× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The war has broken the popes heart
google_news print-icon

যুদ্ধে ভেঙেছে পোপের হৃদয়

যুদ্ধে-ভেঙেছে-পোপের-হৃদয়
পোপ ফ্রান্সিস ভ্যাটিকানে সাপ্তাহিক জমায়েতে বক্তব্য দেন। ছবি: সংগৃহীত
আবেগতাড়িত কণ্ঠে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘যারা যুদ্ধ করে, তারা মানবতা ভুলে যায়। তারা মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে বিবেচনা করে না। উল্টো পক্ষপাতমূলক স্বার্থকে সবকিছুর ওপরে রাখে এবং অস্ত্র ও বিকৃত যুক্তিতে বিশ্বাস করে।’

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসী হামলা ও যুদ্ধে প্রাণহানিতে পোপ ফ্রান্সিসের হৃদয় ভেঙে গেছে। তিনি বলেছেন, যুদ্ধে উদ্বাস্তু হয়ে পড়া নানা বয়সী মানুষ ও সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কিত মায়েদের ছুটে চলার চিত্র তাকে আবেগতাড়িত করেছে।

পোপ ফ্রান্সিস রোববার ভ্যাটিকান সিটিতে এ কথা বলেন।

ইউক্রেন থেকে উদ্বাস্তুদের সাহায্য করতে মানবিক করিডরের আহ্বান জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি বলেছেন, ‘আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। যুদ্ধবাজদের এমন ভাবা উচিত নয় যে ঈশ্বর তাদের পক্ষে আছেন।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে পোপের এই ভাষণের সময় জমায়েত শ্রোতাদের মধ্যে কেউ কেউ ইউক্রেনের বড় আকারের পতাকা ধারণ করেন।

ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু শান্তির জন্য বুধবার প্রার্থনা ‌ও উপবাস করার পরামর্শ দিয়েছেন৷

আবেগতাড়িত কণ্ঠে পোপ বলেন, ‘যারা যুদ্ধ করে, তারা মানবতা ভুলে যায়। তারা মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে বিবেচনা করে না। উল্টো পক্ষপাতমূলক স্বার্থকে সবকিছুর ওপরে রাখে এবং অস্ত্র ও বিকৃত যুক্তিতে বিশ্বাস করে।’

পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘আমি আশ্রয়প্রার্থী বয়স্ক ব্যক্তি এবং সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে যাওয়া মায়েদের ছবি দেখে আবেগতাড়িত হয়েছি। তারা ভাই ও বোন। তাদের জন্য আমাদের জরুরিভাবে মানবিক করিডর খুলতে হবে। তাদের অবশ্যই স্বাগত জানাতে হবে।

‘অস্ত্রগুলো নীরব হয়ে পড়ুক। ঈশ্বর শান্তি স্থাপনকারীদের সঙ্গে আছেন; যারা সহিংসতা করে, নিজেদের চামড়া দিয়ে যুদ্ধের মূর্খতার মূল্য পরিশোধ করে, তাদের সঙ্গে নয়।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Some advisers without death have no safe exit Sargis Alam

