নিরাপত্তার অজুহাতে ১৮ বছরের আগেই উপকূলীয় জেলা ভোলার প্রান্তিক অঞ্চলে মেয়েরা বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। চলার পথে প্রতি মুহূর্তে তাদের নানা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
তাই হয়রানি ও বাল্যবিয়ে রুখতে মেয়েদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশীলন ও উপজেলা প্রশাসন।
কিশোরীদের আত্মরক্ষায় দেয়া হচ্ছে কারাতে প্রশিক্ষণ। এতে অংশ নিচ্ছেন বোরহানউদ্দিন উপজেলার ১০ ইউনিয়নের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক কিশোরী।
এ ছাড়া জেলার ৩টি উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক স্কুলগামী ও ঝরে পড়া কিশোরী ক্লাবের সদস্যরাও এ প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারবে। এতে খুশি অভিভাবকরাও। উপজেলা প্রশাসন বলছে, প্রান্তিক পর্যায়ে কারাতে প্রশিক্ষণ কিশোরীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ঘটাবে, কমে আসবে বাল্যবিয়ের হার। একই সঙ্গে মানসিক সাহসও বাড়বে তাদের।
সুশীলন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘আর নয় বাল্যবিয়ে, এগিয়ে যাবে স্বপ্ন নিয়ে’ স্লোগান সামনে রেখে জেলায় মেয়েদের সুরক্ষায় কারাতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান ও তজুমদ্দিন উপজেলায় প্রতিদিন উপজেলা মিলনায়তনে কিশোরীরা প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে। মাসব্যাপী এই আয়োজনে এসে মেয়েরা কারাতের নানা কৌশল শিখে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছে।
প্রশিক্ষণ নেয়া নুরুন্নাহার বেগম বলেন, ‘বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বেশ কয়েকবার বখাটেদের উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছি। এ কারণে বিদ্যালয়ে যাওয়াই বন্ধ হয়ে যায়। আগে একা পথ চলতে ভয় লাগত। এ প্রশিক্ষণের পর এখন আর ভয় লাগে না। বিনা মূল্যে এ প্রশিক্ষণ নিতে পেরে আমি খুশি।’
প্রশিক্ষণ নিতে আসা বোরহানউদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ের তামান্না বলেন, ‘আত্মরক্ষার জন্য এখানে নানা কৌশল শিখতে পারছি। এখন স্কুলে চলার পথে কোনো বাধা আসলে নিজেই সামলে নিতে পারব।’
আরেক অভিভাবক রাজিয়া খাতুন বলেন, ‘রাস্তাঘাটে মেয়েদের একা চলাটা অনেকটা অনিরাপদ। মেয়ে যেন নিজেই নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে এই জন্য কারাতে প্রশিক্ষণে নিয়ে এসেছি। নিজেদের সুরক্ষার জন্য কিশোরীদের উচিত কারাতের নানা কৌশল শেখা।’
প্রধান প্রশিক্ষক সালাউদ্দিন ভূইয়া বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে কিশোরীদের আত্মরক্ষায় কারাতে প্রশিক্ষণ দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। এ প্রশিক্ষণ নিয়ে কিশোরীরা মানসিক ও শারীরিকভাবে শক্তিশালী হবে। এর মাধ্যমে একদিকে মেয়েদের সাহস বাড়বে, অন্যদিকে পথচলা সহজ হবে।’
প্রশিক্ষণের বিষয়ে উন্নয়ন সংস্থা সুশীলনের টিম ম্যানেজার মো. রকিবুল বাহার জানান, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ প্রকল্পের মাধ্যমে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় ভোলার বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলার পিছিয়ে পড়া কিশোরীদের সক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস ও নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কারাতের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
মূলত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিয়ে বন্ধের। সেই কর্মসূচি বাস্তবায়নেই কাজ করছে প্রকল্পটি।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুর রহমান বলেন, ‘দ্বীপ জেলা ভোলায় মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। এ ছাড়া পারিবারিক সহিংসতা রোধে মেয়েদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে কারাতে প্রশিক্ষণ ভূমিকা রাখবে। তাই সব মেয়ের আত্মরক্ষার কৌশল জানা দরকার।’
মাসব্যাপী এই প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থীদের পোশাক ও যাতায়ত খরচ সংস্থার পক্ষ থেকেই দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিষপানে আত্মহত্যার ঘোষণা দিয়েছেন ্
