× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Dhaka City Transport Two policies in one service
google_news print-icon

ঢাকা নগর পরিবহন: এক সেবায় দুই নীতি

ঢাকা-নগর-পরিবহন-এক-সেবায়-দুই-নীতি
নগর পরিবহনে সুবিধাগত বৈষম্যের অভিযোগ করেছেন বিআরটিসির চালকরা। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
বিআরটিসি ও বেসরকারি কোম্পানির বাসচালকদের মধ্যে সুযোগ-সুবিধার পার্থক্য দেখা গেছে। আর্থিক সুবিধা কম থাকায় বিআরটিসি বাসের চালকরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। এতে তাদের মধ্যে নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া যাত্রী তোলার প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। এই যাত্রীদের ভাড়া হিসাবে যোগ হচ্ছে না; চলে যাচ্ছে চালকের পকেটে।

দুই কোম্পানির ৫০টি বাস দিয়ে যাত্রা শুরু করে ঢাকা নগর পরিবহনের পাইলট প্রকল্প। বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশনের এ প্রকল্পে দুই কোম্পানির বাসের চালকদের সুবিধাগত বৈষম্য শুরু হয়েছে।

ট্রান্সসিলভার চালক ও সহকারীকে খাওয়ার জন্য ৫০০ টাকা দেয়া হচ্ছে, তবে এ টাকা পাচ্ছেন না বিআরটিসি বাসের চালকরা। এ ছাড়া ট্রান্সসিলভার বাসে চালকের সহকারী থাকলেও নেই বিআরটিসি বাসে। এ বিষয়ে বিআরটিসির কয়েকজন চালকের সঙ্গে কথা হয়েছে নিউজবাংলার।

গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে যাত্রা শুরু হয় ঢাকা নগর পরিবহন নামে ফ্র্যাঞ্চাইজি বাসের পরীক্ষামূলক চলাচল। প্রথমে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে ঢাকা-চিটাগং রোডের কাঁচপুর পর্যন্ত চালু হয় একটি রুট। দ্বিতীয় ধাপে আরও তিনটি রুট চূড়ান্ত হয়।

এই বাসে যাতায়াত বেশ সাশ্রয়ী এ কারণে যে, এখানে যাত্রী যত কিলোমিটার দূরত্বে যাবে, তত কিলোমিটারের ভাড়াই দিতে হয়। ওয়ে বিলের নামে যাত্রী ঠকানোর পদ্ধতি এখানে নেই।

যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠানামায় দীর্ঘদিনের যে সমস্যা রয়ে গেছে, সেটিও এখানে থাকবে না বলে জানানো হয়েছে। যদিও চালুর এক মাস পরই এ ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখা গেছে।

অন্যান্য বাসের মতোই যেখানে খুশি সেখানেই যাত্রী ওঠানামা করতে দেখা যাচ্ছে। কাউন্টার ছাড়া যাত্রী ওঠানোর কারণে এই টাকাটা চলে যাচ্ছে গাড়িতে থাকা চালকদের পকেটে। আবার সম্পূর্ণ নতুন বাস নামানোর কথা থাকলেও পুরোনো বাসই মেরামত করে চালানো হচ্ছে।

বাসগুলো এখন ধুলা-ময়লায় ঠাসা। সড়কের পাশে যাত্রীছাউনি থাকার কথা থাকলেও অনেক জায়গায় তা এখনও দেখা যায়নি। আবার অনেক জায়গায় পুরাতন ভাঙাচোরা যাত্রীছাউনি দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।

এর মধ্যে আবার নতুন একটি অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সেটি হলো বিআরটিসি ও বেসরকারি কোম্পানির চালকদের মধ্যে সুযোগ-সুবিধার পার্থক্য।

আর্থিক সুবিধা কম থাকায় বিআরটিসি বাসের চালকরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। এতে তাদের মধ্যে নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া যাত্রী তোলার প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। এই যাত্রীদের ভাড়া হিসাবে যোগ হচ্ছে না; চলে যাচ্ছে চালকের পকেটে।

সুযোগ-সুবিধায় অনেক পার্থক্য

বিআরটিসির এক চালক জানান, ট্রান্সসিলভার চালক-হেলপারদের প্রতিদিন বেতনের বাইরে খাবারের জন্য ৫০০ টাকা দেয়া হয়, তবে তাদের কোনো টাকা দিচ্ছে না। তাদের বলা হয়, ‘আপনারা চাকরি করেন বিআরটিসির।’

