× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The villagers are outraged by the oppression of the Juba League leader
google_news print-icon

যুবলীগ নেতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী

যুবলীগ সভাপতি
ঢাকার সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমির হোসেন জয়। ছবি: নিউজবাংলা
'জয়ের চাচা নূরে খাঁ পাবলিকের সঙ্গে জোরজুলুম করে। রাস্তায় যদি কেউ একটা অটো নামায়, নূরে খাঁ (জয়ের আরেক চাচা) কয়, ট্যাকা দেও। ট্যাকা না দিলে গাড়ি চালাইবার দিব না। সপ্তাহে তারে ৫০০-১০০০ ট্যাকা দিতে হইব। না দিলে মারে, অটো চালাইতে দেয় না। আমাগো এলাকার ৫০-৬০ জন অটোর চালক হ্যাগো যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। যুবলীগ নেতা জয়ের শেল্টারে সে এগুলা করে।’

ঢাকার সাভারে এক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার চাঁদাবাজি, মারধর ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনেছেন একটি গ্রামের বাসিন্দারা। একই অভিযোগ করেছেন খোদ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা।

অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আমির হোসেন জয় শিমুলিয়া ইউনিয়নের সভাপতি।

সম্প্রতি কেবল ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে ওই যুবলীগ নেতা ও তার স্বজনদের সঙ্গে এক বিএনপি নেতার বিরোধ শুরু হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেনের ভাইয়ের ওপর যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। রড, পাইপ, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়ায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয় এলাকায়। মারধর করে আহত করা হয় সাত-আটজনকে।

পরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শিমুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমির হোসেন জয়ের বাড়িতে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে ওই যুবলীগ নেতার পরিবারের সদস্যসহ ১৩ জন আহত হন।

যুবলীগ নেতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী
স্থানীয়দের হামলায় যুবলীগ নেতা জয়ের পরিবারের সদস্যসহ ১৩ জন আহত হন। ছবি: নিউজবাংলা

মারামারির ঘটনার এক দিন পর ২৭ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়া থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল হাইকে আসামি করে মামলা করেন যুবলীগ নেতা জয়। ওই মামলায় উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে আসামি করার অভিযোগ করেছেন শিমুলিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার জাহাঙ্গীর হোসেন।

তবে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে থাকায় মামলা করতে গেলেও তা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছে গ্রামবাসী।

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে যুবলীগ নেতা জয় ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ। এমন অভিযোগও আছে, এলাকায় কোনো নির্মাণ কাজ করতে হলে পণ্য কিনতে হয় তাদের দোকান থেকে।

জয়ের বিভিন্ন ধরনের অন্যায় ও অত্যাচারের কথা জানিয়েছে শিমুলিয়া ইউনিয়নের রণস্থল গ্রামের অনেক বাসিন্দা।

এলাকাবাসীর ওপর হামলা

গ্রামবাসী জানায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রণস্থল গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডের গণি মার্কেট এলাকায় ১০-১২ জন লোক নিয়ে হামলা চালান যুবলীগ সভাপতি জয়। এ সময় ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের বড় ভাই নূর হোসেনকে রড দিয়ে মারধর করা হয়।

শাহজাহান মল্লিক নামে একজনকে কুপিয়ে আহত করে একটি বাড়িতে তালাবদ্ধ করে আটকে রাখেন জয়। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে নূর হোসেনের ভায়রা তোফাজ্জল মল্লিক, শাকিলসহ আরও সাত-আটজনকে একে একে ধরে মারধর করে জখম করে জয়ের লোকজন।

যুবলীগ নেতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী

সেদিন সামনে থেকে লাঠি ও ইট হাতে নেতৃত্ব দেন জয়। মোবাইলে ধারণকৃত এমন কিছু ছবি ও ভিডিও এসেছে নিউজবাংলার হাতে।