তিনি বলেছেন, ‘যদি শুনি নৌকা হেরে গেছে। ক্ষমতায় গেছে খালেদা জিয়া। আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না। তাহলে বেঁচে থাকার আর কোনো মূল্য নেই। আমি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করব।’
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভূটিয়ারকোনা গ্রামে মাস্টারবাড়ি এলাকায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রচারণায় এক উঠান বৈঠকে শনিবার সন্ধ্যায় এসব কথা বলেন তিনি।
নাজিম বলেন, যদি আপনারা নৌকায় ভোট না দেন তাহলে জাতির সাথে বেইমানি করা হবে, ৩০ লাখ শহীদের সঙ্গে বেইমানি হবে। তাই আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আরেকবার সুযোগ দিন। যাতে করে রাজাকার-আলবদরদের দোসর খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসতে না পারে।
মাওহা ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. হেলাল উদ্দিন আহাম্মেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুন্নাফ, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম সামদানী খান সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীর আহমেদ রাজিব, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মো. সোহেল রানা, মাওহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আল ফারুক, বোকাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল মোক্তাদির শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সরকারের সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। এবার তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আচরণবিধি পালন নিশ্চিত করাতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয় সাংবিধানিক এ সংস্থা। তফসিল ঘোষণার পর এবারই বরিশালে প্রথম প্রস্তুতিমূলক একটি সভায় আয়োজন করে বর্তমান কমিশন। সে সভায় আইন-শৃঙখলা বাহিনীকে নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে লঙ্গন না হয় সেক্ষেত্রে মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান।
অন্যদিকে তফসিল ঘোষণার পরপরই প্রার্থীরা মরিয়া হয়ে ওঠেন ভোটের মাঠে। প্রচারণা শুরু আগেই যে যার ক্ষমতা প্রদর্শন, মিছিল, শোভাযাত্রা করেন। আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে বরিশালের চরোমানাই পীরের ভাই ও বরিশাল সিটির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমকে। পাশাপাশি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকেও সর্তক করেছে কমিশন।
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী গত ৯ মে থেকে ২৬ মে পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি টাকা জরিমানা আদায় করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। ৭২টি চেকপোস্টের মাধ্যমে এই অর্থ জরিমানা আদায় করা হয়। গত ১৭ দিনে ১২৮২ টি মামলা হয় যাতে ৮০০ গাড়ি আটক করা হয়।
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিন খান নিউজবাংলাকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ১২৮২ মামলা থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ১০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। আটক থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ১৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা। সব মিলিয়ে ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করে পুলিশ। সবচেয়ে বেশি মামলা করা হয় মোটরসাইকেলে। ১ হাজার ১ টি মোটরসাইকেলে মামলার পাশাপাশি ১৪৪ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
মূলত সড়ক পরিবহনের আইণ অমান্য করায় এসব মোটরযানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়।
আরও পড়ুন:জরুরি বিভাগ আছে, অপারেশন থিয়েটারও আছে। তবে লাইসেন্স নেই। ডাক্তার এবং পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতিও নেই। পাওয়া গেছে অপরিচ্ছন্ন নোংরা কক্ষ ও মেয়াদ উর্ত্তীণ রক্ত।
