× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Depression in diabetics has increased in Corona
google_news print-icon

করোনায় বেড়েছে ডায়াবেটিস রোগীদের বিষণ্নতা

করোনায়-বেড়েছে-ডায়াবেটিস-রোগীদের-বিষণ্নতা
রাজধানীর একটি পার্কে প্রাতভ্রমণে গিয়ে শরীরচর্চায় মেতেছেন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কয়েকজন। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মধ্যে বিষণ্নতা বেড়েছে উদ্বেগজনজক হারে। একই সঙ্গে করোনা সংক্রমিতদের নতুন করে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে। এমন বাস্তবতায় আজ সোমবার দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীদের ৬৭ শতাংশই ছিলেন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। করোনা জটিলতা নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি হওয়া অর্ধেক রোগীই ডায়াবেটিসের।

এদিকে করোনা মহামারির কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মধ্যে বিষণ্নতা বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে। একই সঙ্গে করোনা সংক্রমিতদের নতুন করে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ডায়াবেটিস চিকিৎসায় নিয়োজিত একাধিক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৭ সালের গবেষণায় ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ৩০ শতাংশ বিষণ্নতায় ভোগার কথা বলা হয়। বর্তমান সময়ে এসে এই সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। করোনা মহামারি এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ করে তুলছে।

বর্তমানে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ৬০ শতাংশই বিষণ্নতায় ভুগছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় করোনা বিদায় নেয়ার পর আরেকটি নীরব মহামারি দেখবে দেশ। বাড়বে আত্মহত্যার প্রবণতাও। এ কারণে এখন থেকেই পরিস্থিতি সামাল দিতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৬ সালের পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে প্রতি ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। অন্যদিকে মোট জনগোষ্ঠীর ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বিষণ্নতা রোগে ভুগছে। তবে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মাঝে বিষণ্নতার হার সংক্রান্ত গবেষণার ফলে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।

গবেষকরা একমত যে, এই হার অনেক বেশি। কারণ গবেষণার প্রকৃতি, স্থান, অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি, ব্যবহৃত পরিমাপক ও অন্যান্য কারণে ফলাফলে ভিন্নতা দেখা দিতে পারে। গবেষণাভেদে ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৩৪ শতাংশ বিষণ্নতা রোগে ভুগছেন।

এ ছাড়া ২০০৭ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত পুরুষদের ২৯ ও নারীদের ৩০ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে বিষণ্নতার উপসর্গ রয়েছে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নন, এমন ব্যক্তির তুলনায় আক্রান্তদের ক্ষেত্রে বিষণ্নতার উপসর্গ উল্লেখযোগ্য হারে বেশি।

করোনা ডেকে আনছে ডায়াবেটিস

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, করোনা জটিলতা নিয়ে যারা আইসিইউতে ভর্তি হয়েছে তাদের ৪২ দশমিক ২ শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছে। গত বছর চট্টগ্রামে করা এক গবেষণা বলছে, কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়ার পর প্রতি ১০০ জনে একজন (১ শতাংশ) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন। আবার করোনায় আক্রান্ত প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন আগে থেকেই ডায়াবেটিস রোগী। কোভিড-পরবর্তী জটিলতাও সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে। এ ছাড়া কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর ডায়াবেটিস রোগীরা একাধিক রোগ ও শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।

চিকিৎসাব্যবস্থা অপ্রতুল

দেশে দুই কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এই বিপুলসংখ্যক রোগীর চিকিৎসার জন্য মাত্র ১১২টি শয্যা রয়েছে, যা রোগীর তুলনায় নগণ্য। ডায়াবেটিস চিকিৎসার জন্য দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল হলো বারডেম।

চিকিৎসাসংকট কাটাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, এই রোগ নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ৩৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে। সে সুবাদে দেশটি ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশে তেমন কেনো উদ্যোগ না থাকায় ৮০ শতাংশ রোগীর ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত। ডায়াবেটিস রোগী নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে কিডনি ও হার্টের রোগ অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ছিল।

