× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The villagers are outraged by the oppression of the Juba League leader
google_news print-icon

যুবলীগ নেতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী

যুবলীগ সভাপতি
ঢাকার সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমির হোসেন জয়। ছবি: নিউজবাংলা
'জয়ের চাচা নূরে খাঁ পাবলিকের সঙ্গে জোরজুলুম করে। রাস্তায় যদি কেউ একটা অটো নামায়, নূরে খাঁ (জয়ের আরেক চাচা) কয়, ট্যাকা দেও। ট্যাকা না দিলে গাড়ি চালাইবার দিব না। সপ্তাহে তারে ৫০০-১০০০ ট্যাকা দিতে হইব। না দিলে মারে, অটো চালাইতে দেয় না। আমাগো এলাকার ৫০-৬০ জন অটোর চালক হ্যাগো যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। যুবলীগ নেতা জয়ের শেল্টারে সে এগুলা করে।’

ঢাকার সাভারে এক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার চাঁদাবাজি, মারধর ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনেছেন একটি গ্রামের বাসিন্দারা। একই অভিযোগ করেছেন খোদ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা।

অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আমির হোসেন জয় শিমুলিয়া ইউনিয়নের সভাপতি।

সম্প্রতি কেবল ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে ওই যুবলীগ নেতা ও তার স্বজনদের সঙ্গে এক বিএনপি নেতার বিরোধ শুরু হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেনের ভাইয়ের ওপর যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। রড, পাইপ, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়ায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয় এলাকায়। মারধর করে আহত করা হয় সাত-আটজনকে।

পরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শিমুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমির হোসেন জয়ের বাড়িতে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে ওই যুবলীগ নেতার পরিবারের সদস্যসহ ১৩ জন আহত হন।

যুবলীগ নেতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী
স্থানীয়দের হামলায় যুবলীগ নেতা জয়ের পরিবারের সদস্যসহ ১৩ জন আহত হন। ছবি: নিউজবাংলা

মারামারির ঘটনার এক দিন পর ২৭ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়া থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল হাইকে আসামি করে মামলা করেন যুবলীগ নেতা জয়। ওই মামলায় উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে আসামি করার অভিযোগ করেছেন শিমুলিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার জাহাঙ্গীর হোসেন।

তবে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে থাকায় মামলা করতে গেলেও তা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছে গ্রামবাসী।

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে যুবলীগ নেতা জয় ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ। এমন অভিযোগও আছে, এলাকায় কোনো নির্মাণ কাজ করতে হলে পণ্য কিনতে হয় তাদের দোকান থেকে।

জয়ের বিভিন্ন ধরনের অন্যায় ও অত্যাচারের কথা জানিয়েছে শিমুলিয়া ইউনিয়নের রণস্থল গ্রামের অনেক বাসিন্দা।

এলাকাবাসীর ওপর হামলা

গ্রামবাসী জানায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রণস্থল গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডের গণি মার্কেট এলাকায় ১০-১২ জন লোক নিয়ে হামলা চালান যুবলীগ সভাপতি জয়। এ সময় ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের বড় ভাই নূর হোসেনকে রড দিয়ে মারধর করা হয়।

শাহজাহান মল্লিক নামে একজনকে কুপিয়ে আহত করে একটি বাড়িতে তালাবদ্ধ করে আটকে রাখেন জয়। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে নূর হোসেনের ভায়রা তোফাজ্জল মল্লিক, শাকিলসহ আরও সাত-আটজনকে একে একে ধরে মারধর করে জখম করে জয়ের লোকজন।

যুবলীগ নেতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী

সেদিন সামনে থেকে লাঠি ও ইট হাতে নেতৃত্ব দেন জয়। মোবাইলে ধারণকৃত এমন কিছু ছবি ও ভিডিও এসেছে নিউজবাংলার হাতে।

এ ঘটনার পর পরই জয়ের বাড়িতে হামলা চালায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এতে জয়ের মা-বাবা, স্বজনসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি জয়ের।

