× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Insurance Day is being celebrated amidst unrest
google_news print-icon

অস্থিরতার মধ্যেই পালিত হচ্ছে বিমা দিবস

অস্থিরতার-মধ্যেই-পালিত-হচ্ছে-বিমা-দিবস
বিমা দিবস উপলক্ষে সাজানো হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক। ছবি: নিউজবাংলা
২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ দিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে বিমা খাতকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতায় নিয়ে আসা হয়। তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নামে নিয়ন্ত্রক এই আইডিআরএ ১১ বছর ধরেই চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।

ব্যাংক, বিমা, পুঁজিবাজার—আর্থিক খাতের এই তিনটির মধ্যে বিমাই সবচেয়ে পিছিয়ে। জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) এ খাতের অবদান ১ শতাংশেরও কম। বিমা প্রিমিয়ামে মাথাপিছু ব্যয় মাত্র ৯ ডলার, যা সারা বিশ্বের নিম্নতম। যথাযথ নীতি প্রণয়নের অভাবে খাতটি থেকে ভালো কিছু বের করে আনতে পারছে না বাংলাদেশ।

বিমা অধিদপ্তর দিয়ে কাজ চলছিল না। ফলে এটিকে বিলুপ্ত করে ২০১১ সালে গঠন করা হলো বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থা- আইডিআরএ। কিন্তু এই আইডিআরএ দিয়ে এখন না হচ্ছে উন্নয়ন, না হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ।

২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ দিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে বিমা খাতকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতায় নিয়ে আসা হয়। তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নামে নিয়ন্ত্রক এই আইডিআরএ ১১ বছর ধরেই চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।

দিন যত যাচ্ছে, বিমা খাতে অস্থিরতা বাড়ছে। বেশ কয়েকটি জীবনবিমার অবস্থা খুবই খারাপ। ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্সে জটিলতা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে আবার আদালতে মামলা চলছে। নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে গত বছর ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হেমায়েত উল্লাহকে অপসারণ করেছে আইডিআরএ। পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে ১০ জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়। অন্য বিমা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধেও অভিযোগের শেষ নেই। স্বচ্ছতা-জবাবদিহির অভাব, গ্রাহকের বিমা দাবি যথাসময়ে পরিশোধে করা হয় না- এমন অভিযোগ হরহামেশাই করেন গ্রাহকরা।

অস্থিরতার মধ্যেই পালিত হচ্ছে বিমা দিবস
বিমা দিবস উপলক্ষে রাজধানীকে সাজানো হয়েছে নানা রঙে। ছবি: নিউজবাংলা

এমন পরিস্থিতিতে ১ মার্চ মঙ্গলবার পালিত হচ্ছে জাতীয় বিমা দিবস। ‘বিমায় সুরক্ষিত থাকলে, এগিয়ে যাব সবাই মিলে’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তৃতীয়বারের মতো পালিত হচ্ছে দিবসটি।

এ উপলক্ষে এবারও বিভিন্ন আয়োজন হাতে নিয়েছে সরকার এবং এ খাতের উদ্যোক্তারা।

দিবসটি উপলক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান এম মোশাররফ হোসেন, বিমা কোম্পানির মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেনসহ অন্যরা বক্তব্য দেবেন।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। বাণীতে টেকসই বিমা শিল্পের স্বার্থে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে গ্রাহকের বিমা দাবি যথাসময়ে পরিশোধ করতে বলেছেন তারা।

বিমা শিল্পের উন্নয়ন ও বিমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি সরকার জাতীয় বিমা দিবস প্রবর্তন করে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগ দেন। তার এ যোগদানের দিনটিকে জাতীয় পর্যায়ে স্মরণীয় করে রাখতে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে প্রতি বছর ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। ওই বছরের ১ মার্চ এটি প্রথম দিবস হিসেবে পালিত হয়।

রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো জাতীয় বিমা দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বীমা প্রতিষ্ঠান, গ্রাহকসাধারণসহ বিমা শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মুক্তিকামী মানুষকে সব ধরনের শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তি দিয়ে স্বনির্ভর ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে আজীবন অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। তার রাজনৈতিক জীবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত হয়েছে জেল-জুলুম সহ্য করে এবং কঠিন আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে। তিনি ১৯৬০ সালের ১ মার্চ আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে যোগদানের মাধ্যমে বিমাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। এ দিনটি স্মরণে প্রতি বছর ১ মার্চ জাতীয় বিমা দিবস পালন বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি বিমা শিল্পের উন্নয়নেও সহায়ক ভূমিকা রাখছে।’

