ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে শতভাগ প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন চায় ঢাকা চেম্বার অফ কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই)। একই সঙ্গে এ খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে ঋণপ্রাপ্তি সহজ ও নিশ্চিত করার কথা বলেছেন তারা।
শনিবার ডিসিসিআই আয়োজিত এক কর্মশালায় এ অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।
‘ব্যাংক থেকে ক্ষুদ্র শিল্প খাতে ঋণ-প্রণোদনা প্যাকেজ প্রাপ্তির পদ্ধতি ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল এ কর্মশালায় ঢাকা চেম্বার প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রাহমান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. জাকের বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় বক্তরা বলেন, সরকার এসএমই খাতের জন্য ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেও এ তহবিল থেকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ঋণ পাননি সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তারা।
এর কারণগুলো হচ্ছে প্রয়োজনীয় নথিপত্রের অভাব, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের সংজ্ঞা নিয়ে জটিলতা, উদ্যোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকা, জামানতসংক্রান্ত সমস্যা এবং এসএমই ডাটাবেজের অনুপস্থিতি ইত্যাদি।
স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘শিল্প খাতে ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি উৎপাদনমুখী শিল্প বা ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে ৪৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন করে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত।
‘তবে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও নীতিগত সহায়তার অভাবে এই খাতের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতা পুরোপুরি কাজে লাগানো যাচ্ছে না।’
তিনি জানান, করোনা মহামারির কারণে ক্ষুদ্র , অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পুনরুদ্ধারে দুই ধাপে ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার।
রিজওয়ান রাহমান জানান, কিন্তু নানা জটিলতার কারণে কাঙ্ক্ষিত ঋণ পাননি উদ্যোক্তারা। প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এ খাতের জন্য অর্ধেক ঋণ এখনও বিতরণ সম্ভব হয়নি।
এ অবস্থায় সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এ খাতের উদ্যোক্তাদের পুনরুজ্জীবিত করতে প্রণোদনা প্যাকেজের শতভাগ বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই বলে মত প্রকাশ করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. জাকের হোসেন বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের অবদানের বিষয়টি মাথায় নিয়েই বাংলাদেশ ব্যাংক করোনা মহামারি মোকাবিলায় এ খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য দুই দফায় ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তবে স্থানীয় পর্যায়ে এ ঋণ বিতরণের হার সন্তোষজনক নয়।’
তিনি উল্লেখ করেন, প্রথম ধাপের ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ইতোমধ্যে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় ধাপে চলতি ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ৬ হাজার ২১৭ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়, যা মোট ঋণের মাত্র ৩১ শতাংশ। অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি এসএমই খাতের পুনরুদ্ধারে এই ঋণ বিতরণের চিত্র মোটেই কাম্য নয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত অবকাঠামো এবং প্রয়োজনীয় টাকার বরাদ্দ থাকার পরও উদ্যোক্তা এবং আর্থিক খাতের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না।’ মাঠপর্যায়ে উদ্যোক্তা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভ্রান্ত ধারণার কারণেই ঋণ বিতরণের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
জাকের হোসেন আরও জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে খুলনা, রংপুর এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রান্তিক পর্যায়ের ঋণ বিতরণের অবস্থা পর্যালোচনা এবং ওই এলাকা সফর করেছে। ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের এসএমই খাতকে এগিয়ে নিতে হলে তাদের অবশ্যই ব্যাংকমুখী করে হবে এবং সত্যিকারের উদ্যোক্তাদের ঋণ সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।’
দেশে ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা দুর্নীতিকেই প্রধান বাধা হিসেবে দেখছেন বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
