× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The bridge just doesnt match the assurance
google_news print-icon

শুধু আশ্বাস, মেলে না সেতু

শুধু-আশ্বাস-মেলে-না-সেতু
আক্ষেপ নিয়ে স্থানীয় জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এপারে আবার ধরলে বর্ষাকালে লেংটি মাইরা আইতে হয়। পোলাপান স্কুলে যাবার পাই না। আমরা কৃষি আবাদ করে ফসল বাজারে তোলা পাই না। আমরা ছোট থাইক্কা দেখতাছি, এই নদীর মধ্যে সাঁকো আর নৌকা। কত যে উপজেলা চেয়ারম্যান গেল, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গেল, মেম্বার গেল কেউ আমগর দুঃখ বুঝল না। খালি ভোটের সময় আইলে এইবার করমু কইয়া ভোট নেয়। ব্রিজ আর কইরা দেয় না।’

ভোট আসে, ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে আসেন জনপ্রতিনিধি হতে। স্বপ্ন দেখান ভোটে জিতলে লাঘব হবে জনসাধারণের দুর্ভোগ, ঘুচবে দুঃখ-দুর্দশা, থাকবে না কেউ অবহেলিত, দেখা হবে কার কী সমস্যা। ভোট যায়, আবার ভোটের সময় আসে; ভোট চাইতে আসেন নতুন কেউ। এভাবে আশ্বাসের পর আশ্বাস মেলে, হয় না বাস্তবায়ন।

এই আশ্বাসে আশ্বাসে দিনের পর বছর, যুগের পর যুগ পার হলেও একটি সেতু মেলে না নীলফামারীর জলঢাকা ও শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বাসিন্দাদের। এ নিয়ে আক্ষেপের শেষ নেই তাদের। তাই আর আশ্বাস নয়, বাস্তবায়ন চায় তারা।

‘অনেকে আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু ব্রিজ আর হয়নি’

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের বুড়িতিস্তা নদীর মনসারের ঘাট এলাকা ব্যবহার করে চলাচল করেন ডাউয়াবাড়িসহ শৌলমারী, গোল্ডমুণ্ডা ও লালমনিরহাটের হাতিবান্ধার হলদিবাড়ি এলাকার লাখো মানুষ।

কিন্তু চার যুগেও বুড়িতিস্তা নদীতে সেতু নির্মাণ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এখানকার জনসাধারণ।

সেতু নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আশ্বাস দেয়া হলেও আজও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় আক্ষেপের শেষ নেই স্থানীয়দের। আর একটি সেতুর অভাবে অনেকটাই পিছিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা কার্যক্রম ও কৃষি।

বছরজুড়ে নদীতে পানি থাকে। শুষ্ক মৌসুমে নিজেদের তৈরি কাঠ ও বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে সাইকেল, রিকশা, ভ্যান কিংবা মোটরসাইকেল নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করলেও ভারী যানবাহনগুলো যেতে হয় নদী বেয়েই।

তবে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায় বর্ষা মৌসুমে। এ সময় একমাত্র নৌকা ছাড়া উপায় থাকে না স্থানীয়দের।

চরভরট এলাকার দশম শ্রেণির ছাত্র আলমগীর হোসেন বলে, ‘বর্ষাকালে আমাদের প্রায়ই স্কুলে যেতে দেরি হয়। ঘাটে নৌকা না থাকায় ঠিক সময়ে নদী পার হওয়া যায় না। ফলে অনেক সময় ক্লাসও মিস হয়। আবার হাত থেকে বই নদীতে পড়ে ভিজে যায়।’

এই ঘাট দিয়ে চলাচল করেন গোলমুণ্ডা ইউনিয়নের হলদিবাড়ি এলাকার জামিয়ার রহমান। তিনি বলেন, ‘কেউ অসুস্থ হলে বিপদে পড়তে হয়। বর্ষাকালে সন্ধ্যায় নৌকা বন্ধ হয়ে যায়। জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের কাছে কিংবা হাসপাতালে যাওয়া দরকার- এমন পরিস্থিতিতে পল্লী চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।’

