× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The way the poor will get pension for everyone
google_news print-icon

সবার জন্য পেনশন যেভাবে, পাবে গরিবও

সবার-জন্য-পেনশন-যেভাবে-পাবে-গরিবও
সর্বজনীন পেনশন প্রথায় থাকছে- কন্ট্রিবিউশন ও ডোনেশন সিস্টেম। কন্ট্রিবিউশন প্রথায়-যার যত টাকা জমা থাকবে, তার তত বেশি পেনশন সুবিধা পাওয়ার সুযোগ থাকবে, যা তার শেষ জীবনকে করবে আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্যময়। অপরদিকে আর্থিকভাবে অক্ষমদেরও বিমুখ করবে না এই উদ্যোগ। যারা কোনো টাকা জমাতে পারবেন না, তাদের জন্য অনুদান দেবে সরকার।

সরকারি চাকুরেদের বাইরে বেসরকারি চাকরিজীবী বা অন্য পেশার প্রবীণদের জন্য পেনশন সুবিধা নিশ্চিত করার কার্যক্রম শুরু হতে পারে চলতি বছরের মধ্যেই। তবে তা বাস্তবায়ন করতে করতে ২০২৫ সাল লেগে যেতে পারে।

এই পেনশন ব্যবস্থা পুরোদমে চালু হওয়ার পর থেকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগপ্রাপ্তদেরও এই ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অর্থাৎ, তখন সরকারি-বেসরকারিতে আলাদা পেনশন বলে কিছু থাকবে না।

এখানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সুবিধাভোগীরা কর্মক্ষম থাকার সময় একটি হিসাবে টাকা জমা রাখবেন। তবে যারা টাকা জমাতে অক্ষম, তারাও এই সুবিধার বাইরে থাকবেন না।

সবার জন্য পেনশন আওয়ামী লীগের গত আমলের চিন্তা। আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থমন্ত্রী থাকাকালে ২০১৭-১৮ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে তিনি একটি রূপরেখা দিয়েছিলেন। এ জন্য পাইলট প্রকল্পের কথা বলেছিলেন তিনি।

সর্বজনীন পেনশনকে মুহিত তার স্বপ্নের প্রকল্প উল্লেখ করলেও একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর আ হ ম মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রী হওয়ার পর এ বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কাজ চলেনি।

তবে সরকারের নানা কাজ যে পর্দার আড়ালে হয়েছে, সে বিষয়টি স্পষ্ট হলো গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তন’ বিষয়ে একটি উপস্থাপনা দেয় অর্থ বিভাগ।

এরপর প্রধানমন্ত্রী ষাটোর্ধ্ব জনগণের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রণয়ন এবং কর্তৃপক্ষ স্থাপনের নির্দেশ দেন। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার আলোকে বিভিন্ন নির্দেশনার পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে আইন করার উদ্যোগ নিতে অর্থ বিভাগকে নির্দেশ দেন তিনি।

তবে এই পেনশন কীভাবে দেয়া হবে, সে বিষয়ে সেই অনুষ্ঠানে কিছু জানানো হয়নি।

দুই পদ্ধতি

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সর্বজনীন পেনশন প্রথায় থাকছে- কন্ট্রিবিউশন ও ডোনেশন সিস্টেম।

কন্ট্রিবিউশন প্রথায়-যার যত টাকা জমা থাকবে, তার তত বেশি পেনশন সুবিধা পাওয়ার সুযোগ থাকবে, যা তার শেষ জীবনকে করবে আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্যময়।

অপরদিকে আর্থিকভাবে অক্ষমদেরও বিমুখ করবে না এই উদ্যোগ। যারা কোনো টাকা জমাতে পারবেন না, তাদের জন্য অনুদান দেবে সরকার। এ ক্ষেত্রে ভিন্ন পলিসিতে একটা ন্যূনতম পেনশন-সুবিধা নিশ্চিত করবে, যাতে শেষ জীবনে তাদের কারও মুখাপেক্ষী না হতে হয়।

তবে কন্ট্রিবিউশন কিংবা ডোনেশন উভয় পদ্ধতিতেই সর্বজনীন পেনশন সুবিধাভোগীর বয়স হতে হবে ৬০ এবং তাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে পেনশন তহবিলে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

