× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Hows the 200 year old Woodburn Library?
google_news print-icon

কেমন চলছে পৌনে ২০০ বছরের উডবার্ন লাইব্রেরি

কেমন-চলছে-পৌনে-২০০-বছরের-উডবার্ন-লাইব্রেরি
উডবার্ন লাইব্রেরিতে বই পড়ছেন নানা বয়সী মানুষ। ছবি: নিউজবাংলা
পাঠাগারের কর্মকর্তারা জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি এ গ্রন্থাগারের রেজিস্টারভুক্ত বই রয়েছে ৪৮ হাজার ৩৯২টি। এর মধ্যে বাংলা বই রয়েছে ৪৪ হাজার ৪৫টি। ইংরেজি ৪ হাজার ২৭০টি এবং অন্যান্য আরও ৭৭টি বই রয়েছে পাঠাগারে।

ছোট থেকেই বই পড়তে ভালোবাসেন বগুড়ার খান্দার এলাকার বাসিন্দা জিয়াউল হক। নিজের সংগ্রহেও রয়েছে কয়েক শ বই। তবু ৬৭ বছর বয়সেও উডবার্ন সরকারি গ্রন্থাগারে নিয়মিত আসা-যাওয়া করছেন এই পাঠক। এখানকার সদস্যও তিনি।

জিয়াউল হক বলেন, ‘বগুড়ার উডবার্ন লাইব্রেরি অনেক পুরোনো, ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধশালী পাঠাগার। এখানে ভ্রমণ ও পাখিবিষয়ক বইগুলো বেশি পড়ছি। একটা সময়ে আমার চাচাতো ভাইরাও এসেছেন। তাদের দেখে আমিও পাঠাগারমুখী হয়েছি।’

শুধু জিয়াউল হক নয়। পৌনে ২০০ বছরের পুরোনো উডবার্ন সরকারি লাইব্রেরি থেকে বই পড়ে আলোকিত বগুড়ার অসংখ্য মানুষ।

প্রায় সাড়ে ৪৮ হাজার বই ও পত্রিকা নিয়ে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য এই লাইব্রেরি বিদ্যাচর্চার জন্য অবারিত স্থান। প্রতি মাসে গড়ে দেড় হাজার পাঠক নিয়মিত এই সেবা নিয়ে আসছেন।

সরকারি আজিজুল হক কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী অমৃত কুমার মণ্ডল। তার বাড়ি নওগাঁর পত্নীতলায়। বগুড়ার সাতমাথা এলাকায় মেসে থাকেন। চাকরির জন্য পড়াশোনা করছেন।

তিনি বলেন, ‘উডবার্ন লাইব্রেরির পরিবেশ খুব সুন্দর। এখানে এসে অনেক উপকৃত হই। কারণ এখানে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মূলত অ্যাকাডেমিক পড়ালেখা করি। পাশাপাশি এখানে কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। সেখানেও টাইপের চর্চা করতে পারি, যা দোকানে ব্যয়বহুল।’

আজিজুল হক কলেজের আরেক সাবেক শিক্ষার্থী লিপি আক্তার প্রতিদিন আসেন শেরপুর উপজেলা রানীরহাট এলাকা থেকে। তিনিও চাকরিপ্রত্যাশী হিসেবে গ্রন্থাগারের নিয়মিত পাঠক।

লিপি জানান, বাড়িতে পড়ালেখার তেমন পরিবেশ পাওয়া যায় না। এখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়া যায়। এ জন্য উডবার্ন সরকারি গ্রন্থাগারে আসা।

চাকরিপ্রত্যাশীদের বাইরে বিনোদনের জন্য বই পড়ার মতো পাঠক আগের থেকে কিছুটা কমেছে। এর কারণ হিসেবে বেশির ভাগই কিশোর-তরুণদের মোবাইলে বা ইন্টারনেটের প্রতি আগ্রহকে দায়ী করছেন পাঠক ও গ্রন্থাগারের কর্মকর্তারা।

জিয়াউল হক বলেন, ‘এখনকার ছেলেমেয়েরা বই পড়ার প্রতি উদাসীন। তারা মোবাইল, ল্যাপটপ নিয়েই ব্যস্ত থাকে। এ বিষয়ে সরকারকে আরও সচেতন হওয়া উচিত। যাতে তরুণরা বইয়ের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে।’