শুধু আশ্বাস, মেলে না সেতু

এ বিষয়ে ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘জনদুর্ভোগ অত্যন্ত চরমে। এখানে জরুরি ভিত্তিতে একটি সেতু নির্মাণ করা দরকার। এই এলাকার মানুষ বাঁশের সাঁকোতে কষ্টে চলাচল করছে। আসছে বর্ষায় মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।’

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ‘চরাঞ্চল হওয়ায় এবং সেতু না থাকার কারণে এই এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ হচ্ছে না। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মানুষের জীবন যাত্রারও পরিবর্তন হচ্ছে না।

‘যারা এই এলাকায় থাকেন তারাই শুধু এখানকার মানুষের কষ্ট বোঝেন। অনেকে আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু সেতু আর হয়নি।’

নীলফামারী-০৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এমপি থাকাকালীন মহান জাতীয় সংসদে কয়েকবার মনসার ঘাটে ব্রিজ নির্মাণের জন্য কথা তুলেছিলাম। ফলে সেখানে নদী বিশেষজ্ঞ এসে পরিদর্শন করে যান।

‘সামাজিক, অর্থনৈতিক, কৃষি ও পরিবেশগত সম্ভাব্যতা যাচাই হয়েছে, এমনকি সয়েল টেস্টও হয়েছে। ব্রিজের জন্য স্থানীয়রা আন্দোলনও করেছিল, আমি তাদের আশ্বস্ত করেছিলাম।’

ওই এলাকার বাসিন্দা ও জলঢাকা উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব মমিনুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘নেকক্ত, চরভরট, সিদ্ধেশ্বরী, ডাউয়াবাড়ি গ্রাম, শৌলমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ চরভরট, আলসিয়াপাড়া, গোলমুণ্ডা ইউনিয়নের হলদিবাড়ি, ঘোড়ামারা ও সিদ্ধিসিড়ি গ্রামের মানুষজন জলঢাকা উপজেলা সদরে যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

‘পাশাপাশি হাতিবান্ধা উপজেলার কিছু মানুষও এই ঘাট ব্যবহার করে থাকে। অথচ চার যুগেও এখানে সেতু নির্মাণ হয়নি।’ তাই সেখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগের দাবি জানান তিনি।

শুধু আশ্বাস, মেলে না সেতু

ওই এলাকায় সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে জানিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সেখানে সেতুর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বলা হয়েছে এবং প্রকল্পও দেয়া হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হয়ে এলে সেখান কাজ শুরু করা হবে।’

জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে জলঢাকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর বলেন, ‘এলজিইডির সঙ্গে সমন্বয় করে সেখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেটি অনুমোদন হয়ে এলে কাজ শুরু হবে।’

‘মরার আগে ব্রিজ দেইক্কা যাবার পামু কি না জানি না’

শেরপুর সদর, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী এই তিন উপজেলার সংযোগস্থল নালিতাবাড়ী উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের মালিঝি নদীর শাখা কলস নদী। তিন উপজেলার সীমানা হওয়ায় কারোর দৃষ্টি নেই এ এলাকার মানুষের নানা সমস্যার দিকে।

নালিতাবাড়ী উপজেলার কলস নদীর ওপর একটি সেতু না থাকায় নিজেদের তৈরি একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হতে হয় এখানকার ১৫ গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষের।

সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর একপারে নালিতাবাড়ীর কলসপাড় ইউনিয়নের কলসপাড় গ্রামে অবস্থিত পশ্চিম কলসপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলসপাড নঈমি দাখিল মাদ্রাসা, মোহাম্মাদিয়া কওমি মাদ্রাসা এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীরা যাতায়াত করেন এ নদী দিয়ে।

স্থানীয়দের দাবি, এখানে একটি সেতু হলে বদলে যাবে এখানকার জীবনযাত্রা। আর এ দাবিতে তারা নদীর পাড়ে মানববন্ধনও করেছেন।

শুধু আশ্বাস, মেলে না সেতু

ঝিনাইগাতীর মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের আরশাদ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বাড়ি বাড়ি গিয়া কাঁচামালের (পেঁয়াজ, মরিচ, আদা, রসুন) ব্যবসা করি। নদীর ওপর এডা ব্রিজ অইলে (হলে) আমাগর খুব সুবিধা অইত। ভার নিয়া আর কত আমরা এই এক পায়ের ব্রিজ দিয়া যামু।’