ষাটোর্ধ্ব হলেই সুবিধাভোগীরা এককালীন অর্থ পাওয়াসহ নিজের জমা অনুযায়ী আজীবন মাসিক অর্থ পাবেন। অন্তর্ভুক্তির পর কেউ মারা গেলে তার পরিবারের সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় দায়িত্বশীল-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাটির বিস্তারিত তথ্য জানাতে সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার রয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক। ওই বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও এই পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে ব্রিফিং করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশে যত দ্রুত সম্ভব সর্বজনীন পেনশন প্রথা চালু করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই আন্তরিক। চলতি বছরের মধ্যেই এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।’

এই পেনশন ব্যবস্থার রূপরেখাটি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে এখন কাজ করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বেসরকারি খাতে সবাই পেনশন পাবেন।’

তিনি জানান, বেসরকারি খাতে আবার সক্ষম ও অক্ষম দুটি শ্রেণি থাকবে। সক্ষমরা নিজের মাসিক আয় থেকে প্রতি মাসে একটি সুনির্দিষ্ট টাকা জমা রাখবে। সেটা সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা হতে পারে।

এভাবে ২০ বছর বা ৩০ বছর বা তার চেয়ে বেশি সময় টাকা জমা হতে পারে। তবে পেনশন পেতে হলে প্রত্যেককে ন্যূনতম ১০ বছর পেনশন ফান্ডে টাকা জমাতে হবে।

এ ক্ষেত্রে যার যার জমার ভিত্তিতে একটা হিসাব হবে। ওই হিসাবেই নির্ধারিত হবে তিনি কত টাকা পেনশন সুবিধা পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এই সিনিয়র সচিব বলেন, ‘যারা টাকা জমা করতে পারবেন না, তাদের জন্য সরকারকে হয়তো একটা পলিসি নিতে হবে। এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সক্রিয় বিবেচনা রয়েছে।‘

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রসেসটা শুরু হয়েছে। এর জন্য একটা আইন তৈরি করা লাগবে, বিধি তৈরি করতে হবে, একটা কর্তৃপক্ষ গঠন করতে হবে। এরপরই আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে।’

অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রগুলোর দাবি, আগামী দেড়-দুই মাসের মধ্যেই সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুর জন্য আইন প্রণয়নের কাজ শেষ হবে। আইনের আওতায় অথরিটি গঠন করে আগামী অর্থবছর থেকেই এ পেনশন ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।

টাকা অলস ফেলে রাখবে না সরকার

প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, সর্বজনীন পেনশন তহবিলে যত অর্থ জমা পড়বে, তার একটা অংশ ট্রেজারি বিল, বন্ডে বিনিয়োগ করবে সরকার। বাকি অংশ সরকারের লাভজনক বিভিন্ন অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করা হবে। পেনশন তহবিলের অর্থ ব্যবহারজনিত কারণে সরকার ১০ শতাংশ হারে সুদ পরিশোধ করবে।

কত বয়সে টাকা জমা

৫০ বছর বয়স পর্যন্ত যে কেউ পেনশন তহবিলে টাকা জমাতে পারবেন। কেউ চাইলে ৪০ বছর বয়সেও শুরু করতে পারবেন। ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের পেনশন চাঁদা বহন করার সক্ষমতা থাকলে তারাও এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।

ইচ্ছুকরা নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে পেনশন হিসাব খুলতে পারবেন।

তবে সর্বজনীন পেনশন প্রথার ধারণাটি যেহেতু ষাটোর্ধ্বের জন্য এবং তা শুরু করার পর কমপক্ষে ১০ বছর অব্যাহত রাখতে হবে- সে কারণে ৫০ বছরের বেশি বয়সের কেউ টাকা জমা করতে পারবেন না।’

যাদের টাকা জমানোর সামর্থ্য নেই তাদের জন্য সরকার কিছু টাকা দেবে, তবে পেনশন সুবিধাভোগীদের আত্মমর্যাদা রক্ষায় একটি ন্যূনতম চাঁদা ধার্য করা হতে পারে। তার পরিমাণ হতে পারে মাসিক সর্বনিম্ন ১০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে আয় বাড়ালে চাঁদার পরিমাণ বাড়ানোরও সুযোগ রাখা হতে পারে।

টাকা জমা শুরু করে পরে দিতে না পারলে কী হবে

বেসরকারি চাকরির নিশ্চয়তা না থাকায় কেউ ১০ বছর ধরে নিশ্চিতভাবেই পেনশন তহবিলে টাকা জমাতে পারবেন- এ বিষয়টি নিশ্চিত নয়।

কেউ টাকা জমা করা শুরু করে চাকরি হারিয়ে পরে আর দিতে না পারলে কী হবে- এমন প্রশ্নে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা অনেকটা ব্যাংক ঋণের কিস্তির মতো। তবে ব্যাংকের কিস্তি খেলাপি হলে সুদ দিতে হয়। এখানে তা দেয়া লাগবে না। ধারাবাহিকতা রক্ষায় যত মাস গ্যাপ পড়ে, তা তিনি বাড়তি পরিশোধ করে তা রিকভার করে নিতে পারবেন।

‘তাছাড়া আগামীতে সরকারি চাকরির মতো বেসরকারি সব খাতের চাকরিতেও একটা স্থায়ী রীতিনীতি তৈরি হবে। তা মানতেও নিয়োগকর্তাকে বাধ্য করা হবে। ফলে চাকরিজীবীরা ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারবেন।’

কত জমা পড়বে

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতায় ১৮ বছর বয়সী কেউ প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে পেনশন তহবিলে জমা দিলে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত তার জমার পরিমাণ হবে ৫ লাখ ৪ হাজার টাকা।

৪২ বছর ধরে এই পরিমাণ টাকা জমা দিলে বয়স ৬০ বছর অতিক্রম করার পর আমৃত্যু প্রতিমাসে চলার মতো পেনশন পাবেন তিনি।

আরও পড়ুন:
সর্বজনীন পেনশন: সরকারের পরিকল্পনা থাকতে হবে বাজেটে
আলোর মুখ দেখছে সবার জন্য পেনশন
সর্বজনীন পেনশন: কৌশলপত্র অনুমোদন শিগগিরই

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের উদ্যোগে শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) এবং টেকনাফ (কক্সবাজার) উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা হয় এবং বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করা হয়। শ্যামনগরের ৭টি এবং টেকনাফে ২টি বিদ্যালয়ে গাছের চারা রোপণ করা হয়।

সীমান্ত ব্যাংকের টেকনাফ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হোসেন এবং শ্যামনগর উপশাখার ব্যবস্থাপক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম যথাক্রমে টেকনাফ এবং শ্যামনগরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী সমন্বয় করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীগন স্বতঃস্ফূর্তভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prime Bank stands next to ICDDR B for life saving tuberculosis in Sylhet

সিলেটে জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা চিকিৎসায় আইসিডিডিআর,বি-এর পাশে দাঁড়ালো প্রাইম ব্যাংক

সিলেটে জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা চিকিৎসায় আইসিডিডিআর,বি-এর পাশে দাঁড়ালো প্রাইম ব্যাংক

বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজারো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে যক্ষ্মা (টিবি)। কেবল ২০২৩ সালেই ৪৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে- ফলে প্রতি ১২ মিনিটে একজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন যক্ষ্মায়। এই জাতীয় সংকট মোকাবেলায় সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করতে প্রাইম ব্যাংক বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি-এরর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে।

আজ (০৯ সেপ্টেম্বর) গুলশানে প্রাইম ব্যাংকের করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রাইম ব্যাংক এক বছরের জন্য আইসিডিডিআর,বি-এর সিলেট টিবি স্ক্রিনিং অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার (TBSTC)-এর যক্ষ্মা পরীক্ষার ও চিকিৎসা সেবার ধারাবাহিকতায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। প্রাইম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান ও. রশীদ এবং আইসিডিডিআর,বি-এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমীদ আহমেদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

দেশে যক্ষ্মা প্রতিরোধে দীর্ঘদিনের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৫ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে স্ক্রিনিং করেছে। এ সময়ে শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি টিবি রোগী, যার মধ্যে ১৮ হাজার শিশু। পাশাপাশি ৫,৫০০-এরও বেশি ওষুধ-প্রতিরোধী টিবি রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এই সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কমিউনিটির কল্যাণে তাদের অঙ্গীকার আরও জোরদার করছে। ব্যাংকটি প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু হ্রাস এবং একটি সুস্থ, সহনশীল বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bonded Warehouse Licensed

বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানিকৃত পণ্যচালান শুল্কায়নের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা প্রদান

বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানিকৃত পণ্যচালান শুল্কায়নের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা প্রদান

উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো।

০২। সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কাস্টমস হাউস/স্টেশনে আমদানিকালে দাখিলকৃত পণ্য ঘোষণায় প্রদত্ত পণ্যের বর্ণনা ও HS Code কায়িক পরীক্ষায় পণ্যের নমুনা কিংবা শুল্কায়ন পরবর্তী সময়ে পণ্যের ঘোষিত বর্ণনা পরিবর্তিত হয়, যা ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স অথবা প্রাপ্যতা শীট বা সংশ্লিষ্ট Utilization Declaration (UD) তে অন্তর্ভূক্ত থাকে না। ফলে শুল্কায়নকালে উহা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে যথাসময়ে কাঁচামাল/পণ্য খালাস না হওয়ায় রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য জাহাজীকরণে বিঘ্ন ঘটছে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অবগত হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বর্তমানে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ও রপ্তানি বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে জরুরি বিবেচনায় নিম্নরূপ নির্দেশনা প্রদান করা হলো:

(ক) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন HS Code নিরূপণ করলে এবং নিরূপিত HS Code এর প্রথম ৪ ডিজিট বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত HS Code এর প্রথম ৪ ডিজিট এর সাথে মিল থাকলে; আমদানিকারক পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে এই নিরূপিত HS Code বন্ড লাইসেন্সে ও ইউডিতে অন্তর্ভূক্ত করবেন মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউস এর কমিশনার এর নিকট দাখিল করবেন যার বিপরীতে কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।

(খ) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন বর্ণনা নিরূপণ করলে; আমদানিকারক পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্তরূপ নিরূপিত পণ্যের বর্ণনা বন্ড লাইসেন্সে ও ইউডিতে অন্তর্ভূক্ত করবেন মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউস এর কমিশনার এর নিকট দাখিল করবেন যার বিপরীতে কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।

গ) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভিন্ন HS Code নিরূপণ করা হলে এবং বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটের মাধ্যমে তার প্রাপ্যতায় উক্ত HS Code অন্তর্ভুক্ত করলে কাস্টমস হাউস এর কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করবেন এবং পণ্য চালান খালাসের তথ্য সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।

০৩। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে; এবং বর্তমানে উক্তরূপ কারণে শুল্কায়ন নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষমান পণ্যচালানসমূহের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Uttara Bank PLCs New Additional Managing Director

উত্তরা ব্যাংক পিএলসি. এর নতুন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক 'মাকসুদুল হাসান'

উত্তরা ব্যাংক পিএলসি. এর নতুন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক 'মাকসুদুল হাসান'

জনাব মাকসুদুল হাসান গত ০৯/০৯/২০২৫ তারিখে উত্তরা ব্যাংক পিএলসি. এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। এর আগে তিনি একই ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৯ সনে প্রবেশনারী অফিসার হিসেবে উত্তরা ব্যাংক পিএলসি. এ তার ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং এখন পর্যন্ত তিনি একই ব্যাংকে কর্মরত আছেন। তিনি শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে ব্যাংকের নন-এডি এবং এডি শাখায় দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে তিনি প্রধান কার্যালয়ে ২০০৬ সনে যোগদান করেন। প্রধান কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকে তিনি বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ও ডিভিশন যেমন- হিউম্যান রিসোর্সেস ডিভিশন, ইন্টারন্যাশনাল ডিভিশন, ব্যাংকিং কন্ট্রোল এন্ড কমন সার্ভিসেস ডিভিশন, ইন্টারনাল কন্ট্রোল এন্ড কমপ্লায়েন্স ডিভিশন, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট, জেনারেল সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট, ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট ও পাবলিক রিলেশন্স ডিপার্টমেন্টে কাজ করেছেন।

তিনি ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও ইন্দোনেশিয়ায় অফিসিয়াল বিভিন্ন সভা, কর্মশালা ও সম্মেলনে অংশ নেন। ২৬শে জুন ২০১৯ থেকে ৫ই জুন ২০২৩ পর্যন্ত তিনি ব্যাংকের প্রধান ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ব্যাংকের ইন্টিগ্রিটি রিওয়ার্ড পুরষ্কার লাভ করেন।

