× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Japa should not be measured by UP vote Chunnu
google_news print-icon

ইউপির ভোট দিয়ে জাপাকে মাপলে চলবে না: চুন্নু

ইউপির-ভোট-দিয়ে-জাপাকে-মাপলে-চলবে-না-চুন্নু
জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। ছবি: নিউজবাংলা
চুন্নু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১৯৯১ সালে যখন এরশাদ সাহেব পদত্যাগ করেন, তখন কিন্তু বিএনপির মাঠে তেমন সংগঠন ছিল না। তাদের ৩০০ আসনে মনোনয়ন দেয়ার সুযোগ ছিল না। সে সময় তাদের এক শ থেকে দেড় শ প্রার্থী দিতে হয়েছে হায়ারে (ভাড়া করে)। তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় চলে গেছে এমন একটা ভাব ছিল। নির্বাচনের পর দেখা গেল বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে। আমরাও এমন মনে করছি, আমরা যখন কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে যাব, জনগণ যদি কর্মসূচি গ্রহণ করে, ইউনিয়ন-পৌরসভায় কতটা জিতলাম মানুষ ওই দিকে তাকাবে না। আমরা সেই সুদিনের আশায় আছি।’ 

দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে জনগণ পছন্দ করছে না মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, জনতা চায় তার দলকে। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, তিন শ সংসদীয় আসনে প্রার্থী দেয়ার মতো অবস্থা নেই তাদের। তার পরও এককভাবে নির্বাচন বা তাদের নেতৃত্বে জোট এবং সেই জোটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় প্রধান দল হিসেবে যোগ দেয়ার সম্ভাবনাও দেখছেন তিনি।

ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে দল, অথচ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পাত্তাই নেই। এ প্রসঙ্গে চুন্নুর যুক্তি হলো, ইউনিয়ন পরিষদের ফল দিয়ে জাতীয় নির্বাচন মাপা যাবে না।

২০০৮ সাল থেকে তিনটি জাতীয় নির্বাচন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ বা সমঝোতা করে অংশ নেয়া জাতীয় পার্টির আগামী দিনে বিএনপির সঙ্গেও সমঝোতা হতে পারে বলে একটি কথা উঠেছিল। সেটিকে অবশ্য নাকচ করেছেন দলের মহাসচিব।

নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব বিষয় উঠে এসেছে।

বেগম রওশন এরশাদ এখন কেমন আছেন?

উনি আছেন, ভালো-মন্দ মিলিয়ে। যেহেতু উনার বয়স হয়েছে, অনেক রোগ উনার। এখন একটু ভালো হন, আবার একটু খারাপ হন। এই অবস্থায় আছেন।

দেশে রাজনীতি নিয়ে আবার অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এমনটা কি হওয়া উচিত ছিল? দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে রাজনীতির উন্নয়নটা হলো না। আসলে কী কারণ বলে মনে করছেন?

দেশে এখনও কোনো অনিশ্চিত অবস্থা আছে বলে মনে করি না। তবে ওমিক্রন ও ক্ষমতাসীন দলের কিছু কিছু সিদ্ধান্তের কারণে ফ্রিলি সবাই মাঠে কাজ করতে পারছে না, এটা ঠিক।

জাতীয় পার্টির আগামী পরিকল্পনার মধ্যে অগ্রাধিকার কী?

আমরা চিন্তা করি, আমরা যদি ক্ষমতায় যাই, আমাদের অগ্রাধিকার থাকবে দেশের বেকার সমস্যার সমাধান। এ ছাড়া আমরা ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের জন্য প্রাদেশিক সরকার গঠন করব। স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আধুনিক হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়া যায়, ওটাকে আমরা অগ্রাধিকার দেব এবং শিক্ষাক্ষেত্রে কর্মমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা করব। কোনো ছাত্র লেখাপড়া শেষে যাতে তাকে কাজে লাগানো যায়, এই ব্যবস্থা আমরা করব। তবে সব বিষয়ে তো সব দল একমত নাও হতে পারে। অন্যদের সঙ্গে তো আমাদের নাও মিলতে পারে।

ইউপির ভোট দিয়ে জাপাকে মাপলে চলবে না: চুন্নু

সংসদে তো আপনারা প্রধান বিরোধী দল। দেশে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আপনাদের অবস্থান কোথায় বলে মনে করেন?