মৃত্যু ছাড়া কিছু উপদেষ্টার কোনো সেফ এক্সিট নেই: সারজিস আলম

মৃত্যু ছাড়া কিছু উপদেষ্টার কোনো সেফ এক্সিট নেই: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, কিছু উপদেষ্টার মধ্যে দেখা যাচ্ছে, তারা কোনোভাবে দায়সারা দায়িত্ব পালন করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এক্সিট নিতে পারলেই হলো। এই দায়সারা দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অভ্যুত্থান–পরবর্তী একটি সরকার কাজ করতে পারে না। তারা এত শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ওখানে আছেন। তারা যদি এমনটা করে থাকেন, তাহলে দেশের মানুষের সামনে মুখ দেখাতে পারবেন না। যারা এ ধরনের চিন্তা করেন, তাদের জন্য বলতে হয়—মৃত্যু ছাড়া কোনো সেফ এক্সিট নেই। পৃথিবীর যে প্রান্তে যান, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ধরবে।
গতকাল মঙ্গলবার নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিপির জেলা ও উপজেলার সমন্বয় সভা শেষে সারজিস আলম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সারজিস আলম অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন জাতীয় লীগ নামে একটি দলকে নিবন্ধন দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। অথচ দলটির অস্তিত্ব বলতে টয়লেটের পাশে একটি ছোট ঘর ছাড়া কিছুই নেই। তিনি বলেন, যেকোনো দলকে নিবন্ধন দিতে হলে আগের মানদণ্ড অনুসরণ করলে চলবে না, সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই করতে হবে। যদি এটি আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের কোনো প্রচেষ্টা হয়, জনগণ ও এনসিপি তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের ভালো মানুষ একত্র হয়ে যদি আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় করুক, এতে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না। তবে একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আওয়ামী লীগের যেকোনো ভার্সন বাংলাদেশে অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক নয়। এনসিপি তা কখনোই মেনে নেবে না।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনে এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করবে উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, ‘শাপলা প্রতীকে আইনগত কোনো বাধা নেই। কিন্তু নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হয়েও অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ করছে অথবা কারও চাপে পড়ে এমনটা করছে। এটা মেনে নেওয়া হবে না। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আস্থা ধরে রেখে কাজ করবে বলে আশা করি।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘তিনি বলেছেন, যেই ভাইকে দেশে রেখে গিয়েছিলেন, তাকে আর দেখতে পারবেন না। তার যে ঘরে সারা জীবনের স্মৃতি, সেই ঘর মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়গুলোয় আমাদের সহমর্মিতা থাকবে। আগামীর বাংলাদেশে আমরা আর এ ধরনের ঘটনা প্রত্যাশা করি না। বিএনপির অনেক নেতা–কর্মীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এগুলো আওয়ামী লীগ করেছে। সুতরাং স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের অর্থের বিনিময়ে অথবা কোনো সুযোগ-সুবিধার বিনিময় যেন আশ্রয়–প্রশ্রয় দেওয়া না হয়, আমরা সেটাও দেখতে চাই।’
সমন্বয় সভায় এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমনসহ এনসিপির নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলার নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The government of one eleven was dishonestly motivated Tareq Rahman

এক-এগারোর সরকার ছিল অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তারেক রহমান

বিএনপির সময় সাংবাদিকদের নির্যাতন করা হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না * ভারত স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে জনগণের বিরাগভাজন হলে বিএনপির কিছু করার নেই * সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু শুনলে বা দেখলেই ঝাঁপিয়ে না পড়তে পরামর্শ
এক-এগারোর সরকার ছিল অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তারেক রহমান