এ ঘটনার পর পরই জয়ের বাড়িতে হামলা চালায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এতে জয়ের মা-বাবা, স্বজনসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি জয়ের।

হোটেল ব্যবসায়ী আবু তালেব নিউজবাংলাকে বলেন, 'দুপুর বেলা দৌড় পাইরা ৮-১০ জন লোক আইসা মেম্বারের বড় ভাইরে হাতের মইদ্দে রড দিয়া তিন-চার বারি দিয়া ভাইঙা দিছে। জয় ও তার চাচা সামন খাঁসহ অনেকে মারছে। কোনো কিছু বোঝার আগেই হ্যারা মারধর শুরু করছে। রড, শাবল, লাঠি নিয়া আইছিল হ্যারা। আমরা যে থামামু এই ধরনের কোনো উপায় নাই। তখন সব দোকানদার আমরা আতঙ্ক হইয়া গেছিলাম। মেম্বার সাহেবের ভাই তো খুব ভালো লোক। জমিজমার ব্যবসা করে। কোনো দিন কারও সাথে ঝামেলাও নাই।'

তিনি বলেন, 'জয়ের চাচা সামন খাঁর ডিশ ব্যবসা আছে এই এলাকায়। কয়দিন আগে শুনছি এই ব্যবসা নিয়া ঝামেলা হইছে আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে।’

চা দোকানি আজরত আলী বলেন, ‘আমরা সবাই ওই সোম (সময়) কাজকাম করবার নাগছি। মেম্বারের ভাই তিন রাস্তার মইদ্দেখানে খাড়া। তখন তেমন কোনো মানুষ আছিল না। হঠাৎ কইরা জয়সহ ১০-১২ জন আইসা হ্যারে হুরুম-ধারম বাড়ি শুরু করছে। পরে দোকানের পিছনের দিকে শাকিলের বাইত্তে গিয়া ওরেসহ আরও কয়েকজনরে মারছে।’

ওই দিন মেম্বার আর আমি অন্য এক জায়গায় গেছি একটা বিচারে। পরে শুনি এইখানে মারামারি শুরু কইরা দিছে। জয় ও তার চাচা সামন খাঁ তাগো ক্ষমতায় এলাকায় মানুষরে মানুষ মনে করে না।

শিমুলিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিছুদিন আগে কে বা কারা জয়ের চাচার ডিশের লাইনের তার কাটছে। আমি কিংবা আমার পরিবারের কেউ এই ডিশ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত না। কিন্তু নির্বাচনকালীন পূর্বশত্রুতার জেরে আমার বড় ভাই ও ভাতিজাকে এসে হঠাৎ মারধর করছে তারা। আরও কয়েকজনরে মারছে। পরে আমারে মামলার দুই নম্বর আসামি করছে। আমি অভিযোগ দিতে গেছি, কিন্তু পুলিশ নেয় নাই। এখন গ্রেপ্তারের ভয়ে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি।’

অটোরিকশায় চাঁদাবাজি

আনোয়ার হোসেন নামে এক অটোচালক বলেন, 'জয়ের চাচা নূরে খাঁ পাবলিকের সঙ্গে জোরজুলুম করে। রাস্তায় যদি কেউ একটা অটো নামায়, নূরে খাঁ (জয়ের আরেক চাচা) কয়, ট্যাকা দেও। ট্যাকা না দিলে গাড়ি চালাইবার দিব না। সপ্তাহে তারে ৫০০-১০০০ ট্যাকা দিতে হইবে। না দিলে মারে, অটো চালাইতে দেয় না। আমাগো এলাকার ৫০-৬০ জন অটোর চালক হ্যাগো যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। যুবলীগ নেতার জয়ের শেল্টারে সে এগুলা করে।’

নিজেদের দোকান থেকে পণ্য কেনায় জোরাজুরি

শিমুলিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, 'ওই দিন মেম্বার আর আমি অন্য এক জায়গায় গেছি একটা বিচারে। পরে শুনি এইখানে মারামারি শুরু কইরা দিছে। জয় ও তার চাচা সামন খাঁ তাগো ক্ষমতায় এলাকায় মানুষরে মানুষ মনে করে না।’