আমরা সংসদে প্রধান বিরোধী দল সন্দেহ নেই। যেহেতু সংসদে আমরা বিরোধী দল, আমরা এখন এমন একটা অবস্থায় আছি, ১৯৯০ সালে এরশাদ সাহেব পদত্যাগ করার পর গত ৩১ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্ষমতায় দুটি দল। সেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আমাদের চেয়ে বড় দুটি দল সন্দেহ নেই। এই দুটি দল, ক্ষমতায় আসছে, ক্ষমতায় গেছে। তাদের যে শাসন, দুর্নীতি, এই দুটি দলকে মানুষ এখন আর চাইছে না। মানুষের চাওয়া এখন এই দুই দলের বাইরে কোনো দল।

এর বাইরে দল কে আছে, আমরা চিন্তা করছি, আমরা আছি। আমরা তো এই সুযোগটা নিতে পারি। আমরা মনে করতেছি, আমরা জনগণের জন্য দুই দলের চেয়ে ভালো কাজ করতে পারব, এই ধরনের কর্মসূচি দিতে পারি। যদি আগামী দুই বছর মানুষের কাছে যেতে পারি, দলকে সংগঠিত করতে পারি, তাহলে মানুষ আমাদের হয়তো একটা সুযোগ দিতে পারে।

তাই আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে মনোনয়ন দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

আপনারা বলছেন, দুই দলের বিকল্প হিসেবে জনগণ জাতীয় পার্টিকে চায়। এটা কীভাবে বুঝব আমরা? স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফল তো সে কথা বলে না।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফল দিয়ে তো এটা মাপা যাবে না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরই কিন্তু সেখানে অনেকে ফেল করছে। যেখানে ‘নৌকার’ বিরুদ্ধে অনেক লোক পাস করছে।

সে হিসাব করলে তো দেখা যাবে, আমাদেরও অনেক সমর্থন আছে, রাজনৈতিক কারণে…। কারণ এই নির্বাচনটাতে প্রশাসন অন্ধভাবে সরকারের পক্ষে কাজ করছে। অনেক জায়গায় আমাদের লাঙলের প্রার্থী থাকতে পারেনি, তাদের ফোর্স করা হয়েছে। অনেক জায়গায় তাদের এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

আমরা এমনিতেও এক শর কাছাকাছি চেয়ারম্যান পাইছি আরও অনেকগুলো আসত, কিন্তু এই অব্যবস্থার কারণে ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের জোর করার কারণে আমাদের অনেক লোক মাঠে কাজ করতে পারেনি (প্রকৃতপক্ষে জাতীয় পার্টি ৩০টি ইউনিয়নেও জয় পায়নি)।

এটা দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে তুলনা করলে আমার মনে হয় না ঠিক হবে। কারণ জাতীয় রাজনীতি অন্য বিষয়। সেখানে একটি দল ক্ষমতায় গেলে দেশের জন্য কী করবে, সেই কর্মসূচিকে মানুষ প্রাধান্য দেবে।

আপনাদের হয়তো খেয়াল আছে, ১৯৯১ সালে যখন এরশাদ সাহেব পদত্যাগ করেন। তখন কিন্তু বিএনপির মাঠে তেমন সংগঠন ছিল না। তাদের তিন শ আসনে মনোনয়ন দেয়ার সুযোগ ছিল না। সে সময় তাদের এক শ-দেড় শ প্রার্থী তাদের দিতে হয়েছে হায়ারে (ভাড়া করে)।

তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় চলে গেছে, এমন একটা ভাব ছিল। নির্বাচনের পর দেখা গেল বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে। আমরাও এমন মনে করছি। আমরা যখন কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে যাব, জনগণ যদি কর্মসূচি গ্রহণ করে, ইউনিয়ন-পৌরসভায় কতটা জিতলাম মানুষ ওই দিকে তাকাবে না। আমরা সেই সুদিনের আশায় আছি।

আপনি বললেন, ৩০০ সংসদীয় আসনে প্রার্থী দেবেন। এ বক্তব্য আপনি দলীয় কর্মসূচিতেও বলেছেন। সেটার কি প্রস্তুতি নিচ্ছেন?

