সাধারণ ধারণা অনুযায়ী, মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে অকার্যকর হয়ে পড়ে মস্তিষ্ক। তবে আধুনিক বিজ্ঞান বলছে, হৃদযন্ত্র বন্ধ হওয়ার পরেও কিছুটা সময় সচল থাকে মগজ। থাকে অনুভবের ক্ষমতা।
যুক্তরাজ্যের ব্যাঙ্গর ইউনিভার্সিটির কগনিটিভ নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক গুইলাম থিয়েরি মনে করছেন, আরও অনেক কিছু আমাদের জানার বাকি। মৃত্যুর পর মানুষ কতক্ষণ সচেতন থাকে, সে সময়টি মস্তিষ্ক কী অনুভব করে- তা নিয়ে নিবন্ধ লিখেছেন প্রখ্যাত এই স্নায়ুবিজ্ঞানী। দ্য কনভারসেসনে প্রকাশিত নিবন্ধটি অনুবাদ করা হয়েছে নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
আমি তখন প্রায় ১৫ বছর বয়সী কিশোর। সেই বয়সে প্রথম মৃত্যুভয়ে আক্রান্ত হই এবং মৃত্যুর অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে তা নিয়ে দুর্ভাবনা আমাকে ঘিরে ধরে। আমি তখন মাত্র ফরাসি বিপ্লবের ভয়ংকর দিকগুলো জানতে পেরেছি। গিলোটিন কী করে শরীর থেকে মাথাগুলোকে নিখুঁতভাবে কেটে ফেলে জেনে শিউরে উঠেছি।
ফরাসি বিপ্লবের নেতা জর্জেস ডান্টনকে গিলোটিনে চড়িয়ে হত্যা করা হয় ১৭৯৪ সালের ৫ এপ্রিল। মৃত্যুর আগে তার শেষ কথাটি আমার মনে গেঁথে আছে। জল্লাদকে তিনি বলেছিলেন, ‘জনগণকে আমার কাটা মাথা দেখিও, এটি হবে দেখার মতো।’
অনেক বছর পরে একজন কগনেটিভ স্নায়ুবিজ্ঞানী হয়ে ওঠার পর একটি চিন্তা আমার মধ্যে তৈরি হয়। আমি ভাবতে শুরু করি, শরীর থেকে হঠাৎ বিচ্ছিন্ন একটি মস্তিষ্ক সম্ভবত আশপাশের পরিবেশ বুঝতে পারে এবং চিন্তাও করতে পারে।
ডান্টন চেয়েছিলেন তার কাটা মাথা জনগণের সামনে প্রদর্শন করা হোক, কিন্তু তিনি কি লোকদের দেখতে বা শুনতে পাচ্ছিলেন? তিনি কি খানিকটা সময়ের জন্যও সচেতন ছিলেন? কীভাবে তার মস্তিষ্ক অচল হয়ে গেল?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর ২০২১ সালের ১৪ জুন তারিখেও আমি প্রবলভাবে খুঁজেছি। সেদিন ফ্রান্সের মার্সেইয়ে রওনা হয়েছিলাম। কারণ আমার মা অ্যাভিগননে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। সেখানে আমার ভাইয়ের অবস্থা ছিল গুরুতর। কিছুদিন আগেই ওর ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়েছে।
তবে অ্যাভিগননে পৌঁছানোর পর জানতে পারি আমার ভাই চার ঘণ্টা আগে মারা গেছে। ওর মৃতদেহটি ছিল একদম সৌম্য, নিখাদ স্থির। মাথাটি এমনভাবে খানিকটা কাত হয়ে ছিল যেন ও গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। কেবল শ্বাস নিচ্ছে না, সেই সঙ্গে দেহটি শীতল।
ওই দিন এবং তার পরের কয়েক মাস ধরে আমি যতই অবিশ্বাস করি না কেন, বাস্তবতা হলো, আমার ভাইয়ের অনন্য উজ্জ্বল এবং সৃজনশীল জীবনের অবসান ঘটে গিয়েছিল। কেবল রয়ে গেছে তার রেখে যাওয়া শিল্পকর্মগুলো।
সেদিন আমাকে হাসপাতালের একটি কক্ষে ভাইয়ের প্রাণহীন দেহের সঙ্গে থাকতে দেয়া হয়েছিল। আমি তখন ওর সঙ্গে কথা বলার তীব্র ইচ্ছা অনুভব করেছি এবং কথা বলার চেষ্টাও করেছি।
মানুষের মস্তিষ্ক নিয়ে আমি ২৫ বছর অধ্যয়ন করেছি। খুব ভালোভাবে জানি, হৃৎপিণ্ড অচল হওয়ার পর মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং প্রায় ছয় মিনিট পরে মস্তিষ্ক মূলত মারা যেতে থাকে। এই সময়ের পর অবনতির মাত্রা এমন একটি বিন্দুতে পৌঁছায় যেখান থেকে আর ফেরা সম্ভব নয়। আমাদের মৌলিক চেতনা, নিজেকে অনুভব করার ক্ষমতা এবং যেসব চিন্তা আমাদের নিজস্ব বলে মনে হয়- তা হারিয়ে যায়।
আমার প্রিয় ভাই মারা যাওয়ার পাঁচ ঘণ্টা পরে আমার কণ্ঠস্বর শোনার এবং চিন্তাভাবনার জন্ম দেয়ার মতো কিছু কি অবশিষ্ট ওর মস্তিষ্কে থাকতে পারে?
