দুটি গ্রামের শখানেক পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন আগে গড়ে উঠেছে ‘সমাজ’। ঈদ, ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ যেকোনো ‘সামাজিক’ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসে সেই ‘সমাজ’ থেকে। ‘সমাজের’ নীতি বিরুদ্ধ কিছু হলেই দেয়া হয় শাস্তি।
অভিযোগ উঠেছে, ‘সমাজের’ মনঃপূত না হওয়ায় এমন শাস্তি ভোগ করছে দুই পাড়ার তিনটি পরিবার।
পরিবারগুলোকে শাস্তি দেয়া হয়েছে, গ্রামের কোনো অনুষ্ঠানে অভিযুক্তরা যেতে পারবেন না। তাদের কোনো অনুষ্ঠানে গ্রামের অন্যরাও আসতে পারবেন না।
এমনকি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে নিষেধ করা হয়েছে অন্যদের। এক কথায় তাদের একঘরে করে রাখা হয়েছে। এভাবে তিন পরিবার একঘরে হয়ে আছে গত এক বছর ধরে।
এমন ঘটনা বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের স্টেশনপাড়া ও স্কুলপাড়ায়। একঘরে করা তিনটি পরিবারের কর্তাব্যক্তিরা হলেন ফেরদৌস আলী, মোজাফফর আলী ও আব্দুস সামাদ খন্দকার। এর মধ্যে মোজাফফরের বাড়ি স্কুলপাড়ায়। বাকি দুজন স্টেশনপাড়ার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগীরা জানান, পান থেকে চুন খসলেই গ্রামের লোকদের একঘরে করার নির্দেশ দেয় ‘সমাজ’। এভাবে শুধু তিন পরিবার নয়, বিগত সময়ে আরও অনেককে এই শাস্তি পেতে হয়েছে।
গ্রামের কথিত ওই ‘সমাজ’ নিয়ন্ত্রণ করেন আবু নঈম সরকার লিংকন। তিনি স্থানীয় লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এর আগে তার বাবা আবু তায়েব সরকার তহির একইভাবে মাতব্বরের দায়িত্ব পালন করতেন।
আবু তায়েব বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা। এ ছাড়া তারা পারিবারিকভাবে ছাতিয়ানগ্রামে প্রভাবশালী। গ্রামের স্কুল, মসজিদ ও কবরস্থানে তাদের জমি দান করা আছে। ফলে গ্রামে প্রভাবও খুব বেশি।
এভাবে তুচ্ছ কারণে দুই গ্রামের তিন পরিবারকে একঘরে করার বিষয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আদমদীঘি উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে পরিবারগুলো।
ভুক্তভোগীদের একজন মোজাফফর আলী পেশায় হোটেল ব্যবসায়ী। তিনি স্কুলপাড়ায় থাকেন। ছাতিয়ানগ্রাম বাজারে তার ভাতের হোটেল রয়েছে। তিনি গত বছর কোরবানির ঈদের সময় থেকে একঘরে হয়েছেন।
মোজাফফরের ‘অপরাধ’ ছিল, মাতব্বর লিংকনের সঙ্গে ভাগে কোরবানি দিয়েছিলেন গত বছর, সেখান থেকে ‘সমাজের’ অংশ দিতে দেরি করেছেন। সে অপরাধেই তার পরিবারকে করে দেয়া হয়েছে একঘরে।
মোজাফফর জানান, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তার পরিবারকে একঘরে রাখা হয়েছিল। সে সময় লিংকনের বাবা তাদের একঘরে করার ঘোষণা দেন। পরে জরিমানা হিসেবে গ্রামের সবাইকে আলুঘাঁটি করে খাইয়ে আবার ‘সমাজে’ অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘এই যুগেও এমন শাস্তি দেখতে হবে, এ কেমন কথা। ঠিক আছে, সমাজে আসতে হলে যদি আবার আলুঘাঁটি খাওয়ানো লাগে খাওয়াব। কিন্তু এভাবে পাড়ার মধ্যে থেকে অপরিচিত মানুষ হয়ে থাকতে ভালো লাগে না।’
আরেক ভুক্তভোগী ফেরদৌস আলী স্টেশনপাড়ার বাসিন্দা। পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। তাকে গত বছরের জুলাইয়ে কোরবানির ঈদের পরে একঘরে করার সিদ্ধান্ত দেয় ‘সমাজ’।
ফেরদৌস বলেন, ‘গত ঈদুল আজহায় আমার বাড়িতে পশু কোরবানি দিই। কিন্তু আমাদের গ্রামের সবার কোরবানি আবু নইম লিংকনদের বাড়ির উঠানে দেয়ার নিয়ম করা হয়েছে। তাদের বাড়ির উঠানে কোরবানি না দেয়ায় লিংকন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে সমাজচুত্য করার ঘোষণা দেন। কোরবানির পশুর মাংসের একটা অংশ ‘সমাজে’ পাঠানো হলেও তারা সেটি গ্রহণ করেননি।’
তিনি জানান, এই এক বছরে সামাজিক কোনো আয়োজনে তাদের থাকতে দেয়া হয়নি। অন্যদের আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
ফেরদৌস বলেন, ‘লিংকন আমার মামাতো ভাই, কিন্তু ওরা সবাইকে নিজেদের মতো শাসন করতে চান। পান থেকে চুন খসলেই তারা একঘরে ঘোষণা করেন।’
ফেরদৌসের প্রতিবেশী শিক্ষার্থী রেজাউল হক বলেন, ‘কয়েক দিন পরে আমার ভাইয়ের বিয়ে। সবাইকে দাওয়াত দিচ্ছি, কিন্তু বাড়ির পাশের লোককে দাওয়াত দিতে পারিনি এখনও। এ বিষয়ে লিংকন কাকাকে অনুরোধ করেছি। তিনি জানিয়েছেন, দাওয়াত দিলে দিতে পারো, তাদের (ফেরদৌস) দাওয়াত দিলে আমরা কেউ যাব না।’
স্টেশনপাড়ার আরেক ভুক্তভোগী আব্দুস সামাদ খন্দকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। তাকে ‘সমাজচ্যুত’ করা হয় গত বছরের রমজান মাসে। কারণ ছিল ফিতরার টাকা ‘সমাজে’ জমা দিতে পারেননি।
বাড়িতে না থাকায় আব্দুস সামাদের সঙ্গে কথা হয়নি। তার ছেলে রুহুল আমিন একঘরে করার বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, ‘রমজান মাস থেকে একঘরে ঘোষণা করা হয়েছে। বাবার সঙ্গে পাড়ার অন্যদের কথা বলতে বা যোগাযোগ করতে নিষেধ করা আছে। আমি আলাদা থাকায় আমাকে এই নিষেধের আওতায় রাখেননি মাতব্বররা।’
গ্রামবাসী জানায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এক শিক্ষকের বাড়ির একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বৈঠক বসে। বৈঠকে ওই তিন পরিবারকে দাওয়াত না দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানান ‘সমাজ’ নিয়ন্ত্রকরা। কিন্তু অনুষ্ঠানে আগেই ওই তিন পরিবারকে দাওয়াত দেয়া হয়। এ ঘটনা থেকে একঘরে হওয়ার বিষয়টি আলোচিত হয়ে ওঠে।
স্কুলপাড়ার এক বাসিন্দা বেলাল হোসেন জানান, লিংকনের দাদার আমল থেকে পুরো পাড়া তারা শাসন করে আসছে। দাদার পর তার এক বড় চাচা, চাচা মারা যাওয়ার পর লিংকনের বাবা, পরে বাবা অসুস্থ হওয়ায় লিংকন এখন মাতব্বর।
২ ফেব্রুয়ারি বসা ওই বৈঠকে একঘরে সমস্যা সমাধানের বিষয়ে মাতব্বরদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে বলেও জানান বেলাল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত সময়ে এলাকার আরও অনেকে এমন ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে ‘সমাজচ্যুত’ করা হয়। এই ভোগান্তির মধ্যে লিংকনের নিজের ফুফু শরিফুন রয়েছেন। তিনি স্কুলপাড়ার মোজাফফরের পাশের বাড়ির বাসিন্দা। শরিফুর জানান, কয়েক বছর আগে তাদের ‘সমাজচ্যুত’ করা হয়েছিল। পরে তা মিটে গেছে।
প্রায় ১০ বছর আগে ফেরদৌসের পাশের বাড়ির আরেক বাসিন্দা দুলাল মিয়াকে এমন একঘরে করা হয়েছিল। ওই সময় দুলালের বাবা রহিম উদ্দিন মারা গেলেও পাড়ার কবরস্থানে দাফন করতে দেননি মাতব্বররা। পরে আক্কেলপুরে তাকে দাফন করেন দুলাল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের অন্তত ৫ জন বাসিন্দা জানান, সমাজে অন্তর্ভুক্ত হতে হলে জরিমানা দিতে হয়। জরিমানা হিসেবে আলুঘাঁটি বা অন্য কোনো আয়োজন করে সবাইকে দাওয়াত করে খাওয়ানো লাগে।
‘সমাজের’ মাতব্বর থাকার বিষয়টি স্বীকার করে আবু নঈম সরকার লিংকন বলেন, ‘আমার দাদা জীবিত থাকতে এ গ্রামে সবকিছু দেখভাল করতেন। পরে বংশের অন্যরা এই দায়িত্ব পান।’
বিভিন্ন পরিবারকে একঘরে করার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘এসব পুরোটাই ষড়যন্ত্র। বরং সমাজের নিয়ম না মানার অজুহাতে ওরা নিজে থেকে আলাদা হয়ে গেছে। তাদের আমরা বাড়িতে বন্দি করিনি। তারা সব জায়গায় যাচ্ছে, ব্যবসা করছে।’
লিংকন আরও বলেন, ‘সমাজে থাকতে গেলে কিছু নিয়ম মানতে হবে, এটা তারা মানতে চান না। এ জন্য নিজেরাই সমাজ থেকে বের হয়ে গেছে।’
তিন পরিবারের লিখিত অভিযোগ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্রাবণী রায় বলেন, ‘সমাজসেবা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
জানতে চাইলে সমাজসেবা কর্মকর্তা ইসরাত জাহান জেনি বলেন, ‘ছাতিয়ানগ্রামে তিন পরিবারকে একঘরে করার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছি। বর্তমান সময়ে এমন ঘটনা খুবই অদ্ভুত। আগামী সোমবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর নিরাপত্তাহীনতায় পুনরায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যসহ ৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল পৌণে সাতটার দিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার নকশি সীমান্ত পথে নকশি ক্যাম্পের টহলরত বজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে বিকেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
বিষয়টি ২৬ আগষ্ট সকালে বিজিবি পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।