দেখুন, সত্য কথা বলতে গেলে, ৩০০ আসনে মনোনয়ন দেয়ার মতো আমার এখন প্রার্থী নেই। সেই প্রার্থী নেই দেখেই আমার দলের চেয়ারম্যান ও আমি সাংগঠনিক টিম করেছি প্রতি বিভাগে। প্রত্যেক জেলায় আমরা যাচ্ছি। আমরা দলকে সংগঠিত করতেছি। একই সঙ্গে আমরা যারা ভালো লোক সমাজে, যারা প্রার্থী হতে পারে, কিন্তু নানা কারণে তারা পিছিয়ে পড়েছে। ওই সব লোক ইতিমধ্যেই আমরা কিছু পেয়েছি।

আরও আমরা সংগ্রহ করার চেষ্টায় আছি। যারা ভালো, সৎ ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, এমন লোক যাতে আমরা ৩০০ আসনেই দিতে পারি, এ জন্য কাজ করছি।

ইউপির ভোট দিয়ে জাপাকে মাপলে চলবে না: চুন্নু

কীভাবে এগোচ্ছেন?

বিভাগীয় যে টিম করেছি তারা সব জেলা-উপজেলায় যাবে। সেখানে আমাদের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবে। নতুন কর্মী সৃষ্টি করবে। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড লেভেলে যাকে কমিটি করা হয়। আমরা আগামী নির্বাচনে কী করতে চাই, সেই কর্মসূচিও আমরা দেব। ইতিমধ্যেই আমাদের টিম কাজ শুরু করেছে। ইনশআল্লাহ আগামী ২ বছরে একটি অবস্থায় পৌঁছতে পারব।

আপনি বলেছেন, জাতীয় পার্টি কোনো জোটে যাবে না? এটা কি আওয়ামী লীগের জন্য কোনো বার্তা?

জোট সারা পৃথিবীতে এখন একটি সংস্কৃতি। ইংল্যান্ডের মতো দেশেও নির্বাচনি জোট হয়, কিন্তু আমাদের টার্গেট ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে এককভাবে নির্বাচন করা। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কী করব, সেটা সময়ের বিষয়।

২০০৮ সাল থেকে বারবার দেখা যায়, আপনারা আলাদা নির্বাচন করার কথা বলেন। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গেই জোট। এবারও শেষ পর্যন্ত তাই হবে?

অগ্রিম বলা তো মুশকিল যে আওয়ামী লীগের জোটে যাব কি না। যদি বলি আওয়ামী লীগ আমাদের সঙ্গে জোটে আসবে কি না। এমনও তো হতে পারে, জি এম কাদেরের নেতৃত্বে যে জোট হবে সেখানে আওয়ামী লীগ আসতে পারে।

আমরা যদি দুই বছর কাজ করি, তারপর দেখি মানুষ আমাদের সমর্থন দিচ্ছে তখন জোটে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন পড়বে না।

শেষ পর্যন্ত কী হয়, এটা বলা মুশকিল। আওয়ামী লীগ নিশ্চিতভাবে নাই যে আমেরিকা থেকে তাদের নিষেধাজ্ঞা দেবে। কাজেই অগ্রিম কোনো কিছু বলা মুশকিল।

আর আমরা তো মনে করি, আমাদের নেতৃত্বেই একটা জোট হতে পারে আগামীতে। আমাদের নেতৃত্বে একটা জোট ছিল, আমরা আগামী নির্বাচনে ভাবছি, এখনই চিন্তা করছি না। জনগণের কাছে যাচ্ছি, যাব। জনগণের সাড়া পেলে তখন অনেকে আসবে আমাদের কাছে আমাদের নেতৃত্বে জোট করার জন্য। তখন আমরা চিন্তা করব, জোট করব কি না।

আপনি বিএনপির কাছ থেকেও প্রস্তাব পাওয়ার কথা বলেছেন। একটু বিস্তারিত বলবেন কি? প্রস্তাব নিয়ে কী ভাবছেন?

