারম্যান

দুবাইয়ে ‘ইনভেস্টমেন্ট ফ্ল্যাশ মব: নেটওয়ার্কিং ডিনার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের ‘ভোট অব থ্যাঙ্কস’ পর্বে বক্তব্য রাখছেন ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের সিবিও আনিসুর রহমান মল্লিক।

বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘একসময় দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে প্রচুর ইলেকট্রনিকস পণ্য আমদানি করা হতো। তবে ওয়ালটন এসব পণ্য এখন দেশেই উৎপাদন করছে।

‌‘বর্তমানে স্থানীয় ফ্রিজের বাজারে প্রায় ৭০ শতাংশ চাহিদা ওয়ালটন একাই পূরণ করছে। পাশাপাশি তাদের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশ শুধু বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক বা রপ্তানিকারক দেশ নয় বরং ওয়ালটনের তৈরি ইলেকট্রনিকস পণ্যের মতো অনেক কিছুই বাংলাদেশ এখন রপ্তানি করছে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।

অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র করপোরেট সেলস বিভাগের প্রধান মো. সিরাজুল ইসলাম, ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মল্লিক, অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটনসহ বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছি।’

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট সুবিধা এখন প্রত্যেক গ্রামে পৌঁছে গেছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘সরকারি অফিসগুলোকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রবাসী ও বিদেশী বিনিয়োগকারীরা অনায়াসেই কোম্পানি বা ব্যবসার নিবন্ধন করতে পারছেন। বাংলাদেশ এখন বিদেশী বিনিয়োগের উপযুক্ত স্থান।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আগত অতিথিরা বিভিন্ন সেক্টর নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।

‘ভোট অফ থ্যাঙ্কস’ পর্বে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) আনিসুর রহমান মল্লিক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গত এক দশকে বাংলাদেশ অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে আমরা দেখছি বর্তমান সরকারের শিল্পবান্ধব নীতি ও সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশের ইলেকট্রনিকস ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পখাত অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। যার ফলে বাংলাদেশ এখন শুধু ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণই নয়, বরং বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটন পণ্য বিশ্বজুড়ে রপ্তানি হচ্ছে।’

ওয়ালটন এখন বিশ্বের ৫টি শীর্ষ ব্র্যান্ডের কাতারে আসার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
ওয়ালটনে নারী দিবস উদযাপন
নারীদের জন্য ওয়ালটনের ডাইভারসিটি অ্যান্ড ইনক্লুসন প্যানেল ঘোষণা
নতুন গেমিং স্মার্টফোন আনল ওয়ালটন
ওয়ালটনের ‘সারপ্রাইজিং সামার ডিল’
ট্রিপল ক্যামেরার স্মার্টফোন আনল ওয়ালটন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Stock market four consecutive days of falling index

পুঁজিবাজার: টানা চার দিন পতন সূচকে

পুঁজিবাজার: টানা চার দিন পতন সূচকে ডিএসইর এক ব্রোকারেজ হাউসে একজন বিনিয়োগকারী। ফাইল ছবি
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় ৬৩ হাজার ৩২৬টি লেনদেনের মাধ্যমে ১৭৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কেনাবেচা হয়েছে, যা মঙ্গলবারের একই সময়ের তুলনায় ৪৭ কোটি টাকা কম। 

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবারও সূচকের পতন হয়েছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় ৬৩ হাজার ৩২৬টি লেনদেনের মাধ্যমে ১৭৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কেনাবেচা হয়েছে, যা মঙ্গলবারের একই সময়ের তুলনায় ৪৭ কোটি টাকা কম।

গতকাল মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

আজ সকালে ৩৭৩টি কোম্পানি লেনদেন করেছে। এর মধ্যে ১৪০টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮০টির শেয়ার। এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র মনোভাবকেই তুলে ধরে।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৮৩ দশমিক ০৭ পয়েন্টে স্থির হয়।

এদিকে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক শূন্য দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে, তবে ডিএস৩০-এর ব্লু-চিপ শেয়ারগুলোর সূচক ১১ দশমিক ০৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩১ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে দাঁড়ায়।

