× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Road development work has stopped due to the whims of Mama Bari
google_news print-icon

‘মামাবাড়ির আবদারে’ থমকে গেছে সড়ক উন্নয়নকাজ

মামাবাড়ির-আবদারে-থমকে-গেছে-সড়ক-উন্নয়নকাজ
শরীয়তপুর-জাজিরা-নাওডোবা সড়ক। ছবি: নিউজবাংলা
শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওনুর রহমান বলেন, ‘প্রাক্কলন মূল্য থেকে ১০ শতাংশ কাটার বিষয়টি ভূমি অধিগ্রহণ আইনে নেই। তবে এ জাতীয় বিষয় আমাদের প্র্যাকটিসে আছে। মন্ত্রণালয়ের অর্ডারের পরিপ্রেক্ষিতে এখন ডিসি অফিস যে ব্যবস্থা নেবে, সেটাই হবে।’

শরীয়তপুর-জাজিরা-নাওডোবা (পদ্মা সেতু অ্যাপ্রোচ) সড়ক এবং শরীয়তপুর-ইব্রাহীমপুর চার লেন সড়ক উন্নয়ন দুটি প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে আইনবহির্ভূত শর্ত জুড়ে দিয়েছে সড়ক বিভাগ। ফলে থমকে গেছে প্রকল্পের কাজ।

প্রকল্পের মেয়াদ এক দফা বাড়ানো হলেও কাটেনি অধিগ্রহণ জটিলতা। বিষয়টি নিয়ে দুই দপ্তরের মধ্যে চিঠি চালাচালি হলেও সুরাহা হয়নি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব অপূর্ব কুমার মণ্ডল স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, শরীয়তপুর-ইব্রাহিমপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের অধিগ্রহণ করা জমির জন্য ৯৩ কোটি ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫৬৯ টাকা প্রাক্কলন শর্ত সাপেক্ষে দেয়ার অনুমোদন করা হয়েছে।

চিঠিতে শর্ত দেয়া হয়েছে, প্রাক্কলিত মূল্য থেকে জমির ওপরে থাকা অবকাঠামো ও গাছপালার নিলাম হবে, সেখানে নিলাম বাবদ ১০ শতাংশ হারে টাকা কেটে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।

পরে পাল্টা চিঠিতে জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান জানান, স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭ অনুযায়ী নিলাম মূল্য হিসেবে ১০ শতাংশ কাটার বিষয় উল্লেখ নেই। কোনো প্রকল্পের প্রাক্কলিত অর্থ শর্ত সাপেক্ষে দেয়া আইনসিদ্ধ নয় বা কোনো শর্ত আরোপ করে প্রাক্কলিত অর্থ পাওয়ার নজির এ কার্যালয়ে নেই। শর্তটি বাস্তবায়ন হলে জনরোষ সৃষ্টি হতে পারে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এলএ কেসের দখলনামায় উল্লেখ থাকে যে, জমিতে অবস্থিত যৌথ ইনভেনটরি তালিকায় উল্লেখ ঘরবাড়ি, গাছপালা ও অন্যান্য অবকাঠামো এবং দণ্ডায়মান ফসলের দখলও একই সঙ্গে প্রত্যাশী সংস্থার অনুকূলে হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে বোঝা যায়, প্রত্যাশী সংস্থা তার নিজ ব্যবস্থাপনায় ওপরের অবকাঠামো ও গাছপালার নিলামসংক্রান্ত বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে।

‘মামাবাড়ির আবদারে’ থমকে গেছে সড়ক উন্নয়নকাজ

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এমন চিঠির পরও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় বিষয়টি সমাধান না করে শরীয়তপুর-জাজিরা-নাওডোবা (পদ্মা সেতু অ্যাপ্রোচ) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ দিতে একই শর্ত আরোপ করে ৯ ফেব্রুয়ারি আরও একটি চিঠি দেয়।

চিঠিতে শরীয়তপুর-জাজিরা-নাওডোবা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ২১ ক্ষেত্রে শর্ত দেয়া হয়েছে। সেখানেও ১০ শতাংশ হারে নিলাম মূল্য কেটে রাখার কথা বলা হয়।

এ কারণে অধিগ্রহণ কার্যক্রমে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণে দেরি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দুই দপ্তরের মধ্যে সিদ্ধান্তে না যাওয়া পর্যন্ত পরের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর-ইব্রাহিমপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন এবং শরীয়তপুর-জাজিরা-নাওডোবা (পদ্মা সেতু অ্যাপ্রোচ) সড়ক উন্নয়ন নামে চার লেন সড়কে উন্নীতকরণের দুটি প্রকল্পের কাজ চলমান।