‘একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বিমা অন্যতম অনুষঙ্গ। মানুষের জীবন ও সম্পত্তি বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এসব ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মতো জটিল কাজ আর্থিক খাতে একমাত্র বিমার মাধ্যমেই করা হয়ে থাকে। সমাজে বয়োবৃদ্ধদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিরসন এবং পেনশন বিমার মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও বিমা একটি কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করছে। তাই ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য নন-লাইফ বীমা এবং জীবনের ঝুঁকির জন্য জীবন বিমা ও স্বাস্থ্য বীমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

‘৩৫টি লাইফ ও ৪৬টি নন-লাইফ ইনস্যুরেন্সে মিলে দেশে বর্তমানে ৮১টি বিমা প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সাধারণ জনগণই বিমা শিল্পের প্রাণ। একমাত্র গ্রাহকের আস্থা অর্জনের মাধ্যমেই এ শিল্পের বিকাশ সম্ভব। তাই বিমা সেবাকে একটি নির্ভরযোগ্য আর্থিক নিরাপত্তা বিধানের মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো নিষ্ঠা এবং পেশাদারির সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। গ্রাহকের বিমা দাবি যথাসময়ে পরিশোধ, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতিগুলো প্রতিপালন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ ও গ্রাহকবান্ধব সেবা প্রদানে এগিয়ে আসতে আমি বিমা সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমি বাংলাদেশের বিমা শিল্পের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।’

‘আমি জাতীয় বিমা দিবস ২০২২ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচি সফল হোক- এ কামনা করছি।’

প্রধানমন্ত্রীর বাণী

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিমা পেশায় যোগদানের স্মৃতিবিজড়িত ১ মার্চ “জাতীয় বিমা দিবস” পালন হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এবারের বিমা দিবসের প্রতিপাদ্য “বিমায় সুরক্ষিত থাকলে, এগিয়ে যাব সবাই মিলে” যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় অর্থনীতিতে বিমার গুরুত্ব এবং এর অবদানের বিষয়টি বিবেচনা করে স্বাধীনতার পর বিমা শিল্পকে অধিকতর অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর সরকার ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স (জাতীয়করণ) আদেশ-১৯৭২ জারি করে ৪৯টি দেশি-বিদেশি বিমা কোম্পানিকে জাতীয়করণের মাধ্যমে সুরমা, রূপসা, তিস্তা এবং কর্ণফুলী নামক ৪টি বিমা করপোরেশন গঠন করেছিলেন। একই সঙ্গে এই চারটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে জাতীয় বিমা করপোরেশন গঠন করেন।

‘পরবর্তী সময়ে অল্প সময়ের মধ্যে দেশের বিমা শিল্পের উন্নয়নে “ইনস্যুরেন্স করপোরেশন আইন-১৯৭৩” প্রণয়ন করে এই ৪টি করপোরেশনকে ভেঙে জীবন বিমা করপোরেশন এবং সাধারণ বিমা করপোরেশন নামে দুটি পৃথক বিমা করপোরেশন গঠন করেন। এ দুটি করপোরেশন এখনও দেশে বিমা ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে দেশের জনগণকে বিমা সেবা দিয়ে আসছে। বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিমা অধিদপ্তর গঠন করেন।’

‘বিমা শিল্পের উন্নয়নের জাতির পিতার দেখানো পথ অনুসরণ করে ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার বিমার গুরুত্ব ও সুফল জনগণের নিকট পৌঁছানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্কারমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। পুরাতন বিমা আইন-১৯৩৮ কে রহিত করে সময়োপযোগী বিমা আইন-২০১০ এবং বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন-২০১০ প্রণয়ন পূর্বক তৎকালীন বীমা অধিদপ্তরকে বিলুপ্ত করে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়। জাতীয় বিমা নীতি-২০১৪ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিমা খাতের বিকাশে আমাদের সরকার যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’

‘বিদেশগামী বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য প্রবাসী কর্মী বিমা, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি মোকাবিলায় হাওড় এলাকায় সীমিত পরিসরে আবহাওয়া সূচক ভিত্তিক শস্য বিমা চালু করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বীমা গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে State-of-the-art technology সম্পন্ন Unified Messaging Platform (UMP) পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো বৃহৎ প্রকল্পগুলোর বিমা ঝুঁকি আবরণ ও পুনর্বিমা করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাধারণ বিমা কর্পোরেশন বিশেষ অবদান রাখার পাশাপাশি বিমা প্রসার এবং বিমা শিল্পে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করছে।’

