বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ শাহ আলম ও রুহিন হোসেন প্রিন্স।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সিপিবির দ্বাদশ কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে ৪৩ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন হয়।
দলের বিধান অনুযায়ী নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সভায় শুক্রবার পার্টির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে নির্বাচন করা হয়।
এর মধ্যে সহকারী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মিহির ঘোষ। নির্বাচিত তিন প্রেসিডিয়াম সদস্য হলো শামছুজ্জামান সেলিম, এ এন রাশেদা ও শাহীন রহমান।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বাকি পদগুলোতে নির্বাচন করা হবে পার্টির পরবর্তী সভায়।’
সিপিবির দ্বাদশ কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় কমিটির সর্বোচ্চ সদস্য হবে ৪৯ জন। তাদের মধ্য থেকে কংগ্রেসে ৪৩ জন নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেই কোনো কৃষক-মজদুর
বাকি ছয়টি সদস্যপদ পরে কো-অপ্ট করে পূরণ করা হবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে কংগ্রেসে গোপন ব্যালটে প্রতিনিধিদের ভোটে ৪৩ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন করা হয়।
আরও পড়ুন:জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের লোডশেডিংসহ নানা ইস্যুতে সরকারবিরোধীদের রাজপথে একের পর এক কর্মসূচির মধ্যে এবার মাঠে নামছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
আগস্টে শোকের কর্মসূচি ছাড়া রাজনৈতিক কর্মসূচি সচরাচর পালন না করলেও একই দিনে দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়নে জমায়েত করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল। উপলক্ষ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে একযোগে বোমা হামলার প্রতিবাদ।
বুধবার সারা দেশে এই বিক্ষোভে নেতা-কর্মীদের সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ফাইল ছবি
কেন্দ্রীয়ভাবে বিকেল ৪টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল বের করবে দলটি। মৎস্য ভবন-কদম ফোয়ারা-প্রেস ক্লাব ও জিরোপয়েন্ট হয়ে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হবে সেটি।
এতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেবেন।
আওয়ামী লীগের এই কর্মসূচি দৃশ্যত রাজপথে সংগঠনকে সক্রিয় করার পদক্ষেপ।
লোডশেডিং, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা ইস্যুতে বিএনপি ও সমমনারা যখন একের পর এক বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে, সে সময় নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে রাজপথে নামার তাগিদ দিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গত ১১ আগস্ট এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এই কর্মসূচি নিয়ে বলেন, ‘এভাবে চলতে পারে না। আমরা রাজপথ থেকে ক্ষমতায় এসেছি। তারা যেভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে আমরা রাজপথ ভুলে গেছি। আমরাও আছি, অচিরেই রাজপথে দেখতে পাবেন।’
বিকেল ৩টা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দিতে নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিক্ষোভ কর্মসূচিতে থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদেরও অংশ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।’
দলের একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, এই বিক্ষোভ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যত মাঠে শক্তি প্রদর্শনের জন্য নামছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা গরম বক্তব্য দিচ্ছেন, হুমকি-ধমকিও দিচ্ছেন। একাধিক কর্মসূচি নিয়ে রাজপথেও নেমেছে। পাশপাশি অন্যান্য বিরোধী দলগুলোও রাজপথে সরকারবিরোধী কর্মসূচি পালন করছে। আওয়ামী লীগ এসবের জবাব দিতে চায়।’
কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ নিউজ বাংলাকে বলেন, ‘প্রতি বছর আওয়ামী লীগ এ কর্মসূচি পালন করে থাকে। তবে এবার এ কর্মসূচি যথাযথভাবে পালন করার জন্য সাংগঠনিক ইউনিটগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে ২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের মশাল মিছিল। ফাইল ছবি
