গ্রাহকরাই বিমা শিল্পের প্রাণ। গ্রাহকের আস্থা অর্জনের মাধ্যমেই এ খাতের বিকাশ ঘটাতে হবে। বিমা সেবাকে একটি নির্ভরযোগ্য আর্থিক নিরাপত্তা বিধানের মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও নিষ্ঠা এবং পেশাদারির সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। গ্রাহকের বিমা দাবি যথাসময়ে পরিশোধ, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতিগুলো প্রতিপালন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও গ্রাহকবান্ধব সেবা প্রদানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে; সুশাসন নিশ্চিত হবে। দেশের অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান আরও বাড়বে।
১ মার্চ মঙ্গলবার জাতীয় বিমা দিবস উপলক্ষে নিউজবাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন দেশের প্রথম বেসরকারি জীবনবিমা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজিম উদ্দিন।
নিউজবাংলা: একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিমা খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। কিন্তু বাংলাদেশে তেমনটি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। জিডিপিতে এ খাতের অবদান ১ শতাংশেরও কম। দেশের বিমা খাতে এক ধরনের অস্থিরতা চলছে। এ খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে আপনার পরামর্শ কী?
কাজিম উদ্দিন: একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বিমা অন্যতম অনুষঙ্গ। মানুষের জীবন ও সম্পত্তি বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এসকল ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মতো জটিল কাজ আর্থিক খাতে একমাত্র বিমার মাধ্যমেই করা হয়ে থাকে। সমাজে বয়োবৃদ্ধদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিরসন এবং পেনশন বিমার মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও বিমা একটি কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে। তাই ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য নন-লাইফ (সাধারণ) বিমা এবং জীবনের ঝুঁকির জন্য জীবন বিমা ও স্বাস্থ্য বিমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের জনগণই বিমা শিল্পের প্রাণ। একমাত্র গ্রাহকের আস্থা অর্জনের মাধ্যমেই এ শিল্পের বিকাশ সম্ভব। তাই বিমা সেবাকে একটি নির্ভরযোগ্য আর্থিক নিরাপত্তা বিধানের মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও নিষ্ঠা এবং পেশাদারির সঙ্গে কাজ করতে হবে। গ্রাহকের বিমা দাবি যথাসময়ে অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতিগুলো অনুসরণ করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। গ্রাহক সেবা মান বাড়াতে হবে।
এ কথা ঠিক যে, আমাদের বিমা খাতে অস্থিরতা চলছে। এ খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে বিমা আইন-২০১০ বাস্তবায়নে আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে; নজরদারি বাড়াতে হবে। জাতীয় বিমানীতি-২০১৪ কে যুগোপযোগী করে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে বিমা দাবি পরিশোধের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যকরী পদক্ষেপ বিমা খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমি মনে করি। বিমা কোম্পানিগুলোকেও সময়মত বিমা দাবি পরিশোধ করতে হবে। গ্রাহক সেবার বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে।
নিউজবাংলা: দেশের জীবন বিমা খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ন্যাশনাল লাইফ। গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় কোন কোন বিষয়গুলোকে আপনারা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন?
কাজিম উদ্দিন: হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন, ন্যাশনাল লাইফ ১৯৮৫ সালের ২৩ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম বেসরকারি জীবন বিমা কোম্পানি। বেসরকারি খাতে প্রথম জীবন বিমা কোম্পানি হিসেবে আমরা আমাদের সফলতা ধারাবাহিকভাবে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় আমরা সময়মত বিমা দাবি পরিশোধকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি।
২০২০ সালে আমরা ১ লাখ ৮৮ হাজার গ্রাহককে ৭৯৯ কোটি টাকা দাবি পরিশোধ করেছি, যার প্রেক্ষিতে ১ হাজার ২০১ কোটি টাকা প্রিমিয়াম অর্জন করেছি। ২০২১ সালে ২ লাখ গ্রাহককে ৮৭২ কোটি টাকা দাবি পরিশোধ করি। ফলশ্রুতিতে ১ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা প্রিমিয়াম অর্জন করতে সক্ষম হই। বর্তমানে আমাদের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৫৭ লাখ। প্রিমিয়াম আয় ১৩ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা, লাইফ ফান্ড ৪ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা, বিনিয়োগ ৪ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা এবং মোট সম্পদ ৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকা।
নিউজবাংলা: বিমা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কোন কোন বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিৎ বলে আপনি মনে করেন?