গত বছরের এপ্রিল থেকে জুলাইয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে জরিপের সময় ব্যবসায়ীরা এমন মত দেন বলে জানায় সংস্থাটি।
ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম বিশ্বজুড়ে এ জরিপ পরিচালনা করে। গত দুই দশকের মতো গত বছরও সংস্থাটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে জরিপের কাজে অংশ নেয় সিপিডি।
উদ্যোক্তা মতামত জরিপের ফল প্রকাশ করে রোববার এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে সিপিডি জানায়, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৬৪.৬ শতাংশ ব্যবসায়ী দুর্নীতিকে তাদের ব্যবসার প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখেছেন। লাইসেন্স নেয়া কিংবা কর দেয়ার মতো কাজে গিয়ে তাদের ঘুষ দিতে হয়েছে।
সংস্থাটির ভাষ্য, ব্যবসায় অন্যান্য প্রধান সমস্যার মধ্যে রয়েছে অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া এবং অদক্ষ আমলাতন্ত্র, যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার অস্থিতিশীলতা ও নীতি ধারাবাহিকতার অভাব। এসব কারণে দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
দেশে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসার পরিবেশ আরও খারাপ হয়েছে জানিয়ে সিপিডি বলেছে, বেসরকারি খাতে সুশাসন, নীতিশাস্ত্রের অভাব এবং দুর্বল তদারকির কারণে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশের অবনতি হয়েছে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘২০২১-এর তুলনায় ২০২২ সালে ব্যবসার পরিবেশ দুর্বল ছিল। কর কাঠামোতে এখনও ভারসাম্য আনা যায়নি। সড়ক, রেল, নৌপথে অনেক অবকাঠামো মানসম্মত নয়।’
সুপারিশ
জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের মত ও নিজেদের সুপারিশ পেশ করে সিপিডি।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, পরিবেশবান্ধব শহর গড়ে তুলতে বিদেশি সহযোগীদের কাছ থেকে আলাদা ঋণ আসা উচিত। এতে পরিবেশ দূষণ অনেকাংশে কমবে।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে ব্যবসায় মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রা সংকট ও অস্থিতিশীল নীতির মতো নতুন চ্যালেঞ্জ মাথাচাড়া দিয়েছে জানিয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন ও সুদহারের সীমা উন্মুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি।
সংস্থাটির মতে, বাংলাদেশের আর্থিক খাতে বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত মেনে চলার অংশ হিসেবে ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধন, ঋণে সুদহারের সীমা তুলে নেয়া, বকেয়া ঋণে স্বচ্ছতা, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটির (আইডিআরএ) কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন।
জরিপ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাজারে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে প্রতিযোগিতা কমিশন, ভোক্তা অধিকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এনবিআর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের যথাযথ ভূমিকা পালন করা উচিত।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) উদ্যোগে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হতে যাচ্ছে ‘বাজুস ফেয়ার-২০২৩’। তিন দিনব্যাপী এই মেলা শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি।
ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ৪ নম্বর হলে আয়োজন হতে যাওয়া এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
বাজুসের পক্ষ থেকে রোববার নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ বলেন, ‘এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে এ মেলা। গত বারের চেয়ে এবারের মেলায় অনেক ভিন্নতা থাকবে। এবার আরেকটু গোছানো থাকবে।
‘গতবারের চেয়ে এবার মেলা নিয়ে আমরা অনেক বেশি আশাবাদী। জুয়েলারি শিল্পকে দেশ-বিদেশে নতুন করে তুলে ধরতে এ মেলার আয়োজন করছে বাজুস।’
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের পতনে শেষ হয়েছে লেনদেন। কমেছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণও। তবে এদিন দেশের অপর বাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়ে লেনদেন হয়েছে।
ডিএসইতে রোববার ৪৮৯ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা কম। বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৫০৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৮৮ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭১ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক শূন্য দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৩১ পয়েন্ট।