হোটেল ব্যবসায়ী আবু তালেব নিউজবাংলাকে বলেন, 'দুপুর বেলা দৌড় পাইরা ৮-১০ জন লোক আইসা মেম্বারের বড় ভাইরে হাতের মইদ্দে রড দিয়া তিন-চার বারি দিয়া ভাইঙা দিছে। জয় ও তার চাচা সামন খাঁসহ অনেকে মারছে। কোনো কিছু বোঝার আগেই হ্যারা মারধর শুরু করছে। রড, শাবল, লাঠি নিয়া আইছিল হ্যারা। আমরা যে থামামু এই ধরনের কোনো উপায় নাই। তখন সব দোকানদার আমরা আতঙ্ক হইয়া গেছিলাম। মেম্বার সাহেবের ভাই তো খুব ভালো লোক। জমিজমার ব্যবসা করে। কোনো দিন কারও সাথে ঝামেলাও নাই।'

তিনি বলেন, 'জয়ের চাচা সামন খাঁর ডিশ ব্যবসা আছে এই এলাকায়। কয়দিন আগে শুনছি এই ব্যবসা নিয়া ঝামেলা হইছে আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে।’

চা দোকানি আজরত আলী বলেন, ‘আমরা সবাই ওই সোম (সময়) কাজকাম করবার নাগছি। মেম্বারের ভাই তিন রাস্তার মইদ্দেখানে খাড়া। তখন তেমন কোনো মানুষ আছিল না। হঠাৎ কইরা জয়সহ ১০-১২ জন আইসা হ্যারে হুরুম-ধারম বাড়ি শুরু করছে। পরে দোকানের পিছনের দিকে শাকিলের বাইত্তে গিয়া ওরেসহ আরও কয়েকজনরে মারছে।’

ওই দিন মেম্বার আর আমি অন্য এক জায়গায় গেছি একটা বিচারে। পরে শুনি এইখানে মারামারি শুরু কইরা দিছে। জয় ও তার চাচা সামন খাঁ তাগো ক্ষমতায় এলাকায় মানুষরে মানুষ মনে করে না।

শিমুলিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিছুদিন আগে কে বা কারা জয়ের চাচার ডিশের লাইনের তার কাটছে। আমি কিংবা আমার পরিবারের কেউ এই ডিশ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত না। কিন্তু নির্বাচনকালীন পূর্বশত্রুতার জেরে আমার বড় ভাই ও ভাতিজাকে এসে হঠাৎ মারধর করছে তারা। আরও কয়েকজনরে মারছে। পরে আমারে মামলার দুই নম্বর আসামি করছে। আমি অভিযোগ দিতে গেছি, কিন্তু পুলিশ নেয় নাই। এখন গ্রেপ্তারের ভয়ে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি।’

অটোরিকশায় চাঁদাবাজি

আনোয়ার হোসেন নামে এক অটোচালক বলেন, 'জয়ের চাচা নূরে খাঁ পাবলিকের সঙ্গে জোরজুলুম করে। রাস্তায় যদি কেউ একটা অটো নামায়, নূরে খাঁ (জয়ের আরেক চাচা) কয়, ট্যাকা দেও। ট্যাকা না দিলে গাড়ি চালাইবার দিব না। সপ্তাহে তারে ৫০০-১০০০ ট্যাকা দিতে হইবে। না দিলে মারে, অটো চালাইতে দেয় না। আমাগো এলাকার ৫০-৬০ জন অটোর চালক হ্যাগো যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। যুবলীগ নেতার জয়ের শেল্টারে সে এগুলা করে।’

নিজেদের দোকান থেকে পণ্য কেনায় জোরাজুরি

শিমুলিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, 'ওই দিন মেম্বার আর আমি অন্য এক জায়গায় গেছি একটা বিচারে। পরে শুনি এইখানে মারামারি শুরু কইরা দিছে। জয় ও তার চাচা সামন খাঁ তাগো ক্ষমতায় এলাকায় মানুষরে মানুষ মনে করে না।’

পুলিশ ঠিকভাবে তদন্তও করে নাই। গ্রামের সব মহিলারাও আইছিল আসল ঘটনা কইবার। পুলিশ কারও সাক্ষী না নিয়াই চইলা গ্যাছে গা।

