× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Teachers are suffering due to data entry of unique ID
google_news print-icon

ইউনিক আইডির ডাটা এন্ট্রি নিয়ে দুর্ভোগে শিক্ষকরা

ইউনিক-আইডির-ডাটা-এন্ট্রি-নিয়ে-দুর্ভোগে-শিক্ষকরা
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নিচ্ছেন এক শিক্ষক। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা
কবির হোসেন নামের এক শিক্ষক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ইউনিক আইডির সার্ভার শুধু ঘোরাঘুরির কারবার, একটি আপলোডেই নার্ভাস।’ সারা দেশে শিক্ষকরা অভিযোগ করছেন, ইউনিক আইডির জন্য ডাটা এন্ট্রি করতে তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। একটি শিক্ষার্থীর ডাটা এন্ট্রি করতেই সারা দিন লেগে যাচ্ছে।

দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য ‘ইউনিক আইডি’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত সব তথ্য থাকবে। ইউনিক আইডি তৈরিতে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীর ডাটা (তথ্য) সফটওয়্যারে এন্ট্রি দেয়ার কাজও। কিন্তু সফটওয়্যারে ডাটা এন্ট্রি দিতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।

অনেক শিক্ষক সফটওয়্যারে ইউনিক আইডির ডাটা এন্ট্রি দেয়াকে বলছেন শুধুই ‘ঘোরাঘুরির কারবার।’ কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ইউনিক আইডির সফটওয়্যারে শিক্ষার্থীদের ডাটা এন্ট্রি দেয়ার পর শুধু ‘লোডিং’ লেখা আসতে থাকে, যা শেষ হতে ন্যূনতম ৩-৪ ঘণ্টা সময় লাগে। কখনও কখনও একজন শিক্ষার্থীর ডাটা এন্ট্রি দিতে পুরো কর্মদিবসই (সকাল ৯টা থেকে ৫টা) শেষ হয়ে যায়।

ইউনিক আইডির ডাটা এন্ট্রিতে শিক্ষকদের দুর্ভোগে পড়ার কথা স্বীকার করেছেন মাধ্যমিক পর্যায়ের ইউনিক আইডির প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মো. শামসুল আলম। সারা দেশে একসঙ্গে সফটওয়্যারে ডাটা এন্ট্রি দেয়ার কারণে সার্ভারে চাপ পড়ে এ সমস্যা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সারা দেশে একসঙ্গে কাজটি করায় সার্ভার জ্যাম হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে একটি ডাটা এন্ট্রি দিতে অনেক সময় লাগছে।’

এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিভাগ অনুযায়ী সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছি, যাতে একসঙ্গে সারা দেশের শিক্ষকদের কাজ করতে না হয়। এতে সার্ভারের ওপর চাপ কমবে।’

খোঁজ নিয়ে যায়, অনেক শিক্ষকের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীর ডাটা এন্ট্রি দিতেই পূর্ণ কর্মদিবস লেগে যাচ্ছে। কখনও কখনও পূর্ণ কর্মদিবসেও একজন শিক্ষার্থীর ডাটা এন্ট্রি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন একাধিক শিক্ষক।

ইউনিক আইডির ডাটা এন্ট্রি নিয়ে দুর্ভোগে শিক্ষকরা
ব্যানবেইসের ভোগান্তি নিয়ে শিক্ষকদের ফেসবুক পোস্ট। ছবি: ফেসবুক

তেমনই একজন কবির হোসেন। শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটি গ্রুপে তিনি লেখেন, ‘ইউনিক আইডির সার্ভার শুধু ঘোরাঘুরির কারবার, একটি আপলোডেই নার্ভাস। এ যেন শিক্ষক চটকানো সার্কাস।’

আরেকজন শিক্ষক তানজিনুর রহমানও ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘ব্যানবেইস কর্তৃপক্ষ ইউনিক আইডির এমন একটি সার্ভার তৈরি করেছে, যে সফটওয়্যারে কাজ করতে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।’