অসততা আর অব্যবস্থার এমন চিত্র মিলেছে কুমিল্লা শহরের ‘সততা স্পেশালাইজড হসপিটালে’। আর এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত হাসপাতালটি সিলগালা করে দিয়েছে। একইসঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের সামনে অবস্থিত সততা স্পেশালাইজড হসপিটালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কুমিল্লা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার আবদুল কাইয়ুমসহ পুলিশের একটি টিম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘গত বছরও এই সততা হসপিটালের যারা মালিক তাদেরকে বলা হয়েছিল লাইসেন্স করার জন্য। তারা তা করেনি।
‘এই হসপিটালে অনেক অনিয়ম। পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই। যন্ত্রপাতি নেই। লাইসেন্স নেই। মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত পাওয়া গেছে। অপরিচ্ছন্ন কক্ষ। এসব কারণে হসপিটালটি সিলগালা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই অভিযানে পুলিশ লাইন্স এলাকায় একজন ভুয়া ডাক্তারকে ধরতে ন্যাশনাল ডিজিটাল স্পেশালাইজড ডায়গনস্টিক সেন্টারে যাই। সেখানে গিয়ে ওই ভুয়া ডাক্তারকে পাইনি। তবে ডায়গনস্টিক সেন্টারটিতে কোনো কার্যক্রম দেখতে পাইনি। তারা দালালের মাধ্যমে এখানে রোগী আনে। তারপর বাইরে থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনে।
‘তবে এরা অনেক ডাক্তারের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে। যাদের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে তারা কেউ এখানে রোগী দেখেন না। এসব অপরাধের কারণে ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারটিও সিলগালা করা হয়েছে।’
কুমিল্লা জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা ১৩৮ জন ভুয়া ডাক্তারের তালিকা তৈরি করেছি। অনিয়ম করা হসপিটাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারেরও তালিকা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত রেখেছি।’
আরও পড়ুন:খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি দেশের জন্য লজ্জার হলেও বিএনপি তাতে খুশি। বিএনপি দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে না। তারা শুধু জ্বালাও-পোড়াও পছন্দ করে।
রোববার দুপুরে নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছরপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘কৃষকের জন্য সরকার ভর্তুকি মূল্যে সার দিচ্ছে। বিনামূল্যে বীজ ও কৃষি উপকরণ দিচ্ছে। অথচ বিএনপির আমলে সার চেয়ে কৃষক গুলি খেয়েছিল।’
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এর আগে তিনি কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
অনুষ্ঠানে পোরশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা আক্তার সভাপতিত্ব করেন।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপেজলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী, ওসি জহিরুল ইসলাম ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার।
আরও পড়ুন:সুনামগঞ্জ শহরতলির মঙ্গলকাটা বাজারের ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংক থেকে চুরি হওয়া সাড়ে ৯ লাখ টাকার মধ্যে ৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের একজন স্টাফসহ দু’জনকে শনিবার রাতে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার রাতে ওই চুরির ঘটনা ঘটে।
ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের মঙ্গলকাটা শাখার পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার অফিসের একজন স্টাফ ছুটিতে ছিলেন। দিন শেষে রাতে অন্য স্টাফ সুহেল মিয়া ক্যাশ বুঝিয়ে দেয়ার সময় কৌশলে সাড়ে ৯ লাখ টাকা আরেক ড্রয়ারে সরিয়ে রাখেন।
রাতে আলী আজগর নামের আরেক চোরকে সঙ্গে নিয়ে তার (সুহেল) কাছে থাকা চাবি দিয়ে অফিস খুলে সাড়ে ৯ লাখ টাকা, একটি ল্যাপটপ ও সিসি ক্যামেরার ডিবিআর নিয়ে যায়। শনিবার সকালে এ বিষয়ে থানায় জিডি করি আমরা।’
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, থানায় জিডি হওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। শনিবার রাত ১২টায় সুহেলকে তার নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে এবং একই গ্রামের অন্য চোর আলী আজগরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।