তিনি বলেন, ‘নগর ভবনে আমরা মিটিংয়ে এটা বলছিলাম যে, অন্তত আমাদের খাবারের ব্যবস্থা করে দেন, তবে এখন পর্যন্ত এরও কোনো সুরাহা হয় নাই। আমি ছোট মানুষ। তাই এটা নিয়ে কিছু বলতে গেলে আমার চাকরি থাকবে না।’

দুই ট্রিপের বেশি ট্রিপ দিলে ট্রান্সসিলভার চালক ও সহকারীকে নিয়মিত বেতনের বাইরে খাবারের ৫০০ টাকা ছাড়াও আরও ৫০০ টাকা দেয়া হয়।

সে সুবিধা পান না জানিয়ে বিআরটিসির সেই চালক বলেন, ‘আজকে গাড়ি চালালে কালকেই এই টাকাটা পাবে। এর পরে মাস শেষে বেতন তো পাচ্ছেই। আর আমরা শুধু বেতনটাই পাই, যা দিয়ে আমাদের চলে না।’

তিনি বলেন, ‘বেতন পাই মাত্র ১৭ হাজার টাকা। এই টাকায় ঢাকায় পরিবার নিয়ে থাকা কি আসলেই সম্ভব? ছেলে ক্লাস এইটে পড়ে। সংসার চালিয়ে তার পড়াশোনার খরচ চালানো কি এই টাকায় সম্ভব?’

আবার ট্রান্সসিলভার ২০টি বাসে সহকারী থাকলেও বিআরটিসির ৩০টি বাসে কোনো সহকারী নেই।

এ নিয়ে বিআরটিসির এক বাসচালক বলেন, ‘একজন হেলপার থাকলে শব্দ করলে বা কথা বললে কিন্তু ঘুমের ভাব কেটে যায়। সিটিতে ট্রান্সসিলভার গাড়ি চালকদের কাজ করা সহজ; আমাদের জন্য কঠিন।’

বিআরটিসির চালকদের বিশ্রামের অভাব বলেও জানান এ চালক।

তিনি বলেন, ‘বিআরটিসির নিয়মে এক দিন গাড়ি চালালে এক দিন রেস্ট। এদিকে ড্রাইভার সংকটের কারণে ডিপার্টমেন্টের স্বার্থে আমাদের প্রতিদিনই গাড়ি চালাতে হচ্ছে। এর জন্য বাড়তি কোনো টাকা নাই; বেতন যা তাই।’

গাড়ির ক্ষতি হলে ‘কাটা হয় ড্রাইভারের বেতন’

চলার পথে লুকিং গ্লাস ভাঙলে মাস শেষে বেতন থেকে কেটে রাখা হয় জানিয়ে সেই চালক বলেন, ‘আমরা চাকরি করতেছি না জ্বলন্ত আগুনের মধ্যে পড়ে আছি এটাই বুঝতেছি না। পাবলিক গাড়ি চালালে মাসে অন্তত ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। এর উপরে যদি বেতন কাটা হয় কীভাবে বাঁচব।’

কী বলছে কর্তৃপক্ষ

দুই নীতির কারণ জানতে চাইলে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক ও বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশন কমিটির সদস্য সচিব নীলিমা আখতার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আপনার পেমেন্ট স্টাইল আর আমার পেমেন্ট স্টাইল কী এক? এখন আমি একই বেতন দাবি করতে পারব? এটা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। যে সিস্টেম হয়ে উঠেছে অনেক দিন ধরে, সেটা ভাঙতে তো আমার সময় লাগবে।’

দুই বাসচালকরা একই কাজ করছে। এখানে দুই নীতি কেন থাকবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিআরটিসির নিজস্ব পে স্ট্রাকচার আছে। বিআরটিসির চালকদের ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ গ্রেড আছে। যে চালক পাঁচ বছর ধরে চাকরি করছেন, তার বেতন এক রকম। যিনি ১০ বছর ধরে চাকরি করছেন, তার বেতন আরেক রকম।”

সদস্য সচিব নীলিমা আখতার আরও বলেন, ‘তারা ইনস্টিটিউশনের কাঠামোতে বেতন পান। সেটাই আমরা করতে চাচ্ছি। বিআরটিসির ড্রাইভার তো বেশি লাভবান। সরকারি ড্রাইভারদের ক্যাশ টাকা দেয়ার নিয়ম নেই।’