‘টেকসই অর্থনীতিতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য বিমা জরুরি। বর্তমানে উন্নত দেশসমূহে মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিমা ব্যবস্থাকেই বেছে নিয়েছে। ২০২১ সালে বিশ্বে বিমা খাতে মোট প্রিমিয়াম আয়ের পরিমাণ ছিল ৬.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে এখাতে ২০২১ সালে বাংলাদেশে মোট প্রিমিয়াম আয় ছিল ১.৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৮ হতে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রিমিয়াম আয় ১৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও বাংলাদেশে বিমা পেনিট্রেশন মাত্র ০.৫৬ শতাংশ। বিমার পেনিট্রেশন বৃদ্ধিতে গ্রাহকগণের প্রতি বিমা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিশ্রুতির যথাযথ পরিপালন আবশ্যিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে। গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুযায়ী উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে বিমা পণ্য বাজারজাত করতে হবে। সরকারি ভাতা সহায়তা বা ভর্তুকির চেয়ে মানুষের জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি বা আপদকালীন সময়ে বিমা অধিক কার্যকর বিকল্প হতে পারে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘টেকসই বিমা শিল্পের স্বার্থে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিমা প্রতিষ্ঠানসমূহকে আরো সচেতন হতে হবে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় বিমা সেবা পৌঁছে দিতে হবে। পাশাপাশি প্রচলিত বিপণন পদ্ধতিতে আধুনিকতার সমন্বয় ঘটাতে হবে। সর্বোপরি বীমার যে অপার সম্ভাবনা রয়েছে তা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরো বেগবান হবে বলে আমি আশা করি।’

‘জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে তার স্মৃতি বিজড়িত আজকের এই দিনে বিমার শুভবার্তা দেশের সকল নাগরিকের নিকট পৌছে যাক, দেশের সকল মানুষ এবং সম্পদ বিমা সেবার আওতায় আসুক- এই প্রত্যাশায় আমি জাতীয় বিমা দিবস ২০২২-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।’

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি শেখ কবির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিমা দেশের একটি সম্ভাবনাময় ও গুরুত্বপর্ণ আর্থিক খাত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার পর দেশীয় বিমা শিল্প সৃষ্টি হয় এবং বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ন্যাশনালাইজেশন অর্ডার ১৯৭২, দ্য ইনস্যুরেন্স কো-অপারেশন অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর মতো বিমা সংশ্লিষ্ট মৌলিক আইন প্রণীত হয়।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। তার সঙ্গে তালমিলিয়ে বিমা খাতও এগিয়ে চলেছে। তবে এটা ঠিক যে, এ খাতে কিছু অস্থিরতা আছে; সমস্যা আছে। আমরা সে সব থেকে কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। সামনের দিনগুলোতে বিমা খাতে সুশাসন ও শৃংখলা ফিরে আসবে বলে আমি আশা করছি।’

বীমা দিবসে শপথ করি, উন্নত দেশ গড়ি’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২০২০ সালের ১ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হয় জাতীয় বীমা দিবস। ২০২১ সালে দ্বিতীয়বারের মতো উদযাপিত জাতীয় বীমা দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল- ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, বীমা হোক সবার’।

দেশে বর্তমানে ৩৩টি জীবনবিমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে ৩০টি বেসরকারি, ২টি বিদেশি এবং ১টি রাষ্ট্রায়ত্ত-জীবন বিমা করপোরেশন। অন্যদিকে ৪৬টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মধ্যে বেসরকারি ৪৫টি এবং ১টি রাষ্ট্রায়ত্ত-সাধারণ বিমা করপোরেশন।

আরও পড়ুন:
ছয় মাস পর অনলাইনে বিমানের টিকিট বিক্রি শুরু
সাড়ে ৬ মাস পর বিমানের অনলাইন টিকিট বিক্রি শুরু
বিমানবন্দরে পিসিআর টেস্টের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার
শাহজালাল বিমানবন্দরে মশা নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের নির্দেশ
কবে চালু হবে বিমানের টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইট?

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The government will form a committee to find a long term financing way from the capital market

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।

সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market Most companies have decreased major collapse in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

মন্তব্য

p
উপরে