আরও পড়ুন:
বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজি: নয় বিনিয়োগকারীকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা
ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি খতিয়ে দেখার নির্দেশ
শেয়ার কারসাজি: সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা
সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ২০ জনের বিও হিসাব জব্দ
পুঁজিবাজারে ক্রমশই নিম্নগতি, হতাশ বিনিয়োগকারীরা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The confidence of investors is increasing and the capital market is turning around

আস্থা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পুঁজিবাজার

আস্থা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পুঁজিবাজার ডিএসইর একটি ব্রোকারেজ হাউসে বিনিয়োগকারীরা। ফাইল ছবি
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘আগাম শেয়ার নিষ্পত্তি, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশের মাধ্যমে তারল্য সহায়তা এবং সম্ভাব্য মূলধন লাভের কর কমানোসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কারণে বাজারে ইতিবাচক চিত্র দেখা যাচ্ছে।’

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রেখেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেঞ্চমার্ক সূচক উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘আগাম শেয়ার নিষ্পত্তি, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যমে তারল্য সহায়তা এবং সম্ভাব্য মূলধন লাভের কর কমানোসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কারণে বাজারে এই ইতিবাচক পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে।’

বিনিয়োগকারীদেরও সচেতনভাবে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে দেখা যাচ্ছে। তারা হয় পূর্ববর্তী বিনিয়োগ থেকে মুনাফা সুরক্ষিত করেছে বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উপার্জনের প্রতিবেদনসহ স্টকগুলোতে মূলধন পুনরায় বিনিয়োগ করেছে। এই নির্বাচনমূলক পদ্ধতি আশার সঞ্চার করায় তা সামগ্রিক বাজারের গতিতে অবদান রেখেছে।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৬ দশমিক ৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে পাঁচ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় বাজার লেনদেন ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৬০৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা হয়েছে।

আগের পাঁচ সপ্তাহে ৬১৬ পয়েন্ট হারানোর পর টানা দুই সপ্তাহে ২০২ পয়েন্ট যোগ করেছে ডিএসইএক্স।

ডিএসইর খাতভিত্তিক সূচকগুলোকেও বেশ ভালো করতে দেখা গেছে। ৩০টি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস৩০ ইনডেক্স ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে লেনদেন শেষ করেছে। একইভাবে শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ডিএসইএস সূচক ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকায়।

বাজার কার্যকলাপের একটি প্রধান সূচক বাজার লেনদেন এই সপ্তাহে তিন হাজার ২৯ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের দু’হাজার ৮৩ কোটি টাকার লেনদেনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সে হিসাবে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬০৬ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের গড় ৪১৬ কোটি টাকার তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি।

আরও পড়ুন:
নীতি সহায়তার খবরে শেয়ারবাজারে সুবাতাস বইছে
পুঁজিবাজার সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক ধারায় ফেরার ইঙ্গিত
বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজি: নয় বিনিয়োগকারীকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা
ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি খতিয়ে দেখার নির্দেশ
শেয়ার কারসাজি: সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
News of policy support is blowing the stock market

নীতি সহায়তার খবরে শেয়ারবাজারে সুবাতাস বইছে

নীতি সহায়তার খবরে শেয়ারবাজারে সুবাতাস বইছে
শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘর্মেয়াদি নীতি সহায়তা দিতে যাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ প্রথমবারের মতো বিএসইসিতে যাচ্ছেন। এমন খবরে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে পুঁজিবাজার।

শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘর্মেয়াদি নীতি সহায়তা দিতে যাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ প্রথমবারের মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) যাচ্ছেন। এমন খবরে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে পুঁজিবাজার।

দেশের দুই শেয়ারবাজারে বুধবার উল্লেখযোগ্য উত্থানের ধারাবাহিকতা দেখা গেছে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবারও। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১৪৭ পয়েন্টের বেশি।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট ডিএসইর সূচক বৃদ্ধি শুরু হয়। সূচক বৃদ্ধির এই ধারা ১১ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ওই চারদিনে সূচকের উত্থান হয় ৭৮৬ পয়েন্ট। এরপর ১২ আগস্ট শুরু হয় ধারাবাহিক পতন।

টানা দরপতন আর লেনদেন খরার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে মূল্যসূচক। সে সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এতে এ বাজারটিতেও সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস দুই শেয়ারবাজারেই মূল্যসূচক বাড়লো।