কিছু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা
মৃত্যুর কাছাকাছি যাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে- এমন ব্যক্তিদের দাবিগুলোকে বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনাগুলো শরীরের বাইরের অভিজ্ঞতা, গভীর আনন্দের অনুভূতি, কোনো বিদেহী আহ্বান, আলোকোজ্জ্বল আকাশ দেখার সঙ্গে সম্পর্কিত। একই সঙ্গে উদ্বেগ বা চূড়ান্ত শূন্যতা ও নীরবতার তথ্যও পাওয়া যায়। তবে এ ধরনের অভিজ্ঞতার দিকে নজর দেয়া গবেষণাগুলোর প্রধান সীমাবদ্ধতা হলো, এগুলো মূলত ব্যক্তির অভিজ্ঞতার প্রকৃতির ওপর বেশি জোর দেয় এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে উপেক্ষা করে।
কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে অ্যানেস্থেশিয়ার কারণে বা আকস্মিক কোনো দুর্ঘটনার ফলে তাৎক্ষণিকভাবে চেতনা হারানোর ঘটনা ঘটে। এর ফলে তাদের মস্তিষ্ক দ্রুত সক্রিয়তা হারানোয় গভীর উদ্বেগ অনুভবের জায়গা খুব কম থাকে। বিপরীতে, দীর্ঘমেয়াদে গুরুতর অসুস্থতার ইতিহাস রয়েছে এমন ব্যক্তির এ ধরনের রুক্ষ অভিজ্ঞতা লাভের সম্ভাবনা বেশি থাকতে পারে।
আমাদের জীবনের শেষ মুহূর্তে মস্তিষ্কে আসলে কী ঘটে তা গবেষণার সুযোগ পাওয়া সহজ নয়। তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে ৮৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক ক্রিয়াকলাপ পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি মৃগীর খিঁচুনি এবং হৃদরোগে ভুগছিলেন। পড়ে যাওয়ার পর মাথায় আঘাত পেয়ে তিনি মারা যান।
জীবন থেকে মৃত্যুর যাত্রাপথে মানবমস্তিষ্কের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া নিয়ে এটাই প্রথম সুনির্দিষ্ট গবেষণা। তবে এ ক্ষেত্রেও মৃত্যুর সময়ে সম্ভাব্য ‘মনের অভিজ্ঞতা’র বিষয়গুলো অত্যন্ত অনুমাননির্ভর।
গবেষকেরা আবিষ্কার করেছেন, মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হওয়ার পরেও আলফা ও গামা নামে মস্তিষ্কের কিছু তরঙ্গ প্যাটার্ন পরিবর্তন করে। গবেষণাপত্রটিতে লেখা হয়েছে, “আলফা এবং গামার এই ক্রিয়াকলাপ মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় প্রক্রিয়া এবং স্মৃতির সঙ্গে জড়িত। এটাই সম্ভবত জীবনের ‘শেষ সাড়া’, যেটি মৃত্যুর একদম কাছাকাছি পর্যায়ে ঘটে থাকতে পারে।”
যাই হোক, সুস্থ মস্তিষ্কেও এ ধরনের ক্রিয়াকলাপ ঘটা অস্বাভাবিক নয়, এবং এর মানে এই নয় যে জীবন বিলীনের আগ মুহূর্তে আমাদের চোখের সামনে এমন ঝলক তৈরি হচ্ছে।
ওই গবেষণাটি আমার মৌলিক প্রশ্নটির উত্তর দেয়নি। এই প্রশ্নটি হলো, মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হওয়ার পর স্নায়বিক কার্যকলাপ পুরোপুরি বন্ধ হতে কতক্ষণ সময় লাগে? গবেষণাটিতে শুধু শেষ মুহূর্তের ১৫ মিনিটে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে মৃত্যুপরবর্তী কয়েক মিনিটের তথ্য রয়েছে।
ইঁদুরের ওপর পরীক্ষাগুলোতে দেখা গেছে, মৃত্যুর কয়েক সেকেন্ড পরে চেতনার অবসান ঘটে। ৪০ সেকেন্ড পর স্নায়ু সক্রিয়তার বড় অংশই অদৃশ্য হয়ে যায়। কিছু গবেষণায় আরও দেখা গেছে, মস্তিষ্ক অচল হওয়ার সময়ে সেরোটোনিন নিঃসৃত হয়। উত্তেজনা এবং সুখের অনুভূতি তৈরিতে ভূমিকা রাখে বিশেষ এই রাসায়নিক।
তাহলে মানুষের ক্ষেত্রে কী ঘটে? তাত্ত্বিকভাবে মানবমস্তিষ্ক পুরোপুরি মারা যেতে কয়েক ঘণ্টা সময় নেয়। এ ক্ষেত্রে মানুষকে ছয়, সাত, আট, এমনকি ১০ মিনিটের পরেও পুনরুজ্জীবিত করা যেতে পারে।