চিকিৎসায় ব্যয় বিশ্বে সর্বনিম্ন

আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর একজন ডায়াবেটিস রোগীর পেছনে সরকারের ব্যয় হয় ৭৫ ডলার। এটা পৃথিবীর মধ্যে সর্বনিম্ন। এমনকি পাকিস্তানও জনপ্রতি ৮৮ ডলার ব্যয় করে। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয় সাড়ে ১৭ হাজার ডলার। সুইজারল্যান্ড ব্যয় করে ২২ হাজার ডলার।

ব্যয় বরাদ্দ কম থাকায় দেশে ৬২ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগীকে চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভব হয় না। কারণ তারা রোগটি সম্পর্কে জানেই না। এ জন্য চিকিৎসা খাতে বাজেট বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে বরাদ্দ অর্থ কোন খাতে কতটুকু খরচ হবে, সে পরিকল্পনাও থাকতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্য খাতে ১৬ শতাংশ বাজেট বাড়াতে হবে। তবে বাংলাদেশে বাড়ানো হয়েছে মাত্র ৪ শতাংশ। সরকারের সব খাতে উন্নতি হলেও ডায়াবেটিস চিকিৎসায় ব্যয় বাড়েনি। এটি অবহেলিতই রয়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. মুনতাসীর মারুফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শারীরিক যে রোগগুলোর সঙ্গে মানসিক রোগের সম্পর্ক বেশি দেখা যায়, তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। মানসিক রোগে আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই ডায়াবেটিসে ভোগেন।

‘অন্যদিকে ডায়াবেটিক রোগীদের মানসিক রোগ হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে বেশি। সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার ডিস-অর্ডারসহ অন্য গুরুতর মানসিক রোগ হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তবে এ রোগের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি যে মানসিক রোগটি দেখা যায় তা হচ্ছে বিষণ্নতা। বাংলাদেশে ডায়াবেটিসের সঙ্গে মানসিক রোগের সম্পর্ক নিয়ে যেসব গবেষণা রয়েছে, তার মধ্যে বিষণ্নতাই বেশি।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অ্যান্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ‘ডায়াবেটিক রোগীদের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ ক্ষেত্রে বিষণ্নতা অন্যতম। একই সঙ্গে বিষণ্নতাও ডায়াবেটিস হওয়ার একটি কারণ। পৃথিবীতে যেসব মহামারি এসেছে, এর মধ্যে করোনা মানুষের ওপর বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে।

ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মধ্যে বরাবরই বিষণ্নতার একটি প্রভাব থাকে। করোনাকালে এই হার আরও বেড়েছে। দীর্ঘদিন থেকে যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের অদূর ভবিষ্যতে নানা মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার যারা মানসিক রোগে ভোগেন তাদের ডায়াবেটিস হলে রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করাও বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।’

ডায়াবেটিক রোগীর অন্যদের চেয়ে ২ থেকে ৩ গুণ বেশি হারে বিষণ্নতায় ভোগার ঝুঁকি রয়েছে। অথচ বিষণ্নতায় আক্রান্ত রোগীদের ৭০ শতাংশই চিকিৎসার বাইরে থেকে যায়। জটিল পর্যায়ে না গেলে এই রোগের চিকিৎসা নিতে চায় না মানুষ। বিষণ্নতা কমাতে হলে অবশ্যই করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবসে নানা কর্মসূচি

ডায়াবেটিস সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে প্রতি বছরের মতোই আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দেশব্যাপী ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও করোনা প্রতিরোধে সচেতন হোন’।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় বারডেম থেকে রমনার টেনিস ক্লাব পর্যন্ত সচেতনতামূলক স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এতে ডায়াবেটিক সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেবেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় বারডেম অডিটরিয়ামের তৃতীয় তলায় অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত থাকবেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেবেন সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, রোটারি জেলা-৩২৮১ এর গভর্নর ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী ও বারডেমের মহাপরিচালক অধ্যাপক এম কে আই কাইয়ুম চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন অধ্যাপক ফারুক পাঠান।

