দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ পেরিয়েছে। ভাইরাসের দাপটও কমতে শুরু করেছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো এখনই বন্ধ হচ্ছে না। সংক্রমণের নিম্নমুখী প্রবণতায় আরও কিছুদিন অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে হাসপাতালগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম বাড়ানো হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও রাজধানীর একাধিক কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বৃহস্পতিবার নিউজবাংলাকে এমন তথ্য জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. ফরিদ উদ্দীন মিয়া বলেন, ‘দেশে দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে করোনার সংক্রমণ চলছে। এর মধ্যে কখনও সংক্রমণ বেড়েছে কখনও বা কমেছে। ইতোমধ্যে সংক্রমণের তিনটি ঢেউ পার হয়েছে।
‘মাঝখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় চলে এসেছিল। তখন কোভিড হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছিল। যা এখনও বহাল রয়েছে। ওমিক্রনের প্রভাবে তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়। রোগী বাড়ায় হাসপাতালগুলো শুধু করোনা আক্রান্তদেরই সেবা দিচ্ছিল। এখন সংক্রমণ ফের নিম্নমুখী হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী টানা দুই সপ্তাহ দৈনিক শনাক্ত পাঁচ শতাংশের নিচে থাকলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলা যায়। ফলে ভাইরাসটির চলমান নিম্নগামী পরিস্থিতি আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে পৃথক একটি ইউনিট রেখে সাধারণ রোগীদের সেবা কার্যক্রম চালু করা হতে পারে। প্রেষণে থাকা চিকিৎসক নার্সদের আগের কর্মস্থলে পাঠিয়ে দেয়া হতে পারে।’
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক কর্নেল নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালটি কোভিড ডেডিকেটেড হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে অন্যান্য সেবা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। মাঝখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বর্হিবিভাগ সাধারণ রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে তৃতীয় ঢেউ আসায় শুধু করোনা রোগী ভর্তি হচ্ছিল। এখন কমতে থাকায় আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি।’
তিনি বলেন, ‘ফেব্রেুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জরুরি বিভাগে দৈনিক ৩০০ জনের মতো রোগী আসতো, ভর্তি প্রায় আড়াইশ জনের মত ভর্তি হতো। বর্হিবিভাগে তিনশ রোগী সেবা নিত। এখন আইসিইউ, এইচডি ও অন্যান্য বিছনা মিলে দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ জনের মত সেবা নিচ্ছে। ফলে আগামী ২ মার্চ থেকে পুরোদমে সব বর্হিবিভাগ ও আন্তবিভাগ সেবা চালু হবে। এ লক্ষ্যে হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। পাশাপাশি করোনা ওয়ার্ড থাকবে।’
উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিহাব উদ্দিন বলেন, ‘অন্যান্য হাসপাতালের মত এখানেও রোগী ভর্তি কমছে। তবে পাশে বিমানবন্দর থাকায় প্রতিদিন সেখান থেকে ৪০-৫০ জন করোনা সন্দেহভাহন ব্যক্তিদের হাসপাতালের বর্হিবিভাগে পাঠানো হচ্ছে। ট্রায়াজ (শারীরিক অবস্থা পর্বেবেক্ষণ) পদ্ধতিতে তাদের সেবা দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে ভর্তি করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ২০০ বেড কোভিড ডেডিকেটেড। এর মধ্যে আন্তঃবিভাগে দৈনিক গড়ে ২০ জনের মত রোগী ভর্তি থাকছে। রোগী কমে যাওয়ায় ১ মার্চ থেকে সাধারণ রোগীদের সেবা কার্যক্রম আমরা চালুর চিন্তাভাবনা করছি। তবে এ বিষয়ে স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে নির্দেশনা এখনো আসেনি। এছাড়া এখানে প্রেষণে আসা চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য জনবলের ব্যপারে যে সিদ্ধান্ত হবে সেটা জানানো হয়নি। নির্দেশনা আসলে সেভাবে কার্যকর করা হবে।’
মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, ‘সংক্রমণ নিন্মগামী হওয়ায় দৈনিক তিন-চারজন করে করোনা রোগী ভর্তি হচ্ছে। এখন আইসিইউতে ৬ জন সহ মোট ৩০ জন ভর্তি রয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে গড়ে ৩০ জন ভর্তি থাকছে। এছাড়া ২২৫ জনের মতো নন-কোভিড রোগী আছে। বর্হিবিভাগ চালু রয়েছে। এন্টিজেন টেষ্টসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সংক্রমণ কমলেও আমাদের আগের মত ১৫০ বিছানা প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি আইসিইউ ও এইচডিইউ বেড রয়েছে। অফিসিয়ালি ডিক্লিয়ারেশন না আসা পর্যন্ত কোনকিছুই কমানো হবে না।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আহসানুল কবীর সুমন, ‘ডেল্টার মতো এবার হাসপাতালে ভতি হওয়ার প্রবণতা অনেক কম ছিল। সেই কারণে তৃতীয় ঢেউয়ে হাসপাতালে তেমন কোনো চাপ পড়েনি। গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন একটা থেকে দুইটা রোগী আসছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল মাত্র ১০ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।’