মস্তিষ্ক মরে যাওয়ার সময় চোখের সামনে কেন জীবনের ঝলক তৈরি হতে পারে- তার ব্যাখ্যা সংক্রান্ত অনেকগুলো তত্ত্ব আমি পেয়েছি। হতে পারে এটি সম্পূর্ণ কৃত্রিম একটি প্রভাব, যা মস্তিষ্ক অকার্যকর হতে শুরু করার সময়ে আকস্মিক স্নায়বিক সক্রিয়তার বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত।
আবার হতে পারে এটি একটি শেষ প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আসন্ন মৃত্যুকে এড়ানোর চেষ্টা করছে। অথবা হতে পারে এটি আমাদের জিনের গভীরে প্রোথিত একটি চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া। এই প্রতিক্রিয়া হয়তো আমাদেরকে জীবনের সবচেয়ে দুঃখময় ঘটনাটি ঘটার সময়ে মনকে অন্যভাবে ‘ব্যস্ত’ রাখে।
আমার অনুমান কিছুটা ভিন্ন। হয়তো আমাদের সামনে অস্তিত্বসংক্রান্ত সবচেয়ে জরুরি দিকটি হলো, আমরা নিজেদের অস্তিত্বের অর্থটি উপলব্ধি করতে চাই। যদি তাই হয়, তাহলে, মৃত্যুর সময় চোখের সামনে জীবনের ঝলক দেখা আমাদের সেই চূড়ান্ত প্রচেষ্টার অংশ হতে পারে।
যাই ঘটুক না কেন- আমরা দ্রুত একটি উত্তর খুঁজতে চাই, কারণ আমাদের সময় শেষ হয়ে আসছে।
এতে আমরা সফল হই বা না হই বা আমরা যে বিভ্রমের জোগান পাই, তা অবশ্যই মানসিক পরামানন্দ বয়ে আনে। আশা করছি, ভবিষ্যতের গবেষণা, মৃত্যুর পরে স্নায়ুর ক্রিয়াকলাপের দীর্ঘ সময়ের পরিমাপ, এমনকি মস্তিষ্কের ইমেজিং- আমার এই ধারণাটিকে প্রতিষ্ঠিত করবে।
এটি আমার ভাই এবং আমাদের সবার জন্যই হয়তো সত্যি, তা মিনিট বা ঘণ্টা যতটুকু সময় ধরেই স্থায়ী হোক না কেন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর র্যাডার ইউনিট বগুড়ায় বুধবার (১৮-৬-২০২৫) নব স্থাপিত জিএম ৪০৩এম আকাশ প্রতিরক্ষা র্যাডার এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মানিত বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা র্যাডার এর উদ্বোধন করেন।
বিমান বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য নতুন নতুন স্থাপনা ও যুদ্ধোপকরণ সংযোজন চলমান রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় আকাশ প্রতিরক্ষা র্যাডারটি আনুষ্ঠানিকভাবে বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হলো। ‘বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত’ এই অঙ্গীকারে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। নতুন অন্তর্ভুক্ত র্যাডারটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও, অত্যাধুনিক এ র্যাডারটি বিমান বাহিনীর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।
এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর ঈদুল আজহায় তরুণ নির্মাতা, পরিবার ও ভ্লগারদের জন্য দারুণ সুযোগ নিয়ে এসেছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো। ঐতিহ্যবাহী গরুর হাটের প্রাণবন্ত ও উষ্ণ পরিবেশকে আরও বেশি উৎসবমুখর করে তুলতে নিয়ে আসা হয়েছে ‘অপো হাটে কী?’ ক্যাম্পেইন।
৩০ মে থেকে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের সাথে কাছাকাছি যেকোনো গরুর হাটে গিয়ে বিশেষ মুহূর্তগুলোকে ক্যামেরায় ধারণ করার অনুরোধ জানিয়েছে অপো। হোক সেটা নিখুঁত গরু খোঁজা, দরকষাকষি, হাস্যরসাত্মক কোনো ঘটনা বা পছন্দের গরু বা ছাগলের সাথে মজার কোনো মুহূর্ত! যেখানে প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রয়োজনে অংশ নিতে আপনার নিকটস্থ ‘হাটে’ যান। ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিয়ে আসা স্পেশাল ইফেক্ট ব্যবহার করতে, টিকটকের ফিল্টার অপশন থেকে ‘অপো হাটে কী’ সার্চ করে অপোর এক্সক্লুসিভ ঈদ এআর ফিল্টার ব্যবহার করুন। হাটে আপনার অভিজ্ঞতা ছবি, রিল বা স্টোরি আকারে ধারণ করুন। আপনার পছন্দের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে #HaateKi ব্যবহার করুন এবং @OPPOBangladesh ট্যাগ করে পোস্ট দিন।