তিনি বলেন, ‘প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে নির্বাচন কমিটির প্রধান ছিলাম আমি। তাগো দুইটা রড, সিমেন্টের দোকান। যেই বাড়িঘর করুক ওই দোকান থাইকা সব কিনতে হইব। আমার নিজের বাড়িতে একটা ঘর তুলতে গিয়াই তাগো বাধার মুখে পড়ছি। আমি টিন আনমু অন্যহান থনে (অন্য দোকান থেকে)। কিন্তু আমারে আনতে দেয় নাই। আমারে তো মারতে পারে নাই। তবে এলাকার কোনো মিস্ত্রিরে কাম করবার দেয় না, কাম বন্ধ কইরা দেয়।’

এই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিতে মিস্ত্রিদের সঙ্গে কথা বলে দেখতে বললেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘তারা চায় রাজ্যটা জিম্মি কইরা রাখতে।’

এই আওয়ামী লীগ নেতার অভিযোগ, হামলার সেই ঘটনা নিয়ে পুলিশ যে তদন্ত করেছে, সেটি নিরপেক্ষ হয়নি। তিনি বলেন, ‘পুলিশ ঠিকভাবে তদন্তও করে নাই। গ্রামের সব মহিলারাও আইছিল আসল ঘটনা কইবার। পুলিশ কারও সাক্ষী না নিয়াই চইলা গ্যাছে গা।'

এই গ্রুপটা পুরাই সন্ত্রাসী: চেয়ারম্যান

শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসলে খালি ডিশ ব্যবসা নিয়া ঝগড়া না খালি, বহুত কিছু। ওই গ্রুপটা (জয়ের গ্রুপ) পুরা সন্ত্রাসী। অরা আওয়ামী লীগও না, বিএনপিও না। অগোর কোনো ধর্মকর্ম নাই। এরা সব লাঠি দল করে।’


ওর সঙ্গে তো আমার ব্যবসায়িক শত্রুতা ও রাজনৈতিক শত্রুতা নাই। তাহলে ও (মেম্বার) আসল ক্যান? আমার পুড়ান বাড়ি হলো গণি মার্কেট এলাকায়। কিন্তু ওখানে আমি থাকি না। আমার আত্মীয়স্বজন থাকে।

জয় যা বলছেন

সেই দিনের হামলার বিষয়ে যুবলীগ নেতা আমির হোসেন জয় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বাড়িতে ওরা হামলা করছে। মেম্বার জাহাঙ্গীর ওই সময় এখানেই ছিল। আমার কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে।

‘ওর সঙ্গে তো আমার ব্যবসায়িক শত্রুতা ও রাজনৈতিক শত্রুতা নাই। তাহলে ও (মেম্বার) আসল ক্যান? আমার পুড়ান বাড়ি হলো গণি মার্কেট এলাকায়। কিন্তু ওখানে আমি থাকি না। আমার আত্মীয়স্বজন থাকে।’

আপনি গণি মার্কেট এলাকায় হামলা চালিয়ে মারধর করেছেন কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমাকে হেয় করার কারণ হলো, আমি যাতে আইনের কাছে যেতে না পারি।’

তবে অটোরিকশায় চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করতেই ফোন রেখে দেন তিনি।

তদন্ত কর্মকর্তার ভাষ্য

মারামারির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) আব্দুর রাশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মারামারির ঘটনায় ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৪ জনকে। আমির হোসেন জয় মামলার বাদী।’

যুবলীগ নেতা জয় আগে হামলা চালিয়ে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীরের ভাইসহ কয়েকজনকে আহত করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ কেন গ্রহণ করা হয়নি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের অভিযোগ পাই নাই আরকি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা: ২ ভাই আটক
ক্লাবে ঢুকে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
জিয়া যুবসমাজের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন: যুবলীগ চেয়ারম্যান
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কোপাল ‘যুবলীগ কর্মীরা’
যুবলীগ নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে থাকবে: পরশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
After an age buses are running again on Patrakhola road

এক যুগ পর পাত্রখোলা সড়কে ফের চলছে বাস

এক যুগ পর পাত্রখোলা সড়কে ফের চলছে বাস ছবি: নিউজবাংলা
সিএনজি থেকে ভাড়া কম করে বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় যাত্রীসহ স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা বেজায় খুশি।

