× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The canals in Chittagong are still a death trap
google_news print-icon

চট্টগ্রামে নালা-খাল এখনও মৃত্যুফাঁদ

চট্টগ্রামে-নালা-খাল-এখনও-মৃত্যুফাঁদ
নগরের ঝুঁকিপূর্ণ অধিকাংশ স্থানে বাঁশ কিংবা কাঠ দিয়ে দেয়া হয়েছে এমন নিরাপত্তাবেষ্টনী। ছবি: নিউজবাংলা
এত এত মৃত্যুর পরেও নিরাপদ হয়নি চট্টগ্রাম নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ নালা ও খালের পাড়। বদলায়নি পুরনো চিত্র। কেবল কাগজে-কলমে ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ আর বাঁশ-দড়ি দিয়ে বেষ্টনী দিয়ে দায় সেরেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কোথাও কোথাও সেই বাঁশ আর দড়িও নেই। উন্মুক্ত এ সব খাল ও নালার পাশ দিয়ে যেন মৃত্যু হাতে নিয়ে চলাচল করছে মানুষজন, যেখানে যেকোনো সময় ঘটতে পারে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

৬০ লাখ জনবসতির চট্টগ্রাম নগরে মোট খালের সংখ্যা ৫৭টি, যার মোট দৈর্ঘ্য ১৬৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৩৬টি খাল ও ৩০২ কিলোমিটার নালা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আওতায় বাকি ২১টি খাল ও ৬৪৮ কিলোমিটার নালা।

গত ৬ বছরে এ সব উন্মুক্ত নালা ও খালে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এর মধ্যে দুইজনের খোঁজই মেলেনি।

কেবল ২০২১ সালেই মারা গেছেন ৪ জন। যাদের মধ্যে আগ্রাবাদে নালায় পড়ে গত বছরের ২৭ সেপ্টম্বরে প্রাণ হারান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়া। তার আগে খালে পড়ে মৃত্যু হয় আরও ৩ জনের। এর মধ্যে ২৫ আগস্ট মুরাদপুর এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় পা পিছলে নালায় তলিয়ে যান সবজি বিক্রেতা ছালেহ আহমেদ। পরে তার লাশটিও পাওয়া যায়নি।

একই বছরের ৩০ জুন মেয়র গলির চশলা খালে পড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। এ মৃত্যুর মিছিলে সর্বশেষ যুক্ত হয় এক পথশিশু। গত ৬ ডিসেম্বর চশমা খালে বোতল কুড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয় পথশিশু কামাল উদ্দিন।

এত এত মৃত্যুর পরেও নিরাপদ হয়নি চট্টগ্রাম নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ নালা ও খালের পাড়। বদলায়নি পুরনো চিত্র। কেবল কাগজে-কলমে ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ আর বাঁশ-দড়ি দিয়ে বেষ্টনী দিয়ে দায় সেরেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কোথাও কোথাও সেই বাঁশ আর দড়িও নেই। উন্মুক্ত এ সব খাল ও নালার পাশ দিয়ে যেন মৃত্যু হাতে নিয়ে চলাচল করছে মানুষজন, যেখানে যেকোনো সময় ঘটতে পারে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

গত বছর খালে ও নালায় পড়ে কয়েকজনের মৃত্যুর পর উন্মুক্ত ঝুঁকিপূর্ণ নালা-নর্দমা, ফুটপাত ও খালের তালিকা করতে তৎপর হয় সিটি করপোরেশন। চিহ্নিত করা হয় নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার ৫ হাজার ৫২৭টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান। যার মোট দৈর্ঘ্য ১৯ কিলোমিটার। তালিকা করলেও এ সব স্থান নিরাপদ করার কাজ চলছে ঢিমেতালে।

চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এখনো প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ বাকি। যদিও বলা হয়েছিল, জানুয়ারিতেই শেষ হবে এ কাজ।

এ দিকে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে শুনিয়েছেন আশার বাণী, বলছেন দ্রুতই শেষ হবে কাজ। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কাজ খুব বেশি বাকি নেই। বর্ষার আগেই নালা ও খালের পাড় নিরাপদ হবে।’

চট্টগ্রামে নালা-খাল এখনও মৃত্যুফাঁদ

বদলায়নি চিত্র

নগরীর খালে ও নালার মৃত্যুফাঁদে পড়ে মৃত্যুর মিছিল বাড়লেও, বলদায়নি পুরনো চিত্র। চসিকের প্রধান প্রকৌশলীর কথার সঙ্গে মিল পাওয়া যায়নি মাঠ পর্যায়ে। অধিকাংশ স্থানে গিয়ে দেখা গেছে বাঁশ, কাঠ কিংবা দড়ি দিয়ে ঘেরাও দিয়েই খাল ও নালা নিরাপদ করার কাজ সেরেছে চসিক।

গত ৬ ডিসেম্বর যে স্থানে বোতল কুড়াতে গিয়ে তলিয়ে যায় পথ শিশু কামাল, বুধবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, তা এখনো অরক্ষিত হয়েই পড়ে আছে। খালের পাড়ে জটলা পাকিয়ে আছে একদল পথশিশু। তাদের মধ্যে ১৩ বছর বয়সী রহমত বলে, ‘ডর করে খালে নামতে। হের ফরেও ট্যাকার লাইগ্যা নামতে হয়। কিচ্ছু করার নাই।’