আমি ঠিক কথাটা এভাবে বলিনি। জাতীয় পার্টির এমন একটা অবস্থা আছে যে, বড় দুটি দলই মনে করে, আমাদের ছাড়া তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। আমরা এটা মনে করছি, দুটি দল ছাড়াই আমরা ক্ষমতায় যেতে পারব। কাজেই এটাকে প্রত্যেকের দলের নিজস্ব বিষয় বলে মনে করি।

বিএনপি জোটে যাওয়ার বিষয়ে আপনাদের শর্ত কী থাকবে?

আমরা তো…বিএনপি জোটে যাওয়ার কোনো চিন্তা আমাদের মধ্যে নাই। শর্ত তো পরের প্রশ্ন। কারণ বিএনপি এরশাদ সাহেবকে অমানবিকভাবে কষ্ট দিছে। বিএনপি বেগম এরশাদকে অন্যায়ভাবে তার শিশুসন্তানসহ জেলে রাখছে। এরশাদ সাহেব তখন জেলখানায় অসুস্থ ছিলেন, উনার বিলোরোবিনের (রক্তের একটি উপাদান) মাত্রা ছিল ২৯। তখন মেডিক্যাল বোর্ড বলেছিল, উনার চিকিৎসা দরকার। আমরা সেদিন নাজিমুদ্দিন রোড থেকে এরশাদ সাহেবকে পিজি (বর্তমান বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করানোর জন্য দরখাস্ত দিয়েছিলাম তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু বিএনপি সেদিন উনাকে হাসপাতালে আনেনি। এগুলো তো আমরা ভুলে যেতে পারি না।

সংসদে আপনারা প্রধান বিরোধী দল, কিন্তু রাজপথে কোনো কর্মসূচিই নেই। আপনাদের মাঠে দেখা যায় না কেন?

কোনো কোনো পার্টি আছে, যাদের কোনো অফিস নাই, কিন্তু প্রেস ক্লাবের সামনে সাইনবোর্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এ ধরনের রাজনীতির কোনো দরকার জাতীয় পার্টির নাই। জাতীয় পার্টি সংসদীয় রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। কারণ সংসদ হলো সব গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের মূল কেন্দ্র, আমরা সেখানে আমাদের যথাযথ ভূমিকা রাখছি।

সরকারের অনেক বিষয় আছে, যেগুলো জনস্বার্থের না। সেগুলো নিয়ে আমরা সরকারকে বলছি। যেমন: দ্রব্যমূল্য, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, তেলের দাম বৃদ্ধি, সুশাসন, দুর্নীতি-ঘুষ নিয়ে।

একটি পর্যায়ে দেখা যাবে, আমরাও হয়তো মাঠে গেছি, তবে কথায় কথায় মাঠে যাওয়া এমন তথাকথিত রাজনীতি, আমি মনে করি, বাংলাদেশের মানুষ এখন চায় না। মাঠে যখন আমরা যাব, এমনভাবেই যাব, জনগণ যেন সম্পৃক্ত হয়। মাঠে গেলে যেন মাঠ থেকে ফিরে আসতে না হয়, যাতে মাঠে সিদ্ধান্ত হয়।

আপনারা কি সেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন?

সেই অবস্থায় আমরা যাব, যদি সরকার এখনই সাবধান না হয়।

র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে জাতীয় পার্টি কীভাবে দেখছে?