এর মাঝেও অনেক শিক্ষার্থীকে দেখা যায় প্রাতিষ্ঠানিক সিলেবাসের বাইরের বই পড়তে। গ্রন্থাগারে পাওয়া যায় এমন এক শিক্ষার্থীকে। নাম আশিক রহমান। তিনি বগুড়া সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রায় সাত মাস ধরে এই গ্রন্থাগারে আসছেন তিনি।

আশিক জানান, তার এক শিক্ষকের কাছ থেকে এই উডবার্ন গ্রন্থাগারের খোঁজ পান। এর পর থেকে আসা-যাওয়া শুরু। এখানে বিভিন্ন উপন্যাস ও ছোটগল্প পড়েন তিনি।

কেমন চলছে পৌনে ২০০ বছরের উডবার্ন লাইব্রেরি
৩০০ বছরের পুরোনো তিনটি পাণ্ডুলিপি। ছবি: নিউজবাংলা

কী রয়েছে

পাঠাগারের কর্মকর্তারা জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি এ গ্রন্থাগারের রেজিস্টারভুক্ত বই রয়েছে ৪৮ হাজার ৩৯২টি। এর মধ্যে বাংলা বই রয়েছে ৪৪ হাজার ৪৫টি। ইংরেজি ৪ হাজার ২৭০টি এবং অন্যান্য আরও ৭৭টি বই রয়েছে পাঠাগারে।

এ ছাড়া দৈনিক বাংলা পত্রিকা ১০টি ও দৈনিক ইংরেজি একটি, বাংলা সাময়িকী আটটি, ইংরেজি সাময়িকী একটি নিয়মিত কেনা হয়।

এখানে প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো তিনটি পাণ্ডুলিপি রয়েছে। সেগুলো হলো পদ্মপুরান, গোবিন্দকথামৃত ও হিরণ্যকশিপুর। এগুলো কার মাধ্যমে এখানে এসেছে তার সঠিক তথ্য নেই।

পাঠক কেমন

জানুয়ারিতে ১ হাজার ৫৬০ জন পাঠাগারে বই ও পত্রিকা পড়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ পাঠক ১ হাজার ৩৫৮ জন। আর নারী পাঠক ১৭৪ জন।

ফেব্রুয়ারিতে পাঠকের এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৩৭। এর মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ১৩৯, নারী ৩৬২ ও শিশু ৩৬।

ধারে বা বই ইস্যু নেয়ার সদস্য রয়েছেন ৩৩১ জন, যারা নিয়মিত বই বাসায় নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন।

কী বলছেন লাইব্রেরির কর্মকর্তারা

উডবার্ন সরকারি গ্রন্থাগারের সহকারী লাইব্রেরিয়ান আমির হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে যে কয়েকটি প্রাচীন লাইব্রেরি রয়েছে, তার মধ্যে উডবার্ন অন্যতম। প্রায় দেড় শ বছরের বেশি এই লাইব্রেরিতে অনেক পুরোনো ও রেফারেন্স বই এবং কিছু পাণ্ডুলিপি রয়েছে।

‘এমন প্রাচীন সংগ্রহ সাধারণত অন্য লাইব্রেরিতে নেই। এসব বইয়ের মাধ্যমে প্রতিদিন অসংখ্য পাঠক সেবা নিচ্ছেন। পাঠকের উপস্থিতি আগের চেয়ে ভালো। গবেষক, শিক্ষার্থী ও কবি-সাহিত্যিক এখানে সেবা নিয়ে থাকেন।’

আমির হোসেন আরও বলেন, ‘এই পাঠকসেবা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে আগামীতে দেশব্যাপী লাইব্রেরিগুলোকে ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের ৭১টি জেলা ও উপজেলার লাইব্রেরি ডিজিটাল করা হবে।’

শুরু যেভাবে

বগুড়া শহরের কেন্দ্রবিন্দু এলাকার এডওয়ার্ড পৌর পার্কের পশ্চিম পাশে অবস্থিত উডবার্ন সরকারি গ্রন্থাগার। ২০০০ সালে ৪০ শতক জমির ওপর স্থাপন করা হয়েছে চারতলা ভবনের এই গ্রন্থাগার। তবে এটি একটি আধুনিক গ্রন্থাগার। এটির জন্মের ইতিহাস আরও পুরোনো।

লাইব্রেরির ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যে জানা গেছে, পুরাতন উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি ১৮৫৪ সালে জেলার খ্যাতনামা ব্যক্তিদের প্রচেষ্টা ও সহায়তায় রয়েল উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপন করেন।