‘দল থেকে দেশব্যাপী জেলা, মহানগর, উপজেলা পর্যায়ে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শোকের মাসে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে না। কিন্তু অনেকের হুমকি-ধমকি অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। তাই আমরা আগস্ট শেষে রাজপথে নামব। আর আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচি গুরুত্ব দিয়ে পালনের জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অন্ত:বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌছেছেন ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরাম ও নতুন রাজনৈতিক দল এবি পার্টি।
কোন জোট হচ্ছে না বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুটি দল। তবে যুগপৎ আন্দোলন করবে দুটি দল। মঙ্গলবার বিকালে গণফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয় এক বৈঠক করে দুটি দল।
গণফোরাম দলটিতে এখনো নেতৃত্বে রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনে যুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধারা। আর জামায়াত থেকে বের হয়ে মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করার কথা বলেছেন এবি পার্টির নেতারা।
তবে এবি পার্টির সঙ্গে কোন জোট হচ্ছে না বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ। তিনি বলেন, ‘আমরা উনাদের বলেছি, আমরা কারও সঙ্গেই জোট করতে চাচ্ছি না। আপনাদের সঙ্গে জোট করবো না। তবে আমরা যুগপৎ আন্দোলন করতে পারি। উনারা আমাদের বলেছেন, আমরা মিটিং করে আপনাদের জানাবো। যার একটি লিয়াজো কমিটি থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তো বিএনপিকেও বলেছি, আমরা এই মূহুর্তে কোন জোটে যাব না।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াত ইসলামী থেকে বেরিয়ে এবি পার্টির হয়েছে। তা ছাড়া দুই ধরনের দুটি রাজনেতিক দলের বৈঠক নিয়ে আবু সাইয়িদ বলেন, ‘আমরা এবি পার্টির গঠনতন্ত্র দেখলাম। দলটির নেতাদের সঙ্গে পরিচিত হলাম। জামায়াতের বিষয়ে তাদের বক্তব্য হলো- আমরা জামায়াত থেকে বেরিয়ে এসে এবি পার্টি করেছি। জামায়াত জাতির কাছে ক্ষমা চায় নি বলেই আমরা নতুন দল করেছি। আমাদের মনে হয়েছে, এদেশকে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদেরও আছে।’
বৈঠকে গণফোরামের ওই অংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন- ‘দুর্নীতিবাজ লুটেরা সরকার জনতার নিরাপত্তায় একেবারেই উদাসীন। দীর্ঘদিন ধরে পুরান ঢাকার মানুষের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে কেমিক্যাল, প্লাস্টিক ও দাহ্য পদার্থের গোডাউন সরানোর কোন উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নেয়নি। যখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে জনগণের চোখে ধুলো দিয়ে তৎপরতা দেখায় কিন্তু আসলে এটা ধোঁকা। আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি মানুষের নুন্যতম নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে কিভাবে উন্নয়নের নামে রাজধানীতে মরনফাঁদ করে রেখেছে। এই মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের তত্ত্বাবধায়নে। নুন্যতম দায়িত্ববোধ থাকলে পদত্যাগ করতেন। জনগণের প্রতি তাদের যে দায়িত্ববোধের কথা বলেন তা আসলে কুমীরের মায়ের কান্না।’
এবি পার্টির আহবায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন- ‘আমরা চাই মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যাতে হয় সেই লক্ষ্যে আমরা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছি এবং গণফোরামের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে সেটা গতিশীল ও কার্যকর হবে। অধিকার বঞ্চিত মানুষের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।’
বৈঠকে গণফোরামের নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ, মহসিন রশিদ, মহিউদ্দিন আবদুল কাদেরসহ, সভাপতি পরিষদ সদস্য- আব্দুল হাসিব চৌধুরী, খান সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু।
এবি পার্টির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম-সদস্য সচিব ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিষ্টার জুবায়ের আহমদ ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক বিএম নাজমুল হক প্রমুখ।
আরও পড়ুন:বর্তমান সময়কে ক্রান্তিকাল হিসেবে দেখছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপি ও জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। তাদের দাবি, স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে দেশে বর্তমানের মতো এত কঠিন সময় আর আসেনি।
