× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Thousands of bighas of agricultural land have been wasted by the influential people
google_news print-icon

প্রভাবশালীদের চিংড়ি ঘেরে লোনাপানি, বিলীন হাজার বিঘা কৃষিজমি

চিংড়ির ঘের
বেড়িবাঁধের ভেতরে লোনাপানি তুলে করা হয়েছে চিংড়ির ঘের। ছবি: নিউজবাংলা
আশির দশকে শুরু হয় বেড়িবাঁধ কেটে লোনাপানি তোলার কারবার। এলাকার প্রভাবশালীরা ওই এলাকায় শুরু করে চিংড়ি চাষ। ক্রমাগত লোনাপানির প্রাদুর্ভাবে এলাকায় দ্রুতই আসে বড়সড় পরিবর্তন, নষ্ট হয় পরিবেশ।

চারদিকে নদীবেষ্টিত ছোট একটি দ্বীপ ঘেরা বেড়িবাঁধে। এর ভেতরে রয়েছে হাজার হাজার বিঘা কৃষিজমি। লোনাপানি তুলে সেখানে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি। লবণের আধিক্যে জন্মায় না কোনো খাদ্যশস্য, চাষ হয় না মিঠাপানির মাছও। দ্বীপটিতে নেই সুপেয় পানির ব্যবস্থা, যাতায়াতের ভালো রাস্তা। জমি থাকলেও ব্যবস্থাপনার অভাবে নিরন্ন হচ্ছেন ওই এলাকার কৃষকরা।

খুলনা শহর থেকে সড়ক পথে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে দ্বীপ এলাকাটি পাইকগাছা উপজেলার ঘ্যাংরাইল, গুনখালী ও শিবসা নদীর মোহনায় অবস্থিত। সেখানে লতা ও দেলুটি ইউনিয়নের মধুখালী, জোকারহুলা, রাধানগর, দিঘলিয়া, চকরিবকরি, জিরবুনিয়া, মাইনকিয়া, হানিরাবাদ, গোয়াসোবা, বাইনচাপরা, রেখামারি ও আসামনগর গ্রামের প্রায় ১৭ হাজার মানুষের বসবাস।

বিগত শতাব্দীর ৬০-এর দশকে দেশের উপকূলীয় এলাকার উন্নয়নে কোস্টাল এমব্যাংকমেন্ট প্রজেক্টের (সিইপি) আওতায় প্রবর্তন করা হয় পোল্ডার ব্যবস্থা। এ প্রকল্পের আওতায় দ্বীপটির পরিধিতে নির্মাণ করা হয় মাটির বেড়িবাঁধ।

চিহ্নিত করা হয় ২০ নম্বর পোল্ডার হিসেবে। উদ্দেশ্য ছিল কৃষিক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন করা। জোয়ারের লবণাক্ত পানি বিল ও বসতি এলাকায় প্রবেশ করতে না দেয়া, জলোচ্ছ্বাস ও বন্যা থেকে সেখানকার জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করা। ফলে পরের ১৫ থেকে ২০ বছর ওই এলাকায় কৃষি উৎপাদন বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

কৃষকদের ভাগ্যে সেই আশীর্বাদ খুব স্থায়ী হয়নি। আশির দশকে শুরু হয় বেড়িবাঁধ কেটে লোনাপানি তোলার কারবার। এলাকার প্রভাবশালীরা ওই এলাকায় শুরু করে চিংড়ি চাষ। ক্রমাগত লোনাপানির প্রাদুর্ভাবে এলাকায় দ্রুতই আসে বড়সড় পরিবর্তন, নষ্ট হয় পরিবেশ।

প্রভাবশালীদের চিংড়ি ঘেরে লোনাপানি, বিলীন হাজার বিঘা কৃষিজমি
দুই পাড় ভেঙে নষ্ট হচ্ছে বেড়িবাঁধ। ছবি: নিউজবাংলা

সবুজ গাছপালা, ফসল কয়েক বছরের মধ্যেই বিলীন হয়ে যায় লোনাপানিতে। এমনকি খাবারের পানির জন্য সেখানে হাহাকার চলতে থাকে। কয়েক দশক কেটে গেলেও তার উন্নতি হয়নি।

বিশাল এলাকাজুড়ে থাকা সেই বেড়িবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তাদের কাছে অসংখ্য অভিযোগ গেলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংস্থাটি।

