নতুন অর্থবছরে বেসরকারি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) করার প্রক্রিয়া চলছে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে আবেদন ও যাচাই-বাছাই।
জেলাপর্যায় থেকে পাঠানো সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার পর শিগগিরই অনুমোদনের জন্য জমা দেয়া হবে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। মন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই ঘোষণা দেয়া হবে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির।
তবে কবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দেয়া হবে, এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। চলতি মাসের শেষে অথবা আগামী মাসে এই ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এমপিও বা মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার হলো মাসিক বেতন আদেশ, যার মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন ওই প্রতিষ্ঠানের বদলে পরিশোধ করে সরকার।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফৌজিয়া জাফরীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নতুন এমপিওভুক্তির জন্য জেলাপর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের যে রিপোর্টগুলো এসেছে এর যাচাই-বাছাই প্রায় শেষ। আশা করছি, শিগগিরই নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট জমা দেয়া হবে।’
কবে নাগাদ এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেয়া হতে পারে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা শিগগিরই চূড়ান্ত তালিকা জমা দেব। এরপর মন্ত্রী মহোদয় সিদ্ধান্ত নেবেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির যাচাই-বাছাই কমিটির এক সদস্য নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চলতি মাসেই নতুন এমপিওভুক্তির ঘোষণা দিতে চায় সরকার। এ জন্য পুরোদমে কাজ চলছে। যদি কোনো কারণে সম্ভব না হয় তাহলে ঈদের আগেই নতুন এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেয়া হবে।’
এক প্রশ্নে তিনি জানান, সব মিলিয়ে এমপিওভুক্তির জন্য প্রায় ৬ হাজার আবেদন জমা হয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং ডিগ্রি স্তরের ৩ হাজার এবং কারিগরি, ভোকেশনাল ও মাদ্রাসা স্তরের ৩ হাজার।
এর আগে গত ৭ নভেম্বর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এই কমিটিকে সহায়তা করতে আরও চার সদস্যের একটি উপকমিটিও গঠন করা হয়।
এ কমিটিকে সহায়তা করবে ব্যানবেইসের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট আবু তাহের খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের কমিটি।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) এমপিওভুক্ত করতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে ১০ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করতে বলা হয়।
২০১৯ সালে ২ হাজার ৬২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার পর গত বছর আর তা করা হয়নি।
নতুন অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দের যে প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়েছে, তাতে নতুন প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির জন্য ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জন্য ২০০ কোটি টাকা এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ৫০ কোটি টাকা।
২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে চূড়ান্ত বাছাইয়ে ২ হাজার ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ছাড়পত্র পায়। এরপর আবার ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর ছয়টি এবং ১৪ নভেম্বর একটি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়।
দেশে এ পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হয়েছে এমন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। আর এমপিওভুক্ত হয়নি এখনও প্রায় ৭ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার জন্য গত ২৯ মে সংশোধিত এমপিও নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে এমপিওভুক্তির জন্য তিনটি শর্ত দেয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থী, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার- এই তিন বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যায় ৩০, পরীক্ষার্থীর সংখ্যায় ৩০ এবং পাসের হারে ৪০ নম্বর রাখা হয়েছে। আগের নীতিমালায় প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতির মেয়াদের ওপর ২৫ নম্বর ছিল, যা সংশোধিত নীতিমালায় বাদ দেয়া হয়েছে।
২০২১ সালের নীতিমালায় কোন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম কতজন শিক্ষার্থী থাকতে হবে, তা বেঁধে দেয়া হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, নিম্ন মাধ্যমিকে শহরে ১২০ ও মফস্বলে ৯০, মাধ্যমিকে শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ৪২০ ও মফস্বলে ৩২০, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে শহরে ২৫০ ও মফস্বলে ২২০ এবং ডিগ্রি কলেজে স্নাতকে শহরে ৪৯০ ও মফস্বলে ৪২৫ শিক্ষার্থী থাকতে হবে। পাসের হার স্তরভেদে ৪৫ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ করা হয়েছে।