এক–এগারোর সরকারকে ‘অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সরকার’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, সে সময়কার সরকার সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছিল এবং বিরাজনীতিকরণ করতে চেয়েছিল। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় ও শেষ পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান এ কথা বলেন।
তারেক রহমানের কাছে বিবিসি বাংলার প্রশ্ন ছিল, পেছন থেকেই তো শিক্ষা নিয়ে সামনে এগোতে হয়। তো পেছনের একটা বিষয়, সেটা হচ্ছে, এক–এগারোর সরকার বা সেনাসমর্থিত সরকারের সেই সময়টা নিয়ে রাজনীতিতে অনেক আলোচনা আছে। সে সময়কে ঘিরে আপনার মূল্যায়নটা কী?
এর উত্তরে তারেক রহমান বলেন, ‘এক বাক্যে বা সংক্ষেপে যদি বলতে হয়, এক–এগারোর সরকার তো একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি সরকার ছিল।’
এ প্রশ্নের উত্তরে বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দেশে রাজনীতি গড়ে উঠেছিল, ভুলত্রুটি সবকিছুর ভেতর দিয়ে গণতান্ত্রিক ভিত্তি ধীরে ধীরে গড়ে উঠছিল, বলেন তারেক রহমান। তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমরা দেখেছি যে কীভাবে তারা (এক–এগারো সরকার) সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছিল, বিরাজনীতিকরণ করতে চেয়েছিল। দেশকে একটি অন্ধকার দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। পরবর্তীতে দেখেছি যে খুব সম্ভবত তাদেরই ভিন্ন আরেকটি রূপ; অন্যভাবে দেখেছি আমরা ‘ইন দ্য নেম অব ডেমোক্র্যাসি’।’
সাক্ষাৎকারে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, বিএনপি সামনের দিকে যেতে চায়। দেশকে সামনে নিতে হবে।
২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বিবিসি বাংলাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর এই প্রথম কোনো গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিলেন তিনি। সাক্ষাৎকারে শেষ পর্ব গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা। এর আগে সোমবার সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব প্রকাশ করা হয়।
এই পর্বে তারেক রহমান সংস্কার, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, ওয়াল ইলেভেন এবং রাজনীতির বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন।
ভারত যদি স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে দেশের মানুষের বিরাগভাজন হয় তাহলে বিএনপির কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন তারেক রহমান। বিবিসি বাংলার তরফে প্রশ্ন ছিল, পাঁচ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এবং আপনিও জানেন যে, শেখ হাসিনা দিল্লিতে গেছেন এবং সেখানে আছেন। ভারতের সঙ্গে একটা সম্পর্কের শীতলতা দেখা গেছে, গত এক বছর ধরে। যেমন ধরুন সেটি যাওয়া আসার ক্ষেত্রে ব্যবসার ক্ষেত্রে নানা রকম, সেই ক্ষেত্রে কি কোনো পরিবর্তন আপনার সরকারে আসলে হবে বা পরিবর্তনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন, এমন কোনো চিন্তা কি আপনাদের আছে?
জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘এখন তারা যদি স্বৈরাচারকে সেখানে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের বিরাগভাজন হয়, সেখানে তো আমাদের কিছু করার নেই। এটা বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তাদের সঙ্গে শীতল থাকবে। সো, আমাকে আমার দেশের মানুষের সঙ্গেই থাকতে হবে।’
বিগত সরকারের সময় বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে যে সম্পর্ক ছিল, সেটা নিয়ে অনেক সমালোচনা রয়েছে। তো ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আপনাদের নীতি কী হবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক জানান, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ভারতসহ সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেবে।
তার ভাষ্যে, ‘সবার আগে বাংলাদেশ। এখানে তো আপনি পার্টিকুলার (সুনির্দিষ্ট) একটি দেশের কথা বলেছেন। এখানে ওই দেশ বা অন্য দেশ তো বিষয় না। বিষয় তো হচ্ছে, ভাই, বাংলাদেশ আমার কাছে আমার স্বার্থ; আমি আগে আমার দেশের মানুষের স্বার্থ দেখব, আমার দেশের স্বার্থ দেখব। ওটাকে আমি রেখে, আপহোল্ড করে, যা যা করতে পারব, আমি তা-ই করব।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘অবশ্যই আমি আমার পানির হিস্যা চাই। অবশ্যই আমি দেখতে চাইনা না যে, আরেক ফেলানী ঝুলে আছে। অবশ্যই আমরা এটা মেনে নেব না।’
বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে তার কাছে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের স্বার্থের প্রসঙ্গে আপনি বলছেন যে, পানির হিস্যা চাওয়া এবং সীমান্ত হত্যার বিষয়টি নিয়ে আপনারা সোচ্চার থাকবেন?
এই প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘না না, আমি উদাহরণ দিয়ে বললাম। দুটো উদাহরণ দিয়ে বুঝালাম আপনাকে যে, আমাদের স্ট্যান্ডটা কী হবে। আমরা আমাদের পানির হিস্যা চাই। অর্থাৎ আমার দেশের হিস্যা, মানুষের হিস্যা আমি চাই, হিসাব আমি চাই। আমার যেটা ন্যায্য সেটা আমি চাই। অবশ্যই ফেলানী হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আমি বুঝাতে চেয়েছি যে, আমার মানুষের ওপরে আঘাত আসলে অবশ্যই সেই আঘাতকে এভাবে আমি মেনে নেব না।’
বিএনপি সরকারের সময় সাংবাদিকদের কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি বলে দাবি করে তারেক রহমান বলেন, ‘গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, বিএনপির অতীত সরকারের সময় যে রকম সাংবাদিকদের গুম করা হয়নি, সাংবাদিকদের নির্যাতন করা হয়নি, সাংবাদিকদের দেশ ছেড়ে যেতে হয়নি, বাধ্য হতে হয়নি—ইনশা আল্লাহ ভবিষ্যতেও হবে না।’