বিদ্যুৎ খাতে বিপর্যয় এবং জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন সাদা দলের নেতারা।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি সেটি জাতির একটি ক্রান্তিলগ্ন। স্বাধীনতার পর এ রকম ক্রান্তিলগ্ন এ দেশের মানুষ দেখেনি। আমরা জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবেকবান শিক্ষকরা এখানে দাঁড়িয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতের এই বিপর্যয় একদিনে ঘটেনি। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ খাতের অব্যবস্থাপনা, চুরি-ডাকাতি এবং রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের নামে টাকা-পয়সা যে পাচার করা হয়েছে কিংবা দিয়ে দেয়া হয়েছে, তারই সমন্বিত প্রভাব আজকের এই বিদ্যুৎ খাতের বিপর্যয়। জনগণের পিঠ আজ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সরকারের উচিত দায়িত্বশীল আচরণ করে এই দুর্ভোগ কমানো।’
সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বে যখন জ্বালানি তেলের দাম কমছে, তখন আত্মঘাতী একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশে দাম বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতেও বিপর্যয় ঘটেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে জনগণের অবস্থা নাভিশ্বাস। ডিমের দামও বেড়ে গেছে। সরকার জনগণকে নিয়ে খেলতামাশা লাগিয়ে রেখেছে, ছিনিমিনি খেলছে। কারণ তারা জানে জনগণের ভোট তাদের লাগে না।’
বিরোধীদের আন্দোলনে বাধা না দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘এসব কথা মুখে মধু রেখে অন্তরে বিষ রাখার মতো।
‘ভোলায় মিছিল হয়েছে, ছাত্রদলের সভাপতি মারা গেছে, তাদের মধু খাওয়াইছে নাকি বিষ খাওয়াইছে সেটা হচ্ছে দেখার বিষয়। সুতরাং আন্দোলন করলে কিছু করা হবে না, এ সমস্ত ভণ্ড কথা বাদ দেয়া উচিত।’
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ সাদা দলের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি ও অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এমরান কাইয়ুম, আব্দুস সালামও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন:জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কমিটি গঠন করে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে এক দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান। খালেদা জিয়ার ৭৮তম জন্মদিন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দেশে ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে অত্যাচার-নির্যাতন করে ক্ষমতায় বসে আছে সরকার। এ কথাগুলো আমরা বার বার বলে আসছি।
‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ইতিহাস হলো গণতন্ত্রের ইতিহাস। তিনি সারাটা জীবন গণতন্ত্র রক্ষা, পুনরুদ্ধার ও চর্চায় ব্যয় করেছেন। খালেদা জিয়া একটি প্রতিষ্ঠান। দেশের মানুষকে মুক্ত করতে তিনি লড়াই করে চলেছেন। গণতন্ত্রের জন্যই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকার মিথ্যা মামলায় তাকে কারান্তরীণ করে রেখেছে।
‘আমাদের নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জোর করে ক্ষমতায় থাকা এই অবৈধ সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর তুলনা করতে হবে। নির্যাতন, হত্যা, গুম করে অনির্বাচিত এই সরকার দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করেছে।
‘সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই, জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। তারপরও এই সরকার সহজে যাবে না। সবাই মিলে তাদেরকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি প্রথম দাবি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারকে পদত্যাগ করে, সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।’
মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ।
আরও পড়ুন:অব্যবস্থাপনায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের। সোমবার বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার চাপায় পাঁচ ও চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে ছয়জনের মৃত্যুতে মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
শোকবার্তায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।
