একসময় সাত-আটটি দেশীয় কোম্পানি সিরাপ, ভিটামিন, মিকশ্চার, টনিকসহ কম গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ বানাত। স্থানীয় কোম্পানিগুলোয় ছিল না আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয় দক্ষ ফার্মাসিস্ট, কেমিস্ট, বায়ো-কেমিস্ট ও মাইক্রোবায়োলজিস্ট।
অন্যদিকে স্বাধীনতার আগে-পরে দেশে ওষুধের বাজার প্রায় পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করত কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানি। নানা অজুহাতে প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম তারা বাড়াতেই থাকত, যা কেনার সামর্থ্য হতো না সংখ্যাগরিষ্ঠের।
ওষুধ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ওষুধের জন্য বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হয়েছে বিশ্বের দিকে। মুদ্রার রিজার্ভ না থাকার অজুহাতে ইউরোপ-আমেরিকার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশকে ওষুধ দেয়নি। বাধ্য হয়ে বঙ্গবন্ধুকে পূর্ব ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরির সঙ্গে বিনিময় চুক্তি করে পাট ও অন্যান্য পণ্যের বিনিময়ে দেশে ওষুধ আনতে হয়েছে।
পাঁচ দশকের ব্যবধানে এ চিত্র পুরোটাই পাল্টে গেছে। বিদেশনির্ভরতা কাটিয়ে বাংলাদেশ এখন ওষুধ রপ্তানিকারী দেশ।
বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির (বিএপিআই) তথ্য মতে, বর্তমানে দেশে ওষুধ উৎপাদনের জন্য নিবন্ধিত কোম্পানি ২৮৪টি। এর মধ্যে সার্বক্ষণিক উৎপাদনে রয়েছে ২১৪টি। উৎপাদিত ওষুধের ৮০ শতাংশ জেনেরিক এবং ২০ শতাংশ পেটেন্টেড। সংখ্যার হিসেবে জেনেরিক ওষুধের উৎপাদন ৩০ হাজারের বেশি। আর ১২ হাজারের বেশি আয়ুর্বেদিক, ইউনানি ও হারবাল ওষুধ তৈরি হচ্ছে দেশে।
শুধু তা-ই নয়, একসময় যে ইউরোপ-আমেরিকা বাংলাদেশকে ওষুধ দেয়নি, এখন সেই দেশগুলো ছাড়াও বিশ্বের ১৫৩টি দেশকে তিন শতাধিক জীবনরক্ষাকারী ওষুধ সরবরাহ করছে বাংলাদেশ।
স্থানীয় ওষুধের বাজারও বড় হয়েছে। ৭ কোটি থেকে এখন ১৭ কোটি মানুষের ওষুধের বাজার এটি। স্থানীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো উচ্চ প্রযুক্তির ওষুধ তৈরিসহ স্থানীয় বাজারের ৯৮ শতাংশ চাহিদা পূরণ করছে। আমদানি হচ্ছে উচ্চ প্রযুক্তির মাত্র ২ শতাংশ ওষুধ।
১৯৭২ সালে ওষুধের অভ্যন্তরীণ বাজার ছিল ১০০ কোটি টাকার কম। তখন ৯০ শতাংশ ওষুধ ছিল আমদানি করা। স্থানীয় ওষুধশিল্পের ক্রমবিকাশের ফলে ২০১২ সালে ওষুধের বাজার বেড়ে হয় ৯ হাজার কোটি টাকার। ২০১৯ সালে তা ২৫ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায়। আর ২০২১ সালের হিসাবে অভ্যন্তরীণ বাজার দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকায়।
বাংলাদেশ ওষুধশিল্প মালিকদের সমিতি (বিএপিআই) মহাসচিব ও হাডসন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম শফিউজ্জামান বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। তবে আমরা মনে করি, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অর্জন ও গর্বের ধন হলো ওষুধশিল্পের অভাবনীয় বিকাশ।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ মজিদ বলেন, ‘একসময় ওষুধে অভাবগ্রস্ত বাংলাদেশ এখন বিশ্বকে ওষুধ দেয়। ওষুধের জন্য বিশ্ব এখন বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকে– এটি ভাবলেই মনে গর্ব হয়। আসলেই অধিক মূল্য সংযোজনকারী ওষুধশিল্প আমাদের গর্বের বিষয়।’
দেশের প্রায় সব ওষুধ কোম্পানির রয়েছে জিএমপি (খাদ্য ও স্বাস্থ্যপণ্যের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক বিশ্বস্বীকৃত মান) স্বীকৃতি। স্থানীয় ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর ভান্ডারে ইতোমধ্যে যুক্ত হয়েছে ইউএসএফডিএ, ইউকে এমএইচআরএ, ইইউ জিএমপি, হেলথ কানাডা, টিজিএ অস্ট্রেলিয়া, অ্যানভিসা ব্রাজিল, জিসিসি স্বীকৃতি।