ইউনিক আইডি তৈরির মতো সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে বলে মনে করেন আব্দুর জব্বার নামের আরেক শিক্ষক।

তিনি লেখেন, ‘নিম্নমানের ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইটে ডোমেইনে হোস্টিং কম থাকায় ইউনিক আইডির কাজ করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের ভোগান্তি চরমে। ইউনিক আইডির মতো (সরকারের) প্রশংসনীয় কাজটি ভেস্তে যেতে বসেছে। অদূরদর্শী প্রকল্প পরিচালকের অপসারণসহ ওয়েবসাইট আপডেট করার দাবি জানাচ্ছি।’

ডাটা এন্ট্রিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগার দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন মোহাম্মদ হাসানুর। তিনি লেখেন- ‘ইউনিক আইডির ফরম পূরণে সার্ভার সমস্যা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়।’

ফেসবুকে একই ধরনের স্ট্যাটাস দিয়েছেন গোলাম আযম নামের একজন। তিনি লেখেন, ‘১৫ দিনে মাত্র ৩২টি আপলোড দেয়া সম্ভব হয়েছে।’

রানা আহমেদ নামের একজন লেখেন, ‘যারা ইউনিক আইডির কাজ করছেন, সার্ভার ঠিক না করা পর্যন্ত তাদের কাজ বন্ধ রাখা উচিত। এভাবে কাজ করা যায় না।’

মুহাম্মদ আব্দুস সালাম লেখেন, ‘ইউনিক আইডির কাজ করলে সবকিছু বাদ দিয়ে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে হবে। তাও কাজ হবে না।’

ঢাকার একাধিক স্কুলে খোঁজ নিয়েও ইউনিক আইডির সফটওয়্যারে ডাটা এন্ট্রিতে শিক্ষকদের ভোগান্তিতে পড়ার সত্যতা পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে এসওএস হারম্যান মেইনার কলেজের অধ্যক্ষ রাফিয়া আক্তারও একই ধরনের অভিজ্ঞতার কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী কাজটি হচ্ছে। আমার ধারণা, একই সার্ভারে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থেকে কাজটি করা হচ্ছে বলে একটি ডাটা এন্ট্রি দিতেই অনেক সময় লাগছে। একটি তথ্য এন্ট্রি দিলে তা ভেরিফাই হওয়ার পরই পরের ধাপে যেতে হয়। এতেও অনেক সময় অপচয় হয়। অনেক সময় এমনও হয়েছে যে সকাল ৯টায় শুরু করে বেলা একটা-দেড়টা পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থীর ডাটাই এন্ট্রি দেয়া সম্ভব হয়নি।’

ইস্কাটন গার্ডেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র চৌধুরীও বলছেন সার্ভার জটিলতায় ইউনিক আইডির ডাটা এন্ট্রি দেয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর ডাটা এন্ট্রি দিতেই দিন পার হয়ে যাচ্ছে। সার্ভার উন্নত করা না হলে বা বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া না হলে নির্ধারিত সময়ে সব শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি সম্ভব নয়।’

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারও ইউনিক আইডির ডাটা এন্ট্রিতে ভোগান্তির কথা জানালেন।

তিনি বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর ডাটা এন্ট্রি দিতেই অনেক সময় লাগছে। কখনও কখনও এক দিনে একজন শিক্ষার্থীর ডাটা এন্ট্রি দেয়া সম্ভব হয়। কর্তৃপক্ষের কাছে আমার দাবি এ সমস্যাটি খুব দ্রুত সমাধান করা হোক।’

বিভাগ অনুযায়ী এন্ট্রির শিডিউল

মাধ্যমিকপর্যায়ের (ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি দেয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ডাটা এন্ট্রি ও আপলোড শুরু হয় গত ১৭ জানুয়ারি, যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি। এখন সার্ভার জটিলতায় ইউনিক আইডির ডাটা এন্ট্রির সমস্যা সমাধানে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিভাগ অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করে অফিস আদেশ জারি করে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)।