প্রশ্ন ছিল—বিগত সরকারের আমলে একটা বড় সমালোচনা ছিল যে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ। আপনারা যদি ক্ষমতায় আসেন সে ক্ষেত্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদ বা সংবাদমাধ্যমের ওপর দমন-পীড়নের বিষয়গুলো যে আর হবে না, সেই নিশ্চয়তা কি আপনি দিতে পারেন?
জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জি, ইয়েস, পারি। একদম দিতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘আপনি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত পত্রপত্রিকা খুলুন। আমি কারও নাম উল্লেখ করব না, কোনো পত্রিকার কথা উল্লেখ করব না। শুধু খুলে দেখুন কীভাবে অনেক খবর ছাপা হয়েছিল, যার সত্যতা কিন্তু ছিল না, অপপ্রচার ছিল। কিন্তু অপপ্রচারটা সংবাদ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
তারেক রহমান দাবি করেন, বিএনপির সময়ে সাংবাদিকদের ওপর কোনো দমন-পীড়ন বা নির্যাতন হয়নি। তিনি বলেন, ‘আপনি কি শুনেছেন, আপনি কি আমাকে প্রমাণ দিতে পারবেন, বলতে পারবেন যে বিএনপির সময়—আমি কিন্তু বলতে পারব অনেক অনেক সাংবাদিকের নাম, যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন স্বৈরাচারের সময় এবং পরবর্তী সময়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ইভেন, এখনো অনেকে প্রবাসজীবনে আছেন, এ রকম বহু সাংবাদিক।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি বলতে পারব, স্বৈরাচারের সময় বহু সাংবাদিককে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন করে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন-ধমক দেওয়া হতো। বিএনপির সময় এগুলো করা হয়নি। কারণ, তখন সংবাদপত্রে যে খবরগুলো প্রকাশিত হয়েছে তৎকালীন বিএনপি সরকার সম্পর্কে, আমার সম্পর্কে যে খবরগুলো প্রকাশিত হয়েছে, যদি ওই রকম (নির্যাতন) হতো তাহলে কিন্তু ও রকম খবর প্রকাশিত হতো না।’
তারেক রহমানের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত করে, এমন আইনগুলো বিএনপি বাতিল করবে কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা সকলে মিলে বসব, আলোচনা করব। আপনাদের মতো সাংবাদিকসহ যারা আছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। আলোচনা করে সেগুলোকে আমরা এ রকম কালো আইন যা যা আছে, আমরা আস্তে আস্তে ঠিক করব।’
তবে তারেক রহমান আরও একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলেন, ‘দেখুন, এটি তো সবাইকে মিলে করতে হবে। অপপ্রচারকে তো অবশ্যই সংবাদ হিসেবে প্রচার করা ঠিক নয়, তাই না? আমাদের কাছে আপনাদের যে রকম চাওয়া থাকবে, ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে, যারাই আসুক সরকারে, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমাদেরও অনুরোধ থাকবে আপনাদের প্রতি, অপপ্রচার সংবাদ হিসেবে যেন প্রচারিত না হয়, এ বিষয়টিকে একটু সবাইকে সচেতন বা খেয়াল রাখতে হবে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু বলা, লেখা বা সেসব বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত বলেন, কোনো মন্তব্য করার আগে এতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না, তা ভাবতে হবে। পাশাপাশি কোনো কিছু দেখলেই বা শুনলেই তা বিশ্বাস না করে যাচাই–বাছাই করে দেখার কথা বলেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে আমি বলতে চাই যে অবশ্যই প্রত্যেক মানুষের অধিকার আছে। যেহেতু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। মানুষের বাক্‌ ও ব্যক্তিস্বাধীনতায় আমরা বিশ্বাস করি। প্রত্যেক মানুষের অধিকার আছে, তার মতামত প্রকাশ করার। তবে আমরা যদি সকলে এতটুকু সচেতন হই যে আমি আমার মত প্রকাশ করলাম, কিন্তু এই মতপ্রকাশের ফলে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলো কি না? এই বিষয়টিকে যদি আমরা বিবেচনায় রাখি, একটি মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হলো কি না, ক্ষতিগ্রস্ত হলো কি না? এই বিষয়টিকে বোধ হয় আমাদের বিবেচনায় রাখা উচিত; এটি এক নম্বর।’
দ্বিতীয়ত, তারেক রহমান যাচাই-বাছাই করে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘ফ্যাক্ট হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ার বহুল ব্যবহারের ফলে ডিসইনফরমেশন বা মিসইনফরমেশন, এই বিষয়ও চলে এসেছে সামনে। এ কথাও চলে এসেছে। একটি জিনিস আমি দেখলাম বা শুনলাম, সাথে সাথেই আমি সেটিতে ঝাঁপিয়ে পড়লাম, তা না করে আমার মনে হয়, ফ্যাক্ট চেক বলে যেই কথাটি আছে সোশ্যাল মিডিয়াতে, এটা সব জায়গায় আছে। এ ব্যাপারেও যদি আমরা একটু অ্যালার্ট থাকি সবাই, এ ব্যাপারে যদি একটু সচেতন থাকি যে ঠিক আছে, এটি একটু যাচাই–বাছাই করে নিই।’
এ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘যদি সত্য হয়, অবশ্যই আমার সেখানে মতামত থাকবে, কিন্তু যদি মিথ্যা হয় বিষয়টি, কেন আমি এখানে মতামত দেব। একটি মিথ্যার সাথে আমি কেন নিজেকে সংশ্লিষ্ট করব। একটি খারাপ কিছুর সাথে কেন আমি নিজেকে সংশ্লিষ্ট করব। এটি আমি আমার মতামতটা প্রকাশ করলাম।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে নিয়ে তৈরি মিম বা কার্টুনকে কীভাবে দেখেন জানতে চাইলে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি এনজয় করি বেশ, বেশ এনজয় করি।’
তারেক রহমান বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া তিনিও কমবেশি আছেন। এখানে বহু বহু মানুষ আছেন, লাখো কোটি মানুষ আছেন। এর মাধ্যমে খুব দ্রুত একজনের সঙ্গে আরেকজনের যোগাযোগ করা যায়।
এর নেতিবাচক ব্যবহারের দিক তুলে ধরতে গিয়ে তারেক রহমান ডিনামাইটের উদাহরণ টেনে বলেন, পাহাড় ভেঙে কীভাবে মানুষের চলাচলের রাস্তাঘাট তৈরি করা যায়, কীভাবে চাষের জমি চাষ করা যায়, সে জন্য ডিনামাইট আবিষ্কৃত হয়েছিল। পরে দেখা গেলে, এটি মানুষ হত্যার মতো জঘন্য কাজেও ব্যবহার করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The martyrdom of Abrar Fahad is the great motivation of mass uprising Information adviser