এলাকার হানিরাবাদ গ্রামে দেখা হয় ষাটোর্ধ্ব সোবহান তালুকদারের সঙ্গে। ক্ষেতে লোনাপানি তোলার কথা জানতে চাইলে তিনি অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। পানিতে নেমে দেখিয়ে দেন কীভাবে প্রভাবশালীরা বেড়িবাঁধ কেটে মোটা পাইপ বসিয়ে লোনাপানি তুলছেন চিংড়ি ঘেরে।

চোখ মুছতে মুছতে সোবহান বলেন, ‘বড় বড় ঘেরের চিংড়ি চাষিরা জোর করে আমার জমি কেড়ে নিয়েছে। জমি উদ্ধার করতে না পেরে আমি আদালতে মামলা করেছি। লোনাপানি তোলা বন্ধের দাবিতে যত আন্দোলন হয়েছে, সব কটিতে সক্রিয় ছিলাম।

‘অনেকবার ঘের মালিকদের অপমানের শিকার হয়েছি। কিছুদিন আগেই এক ঘের মালিক বাজারের ওপর সবার সামনে আমার পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দেয়। আমার ঘরের পাশে নালা কেটে তারা লবণ পানি তোলে।’

প্রভাবশালীদের চিংড়ি ঘেরে লোনাপানি, বিলীন হাজার বিঘা কৃষিজমি
লোনাপানি তোলার জন্য বেড়িবাঁধ কেটে বসানো মোটা পাইপ দেখিয়ে দেন কৃষক সোবহান। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি বলেন, ‘বর্ষায় জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় বাড়ি। কিছু বলতে গেলে আসে প্রাণনাশের হুমকি, গুমের ভয়। আমার দুই ছেলেকে এখানে রাখি না। ফ্যাসাদ এড়াতে তাদের অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছি।’

কৃষিজমিতে লোনাপানি উত্তোলনবিরোধী স্থানীয় আন্দোলনকর্মী হরিচাঁদ সরকার প্রায় পুরোটা সময় ছিলেন প্রতিবেদকের সঙ্গে। কিছু দূরে এগোতেই তিনি দেখিয়ে দেন বিশালাকৃতির একটি চিংড়ি ঘের। স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাতক্ষীরার বিঞ্চুনাথ ঘোষ প্রায় ২ হাজার বিঘার বেশি জমির ওই ঘেরের মালিক।

পাউবোর বাঁধ বেয়ে এগোতে এগোতে একের পর এক চোখে পড়ে সেই ঘেরের পানি উত্তোলনের দৃশ্য। বাঁধ খুঁড়ে ৮ থেকে ১০ হাত গভীরে বসানো হয়েছে কাঠের তৈরি বক্স। পাটা দিয়ে বক্স থেকে নদীর পানি তোলা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

এখন শুকনা মৌসুম। কিছুদিন আগে ঘেরের মাছ আহরণ শেষ হয়েছে। বাগদা চিংড়ির পোনা ছাড়ার সময় পার হচ্ছে। তাই ঘেরের নিয়ন্ত্রকরাও এ সময়ে ব্যস্ত লোনাপানি তুলতে। জোয়ারের সময়ে বক্সের পাটা খুলে পানি তোলা হচ্ছে। ভাটার সময়ে সে পাটা বন্ধ করে লবণ পানি আটকে রাখা হয়।

দীর্ঘ বাঁধ পরিদর্শনে চোখে পড়ে এমন বড় বড় ঘেরের শত শত পানি উত্তোলন ব্যবস্থা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই এলাকার বড় বড় ঘেরগুলোর মালিক সবাই শহরে থাকেন। তাদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার বিঘা কৃষিজমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। অনেকে ইজারা নিলেও ঠিকমতো টাকা পরিশোধ করেন না এমন অভিযোগও অনেক।

প্রভাবশালীদের চিংড়ি ঘেরে লোনাপানি, বিলীন হাজার বিঘা কৃষিজমি

স্থানীয় এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নিজেদের জমি কৃষকরা দখল নিতে চাইলে প্রভাবশালীরা তাদের ‘মাস্তান বাহিনী’ পাঠিয়ে হয়রানি-মারধর করেন। হাটে-বাজারে শুরু হয় হেনস্তা। অনেকে আবার বাড়িতে গিয়ে গুমের ভয় দেখান।