অফিস আদেশ অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য সময়সীমা ধরা হয়েছে ১৪ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি, ঢাকা বিভাগের জন্য ১ থেকে ১৬ মার্চ, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের জন্য ১৭ থেকে ৩১ মার্চ, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের জন্য ১ থেকে ১২ এপ্রিল এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের জন্য ১৩ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইউনিক আইডি কেন

প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এক জায়গায় রাখার জন্য তৈরি করা হচ্ছে ইউনিক আইডি। শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে এই আইডি জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) রূপান্তরিত হবে।

ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরির দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। আর প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরি করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

কেন শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিক আইডি তৈরি করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নে প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, ‘কোনো শিশু জন্মগ্রহণ করলেই স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিস অফ রেজিস্ট্রার জেনারেলের আওতায় তার জন্ম নিবন্ধন হয়। আর ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া সবার জন্য আছে জাতীয় পরিচয়পত্র। কিন্তু যারা প্রাইমারি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী, অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮-এর নিচে তারা এই সিস্টেমের বাইরে। এ জন্য তাদের সিস্টেমের মধ্যে আনতেই ইউনিক আইডি তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

ফরমে যেসব তথ্য দিতে হয়

স্ট্যাবলিশমেন্ট অফ ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইইআইএমএস) প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা চার পৃষ্ঠার ফরমে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

ফরমে শিক্ষার্থীর নাম, জন্মনিবন্ধন নম্বর, জন্মস্থান, জেন্ডার, জাতীয়তা, ধর্ম, অধ্যয়নরত শ্রেণি, রোল নম্বর, বৈবাহিক অবস্থা, প্রতিবন্ধিতা (ডিজ-অ্যাবিলিটি), রক্তের গ্রুপ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কি না, মা-বাবার নামসহ বেশ কিছু তথ্যের ঘর রয়েছে।

বৈবাহিক অবস্থার অপশন হিসেবে অবিবাহিত, বিবাহিত, বিধবা, বিপত্নীক ছাড়াও স্বামী-স্ত্রী পৃথক বসবাস, তালাকপ্রাপ্ত, বিয়েবিচ্ছেদের ঘরও রয়েছে ফরমে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Death reference and appeal hearing to kill Major Sinha

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শুরু হয়েছে।

বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে আজ এই শুনানি শুরু হয়।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এই ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

বিচারিক আদালতের রায়ের পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের দণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে, দণ্ডিত আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The chief adviser participated in the roundtable in Doha

দোহায় গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা

দোহায় গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা আর্থনা সম্মেলনের গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বুধবার কাতারের দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে একটি গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।

‘বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তুচ্যুত জনগণের সামাজিক ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ - রোহিঙ্গা ইস্যু’ শীর্ষক এই বৈঠকে তিনি বক্তব্য দেবেন।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Red Notice of Interpol against former IGP Benazir issued

সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারি

সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারি

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। সম্প্রতি এই রেড নোটিশ জারি করা হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. ইনামুল হক সাগর গতকাল গণমাধ্যমকে জানান, ‘তদন্ত সংস্থার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) শাখা ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন করে থাকে। আমরা সম্প্রতি জানতে পেরেছি সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয়েছে। বিদেশে পলাতক ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে পৃথক তিনটি ধাপে আবেদন করে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)।

পুলিশের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনাসহ যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে করা আবেদনে আর্থিক অপরাধের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধে করা আবেদনে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার তথ্য-উপাত্ত যুক্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ প্রধান (আইজিপি) ছিলেন। এর আগে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ছিলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক। এসব পদে দায়িত্ব পালনকালে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলেই ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধান চলাকালে গত বছরের ৪ মে সপরিবার দেশ ছাড়েন বেনজীর। তিনি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত র‍্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In addition to primary education culture and sports need to be compulsory Tareq Rahman

প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি ও খেলাধুলা বাধ্যতামূলক করা দরকার: তারেক রহমান

