ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর আট কর্মদিবসে ব্যাপক দরপতন শেষে দুই টানা তিন দিন বাড়ল সূচক। এর মধ্যে দ্বিতীয় দিন বড় উত্থানের পর দিন সূচক আবার একশ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েও সেখান থেকে কমে যায়।
বুধবার এক দিনে ৩৬৫টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছিল। আর সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার বাড়ে ১৯৩টির দর, হারায় ১৪৭টির, যেগুলোর মধ্যে একটির দর আগের দিনই কমেছিল।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, মঙ্গলবার শেষ বেলায় উত্থানের আগে বা তার আগের দিন যারা শেয়ার কিনেছিলেন, তারা তৃতীয় কর্মদিবসে এসে মুনাফা করতে পেরেছেন। তাই শেয়ার ছেড়ে দেয়ার প্রবণতা ছিল। এ কারণেই সকালে বেড়ে গিয়েও বেলা শেষে কমে যায় দাম।
শেয়ার কেনায় আগ্রহ যে কিছুটা ফিরেছে, সেটি লেনদেনে স্পষ্ট। নয় কর্মদিবস পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন এক হাজার কোটি টাকা ছাড়াল।
দিন শেষে হাতবদল হয়েছে এক হাজার ৬১ কোটি ২০ লাখ ৬৬ হাজার টাকার শেয়ার, যা আগের দিন ছিল ৭৭৩ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এর আগে শেষ এক হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের দিন। সেদিন দরপতন হলেও লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৫০ কোটি ২৮ লাখ ৩ হাজার টাকা।
সকাল ১০টায় লেনদেনের শুরুই হয় ২৮ পয়েন্ট বেড়ে। বেলা ১০টা ৪১ মিনিটে সূচক আগের দিনের তুলনায় বাড়ে ১১০ পয়েন্ট। তখন আগের দিন ১৫৫ পয়েন্টকে ছাড়িয়ে যাবে কি না, তা নিয়েও কথা উঠে।
সে সময় হাতে গোনা কিছু কোম্পানি ছাড়া বেশিরভাগই দাম বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল। কিন্তু সেখান থেকে দেড় ঘণ্টারও কম সময়ে ৯৭ পয়েন্ট হারায় সূচক। মূলত সে সময়েই দেখা দেয় বিক্রয় চাপ।
বেলা সাড়ে ১২টা থেকে আবার কিছুটা বেড়ে শেষ পর্যন্ত সূচক দাঁড়ায় ৬ হাজার ৬৬৮ পয়েন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ৩৮ পয়েন্ট বেশি।
এ নিয়ে তিন দিনে সূচক বাড়ল ২১১ পয়েন্ট। এই উত্থানের আগের আট দিনে হারিয়েছিল ৩৮২ পয়েন্ট।
পুঁজিবাজারে তিন দিনের এই উত্থানের পেছনে কাজ করেছে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত। বাজারে ধসের পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলের এক শ কোটি টাকা দ্রুত বিনিয়োগের আদেশ এসেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পক্ষ থেকে। সেই সঙ্গে এক দিনে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ২ শতাংশ।
মঙ্গলবার এই দুটি সিদ্ধান্ত নেয়ার পর বাজারে তারল্য বাড়াতে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বসে বিএসইসি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, ব্যাংকগুলো বাজারে বিনিয়োগ বাড়াবে। যেসব ব্যাংকের মূলধনের ২৫ শতাংশের কম বিনিয়োগ আছে, তারা আরও ২ শতাংশ বিনিয়োগ বাড়াবে।
আবার ২০২১ সালে বাজারে তারল্য বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ তহবিল করার যে সুযোগ দেয়া হয়, সেই তহবিলে যারা টাকা দেয়নি, সেই ব্যাংকগুলো টাকা দেবে, আবার যারা টাকা জমা দিলেও বিনিয়োগে যায়নি, তারা বিনিয়োগে যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
অবশ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাবেক চেয়ারম্যান এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম মনে করেন, এভাবে ‘কিছু একটা করে’ পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানো যাবে না। তিনি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়, কারসাজির বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা, যেনতেন কোম্পানির আইপিও না দেয়া, ভালো কোম্পানি নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন।
