ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় যে নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে, ভোট চলাকালে তার ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ টাকা জমা পড়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
অভিযোগের তদন্ত শুরু হলে সেই টাকার সিংহভাগ স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে সরিয়ে নেন সেই নির্বাচন কর্মকর্তা। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলছেন, তিনি শ্বশুরকে টাকা ধার দিয়েছিলেন। সেই টাকা ফেরত পেয়ে ব্যাংকে রেখেছিলেন।
গত ২৮ নভেম্বর চরভদ্রাসনের ১১টি ইউনিয়নে ভোট হয়। মনোনয়ন দাখিলের পর থেকে বিভিন্ন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করার ভয় দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠতে থাকে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এক হাজার ৭ ইউনিয়নে ২৮ নভেম্বর ভোটের তারিখ জানিয়ে গত ১৪ অক্টোবর তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থিতা জমা দেয়ার সুযোগ ছিল ২ নভেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয় ৪ নভেম্বর, প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ১১ নভেম্বর।
ভোটের পর গত ৩০ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে গাজীরটেক ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আহসানুল হক মামুন ও একই ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী আব্দুর রউফ নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব (সংস্থাপন-১) জিলহাজ উদ্দিন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান তদন্তে নেমে সাইফুলের সোনালী ব্যাংক হিসাবে প্রায় ২৪ লাখ টাকা গচ্ছিত পেয়েছেন।
গত বছরের অক্টোবর মাসের শেষের দিক থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দফায় এই টাকা জমা পড়েছে।
সাইফুল ইসলামের সোনালী ব্যাংক শাখায় একটি হিসাব রয়েছে। ভোট চলাকালে কোনো দিন এক লাখ, কোনো দিন দেড় লাখ, কোনো দিন দুই লাখ টাকা জমা রাখা হয়।
এক লাখ বা ৮০ হাজারের মতো ঘুষের টাকাগুলো নির্বাচন অফিসের কর্মচারী দিয়ে ব্যাংক হিসাবে জমা করেছেন এবং দুই লাখ বা আড়াই লাখের মতো অঙ্কগুলো তিনি নিজেই জমা দিয়েছেন।
তদন্ত কর্মকর্তারা ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার উৎস জানতে চেয়ে চিঠি দিলে সেই নির্বাচন কর্মকর্তা ২৪ লাখ টাকাই তার পারিবারিক লেনদেনের অর্থ বলেছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘চরভদ্রাসন উপজেলার নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত চলছে। তার ব্যাংক হিসাব তলব করা তারই অংশ। আর তার অভিযোগটি তদন্তাধীন। এ জন্য আর কিছু জানাতে পারছি না।’
অভিযোগকারীরা কী বলছেন
গাজীরটেক ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা মার্কায় ভোটে লড়া আহসানুল হক মামুন জানান, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রার্থিতা বাতিল করার ভয় দেখিয়ে প্রথম দফায় নগদ পৌনে দুই লাখ টাকা এবং পরে আরও দুই দফায় ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন।
সাইফুল ইসলামের সোনালী ব্যাংক শাখায় একটি হিসাব রয়েছে। ভোট চলাকালে কোনো দিন এক লাখ, কোনো দিন দেড় লাখ, কোনো দিন দুই লাখ টাকা জমা রাখা হয়। এক লাখ বা ৮০ হাজারের মত ঘুষের টাকাগুলো নির্বাচন অফিসের কর্মচারী দিয়ে ব্যাংক হিসাবে জমা করেছেন এবং দুই লাখ বা আড়াই লাখের মতো অঙ্কগুলো তিনি নিজেই জমা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ওই কর্মকর্তা মিথ্যাচার করছেন। তার শ্বশুর টাকা ধার নিয়ে আমার নির্বাচনের সময়ই সেই টাকা ফেরত দিলেন, এই বক্তব্য একেবারে ভিত্তিহীন। আর ওই কর্মকর্তা যদি টাকা ধার নিয়ে থাকবেন, তাহলে সেই টাকা কেন তার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে রাখবেন?’
একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) পদে নির্বাচনে অংশ নেয়া আব্দুর রউফ জানান, মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন কাগজপত্র পরীক্ষা করে সবকিছু ঠিক আছে বলে জানিয়ে দেন নির্বাচন কর্মকর্তা। তবে দুই দিন পর তিনি অফিসে ডেকে নিয়ে মনোনয়নপত্রের কোনো এক স্থানে সই না থাকার কথা বলে প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে বলে জানান। এ কথা বলে ৩ নভেম্বর ১৫ হাজার এবং ৪ নভেম্বর আরও ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পদে লড়াই করা শেখ শহীদুল ইসলামের স্ত্রী হাসিনা বেগম জানান, ভোট চলাকালে সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্বামীর পা ভেঙে যাওয়ার পর নানা কথা বলে ৪ নভেম্বর ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন সাইফুল ইসলাম।
চরহরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়াই করা জুলহাস শিকদার জানান, নির্বাচনী প্রচার চলাকালে প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়ে ৪ ও ৫ নভেম্বর দুই দফায় ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন।
একই ইউনিয়নের আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলীর অভিযোগ করেন তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবদুল বারেক মণ্ডলের কাছ থেকে নগদ ৪ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন সেই নির্বাচন কর্মকর্তা।
তদন্তের মধ্যে স্ত্রীর হিসাবে টাকা স্থানান্তর
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের সেই টাকার মধ্যে থেকে তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগমের ব্যাংক হিসাবে ২০ লাখ টাকা স্থানান্তর করেন।
সাইফুলের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগমও একজন নির্বাচন কর্মকর্তা। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলায় কর্মরত।
সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার শ্বশুর আমার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিল। সেই পাওনা টাকা আমাকে ফেরত দিলে উক্ত টাকা আমি ব্যাংকে জমা করার পর আবার আমার স্ত্রীর হিসাবে ট্রান্সফার করেছি। আর এর প্রতিবেদন ব্যাংকে জমা দিয়েছি। আর আমি কোনো ঘুষ গ্রহণ করিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ব্যাংক হিসাবের খবর সাংবাদিকরা জানল কীভাবে? আমি ব্যাংকের বিরুদ্ধে এলিগেশন দেব।’
তার শ্বশুর কী করেন, ২০ লাখ টাকা তিনি কেন কবে ধার নিয়েছিলেন, সেই টাকা সাইফুল কোথায় পেয়েছেন- এসব প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায়নি এই নির্বাচন কর্মকর্তা কথা বাড়াতে আগ্রহী না হওয়ায়।
তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগমও একজন নির্বাচন কর্মকর্তা। তিনি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় কর্মরত। তার কাছ থেকেও সেই টাকার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলবেন না বলে ফোন কেটে দেন।
আরও পড়ুন:উপহারের গাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এই গাড়ির নেই ফিটনেসের মেয়াদ, পরিশোধ করা নেই ট্যাক্সও।
সোমবার হবিগেঞ্জর চুনারুঘাট উপজেলার শিক্ষক এম মুখলিছুর রহমান তাকে এই গাড়ি উপহার দিয়েছেন। তবে ওই ফি জমা না দিয়ে গাড়ি রাস্তায় বের করতে পারবেন না হিরো আলম।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য বলছে, টয়োটা নোয়া ১৯৯৮ মডেলের পুরনো এই গাড়িটির ফিটনেস শেষ হয়েছে এক দশক আগে। একই সময় মেয়াদউত্তীর্ণ হয়েছে ট্যাক্স টোকেনেরও। সব মিলিয়ে গাড়িটি রাস্তায় নামাতে হলে সরকারকে হিরো আলমের পরিশোধ করতে হবে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার দুটি আসন থেকে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হিরো আলমকে গত ৩০ জানুয়ারি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের প্রিন্সিপাল এম মুখলেছুর রহমান তার ব্যবহৃত গাড়িটি উপহার দেয়ার ঘোষণা দেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ঘোষণার পর হিরো আলম গাড়িটি নিতে চাইলে মুখলেছুর রহমান গড়িমসি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে বেশ সমালোচিত হন ওই শিক্ষক।