এটা আসলে সরকার ভালো বলতে পারবে, কিন্তু এটুকু বলতে পারি, এটা একটি ভালো লক্ষণ নয়। যেহেতু আমেরিকার সঙ্গে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা বিষয়ে যোগাযোগ আছে, কাজেই এমন নিষেধাজ্ঞা সরকারের জন্য সম্মানহানিকর। আমি মনে করি, এটা সরকার সঠিকভাবে হ্যান্ডেল করতে পারেনি।

বিএনপি তো ২০১৪ সালের নির্বাচনে না গিয়ে ভোট ঠেকাতে পারেনি। আন্দোলনেও তখন ব্যর্থ হয়েছিল। এখন বড় জোট করে আন্দোলনের কথা বলছে। এটাকে কীভাবে দেখছেন?

আমি জানি না, বিএনপির বড় জোট কী? জোট তো তাদের আছেই, ২০-৩০ দলের। আওয়ামী লীগেরও ১৪ দল আছে। শুধু আমরা একা আছি। বিএনপি-আওয়ামী লীগ বড় জোট করতে চাইলে আমি তো দলই দেখি না। আর দল কোথায়? বিএনপির সঙ্গে কামাল হোসেনসহ অনেক দলই তো আছে। অবশ্য বামপন্থি কিছু দল আছে, যারা নিজস্বভাবে চলে।

আরও পড়ুন:
সিইসির কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানাল জাপা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The image of Daksu Jaksu Chaksu will be seen by the nation in the future Jamaat Amir

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতেও জাতি দেখবে: জামায়াত আমির

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতেও জাতি দেখবে: জামায়াত আমির জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

যুব ও নারী সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ঢাকসু, জাকসু ও চাকসুতে যুব সমাজ ছাত্রশিবিরের ওপর আস্থা রেখেছে। সব জায়গায় একই চিত্র। মেয়েদের ও তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে। এর প্রতিচ্ছবি জাতি আগামীতে দেখবে ইনশাআল্লাহ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ঢাকা-১৫ নির্বাচনী আসনের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ইসলামের ইতিহাসে নারীদের ভূমিকা ও অবদানের কথা তুলে ধরেন বক্তব্যজুড়ে।

জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা অভিভূত হয়ে লক্ষ্য করছি, দুটো সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে—একটি আমাদের যুবসমাজ, আরেকটি আমাদের মায়েদের সমাজ। আজ পর্যন্ত তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হয়ে গেছে। সব জায়গায় একই চিত্র—মেয়েদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর; তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। এরই প্রতিচ্ছবি আগামীতে বাংলাদেশ দেখবে।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘৯১ শতাংশ মুসলমানের দেশে আমাদের মায়েদের সম্মান ঘরে-বাইরে কোথাও নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর কোরআন এবং রাসূলের জীবনী থেকে সেই শিক্ষা নিয়েছে যে আমাদের মায়ের জাতিকে মায়ের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে হবে। এই রাষ্ট্রে বাস্তব প্রয়োজনে এবং যোগ্যতা অনুযায়ী পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখবেন।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইমান, ধর্মবিশ্বাস—এসবের হিসাব নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের নয়। আমরা এই রাষ্ট্রের মানুষকে সম্মান করব। তারা এ দেশের নাগরিক। আমরা দেখব না সে কোন ধর্মের, কোন দলের, তার গায়ের রং কী, মুখের ভাষা কী, সে পাহাড়ে থাকে নাকি সমতলে থাকে। সে আমার ভাই, সে আমার বোন, সে এই দেশের নাগরিক—সেই হিসেবে আমরা তাদেরকে পরিচালনা করব।’

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো প্রাধান্য আছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আছে। এ দেশের অর্থনীতি ভাঙাচোরা, উল্টে পড়া, ধসে যাওয়া। দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করে প্রকৃত সেবকদের হাতে তুলে দিতে হবে। সেই লোকটা আমাদের দলের হতে পারে, না-ও হতে পারে। সেই লোকটা মুসলমান হতে পারে, অন্য ধর্মেরও হতে পারে। যে এই দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত, তার হাতে এই দায়িত্বের চাবি তুলে দেওয়া হবে। এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ আমরা গড়ে তুলতে চাই।’

জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এমন একটি সমাজ চাইছি, যেখানে শাসকেরা জনগণের কাছে তাদের ত্রুটি ও ঘাটতির জন্য মাফ চাইবে। তারা কারও কাছ থেকে প্রশংসা চাইবে না, বাহবা চাইবে না, কোনো স্লোগান চাইবে না, যেমন “অমুক ভাই, তমুক ভাই জিন্দাবাদ”—এটা চাইবে না। তাদের অন্তর ভয়ে কাঁপবে, জনগণের এই বোঝা “আমার কাঁধে যেটা দেওয়া হয়েছে, আমি তা বহন করতে পারছি কি না”—এই ভেবে।

তিনি বলেন, যে সমাজে যুব সমাজ সিদ্ধান্ত নেয় এবং নারীরা এগিয়ে আসে, সেই সমাজ ও জাতি কখনো পরিবর্তন না হয়ে পারে না।

তিনি জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গীকার তুলে ধরে বলেন, আমাদের প্রথম অঙ্গীকার, একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবো। শিক্ষা ভালো না হলে জাতি কখনো ভালো হতে পারে না। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড।

দ্বিতীয়ত, সমাজের প্রত্যেকটি স্তরে দুর্নীতি বাসা গেঁড়ে বসে আছে। এই দুর্নীতি থাকবে না। এজন্য যত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, করবো ইনশাআল্লাহ। লড়াই করবো, হিমালয়ের মতো পর্বত সমান বাধা আসলেও দুর্নীতির অস্তিত্ব যেন আসমান থেকে মাটিতে নামিয়ে আনতে পারি।

তৃতীয়ত, প্রত্যেকটি মানুষ যেন তার প্রাপ্ত হক বা ন্যায়বিচার পান, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এজন্য যেন আবাল-বৃদ্ধ, বনিতা, নারী ও শিশু কাউকে চেষ্টা করতে না হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no option but to have national elections and referendum together Ruhul Kabir Rizvi

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়া ছাড়া উপায় নেই: রুহুল কবির রিজভী

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়া ছাড়া উপায় নেই: রুহুল কবির রিজভী

জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একসঙ্গে করার বিষয়ে আবারও জোরালো মত দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ গণভোট আগে হলে জাতীয় নির্বাচনে বিলম্ব হবে। আর জনগণের নির্বাচিত সরকার দ্রুত না এলে সংকট আরো ঘনীভূত হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
তিনি বলেন, আমি মনে করি যে যারা গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন, তারা সবাই এমন এক জায়গায় উপনীত হবেন যাতে আমাদের পরবর্তী গণতন্ত্রের অভিযাত্রার পথে আমাদের যেন বিঘ্ন না ঘটে। তা না হলে কালো ঘোড়া প্রবেশ করতে পারে, কালো ঘোড়া ঢুকে যেতে পারে।
রিজভী বলেন, উন্নত দেশ দীর্ঘদিনের গণতন্ত্র চর্চার দেশেও এখন কথা উঠেছে, এই পদ্ধতিতে (পিআর) জনমতের ট্রু রিফ্লেকশন হয় না। এ নিয়ে সেইসব দেশে আলাপ-আলোচনা, বির্তক চলছে। আপনি জানেন যে, জাপান গণতন্ত্রের দিক থেকে অতি উন্নত একটি দেশ এবং সেখানেও ৩৭ শতাংশ পিআর পদ্ধতি চালু আছে। যেখানে সারাবিশ্বেই পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে, কোথাও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত হয়নি, সেখানে হঠাৎ করে আমাদের এখানে কেনো চালু করতে চাইবেন?
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে আপনি হঠাৎ করে পিআরের কথা বলেন, এতে জনমনে বিভ্রান্ত তৈরি করবে। আমি এ পর্যন্ত যত জরিপ দেখেছি, বিশেষ করে গণমাধ্যমে- সেখানে অধিকাংশ মানুষের আনুপাতিক হারে ভোট পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। অনেকেই কনফিউজড অবস্থায় আছেন।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশ যেগুলো অতি উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ যেমন ব্রিটেন, আমেরিকা যদি আমরা বলি বা আরও অন্য দেশে প্রতিনিধি নির্বাচনের যে পদ্ধতিটা চালু আছে- সরাসরি প্রার্থীকে ভোট দেওয়া। আমাদের এখানে কী এমন ঘটনা ঘটলো যে পিআর উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের মডেল? এটা আমার মনে হয়, অবান্তর কথা তারা (জামায়াতে ইসলামী) বলছেন। এটা বলে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করছেন অথবা তাদের অন্য কোনো মাস্টার প্ল্যান আছে কি না আমি জানি না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
NCP will not sign July charter without legal basis