নালিতাবাড়ীর কলসপাড়ের গ্রামের বাসিন্দা আবু সামা বলেন, ‘এই ব্রিজটা হইলে আমাদের দুই উপজেলার মানুষের যোগসাজশ হইত। এই ব্রিজের দুই পাশেই পাকা রাস্তা আছে। মাঝখানে এই ব্রিজের জন্য অল্প কিছু কাঁচা রাস্তা। এই ব্রিজটা হলে আমাদের বাজারঘাট করতে খুব সুবিধা হইত।’

আবেদা বেগম বলেন, ‘আমরা নদীর এপারের ঝিনাইগাতীর লোক। আমাদের গ্রামেও একটা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র আছে। কিন্তু এইটাতে আমরা চিকিৎসা নিতে পারি না। কারণ ওই দিকে কোনো রাস্তা নাই।

‘তার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও নৌকা বা সাঁকো দিয়া নদী পার হয়ে ওপারে চিকিৎসা নিতে হয়। আর এখানে একটা ব্রিজ হইলে নালিতাবাড়ীর কলসপাড় ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া সুবিধা হইত।’

পশ্চিম কলসপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী বাছিরুন নাহার বলে, ‘আমি নদীর ওপারে স্কুলে পড়ি। কিন্তু আমগর অসুবিধা হয় স্কুলে আইতে। স্কুলে আবার ধরলে নদীত পইড়া জাইগা। নদীত পড়ে গেলে তো বইগুলাও ভিজে যায়। আর বই নষ্ট হয়ে গেলে তো আর পাওয়া যাই না। আমরা চাই আমাদের এলাকায় একটা ব্রিজ হোক।’

নালিতাবাড়ীর কলসপাড নঈমি দাখিল মাদ্রাসা সুপার আব্দুস সামাদ বলেন, ‘আমাদের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী আসে নদীর ওপার থেকে, তাই শিক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে হলেও দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণ করা দরকার।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোটের সময় হলেই চেয়ারম্যান মেম্বারগণ এ সমস্যার আশ্বাস দেন। কিন্তু নির্বাচনের পর আশ্বাসের বাস্তবায়ন হয় না।

শুধু আশ্বাস, মেলে না সেতু

করিম মিয়া বলেন, ‘আমার বয়স ৬০ বছর। জন্মের পর থাইক্কা তো দেখতাছি এনো সাঁকো আর সাঁকো। আমগর এলাকা কৃষি এলাকা। নদীর ওপাড়ে বাজার আছে। বাজরে আমরা তো মালামাল পারাপার কইরা নিতে পারি না। আমরা মেম্বার, চেয়ারম্যানদের কাছে মেলা গেছি, কোনও কাম হয় নাই। তাদের কাছে গেলে বলে আমাদের হাত নেই। আমরা মরার আগে ব্রিজ দেইক্কা যাবার পামু কিনা জানি না।’

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এপারে আবার ধরলে বর্ষাকালে লেংটি মাইরা আইতে হয়। পোলাপান স্কুলো যাবার পায় না। আমরা কৃষি আবাদ করে ফসল বাজারে তোলা পাই না। আমরা ছোট থাইক্কা দেখতাছি এই নদীর মধ্যে সাঁকো আর নৌকা।

আক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, ‘কত যে উপজেলা চেয়ারম্যান গেল, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গেল, মেম্বার গেল কেউ আমগর দুঃখ বুঝল না। খালি ভোটের সময় আইলে এইবার করমু কইয়া ভোট নেই। ব্রিজ আর কইরা দেয় না।’

এদিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস নবনির্বাচিত নালিতাবাড়ী কলসপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এই ইউনিয়নের মানুষের দুর্ভোগের কারণ কলস নদী। নদীর ওপারের যে লোকগুলো আছে, তাদের সঙ্গে আমাদের নিবিড় সম্পর্ক। এ নদীতে একটি সেতু দরকার। আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’

শেরপুর জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশিদ বলেন, ‘বিষয়টি কেউ আমাদের নজরে আনেননি। আপনাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম। আমরা এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে নিদের্শনা দেয়া হবে।’