জনাব হাসান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসাবে ইংরেজী বিভাগ থেকে ১৯৮৫ সনে বি.এ (স্নাতক) ডিগ্রী এবং একই বিষয়ে ১৯৮৬ সনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি নেত্রকোনা জেলার মদন থানাধীন শিবপাশা গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Members of the Orange Club of Banglalink will enjoy special discounts at Walton Plaza across the country

দেশজুড়ে ওয়ালটন প্লাজায় বিশেষ ছাড় উপভোগ করবেন বাংলালিংকের অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা

দেশজুড়ে ওয়ালটন প্লাজায় বিশেষ ছাড় উপভোগ করবেন বাংলালিংকের অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা

নিজেদের অরেঞ্জ ক্লাব মেম্বারদের বিশেষ ছাড় সুবিধা দিতে সম্প্রতি ওয়ালটন প্লাজার সাথে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটির বাংলালিংক। সম্প্রতি, রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

এক্সক্লুসিভ লয়্যালটি প্রোগ্রাম ‘অরেঞ্জ ক্লাব’ -এর মাধ্যমে বাংলালিংক এর বিশেষ গ্রাহকদের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো থেকে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আকর্ষণীয় সুবিধা দিয়ে থাকে। নতুন এই অংশীদারিত্ব গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

এ অংশীদারত্বের ফলে, বাংলালিংকের অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা এখন থেকে দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা আউটলেটে সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ ছাড় পাবেন।

অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলালিংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির লয়্যালটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যানেজার জাইন জামান ও লয়্যালটি পার্টনারশিপ ম্যানেজার শাহাদাত এইচ মজুমদার। ওয়ালটন প্লাজার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রায়হান, নির্বাহী পরিচালক (এইচআরএম প্রধান) মো. ফয়সাল ওয়াহিদ এবং উপনির্বাহী পরিচালক ও প্রধান বিক্রয় নির্বাহী (প্লাজা সেলস-ওয়েস্ট) মীর মো. গোলাম ফারুক।

মার্কেটিং অপারেশনস ডিরেক্টর মেহেদী আল আমীন বলেন, “দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে আমরা সবসময়ই আমাদের অরেঞ্জ ক্লাব সদস্যদের জন্য নতুন নতুন সুবিধা প্রদান করার চেষ্টা করি। ওয়ালটনের সঙ্গে এই অংশীদারিত্বের ফলে অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য আরো সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে পারবে।”

ওয়ালটন প্লাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রায়হান বলেন, “বাংলালিংকের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত। ওয়ালটন সবসময় গ্রাহকদের জন্য সহজলভ্যতা ও সাশ্রয়ী দামে পণ্য দেওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। নতুন এই অংশীদারিত্ব আমাদের সেই লক্ষ্যকে আরও শক্তিশালী করবে। বাংলালিংকের সবচেয়ে বিশ্বস্ত গ্রাহকরা এখন আমাদের নানান মানসম্মত পণ্য অতিরিক্ত সুবিধাসহ উপভোগ করতে পারবেন।”

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Settlement Bank Partnership in NPSB Platform Memorandum of Understanding Between Pubali Bank PLC and Software Shop Limited SSL

পূবালী ব্যাংক পিএলসি. ও সফটওয়্যার শপ লিমিটেড (SSL) এর মধ্যে Settlement Bank Partnership in NPSB Platform সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

পূবালী ব্যাংক পিএলসি. ও সফটওয়্যার শপ লিমিটেড (SSL) এর মধ্যে Settlement Bank Partnership in NPSB Platform সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

পূবালী ব্যাংক পিএলসি. ও সফটওয়্যার শপ লিমিটেড (SSL) এর মধ্যে ঝবঃঃষবসবহঃ ইধহশ চধৎঃহবৎংযরঢ় রহ ঘচঝই Settlement Bank Partnership in NPSB (National Payment Switch Bangladesh) Platform সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সম্প্রতি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক হস্তান্তর করেন পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আলী ও সফটওয়্যার শপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম। সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে পূবালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শাহনেওয়াজ খান, সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট বিভাগ প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক ইন্দ্র মোহন সূত্রধর, কার্ড অপারেশন বিভাগ প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার রায় এবং অলটারনেটিভ ডেলিভারি চ্যানেল বিভাগ প্রধান ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. রবিউল আলম এবং সফটওয়্যার শপ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার আলম ইসহাক, গ্রুপ এডভাইজার আহমেদ কামাল খান চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক মোঃ মহিউদ্দিন তৌফিক-সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BRAC Bank brought success in the countrys first digital SME loan success