প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি ও খেলাধুলা বাধ্যতামূলক করা দরকার: তারেক রহমান লালমনিরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তন অডিটোরিয়ামে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কথা বলছেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি ও খেলাধুলা একটি বড় বিষয়। পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুরা যাতে বাধ্যতামূলকভাবে সংস্কৃতি ও খেলাধুলাসহ সব অ্যাক্টিভিটিসে যুক্ত থাকে। এর ফলে শিশুদের যেমন মানসিক বিকাশ ঘটবে তেমনই তাদের শারীরিক বিকাশও ঘটবে।

তিনি আরও বলেন, পত্র-পত্রিকা খুললেই সংস্কার আর সংস্কার। সংস্কার কিন্তু শুরু করেছে বিএনপি। শহীদ জিয়া প্রথম সংস্কার শুরু করেছেন খাল খননের মধ্য দিয়ে। বিএনপি যদি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সব খাল খনন করে জীবিত করা হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রথম কাজ হবে খাল খনন কর্মসূচি। নদীগুলোও খনন করা হবে।

গতকাল মঙ্গলবার লালমনিরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তন অডিটোরিয়ামে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির আয়োজিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার শেষ বেলায় বিকেলে ভার্চুয়ালি যোগ দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

কর্মশালায় অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তারেক রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশ যদিও ল্যান্ড ওয়াইজ (আয়তনের ক্ষেত্রে) বড় দেশ না, তবুও জনসংখ্যার ভিত্তিতে অনেক বড়। লালমনিরহাটের যেমন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কিছু বৈশিষ্ট্য আছে তেমনই কুড়িগ্রামের আছে, চট্টগ্রামের আছে, কুষ্টিয়ার ওইদিকেও আছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কৃষ্টিকালচার সংস্কৃতি আছে। সে রকম আলাদা আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্যও আছে। আর এই বৈশিষ্ট্যটাই হচ্ছে আমাদের ঐতিহ্য।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি যতবার দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে দেশীয় কৃষ্টি-কালচারকে সামনে এগিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছে। আমরা জানি গত ১৭ বছর বহু সংস্কৃতিকর্মী কষ্টে জীবনযাপন করেছেন। চিকিৎসার অভাবে কষ্টে দিনযাপন করেছেন। যখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কাছে সুযোগ ছিল এমন অনেক সংস্কৃতিকর্মীকে সহযোগিতা করা হয়েছিল। আমাদের সামগ্রিক চিন্তার মধ্যে যেটি রয়েছে তা হচ্ছে আমাদের এই কালচারকে এগিয়ে নিয়ে যাব। প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রেও কালচারাল একটি বিষয় থাকবে। খেলাধুলার বিষয় থাকবে। পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুরা যেন বাধ্যতামূলকভাবে সব অ্যাক্টিভিটিসে যুক্ত থাকে। এর ফলে তাদের যেমন মানসিক বিকাশ ঘটবে তেমনই শারীরিক বিকাশও ঘটবে।

তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে দেশের জনগণের স্বার্থে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি।

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা, নেওয়াজ হালিমা আরলি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেন শ্যামল। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লালমনিহাট জেলার পাঁচ উপজেলার দুই শতাধিক নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

কর্মশালায় অংশ নেওয়া বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মনে করেন, তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসবে, সব সেক্টর দুর্নীতিমুক্ত হবে, দেশে থাকবে না একনায়কতন্ত্র শাসন ব্যবস্থা।

এর আগে কর্মশালার প্রথম অধিবেশনে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন হবে। একদলীয় শাসনের মাধ্যমে দেশের মানুষ আর জিম্মি থাকবে না। ৩১ দফার মাধ্যমেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।

তিনি আরও বলেন, পাশ্ববর্তী দেশ ভারত বাংলাদেশের মানুষকে মানুষ মনে করেনি, তারা তাদের মনঃপুত একটি দলকে প্রাধান্য দিয়েছে। জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে, তারা বাইরের প্রভুত্ব মানে না।