আপনার ঈদের আনন্দ উদযাপনকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে তুলতে সবচেয়ে সৃজনশীল, আবেগঘন ও বিনোদনপূর্ণ এন্ট্রিটি জিতে নিবে অপোর আকর্ষণীয় স্মার্টফোন।
এটি কেবল কনটেন্ট তৈরির ব্যাপার নয়; একইসাথে, ঐতিহ্যকে আধুনিকতার সাথে যুক্ত করার একটি প্রচেষ্টা। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসা অপোর এই ক্যাম্পেইনে সবাই তাদের সংস্কৃতি, গল্প ও উৎসবকে নতুনভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ পাবে।
এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং বলেন, “ঈদুল আজহার প্রকৃত অনুভূতি তুলে ধরতেই ‘অপো হাট ডায়েরিজ’ নিয়ে আসা হয়েছে, যেন আনন্দ, ঐতিহ্য ও স্মরণীয় মুহূর্তগুলো মানুষ তাদের প্রিয়জনের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারে। এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা তরুণদের সৃজনশীল অভিজ্ঞতাকে বিকশিত করতে চাই, যেখানে সংস্কৃতি আর প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটবে। স্মৃতিময় মুহূর্ত ও একসাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ নিয়ে এসেছে এ উৎসব।”
তাই, এবারের ঈদুল আজহায় আনন্দ উদযাপনকে আরও বেশি রঙিন করে তুলুন অপো’র সাথে। ক্যামেরা হাতে সৃজনশীলতাকে বিকশিত করুন, আর ঐতিহ্যকে রাখুন প্রাণবন্ত; কারণ, অপো’র সাথে প্রতিটি মুহূর্তই যেন হয়ে ওঠে অনন্য সৃষ্টি!
ডিজিটাল যুগে পণ্য কিংবা সেবা খাতে দেশের অন্যতম বৃহৎ থার্ড পার্টি মেইনটেন্যান্স প্রতিষ্ঠান ‘সার্ভিসিং২৪’ নিয়ে এসেছে সর্বাধুনিক ও সমন্বিত আইটি অবকাঠামো সমাধান—‘ইনফ্রাস্ট্যাক’ ও ‘এইচসিআই’। আরে এতে খরচ কমবে প্ইরায় ৭০ শতাংশ। ইনফ্রাস্ট্যাক হচ্ছে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও স্ট্যাক এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যেটির মাধ্যমে সম্পূর্ণ ও সমন্বিত অবকাঠামোগত আইটি সেবা প্রদান করা হবে। আর ‘এইচসিআই’ এর অর্থ হাইপার কনভারজড ইনফ্রাস্টাকচার এটি স্টোরেজ ও নেটওয়ার্কিং এর সমন্বয়ে সফ্টওয়্যার-ভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউটেড ও কম্পিউট ফ্রেমওয়ার্ক।
সার্ভিসিং২৪ বলছে, এই ইনফ্রাস্ট্যাক এইচসিআই সল্যুশনে গ্রাহকরা মোট ৪টি মডেলে ‘সার্ভিসিং২৪’-এর এর কাছ থেকে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এগুলো হচ্ছে- সার্ভার রেন্টাল সার্ভিস, হার্ডওয়্যার রেন্টাল সাপোর্ট, ম্যানেজড আইটি সার্ভিস এবং বান্ডেল রেন্টাল সার্ভিস।
গ্রাহকদের জন্য আরো সুখবর হলো- পুরো সল্যুশনটি সম্পূর্ণ ওপেন সোর্স হওয়ায় কোনো ধরনের অতিরিক্ত লাইসেন্সিং খরচ প্রয়োজন হবে না। পাশাপাশি মাসিক ভাড়া-ভিত্তিক সেবার ফলে বড় অংকের প্রাথমিক বিনিয়োগও লাগবে না। এই সাশ্রয়ী প্রাইভেট ক্লাউড সল্যুশনটি বিশেষভাবে উপযোগী ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান, স্টার্টআপ, মূলধন সীমাবদ্ধ সরকারি সংস্থা, শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বড় শহরের ডেটা সেন্টার এবং পরিবেশবান্ধব আইটি প্রকল্পগুলোর জন্য।
এ বিষয়ে সার্ভিসিং২৪ এর সিইও নাসির ফিরোজ বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী, টেকসই ও আধুনিক আইটি সল্যুশন নিশ্চিত করা। ইনফ্রাস্ট্যাক এইচসিআই এর মাধ্যমে তা সম্ভব। এটি গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ৭০% পর্যন্ত খরচ সাশ্রয় করবে।”