দীর্ঘ এক যুগ বন্ধ থাকার পর পুনরায় শ্রীমঙ্গল-পাত্রখোলা সড়কে বাস পরিষেবা চালু করেছে শ্রীমঙ্গল-শমশেরনগর-কুলাউড়া বাস মালিক সমিতি।

বৃহস্পতিবার সকালে কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসিদ আলী ও ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোলেমান মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেন শ্রীমঙ্গল বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।

প্রাথমিক পর্যায়ে এই রুটে ৫০ মিনিট পরপর ২৪টি বাস চলাচল করবে বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল থেকে ভানুগাছ মাধবপুর সড়ক দিয়ে ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগান পর্যন্ত এ বাস চলাচল করবে।

কুরমা থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত বাসভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা। এছাড়া পাত্রখোলা থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত ৫০ টাকা, মাধবপুর থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত ৪০ টাকা, কুরমা থেকে ভানুগাছ পর্যন্ত ৪০ টাকা, পাত্রখোলা থেকে ভানুগাছ পর্যন্ত ২৫ টাকা, মাধবপুর থেকে ভানুগাছ পর্যন্ত ১৫ টাকা এবং ভানুগাছ থেকে শ্রীমঙ্গল ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টাকা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কুরমা নতুন বাস স্ট্যান্ডে বাস চলাচলের উদ্বোধন শেষে মতবিনিময় সভায় শ্রীমঙ্গল-শমসেরনগর-কুলাউড়া বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. তসলিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী যোগেশ্বর চন্দ্র সিংহের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান সোলেমান মিয়া, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান শাওন, ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ, নুরুল হক, বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, গ্রুপ সভাপতি কাসেম মিয়া ও আব্দুস সালাম প্রমুখ।

এর আগে মাধবপুর বাজারে বাস প্রবেশ করলে এলাকাবাসী বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় যাত্রীদের মানসম্পন্ন সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।

এদিকে সিএনজি থেকে ভাড়া কম করে বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় যাত্রীসহ স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা বেজায় খুশি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two children drowned in Chawai river

চাওয়াই নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

চাওয়াই নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু ফাইল ছবি
পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানত, আরেকজন জানত না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসঙ্গে ডুবে মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থনীয়রা।’

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় চাওয়াই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে আলমি আক্তার ও ইসরাত জাহান সিফাত নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের চাওয়াই নদীর চৈতন্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

১২ বছরের আলমি ওই এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে এবং ৯ বছরের সিফাত সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তারা দুজনে সম্পর্কে ফুফু-ভাতিজি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে আলমি ও সিফাত বাড়ির পাশে চাওয়াই নদীতে গোসল করতে যায়৷ গোসল করতে গিয়ে সিফাত পানিতে ডুবে যেতে থাকলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যায় আলমি৷ পরে দুজনেই পানিতে ডুবে যায়। এ সময় নদীর পাড়ে থাকা অন্য আরেক শিশু ঘটনাটি দেখে দৌড়ে তাদের পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মৃত অবস্থায় নদী থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

খবর পেয়ে পুলিশ দুই শিশুর মরদেহের সুরতহাল করে।

পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানত, আরেকজন জানত না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসঙ্গে ডুবে মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থনীয়রা।’

মরদেহের সুরতহাল শেষে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sixth and seventh wives quarrel with their husbands

স্বামীকে নিয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম স্ত্রীর কাড়াকাড়ি

স্বামীকে নিয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম স্ত্রীর কাড়াকাড়ি কোলাজ: নিউজবাংলা
সাথী জানান, ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে তার ও তাদের সন্তানের কোনো খরচ পাঠাতেন না তরিকুল। এরই মধ্যে সেঁজুতির সঙ্গে তার ইমোতে পরিচয় হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে সেঁজুতিকে বিয়ে করেন তিনি।

আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম। বাড়ি তার বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে। বর্তমানে ঢাকার সুত্রাপুর থানায় কর্মরত।