মন্তব্য

বকেয়া বেতনের দাবি

সড়কে ময়লা ফেলে প্রতিবাদ, তীব্র যানজট

সড়কে ময়লা ফেলে প্রতিবাদ, তীব্র যানজট

বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজধানীর বাড্ডার নতুনবাজারে রামপুরা-কুড়িল সড়কের ওপরই এক পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। এতে যান চলাচলের জায়গা সরু হয়ে যাওয়ায় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে এই আন্দোলন করেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এ ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বর্জ্যে ভরা ট্রাকগুলো সড়কের পাশে রাখা হয়েছে। সেগুলোর পাশেই ছড়িয়ে আছে ময়লার স্তূপ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পোশাক পরিহিত কর্মীরা নিজ নিজ ভ্যান উল্টে সড়কের ওপর ময়লা ফেলে দিচ্ছেন।

বর্জ্যের কারণে সড়কে কিছু স্থান প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে গাড়িগুলোকে ধীরে ধীরে পাশ কাটিয়ে যেতে হচ্ছে, এতে যান চলাচলে মারাত্মকভাবে বিঘ্ন হচ্ছে, সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। আর বর্জ্যের দুর্গন্ধে এই পথে চলাচল করা পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলেন, বারবার বলার পরও আমাদের বেতন পরিশোধ করেনি সংশ্লিষ্টরা। শেষে দাবি আদায় করতে আমরা রাস্তায় ময়লা ফেলে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস পেলেই আমরা সড়ক থেকে ময়লা তুলে সরিয়ে নেবো।

এ ঘটনায় ডিএনসিসির মুখপাত্র মকবুল হোসাইন বলেন, পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছে, কিন্তু তাদের পাওনা সিটি কর্পোরেশনের কাছে নয়। তাদের দাবি তাদের পরিচালনা করা ঠিকাদার বা ইজারা যারা নিয়েছে তাদের কাছে। কেন তাদের বকেয়ে বেতন পরিশোধ করা হয়নি সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানানো হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Thermal wave warning in four districts will increase all over the country

চার জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা, সারা দেশে বাড়বে গরম

চার জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা, সারা দেশে বাড়বে গরম

কয়েকদিন ধরে কমবেশি বৃষ্টিপাত এবং দিনের আকাশ বেশিরভাগ সময় মেঘাচ্ছন্ন থাকায় গ্রীষ্মের শুরুতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ছিল জনমনে। তবে বৃষ্টির প্রভাব সরে গিয়ে ফের আসছে গরম। এর মধ্যে আগামীকাল দেশের চার জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে আজ মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।

তবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আগামীকাল সারা দেশে দিন ও রাতের তাপামাত্রা সামান্য বাড়ার আভাস দিয়ে রাষ্ট্রী সংস্থাটি বলছে, পরের ২৪ ঘণ্টায়ও এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এরপরের দুদিন দিন-রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থেকে পঞ্চম দিন (শনিবার) থেকে সারা দেশে আবারও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। এতে করে তাপমাত্রাও সামান্য কমতে পারে।

আজ (মঙ্গলবার) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী ও যশোরে। ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল এই দুই জেলায়। এছাড়া সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় বান্দরবানে।

ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত হয় সন্ধ্যা ৬টা ২৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৩১ মিনিটে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arrested across the country in a special police operation

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ১৬১০

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ১৬১০

রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার ৬১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৯০৬ জন আসামি এবং অন্যান্য ঘটনায় ৭০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এসব অভিযানে বিভিন্ন ধরণের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ১টি দেশীয় পাইপগান, ১টি একনালা বন্দুক, ১ রাউন্ড কার্তুজের খোসা ও ২ রাউন্ড অকেজো কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত সোমবার ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১ হাজার ৬৩১ জনকে। তার মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ১৩ জন আসামি এবং অন্যান্য ঘটনায় ৬১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার আগে গত রোববার ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ৫৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

মন্তব্য

p
উপরে