ভোট আসে, ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে আসেন জনপ্রতিনিধি হতে। স্বপ্ন দেখান ভোটে জিতলে লাঘব হবে জনসাধারণের দুর্ভোগ, ঘুচবে দুঃখ-দুর্দশা, থাকবে না কেউ অবহেলিত, দেখা হবে কার কী সমস্যা। ভোট যায়, আবার ভোটের সময় আসে; ভোট চাইতে আসেন নতুন কেউ। এভাবে আশ্বাসের পর আশ্বাস মেলে, হয় না বাস্তবায়ন।
এই আশ্বাসে আশ্বাসে দিনের পর বছর, যুগের পর যুগ পার হলেও একটি সেতু মেলে না নীলফামারীর জলঢাকা ও শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বাসিন্দাদের। এ নিয়ে আক্ষেপের শেষ নেই তাদের। তাই আর আশ্বাস নয়, বাস্তবায়ন চায় তারা।
‘অনেকে আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু ব্রিজ আর হয়নি’
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের বুড়িতিস্তা নদীর মনসারের ঘাট এলাকা ব্যবহার করে চলাচল করেন ডাউয়াবাড়িসহ শৌলমারী, গোল্ডমুণ্ডা ও লালমনিরহাটের হাতিবান্ধার হলদিবাড়ি এলাকার লাখো মানুষ।
কিন্তু চার যুগেও বুড়িতিস্তা নদীতে সেতু নির্মাণ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এখানকার জনসাধারণ।
সেতু নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আশ্বাস দেয়া হলেও আজও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় আক্ষেপের শেষ নেই স্থানীয়দের। আর একটি সেতুর অভাবে অনেকটাই পিছিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা কার্যক্রম ও কৃষি।
বছরজুড়ে নদীতে পানি থাকে। শুষ্ক মৌসুমে নিজেদের তৈরি কাঠ ও বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে সাইকেল, রিকশা, ভ্যান কিংবা মোটরসাইকেল নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করলেও ভারী যানবাহনগুলো যেতে হয় নদী বেয়েই।
তবে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায় বর্ষা মৌসুমে। এ সময় একমাত্র নৌকা ছাড়া উপায় থাকে না স্থানীয়দের।
চরভরট এলাকার দশম শ্রেণির ছাত্র আলমগীর হোসেন বলে, ‘বর্ষাকালে আমাদের প্রায়ই স্কুলে যেতে দেরি হয়। ঘাটে নৌকা না থাকায় ঠিক সময়ে নদী পার হওয়া যায় না। ফলে অনেক সময় ক্লাসও মিস হয়। আবার হাত থেকে বই নদীতে পড়ে ভিজে যায়।’
এই ঘাট দিয়ে চলাচল করেন গোলমুণ্ডা ইউনিয়নের হলদিবাড়ি এলাকার জামিয়ার রহমান। তিনি বলেন, ‘কেউ অসুস্থ হলে বিপদে পড়তে হয়। বর্ষাকালে সন্ধ্যায় নৌকা বন্ধ হয়ে যায়। জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের কাছে কিংবা হাসপাতালে যাওয়া দরকার- এমন পরিস্থিতিতে পল্লী চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।’
এ বিষয়ে ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘জনদুর্ভোগ অত্যন্ত চরমে। এখানে জরুরি ভিত্তিতে একটি সেতু নির্মাণ করা দরকার। এই এলাকার মানুষ বাঁশের সাঁকোতে কষ্টে চলাচল করছে। আসছে বর্ষায় মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।’
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ‘চরাঞ্চল হওয়ায় এবং সেতু না থাকার কারণে এই এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ হচ্ছে না। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মানুষের জীবন যাত্রারও পরিবর্তন হচ্ছে না।
‘যারা এই এলাকায় থাকেন তারাই শুধু এখানকার মানুষের কষ্ট বোঝেন। অনেকে আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু সেতু আর হয়নি।’
নীলফামারী-০৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এমপি থাকাকালীন মহান জাতীয় সংসদে কয়েকবার মনসার ঘাটে ব্রিজ নির্মাণের জন্য কথা তুলেছিলাম। ফলে সেখানে নদী বিশেষজ্ঞ এসে পরিদর্শন করে যান।
‘সামাজিক, অর্থনৈতিক, কৃষি ও পরিবেশগত সম্ভাব্যতা যাচাই হয়েছে, এমনকি সয়েল টেস্টও হয়েছে। ব্রিজের জন্য স্থানীয়রা আন্দোলনও করেছিল, আমি তাদের আশ্বস্ত করেছিলাম।’
