ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর আট কর্মদিবসে ব্যাপক দরপতন শেষে দুই টানা তিন দিন বাড়ল সূচক। এর মধ্যে দ্বিতীয় দিন বড় উত্থানের পর দিন সূচক আবার একশ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েও সেখান থেকে কমে যায়।
বুধবার এক দিনে ৩৬৫টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছিল। আর সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার বাড়ে ১৯৩টির দর, হারায় ১৪৭টির, যেগুলোর মধ্যে একটির দর আগের দিনই কমেছিল।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, মঙ্গলবার শেষ বেলায় উত্থানের আগে বা তার আগের দিন যারা শেয়ার কিনেছিলেন, তারা তৃতীয় কর্মদিবসে এসে মুনাফা করতে পেরেছেন। তাই শেয়ার ছেড়ে দেয়ার প্রবণতা ছিল। এ কারণেই সকালে বেড়ে গিয়েও বেলা শেষে কমে যায় দাম।
শেয়ার কেনায় আগ্রহ যে কিছুটা ফিরেছে, সেটি লেনদেনে স্পষ্ট। নয় কর্মদিবস পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন এক হাজার কোটি টাকা ছাড়াল।
দিন শেষে হাতবদল হয়েছে এক হাজার ৬১ কোটি ২০ লাখ ৬৬ হাজার টাকার শেয়ার, যা আগের দিন ছিল ৭৭৩ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এর আগে শেষ এক হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের দিন। সেদিন দরপতন হলেও লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৫০ কোটি ২৮ লাখ ৩ হাজার টাকা।
সকাল ১০টায় লেনদেনের শুরুই হয় ২৮ পয়েন্ট বেড়ে। বেলা ১০টা ৪১ মিনিটে সূচক আগের দিনের তুলনায় বাড়ে ১১০ পয়েন্ট। তখন আগের দিন ১৫৫ পয়েন্টকে ছাড়িয়ে যাবে কি না, তা নিয়েও কথা উঠে।
সে সময় হাতে গোনা কিছু কোম্পানি ছাড়া বেশিরভাগই দাম বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল। কিন্তু সেখান থেকে দেড় ঘণ্টারও কম সময়ে ৯৭ পয়েন্ট হারায় সূচক। মূলত সে সময়েই দেখা দেয় বিক্রয় চাপ।
বেলা সাড়ে ১২টা থেকে আবার কিছুটা বেড়ে শেষ পর্যন্ত সূচক দাঁড়ায় ৬ হাজার ৬৬৮ পয়েন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ৩৮ পয়েন্ট বেশি।
এ নিয়ে তিন দিনে সূচক বাড়ল ২১১ পয়েন্ট। এই উত্থানের আগের আট দিনে হারিয়েছিল ৩৮২ পয়েন্ট।
পুঁজিবাজারে তিন দিনের এই উত্থানের পেছনে কাজ করেছে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত। বাজারে ধসের পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলের এক শ কোটি টাকা দ্রুত বিনিয়োগের আদেশ এসেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পক্ষ থেকে। সেই সঙ্গে এক দিনে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ২ শতাংশ।
মঙ্গলবার এই দুটি সিদ্ধান্ত নেয়ার পর বাজারে তারল্য বাড়াতে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বসে বিএসইসি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, ব্যাংকগুলো বাজারে বিনিয়োগ বাড়াবে। যেসব ব্যাংকের মূলধনের ২৫ শতাংশের কম বিনিয়োগ আছে, তারা আরও ২ শতাংশ বিনিয়োগ বাড়াবে।
আবার ২০২১ সালে বাজারে তারল্য বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ তহবিল করার যে সুযোগ দেয়া হয়, সেই তহবিলে যারা টাকা দেয়নি, সেই ব্যাংকগুলো টাকা দেবে, আবার যারা টাকা জমা দিলেও বিনিয়োগে যায়নি, তারা বিনিয়োগে যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
অবশ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাবেক চেয়ারম্যান এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম মনে করেন, এভাবে ‘কিছু একটা করে’ পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানো যাবে না। তিনি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়, কারসাজির বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা, যেনতেন কোম্পানির আইপিও না দেয়া, ভালো কোম্পানি নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন।