এর মধ্যে ৮৫৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের শরীয়তপুর-ইব্রাহিমপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ১২ মার্চ একনেকে অনুমোদন হয়।

সে প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অধিগ্রহণ করা জমির পরিমাণ ৯৫ দমশিক ৫৬ হেক্টর, যার মূল্য ধরা হয় ৪৩১ কোটি টাকা। প্রকল্পে রয়েছে একটি সেতু, কালভার্ট ৩৯টি এবং ১১টি পুরোনো কালভার্ট প্রশস্তকরণ।

তিনটি প্যাকেজ সাড়ে ৮ কিলোমিটার এবং একটি প্যাকেজ ৬ কিলোমিটার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে।

ইব্রাহীমপুর থেকে প্রথম প্যাকেজের ৬ কিলোমিটার কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

‘শরীয়তপুর-জাজিরা-নাওডোবা (পদ্মা সেতু অ্যাপ্রোচ) সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পটি ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি একনেকে অনুমোদন পায়। তিনটি প্যাকেজে ২৭ কিলোমিটার সড়ক, ২৭টি কালভার্ট ও দুটি সেতু প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা।

যার মধ্যে সড়ক নির্মাণে ৪৫০ কোটি টাকা, বাকি ১ হাজার ২৩১ কোটি ১৮ লাখ টাকা জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে। ১০৫ দশমিক ৫৬ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেয় সড়ক বিভাগ। অধিগ্রহণ করা জমির ২১টি এলএ কেসের মধ্যে সব কয়টির ৪ ধারায় নোটিশ জারি করা হয়েছে।

এর মধ্যে ৬টি যৌথ তদন্ত শেষ হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত। এরই মধ্যে সড়ক বিভাগ থেকে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

জাজিরার নাওডোবার রাহিলা বেগম বলেন, ‘আমাগো টাকার নিয়া (জন্য) আমরা গোরতাছি (ঘুরছি), আমাগো টাকা দিতাছে না। হোনতাছি (শুনছি) আমাগো টাকা থিক্কা (থেকে) লাকে ১০ হাজার টাকা কইরা কাইট্টা নিব।

‘আমরা এক পয়সাও ছারুম না। আমাগো পুরা টাকাই দিতে অইব। আমরা গরিব মানুষ, এই টাকা দিয়াই আমরা বাড়িগর কোরমু। গর দুয়ার উডান নাগব। আমরা জানি বাঁচতে পারি। আমাগো টাকা কয়টা যেন কাইট্টা না রাখতে পারে হেইডাই আমাগো দাবি।’

সড়কের পাশেই মুদি ব্যবসায়ী মহসীন হোসেন বলেন, ‘অফিশিয়ালভাবে ১০ পারসেন্ট টাকা আমাদের কাছ থেকে কাইটা রাখতে চাইতাছে। এইডা তো সরকারিভাবে কোনো নিয়ম নাই। আমরা ১ পারসেন্ট টাকাও দেব না।

‘ক্ষতিপূরণের ১০০ পারসেন্টের টাকা ১০০ পারসেন্টই চাই। কারণ আমাগো দোকানপাট জায়গাজমি ক্ষয়ক্ষতি হইছে। আমরা ক্ষতিপূরণ পুরাডাই চাই।’

কুতুবপুরের সুমন মিয়া বলেন, ‘আমাদের সড়কের যে জায়গাগুলা পড়ছে এই জায়গাগুলোর বিল দিতে অনেক দেরি হইতাছে। শুনতাছি আমাগো যে টাকা দিবো সেই টাকা থেকে ১০ পারসেন্ট টাকা কাইট্টা নিব। আমাগো টাকা রোডস অফিস নিব কেন? এই টাকা নিলে আমাগো অনেক টাকাই যাইবগা।’

পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের নাওডোবার জমাদ্দার মোড়ের বাসিন্দা বাদল জমাদ্দার। অধিগ্রহণকৃত ভূমি ও স্থাপনার ৮ ধারার নোটিশ পেয়েছেন।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সব প্রক্রিয়া শেষ করলেও ক্ষতিপূরণের চেক পাচ্ছেন না। প্রতিদিনই আসছেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রাজস্ব শাখায়। ওই কার্যালয়ের চত্বরই নিউজবাংলার সঙ্গে কথা হয় তার।

তিনি বলেন, ‘আমাদের চাইর (৪) ধারা হয়েছে, ৭ ধারা হয়েছে, ৮ ধারাও হয়েছে। ৮ ধারা হওয়ার পরে আমরা ফাইলপত্র জমা দিছি। আমাগোর ফাইলপত্রের অলরেডি ক্ষতিপূরণের চেকও হইয়া গ্যাছে।

‘অ্যাডভাইসের জন্য গেছি, কিন্তু পাই নাই। যতটুক শুনছি রোডস অফিস আমাগো অবকাঠামো ও গাছপালা থেকে ১০ শতাংশ টাকা কেটে নিবে। এটা আইনে নাই, তাই ডিসি স্যার আপাতত চেক দেয়া বন্ধ রাখছে। এইডার একটা ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত চেক দেয়া যাবে না। রোডস এ ধরনের ষড়যন্ত্র কইরা আমাগো ঠকানোর জন্য পাঁয়তারা করতাছে।’

শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওনুর রহমান বলেন, ‘প্রাক্কলন মূল্য থেকে ১০ শতাংশ কাটার বিষয়টি সেটা ভূমি অধিগ্রহণ আইনে নেই। তবে এ জাতীয় বিষয় আমাদের প্র্যাকটিসে আছে। মন্ত্রণালয়ের অর্ডারে এখন ডিসি অফিস যে ব্যবস্থা নেবে সেটাই হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সড়ক বিভাগ থেকে প্রকল্প দুটির সব ধরনের কাজ শেষ করা হয়েছে। শরীয়তপুর-ইব্রাহীমপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের চারটি টেন্ডার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

‘শরীয়তপুর-জাজিরা-নাওডোবা সড়কের একটি টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন হলেও অধিগ্রহণ জটিলতায় কাজের অগ্রগতি দৃশ্যমান নেই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, ‘সড়ক বিভাগ থেকে আমরা যে চিঠিটা পেয়েছি সেটা আমাদের ভূমি অধিগ্রহণ আইন পারমিট করে না। যেহেতু ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াটি আইনের মাধ্যমেই চলে সেহেতু আইনের বাইরে জেলা প্রশাসন থেকে কিছু করার সুযোগ নেই। বিষয়টি জানিয়ে আমরা আমাদের সচিব সড়ক ও জনপদ বিভাগ স্যারকে চিঠি দিয়েছি। যেটা আইনগতভাবে সিদ্ধ সেটাই করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু চিঠিতে ১০ শতাংশ কাটার শর্ত উল্লেখ করা আছে। তাই এটা নিয়ে সিদ্ধান্তের বিষয় আছে। এ জন্য একটু বিলম্ব হচ্ছে। আশা করি, দ্রুতই আমরা এটা সমাধান করতে পারব।’

আরও পড়ুন:
‘মামাবাড়ির আবদারে’ থমকে গেছে সড়ক উন্নয়নকাজ
অবৈধ স্থাপনা বন্ধে অধিগ্রহণ প্রকল্পে ড্রোন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The main accused arrested in the murder of UP member

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র‍্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন

র‍্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।

মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।

কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।

ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
July in Kaliganj People from all walks of life took oath with millions of voices

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে শপথ গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী আয়োজিত ‘লাখো কণ্ঠে শপথ পাঠ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক ভাবগম্ভীর পরিবেশে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই মাসে নিহত শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ। তিনি উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান। দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, দুর্নীতি ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করার অঙ্গীকার করেন অংশগ্রহণকারীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও তনিমা আফ্রাদ বলেন, "জুলাই পুনর্জাগরণ কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি আমাদের চেতনার বাতিঘর। সেই শহীদদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। আজকের এই সম্মিলিত শপথ হোক দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার একটি নতুন অঙ্গীকার। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারে।"

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম উর্মি, কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।

বক্তারা জুলাইয়ের শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের এই সফল আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে এক নতুন মাত্রা দেয়। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি কালীগঞ্জের মানুষের মধ্যে দেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Snake panic in Feni after flood

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The creation of waterlogging at Benapole ports

পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

ব্যাহত হচ্ছে বন্দরে খালাশ প্রক্রিয়া
পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।

তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chakrias escaped accused Sajjad was detained in Coxs Bazar DB

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।

চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।

এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Panchagarh has fined Tk 2 lakh in a joint operation at night 

পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযানে একজনকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলাঝাড়ি বাজারের করতোয়া নদীসংলগ্ন এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়।

দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর জুবায়ের হোসেন সিয়ামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক্টরসহ চালক রাজু ইসলাম ও শান্ত আহমেদকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

আদালতের রায়ে রাজু ইসলামকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা লঙ্ঘন করায় দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। তবে রাজু ইসলাম অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করায় ট্রাক্টর দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় প্রশাসন জানায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রোধে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য

p
উপরে