কাজিম উদ্দিন: আমি মনে করি প্রতিষ্ঠানের উন্নতির প্রধান বাহক হচ্ছে দক্ষ কর্মী। আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে কর্মী/কর্মকর্তাদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী হিসেবে তৈরী করছি; যাতে তারা তাদের কর্মক্ষেত্রে পেশাদারিত্বের পরিচয়ের মাধ্যমে কোম্পানির স্বার্থ রক্ষা করতে পারে। বিমা শিল্পের প্রধান চালিকা শক্তি হচ্ছে গ্রাহক। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী ছাড়া কখনও গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করা সম্ভব না।
নিউজবাংলা: এবারের বিমা দিবসে আপনাদের পরিকল্পনা কী?
কাজিম উদ্দিন: সরকারিভাবে সারা দেশে ১ মার্চ বিমা দিবস পালিত হচ্ছে। আমরাও সরকারের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে বিমা দিবস পালন করছি। এছাড়া কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক মার্চ মাসে সেবা পক্ষ পালনসহ বিমা গ্রাহককে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান এবং বিমার প্রচার-প্রসারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পরিককল্পনা নিয়েছি।
নিউজবাংলা: অন্য জীবন বিমা কোম্পানির চেয়ে আপনার প্রতিষ্ঠান কেন এগিয়ে? কিভাবে পরিচালনা করেন?
কাজিম উদ্দিন: আমাদের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে কোম্পানির পরিচালক, বিমা গ্রাহক, শেয়ারহোল্ডার এবং কর্মকর্তা/কর্মচারীদের স্বার্থ রক্ষার মাধ্যমে কোম্পানিকে পরিচালনা করা। গ্রাহক সেবা এবং সময়মত বিমা দাবি পরিশোধে আমরা সবসময় তৎপর; সে কারণে জীবন বিমা খাতে ন্যাশানাল লাইফের প্রতি সবার আস্থা বিদ্যমান আছে। আমাদের কোম্পানি সবসময় সরকারের কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়ন করে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। একারণে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সটিটিউট অফ চাটার্ড সেক্রেটারিজ অফ বাংলাদেশ কর্তৃক ‘করপোরেট গভর্ননেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ অর্জন করেছে।
নিউজবাংলা: নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে আইডিআরএ যে সব উদ্যোগ নিচ্ছে তা বিমা খাতের জন্য কতটা সহায়ক বলে আপনি মনে করেন?
কাজিম উদ্দিন: আইডিআরএ বিমা খাতের উন্নয়নে নানামূখী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধু আশার আলো বিমা দাবি পরিশোধের প্রয়াস’, বিভিন্ন বিধি-প্রবিধানমালা প্রণয়নসহ আরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ সব উদ্যোগ বিমা খাতের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে আমি মনে করি। যে সকল কোম্পানি সময়মত বিমা দাবি পরিশোধ করছে না তাদের ব্যাপারে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সময়মত বিমা দাবি পরিশোধই বিমা খাতের ভাবমূর্তি উজ্জল করতে সহায়তা করবে।
নিউজবাংলা: আপনি কেন বিমা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হলেন? এই শিল্প নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
কাজিম উদ্দিন: বিমা একটি সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। একমাত্র বিমা শিল্পেই কেউ পরিশ্রম করে সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছতে পারে। আমি ন্যাশনাল লাইফের এন্ট্রি লেভেল থেকে কাজ শুরু করে আজ কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। বিমা শিল্প নিয়ে আমার পরিকল্পনা হচ্ছে এ শিল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা, জিডিপিতে বিমা শিল্পের অবদান বৃদ্ধি করা এবং সর্বোপরি দেশের জনগণকে বিমার আওতায় এনে আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
আমি মনে করি, টেকসই বিমা শিল্পের স্বার্থে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সচেতন হতে হবে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় বিমা সেবা পৌঁছে দিতে হবে। পাশাপাশি প্রচলিত বিপণন পদ্ধতিতে আধুনিকতার সমন্বয় ঘটাতে হবে। বাংলাদেশে বিমা খাতে যে অপার সম্ভাবনা রয়েছে তা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরো বেগবান হবে বলে আমি মনে করি।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য