আবরার ফাহাদের শাহাদত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বড় প্রেরণা: তথ্য উপদেষ্টা

আবরার ফাহাদের শাহাদত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বড় প্রেরণা: তথ্য উপদেষ্টা মঙ্গলবার জাতীয় জাদুঘরের শহীদ আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি : বাসস

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, আবরার ফাহাদের শাহাদত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বড় প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। তাঁর আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি। তাঁর শাহাদতের ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিন্ন মত প্রকাশের সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা শিক্ষার্থীরা কাজে লাগিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে শহীদ আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী পর্বে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে।

বিগত সরকারের ১৬ বছরের দুঃশাসনের সমালোচনা করে উপদেষ্টা বলেন, ওই সময় আবরার ফাহাদের মতো হাজারো শিক্ষার্থী নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অনেকে মৃতপ্রায় অবস্থায় বেঁচে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কিছু সদস্য নিজেই শিক্ষার্থীদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। কারাগারে ভিন্ন মতাবলম্বী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। হলগুলো থেকে শিবিরের নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করে বের করে দেওয়া হতো।

তিনি বলেন, আবরার ফাহাদের শাহাদতের গভীর তাৎপর্য রয়েছে, যা অনুধাবন করা জরুরি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘শেখ হাসিনা যে ভুল করেছেন, আমরা সেই ভুল করতে চাই না। ফ্যাসিজম যে প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়, আমরা সেই পথে যেতে চাই না।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির মধ্যে বিভাজনকে অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বিভাজন এড়িয়ে নাগরিকদের জন্য নিরাপদ রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।