এ ছাড়া সকাল ১০টায় বারডেম অডিটরিয়ামে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও রোগীদের মধ্যে আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বারডেম ক্যাম্পাস এবং এনএইচএন ও বিআইএইচএসের বিভিন্ন কেন্দ্রসংলগ্ন স্থানে বিনা মূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হবে।

দিবসটি উপলক্ষে কান্তির বিশেষ প্রকাশনা, সচেতনতামূলক লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের চতুর্থ তলায় হার্ট ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন:
করোনা: শনাক্ত হার ৪.০১, মৃত্যু ৯
উৎপাদন শুরু হলে গরিব দেশে বিনা মূল্যে টিকা দেবে সরকার
পুলিশ ধরে নিচ্ছে টিকাকেন্দ্রে
করোনা শনাক্ত কমে ৪.১৫%, মৃত্যু ৮
যতদিন দেশে করোনা, ততদিন টিকা: স্বাস্থ্য সচিব

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The vaccine plant will be created on 5 acres of land in Munshiganj Health Advisor

মুন্সিগঞ্জে ৪০ একর জমিতে হবে 'ভ্যাকসিন প্লান্ট', তৈরি হবে ঔষধ ও অ্যান্টিভেনম: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

মুন্সিগঞ্জে ৪০ একর জমিতে হবে 'ভ্যাকসিন প্লান্ট', তৈরি হবে ঔষধ ও অ্যান্টিভেনম: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নে গোয়ালখালি এলাকায় বিসিকের অধিগ্রহণকৃত ৪০ একর জমির উপর নির্মিত হবে 'ভ্যাকসিন প্লান্ট'। যেখানে ঔষধের পাশাপাশি তৈরি হবে অ্যান্টিভেনম।

প্রকল্পটি গোপালগঞ্জে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।

শনিবার সকালে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে এসে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

মুন্সিগঞ্জে ৪০ একর জমিতে হবে 'ভ্যাকসিন প্লান্ট', তৈরি হবে ঔষধ ও অ্যান্টিভেনম: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

এসময় তিনি জমি রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

উপদেষ্টা বলেন, গোপালগঞ্জে ভ্যাকসিন প্লান্ট একদম একপাশে হয়ে গেছে। ভ্যাকসিনটা যখন তৈরি হবে তখন এটা ফ্রিজিং করে সারা বাংলাদেশে পাঠাতে হবে। সেজন্য আমার এমন একটা জায়গা দরকার যেখান থেকে সহজে যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে আমরা পাঠাতে পারবো। সেক্ষেত্রে গোপালগঞ্জটা সেজন্য আমাদের জন্য উপযুক্ত হয় না।

আর এখানে যে সমস্ত টেকনোলজিস্ট, বিশেষজ্ঞ লাগবে এটা সবসময় সেখানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। তাই এটা আমরা এখানে করার চেষ্টা করছি। এবং এখানে ৪০ একর জমি বিসিকের কাছ থেকে নিয়েছি। সে অনুযায়ী আমাদের একটা প্ল্যান্ট- এটা এখানেই হবে যাতে করে আমাদের সমস্ত ঔষধ তৈরি করতে পারি, ভ্যাকসিন আমরা এখানে তৈরি করতে পারি এবং একইসাথে আমরা চিন্তা করছি- অ্যান্টিভেনম যেটা হয়, যেটা আমাদেরকে পাশের দেশগুলো থেকে আনতে হয়। অনেক সময় সাপের ভ্যারাইটি একরকম না, কোন কোন সময় সাপের কারণে যে ভ্যাকসিনটা দেয়া হয় ওটা কখনো কাজ করে, কখনো করে না। কাজেই আমরা এখন চেষ্টা করছি- আমাদের যেহেতু অনেক সাপ আছে, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাপের বিষ এনে এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এন্টিভেনম তৈরি করা হবে। আমাদের দেশের সাপ দিয়ে দেশেই ভ্যাকসিন-অ্যান্টিভেনম তৈরি হবে।