তিনি বলেন, ‘আপনার দেয়া তথ্য নোট নিলাম। যেটা হবে অভিন্ন হবে, এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। বেতন কাঠামো নিয়ে যেমন আগাচ্ছি, এ বিষয় নিয়েও কাজ করা হবে।’

গাড়ির ক্ষতি হলে চালকদের বেতন কাটার বিষয়ে নীলিমা আখতার বলেন, ‘লুকিং গ্লাস ভাঙলে বেতন থেকে টাকা কেটে রাখে এটা আমার এখতিয়ার না। এটা বিআরটিসি বলতে পারবে। বিআরটিসির ড্রাইভারকে কখনই দোষ দেয়া যাবে না, সে ইচ্ছা করে গাড়ির কিছু ভেঙেছে। কেউই ইচ্ছা করে দুর্ঘটনা ঘটাতে চায় না।’

তিনি বলেন, ‘এটি বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশনের পাইলট প্রজেক্ট। এটা থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে পরবর্তী রুটগুলো আমরা আরও সুন্দর করব।’

যা বলছে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ

বিআরটিসির চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব তাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের গাড়ি অটো। ড্রাইভার গাড়ির দরজা বন্ধ ও খুলতে পারেন। আমাদের লোকবলের স্বল্পতা রয়েছে।

‘গাড়ি এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে গিয়ে থামবে। প্রতি গাড়িতে সহকারী দেয়ার চেষ্টা করছি।’

চালকদের বেতন কাটার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখন যদি ড্রাইভারের অবহেলার কারণে অঘটন ঘটে থাকে, সেটার ভিত্তিতে বিভাগীয় মামলা হয়। বিভাগীয় আইনেই এই ক্ষমতা দেয়া আছে। সে যদি তার অদক্ষতার কারণে গাড়ির ক্ষতি করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ভালো নাকি সে লুকিং গ্লাস লাগিয়ে দিলে এটা ভালো হয়?’

‘চালক কি ইচ্ছা করে গাড়ির ক্ষতি করে?’

জবাবে বিআরটিসির কর্মকর্তা বলেন, ‘তাহলে দুর্ঘটনাগুলো কেন হচ্ছে? ড্রাইভারের অদক্ষতার কারণে হচ্ছে না? গত মাসে কয়েকজনের চাকরি আমি খেয়ে দিয়েছি।’

ট্রান্স সিলভার চালক ও সহকারীদের খাবারের জন্য ৫০০ টাকা দেয়া হচ্ছে, কিন্তু বিআরটিসির চালক ও সহকারীদের এই টাকা না দেয়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কেন দেব? তারা তো সরকারের স্কেল অনুযায়ী বেতন, ভাতা, বোনাসসহ সকল সুযোগ-সুবিধা পায়। সোমবারের মিটিংয়েও এই কথা উঠেছিল। এগুলোর কোনো সুযোগই নাই।’

দুই নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোনো ধরনের বৈষম্য থাকবে না, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তাদের শ্রম আইনেই সকল সুযোগ-সুবিধা ও বেতন দেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
ঢাকা নগর পরিবহন: শুরুতেই অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা
ঢাকা নগর পরিবহনের বাস চলবে আরও তিন রুটে
পুরোনো বাস, আগের মতো‌ই যত্রতত্র যাত্রী নামানো
ঢাকা নগর পরিবহন: ভোগান্তি লাঘবের প্রত্যাশা যাত্রীদের  
ঢাকায় কোনো অনুমোদনহীন বাস চলবে না: তাপস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Sarah Cook recycled the UK support for a fair election in Bangladesh

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত সারাহ কুকের

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত সারাহ কুকের

ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক করেন। ছবি: ফেসবুক

বাংলাদেশে আগামী বছর একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সারাহ কুক বলেন, ‘যুক্তরাজ্য কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে বৈঠকে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।'

তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। যুক্তরাজ্য বিশেষ করে জাতীয় নাগরিক শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে, বিশেষ করে দেশের দুর্বল গোষ্ঠীগুলির জন্য এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে। তাই আমাদের এজেন্ডা ছিল নির্বাচন কমিশনের সাথে যুক্তরাজ্যের সমর্থন নিয়ে আলোচনা করা। যেমনটি আমি বলেছি, জাতীয় নাগরিক শিক্ষা এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্যও আমরা কাজ করছি। এই বিষয়গুলো নিয়ে আজ নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা করেছি।'