কৃষক হাসেম ঢালী বলেন, এলাকার উন্নয়ন না হওয়ায় অনেকে শহরমুখী হয়েছেন। তাদের জমি বড় ঘেরের মালিকরা ইজারা নেন। সেখানে লোনাপানি তুলে চিংড়ি চাষ করেন। লভ্যাংশের টাকা পান ঘেরের মালিকরা, তারাও থাকেন শহরে। আমাদের এলাকায় চাষাবাদের টাকা চলে যায় শহরে। আর অবহেলিত হয়ে থাকি আমরা। আমাদের গ্রামে কাজ নেই, ভালো রাস্তা নেই, ক্ষেতে ফসল নেই, শুধু আছে লবণ পানি।’

দ্বীপবেষ্টিত এলাকাটিতে রয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় খাল। বর্ষার পানি সেসব খাল দিয়ে নামানোর জন্য আছে বেড়িবাঁধের ওপর পাউবোর স্লুইস গেট। অথচ সেই স্লুইচ গেট এখন নিয়ন্ত্রণ করেন ঘেরের মালিকরা। তারা সেগুলো দিয়ে জোয়ারের লোনাপানি তুলে নেন ঘেরে।

কৃষকরা জানান, স্থানীয়দের আন্দোলনের পর গেটের দায়িত্ব পাউবো বুঝিয়ে নিলেও এখনও প্রভাবশালীরা রাতে সেসব কপাট খুলে ঘেরে তোলেন লোনাপানি।

দেলুটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিপন কুমার মণ্ডল জানান, বর্তমানে ২০ নম্বর পোল্ডারের চারপাশে শত শত অবৈধ পাইপ ও জলকপাট তৈরি করা হয়েছে। গত বছর পাউবো থেকে সেগুলো শনাক্ত করে উচ্ছেদের জন্য সংশ্লিষ্টদের চিঠিও দিয়েছে, মাইকিং করে তা সরানোর নির্দেশ দিলেও সরাননি ঘের মালিকরা।

কৃষকরা চিংড়ি ঘেরের বিরোধী না। তারা লবণ পানির বিরোধিতা করেন। আমরাও চাচ্ছি এলাকা লবণমুক্ত হোক।

২০ নম্বর পোল্ডারের লতা ইউনিয়নের মধ্যে ২০০ বিঘার ঘের রয়েছে অজিয়ার রহমানের। এলাকাবাসীর অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ঘের থাকায় মানুষ চিংড়ির ব্যবসা করতে পারছেন। আবার সেখানে ধানও চাষ করছেন। অল্প কিছু মানুষ, যাদের জমি নেই, তারাই ঘেরের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। একসময় ঘের করতে গিয়ে জোরজুলুম চলেছে, এখন সেটা নেই। ঘেরের মালিকরা নিজেদের জমির পাশাপাশি হয়তো অল্প কিছু জমি ইজারা নেন।’

খুলনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘ওই এলাকায় আমরা লবণ পানি তুলতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। বেড়িবাঁধ ছিদ্র না করতে বারবার মাইকিং করেছি। আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই।’

খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, ‘কৃষকরা চিংড়ি ঘেরের বিরোধী না। তারা লবণ পানির বিরোধিতা করেন। আমরাও চাচ্ছি এলাকা লবণমুক্ত হোক।’

উচ্চ আদালতের আদেশের বাস্তবায়ন নেই

২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলায় উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়। ২০১০ সালে উপকূলীয় পাঁচ জেলায় অপরিকল্পিতভাবে চিংড়ির চাষ বন্ধ করতে উচ্চ আদালতে রিট করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। যার মধ্যে ছিল খুলনার নামও। প্রাথমিক শুনানি শেষে কৃষিজমিতে লবণ পানি ঢুকিয়ে চিংড়ি চাষ সীমিত রাখার আদেশ দেয় আদালত। ২০১২ সালে একই আদেশ বহাল রেখে দেয়া হয় চূড়ান্ত রায়। হাইকোর্টের সে রায় উপেক্ষা করে ২০ নম্বর পোল্ডারে এখনও করা হচ্ছে চিংড়ির চাষ। এতে ২৭ হাজার বিঘা জমির কৃষিব্যবস্থা শেষ হয়ে গেছে।’

হাইকোর্টের সে আদেশ লঙ্ঘিত হওয়ায় সম্প্রতি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নোটিশ করেছেন বেলার আইনজীবী এস হাসানুল রানা। নোটিশে তিনি বলছেন, লবণের কবল থেকে কৃষিজমি বাঁচাতে উচ্চ আদালতের রায় আছে, প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনাও আছে। তা সত্ত্বেও ২০ নম্বর পোল্ডারের কৃষিজমি রক্ষায় উদ্যোগ না নেয়া গ্রহণযোগ্য নয়। এটা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরিপন্থি ও আদালত অবমাননার শামিল।’

এ বিষয়ে বেলার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান বলেন, কৃষিজমিতে অপরিকল্পিতভাবে চিংড়ি চাষ বন্ধ করতে আদালতের চূড়ান্ত রায়ের পর খুলনার দাকোপ উপজেলার ৩২ নম্বর পোল্ডারে চাষ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু অন্য এলাকায় কৃষিজমিতে লোনাপানি তুলে ঠিকই চিংড়ি চাষ হচ্ছে। আসলে আদালতের ওই আদেশ পালনে ব্যবস্থা নিতে অনীহা রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের।’

দেলুটি ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, লবণ পানির ঘের বন্ধ করতে ইউনিয়ন পরিষদে স্থায়ীয় ৮০ শতাংশ মানুষ আবেদন করেছিল। এরপর চলতি বছরে পরিষদ থেকে রেজ্যুলেশন করে ঘের বন্ধ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে আবেদন করা হয়।

পাইকগাছা উপজেলার ইউএনও মমতাজ বেগম বলেন, ‘এলাকার মানুষ লবণ পানির ঘের বন্ধ করতে জোটবদ্ধ হয়েছেন, তাই ঘেরমালিক ও তাদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করা হয়েছে। কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি নয়। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, সে ব্যাপারে নতুন করে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
৫ বছরের গবেষণায় এলো টক-মিষ্টি নতুন বরই
রমজানে সবজির দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
ইউটিউব দেখে চেরি টম্যাটো চাষে সফল মাসুদ
সাড়া ফেলেছে দুই বন্ধুর মিশ্র ফলের বাগান
মৌ খামারে উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The temperature in Pabna has exceeded 42 degrees

৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা

৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা ছবি: নিউজবাংলা
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তীব্র থেকে অতি তীব্র মাত্রায় পাবনা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। অসহনীয় দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত তিন-চার দিন তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও শুক্রবার চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

এদিন পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে প্রথমবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অতি তীব্র তাপদাহে পাবনার মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ইটভাটার শ্রমিকসহ দিনমজুরদের জন্য অসহ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও তীব্র গরমে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।

আরও পড়ুন:
তাপপ্রবাহ থাকছেই, বৃষ্টি হলেও হতে পারে
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি, মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The robber who killed the driver to rob a rickshaw is in jail

রিকশা ছিনতাই করতে চালককে খুন, ছিনতাইকারী কারাগারে

রিকশা ছিনতাই করতে চালককে খুন, ছিনতাইকারী কারাগারে ফাইল ছবি
বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে আশরাফ আলী কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। তিনি এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন।

গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আশরাফ আলী নামের এক রিকশাচালক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-কুপতলা সড়কের ৭৫ নম্বর রেলগেট নামক এলাকায় এ ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সাদেকুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।

৫০ বছর বয়সী রিকশাচালক আশরাফ আলী সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের সাহার ভিটার গ্রামের মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ছিনতাই ও হত্যায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলাম কুপতলা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা।

ওসি জানান, প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আশরাফ আলী। তিনি কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। আশরাফ আলী এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি বলেন, ‘এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে রিকশাটিও উদ্ধার করা হয়। পরে আজ (শুক্রবার) দুপুরে সাদেকুলকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
3 bank officials in jail on charges of irregularities of Tk 10 crores

দশ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

দশ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে ওই শাখার তিন কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ সেদিন রাতেই তাদের তিনজনকে আটক করে।

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে শাখা ম্যানেজারসহ ৩ কর্মকর্তাকে আটকের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর। এদিন দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের জিআরও এএসআই মাহবুবুর রহমান জানান, বিকেলে সাঁথিয়া থানা থেকে এনে তাদের আদালতে তোলা হয়। এ সময় কেউ তাদের জন্য জামিন আবেদন করেননি। ফলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আটককৃতরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন বিন সালাম, সিনিয়র অফিসার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর এবং ক্যাশিয়ার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানায় ওই শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী ও সিনিয়র অফিসার আবু জাফরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিলে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের তিনজনকে আটক করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অডিটে অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের আটক করে সাঁথিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে জিডির ভিত্তিতে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে দুদক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

আরও পড়ুন:
পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
After an age buses are running again on Patrakhola road