গতকাল বুধবার থেকে বাজার বড় আকারে ঘুরে দাঁড়ায়। ওইদিন ডিএসইর সূচকে বেড়েছে ১১৮ পয়েন্টের বেশি। আর আজ বৃহস্পতিবার বেড়েছে ১৪৭ পয়েন্টের বেশি।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা শেয়ারবাজারের গুরুত্ব অনুধাবন করে নিজেই বিএসইসিতে যাচ্ছেন। যেখানে এর আগে কোনো মন্ত্রী বা উপদেষ্টা যাননি। শেয়ারবাজারের জন্য এটি একটি ভিন্ন বার্তা। শেয়ারবাজারের প্রতি অর্থ উপদেষ্টার এমন আগ্রহের কারণে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা।

বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জানান, শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা দিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এসব সহায়তার আওতাভুক্ত হবেন ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারী, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, উচ্চ সম্পদশালী বিনিয়োগকারী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।

রাশেদ মাকসুদ বলেন, অর্থ উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সমন্বিতভাবে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে নীতি সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তার মধ্যে কিছু থাকবে স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য, আর কিছু বিষয় মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

যেসব নীতি পদক্ষেপের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- বাজারে তারল্য সরবরাহ বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (আইসিবি) বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তহবিল জোগানে সহায়তা, জরিমানার মাধ্যমে বিএসইসির আদায় করা অর্থ বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি-বেসরকারি ভালো ও লাভজনক কোম্পানিগুলোকে দ্রুত বাজারে আনতে আইপিও আইন সংস্কার ও কর প্রণোদনার ব্যবস্থা করা।

পদক্ষেপগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- শেয়ারবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির সময় কমিয়ে এক দিনে নামিয়ে আনা, ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে পরিমাণ অনাদায়ি পুঞ্জীভূত ঋণাত্মক ঋণ (নেগেটিভ ইক্যুইটি) রয়েছে চূড়ান্তভাবে সেগুলোর নিষ্পত্তি করা, উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে মূলধনি মুনাফার কর হার কমানো, শেয়ার পুনঃক্রয় ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ভবিষ্যতে আর কখনও ফ্লোর প্রাইস আরোপ না করা এবং সুশাসন ও আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করা।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে ক্রমশই নিম্নগতি, হতাশ বিনিয়োগকারীরা
বিএসইসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মাশরুর রিয়াজ
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পুঁজিবাজারে দরপতন
বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ
বিএসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহসীন চৌধুরী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The overall positive trend of the capital market is indicated

পুঁজিবাজার সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক ধারায় ফেরার ইঙ্গিত

পুঁজিবাজার সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক ধারায় ফেরার ইঙ্গিত ডিএসইর একটি ব্রোকারেজ হাউসে বিনিয়োগকারীরা। ফাইল ছবি
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মঙ্গলবার বিনিয়োগকারীদের কার্যক্রম বেড়েছে। এক লাখ ৩৬ হাজার লেনদেনের মাধ্যমে মোট ১৫ দশমিক ৮ কোটি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে, যার মোট লেনদেনের পরিমাণ ৩৪৬ কোটি টাকা। যদিও এটি সোমবারের ৩৫৭ কোটি টাকা থেকে সামান্য কম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার বিনিয়োগকারীদের কার্যক্রম বেড়েছে। এক লাখ ৩৬ হাজার লেনদেনের মাধ্যমে মোট ১৫ দশমিক ৮ কোটি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে, যার মোট লেনদেনের পরিমাণ ৩৪৬ কোটি টাকা। যদিও এটি সোমবারের ৩৫৭ কোটি টাকা থেকে সামান্য কম।

মঙ্গলবার মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩১২টি কোম্পানির মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে, ৫৭টির কমেছে এবং ২৫টি অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেনের এই অবস্থা বিস্তৃত বাজার পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৭ দশমিক ৩২ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ২৬ দশমিক ২০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১১৩ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে এবং বিশেষায়িত ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ ৫২ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৮৫৮ দশমিক ২৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- মতিন স্পিনিং মিলস পিএলসি, বিডিকম অনলাইন লিমিটেড, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এসিআই লিমিটেড, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, বাংলাদেশ অটোকারস লিমিটেড এবং জেমিনি সি ফুড পিএলসি।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ১৭ দশমিক ৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে দেখা যায়, এক হাজার ৮৩৩টি লেনদেনের মাধ্যমে মোট ৫১ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের পরিমাণ ১০ কোটি ৮ লাখ টাকা। এই বাজারে সোমবার লেনদেন হয়েছিল ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮০টি কোম্পানির মধ্যে ১০২টির মুনাফা বেড়েছে, ৫২টির কমেছে এবং ২২টির শেয়ারমূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। এটিও বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক ধারায় ফেরার ইঙ্গিত দেয়।