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর হতে ‘সার্ভিসিং২৪’ বাংলাদেশের আইটি সাপোর্ট সার্ভিস ল্যান্ডস্কেপের অন্যতম শীর্ষ উদ্ভাবক-এ পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তিখাতে বেড়ে চলা চাহিদা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি নিজেকে থার্ড-পার্টি মেইনটেন্যান্স(টিপিএম), ম্যানেজড আইটি সার্ভিসেস, এন্টারপ্রাইজ আইটি সাপোর্ট ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। কোম্পানিটি হার্ডওয়্যারের লাইফ বর্ধিত করে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ কার্বন ইমিশন কমিয়ে আনার পাশাপাশি টেকসই ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
‘সার্ভিসিং২৪’-এর প্রধান প্রধান সেবাগুলো হচ্ছে, থার্ড-পার্টি মেইনটেন্যান্স(টিপিএম), এন্টারপ্রাইজ সার্ভার অ্যান্ড স্টোরেজ সাপোর্ট, ম্যানেজড আইটি সার্ভিসেস, আইটি ইনফ্রাস্ট্র্যাকচার মনিটরিং, এএমসি অ্যান্ড স্পেয়ার পার্টস লাইফসাইকেল ম্যানেজমেন্ট, ক্লাউড সল্যুশন্স অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি, আইটিএসএম সফ্টওয়্যার অ্যান্ড মোবাইল প্ল্যাটফর্ম ইত্যাদি। প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংক, ফার্মাসিউটিক্যালস, অটোমোবাইলস, এফএমসিজি, হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এবং অন্যান্য কোম্পানিকে আইটি সেবা দিয়ে থাকে।
স্মার্টফোন এখন আর শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং কাজ, বিনোদন ও স্বাস্থ্যসহ দৈনন্দিন জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত একটি অপরিহার্য প্রযুক্তি। এসব কাজে নিরবিচ্ছিন্ন ব্যবহার নিশ্চিতে স্মার্টফোনের ব্যাটারি পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী ডিভাইস যেন অতিরিক্ত গরম না হয়, হ্যাং না করে এবং দীর্ঘক্ষণ কার্যকর থাকে—এই সবকিছু মাথায় রেখেই বাজারে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক স্মার্ট ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।
স্মার্ট ব্যাটারি: আধুনিক চাহিদার সমাধান
আগে ভালো ব্যাটারি মানে ছিল উচ্চ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ক্ষমতা। কিন্তু এখন ব্যাটারি মূল্যায়নে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনায় নেওয়া হয়। অ্যাডাপটিভ পাওয়ার এলোকেশন, ইউজার বিহেভিয়ার অ্যানালাইসিস এবং তাপ নিয়ন্ত্রণ—এই আধুনিক প্রযুক্তিগুলো ব্যাটারির পারফরম্যান্সকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। যারা বাইরে দীর্ঘ সময় থাকেন, ভিডিও কল, সোশ্যাল মিডিয়া বা নেভিগেশনের মতো ব্যাটারি-নির্ভর কাজে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এসব প্রযুক্তি কার্যকর সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে।
এআই: শক্তির নতুন চালিকাশক্তি
বর্তমান বাজারের বেশিরভাগ স্মার্টফোনেই এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। এটি অ্যাপ প্রিডিকশন, ব্যাকগ্রাউন্ড টাস্ক সীমিতকরণ এবং স্ক্রিন-অফ অপ্টিমাইজেশনের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় শক্তি খরচ কমিয়ে দেয়। ব্যবহারকারীরা চাইলে নির্দিষ্ট অ্যাপকে অগ্রাধিকার দিতে পারেন কিংবা ব্যাটারি কমে গেলে ‘আল্ট্রা পাওয়ার সেভিং মোড’ চালু করতে পারেন। ফলে ব্যাটারি ব্যাকআপ যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি ডিভাইস ব্যবহারে ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণও বাড়ে।
চার্জিং প্রযুক্তিতে বিপ্লব