করোনা নিয়ন্ত্রণে আসছে, এই হাসপাতালে কী কাজে ব্যবহার হবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করলেও এটি বন্ধের কোন নির্দেশনা আসেনি। ফলে বিছানা ছাড়া অব্যবহৃত মেডিক্যাল সরঞ্জাম সচল রাখতে নিয়মিত স্টোররুমে নিয়ে রিসাইকেল করা হচ্ছে। এ কাজে চিকিৎসক নার্স ও সংশ্লিষ্টরা সহায়তা করছেন।’
ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত করোনা সেবায় গঠিত দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল। এই হাসতাপালে রোগী সেবার ২০০ জন চিকিৎসক নিয়োজিত। স্বাস্থ্যকর্মীও প্রায় এমন। তবে এই হাসপাতালে বর্তমানে করোনা আক্রান্ত হয়ে রোগী ভর্তি রয়েছে মাত্র ৫০ জন। প্রতিদিন গড়ে ১০ জন রোগী আসছেন। তার অধিকাংশই গ্রাম থেকে।
এই হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফাতেমা তুজ জোহারা জ্যোতি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১ হাজার শয্যা হাসপাতালে বর্তমানে ৫৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ১০ জন। এ সময় ৬ রোগী মারা গেছে। আইসিইউতে আছেন ৯ জন। এই হাসপাতালে যেসব রোগীগুলো আসে অনেক জটিল পরিস্থিতি নিয়ে।
‘করোনা নিয়ন্ত্রণে আসছে, এই হাসপাতাল কিভাবে চলবে এটার কোনো পরিকল্পানা এখনও করা হয়নি। সরকার যেভাবে নির্দেশনা দেবে সে ভাবেই কাজ করা হবে। রোগীর চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।
রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
রাজধানী ঢাকার বস্তির শিশুদের দেহে নীরব ঘাতক সিসার বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব শিশুদের ৯৮ শতাংশের দেহে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসা শনাক্ত করা হয়েছে।
আইসিডিডিআরবির (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার আইসিডিডিআরবির সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) শিশুদের দেহে প্রতি লিটারে ৩৫ মাইক্রোগ্রামের উপস্থিতিকে উদ্বেগজনক মাত্রা বলে বিবেচনা করে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সিসার যেকোনো মাত্রাই শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
আইসিডিডিআরবি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে থাকা বস্তির শিশুদের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। ওই গবেষণায় ২ থেকে ৪ বছর বয়সী ৫০০ শিশুর রক্তের নমুনা নেওয়া হয়।
আইসিডিডিআরবির অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট ডা. জেসমিন সুলতানা জানান, এসব শিশুর রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে অর্ধেকের শরীরের এই মাত্রা ছিল ৬৭ মাইক্রোগ্রামের বেশি। গবেষণায় দেখা যায়, সিসা পোড়ানো, গলানো বা রিসাইক্লিংয়ের (পুনঃচক্র) মতো কাজগুলো যেখানে হয়, সেসব এলাকার শিশুদের মধ্যে সিসায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।
উদাহরণ দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, গবেষণায় চিহ্নিত সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের রক্তে সিসার মাত্রা ছিল পাঁচ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে বসবাসকারী শিশুদের তুলনায় ৪৩% বেশি। সিসার অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে ঘরের ভেতর ধূমপান, দূষিত ধূলিকণা, সিসাযুক্ত প্রসাধনসামগ্রী ও রান্নার পাত্র।
এই আলোচনা সভা থেকে লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি বানানো বা রিসাইক্লিং করার কারখানা বা স্থান, অথবা যেসব কারখানা বা স্থাপনায় সিসা গলানো বা পোড়ানো হয়, এমন সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিলে বা দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নিলে সেসব এলাকার শিশুদের সিসা দূষণ থেকে বাঁচানো সম্ভব।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির রিসার্চ ট্রেইনি ডা. সানজিদা তাপসি আদিবা। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির হেলথ সিস্টেম অ্যান্ড পপুলেশন স্টাডিজ ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. সারাহ স্যালওয়ে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত বাসসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. বাবু মিয়া (৩৬) ও মো. রাকিবুল হাসান (২৮)। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিবি-মতিঝিল বিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় মাদক কারবারি একটি যাত্রীবাহী বাসে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ যাত্রাবাড়ীর আসমা আলী সিএনজি রিওয়েলিং অ্যান্ড ওয়ার্কশপ লি. এর পূর্ব পাশে হামজা বডিবিল্ডারের সামনে অবস্থান করছে বলে জানতে পারে।
পরে দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত একটি বাসসহ বাবু ও রাকিবুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রি করত বলে স্বীকার করে।
মন্তব্য