লালমনিরহাটে চালের বস্তা থেকে ৩৮ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে লালমনিরহাট-রংপুর মহাসড়কের তিস্তা সেতুর টোল প্লাজায় নাবিল পরিবহনের বাস থামিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় ওই টাকা পাওয়া যায়। আটক করা হয় এক যাত্রীকে।
ওই যাত্রীর নাম মমিনুল ইসলাম। তিনি কুড়িগ্রামের উলিপুর থানার কিশামত তবকপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, বাসটি কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। বস্তাটি বাসের ব্যাগ রাখার বাক্সে ছিল।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, ‘এটি আমাদের নিয়মিত তল্লাশির অংশ ছিল। মমিনুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। তিনি জানিয়েছেন, তার মামার ভবন নির্মাণকাজের লেনদেনের জন্য টাকাগুলো ঢাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন।’
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে এন্ডোস্কপির মাধ্যমে এক যুবকের পেট থেকে ১৫টি কলম বের করেছেন চিকিৎসক।
গত বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এন্ডোসকপি করে তার পেট থেকে ১৫টি কলম বের করা হয়।
ওই যুবক মোতালেব হোসেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী ইউনিয়নের আটারদাগ গ্রামের বাসিন্দা।
ব্যথা ও অসুস্থতা নিয়ে একের পর এক চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু কোনো সমাধান মিলছিল না। শেষে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে বিষয়টি ধরা পড়ে এবং ওই যুবকের পেট থেকে ১৫টি কলম বের করা হয়।
মোতালেবের চাচাতো ভাই আব্দুর রহমান জানান, এর আগে ২০০৬ সালেও মোতালেব হোসেনের পেটব্যথা হয়েছিল। সে সময় অস্ত্রোপচার করে তার পেট থেকে দুটি লোহার টুকরা বের করা হয়।
হাসপাতালের সার্জারি বিভাগ সূত্র জানায়, মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক দুই সপ্তাহ ধরে মোতালেব হোসেনের পেটব্যথার চিকিৎসা দিয়েছেন। কোনো ফল না পেয়ে পেটে এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম করে বুঝতে পারেন, তার পাকস্থলিতে কলমজাতীয় বস্তু রয়েছে। এরপর গত বৃহস্পতিবার তিন ঘণ্টায় (বেলা ১১টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত) তার গলা দিয়ে টিউব ঢুকিয়ে (এন্ডোসকপি করে) ১৫টি কলম বের করা হয়। তার পেটে এখনও চার-পাঁচটি কলম রয়েছে।
মোতালেব হোসেনের মা লাইলী বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে ভালো ছাত্র ছিল। এসএসসি পাসের পর সে গাঁজায় আসক্ত হয়ে পড়ে। এরপর কখন কলমগুলো গিলেছে আমরা বলতে পারব না। দীর্ঘদিন সুস্থ স্বভাবিকভাবেই কাজ করেছে সে। এক বছর হলো পেটব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়ে।’
শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের কনসালট্যান্ট ডাক্তার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘১৫টি কলম বের করা হয়েছে। আগামী সোমবার আবার এন্ডোস্কপির মাধ্যমে বাকি কলমগুলো বের করা হবে। স্বাভাবিক অবস্থায় তিনি কীভাবে কলমগুলো গিললেন, বুঝতে পারছি না। এটি আসলেই চিন্তার বিষয়। আমাদের মনে হচ্ছে, তার স্নায়ুতন্ত্রের কোনো সমস্যা থাকতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোতালেব হোসেন এখন অনেকটাই সুস্থ। সবগুলো কলম অপসারণের পর তাকে স্নায়ুতন্ত্র বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোতালেব হোসেন বলেন, ‘আগে একদম সুস্থ স্বাভাবিক ছিলাম। এক বছর ধরে পেটব্যথায় কোনো কাজ করতে পারছিলাম না। তবে কখন, কীভাবে কলমগুলো গিলে ফেলেছি, কিছুই বলতে পারছি না।
মোতালেবের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তাঁতের শাড়িতে ব্যবহার করা নকশা এঁকে সেটি তাঁতযন্ত্রে বসানোর কাজ করতেন মোতালেব। তিনি ১৯৯৯ সালে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাশ করেন। এরপর ২০১১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষা দেননি তিনি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য