আলোচনা-সামলোচনার পর মঙ্গলবার চুনারুঘাটের নিজ বাড়িতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হিরো আলমের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেন মুখলিছুর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি ওয়াদা করেছিলাম নির্বাচনে হিরো আলম জয়ী হোন বা না হোন পরের দিন আমার বাড়িতে আসলে আমি গাড়িটি তার হাতে তুলে দেব।
‘কিন্তু কিছু লোক বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার সমালোচনা করেছেন। এতে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। আমি সিলেটবাসীর সম্মান ক্ষুন্ন করতে দেব না। সম্মানের সঙ্গে আমি হিরো আলমকে গাড়িটি তুলে দিতে পেরে খুশি।’
গাড়ি উপহার পাওয়ার পর হিরো আলম বলেন, ‘আমার ভাই ভালোবেসে আমাকে গাড়িটি উপহার দিয়েছেন। আমি এই গাড়ি গ্রহণ করলাম। তবে এই গাড়িটি আমি নিজে ব্যবহার করব না। সাধারণ মানুষের কল্যাণে অ্যাম্বুলেন্স বানানোর জন্য গাড়িটি দান করে দেব।’
হিরো আলমের হাতে তুলে দেয়ার পর পুরনো এই গাড়িটির ফিটনেস নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে।
বিআরটিএর তথ্য বলছে, টয়োটা নোয়া মডেলের ১৮০০ সিসি পুরনো এই গাড়িটির ফিটনেসের মেয়াদউত্তীর্ণ হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই। একই বছরের ১৫ মার্চ টেক্স টোকেনের মেয়াদও শেষ হয়েছে।
রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ও ভ্যাট-টেক্সসহ সব মিলিয়ে এই গাড়িটি রাস্তায় নামাতে হলে সরকারকে পরিশোধ করতে হবে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ বিআরটিএর সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকে ওই গাড়ির ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেস সনদ নবায়ন নেই। এছাড়া আরও বিভিন্ন বিষয় মিলিয়ে গাড়িটি রাস্তায় নামাতে হলে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা পরিশোধ করতে হবে।’
এ ব্যাপারে এম মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘২০১৮ সালে গাড়িটি ৬ লাখ টাকায় আমি এফিডেভিটের মাধ্যমে কিনেছিলাম। আমি যখন গাড়িটি কিনি তখনই এটার ফিটনেস সনদের মেয়াদউত্তীর্ণ ছিল। এছাড়া সর্বশেষ ট্যাক্সও পরিশোধ করা হয় ২০১৩ সালেই।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হিরো আলম বলেন, ‘গাড়িটি নেয়ার আগে ফিটনেস ও ট্যাক্সের বিষয়টি জানতাম না। পরে জানতে পেরে কাগজপত্র যাচাই বাচাই করে বিষয়টি বুঝতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি বিআরটিএর সঙ্গে কথা বলব। যেহেতু আমি গাড়িটি মানবসেবার জন্য দান করেছি। সেহেতু মানবিক দিক বিবেচনা করে কিছু কম-বেশি করে গাড়িটি রাস্তায় নামানো যায় কি না সেটার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন:ছাগলের মাংসের মধ্যে কীটনাশক (বিষ) মিশিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সুন্দরবনে। বাঘের বিচরণ এলাকার আশপাশে রেখে আসা হয় সেই মাংস। এক পর্যায়ে বাঘ ওই মাংস খেয়ে মারা গেলে সেটির চামড়া ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে আসা হয়। পরে এক শ্রেণির সৌখিন মানুষের কাছে তা বিক্রি করা হয় প্রায় কোটি টাকা দামে।
বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার এভাবেই সুন্দরবন থেকে শিকার করে আসছিল একটি চক্র। এদের মধ্যে দুইজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার বিকেলে আটক করা ওই দুজন হলেন মো. হাফিজুর শেখ ও মো. ইসমাইল শেখ। তাদের বাড়ি সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ধলপাড়া গ্রামে।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘প্রথমে আমারা গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে এই বাঘ শিখার চক্রটি সম্পর্কে তথ্য পাই। পরে বাঘের চামড়া ও অঙ্গ-প্রত্যক্ষের ক্রেতা সেজে তাদেরকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি বাঘের চামড়া লবণ মাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।’
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২৭ জানুয়ারি ওরা শ্যামনগর উপজেলা সংলগ্ন সুন্দরবন থেকে বাঘটি শিকার করেছিলেন। পরে সৌখিন মানুষদের খুঁজছিলেন, যারা প্রায় কোটি টাকা মূল্য দিয়ে একেকটি বাঘের চামড়া কিনে থাকে।