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি যে যুক্তরাজ্য আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করছে।’

মন্তব্য

উত্তরায় বাসের ধাক্কায় মোটরবাইক চালকের মৃত্যু

উত্তরায় বাসের ধাক্কায় মোটরবাইক চালকের মৃত্যু

রাজধানীর উত্তরার কবি জসীমউদ্দীন রোডে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক মোটরবাইক চালক নিহত হয়েছেন। মোহাম্মদ আরমান মির্জা (২১) নামের ওই তরুণ কলেজ শিক্ষার্থী ছিলেন।

সোমবার ভোররাত ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পথচারীরা আহত আরমানকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে মারা যান।

নিহতের খালা নাজনীন আক্তার জানান, ‘খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগে এসে আমার ভাগিনা আরমানের মরদেহ দেখতে পাই। সে আব্দুল্লাহপুরের নবাব হাবিবুল্লাহ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে। গভীর রাতে আরমান মোটরবাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় জসিম উদ্দিন রোডে বেপরোয়া গতির একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়।

তিনি আরও জানান, আরমানের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার পূর্ব হাতিআলা গ্রামে।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dhaka South City Corporation is working to reduce temporary waterlogging caused by thunderstorms with thunderstorms

বজ্রসহ মুষলধারার বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট অস্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

বজ্রসহ মুষলধারার বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট অস্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টিতব্য লঘূচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি এবং ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে, রাত হতে রাজধানীতে বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টির ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বেশ কিছু এলাকায় অস্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

বজ্রসহ মুষলধারার বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট অস্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, ওয়ার্ডভিত্তিক ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (Emergency Response Team) কাজ করে চলেছে। গ্রীন রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শান্তিনগর, বেইলি রোড, কাকরাইল, পল্টন, সাত মসজিদ রোড, ধানমণ্ডি এলাকার জলাবদ্ধতা ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। তবে, পানি নির্গমনের আউটলেট অংশ এবং খাল-নদীর অংশের পানির লেভেল প্রায় একই হওয়ার ফলে পানি নিষ্কাশনের ধীরগতি বিদ্যমান থাকায় কিছু এলাকার পানি নামতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এ সব এলাকা থেকে অস্থায়ী পোর্টেবল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, কমলাপুরে স্থাপিত হাই প্রেসার ভার্টিক্যাল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নামানোর কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯৯০০৮৮৮ (01709900888) মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rains from night

রাত থেকে বৃষ্টি, রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি

রাত থেকে বৃষ্টি, রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি

রাজধানীতে গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টি আজ সোমবার সকালেও থামেনি। বৃষ্টির সঙ্গে ছিলো বজ্রপাতও। মুষলধারে হওয়া এই বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমেছে। ফলে সড়কে আটকে আছে গণপরিবহন। এতে সাতসকালেও ঘর থেকে কাজে বের হওয়া লোকজন পরেছেন ভোগান্তিতে।

এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডি, আসাদগেট, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ১০, মিরপুর শেওড়াপাড়া, নিউমার্কেট, মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় পানি জমতে দেখা যায়। এসব এলাকায় কোথাও হাঁটুপানি পরিমাণ জমলেও আসাদগেট, মগবাজার, মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় ছিল কোমরসমান পানি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর আরেকটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি ঘণীভূত হতে পারে।

এদিকে রাজধানীতে সকালে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। শ্যামলী থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তায় আসতে গিয়ে আসাদগেট কোমরসমান পানিতে আটকা পড়েন ওবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, সকালে বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বের হলেও বৃষ্টির কারণে সময়মত অফিসের জন্য বের হতে পারিনি। কোনোভাবে যাও বের হয়েছিলাম, তা পথের বিভিন্ন জায়গায় হাঁটুসমান থেকে কোমরসমান পানির জন্য আটকে থাকতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রাস্তায় পানি জমে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে পরেছে। অফিসগামী লোকজনদের পরতে হয়েছে দুর্ভোগে।

এছাড়া শেওড়াপাড়া থেকে ফাহিম নামের এক তরুণ বলেন, বৃষ্টির কারণে গাড়ি পাচ্ছি না। রাস্তায় এত পরিমাণ পানি জমেছে যে, হেঁটে যাওয়ারও কোনো উপায় নেই। রিকশায়ও ভাড়া অনেক বেশি চাচ্ছে।

রোববার সন্ধ্যা ৬টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

প্রসঙ্গত, গতকয়েক দিন ধরেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরম ছিল। এ অবস্থায় গত শনিবার ও রোববার রাজধানীর আকাশ খানিকটা ঘোলাটে ছিল। তবে আজ সোমবার থেকে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Grand Opening of Tripology began in Dhaka

ট্রিপোলজির জমকালো যাত্রা শুরু, গ্র্যান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠিত হলো ঢাকায়

ট্রিপোলজির জমকালো যাত্রা শুরু, গ্র্যান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠিত হলো ঢাকায়

রাজধানীর বনানীতে যাত্রা শুরু করলো ভ্রমণ ও পর্যটনভিত্তিক নতুন প্রতিষ্ঠান ট্রিপোলজি। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জুই গার্ডেনে অবস্থিত ট্রিপোলজির অফিসে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাভেল ব্লগার শিশির দেব। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও যোগ দেন ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী এবং কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা।

উদ্বোধনী আয়োজনে ছিল রিবন কাটিং, অফিসিয়াল ফটো সেশন এবং দর্শকদের জন্য বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট সেশন। অনুষ্ঠান ঘিরে ভ্রমণপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় এবং তারা বাংলাদেশের ভ্রমণ শিল্পে ট্রিপোলজির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ট্রিপোলজির কো-ফাউন্ডার তাজরিন আখতার, আবু বক্কর সিদ্দিক ও তৌহিদুল ইসলাম জানান, তাদের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বাংলাদেশে ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া। কোম্পানির সিইও ইমতিয়াজ কাইসুল বলেন, “ট্রিপোলজি শুধুমাত্র একটি ট্রাভেল এজেন্সি নয়; আমরা চাই মানুষ যেন ভ্রমণের প্রতিটি ধাপে নিশ্চিন্ত সেবা পায়। ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং ও হলিডে প্যাকেজ সবকিছুতেই আমরা সর্বোচ্চ পেশাদার মান নিশ্চিত করতে চাই।”

ট্রিপোলজি বর্তমানে প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর ভিসা প্রসেসিংয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি সব ধরনের দেশি-বিদেশি হলিডে প্যাকেজ, এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং, থার্ড ওয়ার্ল্ড ভিসা প্রসেসিং ও স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, ট্রিপোলজির উদ্যোগ বাংলাদেশের ভ্রমণশিল্পকে আরও গতিশীল করবে।

ঠিকানা: জুই গার্ডেন, হাউস ২/এ, লেভেল-৭, ব্লক এল, রোড ২/১, বনানী-১২১৩, ঢাকা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DMP 2 cases in violation of traffic law

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩১৩টি মামলা

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩১৩টি মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩১৩টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩৫৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১০২টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Satarasta twist blockade technical students stop traffic

সাতরাস্তা মোড় অবরোধ কারিগরি শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ

সাতরাস্তা মোড় অবরোধ কারিগরি শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ

কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস ও প্রকৌশল কর্মক্ষেত্র কুক্ষিগত করার প্রতিবাদ ও ছয় দফা দাবি বাস্তাবায়নের দাবিতে ফুঁসে ওঠেছে কারিগরি শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর সাতরাস্তা মোড় অবরোধ করেন তারা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীর ও বাসচালকরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ— প্রভাবশালী গোষ্ঠী কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। তারা পলিটেকনিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে প্রকৌশল পেশায় প্রবেশের পথ সংকুচিত করছে। এ ছাড়া চাকরি ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল, তাদের পদবি পরিবর্তন ও সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত করা।

২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণ বাতিল ও বিতর্কিত নিয়োগবিধি সংশোধন।

ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তি বাতিল, উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু এবং ধাপে ধাপে ইংরেজি মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা।

উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বাদ দিয়ে নিম্নপদে নিয়োগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।

কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবলকে কারিগরি সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ নিষিদ্ধ ও আইনানুগভাবে নিশ্চিত করা।

এসব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।

স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন।

উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁওয়ের নির্মাণাধীন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতায় একাডেমিক কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে শতভাগ আসনে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করা।

মন্তব্য

p
উপরে