শুধু ব্যাটারি ব্যবস্থাপনাই নয়, স্মার্ট চার্জিং প্রযুক্তিতেও এসেছে দারুণ অগ্রগতি। এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ ইনফিনিক্সের নতুন নোট ৫০ সিরিজ। এই সিরিজের প্রতিটি মডেলে রয়েছে ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, যার চার্জিং ক্ষমতা ৪৫ ওয়াট থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০০ ওয়াট পর্যন্ত। সেই সঙ্গে রয়েছে ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি-ভিত্তিক ৫০ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধা।
চার্জিং প্রযুক্তিতেও ব্যবহৃত হয়েছে এআই, যা চার্জিং স্পিড ও ব্যাটারির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে ব্যাটারির দীর্ঘস্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
স্মার্টফোন ব্যবহারে নতুন মাত্রা
নোট ৫০ সিরিজে যুক্ত হয়েছে ইনফিনিক্সের নিজস্ব এআই♾️ প্রযুক্তি, যা ব্যবহারকারীর আচরণ বিশ্লেষণ করে ডিভাইস পারফরম্যান্স ও অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ডিপ সিক এআই, ওয়ান-ট্যাপ এআই ক্যামেরা এবং এআই নয়েস মিউট।
এছাড়া রয়েছে বায়ো-এক্টিভ হ্যালো লাইট নোটিফিকেশন—যা কাজের বিঘ্ন না ঘটিয়ে প্রয়োজনীয় বার্তা পৌঁছে দেয়।
সব মিলিয়ে ইনফিনিক্স নোট ৫০ সিরিজ শক্তিশালী ব্যাটারি, কার্যকর চার্জিং প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে স্মার্টফোন ব্যবহারে নতুন এক অভিজ্ঞতা উপহার দিচ্ছে, যা ব্যবহারকারীর আধুনিক চাহিদা পূরণে সক্ষম।
অ্যাস্টন মার্টিন ফরমুলা ওয়ান টিমের সাথে আজ যুগান্তকারী তিন বছর মেয়াদী কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঘোষণা দিলো রিয়েলমি। আর এই সহযোগিতার মাইলফলক হিসেবে জিটি ৭ ড্রিম এডিশনের আকর্ষণীয় কো-ব্র্যান্ডেড সংস্করণ নিয়ে এসেছে ব্র্যান্ডটি।
এ বিষয়ে রিয়েলমি’র সিইও স্কাই লি বলেন, “অ্যাস্টন মার্টিন আরামকোর মতো কিংবদন্তি রেসিং টিমের সঙ্গে সহযোগিতা, আমাদের জন্য উদ্ভাবনের সীমানা অতিক্রম করে যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেবল আমাদের নিখুঁত পণ্যগুলোই টিকে থাকার মতো সক্ষমতা অর্জন করে। আমরা আমাদের নতুন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের কাছে অসাধারণ ডিজাইন ও প্রিমিয়াম কারিগরি দক্ষতা নিয়ে যেতে চাই।”
এ বিষয়ে অ্যাস্টন মার্টিন আরামকো ফর্মুলা ওয়ান টিমের হেড অব লাইসেন্সিং অ্যান্ড মার্চেন্ডাইজ ম্যাট চ্যাপম্যান বলেন, “আমাদের প্রথম কো-ব্র্যান্ডেড ফোন উন্মোচনের পাশাপাশি, রিয়েলমিকে টিমে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত। জিটি ৭ ড্রিম এডিশনে উচ্চ সক্ষমতা ও উদ্ভাবনী ডিজাইনের সমন্বয় রয়েছে; আগামীর মডেলগুলোতে একযোগে কাজ করার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে রয়েছি।”
বৈশ্বিকভাবে দ্রুতবর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে রিয়েলমি, বিশ্বজুড়ে তরুণ ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্ভুল প্রকৌশল, অসাধারণ কর্মদক্ষতা ও অনন্য ডিজাইনের জন্য বিখ্যাত অ্যাস্টন মার্টিন ফর্মুলা ওয়ানের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে রিয়েলমি আগামী প্রজন্মের জন্য অনবদ্য প্রযুক্তি অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করছে।
এই সহযোগিতার মাধ্যমে রিয়েলমি জিটি ৭ ড্রিম এডিশনের মতো একটি অসাধারণ কো-ব্র্যান্ডেড সিরিজ উন্মোচন করা হয়েছে। এই স্মার্টফোনটি কেবল রিয়েলমি’র জিটি সিরিজের ফ্ল্যাগশিপ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতাই নয়; একইসাথে, এতে আইকনিক দুই পাখার ডিজাইন ও অ্যাস্টন মার্টিনের বিশেষ গ্রিন কালার রয়েছে। এ সহযোগিতার অংশ হিসেবে, দু’পক্ষ প্রতিবছর দুইটি মডেল একযোগে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে, যা এই অংশীদারিত্বকে আরও বেশি আকর্ষণীয় ও প্রত্যাশিত করে তুলেছে।