কলসপাড় ইউনিয়ন, কলসপাড় গ্রাম, মালিঝি নদী প্রবাহিত হয়ে এখানে এসে কলস নদী হয়েছে। এই নদীর ওপর ১৫০ ফুট দীর্ঘ একটি সেতু হলে বদলে যাবে এখানকার জীবনযাত্রা, উন্নয়ন হবে ব্যবসা বাণিজ্যের, নতুন করে স্বপ্ন দেখবেন এলাকার মানুষ। তাই আশ্বাস নয়, দ্রুত একটি সেতু নির্মাণ হবে, এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

আরও পড়ুন:
সেতুর জন্য অপেক্ষার শেষ কবে
ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতেই চলছে ভারী যান
মই বেয়ে উঠতে হয় যে সেতুতে
পদ্মা সেতু: অহংকারের প্রতীক
৮৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
During the illegal infiltration the Bangladeshi detained with the smugglers on the Garo Hill border

অবৈধ পথে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে পাচারকারীসহ ৭ বাংলাদেশী আটক

অবৈধ পথে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে পাচারকারীসহ ৭ বাংলাদেশী আটক

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর নিরাপত্তাহীনতায় পুনরায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যসহ ৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি।

সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল পৌণে সাতটার দিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার নকশি সীমান্ত পথে নকশি ক্যাম্পের টহলরত বজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে বিকেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

বিষয়টি ২৬ আগষ্ট সকালে বিজিবি পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।

আটককৃতরা হলো মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রমজান আলী (২৪) ও আসমত আলীর ছেলে রাসেল (১৬)। আটক অনুপ্রবেশকারীরা হলো, নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বোমবাঘ গ্রামের শামীম শেখ (২৩), আফসানা খানম (২২), রুমা বেগম (৩২), মিলিনা বিশ্বাস (২৮) ও তিন বছর বয়সী শিশু কাশেম বিশ্বাস।

বিজিবি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, মাথাপিছু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২৩ আগস্ট রাতের আধারে নালিতাবাড়ীর সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ পথে নারী এবং শিশুসহ ৫ বাংলাদেশীকে ভারতে পাঠায় মানব পাচারকারী রমজান আলী ও রাসেল। কিন্তু ভারতীয় পুলিশের তৎপরতায় নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে এ পাঁচ বাংলাদেশী। এ কারণে ২৫ আগষ্ট সোমবার সকাল পৌণে সাতটার দিকে ঝিনাইগাতির নকশি সীমান্তের কালিমন্দির এলাকা দিয়ে পুনরায় তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা টের পেয়ে সবাইকে আটক করে। পরে মানব পাচারে জড়িত দুইজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে এবং অন্য ৫ জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং সবাইকে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ময়মনসিংহ বিজিবি’র ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Police Super Ujjal Kumar Roy inaugurated the Loto Showroom in Jhalakathi

ঝালকাঠিতে লোটো শোরুম উদ্বোধন করলেন পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়

ঝালকাঠিতে লোটো শোরুম উদ্বোধন করলেন পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়

ঝালকাঠিতে গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় এনে ব্রান্ডশপ লোটো ও লি কুপার প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১৩২তম ফ্লাগশিপ আউটলেট উদ্বোধন করেছে।

এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্ট লিঃ এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী জাভেদ ইসলাম সহ কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে নিয়ে ফিতা কেটে আউটলেটটি উদ্বোধন করেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়।

পৌর শহরের সাধনার মোড়ে মঙ্গলবার ২৬ আগষ্ট সকাল ১০টায় লোটো ও লি কুপারের ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটদ্বয়ের শুভ উদ্বোধন আনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ঝালকাঠিতে কোম্পানীর এ যাত্রার প্রথম দিনে স্থানীয় ফ্যাশন সচেতন তরুণ তরুণীরা তাদের পছন্দের পন্য কালেকশন বেছে নিতে ভীর জমায়।

কোম্পানীর পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রথম তিনদিনের প্রতিদিন প্রথম ৩০ জন পাবেন ৫০% ছাড়, ২য় ৩০ জন পাবেন ৪০% ছাড়, ৩য় ৩০ জন পাবেন ৩০% ছাড়, ৪র্থ ৩০ জন পাবেন ২০% ছাড় এবং তৎপরবর্তী সকল কাস্টমার পাবেন ১০% ছাড়। এই বিশেষ ছাড় ২৬শে আগষ্ট থেকে শুরু হয়ে ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে

মন্তব্য

সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ, আসামীর যাবজ্জীবন

সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ, আসামীর যাবজ্জীবন

নওগাঁয় সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ মামলায় আ: সালাম (৩৮) নামে এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আ: সালাম সদর উপজেলার বর্ষাইল মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম ওই শিক্ষার্থীর পরিবার পত্নীতলা উপজেলায় ভাড়া থাকতেন। ভাঙ্গারী ব্যবসার সুবাদে আসামী আ: সালামও পাশাপাশি একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভিকটিম মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে আ: সালাম বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতো এবং রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামী আ: সালাম ওই ভিকটিমের পরিবারকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখাতো। এরই একপর্যায়ে ২০২২ সালের ১১ জুলাই বিকেল তিনটার দিকে আসামী আ: সালাম একটি বাজার এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীপুর দক্ষিন পাড়া গ্রামের মোজাফ্ফর রহমানের ভাড়া বাড়িতে আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা পত্নীতলা থানায় অভিযোগ করলে র‌্যাব ওই বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেফতার ও মেয়েকে উদ্ধার করে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামী আ: সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ আ: সালামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। বাকি আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়।

মামলার এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম সন্তোষ প্রকাশ করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ফাহমিদা কুলসুম উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।

মন্তব্য

হিল্লা বিয়ে না করার জেরে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' দম্পতি

হিল্লা বিয়ে না করার জেরে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' দম্পতি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামে রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুনরায় তাকে বিয়ে করায় এক দম্পতিকে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে নালিশ দেওয়ার জের ধরে পেটানো হয় দিনমজুর আব্দুল জলিল প্রামানিককে। প্রতিপক্ষের লোকজনের মারধরে এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে গেছে।

এঘটনায় তিনি একটি থানায় অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে সেটি মামলাটি হিসেবে রের্কড করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।

সরেজমিনে বালুকাপাড়া গ্রামে গিয়ে আব্দুল জলিলকে ১৮ মাস ধরে সমাজচ্যুত করে রাখার তথ্য জানা গেছে। আব্দুল জলিলের সমাজচ্যুত করার ঘটনাটি স্থানীয় রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশীদ মন্ডলও অবগত আছেন। তিনি দুই পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকেও সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি।

গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কলহের কারণে আব্দুল জলিল প্রামানিক রাগের মাথায় তার স্ত্রীকে তালাক দেন। এঘটনার ২৯ দিন পর তিনি আবারও স্ত্রীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় গ্রাম্য মাতব্বরেরা ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল জলিল প্রামানিকের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখেন। সেই সময় জলিল প্রামানিক বিষয়টি আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে জানান। ইউএনও রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মণ্ডলকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেন। ইউপি চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। তবে কার্যত কোন কোনো সমাধান করতে পারেননি। এতে গ্রাম্য মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলের ওপর আরও ক্ষুব্ধ হন। সমাজচ্যুত করে রাখা আব্দুল জলিল গত ১৫ আগস্ট রাত আটটার দিকে গ্রামের মসজিদের দিকে রওনা হন। এসময় মাতব্বরেরা তাকে দুই দফায় প্রচন্ড মারধর করেন। এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে যায়। তিনি চিকিৎসা নিয়ে থানায় আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বালুকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেড় বছর আগে আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। কয়েক দিন পর আবার সংসার শুরু করেন। এনিয়ে গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিল প্রামানিককে সমাজচ্যুত করেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় বৃদ্ধা লুৎফন নেছা বলেন, আমি কাজ করতে পারিনি। আব্দুল জলিলের বউ আমার বাড়িতে এসে জবাই করা মুরগির তরকারি রান্না করে দিয়েছিল। আমি জলিলের বাড়িতে গিয়ে এক বাটি মুরগির মাংসের তরকারি দিয়ে এসেছি। এতে আমাকেও সমাজচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিল।