প্রতিষ্ঠার কয়েক বছর পর বগুড়ার নবাব সৈয়দ আবদুস সোবহান চৌধুরী লাইব্রেরির জন্য একটি নতুন ভবন নির্মাণ করেন। ১৯০৮ সালে জে এন গুপ্ত জেলা কালেক্টর সে সময়ের বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর জন উডবার্নের নাম অনুসারে এই লাইব্রেরির নামকরণ করেন উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি।

কেমন চলছে পৌনে ২০০ বছরের উডবার্ন লাইব্রেরি
উডবার্ন লাইব্রেরির প্রধান ফটক। ছবি: নিউজবাংলা

যেসব কবি-সাহিত্যিক এসেছিলেন

ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ১৯৪৭ সালে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর বড় ভাই শরৎচন্দ্র বসু, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, কবি কিরণ শংকর দাসের মতো ব্যক্তিরা এসেছিলেন এই লাইব্রেরিতে।

সরকারীকরণ যেভাবে

সময়ের বিবর্তনে উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরির অবস্থা শোচনীয় হয়। পরে পাঠাগারটি সরকারীকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ১৯৮৪ সালে স্থাপিত বগুড়া জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সঙ্গে একীভূত করা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ওই সময় পাঠাগারটি সে সময় ছিল শহরের শিববাটি এলাকায়।

১৯৯৬ সালের জুনে একটি আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সবার সিদ্ধান্তে এই লাইব্রেরিকে সরকারি গ্রন্থাগার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর পর থেকে এটির নাম হয় উডবার্ন সরকারি গ্রন্থাগার।

পরে পার্কের পশ্চিমে নির্ধারিত স্থানে নির্মাণ হয় ভবন। ২০০৪ সাল থেকে এই গ্রন্থাগার পুরোদমে চালু হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন উডবার্ন সরকারি গ্রন্থাগারের লাইব্রেরি অ্যাসিসট্যান্ট আনিসুল হক। প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি গ্রন্থাগারে কর্মরত।

আনিসুল হক বলেন, ‘১৯৯৫-৯৬ সালের দিকে এসে পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এই পাবলিক লাইব্রেরির অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। তখন ওই লাইব্রেরি ছিল পৌর পার্কের ভেতর। তাদের অনেক বই, আলমারি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। পরে এটি সরকারীকরণ হওয়ার পর আমরা পুরোনো লাইব্রেরির বইগুলো নিয়ে আসি।’

লাইব্রেরি অ্যাসিসট্যান্ট আরও বলেন, ‘সে সময় অন্তত সাড়ে ৮ হাজার বই নতুন গ্রন্থাগারে আনা হয়। কিন্তু তাদের তালিকায় প্রায় ২৫ হাজার বই ছিল। যেগুলোর মধ্যে অনেক বই নিখোঁজ ছিল। এ ছাড়া প্রচুর বই একেবারে নষ্ট হয়ে যায়।’

সংকট

বিপুল বইয়ের সমাহারে সমৃদ্ধশালী এই লাইব্রেরিতে রয়েছে জনবল সংকট। উডবার্ন সরকারি গ্রন্থাগারে পদ রয়েছে ৯টি। এর বিপরীতে লাইব্রেরিতে কর্মরত তিনজন। সহকারী লাইব্রেরিয়ান, লাইব্রেরি অ্যাসিসট্যান্ট ও নৈশপ্রহরী।

সম্প্রতি রিডিং হল অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে লুৎফর রহমান নামে একজন এখানে কর্মরত। তবে তিনি সংযুক্তিতে এখানে কাজ করছেন। তার মূল কর্মস্থল রাজশাহীতে। আর আউটসোর্সিং হিসেবে বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন রিপন মিয়া।

জ্যেষ্ঠ লাইব্রেরিয়ান, কম্পিউটার অপারেটর, টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট, বুকসর্টার, অফিস সহায়ক, চেকপোস্ট অ্যাসিসট্যান্ট পদ দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা রয়েছে।

লাইব্রেরি অ্যাসিসট্যান্ট বলেন, ‘উডবার্ন সরকারি গ্রন্থাগার হওয়া থেকেই এখানে জনবল সংকট রয়েছে। ওই পদের কাজগুলো আমরাই করে থাকি।’