‘যারা এসব বাঘের চামড়া কেনে তারাও আমাদের নজরদারিতে আছে। গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিকারিরা জানিয়েছেন, তারা মাছ ও গোলপাতা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে প্রবেশ করে বাঘ শিকার করতেন। সুযোগ বুঝে বনের অন্যান্য প্রাণিও শিকার করতেন তারা।
অধিনায়ক বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসঙ্গে এই মামলার তদন্তভার আমাদের দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হবে। তাহলে এই সিন্ডেকেটে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন:দীর্ঘ এক মাস ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বিচারক ও নাজির মমিনুল ইসলামের শাস্তির দাবিতে কোর্ট বর্জন করছে আইনজীবীরা। এতে অচল হয়ে পড়ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচার ব্যবস্থা। জেলা ও দায়রা জজ নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালত ব্যতীত সব আদালতে গিয়েছে আইনজীবীরা ।
দাবি পূরণ না হওয়ায় বুধবার সকাল থেকে আবারও সব আদালত বর্জন করেছে আইনজীবী সমিতি। এতে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি বুধবার থেকে আরও বাড়বে বলে মনে আদালত-সংশ্লিষ্টরা।
আদালতে ঘুরে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে আদালত চত্বরে বিচারপ্রার্থীদের সমাগম থাকলেও আইনজীবী দেখা যায় নি। তবে বিচার প্রার্থীরা জানতেন না বুধবার থেকে আবারও আদালত করবেন না আইনজীবীরা । বিষয়টি জেনে অনেক বিচারপ্রার্থী হতাশাগ্রস্থ হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিচারপ্রার্থীরা আদালত প্রাঙ্গণে এসে ঘুরে আবারও ফিরে যাচ্ছেন।
বিচার প্রার্থীরা ইচ্ছেকৃতভাবে ফিরে যাচ্ছে না, আইনজীবীরা আদালতের প্রতিটি প্রবেশ দ্বারে দাঁড়িয়ে আদালত থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে বিচার প্রার্থীদের।
তেমনটি অভিযোগ করেন সরাইল উপজেলা অরুয়াইল থেকে আসা সালমা বেগম। তিনি অভিযোগ করেন, স্বামীর জামিনের আবেদন করতে আসলে আদালতে ভিতর ঢুকতেই ধমকিয়ে বের করে দেয়া হয়েছে তাকে। চার শিশু সন্তান নিয়ে দীর্ঘ দেড় মাস যাবত এই আদালতে চত্বরে ঘুরছেন স্বামী কাউসারকে জামিন করানোর জন্য। তবে আইনজীবী ও বিচারকদের দ্বন্ধে স্বামীর জামিন না করাতে পেরে শিশু সন্তান নিয়ে পথে বসার মত অবস্থা তাদের।
সালমা বেগম বলেন, ‘৬ মাস আগে প্রতিবেশী এক মহিলা তার স্বামী কাউসারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। আর সেই মামলায় জেল খাটছে তার স্বামী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী হওয়ায় স্বামীকে জামিন করানো জন্য হন্য হয়ে ঘুরছে আদালতে।
‘গত ৩ জানুয়ারি আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। মামলায় প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে আপোষ করা হলেও সেদিন আইনজীবী না থাকায় তার স্বামীর জামিন হয় নি। তবে আদালতের বিচারক বলেছিলেন পিপি সাহেবের স্বাক্ষর নিয়ে আসলে জামিন দেয়া হবে। কিন্তু সেদিন ৫০০০ হাজার টাকা দিয়ে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করলে তিনি স্বাক্ষর দেননি। বুধবার তার স্বামীর মামলা শুনানি ছিল। কিন্তু সকালে আদালতে প্রবেশ দ্বারে ঢুকতে গেলেই কয়েকজন আইনজীবী আদালতের কাজ বন্ধ রয়েছে বলে সালামকে ধমকিয়ে আদালত ভবন থেকে বের করে দেয়। এ সময় সাথে ছিল তার চার শিশু সন্তান।’
শুধু সালমা নয়, সরাইল রসূলপুরের মুমিনুল হক, কসবা উপজেলা শাহাদৎ মিয়া, আখাউড়া উপজেলা মনোয়ারা বেগম, বাঞ্ছারাপুরের ইলিয়াস মিয়া, নবীরনগর উপজেলা কৃষ্ণনগর গ্রামের ইছা মিয়া সহ আরও বেশ কয়েকজনকে আইনজীবীদের পথ আটকে দেয়ার কারণে আদালত থেকে ফিরে যেতে হয়েছে।