আরও পড়ুন:
বিএসইসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মাশরুর রিয়াজ
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পুঁজিবাজারে দরপতন
বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ
বিএসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহসীন চৌধুরী
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রাণ ফিরেছে পুঁজিবাজারে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Beximco share manipulation Nine investors fined Tk 42852 million

বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজি: নয় বিনিয়োগকারীকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা

বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজি: নয় বিনিয়োগকারীকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা
বিএসইসি’র কমিশন সভায় মারজানা রহমানকে ৩০ কোটি, ট্রেড নেক্সট ইন্টারন্যাশনালকে চার কোটি এক লাখ, মুশফিকুর রহমানকে ১২৫ কোটি, মমতাজুর রহমানকে ৫৮ কোটি, জুপিটার ব্যবসাকে ২২ কোটি ৫০ লাখ, অ্যাপোলো ট্রেডিংকে ১৫ কোটি ১০ লাখ, এআরটি ইন্টারন্যাশনালকে ৭০ কোটি, আবদুর রউফকে ৩১ কোটি এবং ক্রিসেন্ট লিমিটেডকে ৭৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের (বেক্সিমকো) শেয়ার কারসাজির দায়ে নয় বিনিয়োগকারীকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মঙ্গলবার বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এই জরিমানা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে কোনো কোম্পানির শেয়ার কারসাজির দায়ে এতো বড় অঙ্কের অর্থ জরিমানা এর আগে আর করা হয়নি।

উল্লিখিত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মারজানা রহমানকে ৩০ কোটি, ট্রেড নেক্সট ইন্টারন্যাশনালকে চার কোটি এক লাখ, মুশফিকুর রহমানকে ১২৫ কোটি, মমতাজুর রহমানকে ৫৮ কোটি, জুপিটার ব্যবসাকে ২২ কোটি ৫০ লাখ, অ্যাপোলো ট্রেডিংকে ১৫ কোটি ১০ লাখ, এআরটি ইন্টারন্যাশনালকে ৭০ কোটি, আবদুর রউফকে ৩১ কোটি এবং ক্রিসেন্ট লিমিটেডকে ৭৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়াও কমিশন সভায় নয়টি কোম্পানির আইপিও/আরপিওর তহবিলের ব্যবহার পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়।

কোম্পানিগুলো হলো- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বেস্ট হোল্ডিং, ইনডেক্স এগ্রো, জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, রিং শাইন টেক্সটাইল, সিকদার ইন্স্যুরেন্স ও সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস।

আরও পড়ুন:
ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি খতিয়ে দেখার নির্দেশ
শেয়ার কারসাজি: সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা
সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ২০ জনের বিও হিসাব জব্দ
পুঁজিবাজারে ক্রমশই নিম্নগতি, হতাশ বিনিয়োগকারীরা
বিএসইসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মাশরুর রিয়াজ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Order to look into the unusual increase in the share price of Islami Bank

ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি খতিয়ে দেখার নির্দেশ

ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি খতিয়ে দেখার নির্দেশ
বিএসইসির আদেশে বলা হয়, উল্লিখিত স্ক্রিপের ইউনিটের এমন অস্বাভাবিক উঠা-নামার পেছনে বাজার কারসাজি, অভ্যন্তরীণ লেনদেন, অন্যান্য বাজারের অপব্যবহারসহ বিভিন্ন কারণ উদঘাটনে ৬ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার কেনাবেচা তদন্ত করবে ডিএসই।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিএলসি) শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বুধবার বিএসইসির এক আদেশে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম ও পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে উঠা-নামা করেছে, যা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক বলে মনে হচ্ছে।

