× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Stability will not come with patching Mirza Aziz
google_news print-icon

জোড়াতালি দিয়ে স্থিতিশীলতা আসবে না: মির্জ্জা আজিজ

জোড়াতালি-দিয়ে-স্থিতিশীলতা-আসবে-না-মির্জ্জা-আজিজ
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাবেক চেয়ারম্যান এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। ফাইল ছবি
‘কমতে শুরু করলেই এটা-ওটা করে বাজারের পতন ঠেকানোর উদ্যোগ নেয়া হবে; আবার বাড়তে শুরু করলে নানা ধরনের কড়াকড়ি-নজরদারি করা হবে- এটা ঠিক না। …সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এ কারণে মাঝেমধ্যেই বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। পুঁজিবাজারে দৈনন্দিন হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই।’

ইউক্রেন যুদ্ধের পর ধস থেকে দেশের পুঁজিবাজার আপাতত ইউটার্ন নিয়ে উত্থানে গেছে। ব্যাপক উত্থানে হারানো পুঁজি কিছুটা হলেও ফিরে পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

এই উত্থানের পেছনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির দুটি সিদ্ধান্ত কাজ করেছে। ১. পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা জরুরি বিনিয়োগের নির্দেশ, ২. কোনো শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ নির্ধারণ।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাবেক চেয়ারম্যান এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম মনে করেন, বাজারে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে বিএসইসির এই হস্তক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়েছে। কিন্তু এভাবে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করা যাবে না।

নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বুধবার তিনি বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখতে হবে, জোড়াতালি দিয়ে পুঁজিবাজার স্বাভাবিক হয় না; স্থিতিশীলতা আসে না। বাজারকে তার স্বাভাবিক গতিতে চলতে দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘কমতে শুরু করলেই এটা-ওটা করে বাজারের পতন ঠেকানোর উদ্যোগ নেয়া হবে; আবার বাড়তে শুরু করলে নানা ধরনের কড়াকড়ি-নজরদারি করা হবে, এটা ঠিক না। বাজারে উত্থান-পতন থাকবে- এটা মেনে নিয়ে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করতে হবে।’

২০১০ সালের মহাধসের পর থেকে এক যুগেও পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরেনি। ২০২০ সালের মে থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাপক চাঙাভাবে বিনিয়োগকারীরা বেশ লাভবান হলেও সাম্প্রতিক পতনে আবার আর্থিক খতির মুখে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

সবশেষ দরপতন শুরু গত ২৪ ফেব্রুয়ারি, যেদিন ইউক্রেনে সামরিক হামলা চালায় রাশিয়া।

এই যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের পুঁজিবাজারই প্রভাবিত হয়েছে। বাইরে ছিল না বাংলাদেশও।

এই যুদ্ধ শুরুর পর আট দিনে বাজারে সূচক পড়ে ৩৮২ পয়েন্ট। নবম দিনে এক ঘণ্টারও কম সময়ে আরও ১৩৭ পয়েন্ট সূচক পড়ার পর ব্যবস্থা নেয় বিএসইসি।

‘একটা কথা মনে রাখতে হবে, জোড়াতালি দিয়ে পুঁজিবাজার স্বাভাবিক হয় না; স্থিতিশীলতা আসে না। বাজারকে তার স্বাভাবিক গতিতে চলতে দিতে হবে।’

পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে জরুরি ভিত্তিতে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের নির্দেশ দেয়ার খবরে সেদিন তলানি থেকে উঠে এসে দিন শেষ হয় ১৭ পয়েন্ট বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে। এই উত্থান এমন কোনো বড় কিছু না হলেও পরিস্থিতির কারণে সেটি বিনিয়োগকারীদের চিড় ধরানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

লেনদেন শেষে বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে এসে ঘোষণা দেন, এক দিনে কোনো শেয়ারের দর ২ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। তবে বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা আগের মতোই থাকবে ১০ শতাংশ।

বুধবার লেনদেন শুরুই হয় ৫৭ পয়েন্ট যোগ হওয়ার মধ্য দিয়ে। দিন শেষে বাড়ে ১৫৫ পয়েন্ট।

মির্জ্জা আজিজ বলেন, ‘দুই দিন ধরে বাজার ফের বাড়ছে, বলা হচ্ছে বিএসইসি কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কারণে বাড়ছে। কিন্তু আমার বিশ্লেষণ হচ্ছে, বাজার অনেক পড়ে গিয়েছিল, সব শেয়ারের দাম অনেক নিচে নেমে এসেছিল। এখন সবাই কম দামের শেয়ার কিনছে, তাই দাম বাড়ছে। বাজার ভালো হচ্ছে। এটাই বাজারের স্বাভাবিক নিয়ম।’

নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব’

ইউক্রেন ইস্যু ছাড়াও দেশের পুঁজিবাজারে আরও কিছু সংকট রয়েছে। বিএসইসির সঙ্গে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে মতভিন্নতার বিষয়টি অনেকটাই রেষারেষির পর্যায়ে চলে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল, বাজারকে প্রভাবিত করবে, এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে দুই পক্ষ সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেবে, কিন্তু সেটি কখনও হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা সময় নানা সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়েছেন।