ডিএসইতে বেশিরভাগ কোম্পানির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। ৩৪৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ১৪২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৫টির।
লেনদেনের বিষয়ে ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নতুন ফান্ডের ইনজেকশন নেই। সেক্টরাল মুভমেন্টও হচ্ছে না। ফলে মার্কেট একই জায়গায় আবর্তিত হচ্ছে।’
অপর বাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৫ পয়েন্ট বেড়ে প্রধান সূচক সিএএসপিআই অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৫৭০ পয়েন্টে। হাতবদল হয়েছে ৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার। হাতবদল হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ৫৯টির ও অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হয়েছে ৬২টির।
বাংলাদেশ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২৩’-এর ডাক ও টেলিযোগাযোগ পদক-২০২৩ জিতেছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অবদান রাখায় নগদকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে ‘নগদ’-এর করপোরেট কমিউনিকেশন ডিরেক্টর মোহাম্মদ সোলাইমান ও হেড অব পাবলিক কমিউনিকেশন্স মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ইলেকট্রনিক কেওয়াইসি ও *১৬৭# চেপে অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি উদ্ভাবন করে নগদ একটা বিপ্লব করেছে। আমরা যে উদ্ভাবনী শক্তির কথা বলছি, তা করে দেখিয়েছে ডাক বিভাগের এই সেবাটি। সে জন্যই তাদের সম্মানিত করা।’
পুরস্কার গ্রহণের পর নগদ’-এর করপোরেট কমিউনিকেশন-এর ডিরেক্টর মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ‘যেকোনো পুরস্কার প্রাপ্তি অত্যন্ত গর্বের ব্যাপার। নগদ সবসময় নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে মানুষের পাশে থাকতে চায়। সেই পথে আমাদের উদ্ভাবন যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের পুরস্কার পেল, এটা পুরো দেশের জন্য একটা অর্জন। সমস্ত নগদ পরিবারের পক্ষ থেকে আমি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
তিন দিনের এই আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টলের পাশাপাশি ছিল নগদ-এর আকর্ষণীয় একটি স্টল। সেখানে মানুষের ভিড় জমেছিল নগদ-এর বিভিন্ন সুবিধা ও ফিচার সম্পর্কে জানতে। এ ছাড়া এই স্টলে ভিআর ফুটবল খেলার ব্যবস্থা ছিল। যা অনেক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজন করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ পুরস্কার। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস-এর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নগদ-কে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে মাত্র চার বছরেরও কম সময়ে নগদ-এর উন্নতি এবং উদ্ভাবনকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের (এসএমটি) ১৭তম সভা রোববার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার ব্যাংকের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর উপস্থিতিতে সভায় সভাপতিত্ব করেন এসএমটি চেয়ারম্যান ও ব্যাংকের সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আফজাল করিম।
এ সময় ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টররা, প্রধান কার্যালয়, স্থানীয় কার্যালয়, ব্যাংকের মাঠ পর্যায়ের সব জেনারেল ম্যানেজারসহ সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর তার বক্তব্যে ব্যাংকের সার্বিক ব্যবসায়িক পর্যালোচনা ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
ক্রেতাদের সবসময় সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে দাবি করে ওয়ালটন প্লাজার একা কর্মকর্তা বলেছেন, এ কারণেই ২০২২ সালে এর মুনাফা ৯৩ শতাংশ বেড়েছে। প্রবৃদ্ধির এই ধারা বজায় রেখে দ্রুতই দেশের শীর্ষ সেলস নেটওয়ার্ক হতে চায় ওয়ালটন প্লাজা।
তিনি আরও বলেছেন, লক্ষ্য পূরণে প্রতিষ্ঠানটি ওয়ানস্টপ সলিউশন চালু এবং কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা সহায়তা নীতিসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে।
ওয়ালটন প্লাজা আয়োজিত ‘চ্যালেঞ্জারস সামিট-২০২৩’ অনুষ্ঠানে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ হেডকোয়ার্টার্সে দিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
‘আমরা সেরা ছিলাম, আমরা সেরা আছি, আমরা সেরা থাকব’ স্লোগানে সম্মেলনে অংশ নেন দেড় সহস্রাধিক প্লাজা ম্যানেজার ও সহকারী ম্যানেজারসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
