× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Postmortem kidney transplantation has not been introduced even today
google_news print-icon

মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপন চালু হয়নি আজও

মরণোত্তর-কিডনি-প্রতিস্থাপন-চালু-হয়নি-আজও
কিডনি প্রতিস্থাপন করছেন চিকিৎসকরা। ফাইল ছবি
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিশ্রুতি থাকলেও নানা বাধায় দেশে এখনও মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না। আবার মরণোত্তর দান করা কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গ সংরক্ষণের জন্য দেশে এখনও সংরক্ষণশালা গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে সরকারি উদ্যোগ ও রোগীর স্বজনদের সচেতনতা জরুরি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আজিজুল ইসলাম মরণোত্তর অঙ্গদানের জন্য জাতীয় কিডনি ফাউন্ডেশনে নাম তালিকাভুক্ত করেছিলেন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।

আজিজুলের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য চিকিৎসকরা সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন, কিন্তু বাদ সাধে পরিববার।

শিক্ষকের বড় ছেলে কিডনি প্রতিস্থাপনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান। সন্তানের দাবি, বাবার মরদেহ অক্ষত রেখে দাফন করতে চান। এতে আটকে যায় কিডনি প্রতিস্থাপন। স্বজনের আবেগ আর অসচেতনতার কাছে হেরে যায় প্রতিশ্রুতি।

এদিকে যে রোগীর দেহে কিডনি প্রতিস্থাপনের কথা ছিল, তিনিও বিপাকে পড়ে যান। কারণ তার দেহে কিডনি প্রতিস্থাপন করাটা জরুরি, কিন্তু প্রতিশ্রুত কিডনি না পেয়ে অস্ত্রোপচার করতে পারেননি চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিশ্রুতি থাকলেও নানা বাধায় দেশে এখনও মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না। আবার মরণোত্তর দান করা কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গ সংরক্ষণের জন্য দেশে এখনও সংরক্ষণশালা গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে সরকারি উদ্যোগ ও রোগীর স্বজনদের সচেতনতা জরুরি।

মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনে ১৯৯৯ সালে দেশে একটি আইন প্রণয়ন হয়। ২০১৮ সালে সংশোধনী আনা হয়। এর মাধ্যমে অঙ্গদানের সুযোগের পরিধি বাড়লেও মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি।

চিকিৎসকরা বলছেন, কে মরণোত্তর অঙ্গ দান করবেন, কারা গ্রহণ করতে পারবেন, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ডেটাবেজ করা হয়নি; নেই তেমন কোনো সংরক্ষণশালা। এটি বাস্তবায়নে বড় দল দরকার। সেটিও গড়ে ওঠেনি। যথাযথ অবকাঠামোও নেই। অথচ প্রতিবেশী ভারতসহ বেশ কিছু দেশে মরণোত্তর কিডনি দিয়েই ২০ শতাংশ কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে।

বিশিষ্ট ইউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. এম ফখরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে, ‘দেশে এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে শ্যামলীতে সিকেডি নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম এক হাজার ৫০টির মতো কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করেছেন।

‘করোনা শুরুর আগে বিএসএমএমইউতে সপ্তাহে একটা করে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হতো। এর বাইরে বেসরকারিভাবে ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন, অ্যাপোলো, এভারকেয়ারসহ দেশে সাত থেকে আটটি হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন হচ্ছে।’

এক বছরের মধ্যে দেশে মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম। তার প্রতিষ্ঠান শ্যামলীর সিকেডি অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে মরণোত্তর দান করা অঙ্গ প্রতিস্থাপন হবে।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আশা করি এক বছরের মধ্যে মরণোত্তর দান করা অঙ্গ প্রতিস্থাপন সম্ভব হবে। এটা নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট অনেক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার বিশ্বাস, আমরা সবাই মিলে কাজ করলে বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা দ্রুত এগিয়ে যাবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের (এনসিডিসি) লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন বলেন, ‘দেশে আইন থাকলেও মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপন এতদিনেও শুরু করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য সুষ্ঠু কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন প্রয়োজন। বিশেষ করে শিশু ও যুবসমাজের মধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপনে বেশি জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।’

জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটে ২২ বছরে ৩৬ কিডনি প্রতিস্থাপন

কিডনি চিকিৎসায় একমাত্র বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিউিউট অফ কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে ২২ বছরে মাত্র ৩৬ জনের দেহে কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে।

মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপন চালু হয়নি আজও

বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই মুহূর্তে দেশে আড়াই থেকে পৌনে তিন কোটি মানুষ কোনো না কোনো মাত্রায় কিডনি রোগে ভুগছেন। এর সঙ্গে প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ নতুন রোগী যুক্ত হচ্ছে। অথচ দেশের সবচেয়ে বড় কিডনি হাসপাতালে এত অল্পসংখ্যক ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা কিডনি প্রতিস্থাপন হচ্ছে।

এমন বাস্তবতায় সারা বিশ্বের মতো ১০ মার্চ দেশে পালন হচ্ছে বিশ্ব কিডনি দিবস-২০২২। রোগটি সম্পর্কে সচেতন করতে এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘কিডনি হেলথ ফর অল’ অর্থাৎ ‘সবার জন্য সুস্থ কিডনি’।

২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর শেরে বাংলানগরে ১১৬ শয্যার জাতীয় কিডনি অ্যান্ড ইউরোলজি ইনস্টিটিউট উদ্বোধন হয়। ২০০১ সালে ৩১ মে এখানে পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর ২০১১ সালের ৯ এপ্রিল প্রথম এখানে এক রোগীর দেহে কিডনি প্রতিস্থাপন হয়।

এরপর থেকে এখানে ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০ জন রোগীর কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়, কিন্তু পরবর্তী সময়ে আইসিইউ সচল না থাকা, ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন অকেজো হওয়া, রোগীদের এনজিওগ্রাম ও টিস্যু টাইপিংয়ের ব্যবস্থা না থাকা, এমন নানা সমস্যায় মুখ থুবড়ে পড়ে কার্যক্রম। সম্প্রতি নতুন করে সেবাটি চালু হয়েছে। গত এক বছরে এখানে তিনজনের দেহে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়।

হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানে কেন কিডনি প্রতিস্থাপন বন্ধ ছিল, সেটা বলতে পারছি না। ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই চিকিৎসা কেন্দ্রটিকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছি। ট্রান্সপ্ল্যান্ট শুরু করছি। ইতোমধ্যে তিনজনের দেহে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়েছে।

‘কোভিড পরিস্থিতি না থাকলে এই সংখ্যা এতদিনে ৫০ জনে পৌঁছাত। ওমিক্রনের প্রভাব কমায় আরও তিন রোগীকে পাইপলাইনে রেখেছি। চলতি মার্চের মধ্যেই তাদের ট্রান্সপ্ল্যান্ট হবে।’

মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপন চালু হয়নি আজও

অধ্যাপক মিজানুর আরও বলেন, ‘ট্রান্সপ্ল্যান্টের পূর্বশর্ত রোগীর টিস্যু টাইপিং, এইচএলএ পরীক্ষা ও ড্রাগ লেভেল নির্ণয়। সে ব্যবস্থা এখানে নেই। ফলে বিএসএমএমইউ ও পরিচিত হাসপাতাল থেকে করে আনা হচ্ছে।

‘প্রয়োজনীয় কিছু সরঞ্জাম যেমন: ওটি লাইট ও ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেট দরকার। সেগুলোর জন্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র জমা দিয়েছি। আশা করছি আগামী জুনের মধ্যে পেয়ে যাব। ডায়ালাইসিসের জন্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেন্ডরের সঙ্গে পিপিপির ভিত্তিতে কাজ হচ্ছে। রোগীদের কাছ থেকে প্রতি ডায়ালাইসিস বাবদ ৫১০ টাকা হারে ৬ মাসের জন্য ২০ হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে। বাকিটা সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে।’

চিকিৎসা করতে নিঃস্ব ৯০ ভাগ রোগী

জাতীয় কিডনি অ্যান্ড ইউরোলজি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফিরোজ খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী কিডনি বিকল হয়ে পড়া একটি ভয়াবহ স্বাস্থ্য সমস্যা। দিন দিন এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

দেশে পৌনে তিন কোটি মানুষ কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া দেশে মোট জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশ শিশু, যাদের মধ্যে ৬ দশমিক ৬ শতাংশের এই সমস্যা রয়েছে, কিন্তু কিডনি জটিলতা রয়েছে এমন ৭০ শতাংশই জানেন না তারা এই রোগে আক্রান্ত।

চিকিৎসাব্যয় বেশি হওয়ায় ৯০ শতাংশ রোগী এর বোঝা বহন করতে পারছে না। চিকিৎসা নিতে গিয়ে অনেকে নিঃস্ব হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোগী মাঝপথে চিকিৎসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

বিশ্বে প্রতি ১০ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে ১ জন দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে ভুগছেন। সময়মতো চিকিৎসা না নেয়ায় এটি আরও মারাত্মক হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, এমনটা চলতে থাকলে ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ লাখের বেশি কিডনি বিকল রোগী সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসার অভাবে অকালে মারা যাবে।

প্রাণঘাতী হিসেবে দুই যুগ আগেও রোগটি ২৭তম অবস্থানে ছিল। বর্তমানে তা সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। ২০৪০ সালে মানুষের মৃত্যুর পঞ্চম কারণ হবে কিডনি রোগ।

আরও পড়ুন:
ডায়ালাইসিস বন্ধ: মিরপুরে সড়ক অবরোধ রোগীর স্বজনদের
সন্তান ও কিডনি বিক্রি করছে আফগানরা
কিডনি কেনাবেচার অভিযোগে আটক ৯
ভালো আছে হরিণাকুণ্ডুর সেই দম্পতি
নড়াইলে কিডনি সেবা দিতে মাশরাফির সঙ্গে জেএমআইয়ের চুক্তি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
In Barisal Dengue the death of a hundred year old woman is 120

বরিশালে ডেঙ্গুতে শতবর্ষী নারীর মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১২৬

বরিশালে ডেঙ্গুতে শতবর্ষী নারীর মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১২৬

বরিশাল বিভাগের বরগুনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধা রাবেয়া (১০০) মারা গেছেন। গতকাল সোমবার ভোরে তিনি বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এ নিয়ে বিভাগে ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরগুনার বাসিন্দাই রয়েছে ৬ জন। এদিকে গত রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। একই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১২৯ জন।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার ভোরে মৃত্যু হওয়া শতবর্ষী রাবেয়া বেগম বরগুনা সদরের বাসিন্দা। তাকে গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

স্বাস্থ্য বিভাগে তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ১৩ জন ভর্তি হয়েছে। এছাড়া বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে ৮ জন।

পটুয়াখালী জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ৭ জন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন, ভোলা সদর হাসপাতালে ৫ জন ভর্তি হয়েছে। পিরোজপুরে ১৬ জন ও বরগুনায় ৭৩। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ঝালকাঠিতে কেউ আক্রান্ত হয়নি।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উদ্বেগ ও আশংকাজনক। এ পরিস্থিতি থেকে বেরুতে হবে। তাই মশার বিস্তার রোধ করতে বাড়ির আশে-পাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশ
Two more deaths are admitted to the hospital in the ups and more of the dengue victim

ডেঙ্গু আক্রান্তের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৯২

ডেঙ্গু আক্রান্তের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৯২

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে ঊর্ধ্বগতির আক্রান্তের হারের মধ্যে দেশে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২২ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যু হয়। আর এই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৯২ জন।

সোমবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা সিটি করপোরেশন ও বরিশাল বিভাগে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আর আক্রান্তের হারে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে বরিশাল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে বিভাগটিতে নতুন করে মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১২৬ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ৩৯২ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৬ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩০৬ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ পুরুষ এবং ৫০ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮ হাজার ১৫০ জন। এর মধ্যে ৫৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ শতাংশ নারী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Corona 3 more deaths across the country are new to identify

করোনা: সারাদেশে আরও ৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩৬

করোনা: সারাদেশে আরও ৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩৬

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে ৩৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

রবিবার (২২ জুন) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনায় মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫১৫ জনে এবং মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৭৮ জনে।

২৪ ঘণ্টায় ৬২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, সে অনুযায়ী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষায় সংক্রমণের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং শনাক্তদের মধ্যে মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Memorandum of EB students demanding promoting health and transport services

স্বাস্থ্য ও পরিবহন সেবা উন্নীতকরণের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

স্বাস্থ্য ও পরিবহন সেবা উন্নীতকরণের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবহন ব্যবস্থা উন্নীতকরণের লক্ষ্যে চার দফা দাবি উপস্থাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ইবি শিক্ষার্থী তানভীর মাহমুদ মন্ডলের প্রতিনিধিত্বে এই দাবিসমূহ জানানো হয়েছে।

২২ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন শিক্ষার্থীরা।

স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘাটতি রয়ে গেছে। একটি উন্নত, মানবিক ও কার্যকর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবহন ও চিকিৎসা ব্যবস্থা অপরিহার্য। উপস্থাপিত চার দফা দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের স্থায়ী সংস্কারের লক্ষ্যে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় সভার আয়োজন করা, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসাসেবা উন্নতিকরণ এবং কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট সিট সার্বক্ষণিক সংরক্ষণের ব্যবস্থা, পরিবহন পুল থেকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন অপসারণ এবং চালক ও সহকারীদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা এবং পরিবহন সংকট নিরসনে জরুরিভিত্তিতে নতুন যানবাহন সংযোজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তানভীর মন্ডল জানান, ‘স্মারকলিপি দিয়েছি। উল্লেখ করা দাবি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা আরও নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাজীবন উপভোগ করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবনাগুলো যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’

শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ উপস্থাপন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ আশ্বস্ত করে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা খুবই যৌক্তিক কিছু দাবি উত্থাপন করেছে৷ কয়েকদিন আগেও আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী বাস-ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। এর আগেও এমন দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Another one who died in dengue is 12

ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৫২

ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৫২

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যু হয়। আর এই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৫২ জন।

শনিবার (২১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা সিটিতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আর আক্রান্তের হারে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে বরিশাল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে বিভাগটিতে নতুন করে মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৭ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ৩৫২ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬২ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৯০ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭ হাজার ৪২৯ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The common man is in danger of 6 months off the supply of drugs

ওষুধ সরবরাহ বন্ধ ৮ মাস বিপাকে সাধারণ মানুষ

ওষুধ সরবরাহ বন্ধ ৮ মাস বিপাকে সাধারণ মানুষ

সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ না থাকায় ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। প্রায় সাত-আট মাস কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় এতে তৃণমুলে বসবাসকারী অবহেলিত মানুষগুলো স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে। এমনটিই আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

জানা গেছে, নড়াইল জেলার তিনটি উপজেলা ও একটি প্রশাসনিক থানা এলাকায় ৪০টি ইউনিয়ন পরিবারকেন্দ্র এবং মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সিভিল সার্জন কর্তৃক সাতটি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র পরিচালিত হয় । বাকিগুলো পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ অধিদপ্তর থেকে পরিচালিত হয়ে থাকে।

সিভিল সার্জন কর্তৃক পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সদর উপজেলায় তিনটি, লোহাগড়া উপজেলায় তিনটি এবং কালিয়া উপজেলায় একটি। এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসাসেবার ওপর গ্রামাঞ্চলের নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষগুলো সুস্থ ও সবলভাবে বেচে থাকার জন্য অনেকটিই নির্ভর করে। এসব কেন্দ্রগুলোতে সরকারি ওষুধ সরবরাহ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ । কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সংকটের কথা স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ।

গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার জেলার কয়েকটি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, চিকিৎসাসেবা নিতে আসা গ্রামের অনেক মহিলা চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসাপত্র নিয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তাদের মুখখানা ছিল মলিন । আবার অনেক কেন্দ্র ছিল ফাকা। দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার একটি কক্ষে বসে গল্পে মেতে আছেন বন্ধুদের সঙ্গে। গত মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মো.আলাউদ্দীন কেন্দ্রের একটি কক্ষে চুপচাপ বসে আছেন । জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে আমাদের এখানে ২৫ রকমের ওষুধ বরাদ্দ ছিল। তখন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে শিশু-নারী ও পুরুষ স্বাস্থ্যসেবা নিতে জড়ো হতেন। গত সাত-আট মাস হলো কোনো ওষুধ সরবরাহ নেই । ফলে কেন্দ্রে রোগীদের তেমন ভিড়ও নেই। শুধু পরিবার পরিকল্পনা কিছু সামগ্রী আছে তাই দিয়ে সেবা চলছে। তিনি বলেন, এখানে যেসব রোগী আসে তার বেশিরভাগ হচ্ছে শিশু ও নারী। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আগে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন রোগীকে সেবা দিয়েছি। বর্তমানে ১৫ থেকে ২০ জনের বেশি হয় না।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হলে তৃণমুলে সাধারণ মানুষ বিপদে এবং স্বাস্থ্যসেবা ঝুঁকিতে পড়বে বলে মনে করেন নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.রবিউল ইসলাম।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সরকারের দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। না হলে গ্রামের কৃষক শ্রেণির মানুষের জীবনের ছন্দ পতন ঘটবে। গতকাল বুধবার দুপুরে লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কুমড়ি গ্রাম থেকে ছোট শিশুকে কোলে নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসেছেন সালমা আক্তার । তার কোলের শিশুর সর্দি-কাশি দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আগে এহেনে ডাক্তার দেহালি ওষুধ দেতো। এহোনে দেচ্ছে না । কাগজে লেহে দিলি আমাগে বাজারের দুয়ানতে কিনে নিতি হচ্ছে। আমরা গরিব মানুষ। অত টায়া পয়সা নাই আমাগে। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকাররে কচ্ছি আগের মতো আমাগে মাগনা (বিনা টাকায়) ওষুধ দিতি হবে।’

কালিয়া উপজেলার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের মুলশ্রী গ্রামের দীপ্তি রানী মণ্ডল বুকে ব্যথা অনুভব করলে নিজের ওষুধ নিতে এসেছেন ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে। তিনি বলেন, ‘এহেনের ডাক্তার সাদা কাগজে কী যেন লেহে দেলো। আর কলো এই কাগজ নিয়ে বাজারের দুয়ানেরতে অসুদ কিনতি হবে । কিরাম কতা হলো কওদিন বাপু । আমাগে যদি দুয়ানেরতে অসুদ কিনতি হবে তালি তুমরা এহানে বসে রইছো ক্যান ? আগেতো এমন কতা শুনিনি।’

জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক আলিফ নূর বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে প্রায় সাত থেকে আট মাস। যে কারণে সমাজের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তিনি দাবি করেন, ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো বন্ধের মধ্যেও খোলা ছিল । ওষুধ না পেলেও চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল না । যারা গর্ভবতী মা তারা চেকআপের জন্য কেন্দ্রে আসছেন । তাদের প্রয়োজনীয় সেবাও দেওয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ওষুধ সরবরাহের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সংকট মোচন হবে ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
20 more people in the country

দেশে আরও ২৮ জন করোনায় আক্রান্ত

দেশে আরও ২৮ জন করোনায় আক্রান্ত

করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের মধ্যে দেশে আরও ২৮ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এই সময়ের মধ্যে নতুন করে কারো মৃত্যু হয়নি।

বুধবার (১৮ জুন) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ।

এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন সাতজন। আর দেশে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫০৬ জনের।

মন্তব্য

p
উপরে