গত ৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে যে বাজেট উপস্থাপন করেন, তাতে শিক্ষা খাতে ৭১ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে। বরাদ্দ বাড়ানো হয় ৫ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে বুয়েট সংলগ্ন পলাশী গোলচত্বরে আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ আজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (আইসেস্কো)-এর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. রাহিল কামার আজ ৫ অক্টোবর ২০২৫ রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এসময় একই সংস্থার ফাহমিদা ফাইজা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইসেস্কোর মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা প্রকল্প গ্রহণের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আইসেস্কো চেয়ার’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তাঁরা ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন খ্যাতিমান সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্ব ও নেটওয়ার্কিং গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করায় তিনি আইসেস্কো প্রতিনিধিদলের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫০০ টাকা বাড়ি ভাড়া বাড়ার প্রজ্ঞাপনকে প্রত্যাখ্যান করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট। একই সঙ্গে ২০ শতাংশ বাড়িভাড়ার দাবিতে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
জানা যায়, গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বাড়ানোর পরিপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি শাখার উপসচিব মোসা. শরীফুন্নেসা স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা শর্ত পালন সাপেক্ষে ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হলো।
এ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট সভাপতি এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।
নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ার একটি প্রজ্ঞাপন ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা এই প্রজ্ঞাপণের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি যে প্রজ্ঞাপনটি সঠিক। আমরা ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বাড়ার প্রজ্ঞাপনকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি আরো লিখেছেন, ১৩ আগস্ট এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের নেতাদের সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টার নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা মেডিক্যাল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপণের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাতাগার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষক কর্মচারীদের ২০ শতাংশ অনুযায়ী বাড়িভাড়ার ফাইল অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইেয়দ এ জেড মোরশেদ আলী।
এর আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য নিরসন, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও জাতীয়করণের দাবিতে গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রায় এক লাখ শিক্ষক-কর্মচারী মহাসমাবেশ করেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষায় এই উপমহাদেশে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অবদান উল্লেখযোগ্য। আমি একজন মাদ্রাসার ছাত্র হিসেবে গর্ববোধ করি।
বুধবার রাজধানীর বকশিবাজারে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশসহ এই উপমহাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার ঐতিহ্য শত বছরের পুরনো। যুগে যুগে এই শিক্ষাব্যবস্থা অনেক আধুনিকায়ন হয়েছে। সুশিক্ষার মাধ্যমে এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।
আ ফ ম খালিদ হোসেন আরো বলেন, বাংলাদেশে আলিয়া মাদ্রাসার মতো আড়াইশো বছরের ঐতিহ্য সম্ভবত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। আলিয়া মাদ্রাসা থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহমান বিশ্বাসসহ বহু আলেম-ওলামা বেরিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, এই উপমহাদেশে, মাদ্রাসা শিক্ষা না থাকলে ইসলামের ঐতিহ্য আদর্শ তমুদ্দিন কোন কিছুই বজায় রাখা সম্ভব হতো না। তাই সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় মাদ্রাসা শিক্ষার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা নিয়ে সমাজে ধর্মীয় মূল্যবোধের বিকাশ ঘটাতে হবে মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে। এই শিক্ষাকে ছোট করে দেখলে চলবে না। এর ঐতিহ্য শত বছরের।
উপদেষ্টা আরো বলেন, মাদ্রাসা হল আলেম-ওলামা তৈরীর কারখানা। বর্তমান সরকার মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রদেরকে প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করে বাস্তব জীবনে নিজেদের প্রতিভার বিকাশ করাতে হবে। তবেই জীবনে সফলতা সম্ভব।
তিনি বলেন ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার বর্তমান শিক্ষার্থীদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।সূত্র : বাসস
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা হারানোর পর এবার প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদেও নিয়োগের ক্ষমতাও হারাচ্ছে পরিচালনা পর্ষদ বা ‘গভর্নিং বডি’ ও ‘ম্যানেজিং কমিটি’।