এক যুগ পর পাত্রখোলা সড়কে ফের চলছে বাস

এক যুগ পর পাত্রখোলা সড়কে ফের চলছে বাস ছবি: নিউজবাংলা
সিএনজি থেকে ভাড়া কম করে বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় যাত্রীসহ স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা বেজায় খুশি।

দীর্ঘ এক যুগ বন্ধ থাকার পর পুনরায় শ্রীমঙ্গল-পাত্রখোলা সড়কে বাস পরিষেবা চালু করেছে শ্রীমঙ্গল-শমশেরনগর-কুলাউড়া বাস মালিক সমিতি।

বৃহস্পতিবার সকালে কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসিদ আলী ও ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোলেমান মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেন শ্রীমঙ্গল বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।

প্রাথমিক পর্যায়ে এই রুটে ৫০ মিনিট পরপর ২৪টি বাস চলাচল করবে বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল থেকে ভানুগাছ মাধবপুর সড়ক দিয়ে ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগান পর্যন্ত এ বাস চলাচল করবে।

কুরমা থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত বাসভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা। এছাড়া পাত্রখোলা থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত ৫০ টাকা, মাধবপুর থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত ৪০ টাকা, কুরমা থেকে ভানুগাছ পর্যন্ত ৪০ টাকা, পাত্রখোলা থেকে ভানুগাছ পর্যন্ত ২৫ টাকা, মাধবপুর থেকে ভানুগাছ পর্যন্ত ১৫ টাকা এবং ভানুগাছ থেকে শ্রীমঙ্গল ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টাকা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কুরমা নতুন বাস স্ট্যান্ডে বাস চলাচলের উদ্বোধন শেষে মতবিনিময় সভায় শ্রীমঙ্গল-শমসেরনগর-কুলাউড়া বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. তসলিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী যোগেশ্বর চন্দ্র সিংহের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান সোলেমান মিয়া, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান শাওন, ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ, নুরুল হক, বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, গ্রুপ সভাপতি কাসেম মিয়া ও আব্দুস সালাম প্রমুখ।

এর আগে মাধবপুর বাজারে বাস প্রবেশ করলে এলাকাবাসী বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় যাত্রীদের মানসম্পন্ন সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।

এদিকে সিএনজি থেকে ভাড়া কম করে বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় যাত্রীসহ স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা বেজায় খুশি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two children drowned in Chawai river

চাওয়াই নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

চাওয়াই নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু ফাইল ছবি
পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানত, আরেকজন জানত না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসঙ্গে ডুবে মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থনীয়রা।’

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় চাওয়াই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে আলমি আক্তার ও ইসরাত জাহান সিফাত নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের চাওয়াই নদীর চৈতন্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

১২ বছরের আলমি ওই এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে এবং ৯ বছরের সিফাত সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তারা দুজনে সম্পর্কে ফুফু-ভাতিজি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে আলমি ও সিফাত বাড়ির পাশে চাওয়াই নদীতে গোসল করতে যায়৷ গোসল করতে গিয়ে সিফাত পানিতে ডুবে যেতে থাকলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যায় আলমি৷ পরে দুজনেই পানিতে ডুবে যায়। এ সময় নদীর পাড়ে থাকা অন্য আরেক শিশু ঘটনাটি দেখে দৌড়ে তাদের পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মৃত অবস্থায় নদী থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

খবর পেয়ে পুলিশ দুই শিশুর মরদেহের সুরতহাল করে।

পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানত, আরেকজন জানত না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসঙ্গে ডুবে মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থনীয়রা।’

মরদেহের সুরতহাল শেষে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sixth and seventh wives quarrel with their husbands

স্বামীকে নিয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম স্ত্রীর কাড়াকাড়ি

স্বামীকে নিয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম স্ত্রীর কাড়াকাড়ি কোলাজ: নিউজবাংলা
সাথী জানান, ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে তার ও তাদের সন্তানের কোনো খরচ পাঠাতেন না তরিকুল। এরই মধ্যে সেঁজুতির সঙ্গে তার ইমোতে পরিচয় হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে সেঁজুতিকে বিয়ে করেন তিনি।

আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম। বাড়ি তার বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে। বর্তমানে ঢাকার সুত্রাপুর থানায় কর্মরত।

৩৮ বছর বয়সী এ যুবকের নেশা বিয়ে করা। যেখানেই যান সেখানেই তিনি বিয়ে করেন। এ পর্যন্ত ৭টি বিয়ে করেছেন।