সম্মেলনে ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য ব্যবসা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। সেলস এক্সিকিউটিভদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং পার্টনার এস এম মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে ‘চ্যালেঞ্জার’স সামিট-২০২৩’-এর প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এস এম নূরুল আলম রেজভী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম, জাকিয়া সুলতানা ও নিশাত তাসনিম শুচি, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ এবং ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মোহাম্মদ রায়হান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও পরিচালনা করেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চিত্রনায়ক আমিন খান।
চ্যালেঞ্জারস সামিটে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং পার্টনার এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, ‘যারা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে নতুন কিছু সৃষ্টি করেন, তারাই হলেন চ্যালেঞ্জার। ওয়ালটন প্লাজার প্রতিটি সদস্য একেকজন চ্যালেঞ্জার। আর চ্যালেঞ্জারদের শক্তি দেশের অগণিত ক্রেতারা।
‘ক্রেতাদের কারণে ওয়ালটন আজ দেশ ছাড়িয়ে পুরো বিশ্বে অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই তাদের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।’
ওই সময় তিনি ওয়ালটন প্লাজার জন্য ‘ক্রেতা তুমি আপনজন, ঘোর বিপদেও আমরা সাথী সারাক্ষণ’ শীর্ষক নতুন স্লোগান ঠিক করেন।
এস এম মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের বাজার পরিবর্তনশীল। মার্কেট কী ধরনের পরিবর্তন চায়, আমাদের সেলস এক্সিউিটিভরা হলেন তার বার্তাবাহক। তারা যদি সঠিক মেসেজ দেন, তবে আমরা সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যেতে পারব।’
গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি খাতে আমাদের অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে, কিন্তু ওয়ালটন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশের চিত্র পাল্টে গেছে। এখন প্রায় প্রত্যেক পরিবারেই ফ্রিজ-টিভির মতো ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য আছে। ক্রেতারা সবসময় আমাদের পাশে ছিলেন।
‘এর সঙ্গে আমাদের চৌকস সেলস টিমসহ সকল বিভাগের সদস্যদের নিরলস শ্রমে ওয়ালটন আজ শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য বিশ্বজয়ের। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়, যা আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।’
মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন প্লাজার সেলস ফাইটারগণ হচ্ছে বিশ্বের সেরা। ওয়ালটন পণ্য বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পণ্য। এমন শক্তিশালী সেলস বাহিনী এবং শ্রেষ্ঠ পণ্য থাকতে বিদেশি কোনো ব্র্যান্ড কিংবা পণ্য বাংলাদেশের বাজারে কখনোই সুবিধা করতে পারবে না। দেশের বাজারে সবসময় আমরাই শীর্ষে থাকব।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বে একমাত্র ওয়ালটন প্লাজাই কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা সহায়তা সুবিধা চালু করেছে। আমরা প্রতিটি ঘরে ওয়ানস্টপ সার্ভিস পৌঁছে দিচ্ছি। ২০২২ সালে ১২ লাখ ৫০ হাজার ক্রেতা আমাদের কাস্টমার ব্যাংকে যুক্ত হয়েছেন।
‘চলতি বছর আরও ১৮ লাখ কাস্টমার আমাদের ব্যাংকে যুক্ত হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিটি বাড়ি ওয়ালটন প্লাজার কাস্টমার ব্যাংকের আওতায় আসবে। ওয়ালটন প্লাজা হবে দেশের শীর্ষ সেলস নেটওয়ার্ক।’
সম্মেলনে বিভিন্ন অঞ্চলের ওয়ালটন প্লাজা শাখার সেরা ম্যানেজার ও এরিয়া ম্যানেজাদের পুরস্কৃত করা হয়। সবশেষে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন:বেসরকারি ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদ থেকে পদত্যাগ করা মো. মেহমুদ হোসেন আবার এই ব্যাংকেই ফিরছেন।
রোববার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার তাকে ডেকে এই ব্যাংকে যোগ দিতে বললে মেহমুদ হোসেন তাতে সম্মতি দেন। ব্যাংকটির ভাবমূর্তি ফেরাতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডির রোববার সাক্ষাৎ হয়েছে। মো. মেহমুদ হোসেন এখনো ব্যাংকটির এমডি পদে বহাল আছে। বোর্ড পরিষদ তার পদত্যাগ গ্রহণ করেনি।
অভিযোগ রয়েছে সিকদার পরিবারের চাপের মুখে গত ১৮ জানুয়ারি ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে মেহমুদ হোসেন পদত্যাগ করেন। গত বৃহস্পতিবার গভর্নরসহ ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ব্যাংকটির অন্যতম পরিচালক রন হক সিকদার। এমডির পদত্যাগ নিয়ে আলোচনার মধ্যে ওই বৈঠক হয়।
মেহমুদ হোসেন পদত্যাগের পর ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, চাপের মুখে নয়, ব্যক্তিগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে দুই বছর মেয়াদে ব্যাংকটিতে এমডি পদে যোগদান করা মেহমুদের চাকরির মেয়াদ ছিল চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য