পুলিশ ঠিকভাবে তদন্তও করে নাই। গ্রামের সব মহিলারাও আইছিল আসল ঘটনা কইবার। পুলিশ কারও সাক্ষী না নিয়াই চইলা গ্যাছে গা।

তিনি বলেন, ‘প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে নির্বাচন কমিটির প্রধান ছিলাম আমি। তাগো দুইটা রড, সিমেন্টের দোকান। যেই বাড়িঘর করুক ওই দোকান থাইকা সব কিনতে হইব। আমার নিজের বাড়িতে একটা ঘর তুলতে গিয়াই তাগো বাধার মুখে পড়ছি। আমি টিন আনমু অন্যহান থনে (অন্য দোকান থেকে)। কিন্তু আমারে আনতে দেয় নাই। আমারে তো মারতে পারে নাই। তবে এলাকার কোনো মিস্ত্রিরে কাম করবার দেয় না, কাম বন্ধ কইরা দেয়।’

এই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিতে মিস্ত্রিদের সঙ্গে কথা বলে দেখতে বললেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘তারা চায় রাজ্যটা জিম্মি কইরা রাখতে।’

এই আওয়ামী লীগ নেতার অভিযোগ, হামলার সেই ঘটনা নিয়ে পুলিশ যে তদন্ত করেছে, সেটি নিরপেক্ষ হয়নি। তিনি বলেন, ‘পুলিশ ঠিকভাবে তদন্তও করে নাই। গ্রামের সব মহিলারাও আইছিল আসল ঘটনা কইবার। পুলিশ কারও সাক্ষী না নিয়াই চইলা গ্যাছে গা।'

এই গ্রুপটা পুরাই সন্ত্রাসী: চেয়ারম্যান

শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসলে খালি ডিশ ব্যবসা নিয়া ঝগড়া না খালি, বহুত কিছু। ওই গ্রুপটা (জয়ের গ্রুপ) পুরা সন্ত্রাসী। অরা আওয়ামী লীগও না, বিএনপিও না। অগোর কোনো ধর্মকর্ম নাই। এরা সব লাঠি দল করে।’


ওর সঙ্গে তো আমার ব্যবসায়িক শত্রুতা ও রাজনৈতিক শত্রুতা নাই। তাহলে ও (মেম্বার) আসল ক্যান? আমার পুড়ান বাড়ি হলো গণি মার্কেট এলাকায়। কিন্তু ওখানে আমি থাকি না। আমার আত্মীয়স্বজন থাকে।

জয় যা বলছেন

সেই দিনের হামলার বিষয়ে যুবলীগ নেতা আমির হোসেন জয় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বাড়িতে ওরা হামলা করছে। মেম্বার জাহাঙ্গীর ওই সময় এখানেই ছিল। আমার কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে।

‘ওর সঙ্গে তো আমার ব্যবসায়িক শত্রুতা ও রাজনৈতিক শত্রুতা নাই। তাহলে ও (মেম্বার) আসল ক্যান? আমার পুড়ান বাড়ি হলো গণি মার্কেট এলাকায়। কিন্তু ওখানে আমি থাকি না। আমার আত্মীয়স্বজন থাকে।’

আপনি গণি মার্কেট এলাকায় হামলা চালিয়ে মারধর করেছেন কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমাকে হেয় করার কারণ হলো, আমি যাতে আইনের কাছে যেতে না পারি।’

তবে অটোরিকশায় চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করতেই ফোন রেখে দেন তিনি।

তদন্ত কর্মকর্তার ভাষ্য

মারামারির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) আব্দুর রাশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মারামারির ঘটনায় ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৪ জনকে। আমির হোসেন জয় মামলার বাদী।’

যুবলীগ নেতা জয় আগে হামলা চালিয়ে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীরের ভাইসহ কয়েকজনকে আহত করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ কেন গ্রহণ করা হয়নি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের অভিযোগ পাই নাই আরকি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা: ২ ভাই আটক
ক্লাবে ঢুকে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
জিয়া যুবসমাজের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন: যুবলীগ চেয়ারম্যান
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কোপাল ‘যুবলীগ কর্মীরা’
যুবলীগ নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে থাকবে: পরশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Ultra Marathon on Coxs Bazar Marine Drive begins on February 26

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে আলট্রা ম্যারাথন শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে আলট্রা ম্যারাথন শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি ‘কোস্টাল আলট্রা-২০২৫’-এর পোস্টার। ছবি: কোস্টাল আল্ট্রা বাংলাদেশ
কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দীর্ঘ দূরত্বের দৌড় বা আলট্রা ম্যারাথন আয়োজনের মাধ্যমে দেশে স্পোর্টস ট্যুরিজমের প্রসার, ভ্রমণপিপাসু মানুষকে পরিবেশবান্ধব ভ্রমণে উদ্বুদ্ধকরণ এবং সেই সাথে উপকূলের পরিবেশগত ভারসাম্য ও সমুদ্র তলদেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এই আলট্রা ম্যারাথনের আয়োজন করছে ‘কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশ’। এ ধরনের ইভেন্টের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করাই সংগঠনটির অন্যতম উদ্দেশ্য।”

পর্যটন নগর কক্সবাজারের দৃষ্টিনন্দন মেরিন ড্রাইভ ধরে আগামী ২০ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আলট্রা ম্যারাথন ‘কোস্টাল আলট্রা-২০২৫’।

পরিচ্ছন্ন উপকূলের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন ও সামুদ্রিক ইকোসিস্টেম সংরক্ষণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পর্যটন চর্চার বার্তা ছড়াতে এ ম্যারাথনের আয়োজন করা হচ্ছে।

‘সমুদ্র বাঁচাও, পৃথিবী বাঁচাও’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ইভেন্টটি আয়োজন করছে অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কোস্টাল আল্ট্রা বাংলাদেশ’।

আয়োজকদের ভাষ্য, দেশে প্রথমবারের মতো ২০০ কিলোমিটার দূরত্বের আলট্রা ম্যারথন আয়োজন হতে চলেছে।

কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দীর্ঘ দূরত্বের দৌড় বা আলট্রা ম্যারাথন আয়োজনের মাধ্যমে দেশে স্পোর্টস ট্যুরিজমের প্রসার, ভ্রমণপিপাসু মানুষকে পরিবেশবান্ধব ভ্রমণে উদ্বুদ্ধকরণ এবং সেই সাথে উপকূলের পরিবেশগত ভারসাম্য ও সমুদ্র তলদেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এই আলট্রা ম্যারাথনের আয়োজন করছে ‘কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশ’। এ ধরনের ইভেন্টের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করাই সংগঠনটির অন্যতম উদ্দেশ্য।”

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আলট্রা ম্যারাথন বা আলট্রা রান হচ্ছে এক ধরনের দীর্ঘ দূরত্বের দৌড় প্রতিযোগিতা, যেখানে সাধারণত ৪২ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি দৈর্ঘ্যের দৌড়ের আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে ছোট দূরত্বের আলট্রা ম্যারাথন হচ্ছে ৫০ কিলোমিটার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এ আলট্রা ম্যারাথনের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে।

আলট্রা ম্যারাথনে আয়োজক সংগঠনের বেঁধে দেওয়া যোগ্যতার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ সাপেক্ষে বাছাইকৃত দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০০ জন দৌড়বিদ অংশ নেবেন। তাদের সহায়তার জন্য ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।

অংশগ্রহণকারীরা ৫০ কিলোমিটার, ১০০ কিলোমিটার, ১০০ মাইল ও ২০০ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে দৌড়ে অংশ নেবেন।

ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন ফি লাগবে না। সব সেবা বিনা মূল্যে পাবেন অংশগ্রহণকারীরা।

আরও পড়ুন:
জয়বাংলা ম্যারাথনে মেডেল জিতলেন দৈনিক বাংলার দুই সাংবাদিক
মেরিন ড্রাইভ সড়কে দুর্ঘটনায় পর্যটকসহ নিহত ২
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন শুক্রবার
দেশের দীর্ঘতম আলট্রা ম্যারাথন ইভেন্ট শুরু কক্সবাজারে
সেনাবাহিনীর আয়োজনে বঙ্গবন্ধু ম্যারাথনের লোগো উন্মোচন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Take the opportunity to give young people to build a country Fakhrul

দেশ গড়তে তরুণদের দেওয়া সুযোগ যেন গ্রহণ করি: ফখরুল

দেশ গড়তে তরুণদের দেওয়া সুযোগ যেন গ্রহণ করি: ফখরুল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের তরুণেরা, ছাত্ররা যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংঘটিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিল, সে সুযোগ আমাদের শুধু রাজনীতির ক্ষেত্রে নয়, আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, আমাদের জীবন, সামাজিক জীবন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে, রাজনীতিসহ সব ক্ষেত্রে গ্রহণ করি।’

অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তরুণরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ করে দিয়েছে, সেটি গ্রহণের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির আয়োজনে বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে রবিবার শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

ফখরুল বলেন, ‘আমাদের তরুণেরা, ছাত্ররা যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংঘটিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিল, সে সুযোগ আমাদের শুধু রাজনীতির ক্ষেত্রে নয়, আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, আমাদের জীবন, সামাজিক জীবন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে, রাজনীতিসহ সব ক্ষেত্রে গ্রহণ করি।’

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের দেশে একটা ভয়ংকর সময় আমরা পার করেছি। প্রায় ১৫ বছর একটা পাথর আমাদের বুকের মধ্যে চেপে ছিল। সেই পাথর সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

‘আমাদের তরুণেরা, ছাত্ররা যে একটি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংঘটিত করল, নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের সুযোগ করে দিল, তা যেন আমরা গ্রহণ করি। এ ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই।’

গণতন্ত্রে নির্বাচনের গুরুত্বের কথা বলতে গিয়ে ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনই একমাত্র পথ যার মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্রে পৌঁছাতে পারি। সেটাই আমাদের ক্রীড়াঙ্গনকে বলুন, শিক্ষা ক্ষেত্রে, সাংস্কৃতি ক্ষেত্রে বলুন, সুশাসনের ক্ষেত্রে বলুন, নির্বাচনই একমাত্র পথ, যার মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।’

আরও পড়ুন:
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে মাথাব্যথা নেই, সংস্কার আগে: জামায়াত
ক্ষমতায় যে দলই আসুক, মিলেমিশে কাজ করব: মির্জা আব্বাস
খালেদা জিয়ার ৮ মামলা বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
বালিয়াডাঙ্গীতে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন স্থগিত, বিক্ষুব্ধদের হরতাল প্রত্যাহার
বাসার কার্নিশে দেশীয় অস্ত্র, পুলিশ ডাকলেন বিএনপি নেত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
After 4 hours rail connectivity with Sylhet is launched across the country

১০ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ চালু

১০ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ চালু প্রতীকী ছবি
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম জানান, ওয়াগন লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে উপবন ট্রেনটি যাত্রা করতে পারেনি। সেটির যাত্রা বাতিল করা হয়। বাতিল হওয়া ট্রেনের যাত্রীদের টিকিটের মূল্য ফেরত দেওয়া হচ্ছে।

দুর্ঘটনার ১০ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়।

উদ্ধারকাজ শেষে ১০ ঘণ্টা পর রবিবার সকাল সাড়ে আটটার পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের ওয়াগনটি শনিবার রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার পারাইরচকের মোগলবাজার রেলগেট এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। এতে ওই রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি বা অন্য কোনো গন্তব্য থেকে সিলেটে ট্রেন প্রবেশ করেনি।

এদিকে রাতভর ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী যাত্রীরা দীর্ঘসময় স্টেশনে অপেক্ষা করতে বাধ্য হন।

রেলওয়ে সূত্র আরও জানায়, উপবন এক্সপ্রেস রাতেই ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা আটকে ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। বেশির ভাগ যাত্রী স্টেশনে রাত কাটান।

সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম জানান, ওয়াগন লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে উপবন ট্রেনটি যাত্রা করতে পারেনি। সেটির যাত্রা বাতিল করা হয়। বাতিল হওয়া ট্রেনের যাত্রীদের টিকিটের মূল্য ফেরত দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, সকালে ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিলেট স্টেশনে এসে পৌঁছেছে।

রেলওয়ের এ কর্মকর্তা আরও জানান, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও সারা দিন শিডিউল বিপর্যয় অব্যাহত থাকতে পারে।

দুর্ঘটনার পর রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এর মেরামতকাজ এখনও চলছে। রিলিফ ট্রেনের মাধ্যমে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

তদন্ত কমিটি

ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন স্টেশন ব্যবস্থাপক।

তিনি জানান, ১৪টি তেলবাহী ওয়াগনের মধ্যে একটি লাইনচ্যুত হওয়ায় রেলপথের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ ঘটনার পেছনের কারণ ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:
মহাসড়ক ‌আর কতকাল ‘মৃত্যুফাঁদ’?
রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত, আহত ২৫
জামালপুরে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
তামাবিল স্থলবন্দরে মাসে ৩ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি: দুদক
বিশ্ব ইজতেমা শুরু শুক্রবার, চলবে ১৪ বিশেষ ট্রেন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The head teacher and wife died in lightning

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল প্রধান শিক্ষক ও স্ত্রীর

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল প্রধান শিক্ষক ও স্ত্রীর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া (৫৫) কাপাসিয়ার কির্তুনীয়া ইছব আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ছবি: নিউজবাংলা
কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হালিম বলেন, ‌‘স্বামী-স্ত্রীর লাশ থানায় নিয়ে এসেছেন স্বজনরা। স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় বৈদ্যুতিক মোটর চালু করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক স্কুলশিক্ষক ও তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের সেলদিয়া গ্রামে শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় কাপাসিয়া থানা পুলিশ।

প্রাণ হারানো দুজন হলেন কাপাসিয়ার কির্তুনীয়া ইছব আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া (৫৫)। তাকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী ফেরদৌসি আক্তারেরও (৪০) মৃত্যু হয়।

স্বজনদের বরাতে পুলিশ জানায়, গতকাল বিকেলে শহীদুল্লাহ বাড়ির পাশে ছোট একটি পুকুর থেকে মাছ ধরতে পানি সেচের জন্য বৈদ্যুতিক মোটর স্থাপন করেন। মোটরটি চালু করতে গিয়ে শহীদুল্লাহ প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা স্ত্রী ফেরদৌসি এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হন। পরে গুরুতর অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তারা মিয়া নামে অপর একজন প্রতিবেশী আহত হন।

শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া স্থানীয় কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘদিন তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হালিম বলেন, ‌‘স্বামী-স্ত্রীর লাশ থানায় নিয়ে এসেছেন স্বজনরা। স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
টেকনাফে স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ
কাপাসিয়ায় নদে নিখোঁজ শিশু-কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
কাপাসিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা, দুজন গ্রেপ্তার   
টিলার মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি, সাবেক মেম্বারকে জরিমানা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The cylinder exploded while making a cake on the occasion of Shabe