এসব পদে সরকারের তদারকিতে নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হবে। কোনো প্রক্রিয়ায় বা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে তা নির্ধারণে কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ তথ্য জানান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধান পদে নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া নিয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘সিদ্ধান্ত একটা হয়েছে, আগে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ পদগুলোতে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি নিয়োগ দিত, এখন এ পদগুলোতে সরকার নিয়োগ দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটা কমিটি করে দিয়েছে। কমিটি এটা নির্ধারণ করবে, এ পদগুলোতে কোন আদলে নিয়োগ দেবে, কারা করবে, এনটিআরসিএ করবে না, অন্য কেউ করবে কোনটাই এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
এ কমিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনটিআরসিএ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করছেন বলেও তুলে ধরেন তিনি।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ সব পদে নিয়োগে কোন নীতিমালা বা নিয়ম অনুসরণ করা হবে তা এ কমিটি নির্ধারণ করবে।’
আপাতত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষক ও প্রভাষক পদে প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশ করার দায়িত্ব এনটিআরসিএ এর হাতে থাকলেও প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহকারী প্রধান ও কর্মচারী পদে নিয়োগের ক্ষমতা ছিল পরিচালনা পর্ষদের হাতে।
গত সোমবার প্রকাশিত এক পরিপত্রে বেসরকারি স্কুল ও কলেজের কর্মচারী পদে নিয়োগ সুপারিশ কমিটির সভাপতি পদ থেকে ‘গভর্নিং বডি’ ও ‘ম্যানেজিং কমিটি’ সরিয়ে ডিসিদের এ দায়িত্ব দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ের নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া নিয়ে জানাতে এ কর্মশালা আয়োজন করে এনটিআরসিএ।
কর্মশালায় এনটিআরসিএ সদস্য এরাদুল হক, মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, পরিচালক তাসনিম জেবিন বিনতে শেখ, সংস্থাটির সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক ও সংবাদকর্মীরা অংশ নেন।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ডিবেট ক্লাব আয়োজিত “জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫”-এর গ্র্যান্ড ফিনালে ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আজ সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাকুল হায়দার হলে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ফরিদ আহমদ সোবহানীর সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম হায়দার।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মো. শামসুল হুদা, রেজিস্ট্রার ড. আবুল বাশার খান, ডিবেট ক্লাবের কো-অর্ডিনেট ও আইন বিভাগের লেকচারার মেহেরবা সাবরিন, এবং ক্লাবের সভাপতি আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিত ইবনে মাহমুদ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দসহ অসংখ্য শিক্ষার্থীর উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
৩২ টি কলেজের অংশগ্রহণে ইন্টার-কলেজ প্রতিযোগিতার ফাইনাল-এ সরকারি বাংলা কলেজ ও সরকারি বিজ্ঞান কলেজ মুখোমুখি হয়। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ বিজয়ী হয় এবং সরকারি বাংলা কলেজ রানার আপের গৌরব অর্জন করে। এ পর্বে সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হন সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী ইমন আহমেদ।
অন্যদিকে, ২৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে ইন্টার-ইউনিভার্সিটি প্রতিযোগিতার ফাইনাল-এ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) এর মধ্যে লড়াই হয়। এই প্রতিযোগিতায় বুটেক্স বিজয়ী হয় এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি রানার আপ হয়। এ পর্বের সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আলভি সালমান।
আয়োজকরা জানান, এ প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের তরুণ প্রজন্মকে যৌক্তিকতা, মুক্তচিন্তা ও নেতৃত্বের চর্চায় অনুপ্রাণিত করা।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং শিল্পখাতের অংশীজনদের যৌথ সহযোগিতায় কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) নতুন পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ চালু করবে।
বাংলাদেশের তরুণদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করাই বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন উদ্যোগের লক্ষ্য।
এ লক্ষ্যে রোববার ঢাকায় এক হোটেলে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা এবং শিল্পখাতের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
কোইকা'র পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ অংশীদারিত্ব বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে। শিল্পখাতের অভিজ্ঞতা এবং বিএমইটি-এর নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে এ কর্মসূচি প্রাসঙ্গিক ও ফলপ্রসূ কারিগরি প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করবে।
মন্তব্য