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে সই করবে না বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নাটকীয়তায় অংশ নেবে না এনসিপি।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোনো ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য হয়নি। বরং একটি ফ্যাসিবাদী কাঠামো সংস্কারের জন্য হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের কথা বলেছিলাম।’

এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ সনদ স্বাক্ষরের আগেই প্রকাশ করতে হবে। জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়কে প্রাধান্য দিয়ে এ আদেশ প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন।’

তিনি বলেন, ‘স্বাক্ষরের আগেই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় দলগুলোর ঐক্যমত হতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করেই আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়টা বিবেচনা করব। আদেশের টেক্সটের খসড়া আমরা আগে দেখতে চাই। প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শক্তিতে সরকার গঠন করেছেন, সেই জায়গা থেকে সেটা প্রেসিডেন্ট নয় বরং সরকার প্রধান হিসেবে তিনি সেটি জারি করবেন।’

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘গণভোট দ্বারা জনগণ সনদের পক্ষে ভোট দিলে পরের সংসদকে কনস্টিটিউট পাওয়ার দেওয়া হবে। সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার করতে এই দাবির সঙ্গে মোটামুটি সবাই একমত। এটার সংশোধনী হবে কিনা আমাদের কাছে কিন্তু তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদে ৮৪টি সংস্কারের বিষয়ে গণভোট হবে। এতে নোট অব ডিসেন্টের আলাদা কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। গণভোটের প্রশ্ন কি হবে তা আগেই চূড়ান্ত করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব ও আহ্বায়ক জাবেদ রাসিনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP Liberation War Party Freedom Fighters

বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল

কোটালীপাড়ায় এস এম জিলানী
বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এসএম জিলানী বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল। আমরা এই আদর্শকে ধারণ করি, লালন করি। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাক হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল, গণহত্যা চালিয়েছিল তখন একজন দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার শহীদ জিয়াউর রহমান পাকিস্তানীদের এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করলাম পাকিস্তান সরকারের সাথে। আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করলাম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে। বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হতো তাহলে কোর্ট মার্শালে জিয়াউর রহমানের ফাঁসি হতো এই বিদ্রোহ ঘোষণার কারণে। নিশ্চিত ফাঁসি জেনেও তিনি দেশ মাতৃকার জন্য বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজি মন্টু কলেজ মাঠে আয়োজিত ‘সম্প্রীতি সমাবেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে এসএম জিলানী বলেন, ইতিহাস থেকে জেনেছি, যখন কোনো দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয় তখন সেই দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের নেতা সে দেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে থাকেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থাকেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য ছিল বাংলাদেশের মানুষের। কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ সেদিন দিকবেদিক নেতৃত্ব শূণ্যতায় ছিল। জিয়াউর রহমান অপেক্ষায় ছিলেন হয়তো স্বাধীনতার ঘোষণা কেউ দিবে। কিন্তু কোন রাজনৈতিক দলের নেতা যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন না। জিয়াউর রহমান উপলব্ধি করলেন যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দেই তাহলে বাংলাদেশর মানুষ ঐক্যবদ্ধ হবে না। আর যদি বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ না হয় তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হতে পারব না।

সমাবেশে কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী আবুল খায়ের। অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অলিউর রহমান হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা মোদাচ্ছের ঠাকুরসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের সিনিয়র নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chaksu and Hall have ended voting in the parliamentary elections

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন চলছে ভোট গণনার প্রস্তুতি। এ নির্বাচনে ভোট হয়েছে ব্যালট পেপারে। গণনা হচ্ছে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। ভোট গণনা সরাসরি দেখানো হবে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে। এজন্য রয়েছে ১৪টি এলইডি স্ক্রিন।

চাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, চাকসু নির্বাচনে হাতে লাগানো অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়াসহ বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে।


উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, খুবই শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ-উদ্দীপনা দেখে সত্যি ভালো লাগছে। আমাদের পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সিভিল প্রশাসনের লোকবল রয়েছে। ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If voting will be easier to go to heaven campaigning Rizvi

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা: রিজভী

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আয়োজিত কোরআন অবমাননা ও বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, জামায়াত ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা কিছু ছেলেপেলেকে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার, কটূক্তি ও করুচিপূর্ণ কথা ছড়ানোর বাহিনী গড়ে তুলেছে। এরা মিথ্যাকে সাজিয়ে গুছিয়ে প্রচার করছে প্রতিনিয়ত।
তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত আওয়ামী লীগের লেজ ধরে চলতে ভালোবাসে, এখনো কেন যেন আওয়ামী লীগের ভোট নেওয়ার জন্য কায়দা কানুন করছে। শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ইসলামের মৌলিক নীতির বাইরে কথা বলছে তারা।’
সাধারণ মানুষ পিআর সম্পর্কে জানে না জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘যারা নভেম্বরে গণভোটের কথা বলছেন তাদের কোনো মাস্টারপ্ল্যান আছে, তারা শর্ত দিয়ে বিভ্রান্ত করে জাতীয় নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চাচ্ছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Some advisers have a record of conspiracy to us Taher

কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে রেকর্ড আছে: তাহের

কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে রেকর্ড আছে: তাহের জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের

অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আয়োজিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসন ও উপদেষ্টা পর্যায়ে দলীয় প্রভাবমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কিছু উপদেষ্টা একটি দলের হয়ে কাজ করছেন। কারা কারা ষড়যন্ত্রে জড়িত, তাদের তালিকা ও রেকর্ড আমাদের কাছে রয়েছে।
তিনি আরো দাবি করেন, বর্তমানে ডিসি, এসপি ও ইউএনও নিয়োগে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে। একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে এই নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারের কিছু উপদেষ্টা, যারা নিজেরা নিরপেক্ষ থাকার কথা বললেও, মূলত একটি দলের হয়ে ভূমিকা রাখছেন।
তাহের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই ষড়যন্ত্র থামাতে হবে। প্রশাসনের ভেতর দলীয় প্রভাব ও গোপন মদদ থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। যারা নির্বাচনের নামে নাটক করতে চায়, জনগণ তা মেনে নেবে না।
জামায়াতের পক্ষ থেকে আবারও গণভোটের দাবি তুলে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একটি গণভোট আয়োজন করতে হবে। এতে জনগণের ইচ্ছা ও বাস্তবতা পরিস্কার হবে। স্বচ্ছতা থাকলে ২১ দিনেই গণভোট সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, একটি দল মুখে গণতন্ত্র ও সংস্কারের কথা বললেও ঐক্যমতের ক্ষেত্রে তারা অনুপস্থিত। জুলাই সনদের বাস্তবায়নের জন্য আমরা রাজপথে থাকব। প্রয়োজন হলে আরও বড় কর্মসূচিতে যাব।
জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণার জবাবে তাহের বলেন, জামায়াত দখলবাজি করে না, চাঁদাবাজি করে না। আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। ক্ষমতায় গেলে কৃষকের ঋণ মামলাগুলো প্রত্যাহার করব। আমরা সুষ্ঠু ও ন্যায়ভিত্তিক বিচার চাই, যেন-তেন বিচার নয়।
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণমানুষের দাবি মেনে নিতে হবে। গণভোট দিতে হবে। পিআর পদ্ধতি মানতে হবে। আর যারা খুন-গুমে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

p
উপরে