সূচক বাড়াল ব্যাংক, বিমা, বস্ত্র
ব্যাংক খাতের ৩৩টি কোম্পানির মধ্যে ২৫টি, সাধারণ বিমা খাতের ৪০টি কোম্পানির মধ্যে ৩৯টি, এবং বস্ত্র খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ৩৯টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে চারটি ছিল বস্ত্র খাতের। অন্যদিকে সূচকে সবচেয়ে বেশি সূচক বাড়িয়েছে যে ১০টি কোম্পানি, তার মধ্যে তিনটি ছিল ব্যাংক খাতের।
তবে সূচক বাড়াতে প্রধান ভূমিকায় ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো। কোম্পানিটির শেয়ারদর ০.৯২ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৭.২৫ পয়েন্ট।
গ্রামীণফোন সূচকে যোগ করেছে ৫.৮১ পয়েন্ট। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ০.৫৩ শতাংশ।
অন্যদিকে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারদর ১.৩৩ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৪.৪৪ পয়েন্ট।
এছাড়া ইউনাইটেড পাওয়ার ৪.৪ পয়েন্ট, বিকন ফার্মা ২.৭৫ পয়েন্ট, ডাচ বাংলা ব্যাংক ২.২৪ পয়েন্ট, আইএফআইসি ব্যাংক ২.১৫ পয়েন্ট, স্কয়ার ফার্মা ২.০২ পয়েন্ট, ইউনিয়ন ব্যাংক ১.৭৫ পয়েন্ট এবং শাহজিবাজার পাওয়ার সূচকে যোগ করেছে ১.৬২ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানিই সূচকে যোগ করেছে ৩৪.৪৩ পয়েন্ট।
অন্যদিকে সূচক সবচেয়ে বেশি ১৩.৫০ পয়েন্ট কমেছে ওয়ালটনের শেয়ারের ১.৬০ পয়েন্ট দরপতনের কারণে।
রেনাটার দাম ০.৮৪ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৩.০৪ পয়েন্ট, বার্জার পেইন্টসের দর ১.০৪ পয়েন্ট কমায় সূচক কমেছে ২.১৩ পয়েন্ট।
এছাড়া তিতাস গ্যাসের কারণে ১.৭৫ পয়েন্ট, রবির কারণে ১.৩৩ পয়েন্ট, লিনডে বিডির কারণে ১.২৩ পয়েন্ট, ম্যারিকোর কারণে ১.১২ পয়েন্ট, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির কারণে ১.১২ পয়েন্ট, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কারণে ০.৮৮ পয়েন্ট এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের কারণে ০.৭২ পয়েন্ট সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানির কারণে সূচক কমেছে ২৭ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির সেরা ১০
দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুয়েছে চারটি কোম্পানি। এগুলো হলো বিডিকম, মেঘনা মিল্ক, অগ্নি সিস্টেমস ও ভিএসএফ থ্রেড। এগুলোর দর বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।
এছাড়া কাশেম ড্রাইসেল ও কুইনসাউথের দর বেড়েছে ৮ শতাংশের বেশি।
ইয়াকিন পলিমার, ইনটেন অনলাইন, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ও ঢাকা ডায়িংয়ের দর বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি।
এছাড়া ৬ শতাংশের বেশি বেড়েছে একটির দর, ৫ শতাংশের বেশি ১০টির, ৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে ১২টি কোম্পানির।
দরপতনের সেরা ১০
বিএসইসির নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ২ শতাংশের বেশি দরপতন সম্ভব নয় এক দিনে। এই নীতিমালা গ্রহণের প্রথম দিন ব্যাপক উত্থান হলেও দ্বিতীয় দিন ২৭টি কোম্পানির দর দুই শতাংশের আশেপাশে ছিল।
দরপতনের এই তালিকার শীর্ষে ছির ন্যাশনাল টি কোম্পানি, দ্বিতীয় অবস্থানে জেমিনি সি ফুড।
লিবরা ইনফিউশন, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, বিডি ল্যাপস, এএমসিএল প্রাণ, লিনডে বিডি, এপেক্স ফুড, জুট স্পিনার্স ও রেনউইক যগেশ্বর ছিল দর পতনের শীর্ষ তালিকায়।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য