এক দিনে সাড়ে তিনশরও বেশি শেয়ারের দরপতন। লেনদেনের সাড়ে চার ঘণ্টায় সূচকের টানা পতন, লেনদেন নেমে তলানিতে। পুঁজিবাজারের টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীরা ক্ষুব্ধ, আতঙ্কিত।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে দেশের পুঁজিবাজারে দেখা দেয়া ধসে ব্যাপকহারে ক্ষতির মুখে পড়েছে বিনিয়োগকারীরা। ভালো-মন্দ নির্বিশেষে পড়ছে শেয়ারের দর। সূচক এক বছর আগের কাছাকাছি নেমে এসেছে।
এই টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ২০১০ সালের মহাধসের স্মৃতি যে ফিরেছে, সেটি পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক নানা ফেসবুক পেজে ঢুঁ দিলেই বোঝা যায়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ হামলা শুরুর দিন সূচক যত পড়েছিল, অষ্টম কর্মদিবসে সোমবার তা পড়েছে আরও বেশি। এই কয় দিনে সূচক পড়েছে ৩৮২ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
হামলার দিন সূচক পড়েছিল ১০৯ পয়েন্ট। সেদিন সারা বিশ্বেই পতন হয়েছিল পুঁজিবাজারের, তবে পরের কর্মদিবসেই বিশ্বের প্রধান পুঁজিবাজারগুলো ঘুরে দাঁড়ালেও তার পরের কর্মদিবস ২৭ ফেব্রুয়ারি আরও বড় পতন দেখে দেশের পুঁজিবাজার। সেদিন সূচক পড়ে ১৬৩ পয়েন্ট।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন ৫৭ পয়েন্ট সূচক পতনের স্মৃতি নিয়ে দ্বিতীয় কর্মদিবসে সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পর সময় যত গড়িয়েছে, সূচক কেবল পড়েছেই। বেলা শেষে আগের দিনের চেয়ে ১৮২ পয়েন্ট কমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়ায় ৬ হাজার ৪৫৬ পয়েন্ট।
যে ৩৭৯ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, তার মধ্যে দাম বেড়েছে কেবল ১০টির। এর মধ্যে আবার তিনটির দাম বেড়েছে এক শতাংশের কম। দর ধরে রাখতে পেরেছে ৮টি কোম্পানি, আর কমেছে ৩৬৪টির দর।
এক দিনে এত বেশি কোম্পানির শেয়ারের দরপতন সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায়নি।
পুঁজিবাজারের এই অবস্থান গত বছরের ২৯ জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন। সেদিন ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৪২৫ পয়েন্ট। তবে সে সময় বিনিয়োগকারীরা ছিল উৎফুল্ল। কারণ, তখন বাজারে ছিল চাঙাভাব আর প্রায় প্রতি দিনই সূচক আগের অবস্থানকে ছাড়িয়ে ২০১০ সালের মহাধসের পর সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছে যায়।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকেই পুঁজিবাজারে শুরু হয় দর সংশোধন। চলতি বছরের শুরুতে সংশোধন কাটিয়ে চাঙাভাবে ফেরার আভাস দেখা যায়। তবে সেটি স্থায়ী হয়নি। জানুয়ারির শেষেই আবার পড়তে থাকে বাজার।
এর মধ্যে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে নেগেটিভ ইক্যুইটির বিও হিসাব ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সমন্বয়ের আদেশের একটি গুজব ছড়ায়। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি জানায়, তারা এমন কোনো আদেশ দেয়নি। শেষে একটি আদেশ জারি হয়, তাতে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের কথা জানানো হয়।
এর মধ্যে বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, গুজব ছড়িয়ে বাজারে পতন ঘটানো হয়েছে। যারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের বিচার করা হবে। তবে ঘোষণাই সার, বাজারে আস্থা ফিরবে এমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
সংশোধন কাটিয়ে চলতি বছরের শুরুতে লেনদেন আবার দুই হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি চলে এলেও বাজারে ধস পরিস্থিতিতে তা অনেকটাই কমে গেছে। টানা ৭ কর্মদিবস এক হাজার কোটি টাকার কম শেয়ার হাতবদল হলো।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ডিএসই পরিচালক ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বাজারে। আরও কমতে পারে-এই ভয়ে সবাই শেয়ার বিক্রি করে দিতে চাইছে। সেই বিক্রির চাপে বাজারে বড় পতন হচ্ছে।
‘ছোট-বড় সব বিনিয়োগকারীই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বুঝতে পারছি না যুদ্ধের ডামাডোলে বাজার শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে নামবে।’
বিক্রির চাপ কমাতে লোকসান দিয়ে শেয়ার বিক্রি না করতে বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ দিয়েছেন শাকিল রিজভী। বলেছেন, বিক্রয়চাপ কমলেই ধীরে ধীরে আতঙ্ক কাটবে।
আরেক বাজার বিশ্লেষক ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, ‘যুদ্ধের প্রভাব বাজারে পড়েছে ঠিক। কিন্তু এর বাইরে কোনো কারসাজি করে বাজার অস্থিতিশীল করা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে বিএসইসিকে। যদি অন্য কোনো কারণে বাজারে অব্যাহত পতন হয়, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা দিতে হবে।’
‘আমাদের দুর্ভাগ্য ৫০ বছরের বাংলাদেশেও একটি সুস্থির পুঁজিবাজার পেলাম না’-বলেন এই বাজার বিশ্লেষক।
সবচেয়ে বেশি দরপতন যেসব কোম্পানির
যেসব কোম্পানির দরপতন হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ পতন হয়েছে লোকসানি কোম্পানি মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের।
৯ শতাংশের বেশি দরপতন হয়েছে আরও তিনটি কোম্পানির। এগুলো হলো আরামিট সিমেন্ট, ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালান্সড ফান্ড ও এপেক্স স্পিনিং মিলস।
৮ শতাংশের বেশি দরপতন হয়েছে আরও চারটি কোম্পানির। এগুলো হলো: জুট স্পিনার্স, সাভার রিফ্রাকটরিজ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স ও এনভয় টেক্সটাইল।
৭ শতাংশের বেশি দরপতন হয়েছে আরও ৭টি কোম্পানির। এগুলো হলো: হাওয়েল টেক্সটাইল, এএফসি এগ্রোবায়োটেক, মিথুন নিটিং, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, গোল্ডেনসন, পেনিনসুলা ও ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স।
আরও ২৪টির দর ৬ শতাংশের বেশি, ৪৭টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ৬৭টির দর ৪ শতাংশের বেশি কমেছে।
সূচক পতনে বেশি ভূমিকা যেসব কোম্পানির
টানা দ্বিতীয় দিন সূচক পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো।
শেয়ারদর ৩.০৩ শতাংশ কমার কারণে সূচক পড়েছে ১৭.২২ পয়েন্ট। গ্রামীণফোনের দর ১.৭ শতাংশ কমায় সূচক পড়েছে ১৩.২৩ পয়েন্ট।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের দর ৬.৬৩ শতাংশ কমায় সূচক পড়েছে ৯.১ পয়েন্ট।
ওয়ালটন, বেক্সিমকো লিমিটেড, স্কয়ারফার্মা, বেক্মিমকো ফার্মা, রেনাটা, বার্জার পেইন্টস ও ইউনাইটেড পাওয়ারও সূচক পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানির কারণে সূচক পড়েছে ৭৭.৮২ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য