জি এম কাদের বলেন, ‘এমন মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। ভারী ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা সংরক্ষিত থাকার কথা। কার অবহেলায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানটি সংরক্ষণ করা হয়নি, তা খতিয়ে দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
‘জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যেন অব্যবস্থাপনার স্বর্গরাজ্য। মনে হচ্ছে, জরিপে অব্যবস্থাপনায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশ। প্রতিদিনই অবহেলা আর অব্যবস্থাপনায় অসংখ্য মায়ের কোল খালি হবে- এটাই যেন স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দুর্ঘটনা এখন দৈনন্দিন ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তা সড়কপথে হোক, নৌপথে হোক কিংবা শিল্প-কারখানায় হোক বা যেকোনো জনসমাগমস্থলেই হোক। এভাবে চলতে দেয়া যায় না। দুটি দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।’
কোনো দায়মুক্তি নয়, দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
রাজধানীর চকবাজারের কামালবাগ এলাকার একটি চারতলা ভবনে আগুনের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ছয়জন। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রায় আড়াই ঘণ্টা কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। ভবনটির নিচতলার হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এমনটা জানালেও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য মেলেনি৷ পাঁচ সদস্যের কমিটি তদন্ত করে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে নিশ্চিত হবে।
তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রাথমিক তদন্তে বরিশাল হোটেল থেকেই যে আগুনের সূত্রপাত- এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন একাধিক সংস্থার কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহত হন। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
দুই বছর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে তদন্ত কমিশন গঠনের কথা জানিয়েছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দুই বছর পরে এসে সে হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ‘অচিরেই’ কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। সে লক্ষ্যে একটি রূপরেখাও প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার ‘সম্প্রীতির পথে সাফল্যের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা জানান আইনমন্ত্রী। সভা আয়োজন করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা কমিশনের রূপরেখা তৈরি করেছি। ২০১৯ সালে যখন প্ল্যান করলাম, তখন করোনার আক্রমণ শুরু হলো। এটার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যা ওতপ্রোতভাবে জড়িত৷ এ ক্ষেত্রে তার আদেশ শিরোধার্য। তিনি হয়তো পরিমার্জন করবেন, সে জন্য এর আগে আমি এটি জনসমক্ষে আনতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করবে, তাকে হত্যা করা হবে, এটা কেউ ভাবতেও পারেনি। যারা ঘরের পাহারায় ছিল, তারাই বেইমানি করেছে। সে কারণেই তারা ঘরে ঢুকতে পেরেছে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যদি কোনো আন্দোলন হতো, অপজিশন পার্টি থেকে, তাহলেও মানা যেত। ফলে এটাকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলা যাবে না। এটা ষড়যন্ত্রমূলক হত্যাকাণ্ড।’
বঙ্গবন্ধু হত্যা পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে আনিসুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু এটা অবিচ্ছেদ্য। যারা তাকে হত্যা করেছে, তারা বুঝতে পেরেছিল, যে ব্যর্থ রাষ্ট্র তারা করতে চেয়েছে, তার পরিবারের এক ফোঁটা রক্ত থাকলে সেটা তারা করতে পারবে না। এ থেকেই বোঝা যায়, এটি পূর্বপরিকল্পিত, ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা।’
বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন বলে অনেক আগে থেকেই দাবি করে আসছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
এমনকি দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে বক্তব্য দিয়েছেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও সে বিষয়টি সামনে এনেছেন।
জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান তো শুরুই করেছিলেন শাহ আইজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে। তিনি ছিলেন রাজাকার নাম্বার ওয়ান। এ ছাড়া তার মন্ত্রিসভার অনেকেই আইয়ুব খানের মন্ত্রী ছিলেন। এই গোষ্ঠীর ধারাটা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যেই জিয়াউর রহমান দেশ শাসন শুরু করেছিলেন।’
আলোচনা সভায় বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক চেয়রাম্যানের কাছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার লোকজনের অভিযোগ করা নিয়েও বক্তব্য দেন। বলেন, দেশে এখনও বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক চেয়ারম্যানের কাছে কিছু মানবাধিকারকর্মী বলেছে বাংলাদেশ নাকি পুলিশ স্টেট। অথচ এরা টক শোতে যায়, তারা অসভ্য ল্যাংগুয়েজ পর্যন্ত ব্যবহার করে। আমরা বাধা দিই না। এটাই বাকস্বাধীনতা। এটাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা।’
আলোচনায় বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের ঘটনায় তদন্ত কমিটি দাবি করেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক।
তিনি বলেন, ‘আমরা আত্মতৃপ্তির জন্য বলে থাকি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা কী তাই? বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের ঘটনায় অত্যন্ত শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। অনেক শক্তিশালী লোকের নাম চলে আসবে তদন্তে। খেয়াল রাখতে হবে এমন কমিটি গঠন করতে হবে, যারা চোখ রাঙানোকে উপেক্ষা করতে পারবে।’
বিগত বিএনপি, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় বঙ্গবন্ধু হত্যার অনেক তথ্য গায়েব করে দিয়েছে বলে দাবি করেন এই বিচারপতি। বলেন, ‘এগুলো তো খুঁজে বের করা চাট্টিখানি কথা নয়। সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল তা নয়, তার আদর্শকেও হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল।’
সভায় রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা একটি গণহত্যার শামিল। এই হত্যাকাণ্ড তো হঠাৎ করে ঘটেনি। এর একটি বিশাল প্রেক্ষাপট ছিল। সেই গোষ্ঠী এখনও এ দেশে রাজনীতি করছে, এখনও সজাগ রয়েছে। পাকিস্তানিরা বলেছিল, একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ তারা নেবেন। সে রূপরেখা ধরেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে।’
সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব এ কে এম আতিকুর রহমান সভার সভাপতিত্ব করেন, সঞ্চালনা করেন বরেণ্য নাট্য অভিনেতা ও সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন:জীবন দিয়ে হলেও শেখ হাসিনা সরকার হটাবেন বলে জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। নাটোরে কর্মী হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত এক মিছিলে তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেখানে আইজিপিসহ সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেখানে তাদের সরিয়ে না দিয়ে তাদের বেতন, গ্রেড ও সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। প্রশাসনের নির্ভরতায় শেখ হাসিনা টিকে আছেন। শেখ হাসিনা রাজনীতি ও প্রশাসনে এই দুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়েছেন। বাংলাদেশকে একটি মাফিয়া সাম্রাজ্যে পরিণত করেছেন।
‘আমরা রাস্তায় নেমেছি। তাই জীবন দিয়ে হলেও শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করব। যদি জীবন দিতে হয়, গুম হতে হয়, তাহলে হব।'
নুর বলেন, ‘হত্যার প্রতিবাদের নিউজ সাংবাদিকরা করছেন না। সেটি করা নাকি অফিস থেকে নিষিদ্ধ। মিডিয়া কি তাহলে পরীমনি আর ভংচং কভার করবে? তারা যা তৈরি করে দেবে, সেটাই জনগণকে খাওয়াতে চাচ্ছে। এ কারণে আজ মিডিয়া শুধু বঙ্গবন্ধুর আলোচনা নিয়ে আছে। এটি ভালো। এটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা যে ছয় শতাধিক মানুষকে গুম করেছেন, সেটি নিয়ে আলোচনা নেই। আজকে শেখ হাসিনাকে খুশি রাখার জন্য সবাই চাটুকারিতায় ব্যস্ত।'
নুর আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার উন্নয়ন আজ মানুষ মারার উন্নয়ন। গতকাল পাঁচজন গার্ডারের নিচে পড়ে মারা গিয়েছে। কোনো ঘটনা ঘটলে মন্ত্রীরা বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। এখানেই শেষ। এটি নিয়ে আর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। দেশে আইনপ্রণেতারা আজ আইন মানেন না।'
প্রতীকী লাশের এ মিছিলে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, ফারুক হাসান, তারেক রহমান, মাহফুজুর রহমান, মশিউর রহমান ও যুব অধিকার পরিষদের নেতারা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য