ইউক্রেন থেকে ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে বৃহস্পতিবার ছেড়ে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান মাঝপথ থেকেই ফিরে এসেছে। দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ায় বিমানটি আগ্রাসনের আশঙ্কায় দিল্লিতে ফিরেছে।
এয়ারলাইনসটির মুখপাত্র বলেছেন, দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ায় কিয়েভ নোটাম (বিমানকর্মীদের জন্য সম্ভাব্য বিপদের সতর্ক বার্তা) জারি করেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে বিমানটি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কিয়েভের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল।
কর্মকর্তারা জানান, নোটাম জারি হওয়ার পরই এয়ার ইন্ডিয়া ও কেন্দ্রীয় সরকার বিমানটিকে দিল্লিতে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর দিল্লিতে ফেরার জন্য বিমানটি ইরানের আকাশসীমা বেছে নেয়।
অন্যদিকে ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের একটি বিমান কিয়েভ থেকে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতীয়দের উদ্ধার করে আনতে এবার বিকল্প পথের কথা চিন্তাভাবনা করছে ভারত সরকার। ইতোমধ্যে সরকারের তরফে ২৪ ঘণ্টার বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। কিয়েভে যারা রয়েছেন, তাদেরও সুরক্ষিত জায়গায় আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইউক্রেনে ভারতীয় দূতাবাসে আরও বেশ কিছু কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে, যারা রুশ ভাষা বলতে পারেন। ইউক্রেনের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও প্রতিনিধি পাঠানো হচ্ছে।
কিয়েভে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে সেখানে থাকা ভারতীয়দের, বিশেষত যারা কিয়েভের পশ্চিম অংশ থেকে যাতায়াত করছেন, তাদের অস্থায়ীভাবে নিজেদের শহরে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। পশ্চিমের সীমান্তবর্তী দেশগুলোয় সুরক্ষিত জায়গায় তাদের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
জাতীয় নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করার ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ চলছে মন্তব্য করে দেশের শিক্ষক সমাজকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যোগে শিক্ষকদের এক সমাবেশে তিনি বলেন, আপনাদের আমি বলতে চাই, আসন্ন যে নির্বাচন সেই নির্বাচনে আপনাদের একটা বিরাট ভূমিকা আছে, আপনারা প্রতিটি জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন। আজকে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে যে, সেই নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করবার। কেউ যেন সেটাকে (নির্বাচন) ভিন্ন খাতে পরিচালিত করতে না পারে, সে দিকে আপনারা সজাগ সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই, আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের সেই সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা আমাদের নেতার যে স্বপ্ন সেই… আমাদের পথ একটাই সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বিএনপি সমর্থিত শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ আয়োজন করে। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা, অবসর বয়স ৬৫ বছর নির্ধারণ, নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ ও শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ।
শিক্ষকদের দাবি-দওয়ার সবকিছু বিএনপির ৩১ দফার কর্মসূচিতে আছে দাবি করে দলের মহাসচিব ফখরুল বলেন, আমাদের জাতি হিসেবে আপনাদের কাছে একটা দাবি আছে, সে দাবিটা হচ্ছে যে আপনারা আপনাদের ছাত্রদেরকে ছাত্রীদেরকে, আমাদের সন্তানদেরকে এমন করে গড়ে তুলবেন, যেন তারা সত্যিকার অর্থেই আদর্শ নাগরিক হতে পারে, নৈতিকতার মধ্যে থাকতে পারে। আমরা সবাই মিলে যেন একটা আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি।
সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদেন মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপউপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুগিজউদ্দিন চৌধুরী।
সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, আফরোজা বেগম রীতাসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
ইরাকে ৩৫ হাজার বন্দিকে সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে কারাগার ও আটক কেন্দ্র থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। পাশাপাশি চুরি ও দুর্নীতির ৩৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে।
কাউন্সিল জানায়, এই আইনের অধীনে আরও ১ লাখ ৪৪ হাজারজন মুক্তি পেতে পারেন বা কারাদণ্ড এড়াতে পারেন। তাদের মধ্যে বিচারপূর্ব আটক ব্যক্তিরা এবং জামিনপ্রাপ্ত বা যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, তারাও অন্তর্ভুক্ত। চলতি বছরের শুরুতে পাস হওয়া ক্ষমা আইনের অধীনে এ মুক্তি ঘোষণা করা হয় বলে গতকাল মঙ্গলবার এবিসি নিউজের সংবাদে বলা হয়েছে।
কারাগারের অতিরিক্ত ভিড় কমানোর একটি উপায় হিসেবে গত জানুয়ারিতে এই আইন পাস করা হয়। ইরাকের বিচারমন্ত্রী গত মে মাসে বলেছিলেন, দেশটির ৩১টি কারাগারে প্রায় ৬৫ হাজার বন্দী রয়েছেন, যদিও সেগুলোর ধারণক্ষমতা এর প্রায় অর্ধেক।
এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে জানা যায়, এ সাধারণ ক্ষমা আইন দুর্নীতি, চুরি ও মাদক ব্যবহারের মতো অপরাধের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ-সম্পর্কিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কিছু লোককেও অন্তর্ভুক্ত করে। তবে সন্ত্রাসবাদে যুক্ত কোনো হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি এ ক্ষমার আওতায় আসবেন না।