সূচক বাড়াল ব্যাংক, বিমা, বস্ত্র
ব্যাংক খাতের ৩৩টি কোম্পানির মধ্যে ২৫টি, সাধারণ বিমা খাতের ৪০টি কোম্পানির মধ্যে ৩৯টি, এবং বস্ত্র খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ৩৯টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে চারটি ছিল বস্ত্র খাতের। অন্যদিকে সূচকে সবচেয়ে বেশি সূচক বাড়িয়েছে যে ১০টি কোম্পানি, তার মধ্যে তিনটি ছিল ব্যাংক খাতের।
তবে সূচক বাড়াতে প্রধান ভূমিকায় ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো। কোম্পানিটির শেয়ারদর ০.৯২ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৭.২৫ পয়েন্ট।
গ্রামীণফোন সূচকে যোগ করেছে ৫.৮১ পয়েন্ট। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ০.৫৩ শতাংশ।
অন্যদিকে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারদর ১.৩৩ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৪.৪৪ পয়েন্ট।
এছাড়া ইউনাইটেড পাওয়ার ৪.৪ পয়েন্ট, বিকন ফার্মা ২.৭৫ পয়েন্ট, ডাচ বাংলা ব্যাংক ২.২৪ পয়েন্ট, আইএফআইসি ব্যাংক ২.১৫ পয়েন্ট, স্কয়ার ফার্মা ২.০২ পয়েন্ট, ইউনিয়ন ব্যাংক ১.৭৫ পয়েন্ট এবং শাহজিবাজার পাওয়ার সূচকে যোগ করেছে ১.৬২ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানিই সূচকে যোগ করেছে ৩৪.৪৩ পয়েন্ট।
অন্যদিকে সূচক সবচেয়ে বেশি ১৩.৫০ পয়েন্ট কমেছে ওয়ালটনের শেয়ারের ১.৬০ পয়েন্ট দরপতনের কারণে।
রেনাটার দাম ০.৮৪ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৩.০৪ পয়েন্ট, বার্জার পেইন্টসের দর ১.০৪ পয়েন্ট কমায় সূচক কমেছে ২.১৩ পয়েন্ট।
এছাড়া তিতাস গ্যাসের কারণে ১.৭৫ পয়েন্ট, রবির কারণে ১.৩৩ পয়েন্ট, লিনডে বিডির কারণে ১.২৩ পয়েন্ট, ম্যারিকোর কারণে ১.১২ পয়েন্ট, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির কারণে ১.১২ পয়েন্ট, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কারণে ০.৮৮ পয়েন্ট এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের কারণে ০.৭২ পয়েন্ট সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানির কারণে সূচক কমেছে ২৭ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির সেরা ১০
দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুয়েছে চারটি কোম্পানি। এগুলো হলো বিডিকম, মেঘনা মিল্ক, অগ্নি সিস্টেমস ও ভিএসএফ থ্রেড। এগুলোর দর বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।
এছাড়া কাশেম ড্রাইসেল ও কুইনসাউথের দর বেড়েছে ৮ শতাংশের বেশি।
ইয়াকিন পলিমার, ইনটেন অনলাইন, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ও ঢাকা ডায়িংয়ের দর বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি।
এছাড়া ৬ শতাংশের বেশি বেড়েছে একটির দর, ৫ শতাংশের বেশি ১০টির, ৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে ১২টি কোম্পানির।
দরপতনের সেরা ১০
বিএসইসির নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ২ শতাংশের বেশি দরপতন সম্ভব নয় এক দিনে। এই নীতিমালা গ্রহণের প্রথম দিন ব্যাপক উত্থান হলেও দ্বিতীয় দিন ২৭টি কোম্পানির দর দুই শতাংশের আশেপাশে ছিল।
দরপতনের এই তালিকার শীর্ষে ছির ন্যাশনাল টি কোম্পানি, দ্বিতীয় অবস্থানে জেমিনি সি ফুড।
লিবরা ইনফিউশন, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, বিডি ল্যাপস, এএমসিএল প্রাণ, লিনডে বিডি, এপেক্স ফুড, জুট স্পিনার্স ও রেনউইক যগেশ্বর ছিল দর পতনের শীর্ষ তালিকায়।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য