বিএসইসির আদেশে বলা হয়, উল্লিখিত স্ক্রিপের ইউনিটের এমন অস্বাভাবিক উঠা-নামার পেছনে বাজার কারসাজি, অভ্যন্তরীণ লেনদেন, অন্যান্য বাজারের অপব্যবহারসহ বিভিন্ন কারণ উদঘাটনে ৬ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার কেনাবেচা তদন্ত করবে ডিএসই।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, কিছু ব্যবসায়ী গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার চেষ্টা করছে। তাই তারা বড় অঙ্কের শেয়ার কিনছে। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে এই ব্যাংকের শেয়ারের দাম হু হু করে বেড়েছে।

আরও পড়ুন:
শেয়ার কারসাজি: সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা
সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ২০ জনের বিও হিসাব জব্দ
পুঁজিবাজারে ক্রমশই নিম্নগতি, হতাশ বিনিয়োগকারীরা
বিএসইসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মাশরুর রিয়াজ
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পুঁজিবাজারে দরপতন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Share manipulation Shakib fined Tk 50 lakh

শেয়ার কারসাজি: সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা

শেয়ার কারসাজি: সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করেন সাকিব আল হাসান। এর আগে একাধিক শেয়ার কারসাজির তদন্ত প্রতিবেদনে ক্রিকেটার সাকিবের নাম উঠে আসে। তবে প্রতিবারই কারসাজির প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করে বিএসইসি।

জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে কারসাজির অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। শেয়ার কারসাজিতে জড়িত থাকায় দেশসেরা এই ক্রিকেটারকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে এই কারসাজি করেন সাকিব আল হাসান।

সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি শেয়ারবাজারের আলোচিত চরিত্র আবুল খায়ের ওরফে হিরু, তারা বাবা আবুল কালাম মাতবর, মো. জাহিদ কামাল, হিরুর প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্ট, ইসহাল কমিউনিকেশন ও লাভা ইলেকট্রোডস ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে কারসাজিতে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এ কারণে এসব ব্যক্তি ‌এবং প্রতিষ্ঠানকেও জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে একাধিক শেয়ার কারসাজির তদন্ত প্রতিবেদনে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নাম উঠে আসে। তবে কারসাজির প্রমাণ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তাকে জরিমানা করেনি বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ফরচুন সুজ, বিডিকম অনলাইন, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার কারসাজির বিষয়ে করা তদন্ত প্রতিবেদনে সাকিব আল হাসানের নাম জড়ায়। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কারসাজির জন্য তাকে জরিমানা করা হয়নি। এবারই প্রথম সাকিবের বিরুদ্ধে শেয়ার কারসাজির প্রমাণ মিললো।

এর আগে শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগ তদন্তে সাকিবের নাম যতবার উঠে আসে সবগুলোতেই আলোচিত শেয়ার কারসাজিকারী আবুল খায়ের হিরুর নাম ছিল। সাকিবের বিরুদ্ধে কারসাজির প্রমাণ না মিললেও হিরুর বিরুদ্ধে কারসাজির প্রমাণ মেলে এবং তাকে জরিমানা করা হয়।

এবারও সাকিবের সঙ্গে শেয়ার কারসাজিতে হিরুর নামে উঠে এলো। প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজিতে জড়িত থাকায় হিরুকে ২৫ লাখ এবং সাকিব আল হাসানকে ৫০ লাখ টাকা জারিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া হিরুর বাবা আবুল কালাম মাতবরকে ১০ লাখ, মো. জাহিদ কামালকে এক লাখ, হিরুর প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্টকে এক লাখ, ইসহাল কমিউনিকেশনকে ৭৫ লাখ ও লাভা ইলেকট্রোডস ইন্ডাস্ট্রিজকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বিএসইসির এর আগে ‘দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম’-এর শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নিয়োগ বাতিল করে। গত ২৮ আগস্ট জরুরি সভা করে এই সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

আরও পড়ুন:
রাতে ফিরছে টাইগাররা, সাকিব যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে
সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ২০ জনের বিও হিসাব জব্দ
‘সাকিবকে অতি উৎসাহী হয়ে গ্রেপ্তার করা হবে না’
সাকিবকে দল থেকে সরিয়ে দেশে আনতে আইনি নোটিশ
সাকিব ও ফেরদৌসের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

মন্তব্য

p
উপরে