শবে বরাত উপলক্ষে পিঠা তৈরির সময় সিলিন্ডার বিস্ফােরণে দগ্ধ ১১

শবে বরাত উপলক্ষে পিঠা তৈরির সময় সিলিন্ডার বিস্ফােরণে দগ্ধ ১১ জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ছবি: নিউজবাংলা
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, আশুলিয়া থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ১১ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুজনকে অবজারভেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের শ্বাসনালি দগ্ধ হয়েছে।

ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানাধীন নরসিংহপুর এলাকার একটি বাসায় শুক্রবার রাতে রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছে।

দগ্ধদের রাত পৌনে একটার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। তাদের মধ্যে ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাকি দুজনকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।

দগ্ধদের মধ্যে চার বছর বয়সী মমিনের দেহের ২০ শতাংশ, ৯ বছরের মাহাদীর ১০ শতাংশ, ১৫ বছরের শামীমের ১৪ শতাংশ, চার বছরের সোয়াইদের ২৭ শতাংশ, তিন মাস বয়সী সুমাইয়ার ৯ শতাংশ, ৫০ বছরের সূর্য বানুর ৭ শতাংশ, ৩২ বছরের শিউলি আক্তারের ৯৫ শতাংশ, ৩৫ বছরের মোছাম্মৎ শারমিনের ৪২ শতাংশ, ৩৮ বছরের মোহাম্মদ সোহেল রানার ১০ শতাংশ, ৩২ বছরের মোহাম্মদ সুমন মিয়ার ৯৯ শতাংশ এবং ৭০ বছর বয়সী জহুরা বেগমের দেহের পাঁচ শতাংশ পুড়ে যায়।

দগ্ধদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা আবু ইসহাক জানান, আশুলিয়ার নরসিংহপুরের গোমাইল এলাকার একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় শবে বরাত উপলক্ষে পিঠা তৈরির সময় হঠাৎ বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়। সেখান থেকে তাদের প্রথমে সাভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে এলে তাদের ভর্তি রাখা হয়।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, আশুলিয়া থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ১১ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুজনকে অবজারভেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের শ্বাসনালি দগ্ধ হয়েছে।

আরও পড়ুন:
মিরপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে চার
মিরপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আরও একজনের মৃত্যু
মিরপুরে বাসায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সাতজন দগ্ধ
সোনারগাঁয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে সাত শ্রমিক দগ্ধ
কাফরুলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পাঁচজন দগ্ধ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
After 5 and a half years the Naf river is allowed to fish in the river

সাড়ে ৭ বছর পর নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি

সাড়ে ৭ বছর পর নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি নাফ নদীর তীরে নৌকার সারি। ছবি: এএফপি
টেকনাফ মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ বলেন, ‌‘নাফ নদীতে মাছ ধরার জন্য প্রাথমিকভাবে অনুমতি মিলেছে। এতে জেলেরা খুশি। রাতে মাছ ধরার অনুমতি না পেলে জেলেদের পোষাবে না। কারণ রাতে বেশি মাছ পাওয়া যায়।’

দীর্ঘ সাড়ে সাত বছর পর টেকনাফের নাফ নদীতে জেলেদের মাছ ধরার অনুমতি মিলেছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকার মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার বন্ধের কারণ দেখিয়ে ২০১৮ সালে নাফ নদীতে স্থানীয় জেলেদের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। তখন থেকে প্রান্তিক জেলেরা আর্থিক সংকটের মুখে পড়েন।

এত বছর ধরে অনেক দেন-দরবারেও জেলেরা আর নামতে পারেননি নাফ নদীতে। বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জেলেদের মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, ‘সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমানার অভ্যন্তরে নাফ নদীতে শাহপরীর দ্বীপ হতে টেকনাফ জেটিঘাট পর্যন্ত মাছ ধরতে পারবেন জেলেরা।

