আগের দিনের ১৮২ পয়েন্ট পতনের ধারাবাহিকতায় লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা যেতে না যেতেই সূচক থেকে হাওয়া ১৩৭ পয়েন্ট। মুহূর্তেই আতঙ্ক আরও জেঁকে বসে।
কিন্তু এরপর নিয়ন্ত্রক সংস্থার এক আদেশে মুহূর্তেই দেখা দেয় উল্টো চিত্র। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে ১৭ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন শেষ হয়।
এমন কোনো উত্থান নয়, তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেখা দেয়া ধসের মধ্যে এটিই এক বড় স্বস্তি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার বাজারের এই ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে কাজ করেছে বিএসইসির একটি আদেশ। তালিকাভুক্ত কোম্পানির অবণ্টিত লভ্যাংশ দিয়ে গঠন করা পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের আদেশ দেয়া হয়। এর পরই শেয়ারগুলো হারিয়ে ফেলা দর ফিরে পেতে থাকে, সেই সঙ্গে সূচকে যোগ হয় পয়েন্ট।
আগের দিন ৩৬৪টি কোম্পানির শেয়ার দর হারিয়েছিল। এর মধ্যে ৫ শতাংশের বেশি দর হারায় ৯০টি কোম্পানি, ৬৭টির দর কমে ৪ শতাংশের বেশি। এর বিপরীতে বেড়েছিল কেবল ১০টি কোম্পানির শেয়ারদর, যার মধ্যে দুটির বেড়েছিল এক শতাংশের কম।
প্রায় একই রকম পরিস্থিতি থেকে পরের দিন ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ২১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ে। বিপরীতে কমে ১১৬টির দর। ৪৫টি কোম্পানি দর ধরে রাখতে পারে।
লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি হলেও এখনও গতি ফেরেনি। দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ৭৪৬ কোটি ৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকার শেয়ার, যা আগের দিন ছিল ৭৪০ কোটি ২৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।
এ নিয়ে টানা ৮ কর্মদিবস এক হাজার কোটি টাকার কম শেয়ার হাতবদল হলো।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দেশে দেশে পুঁজিবাজারে পতনের মধ্যে বাংলাদেশে যে ধস দেখা দিয়েছে, বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত কেবল ৮ কর্মদিবসে সূচক কমে ৩৮২ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
এই টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ২০১০ সালের মহাধসের স্মৃতি যে ফিরেছে, সেটি পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক নানা ফেসবুক পেজে ঢুঁ দিলেই বোঝা যায়।
সোমবার দরপতনের মধ্যেই বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম একটি বার্তা পাঠান বিনিয়োগকারীদের জন্য। তিনি আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘সবার প্রতি আমার অনুরোধ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের তেমন সম্পর্ক নেই। অযথা আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করবেন না।’
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিনে আমরা বিএসইসির পক্ষ থেকে বাজার মনিটর করে দেখেছি, বড় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করছেন না। ছোট বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন; আর সেই বিক্রির চাপেই বাজারে প্রভাব পড়েছে।’
এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত গেছেন বিএসইসি প্রধান। সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, পুঁজিবাজারে সাপোর্ট দিতে আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত দিয়ে গেছেন তিনি। সেগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
বাজার বিশ্লেষক ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাক আহমেদ সাদেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যুদ্ধ আতঙ্কে বাজার অনেক পড়ে গিয়েছিল। ভালো-মন্দ সব শেয়ারের দামই অনেক কমে গিয়েছিল। এখন বাজার বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, যুদ্ধের প্রভাব বাজারে পড়েছে ঠিক। কিন্তু এর বাইরে কোনো কারসাজি করে বাজার অস্থিতিশীল করা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে বিএসইসিকে। যদি অন্য কোনো কারণে বাজারে অব্যাহত পতন হয়, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা দিতে হবে।’