‘দুই দিন ধরে বাজার ফের বাড়ছে, বলা হচ্ছে বিএসইসি কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কারণে বাড়ছে। কিন্তু আমার বিশ্লেষণ হচ্ছে, বাজার অনেক পড়ে গিয়েছিল, সব শেয়ারের দাম অনেক নিচে নেমে এসেছিল। এখন সবাই কম দামের শেয়ার কিনছে, তাই দাম বাড়ছে। বাজার ভালো হচ্ছে। এটাই বাজারের স্বাভাবিক নিয়ম।’

মির্জ্জা আজিজ মনে করেন, বাজারে যে সংকট, সেটি শনাক্ত করে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত জরুরি।

তিনি বলেন, ‘সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এ কারণে মাঝেমধ্যেই বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

‘পুঁজিবাজারে দৈনন্দিন হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। তবে এটাও ঠিক যে আর্থিক বাজারে নানা রকম অনভিপ্রেত বা অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে পারে। যদি কোনো সময় বাজার অস্বাভাবিক আচরণ করে তখন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সরকার বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার (এসইসি) হস্তক্ষেপ করা উচিত।’

তবে কোনো কারসাজি হলে কঠোরভাবে দমন করতে হবে- এটাও বলেন বিএসইসির সাবেক প্রধান। বলেন, ‘এই যে যুদ্ধের অজুহাতে কয়েক দিন বাজারে বড় পতন হলো, এতে কেউ বা কোনো মহল জড়িত ছিল কি না তা খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

হুজুগ থেকে বের হতে হবে’

আবার সম্প্রতি একটি বড় মার্চেন্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকে করা জরিপে উঠে এসেছে, বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৯০ শতাংশের মধ্যেই পুঁজিবাজার নিয়ে সুষ্পষ্ট ধারণা নেই। তারা শেয়ার কেনেন গুজবে।

‘আমাদের বিনিয়োগকারীরা অযৌক্তিক আশঙ্কায় ভোগেন। এখানকার বিনিয়োগকারীদের হুজুগে মেতে ওঠার প্রবণতা খুব বেশি। ‘অনেক ভালো কোম্পানির শেয়ার আছে এখনও, যাদের মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বিনিয়োগযোগ্য। কিন্তু তারা সে পথে না গিয়ে অহেতুক উল্টাপাল্টা শেয়ার কিনে ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।’

মির্জ্জা আজিজও মনে করেন, সাম্প্রতিক এই দরপতনের প্রধান কারণ ছিল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা। তিনি বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে ৫০ বছরের এই বাংলাদেশে একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজার পাইনি। কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়াই বাজার বাড়ে; আবার পতন হয়। এই যে গত কয়েক দিন টানা পতন হলো, তাতেও কোনো যৌক্তিক কারণ ছিল না।

‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে আমাদের পুঁজিবাজারের কোনো সম্পর্ক নেই। তারপরও বাজারে পতন হলো। অযথাই একশ্রেণির বিনিয়োগকারী আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছিলেন; আর সে কারণে বিক্রির চাপে বাজারে বড় পতন হয়েছে।’

মির্জ্জা আজিজ বলেন, ‘আমাদের বিনিয়োগকারীরা অযৌক্তিক আশঙ্কায় ভোগেন। এখানকার বিনিয়োগকারীদের হুজুগে মেতে ওঠার প্রবণতা খুব বেশি।

‘অনেক ভালো কোম্পানির শেয়ার আছে এখনও, যাদের মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বিনিয়োগযোগ্য। কিন্তু তারা সে পথে না গিয়ে অহেতুক উল্টাপাল্টা শেয়ার কিনে ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।’

‘আমরা জানি যে আমাদের শেয়ারবাজারের বড় অংশজুড়েই রয়েছে ব্যাংক খাত। স্বাভাবিক কারণেই বাজারের সার্বিক সূচকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকারকে উদ্যোগ দিতে হবে।’

ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে

ব্যাংক খাতের দুরবস্থাও পুঁজিবাজারে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন মির্জ্জা আজিজ। তিনি বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে খেলাপি ঋণ এক লাখ তিন হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রকৃত হিসাবে এর পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি। ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি নিয়েও মানুষ সন্দিহান।

‘আমরা জানি যে আমাদের শেয়ারবাজারের বড় অংশজুড়েই রয়েছে ব্যাংক খাত। স্বাভাবিক কারণেই বাজারের সার্বিক সূচকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকারকে উদ্যোগ দিতে হবে।’

ঢালাও আইপিও নয়

পুঁজিবাজারে দেশি-বিদেশি ভালো কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করার ওপরও জোর দেন মির্জ্জা আজিজ। বলেন, 'ঢালাওভাবে কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব তথা আইপিও দেয়া যাবে না। আইপিও অনুমোদনের সময় প্রতিবেদনে বাস্তব চিত্র না দেখিয়ে একটি রোজি পিকচার দেয়া হয়। যার ফলে লেনদেনের প্রথম দিকে দাম বাড়ে। আর কিছুদিন পর দাম কমে যায়।'

আরও পড়ুন:
পতন ঠেকানোর দুই পদক্ষেপে ফিরল প্রাণ
এক দিনে শেয়ারের দর কমবে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ
বিএসইসির আদেশে বড় পতন থেকে ঘুরল পুঁজিবাজার
পতন ঠেকাতে পুঁজিবাজারে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের নির্দেশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The government will form a committee to find a long term financing way from the capital market

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।

সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market Most companies have decreased major collapse in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

মন্তব্য

p
উপরে