ওই এলাকার বাসিন্দা ও জলঢাকা উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব মমিনুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘নেকক্ত, চরভরট, সিদ্ধেশ্বরী, ডাউয়াবাড়ি গ্রাম, শৌলমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ চরভরট, আলসিয়াপাড়া, গোলমুণ্ডা ইউনিয়নের হলদিবাড়ি, ঘোড়ামারা ও সিদ্ধিসিড়ি গ্রামের মানুষজন জলঢাকা উপজেলা সদরে যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
‘পাশাপাশি হাতিবান্ধা উপজেলার কিছু মানুষও এই ঘাট ব্যবহার করে থাকে। অথচ চার যুগেও এখানে সেতু নির্মাণ হয়নি।’ তাই সেখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগের দাবি জানান তিনি।
ওই এলাকায় সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে জানিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সেখানে সেতুর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বলা হয়েছে এবং প্রকল্পও দেয়া হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হয়ে এলে সেখান কাজ শুরু করা হবে।’
জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে জলঢাকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর বলেন, ‘এলজিইডির সঙ্গে সমন্বয় করে সেখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেটি অনুমোদন হয়ে এলে কাজ শুরু হবে।’
‘মরার আগে ব্রিজ দেইক্কা যাবার পামু কি না জানি না’
শেরপুর সদর, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী এই তিন উপজেলার সংযোগস্থল নালিতাবাড়ী উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের মালিঝি নদীর শাখা কলস নদী। তিন উপজেলার সীমানা হওয়ায় কারোর দৃষ্টি নেই এ এলাকার মানুষের নানা সমস্যার দিকে।
নালিতাবাড়ী উপজেলার কলস নদীর ওপর একটি সেতু না থাকায় নিজেদের তৈরি একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হতে হয় এখানকার ১৫ গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষের।
সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর একপারে নালিতাবাড়ীর কলসপাড় ইউনিয়নের কলসপাড় গ্রামে অবস্থিত পশ্চিম কলসপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলসপাড নঈমি দাখিল মাদ্রাসা, মোহাম্মাদিয়া কওমি মাদ্রাসা এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীরা যাতায়াত করেন এ নদী দিয়ে।
স্থানীয়দের দাবি, এখানে একটি সেতু হলে বদলে যাবে এখানকার জীবনযাত্রা। আর এ দাবিতে তারা নদীর পাড়ে মানববন্ধনও করেছেন।
ঝিনাইগাতীর মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের আরশাদ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বাড়ি বাড়ি গিয়া কাঁচামালের (পেঁয়াজ, মরিচ, আদা, রসুন) ব্যবসা করি। নদীর ওপর এডা ব্রিজ অইলে (হলে) আমাগর খুব সুবিধা অইত। ভার নিয়া আর কত আমরা এই এক পায়ের ব্রিজ দিয়া যামু।’
নালিতাবাড়ীর কলসপাড়ের গ্রামের বাসিন্দা আবু সামা বলেন, ‘এই ব্রিজটা হইলে আমাদের দুই উপজেলার মানুষের যোগসাজশ হইত। এই ব্রিজের দুই পাশেই পাকা রাস্তা আছে। মাঝখানে এই ব্রিজের জন্য অল্প কিছু কাঁচা রাস্তা। এই ব্রিজটা হলে আমাদের বাজারঘাট করতে খুব সুবিধা হইত।’
আবেদা বেগম বলেন, ‘আমরা নদীর এপারের ঝিনাইগাতীর লোক। আমাদের গ্রামেও একটা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র আছে। কিন্তু এইটাতে আমরা চিকিৎসা নিতে পারি না। কারণ ওই দিকে কোনো রাস্তা নাই।
‘তার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও নৌকা বা সাঁকো দিয়া নদী পার হয়ে ওপারে চিকিৎসা নিতে হয়। আর এখানে একটা ব্রিজ হইলে নালিতাবাড়ীর কলসপাড় ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া সুবিধা হইত।’
পশ্চিম কলসপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী বাছিরুন নাহার বলে, ‘আমি নদীর ওপারে স্কুলে পড়ি। কিন্তু আমগর অসুবিধা হয় স্কুলে আইতে। স্কুলে আবার ধরলে নদীত পইড়া জাইগা। নদীত পড়ে গেলে তো বইগুলাও ভিজে যায়। আর বই নষ্ট হয়ে গেলে তো আর পাওয়া যাই না। আমরা চাই আমাদের এলাকায় একটা ব্রিজ হোক।’