এই আইন পাসের উদ্যোগ নিয়েছিলেন সুন্নি আইনপ্রণেতারা। তাদের দাবি, তাদের সম্প্রদায়কে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং অনেক সময় নির্যাতনের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। তবে অন্যরা আইনটির সমালোচনা করেছিলেন। তারা আশঙ্কা করছিলেন, এই আইনের ফলে চরমপন্থি ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা মুক্তি পেয়ে যেতে পারেন।
বিচার বিভাগীয় কাউন্সিল এই ক্ষমার অধীনে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ ছিল, এর বিস্তারিত কোনো তথ্য সরবরাহ করেনি।
এই নতুন আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান হলো, সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত কোনো ব্যক্তি যদি দাবি করেন—আটক অবস্থায় জোর করে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছিল, তবে তিনি পুনরায় বিচারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইনটির আওতায় মৃত্যুদণ্ডও স্থগিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকে ইরাককে মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগের পদ্ধতির জন্য কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। বিশেষত, বন্দীদের আইনজীবী বা পরিবারের সদস্যদের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে গণহারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়।
চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জন ক্লার্ক, মাইকেল ডেভোরেট ও জন মার্টিনিস। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে তাদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স।
ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং এবং ইলেকট্রিক সার্কিটে এনার্জি কোয়ান্টাইজেশন গবেষণার জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানীরা পাবেন একটি মেডেল, একটি সনদপত্র এবং মোট ১১ মিলিয়ন বা ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। যেসব বিভাগে একাধিক নোবেলজয়ী থাকবেন, তাদের মধ্যে এই ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা ভাগ হয়ে যাবে। বর্তমান বাজারে এর মান প্রায় ১২ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, সাহিত্য, অর্থনীতি ও শান্তি- এই ছয়টি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত হয় নোবেল। চিকিৎসা ও পদার্থবিদ্যার পর বুধবার রসায়ন, বৃহস্পতিবার সাহিত্য ও শুক্রবার শান্তিতে নোবেলজয়ীদের নাম জানানো হবে। সবশেষে আগামী ১৩ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম। আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে পুরস্কার বিতরণী।
এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার ঘিরে রয়েছে আলোচনা। ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েকটি আরব রাষ্ট্রের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ‘আবরাহাম অ্যাকোর্ডস’ চুক্তিতে ভূমিকা রাখার জন্য এক রিপাবলিকান কংগ্রেসওমেন গত ডিসেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মনোনীত করেন। এর আগে ২০১৮ সাল থেকে দেশ-বিদেশের রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে শান্তিতে নোবেলের জন্য ট্রাম্প একাধিকবার মনোনয়ন পেয়েছেন।
নোবেল পুরস্কার ঘোষণার প্রক্রিয়া খুবই গোপন। সাধারণত মনোনীতদের নাম প্রকাশ করা হয় না। এছাড়া বিচারকদের আলোচনা-পর্যালোচনা পরের ৫০ বছর পর্যন্ত গোপন রাখা হয়। তবে মনোনয়নদাতারা চাইলে নিজেদের প্রস্তাবের কথা প্রকাশ করতে পারেন।
তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত বেরিস একিঞ্চি মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করা এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তিখাতে নতুন অংশীদারত্বের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত একিঞ্চি বলেন, ‘এটি আমার বাংলাদেশের প্রথম সফর।” তিনি বাংলাদেশের আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা পৌঁছে দেন। একই সঙ্গে তিনি প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করে বলেন, ‘আমরা আমাদের সম্পর্ককে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও উচ্চতায় নিতে চাই। জুলাই বিপ্লবের পর এটি এক নতুন সূচনা—দুই দেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তিসহ বহু ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’
তিনি জুলাই বিপ্লবে আহত সাতজন বাংলাদেশিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করায় তুরস্ক সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী একিঞ্চি বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় তুরস্কের অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘তুরস্ক সবসময় শিক্ষা উন্নয়নে উৎসাহ দেয় এবং বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি বৃত্তি ও বিনিময় কর্মসূচি চালু রেখেছে।’
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আমানুল হক এবং পূর্ব ইউরোপ ও সিআইএস উইংয়ের মহাপরিচালক মো. মোশারফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, সরকারি অনুদান পাওয়া চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলী উন্নত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় সার্বিক সহযোগিতা করবে।
বুধবার রাজধানীর তথ্য ভবনে চলচ্চিত্রের নির্মাতা ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপার্টদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাণের বিষয়ে গাইডলাইন দেওয়া হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এই কর্মশালার আয়োজন করে।
চলচ্চিত্র নির্মাতাদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণে সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা উন্নয়নের বিকল্প নেই। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই কর্মশালায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপার্টরা যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে তা তরুণ নির্মাতাদের সমৃদ্ধ করবে।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই চলচ্চিত্র নির্মাণে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা চালু রয়েছে। বাংলাদেশে এখনো সে রকম পূর্ণাঙ্গ কাঠামো তৈরি হয়নি। তবে কবিরপুর ফিল্ম সিটি নির্মিত হলে চলচ্চিত্র নির্মাণে আধুনিক ও সমন্বিত অবকাঠামো গড়ে উঠবে।
সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, এবারই প্রথম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিয়ে এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অনুদানে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে এই কর্মশালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর থেকে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নির্মাতাদের চলচ্চিত্রের মান আরও উন্নত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম ইমরান হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
রাষ্ট্রমালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের আওতাধীন শাখা ব্যবস্থাপকদের অংশগ্রহণে আগস্ট ২০২৫ ভিত্তিক ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৮ অক্টোবর) সিলেটের ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এ ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম। এ সময় ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্রেণীকৃত ও অবলোপনকৃত ঋণ হতে আদায়, লো কস্ট, নো কস্ট আমানত সংগ্রহ, নতুন হিসাব খোলা, সিএমএসএমই ঋণ বিতরণ, গ্রাহকদের নিকট প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং সেবা পৌছে দেয়া এবং মুনাফার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান তানভীর এবং আদায় বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মো. মাহমুদুল ইসলাম।
এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক কমল ভট্টাচার্য্য।
এ সময় ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক মো. ফজলুল হক, জয়া চৌধুরী, বিপ্লব কুমার তালুকদার, মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন, মাসুক-ই-এলাহী ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন কর্পোরেট শাখার নির্বাহীগণসহ সকল শাখা ব্যবস্থাপক উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল এভিয়েশন একাডেমিতে গত ০৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ২০২৫ তারিখে ‘সিকিউরিটি কালচার ইন এভিয়েশন’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিমান চলাচল খাতে নিরাপত্তা সংস্কৃতির (Security Culture) গুরুত্ব তুলে ধরা এবং বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সে কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
উক্ত কর্মশালা স্বাগত বক্তা ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক সিভিল এভিয়েশন একাডেমির পরিচালক জনাব প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী (Prasanta Kumar Chakraborty) । তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিমান চলাচলে সার্বিক নিরাপত্তা বলয় সংস্কৃতি গড়ে তোলা মানে হলো এমন একটি মানসিকতা তৈরি করা যেখানে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের অবস্থান থেকে নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। বিমানবন্দরসমূহ এবং সংশ্লিষ্ট স্থাপনা এবং যাত্রী ও বিমান চলাচলে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিমানবন্দরসমূহে একটি Positive Security Culture প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে আরও শক্ত অবস্থানে পৌঁছে যেতে সহায়তা করবে।
কর্মশালায় আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল; এভিয়েশন সিকিউরিটি কালচারের ধারণা ও গুরুত্ব, দৈনন্দিন কার্যক্রমে নিরাপত্তা সংস্কৃতি সংযুক্ত করার পদ্ধতি, বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা ও কর্মীদের ভূমিকা এবং এভিয়েশন নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য প্রতিবেদন ও প্রতিক্রিয়া প্রদানের কৌশল।
উক্ত কর্মশালায় বেবিচক এবং বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষক হিসেবে অংশ নেন। তারা অংশগ্রহণকারীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও কার্যকর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, বিমান চলাচলের নিরাপত্তা কেবল নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের দায়িত্ব নয়—বরং এটি বিমানবন্দরে কর্মরত প্রত্যেকের সম্মিলিত দায়িত্ব ও অংশগ্রহণের বিষয়।
এছাড়া দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংস্কৃতি জোরদার করতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। অংশগ্রহণকারী "নিরাপত্তা সবার আগে" এই মনোভাব পোষণ করে বাংলাদেশের বিমান চলাচল খাত আরও নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও টেকসই করার লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এই কর্মশালাটি আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (ICAO) গ্লোবাল এভিয়েশন সিকিউরিটি প্ল্যান (GASeP)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের বিমান চলাচল নিরাপত্তা জোরদারে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চলমান প্রচেষ্টারই অংশ হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।
মন্তব্য