সহকারী লাইব্রেরিয়ান আমির হোসেন বলেন, ‘প্রাচীন লাইব্রেরি হলেও এখানে পাঠকসেবা ঠিকমতো দেয়া যায় না। কারণ এখানে ৯টি পদের বিপরীতে তিনজন ব্যক্তি আছি। প্রায় সাড়ে ৩০০ সদস্য ও বিপুল বই থাকায় এই তিনজন নিয়ে পাঠকদের সেবা দেয়া কষ্টকর। এখানে জনবল বাড়ালে আমরা পাঠকদের আরও বেশি সেবা দিতে পারব।’

আরও পড়ুন:
১০০ সেলুনে লাইব্রেরি
ঐতিহাসিক পাঠাগারে আছে কেবল সাইনবোর্ড

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Hafiz Ibrahims financial assistance to the victims under the influence of low pressure in Borhanuddin

বোরহানউদ্দিনে নিম্নচাপের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের হাফিজ ইব্রাহিমের আর্থিক সহায়তা

বোরহানউদ্দিনে নিম্নচাপের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের হাফিজ ইব্রাহিমের আর্থিক সহায়তা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ টবগী ও হাসাননগরের পানিবন্দী পরিবারকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাফরুজা সুলতানার দিক-নির্দেশনায় শুক্রবার ( ৩০ মে ) বিকেল ৪ টায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে হাসাননগরের পুরান হাকিমুদ্দিন বাজার ও টবগী ৪নং ওয়ার্ডে পানিবন্দী এলাকা ও ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক সরোয়ার আলম খাঁন ও যুগ্ন আহ্বায়ক শহীদুল আলম নাসিম কাজী।

এসময় তারা টবগী ও হাসাননগর ইউনিয়নে নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ একশত পরিবারের মাঝে হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন শেষে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক সরোয়ার আলম খাঁন ও যুগ্ন আহ্বায়ক কাজী মো: শহীদুল আলম নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে বোরহানউদ্দিনের মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় নদী তীরবর্তী শতাধিক বাড়িঘর ডুবে যায়। এছাড়া হাকিমুদ্দিন থেকে কাজীরহাটে যে বেড়িবাঁধ রয়েছে সে বেড়িবাঁধের দুটি জায়গায় ছিদ্র হয়ে পড়ায় লোকালয়ে পানি ডুকে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্কেকের সৃষ্টি হয়। পরে আমাদের টবগী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সোহেল হাওলাদার, টবগী ইউনিয়ন যুবদল সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হাওলাদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম শেজোয়াল সহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা বেড়িবাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করে দুটি পয়েন্টে মাটি দিয়ে ভরাট করে। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে একশত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছি। পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আরো সহায়তা করা হবে। তারা বলেন, অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এই বেড়িবাধটি পুনঃসংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন না করলে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগে বোরহানউদ্দিন উপজেলা হুমকির মুখে পড়বে। তাই সংশ্লিষ্টদের কাছে আমাদের আহ্বান এই বেড়িবাঁধটি অতিদ্রুত পুনঃসংস্কার করা হোক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আলমগীর মাতাব্বর, হাসাননগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল হাওলাদার, টবগী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির পাটোয়ারী, সমাজ সেবক সোহেল হাওলাদার, টবগী ইউনিয়ন যুবদল সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হাওলাদার, হাসাননগর যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক হান্নান সর্দার, টবগী যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম শেফজল, পৌর যুবদল যুগ্ন আহ্বায়ক সুমন পঞ্চায়েত, বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক তানজিল হাওলাদার, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন টিপু প্রমূখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The low pressure has crossed the coast

নিম্নচাপটি উপকূল অতিক্রম করেছে

নিম্নচাপটি উপকূল অতিক্রম করেছে ছবি: সংগৃহীত

সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রমরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিম্নচাপটি বর্তমানে সাতক্ষীরা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

অমাবস্যা ও গভীর নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১ থেকে ৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে আজ সন্ধ্যা ৭ টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও কক্সবাজার জেলাসমূহের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসাথে ভারী বর্ষণজনিত কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।

এছাড়া অভ্যন্তরীণ নদী বন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, পাবনা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দর সমূহকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In Pirojpur 5 candidates got a job in the police at Tk 120

পিরোজপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ১৫ জন প্রার্থী

পিরোজপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ১৫ জন প্রার্থী

মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পিরোজপুরে মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন ১৫ জন প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার পিরোজপুর জেলা পুলিশ লাইনস ড্রিল সেডে জেলা পুলিশ সুপার ও টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের, পুলিশ কনস্টবল রিক্রুটমেন্ট-২০২৫ এর ফলাফল ঘোষণা করেন।

এতে পুলিশ কনস্টেবল পদে ১৫ জন চাকরির সুযোগ পেয়েছেন।
এ সময় ফলাফলে নিজেদের নাম শুনে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন ঘোষিত ও ভবিষ্যৎ পুলিশ কনস্টেবল ও তাদের অভিভাবকরা। কোনো ধরনের ঘুষ, সুপারিশ ও হয়রানি ছাড়াই ১২০ টাকায় চাকরি পেয়ে জেলা পুলিশ সুপারসহ নিয়োগ কমিটির সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
নিয়োগপ্রাপ্তদের ফুল দিয়ে ও মিষ্টিমুখ করিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় টাকা-পয়সা ছাড়া যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

পিরোজপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ১৫ জন প্রার্থী

পিরোজপুর পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা ও কনস্টেবল এর নিয়োগপ্রাপ্ত মো: শিহাব উদ্দিন সিকদার বলেন, চাকরির আশায় প্রথমে অনলাইনে আবেদন করেছি। এরপর মাঠে এসে যাবতীয় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। শারীরিক, লিখিত, মৌখিক সবগুলো পরীক্ষায় ভালোভাবে উত্তীর্ণ হয়েছি, চাকরিও হয়ে গেছে। কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করিনি। আমার কাছে এ চাকরিটা এখনও স্বপ্নের মতো লাগছে।
মোঃ শিহাব উদ্দিনের আম্মা বলেন, মাত্র ১২০ টাকায় আবেদন করে আমার ছেলের চাকরি হয়েছে। কোনো ধরনের ঘুষ, সুপারিশ কিছুই লাগেনি। আমরা খুব খুশি হয়েছি।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) খান মুহাম্মদ আবু নাসের বলেন, নিয়োগপ্রাপ্তরা শতভাগ স্বচ্ছতা, দুর্নীতিমুক্ত ও ঘুষমুক্ত পরিবেশে উত্তীর্ণ হয়েছেন। সব মিলিয়ে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছে। এখানে কোনো প্রকার অবৈধ লেনদেন বা স্বজনপ্রীতি হয়নি।

এ সময় টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সম্মানিত সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বরগুনা সদর সার্কেল মোঃ আবদুল হালিম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরিশাল(গৌরনদী সার্কেল)মোসাঃ শারমিন সুলতানা রাখী সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।

মন্তব্য

নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলা থেকে সকল রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ

নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলা থেকে সকল রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলায় বুধবার মধ্যরাত থেকে বওয়া ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টির প্রভাবে ভোলা থেকে ঢাকা সহ অভ্যন্তরীন রুটের সকল যাত্রীবাহী লঞ্চ ও ফেরী চলাচল বন্ধ ঘোষনা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন বিআইডব্লিউটিসি।

ভোলা নদী বন্দর সূত্রে জানা যায়, সাগরে নিম্নচাপের কারণে সমুদ্রবন্দর এলাকায় ৩ নম্বর বিপদসংকেত দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় চরফ্যাশন বেতুয়া-ঢাকা, ভোলা-লক্ষ্মীপুর, ভোলা-আলেকজান্ডার, ভোলা-তজুমদ্দিন-মনপুরা, হাতিয়া মনপুরাসহ সকল রুটের নৌযান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

নিম্নচাপের প্রভাবে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী উত্তাল থাকায় বুধবার রাত থেকে ভোলার ইলিশা থেকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরী ঘাট ও ভোলার ভেদুরিয়া থেকে বরিশালের লাহার হাট ঘাটে কোনো ফেরি চলাচল করেনি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ দুইটি রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।

এদিকে ভোলার সব রুটে নৌযান ও ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। জরুরি প্রয়োজনে পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে গিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে অনেককে। এতে করে বেশি বিপাকে পড়েছে অসুস্থ রোগী ও তাদের স্বজনদের।

মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী উত্তাল থাকায় মাছ ধরার কোনো নৌকা ও ট্রলার নিয়ে জেলেদের নদীতে যেতে দেখা যায়নি। জেলে ও নৌকার মাঝিদের মাছঘাটে বসে লুডু খেলে ও পরিবারের সাথে সময় কাটাতে দেখা গেছে।

এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়া বিরাজমান থাকায় ভোলায় সকাল থেকেই ঝড়ো হাওয়ার সাথে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি আবার কখনো ভাড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। জোয়ারে স্বাভাবিক পানির চেয়ে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে আলিমুদ্দিন বাংলাবাজার, হাকিমুদ্দিন, খাঁসমহল, কাজীরহাট এলাকায় জোয়ারের পানিতে কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভোলার ২৫০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে জোয়ারের পানিতে ভোলার তজুমদ্দিনের নির্মাণাধীন রিং বেড়িবাঁধ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লে রাতে ব্লক ও জিও ব্যাগ দিয়ে সেটি সংস্কার করা হয়েছে। এখন মোটামুটি ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The young man lost control of the motorcycle

মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাণ গেল যুবকের প্রতীকী ছবি।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আরিফ মন্ডল (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত যুবক দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের পাকুড়িয়া ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের মুর্শিদ মন্ডলের ছেলে।

নিহতের পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, আরিফ মন্ডল আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে দ্রুতগতিতে কুষ্টিয়ার যাওয়ার পথে ডাংমড়কা এলাকায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত আরিফ মন্ডলকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. হোসেন ইমাম জানান, দূর্ঘটনায় আহত একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হওয়ার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা জানান, মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে একজন মোটরসাইকেল চালক গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করার পর সে মারা যায়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Warning signal at the port of rain at the shore of the shore

লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এলাকাগুলোতে গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে মাঝারী বৃষ্টি হচ্ছে।

লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে এবং উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৭ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় এ খবর জানানো হয়েছে।

সতর্কবার্তায় বার্তায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের কারণে উপকূলীয় এলাকা দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত মাছধরা ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে, লঘুচাপের কারণে আজ (বুধবার) ভোর থেকে পটুয়াখালিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনবির পটুয়াখালীর প্রতিনিধি।

তিনি আরও জানান, পটুয়াখালীর আকাশ আজ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসের চাপ না বাড়লেও অমাবশ্যার জোয়ারের প্রভাবে নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর ‍উত্তাল হয়েছে উঠেছে।

তাছাড়া, ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগে অন্তত পাঁচ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানায়, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে তা বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঢাকা বিভাগের পূর্বাঞ্চলসহ বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।

এর ফলে ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো কিংবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আজ (বুধবার) সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১–২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রাও সামান্য কমার আভাস দেওয়া হয়েছে।

পরের তিন দিন একই ধরনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে জানানো হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো কিংবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

দ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে, তবে পরের দুদিন প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

এছাড়াও পঞ্চম দিন রবিবারও বৃষ্টিপাতের পর এই প্রবণতা কমে ফের গরম বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
News of the Environmental Advisor to Sherpur is not right

শেরপুরে পরিবেশ উপদেষ্টার গাড়ি বহরে হামলার খবরটি সঠিক নয়

শেরপুরে পরিবেশ উপদেষ্টার গাড়ি বহরে হামলার খবরটি সঠিক নয়

শেরপুরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়ি বহরে হামলার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরটি সঠিক নয়।

সোমবার (২৬ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শেরপুরে পরিবেশ উপদেষ্টার গাড়ি বহরে হামলা বিষয়ে কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরটি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই খবরটি বিভ্রান্তিকর ও এটি সত্যনির্ভর নয়।’

এতে আরও বলা হয়, ‘উপদেষ্টা পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শেরপুরের নালিতাবাড়ীর দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরে মধুটিলা রেঞ্জে দীর্ঘমেয়াদি বাগান এলাকা পরিদর্শনের উদ্দেশে রওনা হন।

‘পরবর্তীতে তিনি মধুটিলাতে একটি জনসভা করেন। সেখানে তিনি হাতির আক্রমণে আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেন এবং হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব ও প্রাকৃতিক বন রক্ষার বিষয়ে মতবিনিময় করেন, যা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল।’

এসব অনুষ্ঠানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানানো হয়েছে। ‘এরপরে একটি স্থানে কয়েকজন সাংবাদিক ও কতিপয় ব্যক্তির মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে।’

তবে, এটি উপদেষ্টার সফরের সম্পর্কিত নয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

মন্তব্য

p
উপরে