রিয়েলমি জিটি ৭ সিরিজের বৈশ্বিক উন্মোচন অনুষ্ঠান আজ ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে জিটি ৭ সিরিজ ও ড্রিম এডিশন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত সব তথ্য উন্মোচিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তরুণদের প্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড রিয়েলমি বাংলাদেশে তাদের বিশেষ ঈদ ক্যাম্পেইন ঘোষণা করেছে। ব্যবহারকারীদের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়াতে প্রস্তুত ব্র্যান্ডটি। সীমিত সময়ের এ ক্যাম্পেইনটি কেবল বড় কিছু জেতার সুযোগই দিচ্ছে না, বরং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্যই নিশ্চিত করছে আকর্ষণীয় উপহার।
লটারির মাধ্যমে সৌভাগ্যবান বিজয়ীদের জন্য ৪টি গ্র্যান্ড প্রাইজ নিয়ে এসেছে রিয়েলমি। এতে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী পাবেন ১,০০,০০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী পাবেন ৬০,০০০ টাকা। তৃতীয় পুরস্কারে রয়েছে নির্দিষ্ট রিয়েলমি পণ্যের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় বাই ওয়ান গেট ওয়ান (বোগো) অফার এবং চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে থাকছে রিয়েলমি টি২০০ লাইট এয়রবাডস।
এসব পুরস্কার ছাড়াও আরও কিছু নিশ্চিত উপহার নিয়ে এসেছে রিয়েলমি; যেন লটারি যারা জিতবেন না তারাও এ উদযাপনে অংশ নিতে পারেন। ক্রেতাদের মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করতে রিয়েলমি সি৭৫ বা রিয়েলমি সি৭৫এক্স কেনার ক্ষেত্রে ২ বছরের বাড়তি ওয়ারেন্টি পাওয়া যাবে।
রিয়েলমি ১২ স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ক্রেতারা পাবেন ২,০০০ টাকার ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক; ফলে, ২৭,৯৯৯ টাকার এই ডিভাইসটি পাওয়া যাবে মাত্র ২৫,৯৯৯ টাকায়।
রিয়েলমি ১৪ সিরিজ কেনার ক্ষেত্রে রিয়েলমি ব্র্যান্ডের আকর্ষণীয় টি-শার্ট পাবেন ক্রেতারা। পাশাপাশি, ক্যাম্পেইনে অংশ নেয়া সকল ক্রেতা বাংলালিংকের অংশীদারিত্বে বিশেষ অফার উপভোগ করার সুযোগ পাবেন।
কেবল সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিশ্চিত করাই নয়, একইসাথে, ব্যবহারকারীদের জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার ও সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিয়ে আসার ক্ষেত্রে রিয়েলমি’র ধারাবাহিক প্রচেষ্টার বহিঃপ্রকাশ এই ঈদ ক্যাম্পেইন। উৎসবের এ সময়ে প্রত্যেক ক্রেতাই যেন নিজেকে বিজয়ী মনে করেন, তা নিশ্চিত করতেই দুর্দান্ত সব পুরস্কার ও নিশ্চিত উপহার নিয়ে এসেছে ব্র্যান্ডটি।
ক্যাম্পেইন ও এতে কীভাবে অংশ নিবেন, তা আরও বিস্তারিত জানতে রিয়েলমি বাংলাদেশের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ ও ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
তরুণদের পছন্দের টেক ব্র্যান্ড রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে তাদের সর্বশেষ স্মার্টফোন রিয়েলমি সি৭১ নিয়ে এসেছে। নিরবচ্ছিন্ন ব্যাটারি পারফরম্যান্স চাইছেন এমন ব্যবহারকারীদের জন্য এই ডিভাইসটি ডিজাইন করা হয়েছে। রিয়েলমি’র নতুন এই ফোনে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ, এআই-সক্ষম ফিচার ও প্রাণবন্ত ডিসপ্লেসহ আধুনিক ও স্টাইলিশ ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে।