বালুকাপাড়া গ্রামের মোড়ের দোকানি হাফিজার রহমান বলেন, বউকে তালাক দেওয়ার ঘটনায় আব্দুল জলিল প্রামানিককে গ্রামের মাতব্বরেরা সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল গ্রামের সামাজিক কোন কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেয় না।

আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, আমি রাগের মাথায় স্ত্রী তালাক দিয়েছিলাম। ২৯ দিন পর আবার বিয়ে পড়ে নিয়েছি। একারণে গ্রামের মাতব্বর রকি খান, মিল্টন খাঁ, আবু সুফিয়ানসহ আরও ১০-১২ জন আমাকে সমাজচ্যুত করেছেন। রাগের মাথায় স্ত্রীক। তালাক দিলে পুনরায় বিয়ে করা যাবে ঢাকার একজন মুফতির মতামত নিয়ে আসার পরও তারা মানেনি। তারা বলছে হিল্লা বিয়ে ছাড়া আমার বিয়ে বৈধ হবে না। তারা আমাকে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে গ্রামের মসজিদে নামাজ আদায়ে করতে ও জানাজায় শরিক হতে বা দেননি। মিলাদ মাহফিল দাওয়াত দেওয়ার মাতব্বরদের চাপে পর ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি গ্রামের কারও জমিতে দিনমজুরি কাজও করতে পারব না বলে লোকজন জানিয়ে দেন। একারণে কেউ আমাকে কাজে নেয় না। সমাজচ্যুত করার জের ধরে মসজিদে যাওয়ার সময় মাতব্বরদের একাংশের লোকজন আমাকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছেন।

গ্রামের মাতব্বদের একজন মো. মিল্টন খাঁ। তিনি আব্দুল জলিলের দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামি। তাকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কাজ করেছেন। একারণে গ্রামের লোকজন তাকে সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কি কাজ করেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার স্ত্রীকে নিয়েছেন। এটা সমাজ বিরোধী কাজ।

আক্কেলপুর রায়কালী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মন্ডল বলেন, আব্দুল জলিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। এঘটনায় গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলকে সমাজচ্যুত করেন। আব্দুল জলিল ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। ইউএনও স্যার আমাকে ঘটনাটি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। উভয়পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছি। আব্দুল জলিল যেন সামাজিকভাবে মিশতে পারে সেটি বলেছি। সমাজচ্যুতের ঘটনার জের ধরে আব্দুল জলিলকে মারধর করা হয়েছে। এতে তার বাম হাত ভেঙেছে বলে জেনেছি।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আব্দুল জলিল প্রামানিক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেটি মামলা হিসেবে রের্কড করা হয়েছে। আসামি আট জনের মধ্যে ইতিমধ্যে আদালত থেকে পাঁচজন আসামি জামিন নিয়েছেন, অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In July 2021 the growth rate of revenue collection is about 20 percent 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৭,২৪৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। বিগত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১,৯১৬ কোটি টাকা। জুলাই-২০২৫ মাসে বিগত জুলাই-২০২৪ মাসের তুলনায় ৫,৩৩৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। জুলাই ২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪.৩৩%।

জুলাই’২৫ মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে। এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ১১,৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায়ের পরিমান ছিল ৮,৫৭১ কোটি টাকা। জুলাই ২০২৫ মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৩২.৪৫%।

আয়কর ও ভ্রমন কর খাতে জুলাই’২৫ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬,২৯৫ কোটি টাকা যা জুলাই’২০২৪ মাসের একই খাতে আদায়কৃত ৫,১৭৫ কোটি টাকার চাইতে ১,১২০ কোটি টাকা বেশি। আয়কর ও ভ্রমন করের ক্ষেত্রে জুলাই ২০২৫ মাসের আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২১.৬৫%।

২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে আমদানি ও রপ্তানি খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯,৬০২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮,১৭০ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ১৭.৫২%।

রাজস্ব আদায়ের এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং কাস্টমস শুল্ক-কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

সম্মানিত করদাতাগণ আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ পরিমান কর পরিশোধের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজের অন্যতম অংশীদার হবেন মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The main accused arrested in the murder of UP member

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র‍্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন

র‍্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।

মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।

কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।

ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

p
উপরে