৩৮ বছর বয়সী এ যুবকের নেশা বিয়ে করা। যেখানেই যান সেখানেই তিনি বিয়ে করেন। এ পর্যন্ত ৭টি বিয়ে করেছেন।

সর্বশেষ তিনি বিয়ে করেন ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি এলাকার। ঢাকায় থাকাকালে সেঁজুতি নামের পবহাটির একটি মেয়ের সঙ্গে সপ্তমবারের মতো সংসার শুরু করেন তিনি।

তবে এর মানে এই নয় যে, তার আগের সব স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় স্ত্রী পারভীন তার গ্রামের বাড়িতে এবং ষষ্ঠ স্ত্রী রয়েছেন যশোরের বেনাপোলে। ২ স্ত্রীর ঘরে ২টি সন্তানও রয়েছে তরিকুলের।

সম্প্রতি সংসার জীবন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এই যুবক। স্বামীকে ফিরে পেতে আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে ঝিনাইদহের পবহাটিতে আসেন ষষ্ঠ স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার সাথী। তরিকুলকে স্বামী দাবি করলে সেখানে বেঁধে যায় রণক্ষেত্র। স্বামীকে নিয়ে সেঁজুতির সঙ্গে শুরু হয় তার কাড়াকাড়ি। কোনো উপায় না পেয়ে পালিয়ে যান আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম।

নিউজবাংলাকে সাথী জানান, বেনাপোল বন্দরে কর্মরত থাকা অবস্থায় নিজেকে এতিম পরিচয় দিয়ে তাকে বিয়ে করেন তরিকুল। ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ের পর থেকে একসঙ্গেই ছিলেন দুজন। তবে ২০২২ সালে বদলি হয়ে ঢাকায় চলে যান তরিকুল। তার কিছুদিন পর থেকে সাথীর সঙ্গে তার সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ।

তিনি জানান, ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে তার ও তাদের সন্তানের কোনো খরচ পাঠাতেন না তরিকুল। এরই মধ্যে সেঁজুতির সঙ্গে তার ইমোতে পরিচয় হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে সেঁজুতিকে বিয়ে করেন তিনি।

সাথী বলেন, ‘গত ঈদে আমার কাছে গিয়ে ৬ দিন ছিল। সেখানে আমাকে ভুলিয়ে আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে আসে। তারপর আবার সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমার আড়াই বছরের মেয়েটি বাবার জন্য সব সময় কান্নাকাটি করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী ঝিনাইদহ আছে- এমন খবর পেয়ে আমরা ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আর এর মধ্যে আবার পালিয়েছে সে (তরিকুল)। আমি তরিকুল ও সেঁজুতির বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে জানতে আনসার সদস্য তরিকুলের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:
বর এলো ঘোড়ায় চড়ে, কনে গেল পালকিতে করে
মায়ের অন্যত্র বিয়ে, শিশুপুত্রকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা বাবার
দ্বিতীয় বিয়ে, অশান্তিতে ছোট বউকে নিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা
দ্বিতীয় বিয়েতে কর ৫ হাজার, চতুর্থ বিয়ে করলে ৫০ হাজার
বিয়ের দিন বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে কনের মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The body of a young man who fell into the pipe of an abandoned tubewell was recovered

পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার

পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার তৎপরতা। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয়রা জানান, বিএমডিএর গভীর নলকূপটির পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, নতুন করে আরেকটি গভীর নলকূপ কিছুদিন আগে বসানো হয়, ফলে আগেরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ছিল। ওই পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপের মধ্যেই পড়ে যান রনি বর্মন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে একটি পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের মধ্যে পড়ে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ১১টার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের পূর্ব নেমাজপুর গ্রামে মাঠের মধ্যে থাকা ওই পাইপ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন।

বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মানসিক প্রতিবন্ধী রনি বর্মনকে (২৩) অবশেষে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, বিএমডিএর গভীর নলকূপটির পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, নতুন করে আরেকটি গভীর নলকূপ কিছুদিন আগে বসানো হয়, ফলে আগেরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ছিল। ওই পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপের মধ্যেই পড়ে যান রনি বর্মন।

নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারেকুর রহমান জানান, প্রায় ৫ ঘণ্টার বেশি সময়ের চেষ্টায় বিকেলে সোয়া ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রনি বর্মনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এখন আইনি প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

স্থানীয়রা জানান, রনি বর্মন গভীর নলকূপের ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতেন। সকালে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের কাছে গেলে,পড়ে যান। এ সময় মাঠের কয়েকজন কৃষক ওই নলকূপের কাছে পানি খাওয়ার জন্য এসেছিলেন, তারা ছেলেটির কান্নার আওয়াজ শুনে সবাইকে জানান, খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Manikganj student died after falling from madrasa roof

মানিকগঞ্জে মাদ্রাসার ছাদ থেকে পড়ে ছাত্রী নিহত

মানিকগঞ্জে মাদ্রাসার ছাদ থেকে পড়ে ছাত্রী নিহত ফাইল ছবি
মাদ্রাসার শিক্ষিকা শারমিন আক্তার জানান, সকালে ক্লাসের ফাঁকে মাদ্রাসার ছাদে খেলাধুলা করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাদ্রাসার ভবনের চার তলা থেকে নিচে পড়ে যায়।

মানিকগঞ্জে মাদ্রাসার ছাদে খেলার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে পড়ে মাহিয়া আক্তার নামের এক ছাত্রী নিহত হয়েছে।

শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার বাসস্ট্যান্ডের কাছে অবস্থিত আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

১৭ বছর বয়সী মাহিয়া আক্তার মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বড় কালিয়াকৈর এলাকার আল মামুনের মেয়ে। সে আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্রী ছিল।

মাদ্রাসার শিক্ষিকা শারমিন আক্তার জানান, সকালে ক্লাসের ফাঁকে মাদ্রাসার ছাদে খেলাধুলা করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাদ্রাসার ভবনের চার তলা থেকে নিচে পড়ে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছিল, কিন্তু ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. হাবিল হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two land office officials were injured in an attack by land robbers in Sherpur

শেরপুরে ‘ভূমিদস্যুদের’ হামলায় ভূমি অফিসের দুই কর্মকর্তা আহত

শেরপুরে ‘ভূমিদস্যুদের’ হামলায় ভূমি অফিসের দুই কর্মকর্তা আহত হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত সার্ভেয়ার শহীদুল। ছবি: নিউজবাংলা
আহত সার্ভেয়ার ও নায়েব বলেন, লসমনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকার মো. সেলিম মিয়া ও তার ছেলেসহ আরও কয়েকজন এ হামলা চালান। হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু। তাদের নামে শেরপুর সি আর আমলী আদালতে জাল দলিল তৈরি করে ভূমি জালিয়াতি করায় সরকার পক্ষের একটি মামলা চলছে। এরই জেরে তারা পরিকল্পিত এ হামলা চালিয়েছেন।

শেরপুরে দুর্বৃত্তের হামলায় ভূমি অফিসের দুই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ঘটনার পর হামলাকারীরা ‘ভূমিদস্যু’ বলে অভিযোগ করেছেন আহত কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের নন্দীবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত দুই কর্মকর্তা হলেন- সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. শহীদুল ও কামারেরচর ভূমি অফিসের নায়েব শহীদুল ইসলাম।

শেরপুর সদর থানার ওসি এমদাদুল হক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার কামারেরচর থেকে কাজ শেষে মোটরসাইকেলে শহরে ফেরার পথে শেরপুর-জামালপুর সড়কের নন্দীবাজার এলাকায় কয়েকজন ব্যক্তি ওই দুই কর্মকর্তার গতিরোধ করেন। এ সময় সার্ভেয়ার মোটরসাইকেলটি থামানোর সঙ্গে সঙ্গে অতর্কিত পেছন থেকে তাদের দুজনকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিতে থাকে এবং একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে সার্ভেয়ার শহীদুলের মাথায় আঘাত করে। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

এরপর স্থানীয়রা তাদের শেরপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে আহত সার্ভেয়ার শহীদুল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অপরজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যান।