দেশের সর্বপ্রথম ডিজিটাল এসএমই লোন ‘সাফল্য’ নিয়ে এলো ব্র্যাক ব্যাংক

দেশের সর্বপ্রথম ডিজিটাল এসএমই লোন ‘সাফল্য’ নিয়ে এলো ব্র্যাক ব্যাংক

প্রান্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য দেশের প্রথম ইনস্ট্যান্ট ডিজিটাল ঋণসুবিধা ‘সাফল্য ই-লোন’ চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এই সুবিধার ফলে এখন থেকে ছোট ব্যবসায়ী, দোকানদার এবং প্রান্তিক উদ্যোক্তারা মাত্র কয়েক মিনিটেই সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন।
এসএমই-কেন্দ্রিক ব্যাংক হিসেবে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য দেশের প্রথম এই ই-লোন সুবিধা চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক, যা প্রান্তিক অঞ্চলের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
প্রান্তিক এসএমইদের বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড বলা হলেও কাগজপত্রের ঝামেলা, জটিল শর্তাবলি এবং ঋণ প্রদানে দীর্ঘসূত্রতার কারণে এই খাত দীর্ঘদিন ধরে ফরমাল ঋণসুবিধার বাইরে ছিলো। ফলে, তাঁরা একপ্রকার বাধ্য হয়েই উচ্চসুদে স্থানীয় ঋণদাতাদের কাছ থেকে ঋণ নিতেন, যেখানে তাঁদের আয়ের বড় একটি অংশই চলে যেতো। আবার, প্রতিটি ঋণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জনবল, ব্যয়বহুল ম্যানুয়াল প্রক্রিয়া ও বিলম্বের কারণে ব্যাংকের দিক থেকেও গ্রাহকসেবা বিঘ্নিত হতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমতিতে ব্র্যাক ব্যাংক ‘সাফল্য ই-লোন’ মডেল তৈরি করেছে, যাতে যাদের প্রয়োজন, তাঁদের কাছে খুব দ্রুত ও সহজেই এই আনুষ্ঠানিক ঋণসুবিধা পৌঁছে যায়। এখানে নেই ব্রাঞ্চে যাওয়া বা কাগজপত্রের ঝামেলা। গ্রাহকরা কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েই এই ডিজিটাল ঋণ নিতে পারবেন। আবেদনের কয়েক মিনিটের মধ্যেই অনুমোদিত অর্থ সরাসরি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা ব্যাপক উপকৃত হবেন।
ঋণ পরিশোধ প্রক্রিয়াটিও অত্যন্ত সহজ ও সুবিধাজনক। উদ্যোক্তারা তাঁদের সুবিধামতো চ্যানেল, যেমন- এজেন্ট পয়েন্ট, বিকাশ, ব্যাংকের শাখা বা উপশাখা, ব্যবহার করে ছয় মাসের সহজ কিস্তিতে ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন।
ইতিমধ্যে শেরপুর, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, জামালপুর, সাতক্ষীরাসহ দেশের দুর্গম চরাঞ্চলের ৫,০০০-এরও বেশি মানুষের কাছে এই ঋণসুবিধা পৌঁছে গেছে। পর্যায়ক্রমে এ সেবা আরও সম্প্রসারণ করা হবে। গ্রাম ও হাটবাজারে এখন আর ঋণের জন্য সপ্তাহের পর সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয় না; মাত্র কয়েক মিনিটেই ঋণের টাকা পোঁছে যাচ্ছে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে ব্যাংকটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, “প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন সুবিধা সহজ করার লক্ষ্যে ‘সাফল্য ই-লোন’ চালু ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ঋণ প্রক্রিয়া ডিজিটাল করার মাধ্যমে আমরা এখন দ্রুততম সময়ে এবং কম খরচে উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে পারছি। এই উদ্ভাবনী সেবার ফলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দৈনন্দিন সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি তাঁদের ব্যবসায়ের উন্নয়নও নিশ্চিত হবে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। প্রযুক্তি ও গ্রাহককেন্দ্রিক প্রোডাক্টের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি কোণে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ১০০টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

মন্তব্য

p
উপরে