রিয়েলমি সি৭১-এ রয়েছে সুবিশাল ৬,৩০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধা, যা সারাদিন নিরবচ্ছিন্ন সক্ষমতা প্রদান করে। মাত্র ১ ঘণ্টার চার্জেই ব্যবহারকারীরা দুই দিনের জন্য ফোনটি নির্বিঘ্নে ব্যবহার করতে পারবেন, যা এখনকার ব্যস্ত জীবনযাপনের সাথে মানিয়ে যাবে। একইসাথে, এই ব্যাটারি ও চার্জিং দীর্ঘস্থায়ী ও কার্যকর সক্ষমতা নিশ্চিত করে ব্যবহারকারীকে নিশ্চিন্ত রাখতে সহায়তা করে।
রিয়েলমি সি৭১-এর নান্দনিক ও প্রাণবন্ত ডিজাইন তরুণ ব্যবহারকারীদের পছন্দের সঙ্গে মানানসই। এর ‘লাইট পালস’ নোটিফিকেশন ফিচারটি বিশেষ করে, মিটিং বা গুরুত্বপূর্ণ আলাপ চলাকালে কল বা মেসেজ আসার সময় নিঃশব্দে চোখে পড়বে। ফোনটির ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট ডিসপ্লের ক্ষেত্রে আরামদায়ক ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক অনুভূতি নিশ্চিত করে। এই দামের অন্যান্য ফোনের ক্ষেত্রে এই রিফ্রেশ রেট সাধারণত দেখা যায় না; ফলে রিয়েলমি’র এই ফোনটি গেম খেলা, সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা বা ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
রিয়েলমি সি৭১-এ এআই-সক্ষম একাধিক ফিচার রয়েছে, যা দৈনন্দিন কাজগুলো আরও সহজ ও সাবলীল করে। এর মধ্যে রয়েছে এআই নয়েজ রিডাকশন কল ২.০, যা কলের ব্যাকগ্রাউন্ডের নয়েজ কমায়। এআই ক্লিয়ার ফেস যা ক্যামেরা পারফরম্যান্সকে আরও সমৃদ্ধ করে। এআই ইমেজ ম্যাটিং, যা সহজেই ব্যাকগ্রাউন্ড এডিট করতে সহায়তা করে। এআই ইরেজার, যা ছবি থেকে অপ্রয়োজনীয় বিষয় অপসারণ করে। এছাড়াও, গুগল জেমিনি ও সার্কেল-টু-সার্চ ব্যবহারকারীদের জন্য এআই সার্চের সুবিধা নিশ্চিত করে। এসব ফিচার একত্রে স্মার্টফোন ব্যবহারে নতুন মাত্রা যোগ করে।
ফোনটিতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি এআই ক্যামেরা, যা ব্যবহারকারীদের নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি তুলতে সহায়তা করে। এই ডিভাইসে প্রাইমারি ক্যামেরার সাথে রয়েছে- একটি ফ্লিকার লেন্স, যেটি পারিপার্শ্বিক আলো থেকে ফ্লিকার ফ্রিকোয়েন্সি নির্ণয় করে এবং ছবি তোলার সময় ফ্লিকার নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া- রিয়ার প্যানেলে আছে ‘পালস লাইট’ অর্থ্যাৎ আলোর ভিন্ন একটি প্যানেল, যার মাধ্যমে ভাইব্রেশন কিংবা শব্দ ছাড়াই এক ধরনের নোটিফিকেশন পাবেন গ্রাহকরা।
পাশাপাশি, স্মৃতিময় মুহূর্ত ধারণ করার জন্য রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা। অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ভিত্তিক রিয়েলমি’র ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহারকারীদের জন্য অনবদ্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। এছাড়া, এর আইপি৬৪ রেটিংয়ের ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিজট্যান্স ও সনিকওয়েভ ওয়াটার ইজেকশন প্রযুক্তি ফোনটিকে যেকোনো পরিবেশের জন্য সহনীয় ও টেকসই করে তোলে।
রিয়েলমি সি৭১ দুটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে। ৪ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজের মূল্য মাত্র ১৪,৯৯৯ টাকা এবং ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজের মূল্য মাত্র ১৫,৯৯৯ টাকা। স্মুথ মাল্টিটাস্কিং ও অনবদ্য পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে এতে ডায়নামিক মেমরি এক্সপানশন ব্যবহার করা হয়েছে, যা ২ টেরাবাইট পর্যন্ত বৃদ্ধি করে নেয়া সম্ভব।
মন্তব্য