আটককৃতরা হলো মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রমজান আলী (২৪) ও আসমত আলীর ছেলে রাসেল (১৬)। আটক অনুপ্রবেশকারীরা হলো, নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বোমবাঘ গ্রামের শামীম শেখ (২৩), আফসানা খানম (২২), রুমা বেগম (৩২), মিলিনা বিশ্বাস (২৮) ও তিন বছর বয়সী শিশু কাশেম বিশ্বাস।
বিজিবি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, মাথাপিছু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২৩ আগস্ট রাতের আধারে নালিতাবাড়ীর সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ পথে নারী এবং শিশুসহ ৫ বাংলাদেশীকে ভারতে পাঠায় মানব পাচারকারী রমজান আলী ও রাসেল। কিন্তু ভারতীয় পুলিশের তৎপরতায় নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে এ পাঁচ বাংলাদেশী। এ কারণে ২৫ আগষ্ট সোমবার সকাল পৌণে সাতটার দিকে ঝিনাইগাতির নকশি সীমান্তের কালিমন্দির এলাকা দিয়ে পুনরায় তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা টের পেয়ে সবাইকে আটক করে। পরে মানব পাচারে জড়িত দুইজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে এবং অন্য ৫ জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং সবাইকে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ময়মনসিংহ বিজিবি’র ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
ঝালকাঠিতে গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় এনে ব্রান্ডশপ লোটো ও লি কুপার প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১৩২তম ফ্লাগশিপ আউটলেট উদ্বোধন করেছে।
এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্ট লিঃ এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী জাভেদ ইসলাম সহ কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে নিয়ে ফিতা কেটে আউটলেটটি উদ্বোধন করেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়।
পৌর শহরের সাধনার মোড়ে মঙ্গলবার ২৬ আগষ্ট সকাল ১০টায় লোটো ও লি কুপারের ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটদ্বয়ের শুভ উদ্বোধন আনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠিতে কোম্পানীর এ যাত্রার প্রথম দিনে স্থানীয় ফ্যাশন সচেতন তরুণ তরুণীরা তাদের পছন্দের পন্য কালেকশন বেছে নিতে ভীর জমায়।
কোম্পানীর পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রথম তিনদিনের প্রতিদিন প্রথম ৩০ জন পাবেন ৫০% ছাড়, ২য় ৩০ জন পাবেন ৪০% ছাড়, ৩য় ৩০ জন পাবেন ৩০% ছাড়, ৪র্থ ৩০ জন পাবেন ২০% ছাড় এবং তৎপরবর্তী সকল কাস্টমার পাবেন ১০% ছাড়। এই বিশেষ ছাড় ২৬শে আগষ্ট থেকে শুরু হয়ে ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে
নওগাঁয় সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ মামলায় আ: সালাম (৩৮) নামে এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আ: সালাম সদর উপজেলার বর্ষাইল মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম ওই শিক্ষার্থীর পরিবার পত্নীতলা উপজেলায় ভাড়া থাকতেন। ভাঙ্গারী ব্যবসার সুবাদে আসামী আ: সালামও পাশাপাশি একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভিকটিম মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে আ: সালাম বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতো এবং রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামী আ: সালাম ওই ভিকটিমের পরিবারকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখাতো। এরই একপর্যায়ে ২০২২ সালের ১১ জুলাই বিকেল তিনটার দিকে আসামী আ: সালাম একটি বাজার এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীপুর দক্ষিন পাড়া গ্রামের মোজাফ্ফর রহমানের ভাড়া বাড়িতে আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা পত্নীতলা থানায় অভিযোগ করলে র্যাব ওই বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেফতার ও মেয়েকে উদ্ধার করে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামী আ: সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ আ: সালামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। বাকি আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়।