নালিতাবাড়ীর কলসপাড নঈমি দাখিল মাদ্রাসা সুপার আব্দুস সামাদ বলেন, ‘আমাদের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী আসে নদীর ওপার থেকে, তাই শিক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে হলেও দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণ করা দরকার।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোটের সময় হলেই চেয়ারম্যান মেম্বারগণ এ সমস্যার আশ্বাস দেন। কিন্তু নির্বাচনের পর আশ্বাসের বাস্তবায়ন হয় না।
করিম মিয়া বলেন, ‘আমার বয়স ৬০ বছর। জন্মের পর থাইক্কা তো দেখতাছি এনো সাঁকো আর সাঁকো। আমগর এলাকা কৃষি এলাকা। নদীর ওপাড়ে বাজার আছে। বাজরে আমরা তো মালামাল পারাপার কইরা নিতে পারি না। আমরা মেম্বার, চেয়ারম্যানদের কাছে মেলা গেছি, কোনও কাম হয় নাই। তাদের কাছে গেলে বলে আমাদের হাত নেই। আমরা মরার আগে ব্রিজ দেইক্কা যাবার পামু কিনা জানি না।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এপারে আবার ধরলে বর্ষাকালে লেংটি মাইরা আইতে হয়। পোলাপান স্কুলো যাবার পায় না। আমরা কৃষি আবাদ করে ফসল বাজারে তোলা পাই না। আমরা ছোট থাইক্কা দেখতাছি এই নদীর মধ্যে সাঁকো আর নৌকা।
আক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, ‘কত যে উপজেলা চেয়ারম্যান গেল, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গেল, মেম্বার গেল কেউ আমগর দুঃখ বুঝল না। খালি ভোটের সময় আইলে এইবার করমু কইয়া ভোট নেই। ব্রিজ আর কইরা দেয় না।’
এদিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস নবনির্বাচিত নালিতাবাড়ী কলসপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এই ইউনিয়নের মানুষের দুর্ভোগের কারণ কলস নদী। নদীর ওপারের যে লোকগুলো আছে, তাদের সঙ্গে আমাদের নিবিড় সম্পর্ক। এ নদীতে একটি সেতু দরকার। আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’
শেরপুর জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশিদ বলেন, ‘বিষয়টি কেউ আমাদের নজরে আনেননি। আপনাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম। আমরা এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে নিদের্শনা দেয়া হবে।’
কলসপাড় ইউনিয়ন, কলসপাড় গ্রাম, মালিঝি নদী প্রবাহিত হয়ে এখানে এসে কলস নদী হয়েছে। এই নদীর ওপর ১৫০ ফুট দীর্ঘ একটি সেতু হলে বদলে যাবে এখানকার জীবনযাত্রা, উন্নয়ন হবে ব্যবসা বাণিজ্যের, নতুন করে স্বপ্ন দেখবেন এলাকার মানুষ। তাই আশ্বাস নয়, দ্রুত একটি সেতু নির্মাণ হবে, এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন:ভোলার তজুমদ্দিনে স্থানীয়দের সংঘবদ্ধ পিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন।
সোনাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভূঁইয়া বাড়িতে বৃহস্পতিবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।
পিটুনিতে প্রাণ হারানো দুজন হলেন তজুমদ্দিনের বালিয়াকান্দি গ্রামের মো. নয়ন (৩০) ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার খাসমহল এলাকার আমির হোসেন (২৮)। তারা নিয়মিত গরু চুরি করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় পিটুনিতে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়দের ভাষ্য, ভূঁইয়া বাড়িতে একদল ব্যক্তির গরু চুরি করতে ঢোকেন। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা চিৎকার করলে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে চোরদের ধাওয়া করেন। এর একপর্যায়ে জনতার হাতে দুই যুবক ধরা পড়ে, যাদের সংঘবদ্ধভাবে পেটানো হয়।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন দুজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভোরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গণপিটুনির শিকার দুই যুবককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।’
ওসি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা ছিল চ্যালেঞ্জিং পেশা বেছে নেওয়ার। সে ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। এক দশকের বেশি সময় ধরে ট্রেনচালক হিসেবে কাজ করছেন ফরিদা আক্তার।
লালমনিরহাট রেল বিভাগে একমাত্র নারী ট্রেনচালক (এলএম) ফরিদা। নানা প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালনে অনড় ৪ সন্তানের এ জননী।
মাত্র ১০ মাসের সন্তানকে বাড়িতে রেখে নিয়মিত ট্রেন চালাচ্ছেন ফরিদা। তার এ সাহসিকতা ও আত্মবিশ্বাসে মুগ্ধ রেল বিভাগ।
স্বামী টুটুল ও চার সন্তান নিয়ে লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করেন ফরিদা আক্তার। তার বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। টুটুল লালমনিরহাটে বেসরকারি চাকরি করেন।
ফরিদা আক্তার বলেন, ‘কাজটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে আমি বেছে নিয়েছি। ছোট থেকে ইচ্ছা ছিল চ্যালেঞ্জিং পেশায় যাব। ২০১৪ সালে ট্রেনচালক হিসেবে রেল বিভাগে যুক্ত হই।’
তিনি বলেন, ‘পরিবার যদি সাপোর্ট না করে, তাহলে আপনি এ পেশায় আসতে পারবেন না। পাশাপাশি একজন পুরুষ ট্রেনচালকেরও সাপোর্ট প্রয়োজন আছে।
‘একজন নারী ট্রেনচালক হিসেবে সমাজে কে কী বলল, সেটা নিয়ে আমি ভাবি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে ও দুই ছেলে। সবচেয়ে ছোট ১০ মাসের মেয়েকে রেখে আমি ট্রেন চালাতে আসি। কাজে বের হলেও তারা কোনোদিন বিরক্ত হয় না।’
লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন ফরিদা আক্তার। চার সন্তানের মা হয়েও তিনি বেছে নেন ট্রেন চালানোর মতো চ্যালেঞ্জিং পেশা।
শুরুর দিকে একটু ভয় পেলেও এখন ট্রেনের স্টেশন থেকে স্টেশনে ছুটে চলার কাজটিকে ভালোবেসে ফেলেছেন ফরিদা। ২০১৪ সালে চাকরিতে যোগ দিয়ে ১০ বছরের বেশি সময় অতিক্রম করে ফেলেছেন এ নারী।
নারী হওয়ায় দায়িত্ব পালনে তাকে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, কিন্তু সেসব নিয়ে কখনও দমে যাননি ফরিদা।
তিনি জানান, ট্রেনের যান্ত্রিক ত্রুটি হলে নিজেই তা সমাধানের চেষ্টা করেন।
লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় লোকো ইনচার্জ কাজী সুমন বলেন, ‘নারীরা এখন আর ঘরের মধ্যে বন্দি নেই। তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
‘নারী চালকদের কাজে কোনো গাফিলতি নেই। ফরিদার মতো নারীরা দেখিয়ে দিচ্ছেন, কোনো পেশাই নারীদের জন্য অসম্ভব নয়।’
আরও পড়ুন:মেহেরপুরে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা এবং পরিবেশ দূষণের ঘটনায় ভ্রাম্যমান আদালত চারটি ইটভাটাকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করেছে।
ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের শুকুরকান্দি গ্রামে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত চারটি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানটি পরিচালনা করেন গাংনী উপজেলা (ভূমি) সহকারী কমিশনার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদ্দাম হোসেন ।
অভিযানে দেখা যায়, ভাটাগুলোতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছিল না এবং জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছিল। এর ফলে পরিবেশের ওপর গুরুতর প্রভাব পড়ছিল।
ইটভাটাগুলোর মধ্যে থ্রি স্টারকে ১ লাখ টাকা, জনতা ব্রিকসকে ১ লাখ, রুপসা ব্রিকসকে ১ লাখ এবং সমতা ব্রিকসকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতায় ইটভাটাগুলোর চুলা পানি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাঁচা ইটগুলো পানি দিয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত জানিয়েছে, অবৈধ ইটভাটা বন্ধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন:ঢাকার সাভারের আলাদিনস পার্কে গত ৭ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন সিপিআই এক্স স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বার্ষিক পিকনিক ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ বছরের অনুষ্ঠানটি ‘আমরা সবাই একসাথে-এখন ও চিরকাল’ প্রতিপাদ্য নিয়ে উদযাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি সিপিআই এক্স স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক নাজিমুজ্জামান হাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন প্যারাডাইজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল আমিন ভূঁইয়া, কুমিল্লা পলিটেকনিক ছাত্র সংসদের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট গোলাম মোস্তফা, শান্তি নিবাস প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কুমিল্লা পলিটেকনিক ছাত্র সংসদের সাবেক জেনারেল সেক্রেটারি মো. আবুল কাশেম, সিপিআই ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান কবির প্রিন্স, ইঞ্জিনিয়ার সাদেকুল আমিন, পিকনিক কমিটির সচিব এমরান হোসেনসহ বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন জাবেদ হোসেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান কনক, মো. মাসুদ রানা, ফেরদৌস, নেছার পাটোয়ারি, মিশকাত, মো. সাইদুল ইসলাম মিঠু, মো. শিহাব, কামরুল, প্রান্ত, তুষার ও সাইমুনসহ কুমিল্লা পলিটেকনিকের বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি সময়ে দুপুরে যোগ দেন ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও কুমিল্লা পলিটেকনিকের ১৯৮৩-১৯৮৪ সেশনের ছাত্র প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন। তাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
বিভিন্ন ইভেন্ট ও পুরস্কার বিতরণ
পিকনিকে বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সবাইকে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়াও সাবেক শিক্ষার্থীর সন্তানদের মধ্যে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছেন, তাদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। আয়োজক কমিটির সব পৃষ্ঠপোষকদের ক্রেস্ট ও উপহার প্রদান করা হয়।
র্যাফেল ড্রর পুরস্কার বিতরণ
বার্ষিক মিলনমেলার অংশ হিসেবে আয়োজিত র্যাফেল ড্রর পুরস্কারগুলো ছিল আকর্ষণীয়। প্রথম পুরস্কার হিসেবে ওয়াশিং মেশিন, দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে ৪৩ ইঞ্চি 4K Smart টিভি, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন, চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ইলেকট্রিক ওভেন এবং আরও ২০টি আকর্ষণীয় পুরস্কার ছিল। র্যাফেল ড্র লটারি টিকিটের মূল্য ছিল ১০০ টাকা।
নতুন কার্যকরী কমিটি ঘোষণা
উৎসবের শেষে নির্বাচন উপকমিটি প্রস্তাবিত ২০২৫-২০২৬ সালের ৪১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি ও সাত সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের নাম ঘোষণা করা হয়।
নতুন কার্যকরী কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন রেজাউল করিম রেজা। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক হিসেবে গোলাম মোস্তফা (ভিপি) , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শাহজাহান কবির প্রিন্স এবং অর্থ সম্পাদক হিসেবে মাসুদ রানা নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন:ঠাকুরগাঁওয়ে বিশেষ অভিযানে সোহেল রানা (৩৩) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
সদর থানা পুলিশ পৌর শহরের গোবিন্দনগরের বিসিক এলাকা থেকে সোমবার ভোররাতে তাকে আটক করে।
পুলিশের দাবি, ওই যুবকের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃত সোহেল রানা ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহমানপুর ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুৎ বাজারে ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে কর্মরত।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি বিশেষ টিম বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কক্ষের বিছানার নিচ থেকে বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুর রহমান বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, তার বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে তার স্বয়ং কক্ষের বিছানার নিচে একটি অস্ত্র পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে এটি বিদেশি পিস্তল মনে হয়েছে।
‘একজনকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এদিকে যুবকের আটক হওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
ঠাকুরগাঁও পুলিশের অভিযানের বিষয় তুলে ধরে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার (এসপি) শেখ জাহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, আটক যুবকের নামে অস্ত্র আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তার কাছ থেকে পাওয়া বন্দুকে কোনো গুলি ছিল না।
প্রাথমিকভাবে আসামি কোনো স্বীকারোক্তি দিয়েছেন কি না কিংবা তার নামে আগে কোনো মামলা আছে কি না জানতে চাইলে এসপি আরও বলেন, ‘তদন্ত শেষে পুরো বিষয়টি আবারও জানানো হবে। তবে আগের কোনো মামলা তার বিরুদ্ধে নেই।’
আরও পড়ুন:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে রবিবার, যা চলবে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সকাল ৯টায় শুরু হয়ে মোট পাঁচ শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরের দিন সোমবার প্রথম চার শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
তৃতীয় দিন মঙ্গলবার প্রথম দুই শিফটে ‘ই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শিফটে ছাত্রীদের এবং দ্বিতীয় শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন তৃতীয় শিফট থেকে পঞ্চম শিফট পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটের ছাত্রীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়াও বুধবার পাঁচ শিফটে ‘এ’ ইউনিটের ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর বৃহস্পতিবার ছয় শিফটে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রথম তিন শিফটে ছাত্রীদের এবং পরবর্তী তিন শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিন সোমবার প্রথম শিফটে ‘সি১’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং পরের তিন শিফটে ‘বি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে প্রথম দুই শিফটে ছাত্রী এবং তৃতীয় শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে ভর্তি পরীক্ষা শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম।
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে ভর্তি পরীক্ষা শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটি ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।’
সার্বিক নিরাপত্তা দিতে প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে রোভার স্কাউট সদস্য, সার্বিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় ১৫০ জন পোশাকধারী সশস্ত্র ও সাদা পোশাকধারী পুলিশ ফোর্স এবং অতিরিক্ত ৬০ জন আনসার সদস্য ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করবেন।
ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বিভিন্ন ভবনে ১২০ জন বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্য শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক (ডেইরি গেট), জয় বাংলা ফটক (প্রান্তিক গেট) ও বিশমাইল ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) চালু রাখা হয়েছে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে রাতে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামের অভিযানে গাজীপুরে শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সমর্থক সন্দেহে ৪০ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী জাবের সাদেক জানান, অভিযান পরিচালনা শেষে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে।
জেলায় শুক্রবার রাতে শিক্ষার্থী ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সহিংস হামলার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়।
মন্তব্য