ধারাবাহিক উন্নতির স্তরে দেশে ওষুধশিল্প এখন জেনেরিক ফর্মুলেশন ডেভেলপমেন্টে তার উচ্চতর গবেষণা অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যেই বিশেষায়িত, উচ্চপ্রযুক্তির ফর্মুলেশনগুলোর সফল বিকাশের মাধ্যমে দেশ তার দক্ষতা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
নেতৃস্থানীয় কোম্পানিগুলো ওষুধ তৈরিতে স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে বিশেষ ডোজ ডেলিভারি সিস্টেমের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা সফলভাবে মিটারড ডোজ ইনহেলার, ড্রাই পাউডার ইনহেলার, লাইওফিলাইজড ইনজেক্টেবল, জীবাণুমুক্ত চক্ষুবিদ্যা, প্রিফিলড সিরিঞ্জ, ওরাল থিন ফিল্ম, মাল্টি-লেয়ার ট্যাবলেট ও জৈবিক পণ্য তৈরি করছে। ইনসুলিন, ভ্যাকসিন ইত্যাদিসহ হাইটেক ওষুধও তৈরি হচ্ছে দেশে।
দেশে ওষুধশিল্পে সাফল্যের চিত্র উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিক্ষা ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর ২০২১ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞানবিষয়ক প্রতিবেদনেও।
ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের তৈরি ওষুধের পরিমাণ ও গুণগত মানের উন্নতির অকুণ্ঠ প্রশংসা করা হয়েছে।
ওষুধশিল্পের বিকাশ যেভাবে হলো
বিশিষ্ট ফার্মাসিস্ট ও কেমিস্ট ড. এম এ মজিদ জানান, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের স্থানীয় ওষুধ কারখানাগুলো এত রুগ্ণ ছিল যে তারা চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ ওষুধ তৈরি করত। ১৯৮১ পর্যন্ত চিত্রটি এ রকমই ছিল। দেশে ওষুধশিল্প বিকাশের এই ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে ১৯৮২ সালে প্রণীত জাতীয় ওষুধনীতি, যেটির আনুষ্ঠানিক নাম ‘দ্য ড্রাগ কন্ট্রোল অর্ডিন্যান্স ও ড্রাগ পলিসি’।
ড. এম এ মজিদ বলেন, ‘জাতীয় ওষুধনীতির বাস্তবায়নে ওষুধ নিয়ন্ত্রণ আইন জারি হওয়ার পর নতুন নীতি ও আইনে যে বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়, তখন থেকেই দেশে বিদেশি কোম্পানিগুলোর একচেটিয়া প্রভাব কমতে থাকে। এতে তাদের মুনাফায় ধারাবাহিক ভাটা পড়তে থাকে এবং এক এক করে তারা কারখানা বিক্রি করে চলে যেতে থাকে। এ তালিকায় সবশেষ যুক্ত হয় গ্ল্যাকসো স্মিথক্লাইন ও সানোফি-এভেনটিস।
এর ফলে দেশীয় কোম্পানিগুলো ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করতে থাকে এবং সব ধরনের ওষুধের স্থানীয় উৎপাদন ব্যাপক বৃদ্ধি পেতে থাকে। এতে অতি জরুরি ওষুধের সরবরাহ বৃদ্ধি পায় এবং মানহীন ওষুধ তৈরির প্রবণতাও কমে যায়। ওষুধের দাম নির্ধারণের আইন করা হয়, রেজিস্ট্রেশনবিহীন ওষুধ প্রেসক্রিপশন বন্ধ করা হয়।
দেশে ওষুধ বিশেষজ্ঞ তৈরির লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৪ সাল থেকে ফার্মাসি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা চালু হয়। ফার্মাসিস্টের পেশাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি ও নিয়ন্ত্রণ শুরু হয় ১৯৭৬ সালে ফার্মাসি অর্ডিন্যান্স জারির মাধ্যমে। তবে গড়ে ওঠা এ দক্ষ জনবলকে স্বাস্থ্যসেবার কোনো সেক্টরে কাজের সুযোগ দেয়া হতো না। ফলে গ্র্যাজুয়েশন শেষে সবাই বিদেশমুখী হতেন, যা ছিল দেশের জন্য আরেক অপূরণীয় ক্ষতি।
ড. এম এ মজিদ আরও জানান, বর্তমানে দেশে ওষুধের উৎপাদন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, বাজার সম্প্রসারণ ও বিকাশে দক্ষ পেশাজীবীদের রয়েছে বিরাট অবদান। এর সূচনা ঘটেছিল ১৯৮২ সালের নতুন ওষুধ নিয়ন্ত্রণ আইনে ওষুধশিল্পে ফার্মাসিস্ট নিয়োগের বাধ্যবাধকতা জারির মাধ্যমে। এরপর ফার্মাসিস্ট ও কেমিস্টদের দেশেও লোভনীয় কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়।
বিএপিআই মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামানও একই সুরে বলেন, ‘১৯৮২ সালের ওষুধনীতির পর থেকেই ওষুধশিল্প ক্রমে বড় হচ্ছে।’
একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান সিনহা বলেন, ‘১৯৮২ সালের জাতীয় ওষুধনীতি আমরা না পেলে স্থানীয় ওষুধশিল্পের এত প্রসার ঘটানো হয়তো সম্ভব হতো না। এখনও আমাদের বহুজাতিক কোম্পানির দ্বারস্থ হয়েই থাকতে হতো।’
সিনহা আরও বলেন, দেশে ওষুধশিল্পের বিকাশে সরকার যে সহযোগিতা করেছে, তার সবশেষ বড় ক্ষেত্র হচ্ছে উদ্যোক্তাদের জন্য পৃথক এপিআই পার্ক করে দেয়া। এ ছাড়া নানা রকম কর সুবিধার মাধ্যমেও সরকার উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:এপনিক ফাউন্ডেশনের আইএসআইএফ এশিয়া প্রোগ্রামের মর্যাদাপূর্ণ অনুদান অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা খাতে এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে টিম ফিনিক্স গ্রুপ। এই অনুদানের সহায়তায় সংস্থাটি বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা খাতকে রূপান্তরিত করার এক অগ্রণী উদ্যোগ ‘সিকিউরনেট বিডি’ (SecureNet BD) চালু করতে যাচ্ছে।
এই প্রকল্পের আওতায় দেশে প্রথমবারের মতো গড়ে উঠবে সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার অব এক্সিলেন্স (CCoE) এবং কমিউনিটি-নির্ভর সিকিউরিটি অপারেশনস সেন্টার (SOC) / কম্পিউটার সিকিউরিটি ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (CSIRT), যা হবে দেশের ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বাংলাদেশে দ্রুত ডিজিটাল রূপান্তরের সঙ্গে সঙ্গে সাইবার হামলা এবং অনলাইন নিরাপত্তা হুমকির সংখ্যা ও জটিলতা অভূতপূর্ব হারে বাড়ছে। বিশেষত বড় শহরের বাইরে থাকা প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং কমিউনিটিগুলোতে নিরাপত্তা অবকাঠামো বা প্রশিক্ষণের সুযোগ সীমিত। এই প্রেক্ষাপটে সিকিউরনেট বিডি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহযোগিতামূলক এবং কমিউনিটি-চালিত সাইবার নিরাপত্তার ব্যবস্থা গড়ে তুলবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশব্যাপী ১,০০০ এরও বেশি ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যার মধ্যে নারীদের অংশগ্রহণ কমপক্ষে ৩০% নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া তৈরি হবে আধুনিক সাইবার রেঞ্জ (Cyber Range), যা হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, স্থানীয় গবেষণা এবং বাস্তব সাইবার প্রতিরক্ষা অনুশীলনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। প্রকল্পের অংশ হিসেবে চালু হবে ফেলোশিপ ও মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম, যা ভবিষ্যতের সাইবার নিরাপত্তা নেতৃত্ব গড়ে তুলবে। পাশাপাশি কমিউনিটি এসওসি/সিএসআইআরটি একাডেমিক প্রতিষ্ঠান, অলাভজনক সংস্থা এবং স্থানীয় সংগঠনগুলোকে সাইবার হুমকি মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
টিম ফিনিক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ অব রিসার্চ এ. এস. এম. শামীম রেজা বলেন, “এই প্রকল্প শুধু প্রযুক্তি নিয়ে নয়, বরং মানুষের ক্ষমতায়নের গল্প। বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ ও কমিউনিটি-চালিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সিকিউরনেট বিডি সাইবার নিরাপত্তাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং বাংলাদেশের বাস্তবতার সঙ্গে খাপ সামঞ্জস্যপূর্ণ করবে। আমাদের লক্ষ্য, ভবিষ্যৎমুখী কর্মশক্তি তৈরি করা এবং বাংলাদেশকে আঞ্চলিক সাইবার উদ্ভাবনের কেন্দ্রে রূপান্তর করা।”
সিকিউরনেট বিডি–এর এই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও প্রগতিশীল উদ্যোগ বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং দেশটিকে দক্ষিণ এশিয়ায় কমিউনিটি-চালিত সাইবার নিরাপত্তার নেতৃত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার দপ্তরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন, নেপালে ১১টি জুট মিল রয়েছে। নেপালের জুট মিলগুলো তাদের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ থেকে কাঁচাপাট আমদানির ওপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে কাঁচাপাট রপ্তানি বন্ধ করায় মিলগুলো কিছুটা সমস্যায় পড়েছে। এ সময় তিনি বাংলাদেশ থেকে কাঁচাপাট রপ্তানির অনুমতি শিথিল করার আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে বাংলাদেশের পাটপণ্য ও কাঁচাপাটের চাহিদা রয়েছে। কাঁচাপাট রপ্তানি না করে বাংলাদেশ সেমি-ফিনিশড (আধা-প্রক্রিয়াজাত) পাটপণ্য রপ্তানি করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ উচ্চমানের ও পরিবেশবান্ধব সেমি-ফিনিশড পাটপণ্য উৎপাদন করছে। নেপাল এই পণ্যগুলো আমদানি করলে দুই দেশের বাণিজ্য ভলিউম বাড়বে এবং উভয় দেশই লাভবান হবে।
চীনা কোম্পানি অক্টোবর ৪১২৮ (বিডি) লিমিটেড চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে অবস্থিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে উচ্চ মানসম্পন্ন গার্মেন্ট উৎপাদনকারী একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে ১৯.৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।
এ লক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেপজা কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এবং অক্টোবর ৪১২৮ (বিডি) লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেনের উপস্থিতিতে বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. আশরাফুল কবীর এবং অক্টোবর ৪১২৮ (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল আহসান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বেপজার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এই প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক ৩০ লাখ পিস স্কি, স্নো স্পোর্টস, হান্টিং ও মোটর রাইডার গিয়ার, ইনসুলেটেড শীতকালীন কোট, ডাউন জ্যাকেট ও প্যান্ট, রেইন গিয়ার, ওয়ার্কওয়্যার, রানিংওয়্যার, ইয়োগাওয়্যার, এবং ওয়াটার স্পোর্টসওয়্যার তৈরি করবে।
প্রতিষ্ঠানটিতে ২ হাজার ৭৮৮ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলকে বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে বেছে নেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে ধন্যবাদ জানান এবং সুষ্ঠু ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিশ্চিত করতে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অক্টোবর ৪১২৮ (বিডি) লিমিটেডসহ এ পর্যন্ত মোট ৪৯টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যাদের মোট প্রস্তাবিত বিনিয়োগ প্রায় ১.০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৬টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে উৎপাদন শুরু করেছে। ক্রমাগত উন্নয়ন ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কারণে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য হয়ে উঠেছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেপজার সদস্য (প্রকৌশল) আবদুল্লাহ আল মামুন, সদস্য (অর্থ) আ ন ম ফয়জুল হক, বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক, নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) এ.এস.এম. আনোয়ার পারভেজ এবং অক্টোবর ৪১২৮ (বিডি) লিমিটেডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈশ্বিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তা, মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত ও বিনিয়োগে ধীরগতির প্রবণতার মধ্যেও বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে নিট এফডিআই প্রবাহ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংস্থাটির মতে, এই প্রবৃদ্ধি প্রমাণ করে বিদেশি কোম্পানিগুলোর আস্থা বাংলাদেশের বাজারে বাড়ছে এবং তারা ব্যবসা সম্প্রসারণে আরও বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে কার্যরত লাভজনক বিদেশি কোম্পানিগুলো তাদের মুনাফার একটি বড় অংশ পুনরায় বিনিয়োগ করছে। পুনঃবিনিয়োগের পরিমাণও গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু মুনাফা স্থানান্তর করছে না, বরং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা দেখেই নতুন বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে।
বিশ্বব্যাপী নতুন মূলধনের (গ্রিনফিল্ড এফডিআই) প্রবাহ কমলেও বাংলাদেশে এ খাতে রেকর্ড হয়েছে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। পাশাপাশি বিদেশি মূল কোম্পানিগুলোর স্থানীয় ইউনিটগুলোতে অর্থায়ন বা ইন্টার-কোম্পানি ঋণের হার এক বছরে বেড়েছে ২২৯ শতাংশ।
শুধু ছয় মাস নয়, পুরো অর্থবছরের চিত্রও আশাব্যঞ্জক। জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৫ অর্থবছরে নিট এফডিআই প্রবাহ আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ১৯ শতাংশেরও বেশি।
এদিকে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে দেশের পাঁচটি বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থা- বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ) ও বিসিকের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোম্পানির মোট ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রস্তাবিত বিনিয়োগ। এর মধ্যে ৬৫ কোটি ডলারেরও বেশি এসেছে সরাসরি বিদেশি কোম্পানির পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার, ২০২৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। আর ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসেই এ বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলারে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও এই প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ পরিবেশের প্রতি বিদেশিদের আস্থার প্রতিফলন। তাদের মতে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ আগামী বছরগুলোতে আরও বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি কমেছে ২০ শতাংশ। আর গত চার মাসে এই পতনের হার প্রায় ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়া নতুন শুল্ক কাঠামোর পুরোপুরি প্রভাব পড়েছে সেপ্টেম্বর মাসে। এই শুল্কের মধ্যে রয়েছে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধে ভারতের অস্বীকৃতির কারণে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ জরিমানা।
দিল্লিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) সহ-প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, শুল্ক বৃদ্ধির পর যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাজারে পরিণত হয়েছে।
জিটিআরআইয়ের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, শ্রমনির্ভর খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্র, রত্ন ও গয়না, প্রকৌশলজাত পণ্য এবং রাসায়নিক খাত সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে। এসব খাতে রফতানি আয় ব্যাপকভাবে কমে গেছে।
মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ছিল ৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। সেপ্টেম্বর নাগাদ তা নেমে আসে ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পায়। পর পর চার মাস ধরে রপ্তানি কমতে থাকায় ভারতের বাণিজ্য ঘাটতিও বেড়েছে। সেপ্টেম্বরে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার, যা গত ১৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি কিছুটা ভারসাম্য রক্ষা করেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দীর্ঘ বিরতির পর গত মাসে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনা আবার শুরু হয়। চলমান আলোচনার লক্ষ্য আগামী মাসের মধ্যে একটি প্রাথমিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করা। একটি ভারতীয় প্রতিনিধি দল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছে।
বুধবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে। ওয়াশিংটন মনে করছে, এর মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ক্রেমলিনের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানো সম্ভব হবে।
তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা বাড়াতে আলোচনা চলছে। বর্তমান মার্কিন প্রশাসন এই সহযোগিতা গভীর করতে আগ্রহ দেখিয়েছে।
অবশ্য কৃষি ও দুগ্ধ খাতের বাজার প্রবেশাধিকার নিয়ে এখনও বড় ধরনের মতপার্থক্য রয়ে গেছে। বহু বছর ধরে ওয়াশিংটন ভারতের কৃষি খাতকে সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে দেখছে। কিন্তু নয়াদিল্লি খাদ্যনিরাপত্তা, কৃষকের জীবিকা ও অভ্যন্তরীণ বাজার রক্ষার কারণ দেখিয়ে এই খাতকে রক্ষা করে আসছে।
কিছু দিন আগেও যুক্তরাষ্ট্রই ছিল ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। ২০২৪ সালে দুই দেশের পারস্পরিক বাণিজ্য দাঁড়িয়েছিল ১৯০ বিলিয়ন ডলারে। ট্রাম্প ও মোদি দুজনই এই অঙ্ক ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক শুল্কযুদ্ধ সেই লক্ষ্যকে এখন গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
সর্বস্তরের জনগণকে ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে শরীয়াহ্ ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’র রয়েছে বিভিন্ন মেয়াদি আকর্ষণীয় বিশেষ আমানত প্রকল্প। পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন ব্যাংকের যে কোন একটি আমানত প্রকল্প বেছে নেওয়ার জন্য ১৭৪ টি শাখা ও উপশাখায় আপনাকে স্বাগতম।
দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি ‘ইন্টিগ্রিটি ও এথিকস প্র্যাকটিস ইন ব্যাংকিং’ শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালার আয়োজন করে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে লার্নিং অ্যান্ড ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে (LTDC) এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় ।
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ আবু জাফর, এবং অনুষ্ঠানে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদান করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান ডাঃ আরিফুর রহমান। তিনি টেকসই ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সততা ও নৈতিকতার গুরুত্বের ওপর বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।
কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিল ব্যাংকিং কার্যক্রমের প্রতিটি স্তরে নৈতিক মান, স্বচ্ছতা এবং উত্তম শাসননীতি প্রচার ও বাস্তবায়ন করা। প্রধান কার্যালয় এবং বিভিন্ন শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে দৈনন্দিন ব্যাংকিং কার্যক্রমে সততা ও নৈতিক মূল্যবোধ বজায় রাখার বাস্তবসম্মত দিকগুলো আলোচিত হয়।
প্রযুক্তিগত অধিবেশনগুলো পরিচালনা করেন দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি স্বতন্ত্র পরিচালক এম. নুরুল আলম, এফসিএস, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর যুগ্ম পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান খান, যুগ্ন পরিচালক, এবং বাংলালিংকের কমপ্লায়েন্স ডিরেক্টর মোহাম্মদ আদিল হোসেন, সিসিইপি। তাঁরা ব্যাংকিং খাতে নৈতিক সংস্কৃতি শক্তিশালীকরণ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিধি মেনে চলা এবং দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণ বিষয়ে মূল্যবান মতামত ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
মন্তব্য