নিজেকে রাষ্ট্র গড়ার পক্ষের লোক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সাংস্কৃতিক ব্যবস্থার বিপরীতে জনগণের সামনে একটি ভালো বিকল্প উপস্থাপন করতে হবে। তা না হলে জনগণ আবার পুরাতন ব্যবস্থায় ফিরে যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের দীর্ঘ সাংস্কৃতিক লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি ও বহু ঐতিহ্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘২০১৯ সালে বুয়েটে ছাত্রলীগের গুণ্ডারা আবরার ফাহাদকে হত্যা করেছে। তারা ভেবেছিল, তাঁকে হত্যা করে আধিপত্যবিরোধী কণ্ঠ স্তব্ধ করা যাবে। কিন্তু ইতিহাস বলে, এমন কণ্ঠ কখনো স্তব্ধ হয় না।’

তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকে আবরার ফাহাদের হৃৎস্পন্দন ধারণ করেছেন। তিনি তাঁর আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ন্যারেটিভ তৈরির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ের অন্যতম কাজ হলো জুলাইয়ের ন্যারেটিভ তৈরি করা। পাশাপাশি বিগত সরকারের ১৬ বছরের দুঃশাসনের ন্যারেটিভও তৈরি করতে হবে। সাংস্কৃতিক বৈষম্যকে ফ্যাসিবাদের অন্যতম কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধর্ম ও রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে কাউকে আলাদা করা যাবে না। সকল জাতিগোষ্ঠীকে একত্রিত করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে, যা ইতিহাসের সব অধ্যায়কে ধারণ করবে। তিনি ‘বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশপন্থা’য় এক থাকার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা।

উদ্বোধনী পর্ব শেষে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। সন্ধ্যায় একই স্থানে ‘চলচ্চিত্রে জুলাই’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, এতে অংশ নেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে নির্মিত ও নির্মিতব্য চলচ্চিত্রের নির্মাতা ও কলাকুশলীরা। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Instructions to complete the project within the stipulated time by keeping the quality of the project Bridge Secretary

প্রকল্পের গুণগতমান ঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প সম্পন্নের নির্দেশ : সেতু সচিব

প্রকল্পের গুণগতমান ঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প সম্পন্নের নির্দেশ : সেতু সচিব

সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ আজ (৭ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সচিব মহোদয় প্রকল্পের স্টেক ইয়ার্ড-৪ বাইপাইল এর সম্মেলন কক্ষে প্রকল্প পরিচালক, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।


মতবিনিময় সভায় সচিব সেতু বিভাগ প্রকল্পের গুণগতমান নিশ্চিত করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প সম্পন্ন করার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। প্রকল্পের চ্যালেঞ্জসমূহ দ্রুত নিরসনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে প্রকল্পের কাজ সম্পন্নের উপর তাগিদ প্রদান করেন। চলতি অর্থবছরে প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার ও কাজের অগ্রগতি বৃদ্ধি কারার জন্য প্রকল্প পরিচালককে নির্দেশনা প্রদান করেন।


সচিব মহোদয় সভায় আরও বলেন, মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এর ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের জন্য বিশেষ দিকনির্দেশনা রয়েছে। প্রকল্পের কাজের কারণে মানুষের ভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে অতিরিক্ত জনবল নিযুক্ত করে যথাযথভাবে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে সচিব মহোদয় গুরুত্ব আরোপ করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shapala will participate in the NCP elections with Shapala symbol Sargis Alam in Naogaon

এনসিপি নির্বাচনে শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করবে: নওগাঁয় সারজিস আলম