ভ্যাকসিন প্লান্ট নির্মাণে সময় প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এটা সিস্টেমের ব্যাপার। বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে দেশের মধ্যে উৎপাদিত প্রায় ৭০ শতাংশ ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে। কোয়ালিটিতে দেশের বাইরের তুলনায় এটি কোন অংশেই কম না। এটাকে ১০০ শতাংশে উন্নিত করতে হলে আমাদের আরও কিছু মেশিনারিজ আনতে হবে। মেশিনারিজগুলো আমরা চেষ্টা করবো যত দ্রুত আনা যায়। সবকিছু মিলিয়ে এগুলো আনতে প্রায় ৬ মাসের মত লেগে যাবে।

তিনি বলেন, জমি আমাদের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেয়া হবে, পাশের নদী শাসন করতে হবে। এরপরে মেশিনারিজ, প্ল্যান এগুলো পাশ করাতে হবে। ধরে নেন আগামী আড়াই থেকে তিন বছর লাগতে পারে। পরে উপদেষ্টা ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন।

মুন্সিগঞ্জে ৪০ একর জমিতে হবে 'ভ্যাকসিন প্লান্ট', তৈরি হবে ঔষধ ও অ্যান্টিভেনম: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ইডিসিল এর গোপালগঞ্জ প্লান্টের ভ্যাকসিন ইউনিট এবং মানিকগঞ্জ প্ল্যান্ট স্থানান্তর করে এখানে আনা হবে। এজন্য ৪০ একর জায়গার সংস্থান করা হয়েছে। এসময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চট্টগ্রামে প্রক্রিয়াধীন এন্টি ভেনম প্ল্যান্টও এখানে স্থানান্তরের নির্দেশনা প্রদান করেন। এটি সামগ্রিক বিবেচনায় লাভজনক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

এসময় ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সামাদ মৃধাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানা গেছে, ৩ হাজার ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ভ্যাকসিন প্লান্টটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই কারখানায় ১৫ ধরনের টিকা উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্লান্টটিতে ২০২৮ সালের মধ্যে ছয় ধরনের ও ২০২৯ সালে আরও ৯ ধরনের টিকা উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ২০৩০ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There will be no discrimination between the nation and the tribe in Bangladesh the army chief

বাংলাদেশে ধর্ম, জাতি ও গোত্রের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান

বাংলাদেশে ধর্ম, জাতি ও গোত্রের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান

বাংলাদেশে ধর্ম, জাতি ও গোত্রের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বক্তব্যে উৎসবে আমন্ত্রণের জন্য সেনাপ্রধান আয়োজনকারীদের ধন্যবাদ জানান।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ। শত বছর ধরে এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়ি, বাঙালি, উপজাতি সবাই মিলে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। এই দেশ সবার। আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক। এখানে কোনো ধর্ম, জাতি বা গোত্রের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না। এই দেশের প্রতিটি বিষয়ে আমাদের সমান অধিকার। সেইভাবেই আমরা সামনের সোনালি দিনগুলো দেখতে চাই।’

অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খানসহ অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার হবে— আমরা সবসময় শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখব এবং সবাই মিলে শান্তিতে বসবাস করব। সারা বাংলাদেশে স্বশস্ত্র বাহিনী মোতায়েত রয়েছে। আমরা সব সময় জনগণের পাশে থাকব এবং এক হয়ে আপনাদের সাথে কাজ করে যাব।’

তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্তে এ দেশে বসবাস করবেন এবং আপনারা আপনারা ধর্মীয় উৎসব আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করবেন। আমরা একসঙ্গে এই আনন্দ ভাগাভাগি করব।’

সেনাপ্রধান আশাপ্রকাশ করেন, ‘জন্মাষ্টমীর এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। এই আদর্শের ভিত্তিতেই আমরা একসঙ্গে সুন্দরভাবে বসবাস করব।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
People go abroad to seek treatment with disturbance and innocent Asif Nazrul