একই চিত্র নগরীর মহেশখাল, হিজড়া খাল, মির্জা খাল, বির্জা খাল সংলগ্ন পাড়গুলোর। এ সব খালের পাড় এখনো উন্মুক্ত। নেই কোনো নিরাপত্তাবেষ্টনী। হালিশহর বড়পুল কাঁচাবাজারের পাশ ঘেঁষে চলে গেছে মহেশখাল। বাজার সংলগ্ন খালের পূর্ব পাড়ে সম্প্রতি সড়ক নির্মাণ করেছে চসিক। কিন্তু নেই কোনো নিরাপত্তা দেয়াল।

এ সড়ক ধরে প্রতিদিন যাতায়াত করে শত শত মানুষ। কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত খালটি। স্থানীয়রা বলছেন, খালে পড়ে যেকোনো সময় তলিয়ে যেতে পারে যে কেউ। শিশুদের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। পাশে বস্তি থাকায়, বস্তির শিশুরা খালপাড়ে খেলাধুলা করে।

চকবাজারের কাপাসগোলা এলাকায় হারেছ শাহ লেন ধরে কিছু দূর এগুলেই চাক্তাই খাল। খালের দুই পাশে নেই কোনো ধরনের নিরাপত্তাবেষ্টনী। শীতকালেও সমান্তরাল সড়ক আর খালের পানির উচ্চতা। খাল পাড়ের সরু রাস্তা চলে গেছে চাক্তাইয়ের দিকে। সরেজমিনে দেখা গেছে, শিশু ও নারী-পুরুষের ব্যস্ত চলাচল এই পথে। পা ফসকে খালে পড়লে তলিয়ে যাবেন নিমিষেই।

স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি হলেই খাল ও দুই পাশের রাস্তা একাকার হয়ে যায়। আলাদাভাবে চিহ্নিত করার সুযোগ থাকে না। স্থানীয় বাসিন্দা ও দোকানি আবদুস সোবহান নিউজবাংলাকে বলেন,‘জোয়ার আর বৃষ্টির সময় পানিতে রাস্তা আর খাল সমান হয়ে যায়। স্রোতও থাকে তীব্র। কখন কে ভেসে যায়, তা নিয়ে শঙ্কায় থাকি।’

এ দিকে নগরের ষোলশহর থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত চলছে নালার পাশে সিডিএ’র প্রতিরোধ দেয়ালের নির্মাণকাজ। সেখানে প্লাস্টিকের দড়ি দিয়ে নামমাত্র অস্থায়ী নিরাপত্তাবেষ্টনি দেয়া হচ্ছে। মুরাদপুরে গত বছর যে স্থানে পড়ে তলিয়ে যান সবজি বিক্রেতা ছালেহ আহমেদ, সেখানে দেখে মেলে বাঁশের তৈরি অস্থায়ী বেষ্টনি।

সম্প্রতি এই নিরাপত্তাবেষ্টনীর একপাশের বাঁশ ভেঙে নালায় পড়ে গেছে। এর পাশ দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে নিত্য যাতায়াত করছেন পথচারীরা। আগ্রাবাদে যে স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, একমাত্র সেখানেই চসিকের স্থায়ীভাবে নির্মিত নিরাপত্তা দেয়াল দেখা গেছে।

চট্টগ্রামে নালা-খাল এখনও মৃত্যুফাঁদ

দন্তে গরজ নেই, বাস্তবায়ন হয়নি সুপারিশও

চট্টগ্রাম নগরীর উন্মুক্ত খাল ও নালায় পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কিংবা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কোনো সংস্থাই তদন্ত করেনি। বরং একে অপরকে দোষারোপে দায় এড়ানোর চেষ্টা চলে। তবে তদন্তে দুই সংস্থার গরজ না থাকলেও, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের তদন্তে দায়ী করা হয়েছে তাদের। যদিও তদন্ত প্রতিবেদনে করা হয়নি কোনো সুপারিশ। তবে সে সময় দুর্ঘটনারোধে ৯টি সুপারিশ করেছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ।

সুপারিশে বলা হয়, উন্মুক্ত খাল ও নালার পাশে প্রতিরোধ দেয়াল দিতে হবে। নির্মাণাধীন প্রকল্পে টিন দিয়ে ঘেরাও করে নিরাপত্তাবেষ্টনী নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে ফুটপাতে যেসব নালার উপর স্ল্যাব নেই সেখানে স্ল্যাব বসাতে হবে। দুর্ঘটনার পর কিছু কিছু স্থানে নালায় স্ল্যাব বসালেও বাকি সুপারিশগুলোর মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন নেই। নগরবাসী নিরাপদ চলাচলে স্থায়ী সমাধানে না হেঁটে বাঁশ আর দড়িতেই আস্থা রেখেছে এই দুই সেবা সংস্থা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো ফারুক হোসেন সিকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা স্বপ্রণোদিত হয়ে দুই সংস্থাকে কিছু সুপারিশ করেছিলাম। কিন্তু সেগুলোর বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি সেভাবে আমাদের চোখে পড়েনি। উন্মুক্ত খাল ও নালা নিরাপদ করতে আমরা কিছু স্থায়ী সমাধানের সুপারিশ করেছিলাম।