আদালত থেকে ফিরিয়ে দেয়ার কারণ জানতে চাইলে আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বশির আহমেদ খান বলেন, ‘আমাদের দাবি অনুযায়ী আদালত বর্জন চলছে। কার্যক্রম যেন না নিতে পারে সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আইনজীবী ছাড়া সরাসরি যেন কোনো পিটিশন না নেয় সেই বিষয়ে আমরা প্রয়োজন ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এ ব্যাপারে আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আদালতে বিচারক, কর্মকর্তা ও কার্মচারীগণ উপস্থিত রয়েছেন। বিচারকার্যের জন্য সবাই প্রস্তুত রয়েছেন। বিচার চেয়ে আদালতের কাছে দারস্থ হওয়া আইনগত অধিকার। তবে বিচারপ্রার্থীদের আদালতে আসতে না দেয়া সম্পূর্ণ বেআইনী।’
জামালপুরের মেলান্দহে এক বৃদ্ধ নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের টগারচর এলাকায় সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
৫৫ বছর বয়সী সুরাইয়া বেগম ওই এলাকার আজিজুল হকের স্ত্রী।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
নিহতের স্বজনেরা জানান, বুধবার ভোর সকালে গোয়ালঘর থেকে গরু বের করতে যান নিহত সুরাইয়া বেগম। তার স্বামী আজিজুল হক মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখেন স্ত্রীর গলাকাটা লাশ। পরে ডাক চিৎকারে লোকজন আসেন। পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ওসি দেলোয়ার বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’
আরও পড়ুন:দিনাজপুরে গত বছর অকৃতকার্য কলেজের সংখ্যা ছিল দুটি, তবে এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩টিতে। এই ১৩টি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মাত্র ৬৫ জন।
জেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার পাসের হার গত বছরের তুলনায় কমেছে। এ বছর এ বোর্ডে পাস দাঁড়িয়েছে ৭৯ দশমিক ৮ শতাংশ। একই সঙ্গে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী, জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। তবে সে তুলনায় গত বছরের তুলনায় অকৃতকার্য কলেজের সংখ্যা বেড়েছে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমানের সই করা এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি বছর এসএসসি পাসের হার ৭৯ দশমিক ৮ শতাংশ। গত বছর এই বোর্ডে পাশের হার ছিল ৯২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এই বোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ৬৭১টি কলেজ থেকে এক লাখ ২৯৩ জন পরীক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশন করে। কিন্তু পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৯৯ হাজার ৭০৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৭৮ হাজার ৮৪৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিসূত্রে জানা গেছে, উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১১ হাজার ৮৩০ জন। এর মধ্যে ৬ হাজার ২৫৫ জন ছাত্রী ও ৫ হাজার ৫৭৫ জন ছাত্র। গত বছর এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৫ হাজার ৩৪৯ জন শিক্ষার্থী। সে তুলনায় চলতি বছর জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা কমেছে তিন হাজার ৫১৯ জন।
এ বোর্ডে অকৃতকার্য ১৩টি কলেজগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার গড় কলেজ (১৩ জন পরীক্ষার্থী), ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর মহিলা কলেজ (১১ জন পরীক্ষার্থী), কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে সিংগার ডাবরিরহাট বিএল হাই স্কুল এন্ড কলেজ (৭ জন পরীক্ষার্থী), পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলার আলহাজ্ব তমিজ উদ্দীন কলেজ (৭জন পরীক্ষার্থী), পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মারেয়া মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ (৭জন পরীক্ষার্থী), লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার নাসির উদ্দীন কলেজ (৬জন পরীক্ষার্থী), একই জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার দুহুলা এসসি হাই স্কুল এন্ড কলেজ (৪জন পরীক্ষার্থী), নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার চৌধুরীরানী হাই স্কুল এন্ড কলেজ (৩জন পরীক্ষার্থী), দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার সনকা আদর্শ কলেজ (৩জন পরীক্ষার্থী), গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা মহিলা কলেজ (একজন পরীক্ষার্থী), লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া মহিলা কলেজ (একজন পরীক্ষার্থী), দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর লক্ষিপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজ (একজন পরীক্ষার্থী) ও ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার পীরগঞ্জ কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ (একজন পরীক্ষার্থী)।