মানুষ বিরক্ত ও নিরুপায় হয়ে চিকিৎসা নিতে বিদেশে যায়: আসিফ নজরুল

মানুষ বিরক্ত ও নিরুপায় হয়ে চিকিৎসা নিতে বিদেশে যায়: আসিফ নজরুল

প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের উদ্দেশে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আপনাদের মতে চিকিৎসা খাতে ৪-৫ বিলিয়ন ডলারের একটা বাজার আছে। এই বাজার আপনারা নিতে পারেন না? কেন মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চায়? ভারত, ব্যাংককে এমন মানুষও চিকিৎসা নিতে যায়, যারা কখনও ঢাকায় আসেনি। তারা বিরক্ত ও নিরুপায় হয়ে যায়। তাদের যাওয়া বন্ধ করেন। এখানে সেবা দিলে মানুষ কখনোই বিদেশ যাবে না। যাওয়ার কোনও কারণই নাই। এই বাজার দখল করলে আপনাদের লাভ, দেশেরও লাভ।

শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর শহীদ আবু সাইদ ইন্টারন্যাশনাল কনভনেশন সেন্টারে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, অনেক চিকিৎসক অনর্থক টেস্ট দেন। আমার বাসার হেল্পিং হ্যান্ড, গরিব ছেলে, ঢাকার একটি হাসপাতালে ১৪টি টেস্ট দিয়েছে। সে রাগ করে বাড়ি চলে গেছে। সেখান থেকে টেস্ট ছাড়া ভালো হয়ে ফেরত এসেছে। ওখানে তার পরিচিত ডাক্তার ছিল। এই অত্যাচার বন্ধ হয় নাই। গরিব রোগীদের অনর্থক ১৪-১৫টা টেস্ট দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করা দরকার। আরেকটা বিষয় হলো, নির্দিষ্ট ওষুধ কিনতে হবে, কেন? পৃথিবীতে কোন জায়গায় প্রাইভেট ক্লিনিকে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির জন্য নির্দিষ্ট সময় থাকে ডাক্তারের। আপনারা কি ওষুধ কোম্পানির দালাল, এ দেশের বড় বড় হাসপাতালের ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির মধ্যসত্ত্বভোগী? কোন জায়গায় নামান আপনারা নিজেদের!

আইন উপদেষ্টা বলেন, আরেকটা অভিযোগ করা হয়, টেস্টের রেজাল্ট ভুল। অনেক জায়গায় অনেক ভালো রেজাল্ট হয়, আমি খারাপ জায়গার কথা বলছি। একটা জেনারেল কমপ্লেইন যেটা আমার কাছে হৃদয়বিদারক লাগে, নার্সদের ব্যবহার খারাপ। নার্সদের মন খারাপ থাকে, হাসপাতালের কর্মচারীদের মন খারাপ থাকে, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে থাকেন, ভালো সেবা দিতে চায় না। কেন চায় না– নার্সদের বেতন ১২ হাজার টাকা, আপনারা কি কম টাকা লাভ করেন? আপনারা যারা অনেকে হাসপাতালের মালিক আছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি, আপনাদের কোটি টাকার বাগানবাড়ি থাকতে পারে, নার্সদের ভালো বেতন দিতে পারেন না? নার্স যদি ১২ হাজার টাকা বেতন পায়, তাহলে কি ভালো সেবা দেবে? সে তো বিরক্ত হয়ে থাকবে। আপনারা লাভ করেন কিন্তু ন্যায্যভাবে করেন।

তিনি বলেন, আজ মানুষ ভারত-থাইল্যান্ড যেতে চায় না। আপনাদের চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা আছে। আপনারা করোনাকালে প্রমাণ করেছেন। নিজের জীবন উৎসর্গ করে সেবা দিয়েছেন। কর্মীর যদি বেতন বাড়িয়ে দেন সামান্য লাভ থেকে কতো টাকা চলে যাবে? যদি ১০০ কোটি টাকা লাভ করেন, তাহলে ১০ শতাংশ কম লাভ হয়। ১০ শতাংশ কম লাভের বিনিময় সেই কর্মী যে সেবা দেবে সেটা দিয়ে পূরণ হয়ে যায়। আপনারা এদিকে একটু লক্ষ্য রাখবেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The interim government is determined to keep the bond of harmony in harmony the chief adviser

অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির এই বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ সব কথা বলেছেন। তিনি এ সময় ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে উল্লেখ করে তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The chief adviser greeted Khaleda Zias birthday

খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আজ গণতন্ত্রের মা, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন। তিনি এ দিনটি উদযাপন করেন না, তবে দল থেকে সারাদেশে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আজ বিকেলে ম্যাডামের (বেগম জিয়া) জন্য ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন। তাঁর কর্মকর্তারা এটি বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবনে পৌঁছে দেন।

বিকেল প্রায় ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সজীব এম খায়রুল ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় গিয়ে তাঁর একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারের হাতে ফুলের তোড়াটি হস্তান্তর করেন।

এ সময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এবং চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত উইংয়ের কর্মকর্তা মাসুদ রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে চীনের রাষ্ট্রদূতের কার্যালয় থেকেও বিএনপি চেয়ারপার্সনের জন্য জন্মদিনের ফুলের তোড়া পাঠানো হয়।

বেগম খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। এ বছর তিনি ৮১ বছরে পা রেখেছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
22 employees rewarded for playing a special role in tobacco free rail services

তামাকমুক্ত রেল পরিষেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২২ কর্মচারী পুরস্কৃত

তামাকমুক্ত রেল পরিষেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২২ কর্মচারী পুরস্কৃত

ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২২ কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পুরস্কৃত করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
বৃহষ্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর রেল ভবনে “বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ” শীর্ষক প্রকল্পের উদ্যোগে এক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে রেল স্টেশনে তামাক সচেতনতা ও প্রতিরোধ কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য আরএনবি ও জিআরপি (পুলিশ) এবং রেলওয়ের ২২ কর্মকর্তা/কর্মচারীকে সম্মাননা পদক ২০২৫ প্রদান করা হয়। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে রেলওয়ে কর্মীদের উৎসাহিত করে দেশের সকল স্টেশন ও ট্রেনকে ধূমপান ও তামাকমুক্ত করার প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন-
মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার, উপসচিব (বাজেট অধিশাখা), রেলপথ মন্ত্রণালয়; মোঃ জাকির হোসেন, পরিচালক ট্রাফিক (পরিবহণ), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোঃ আনসার আলী, উপ-পরিচালক (টিসি), বাংলাদেশ রেলওয়ে; গৌতম কুমার কুণ্ডু, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (লালমনিরহাট), বাংলাদেশ রেলওয়ে; ফারহান মাহমুদ, এডিসিও (চট্টগ্রাম), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোহাম্মদ আমিনুল হক, এসিও-১ (ঢাকা), বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে “বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ” শীর্ষক প্রকল্পের বেজলাইন ও এন্ডলাইন সার্ভের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন ও এর বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্ক এর নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা/কর্মচারীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
ধূমপান ও তামাকের ব্যবহার যাত্রীসেবার মানের ওপর যেসব নেতিবাচক প্রভাব ফেলে অনুষ্ঠানে তার বিস্তারিত আলোচনা করেন তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের অপব্যবহার রোধে ভূমিকা পালনকারী সাবেক ও বর্তমান সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তারা। তাঁরা রেলওয়ের প্রতিটি স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনে ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান। এ লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, কঠোর নজরদারি এবং আইন প্রয়োগের পাশাপাশি যাত্রী ও কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক আচরণ গড়ে তোলার ওপর তাঁরা গুরুত্বারোপ করেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “রেলপথ জনগণের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চায়। তাই ধূমপানমুক্ত পরিবেশ তৈরিতে আমরা কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখাবো না।”
অনুষ্ঠানে সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ধূমপান ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Meeting of the Advisory Council held

উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

উপদেষ্টা পরিষদের সভা আজ (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতে সভাপতিত্ব করেন।

মন্তব্য

p
উপরে