সর্বশেষ তিনি বিয়ে করেন ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি এলাকার। ঢাকায় থাকাকালে সেঁজুতি নামের পবহাটির একটি মেয়ের সঙ্গে সপ্তমবারের মতো সংসার শুরু করেন তিনি।

তবে এর মানে এই নয় যে, তার আগের সব স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় স্ত্রী পারভীন তার গ্রামের বাড়িতে এবং ষষ্ঠ স্ত্রী রয়েছেন যশোরের বেনাপোলে। ২ স্ত্রীর ঘরে ২টি সন্তানও রয়েছে তরিকুলের।

সম্প্রতি সংসার জীবন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এই যুবক। স্বামীকে ফিরে পেতে আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে ঝিনাইদহের পবহাটিতে আসেন ষষ্ঠ স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার সাথী। তরিকুলকে স্বামী দাবি করলে সেখানে বেঁধে যায় রণক্ষেত্র। স্বামীকে নিয়ে সেঁজুতির সঙ্গে শুরু হয় তার কাড়াকাড়ি। কোনো উপায় না পেয়ে পালিয়ে যান আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম।

নিউজবাংলাকে সাথী জানান, বেনাপোল বন্দরে কর্মরত থাকা অবস্থায় নিজেকে এতিম পরিচয় দিয়ে তাকে বিয়ে করেন তরিকুল। ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ের পর থেকে একসঙ্গেই ছিলেন দুজন। তবে ২০২২ সালে বদলি হয়ে ঢাকায় চলে যান তরিকুল। তার কিছুদিন পর থেকে সাথীর সঙ্গে তার সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ।

তিনি জানান, ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে তার ও তাদের সন্তানের কোনো খরচ পাঠাতেন না তরিকুল। এরই মধ্যে সেঁজুতির সঙ্গে তার ইমোতে পরিচয় হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে সেঁজুতিকে বিয়ে করেন তিনি।

সাথী বলেন, ‘গত ঈদে আমার কাছে গিয়ে ৬ দিন ছিল। সেখানে আমাকে ভুলিয়ে আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে আসে। তারপর আবার সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমার আড়াই বছরের মেয়েটি বাবার জন্য সব সময় কান্নাকাটি করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী ঝিনাইদহ আছে- এমন খবর পেয়ে আমরা ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আর এর মধ্যে আবার পালিয়েছে সে (তরিকুল)। আমি তরিকুল ও সেঁজুতির বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে জানতে আনসার সদস্য তরিকুলের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:
বর এলো ঘোড়ায় চড়ে, কনে গেল পালকিতে করে
মায়ের অন্যত্র বিয়ে, শিশুপুত্রকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা বাবার
দ্বিতীয় বিয়ে, অশান্তিতে ছোট বউকে নিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা
দ্বিতীয় বিয়েতে কর ৫ হাজার, চতুর্থ বিয়ে করলে ৫০ হাজার
বিয়ের দিন বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে কনের মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The body of a young man who fell into the pipe of an abandoned tubewell was recovered

পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার

পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার তৎপরতা। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয়রা জানান, বিএমডিএর গভীর নলকূপটির পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, নতুন করে আরেকটি গভীর নলকূপ কিছুদিন আগে বসানো হয়, ফলে আগেরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ছিল। ওই পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপের মধ্যেই পড়ে যান রনি বর্মন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে একটি পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের মধ্যে পড়ে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ১১টার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের পূর্ব নেমাজপুর গ্রামে মাঠের মধ্যে থাকা ওই পাইপ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন।

বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মানসিক প্রতিবন্ধী রনি বর্মনকে (২৩) অবশেষে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, বিএমডিএর গভীর নলকূপটির পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, নতুন করে আরেকটি গভীর নলকূপ কিছুদিন আগে বসানো হয়, ফলে আগেরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ছিল। ওই পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপের মধ্যেই পড়ে যান রনি বর্মন।

নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারেকুর রহমান জানান, প্রায় ৫ ঘণ্টার বেশি সময়ের চেষ্টায় বিকেলে সোয়া ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রনি বর্মনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এখন আইনি প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

স্থানীয়রা জানান, রনি বর্মন গভীর নলকূপের ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতেন। সকালে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের কাছে গেলে,পড়ে যান। এ সময় মাঠের কয়েকজন কৃষক ওই নলকূপের কাছে পানি খাওয়ার জন্য এসেছিলেন, তারা ছেলেটির কান্নার আওয়াজ শুনে সবাইকে জানান, খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে।

মন্তব্য

p
উপরে