‘জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়ার সময় বিজিবির পাঁচটি নির্ধারিত পোস্টে টোকেন বা পরিচয়পত্র দেখাবেন এবং মাছ ধরা শেষে ফেরত আসার পর বিজিবির পোস্টে তল্লাশি করার ব্যাপারে বিজিবি সদস্যকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। কোনো জেলে চেক পোস্টে না জানিয়ে মাছ ধরতে পারবেন না। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করা যাবে না।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘মৎস্য অধিদপ্তরের হালনাগাদকৃত নিবন্ধিত জেলেদের তালিকা বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে প্রদান করা হবে, যাতে কোনোক্রমেই নিবন্ধিত জেলে ব্যতীত কেউ নাফ নদীতে মাছ ধরতে না পারে।

‘এই অনুমোদন সম্পূর্ণ সাময়িক। আগামী তিন মাস পর সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ অনুমতি নবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানান, জেলেদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

টেকনাফ মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ বলেন, ‌‘নাফ নদীতে মাছ ধরার জন্য প্রাথমিকভাবে অনুমতি মিলেছে। এতে জেলেরা খুশি।

‘রাতে মাছ ধরার অনুমতি না পেলে জেলেদের পোষাবে না। কারণ রাতে বেশি মাছ পাওয়া যায়।’

আরও পড়ুন:
জামালপুরে পানিতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু
মিয়ানমার সীমান্তে শীতবস্ত্র বিতরণ কোস্ট গার্ডের
শেরপুরে ঘুরতে এসে ভোগাই নদীতে ডুবে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
টেকনাফ স্থলবন্দরে মাছের বোট ভিড়েছে টানা নয়দিন পর
মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রস্তুতিকালে টেকনাফে উদ্ধার ৩০

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Father suicide after killing two children in Habiganj Police

হবিগঞ্জে দুই সন্তানকে বিষ পান করিয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা: পুলিশ

হবিগঞ্জে দুই সন্তানকে বিষ পান করিয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা: পুলিশ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানা ভবন। ছবি: ওমর ফারুক
চুনারুঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ নূর আলম জানান, পারিবারিক কলহের জেরে আবদুর রউফ সন্তানদের বিষ পান করানোর পর নিজেও বিষ পানে আত্মহত্যা করেন।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে দুই সন্তানকে বিষ পান করিয়ে হত্যার পর বাবা একই উপায়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চুনারুঘাটের আতিকপুর গ্রামে শুক্রবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।

ওই তিনজন হলেন চুনারুঘাট উপজেলার আতিকপুর গ্রামের আবদুর রউফ (৩২) এবং তার দুই সন্তান আয়েশা আক্তার (৩) ও খাদিজা আক্তার (৫)।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, আবদুর রউফ বিদেশে যাওয়ার জন্য স্থানীয় এক দালালের কাছে টাকা দিলেও বিষয়টি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এ নিয়ে সম্প্রতি তার স্ত্রী হাফসার সঙ্গে ঝগড়া হয়। এর জেরে দুই দিন আগে হাফসা দুই শিশু সন্তানকে রেখে এক বছরের অপর শিশুকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান।

পুলিশ আরও জানায়, পারিবারিক বিষয় নিয়ে ক্ষোভ ও অভিমানে আবদুর রউফ শুক্রবার ভোররাতে প্রথমে তার দুই সন্তানকে বিষ পান করিয়ে নিজে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রথমে দুই সন্তান ও পরে আবদুর রউফকে মৃত বলে জানান।

খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূর আলম জানান, পারিবারিক কলহের জেরে আবদুর রউফ সন্তানদের বিষ পান করানোর পর নিজেও বিষ পানে আত্মহত্যা করেন।

আরও পড়ুন:
হবিগঞ্জে আকিজের কারখানায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নিহত ৪
সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ছবি ছড়ানোর অভিযোগ, বিষপানে আত্মহত্যা
হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
ভিডিও কলে নববধূর, পরে প্রবাসী প্রেমিকের আত্মহত্যা: পুলিশ
লাখাইয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

মন্তব্য

p
উপরে