মামলার এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম সন্তোষ প্রকাশ করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ফাহমিদা কুলসুম উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামে রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুনরায় তাকে বিয়ে করায় এক দম্পতিকে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে নালিশ দেওয়ার জের ধরে পেটানো হয় দিনমজুর আব্দুল জলিল প্রামানিককে। প্রতিপক্ষের লোকজনের মারধরে এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে গেছে।
এঘটনায় তিনি একটি থানায় অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে সেটি মামলাটি হিসেবে রের্কড করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
সরেজমিনে বালুকাপাড়া গ্রামে গিয়ে আব্দুল জলিলকে ১৮ মাস ধরে সমাজচ্যুত করে রাখার তথ্য জানা গেছে। আব্দুল জলিলের সমাজচ্যুত করার ঘটনাটি স্থানীয় রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশীদ মন্ডলও অবগত আছেন। তিনি দুই পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকেও সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি।
গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কলহের কারণে আব্দুল জলিল প্রামানিক রাগের মাথায় তার স্ত্রীকে তালাক দেন। এঘটনার ২৯ দিন পর তিনি আবারও স্ত্রীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় গ্রাম্য মাতব্বরেরা ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল জলিল প্রামানিকের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখেন। সেই সময় জলিল প্রামানিক বিষয়টি আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে জানান। ইউএনও রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মণ্ডলকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেন। ইউপি চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। তবে কার্যত কোন কোনো সমাধান করতে পারেননি। এতে গ্রাম্য মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলের ওপর আরও ক্ষুব্ধ হন। সমাজচ্যুত করে রাখা আব্দুল জলিল গত ১৫ আগস্ট রাত আটটার দিকে গ্রামের মসজিদের দিকে রওনা হন। এসময় মাতব্বরেরা তাকে দুই দফায় প্রচন্ড মারধর করেন। এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে যায়। তিনি চিকিৎসা নিয়ে থানায় আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বালুকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেড় বছর আগে আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। কয়েক দিন পর আবার সংসার শুরু করেন। এনিয়ে গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিল প্রামানিককে সমাজচ্যুত করেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বৃদ্ধা লুৎফন নেছা বলেন, আমি কাজ করতে পারিনি। আব্দুল জলিলের বউ আমার বাড়িতে এসে জবাই করা মুরগির তরকারি রান্না করে দিয়েছিল। আমি জলিলের বাড়িতে গিয়ে এক বাটি মুরগির মাংসের তরকারি দিয়ে এসেছি। এতে আমাকেও সমাজচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিল।
বালুকাপাড়া গ্রামের মোড়ের দোকানি হাফিজার রহমান বলেন, বউকে তালাক দেওয়ার ঘটনায় আব্দুল জলিল প্রামানিককে গ্রামের মাতব্বরেরা সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল গ্রামের সামাজিক কোন কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেয় না।
আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, আমি রাগের মাথায় স্ত্রী তালাক দিয়েছিলাম। ২৯ দিন পর আবার বিয়ে পড়ে নিয়েছি। একারণে গ্রামের মাতব্বর রকি খান, মিল্টন খাঁ, আবু সুফিয়ানসহ আরও ১০-১২ জন আমাকে সমাজচ্যুত করেছেন। রাগের মাথায় স্ত্রীক। তালাক দিলে পুনরায় বিয়ে করা যাবে ঢাকার একজন মুফতির মতামত নিয়ে আসার পরও তারা মানেনি। তারা বলছে হিল্লা বিয়ে ছাড়া আমার বিয়ে বৈধ হবে না। তারা আমাকে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে গ্রামের মসজিদে নামাজ আদায়ে করতে ও জানাজায় শরিক হতে বা দেননি। মিলাদ মাহফিল দাওয়াত দেওয়ার মাতব্বরদের চাপে পর ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি গ্রামের কারও জমিতে দিনমজুরি কাজও করতে পারব না বলে লোকজন জানিয়ে দেন। একারণে কেউ আমাকে কাজে নেয় না। সমাজচ্যুত করার জের ধরে মসজিদে যাওয়ার সময় মাতব্বরদের একাংশের লোকজন আমাকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছেন।