আহত সার্ভেয়ার ও নায়েব বলেন, লসমনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকার মো. সেলিম মিয়া ও তার ছেলেসহ আরও কয়েকজন এ হামলা চালান। হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু। তাদের নামে শেরপুর সি আর আমলী আদালতে জাল দলিল তৈরি করে ভূমি জালিয়াতি করায় সরকার পক্ষের একটি মামলা চলছে। এরই জেরে তারা পরিকল্পিত এ হামলা চালিয়েছেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তারা।

আরও পড়ুন:
‘নারকেল ভাগাভাগি’ নিয়ে মারামারিতে নারীসহ ৮ জন আহত
১৭০ টাকার জন্য বসতঘরে হামলা, নারীকে পেটানোর অভিযোগ
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় সিডনির হামলা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Saree lungi for eight rupees

আট টাকায় শাড়ি, লুঙ্গি

আট টাকায় শাড়ি, লুঙ্গি কুড়িগ্রামে ভ্রাম্যমাণ শাড়ি লুঙ্গির হাটের আয়োজন করেছে ‘ফাইট আনটিল লাইট (ফুল)’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ছবি: নিউজবাংলা
ফাইট আনটিল লাইটের নির্বাহী পরিচালক আবদুল কাদের বলেন, ‘আমরা ত্রাণে নয়, বিনিময়ে উপহার দিয়ে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে চাই। তাই অসহায় বাবা-মায়ের কাছে মাত্র ৮ টাকার বিনিময়ে শাড়ি লুঙ্গি বিক্রি করার ব্যবস্থা করছি।’

কুড়িগ্রামে শতাধিক দুস্থ অসহায় বাবা মায়ের জন্য ভ্রাম্যমাণ শাড়ি লুঙ্গির হাটের আয়োজন করেছে ফাইট আনটিল লাইট (ফুল) নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

ভ্রাম্যমাণ এ হাটে আট টাকা দরে একটি শাড়ি, একটি লুঙ্গি এবং দুই টাকায় একটি ব্লাউজের পিস বিক্রি করা হয়।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নের কুমোরপুর দাখিল উলুম মাদ্রাসা মাঠে শুক্রবার দুপুরে এসব শাড়ি, লুঙ্গি বিক্রি করা হয়েছে।

আট টাকায় শাড়ি পেয়ে বৃদ্ধ আমেনা বেওয়া বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে একটা শাড়ির দাম নিম্নে ৩০০ টাকা। সেই শাড়ি আট টাকায় পেয়ে খুব উপকার হলো।’

লুঙ্গি পেয়ে হামিদ মিয়া বলেন, ‘৬৫ বছর বয়সে কোন দিন দেহি নাই আট টাহায় এহান (একটা) লুঙ্গি পাওয়া যায়। আইজ সেই আট টাহায় লুঙ্গি কিনলাম। খুব খুশি নাগছে।’

ভোগডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, “‘ফুল’ দীর্ঘদিন ধরে জেলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অসহায় বাবা মাকে নিয়ে কাজ করে আসছে। তাদের আজকের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”

ফাইট আনটিল লাইটের নির্বাহী পরিচালক আবদুল কাদের বলেন, ‘কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সামাজিক সংগঠন ফুল শহর গ্রাম ও প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের মানুষ মাঝে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নে এক যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছে।

‘আমরা ত্রাণে নয়, বিনিময়ে উপহার দিয়ে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে চাই। তাই অসহায় বাবা-মায়ের কাছে মাত্র আট টাকার বিনিময়ে শাড়ি লুঙ্গি বিক্রি করার ব্যবস্থা করছি।’

আরও পড়ুন:
পাঁচ বছর ধরে দুই শতাধিক মুসল্লির ইফতার আয়োজন করছে মসজিদটি
রামপালে ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে হুমকি, অভিযোগ গৃহবধূর স্বামীর
ভুটানের রাজা আসবেন কুড়িগ্রামে
যার হাত ধরে কুড়িগ্রামের টুপি মধ্যপ্রাচ্যে
একুশে পদকের পর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন কুড়িগ্রামের আব্রাহাম লিংকন

মন্তব্য

p
উপরে