এনসিপি নির্বাচনে শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করবে: নওগাঁয় সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগের যেকোনো ভার্সন বাংলাদেশে তৈরির অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না। ভার্সন কাকে নিয়ে বানাবেন? আওয়ামী লীগের ওই মন্ত্রী, এমপি, জেলা, উপজেলার যারা সভাপতি সেক্রেটারি ছিল বড় বড় যারা চেয়ারম্যান ছিল তাদের নিয়ে? আপনি তো আর ইউনিয়নের মেম্বারকে আওয়ামী লীগের সভাপতি বানিয়ে দেবেন না। এরা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, এরা প্রত্যেকেই ফ্যাসিস্ট কাঠামোর সঙ্গে জড়িত, এরা কী করছে তা আপনারা প্রত্যেকেই ভালো করে জানেন। সুতরাং তাদের মধ্যে মন্দের ভালো খোজা, যারা একেক জন হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বানাল, সেই সুযোগ তাদের দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের ভালো মানুষরা একত্র হয়ে যদি আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় করুক, এতে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না। মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এনসিপির জেলা ও উপজেলা সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, যেহেতু প্রতীক নিয়ে আইনগত কোনো বাধা নেই সুতরাং এনসিপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করবে। আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতীকের ব্যাপারে পজেটিভ ছাড়া পাচ্ছি। আশা করি নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আস্থা ধরে রাখার কাজ করবে। এনসিপি এককভাবে নির্বাচনে যাবে নাকি, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে, সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যখন অনেকগুলো রাজনৈতিক দল একই পথে হাঁটবে, তখন দাবি, চিন্তা-ভাবনা, দেশ এবং জনগণের স্বার্থে কাজ করার বিষয়গুলো মিলে যায় তখন হতেই পারে জনগণের হয়ে একসাথে কোনো দলের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়ার। এনসিপি এ বিষয়গুলোকে পজিটিভভাবেই দেখছে। কিন্তু এনসিপি থেকে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

সমন্বয় সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমনসহ এনসিপির জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Germany is interested in working with Bangladesh in the development of trade relations

বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী জার্মানি

বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে জার্মান রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী জার্মানি বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে তার সচিবালয়ের দপ্তরে বৈঠক করেন বাংলাদেশে জার্মানির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ। ছবি: পিআইডি

বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে জার্মানি আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির নবনিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাণিজ্য বহুমুখীকরণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে জার্মানি বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান কার্যক্রম গতিশীল রাখবে।

এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিরও প্রশংসা করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

জার্মানিকে আরও বেশি পরিমাণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, ওষুধ, প্লাস্টিক পণ্য, পাদুকা, সাইকেল এবং চামড়াজাত পণ্য আমদানির আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ এবং জার্মানির মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক জোরদার করতে উভয় দেশের বাণিজ্যকে বহুমুখী করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে উভয় দেশের লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে জার্মানি বাংলাদেশি পণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য, যা আমাদের মোট রপ্তানি আয়ের ১০.৯৬ শতাংশ। এ সময় উপদেষ্টা জার্মানির আমদানিকারকদের প্রতি আরও বেশি পরিমাণে এ দেশের তৈরি পোষাক, হোম টেক্সটাইল, ওষুধ, প্লাস্টিক পণ্য, পাদুকা, সাইকেল এবং চামড়াজাত পণ্য আমদানির আহ্বান জানান।

জার্মানির রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ বলেন, বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে জার্মানি একসাথে কাজ করতে আগ্রহী। অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাণিজ্য বহুমুখীকরণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে তার দেশ বাংলাদেশের সাথে চলমান কার্যক্রম গতিশীল রাখবে।এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিরও প্রশংসা করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জার্মানিতে ৪ হাজার ৮৫০ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং আমদানি মূল্য পরিশোধ করেছে ৯৪০ দশমিক ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান ও জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন এনজা ক্রিস্টেন উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mother hilsa is a fine of illegal net seizure in Daulatpur to protect the hilsa

মা ইলিশ রক্ষায় দৌলতপুরে অভিযান, অবৈধ জাল জব্দ, এক জেলেকে জরিমানা

মা ইলিশ রক্ষায় দৌলতপুরে অভিযান, অবৈধ জাল জব্দ, এক জেলেকে জরিমানা

মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা অভিযানে প্রায় ৩ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।

অভিযান চলাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জনি হোসেন (৩০) নামের এক অসাধু জেলেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ। পরে জব্দকৃত জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এর আগে মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে আরও ৫ হাজার মিটার অবৈধ জাল ধ্বংস করা হয়েছিল।

অভিযানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমদ, দৌলতপুর থানা পুলিশের সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমদ বলেন, “মা ইলিশ রক্ষায় বর্তমানে পদ্মা নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রাখতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আজকের অভিযানে ৩ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এসম এক জেলেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

মন্তব্য

p
উপরে