আরও পড়ুন:ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় সীমান্তে বিএসএফের এক গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
ভারতের পাকুড়া সীমান্তে বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ৩০ বছর বয়সী আরিফুল ইসলাম শ্যামকুড় পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা।
স্থানীয় সংবাদকর্মী মশিউর রহমান টিংকু জানান, আরিফুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন সীমান্তের ওপারে গরু আনতে যায়। ভোররাতে ফেরার পথে ভারতের পাখিউড়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যসের সামনে পড়ে। সেসময় বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে অন্যরা পালিয়ে গেলেও গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আরিফুল ইসলাম।
শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মরদেহ ভারতে রয়েছে। আমরা মরদেহ দেশে ফেরত আনার জন্য বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
বরিশালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবারে কোনো কলেজেই শূন্য পাস নেই, তবে শতভাগ পাস রয়েছে ৩৪টি কলেজে।
বরিশাল বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ফলাফল প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘এবারে কোনো কলেজেই শূন্য পাস নেই। তবে শতভাগ পাস রয়েছে ৩৪টি কলেজে। এবারে ইংরেজি সাবজেক্টে তুলনামূলক ফলাফল খারাপ হয়েছে পরীক্ষার্থীদের।’
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৯৫ ভাগ। গত বছর পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ৭৬। তবে গত বছরের তুলনায় পাসের হার কম হলেও ফলাফলে সবাই সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এদিকে এবারে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭৩৮৬ জন, যা গত বছরের তুলনায় ২৫৮৫ জন কম।
অরুন কুমার বলেন, ‘৬১ হাজার ৮৮৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৩ হাজার ৮০৭ জন। এর মধ্যে ছেলে ২৫ হাজার ৫৮৮ ও মেয়ে ২৮ হাজার ২১৯ জন। ৭ হাজার ৩৮৬ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছেলে দুই হাজার ৫৮০ ও মেয়ে ৫ হাজার ৮০৬ জন।’
৩৩১ কলেজের পরীক্ষার্থীরা ১২৫ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং পুরো পরীক্ষায় বহিষ্কার হয়েছেন ২০ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৭ জন বিজ্ঞান বিভাগের, ১২ জন মানবিক ও একজন ব্যবসায় শিক্ষার।
বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষার্থী ছিল ১২ হাজার ৭২ জন, পাশ করেছে ১০ হাজার ৮৬১ জন, মানবিক বিভাগে পরীক্ষার্থী ছিল ৪০ হাজার ৩১১ জন ও পাস করেছেন ৩৪ হাজার ৬৭৩ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৯ হাজার ৫০২ জন ও পাস করেছে ৮ হাজার ২৭৩ জন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, বরিশাল বিভাগে এবারে পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে ভোলা জেলা। এই জেলায় পাসের হার ৯২ দশমিক ৯। এরপরে ৯১ দশমিক ১২ ভাগ নিয়ে এগিয়ে আছে বরিশাল। ঝালকাঠিতে পাসের হার ৮৮ দশমিক ২৫, পিরোজপুরে ৮৮ দশমিক ১৮, বরগুনায় ৮৭ দশমিক ৮৩ ও পটুয়াখালীতে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৭৫ ভাগ।
ভোলা পাসের হারে এগিয়ে থাকলেও দুই হাজার ২৯৭টি জিপিএ-৫ এ পেয়ে এগিয়ে বরিশাল জেলা। এ ছাড়া ভোলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৫৩ জন, ঝালকাঠিতে ২৯৮ জন, পিরোজপুরে ৫৪৭ জন, বরগুনায় ৫২৭ জন ও পটুয়াখালীতে ৪৮৪ জন।
এদিকে ফলাফলে খুশি হয়ে বরিশালে কলেজে কলেজে উচ্ছ্বাস করেছে শিক্ষার্থীরা। কাঙ্খিত ফলাফল পেয়ে খুশি তারা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য