গ্রামের মাতব্বদের একজন মো. মিল্টন খাঁ। তিনি আব্দুল জলিলের দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামি। তাকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কাজ করেছেন। একারণে গ্রামের লোকজন তাকে সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কি কাজ করেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার স্ত্রীকে নিয়েছেন। এটা সমাজ বিরোধী কাজ।
আক্কেলপুর রায়কালী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মন্ডল বলেন, আব্দুল জলিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। এঘটনায় গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলকে সমাজচ্যুত করেন। আব্দুল জলিল ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। ইউএনও স্যার আমাকে ঘটনাটি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। উভয়পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছি। আব্দুল জলিল যেন সামাজিকভাবে মিশতে পারে সেটি বলেছি। সমাজচ্যুতের ঘটনার জের ধরে আব্দুল জলিলকে মারধর করা হয়েছে। এতে তার বাম হাত ভেঙেছে বলে জেনেছি।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আব্দুল জলিল প্রামানিক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেটি মামলা হিসেবে রের্কড করা হয়েছে। আসামি আট জনের মধ্যে ইতিমধ্যে আদালত থেকে পাঁচজন আসামি জামিন নিয়েছেন, অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৭,২৪৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। বিগত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১,৯১৬ কোটি টাকা। জুলাই-২০২৫ মাসে বিগত জুলাই-২০২৪ মাসের তুলনায় ৫,৩৩৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। জুলাই ২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪.৩৩%।
জুলাই’২৫ মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে। এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ১১,৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায়ের পরিমান ছিল ৮,৫৭১ কোটি টাকা। জুলাই ২০২৫ মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৩২.৪৫%।
আয়কর ও ভ্রমন কর খাতে জুলাই’২৫ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬,২৯৫ কোটি টাকা যা জুলাই’২০২৪ মাসের একই খাতে আদায়কৃত ৫,১৭৫ কোটি টাকার চাইতে ১,১২০ কোটি টাকা বেশি। আয়কর ও ভ্রমন করের ক্ষেত্রে জুলাই ২০২৫ মাসের আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২১.৬৫%।
২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে আমদানি ও রপ্তানি খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯,৬০২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮,১৭০ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ১৭.৫২%।
রাজস্ব আদায়ের এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং কাস্টমস শুল্ক-কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
সম্মানিত করদাতাগণ আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ পরিমান কর পরিশোধের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজের অন্যতম অংশীদার হবেন মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।
কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন
র্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।
মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।
পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।
কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।
ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”
স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য