সূচক বাড়াতে প্রধান ভূমিকায় যেসব কোম্পানি
সূচক যতটা বেড়েছে, তার অর্ধেকই যোগ করেছে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট। বহুজাতিক কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪.৫২ শতাংশ বাড়ায় সূচকে যোগ হয়েছে ৮.৬৮ পয়েন্ট।
রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি তিতাস গ্যাসের শেয়ার দরে যোগ হয়েছে ৪.৩৯ পয়েন্ট, কোম্পানিটি সূচকে যোগ করেছে ৪.৪৯ পয়েন্ট।
বেক্সিমকো ফার্মা ৩.৪৫, পাওয়ারগ্রিড ৩.৪২, বেক্সিমকো লিমিটেড ৩.০৪, রবি ২.৮, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট ২.৫২, জিপিএইচ ইস্পাত ২.৪৫, ওরিয়ন ফার্মা ১.৮৭ এবং স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক সূচকে যোগ করেছে ১.৮৪ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানিই সূচকে যোগ করেছে ৩৫ পয়েন্ট।
বিপরীতে রেনাটার শেয়ারের ২.৩৮ শতাংশ দরপতনের কারণে সূচক পড়েছে ৯.০৪ পয়েন্ট। এই কোম্পানিটিই সূচক সবচেয়ে বেশি নিচের দিকে টেনে নামিয়েছে।
বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর শেয়ারদর ক্রমেই কমছে। পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ালেও এই কোম্পানিটি আরও ১.০৬ শতাংশ দর হারিয়েছে। দিন শেষে শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৫৬৭ টাকা ২০ পয়সা, যা কিছুদিন আগেও ছিল সাত শ টাকার কাছাকাছি। এই দরপতনের কারণে সূচক কমেছে ৮.৯৪ পয়েন্ট।
ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারদর ৪.৭১ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ৮,৯২ পয়েন্ট।
বার্জার পেইন্টস, স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীণফোন, ওয়ালটন, সোনালী পেপার, রেকিট বেনকিনজার ও মেঘনা পেট্রলিয়াম ছিল সবচেয়ে বেশি সূচক কমানো কোম্পানির তালিকায়।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানির কারণে সূচক কমেছে ৪৫.০৯ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৯.৮৪ শতাংশ দর বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিডি থাইফুডের। শেয়ারদর আগের দিন ছিল ৩৯ টাকা ৬০ পয়সা, সেটি এখন দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৫০ পয়সা।
দ্বিতীয় স্থানে ছিল জীবন বিমা খাতের সানলাইফ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যার দর ৯.৭৭ শতাংশ বেড়েছে ৩৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে হয়েছে ৩৯ টাকা ৩০ পয়সা।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিডিকমের দর ৯.৬৫ শতাংশ, বস্ত্র খাতের এনভয় টেক্সটাইলের দর ৯.৬৩ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তির আরেক কোম্পানি ইনটেকের দর ৯.৩২ শতাংশ বেড়েছে।
এছাড়া সাধারণ বিমা খাতের বিজিআইসির দর ৮.৪২ শতাংশ, আর্থিক খাতের বিআইএফসির দর ৮.৩৩ শতাংশ, বস্ত্র খাতের কুইনসাউথ টেক্সটাইলের দর ৮.২৯ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতেন ইমাম বাটনের দর ৬.৫৩ শতাংশ এবং লাভেলো আইসক্রিমের দর ৬.২৩ শতাংশ বেড়েছে।
আরও ৫টি কোম্পানির শেয়ারদর ৫ শতাংশের বেশি, ১২টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ৩৫টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ৩৯টির দর বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি।
দরপতনের শীর্ষ ১০
এই তালিকার শীর্ষে ছিল রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির শেয়ার ৬.২১ শতাংশ কমে ৭৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে হয়েছে ৭০ টাকা ৯০ পয়সা।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আর্থিক খাতের কোম্পানি বিডি ফাইন্যান্স ৫.৭৩ শতাংশ দর হারিয়েছে। আগের দিন শেয়ারের দর ছিল ৪৩ টাকা ৬০ পয়সা। সেটি এখন দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ১০ পয়সা।
এছাড়া প্রগতি ইন্স্যুরেন্স ৪.৭৩ শতাংশ, আরামিট সিমেন্ট ৪.৫৭ শতাংশ, ব্র্যাক ব্যাংক ৪.৫১ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতের বিএনআইসিএল ৩.৫৮ শতাংশ, একই খাতের ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স ৩.৩১ শতাংশ, সোনালী পেপার ৩.০৯ শতাংশ ও বার্জার পেইন্টস ২.৯০ শতাংশ দর হারিয়েছে।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য