বাঁশ আর দঁড়ি দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত কোনক্রমেই বাস্তবসম্মত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বরং এগুলো আরো বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করে।’

চট্টগ্রামে নালা-খাল এখনও মৃত্যুফাঁদ

যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নগরের ঝুঁকিপূর্ণ নালা-ফুটপাত চিহ্নিত করে নিরাপদ করার কাজ চলছে। যেখানে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলছে, সেখানে সিডিএ অস্থায়ী নিরাপত্তাবেষ্টনী দিচ্ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমরা নগরীর খাল ও নালার পাড় নিরাপদ করতে কাজ করছি। আশা করছি দ্রুতই এ কাজ শেষ হবে।’

সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘প্রকল্পের কাজের সময় নিরাপত্তাবেষ্টনী দেয়া থাকে। অনেক জায়গায় তা নষ্ট বা চুরি হয়ে যায়। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে নিরাপদে চলাচল করতে পারবে নগরবাসী।’

এ দিকে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নাগরিকের মৃত্যুর পরেও এই দুই সেবা সংস্থার বোধোদয় হয়নি। যেখানে নাগরিকদের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের বিধান, সেখানে তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। না আছে দায়বোধ, না আছে কোনো আন্তরিকতা।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘তাদের কাছে পিঁপড়ার চেয়েও নাগরিকদের জীবন মূল্যহীন। স্থায়ী সমাধানে না গিয়ে বাঁশ আর লাল-সাদা দঁড়িতে দায়িত্ব শেষ করতে চাইছে তারা। তাদের এমন অবহেলার খেসারত আগামী বর্ষায় নগরবাসীকে দিতে হবে।’

আরও পড়ুন:
বরগুনার এমপি শম্ভু ও ওসির ফোনালাপ ফাঁস
ফোনালাপ বিকৃতি: যা বললেন সেই আ. লীগ নেতা
নালায় নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
‘তোর পোয়া পইজ্জি তুই তুলগোই, আঁই কিত্তাম?’
শিশুর খোঁজে আবারও নালায় উদ্ধার অভিযান শুরু

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
In July 2021 the growth rate of revenue collection is about 20 percent 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৭,২৪৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। বিগত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১,৯১৬ কোটি টাকা। জুলাই-২০২৫ মাসে বিগত জুলাই-২০২৪ মাসের তুলনায় ৫,৩৩৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। জুলাই ২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪.৩৩%।

জুলাই’২৫ মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে। এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ১১,৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায়ের পরিমান ছিল ৮,৫৭১ কোটি টাকা। জুলাই ২০২৫ মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৩২.৪৫%।

আয়কর ও ভ্রমন কর খাতে জুলাই’২৫ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬,২৯৫ কোটি টাকা যা জুলাই’২০২৪ মাসের একই খাতে আদায়কৃত ৫,১৭৫ কোটি টাকার চাইতে ১,১২০ কোটি টাকা বেশি। আয়কর ও ভ্রমন করের ক্ষেত্রে জুলাই ২০২৫ মাসের আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২১.৬৫%।

২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে আমদানি ও রপ্তানি খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯,৬০২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮,১৭০ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ১৭.৫২%।

রাজস্ব আদায়ের এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং কাস্টমস শুল্ক-কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

সম্মানিত করদাতাগণ আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ পরিমান কর পরিশোধের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজের অন্যতম অংশীদার হবেন মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The main accused arrested in the murder of UP member

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র‍্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন

র‍্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।

মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।

কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।

ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
July in Kaliganj People from all walks of life took oath with millions of voices

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে শপথ গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী আয়োজিত ‘লাখো কণ্ঠে শপথ পাঠ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক ভাবগম্ভীর পরিবেশে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই মাসে নিহত শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ। তিনি উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান। দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, দুর্নীতি ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করার অঙ্গীকার করেন অংশগ্রহণকারীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও তনিমা আফ্রাদ বলেন, "জুলাই পুনর্জাগরণ কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি আমাদের চেতনার বাতিঘর। সেই শহীদদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। আজকের এই সম্মিলিত শপথ হোক দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার একটি নতুন অঙ্গীকার। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারে।"

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম উর্মি, কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।

বক্তারা জুলাইয়ের শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের এই সফল আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে এক নতুন মাত্রা দেয়। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি কালীগঞ্জের মানুষের মধ্যে দেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Snake panic in Feni after flood

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The creation of waterlogging at Benapole ports

পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

ব্যাহত হচ্ছে বন্দরে খালাশ প্রক্রিয়া
পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।

তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chakrias escaped accused Sajjad was detained in Coxs Bazar DB

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।

চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।

এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে