২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিজ্ঞান চর্চায় জেন্ডার সমতাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে জাতিসংঘ। কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নারী ও কন্যাশিশুদের বিজ্ঞানে অনুপ্রাণিত করা ও অংশগ্রহণ বাড়াতে নিয়েছে নানা উদ্যোগ, তবুও বিজ্ঞানে পিছিয়ে আছেন নারীরা।
এমন বাস্তবতায় বিজ্ঞানে নারী ও কন্যাশিশুদের পূর্ণ ও সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১১ ফেব্রুয়ারিকে বিজ্ঞানে আন্তর্জাতিক নারী ও কন্যাশিশুদের দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
বাংলাদেশে বিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণায় নারীরা পিছিয়ে থাকলেও কেউ কেউ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলছেন। তাদের একজন ফেরদৌসী কাদরী। গত বছর বাংলাদেশের এ বিজ্ঞানী এশিয়ার নোবেল খ্যাত ম্যাগসেসে পুরস্কার পেয়েছেন।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী। কলেরার টিকা নিয়ে গবেষণা ও সাশ্রয়ী দামে টিকা সহজলভ্য করে লাখো প্রাণ রক্ষায় কাজ করেছেন তিনি।
বিশেষ দিনটিতে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি; জানিয়েছেন বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়নে কাজ করতে চান তিনি।
নিউজবাংলা: স্বাস্থ্য খাতে আপনার অবদানে সাধারণ মানুষ কীভাবে উপকৃত হচ্ছে?
ফেরদৌসী কাদরী: স্বাস্থ্য খাতে আমার অবদান অনেক ছোট। যা করেছি সেটা খুব বেশি কিছু না। আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি আগামীতে বিজ্ঞান দিয়েই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এই চিন্তা করেই আজীবন কাজ করে এসেছি।
বাংলাদেশের জন্য কিছু করতে পারলে আমি গর্ববোধ করি। জীবনের একটি স্বপ্ন বাংলাদেশের উন্নতি। সেটা রোগ প্রতিরোধে টিকা বলেন বা নতুন কোনো ডায়াগনসিস বলেন।
এমন কিছু করতে চাই, যেটা বাংলাদেশের জনগণের জন্য কাজে লাগে। বিজ্ঞানী তো অনেক আছেন, কিন্তু তারা দেশের জন্য কিছু করছেন কি না, এটা দেখার বিষয়।
নিউজবাংলা: গবেষণার জন্য এমন বিষয় বেছে নেয়ার পেছনে বিশেষ কোনো অনুপ্রেরণা কি আছে?
ফেরদৌসী কাদরী: দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে। নানা রোগ ও সংক্রামক ভাইরাস আছে। একটু সচেতন হলেই এই ভাইরাস আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। রোগ নিয়ন্ত্রণের অনেকগুলো পদ্ধতি আছে। সবার বাসায় সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে যদি স্যানিটাইজার, বিশুদ্ধ পানি ও সুশিক্ষা থাকত, সবাই যদি জানত কীভাবে হাত পরিষ্কার রাখতে হয়, কীভাবে রোগমুক্ত থাকা যায়, বিশেষ করে কলেরা বা ডায়রিয়া, এসব রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
নানা কারণে স্যানিটাইজার, বিশুদ্ধ পানি ও সুশিক্ষা এখনও নিশ্চিত করতে পারিনি। এর একটি কারণও আছে। আমাদের শহরে জনসংখ্যা অনেক বেশি। শহরে বসবাসকারী ৪০ শতাংশ মানুষ বস্তি এলাকায় বাস করেন। এখানে অনেক ঘনবসতি। এখানে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
ময়লা-বাসি খাবার, অপরিষ্কার পানি পান করার কারণে ডায়রিয়া হয়ে থাকে। বস্তি এলাকায় ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আমাদের রাজধানীর স্যুয়ারেজ লাইন উন্নত করতে হবে, যা সহজেই সম্ভব নয়।
এ ছাড়া বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করাও সমস্যা। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্ব এই সমস্যার মধ্যে রয়েছে, তবে আমার কাছে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে ভালো উপায় হচ্ছে টিকা, যেমনটা করোনা প্রতিরোধে আমরা করছি। টিকা দিয়ে অনেক সহজ উপায়ে একটি রোগ বা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমি টিকার জন্য কাজ করেছি।
এই গবেষণার পেছনে অনুপ্রেরণার কথা বলতে হলে আমি বলব আমার অনুপ্রেরণা বাংলাদেশ। অনেক দেশে কলেরার প্রকোপ আছে। কোনো দেশে যদি কলেরা বা ডায়ারিয়া বেশি থাকে, তাহলে সেই দেশে স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা এতটা ভালো নেই বলে ধরে নেয়া হয়, তবে আমরা এই রোগকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রেখেছি; অনেকটা কমিয়ে আনতে পেরেছি।
এই রোগের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পেরেছি। আইসিডিডিআরবির হাসপাতালে কলেরা রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়। এই রোগে এখন আর কেউ মারা যায় না, কিন্তু আক্রান্তদের পরিবারের অনেক কষ্ট হয়। একজনের হলে আস্তে আস্তে গোটা পরিবারকে আক্রান্ত করে। দ্রুত ছড়িয়ে যায় গ্রামে গ্রামে। সবকিছু মিলিয়ে এই রোগে ক্ষতি অনেক বেশি হয়। তাই টিকা দিয়ে কমিয়ে আনতে চাই।
এই রোগে যে টিকা উৎপাদন করা হয়েছে, তা ৭০ শতাংশ কার্যকর। টিকা নিলে তার রোগ হবে না এবং তার পরিবারের অন্য লোকেরাও এই রোগ থেকে বেঁচে যাবে।
নিউজবাংলা: বাংলাদেশে বিজ্ঞান চর্চায় নারীরা কি পিছিয়ে? যদি তাই হয়, তাহলে বিজ্ঞানে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে কী করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?
ফেরদৌসী কাদরী: বিজ্ঞানে নারীরা শুধু আমাদের দেশে পিছিয়ে এমনটি নয়, বিশ্বের অনেক দেশে নারীরা বিজ্ঞান চর্চায় পিছিয়ে রয়েছেন, তবে আমাদের দেশে নারী শিক্ষার যে হার, তা অনেক ভালো। মেয়েরা সব ধরনের পড়ালেখা করছে। মেডিক্যাল, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সবখানে নারীরা পড়াশোনায় আগ্রহী হয়ে উঠেছেন, তবে ক্যারিয়ার গড়ার সময় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে; পিছিয়ে পড়ছেন তারা।
এ জন্য মেয়েরা নিজেরাও অনেক সময় দায়ী। আমি নিজের উদাহরণ বলি। আমাদের অনেক শক্ত হয়ে দাঁড়াতে হয় কর্মক্ষেত্রে। এটা করতে গেলে কিছুটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, কষ্ট করতে হয়; কিন্তু শেষে সাফল্য আসে।
বাংলাদেশের মতো দেশে অবশ্যই মেয়েদের কর্মক্ষেত্রে আসতে হবে। বিজ্ঞানে আবদান রাখতে হবে এবং এটি আজীবন করতে হবে। এ জন্য অনেক পড়াশোনা করতে হবে।
মেয়েদের পেছনে পিতামাতা ও সরকার অনেক টাকা খরচ করছে। এটা নষ্ট করতে দেয়া যাবে না। এ বিষয়ে মেয়েদের সঙ্গে তার পরিবারকেও আসতে হবে।
নিউজবাংলা: বর্তমানে আপনি কী নিয়ে ব্যস্ত আছেন?
ফেরদৌসী কাদরী: আমার অনেক গবেষণা চলমান। করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে কাজ করছি। একই সঙ্গে করোনার টিকা কীভাবে কাজ করছে, সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। আমরা অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করছি। জিনোম সিকোয়েন্স করছি। আমরা একা করছি না। সরকারকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছি।
একই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি কাজ করছি। এ জন্য জনবল তৈরি করব বিজ্ঞানের ওপর। সেখানে আমরা এমন কাজ করব, যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যাবে। আমরা যখন উন্নয়নশীল দেশ হব, এটার ওপরে ভর করে যাতে হতে পারি, সেই চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি।
আমাদের নিজেদের গবেষণা, নিজেদের চিন্তা, নিজেদের চিকিৎসা এত উচ্চমানের হবে যে, আমরা আর অন্য কারও ওপর নির্ভর করব না; অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকব না।
আরও পড়ুন:নোডস ডিজিটাল লিমিটেড, বাংলাদেশের একটি উদ্ভাবনী অ্যাগ্রি-টেক স্টার্টআপ, নেদারল্যান্ডস সরকারের পক্ষ থেকে অরেঞ্জ কর্নারস ইনোভেশন ফান্ড (OCIF) এর আওতায় ৪০,০০০ ইউরো’র উদ্ভাবনী অনুদান অর্জন করেছে। এই সম্মাননা প্রতিষ্ঠানটির IoT-ভিত্তিক মাটি ও পানি পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তিতে উদ্ভাবনের জন্য প্রদান করা হয়েছে।
এই সম্মাননাপত্রটি নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের প্রধান মিশন প্রধান হিজ এক্সেলেন্সি মি. আন্দ্রে কার্স্টেন্স এর হাত দিয়ে প্রদান করা হয়, যিনি ঢাকায় নিযুক্ত রয়েছেন।
অরেঞ্জ কর্নারস বাংলাদেশের দ্বিতীয় কোহর্টে অংশগ্রহণকারী ১৬টি স্টার্টআপের মধ্যে নোডস ডিজিটাল নির্বাচিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির স্মার্ট ইরিগেশন সিস্টেমটি IoT সেন্সর এবং AI বিশ্লেষণের মাধ্যমে মাটি ও আবহাওয়ার তথ্য রিয়েল-টাইমে পর্যবেক্ষণ করে। এর ফলে পানি ব্যবহার ৩০% পর্যন্ত হ্রাস পায় এবং প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে ৩,০০০–৫,০০০ লিটার পর্যন্ত পানি সাশ্রয় হয়।
“নেদারল্যান্ডস সরকারের কাছ থেকে এই স্বীকৃতি পেয়ে আমরা সম্মানিত,” বলেন নাজমুছ সাকীর আকিব, নোডস ডিজিটালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
“আমাদের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের কৃষকদের জন্য সাশ্রয়ী ও বুদ্ধিমান সেচ প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়া। এই অনুদান আমাদের প্রযুক্তিকে আরও বিস্তৃত করতে সহায়তা করবে এবং কৃষকদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে ও পানি সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।”
এই অনুদানের মাধ্যমে, নোডস ডিজিটাল পাইলট প্রকল্প সম্প্রসারণ, AI মডেল উন্নয়ন, এবং কৃষকদের স্মার্ট কৃষি পদ্ধতির প্রশিক্ষণ প্রদান করবে, যা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
কাজের ফাঁঁকে চাকরীর প্রস্তুতি নিচ্ছে অনেক বেকার ও চাকরি প্রত্যাশীরা। তাদের অনেকেরই এখন নির্ভর করতে হচ্ছে প্রিয় শিক্ষালয়’ অ্যাপ এর ওপর। এর মধ্যে মনিরা ইয়াসমিন মুক্তা নামে এক গৃহীনী একজন। তিনি পড়াশোনা শেষ করেছেন প্রায় দুই বছর আগে। কিন্তু ছোট সন্তান থাকার কারণে কোথাও গিয়ে কোচিং করে চাকরির প্রস্তুতি নেয়া তার জন্য ছিল প্রায় অসম্ভব। যথেষ্ট যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রস্তুতির অভাবে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছিলেন না তিনি। ধীরে ধীরে হতাশা আর আত্মবিশ্বাসহীনতা গ্রাস করছিল মনিরাকে।
ঠিক তখনই একদিন এক পরিচিতের কাছ থেকে জানতে পারেন ‘প্রিয় শিক্ষালয়’ অ্যাপ সম্পর্কে। তার কথাতেই গুগল প্লে-স্টোর থেকে priyoshikkhaloy লিখে সার্চ দিয়ে ইনস্টল করে নেয় অ্যাপটি। অ্যাপটি মোবাইলে ডাউনলোড করে প্রথমে কিছুটা দ্বিধায় থাকলেও ধীরে ধীরে সেটাই হয়ে উঠেছে এখন তার সবচেয়ে বড় ভরসার স্থল। এখন আর বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না, সন্তানকে সময় দিয়েও নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়োগ প্রস্তুতি। আশা করছেন খুব শ্রীঘ্রই আসবে সফলতা, জানালেন মনিরা ইয়াসমিন মুক্তা।
মনিরার মতো অভিজিৎ চক্রবর্তীর গল্পটাও প্রায় একই। আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি পারিবারিক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। কোচিং করার সময় হয়ে উঠছিল না। ফেসবুকে ‘প্রিয় শিক্ষালয়’ অ্যাপের বিজ্ঞাপন দেখে সেটি ডাউনলোড করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। এর মাধ্যমেই তিনি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করেন এবং শিক্ষক হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন।
এই অ্যাপটি বর্তমানে চাকরি খুঁজছেন এমন হাজারো মানুষের জন্য নতুন আশার আলো হয়ে উঠেছে। যাদের অর্থ বা সময়ের সমস্যা আছে, তারা এখন ঘরে বসেই চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে পারছেন। ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি চালু হওয়া অ্যাপটি অল্প সময়েই এক লাখের বেশি ডাউনলোড ছাড়িয়ে গেছে।
এই অ্যাপ থেকে উপকৃত হচ্ছেন না শুধু চাকরি প্রত্যাশীরা, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাওয়া শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকরাও। অ্যাপটিতে রয়েছে বিসিএস, ব্যাংক, শিক্ষক নিবন্ধন, প্রাথমিক শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি, নার্সিং ভর্তি, আইনজীবী এনরোলমেন্টসহ নানা পরীক্ষার প্রস্তুতির কনটেন্ট।
গুগল প্লে-স্টোরে অ্যাপটির রেটিং ৪.৮, আর হাজারো মানুষ ইতোমধ্যে প্রশংসা করে রিভিউ দিয়েছেন। অনেকে বলেছেন, এই অ্যাপের মাধ্যমেই তারা চাকরি পেয়েছেন এবং তাদের জীবন বদলে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময়োপযোগী প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন উদ্যোগগুলো ভবিষ্যতে দেশের বেকার সমস্যা মোকাবেলায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে। প্রিয় শিক্ষালয়ের প্রধান নির্বাহী মহিউদ্দিন সোহেল জানান, অ্যাপটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন শিক্ষার্থীরা নিজের দুর্বল দিক চিহ্নিত করে ঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন। প্রতিটি মডেল টেস্টের শেষে ফলাফল বিশ্লেষণ করে ব্যবহারকারীদের উন্নতি কোথায় দরকার তা জানিয়ে দেয় অ্যাপটি। ভবিষ্যতে অ্যাপে ভিডিও লেসন, লাইভ ক্লাস এবং আরও উন্নত লার্নিং সিস্টেম যোগ করা হবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি দ্রুত অগ্রসর হওয়ায় এর নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী একটি সমন্বিত কাঠামো তৈরি করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে তাগিদ দিয়েছেন জাতিসংঘের শীর্ষ প্রযুক্তি কর্মকর্তা ডরিন বগদান-মার্টিন। তিনি বলেছেন, ভিন্ন ভিন্ন ও খণ্ডিত পন্থা গ্রহণ করলে ঝুঁকি এবং বৈষম্য আরও বাড়তে পারে।
জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) প্রধান জেনেভায় এএফপিকে বলেন, তিনি আশাবাদী যে, এআই মানবজাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে।
তবে এই প্রযুক্তিকে ঘিরে ব্যাপক চাকরি হারানোর আশঙ্কা, ভুয়া ভিডিও (ডিপফেইক), ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কা এবং সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধির মতো উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, সঠিক নিয়ন্ত্রণ কাঠামো গঠনে এখনই উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
বগদান-মার্টিন বলেন, একটি সঠিক বৈশ্বিক কাঠামো তৈরি করা এখন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি এই মন্তব্য করেন এমন এক সময়ে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি আগ্রাসী, কম-বিধিনিষেধ নির্ভর এআই কৌশল ঘোষণা করেছেন - যার লক্ষ্য হলো চীনের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে রাখা।
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রকাশিত ৯০টির বেশি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এআই উন্নয়নে বেসরকারি খাতের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হতে পারে, এমন বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে।
এই ব্যাপারে মন্তব্য চাইলে বগদান-মার্টিন সরাসরি সমালোচনা না করে বলেন, তিনি এখনো যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা ‘হজম’ করার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, এখন বিভিন্ন দেশ ভিন্ন ভিন্ন পথে এগোচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক ধরনের পন্থা আছে, চীনের আছে ভিন্ন পথ, এখন যুক্তরাষ্ট্রও তাদের কৌশল দেখাচ্ছে। এখন সময় এসেছে এসব পথ একে অপরের সঙ্গে সংলাপে বসে সমাধান করা।
তিনি আরও জানান, এখনো বিশ্বজুড়ে ৮৫% দেশের এআই নিয়ে কোনো জাতীয় নীতি বা কৌশলই নেই।
উত্তরার বিমান দুর্ঘটনার পর হতাহতের ঘটনার প্রেক্ষাপটে ‘২ লিটার পানির বোতল ৬০০ টাকায় বিক্রি’-এই ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ধরনের অপপ্রচার ও অপতথ্য শনাক্ত করেছে ফ্যাক্টচেকিং প্ল্যাটফর্ম রিউমার স্ক্যানার।
বাংলাদেশে চলমান গুজব ও ভুয়া খবর প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
অনুসন্ধান টিম ফ্যাক্টচেক করে জানায়, ‘২ লিটার পানির বোতল ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে’ এমন দাবিতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি পুরোনো ও ভিন্ন ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
অর্থাৎ, এটি বর্তমান বিমান দুর্ঘটনার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়।
রিউমার স্ক্যানার আরো জানায়, গত বছর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারের হার ক্রমবর্ধমান, এবং তারা এ বিষয়ে নথিভুক্ত প্রমাণ পেয়েছে।
শুধু চলতি বছরের এপ্রিলেই অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ২৯৬টি ভুয়া তথ্য শনাক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি তাদের জনপ্রিয় ডিভাইস রিয়েলমি ১২-তে (১৬ জিবি + ২৫৬ জিবি) অবিশ্বাস্য মূল্যছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে। আগের ২৭,৯৯৯ টাকা দামের এই ডিভাইসটি এখন মাত্র ২৪,৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, অর্থাৎ, ক্রেতাদের সাশ্রয় হচ্ছে ৩,০০০ টাকা। অনন্য এই অফারটি রিয়েলমির প্রিমিয়াম ফিচারগুলোকে সাশ্রয়ী দামের নাগালে নিয়ে এসেছে, যা উদ্ভাবনকে সহজলভ্য করতে রিয়েলমির প্রতিশ্রুতিকেই পুনর্ব্যক্ত করে।
রিয়েলমি ১২-তে আধুনিক ব্যবহারকারীদের উপযোগী বেশকিছু অনবদ্য ফিচার নিয়ে আসা হয়েছে। এতে রয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চির ১২০ হার্জ আল্ট্রা-স্মুথ অ্যামোলেড ডিসপ্লে; পাশাপাশি, ২,০০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস ও রেইনওয়াটার স্মার্ট টাচ ফিচার যা ভেজা বা যেকোনো অবস্থায় ফোন ব্যবহারকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করে তোলে। ডিভাইসটিতে ১৬ জিবি র্যাম (৮ জিবি ফিজিক্যাল + ৮ জিবি ডাইনামিক) ও ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ রয়েছে; যা মাল্টিটাস্কিং, অ্যাপ বা মিডিয়া পরিচালনার ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। এতে রয়েছে ৬৭ ওয়াট সুপারভুক ফাস্ট চার্জিং সহ ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, যা মাত্র ১৯ মিনিটে ৫০ শতাংশ এবং ৪৭ মিনিটে পুরো চার্জ সম্পন্ন করতে সক্ষম; যা ব্যবহারকারীদের জন্য অনবদ্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
গেমিং, ব্রাউজিং ও প্রয়োজনীয় অ্যাপ চালানোর অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে এতে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট। ফটোগ্রাফিপ্রেমী মানুষদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ওআইএস (অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন) সহ সনি এলওয়াইটি-৬০০ ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা, যা চলতি অবস্থাতেও নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি তুলতে সক্ষম। এছাড়াও, ডিভাইসটিতে আইপি৫৪ রেটেড ওয়াটার এবং ডাস্ট রেজিস্ট্যান্স এবং ভ্যাপর চেম্বার কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে, যা দীর্ঘ সময় ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের পারফরম্যান্স স্থিতিশীল রাখে।
রিয়েলমির সকল অনুমোদিত রিটেইলার ও অফিসিয়াল অনলাইন স্টোর থেকে এখনই নতুন দামে স্মার্টফোনটি কেনা যাবে।
‘ল্যান্ডস্লাইড ইনভেন্টরি অ্যাপ’ উদ্বোধন ও সেক্টরভিত্তিক আগাম সতর্কতা বার্তাবিষয়ক জাতীয় পর্যায়ে পরামর্শ সভা’ আয়োজন করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন ও রাইমস। গতকাল রবিবার (১৩ জুলাই) গুলশানের একটি হোটেলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর (বিএমডি), সরকারি প্রতিনিধি, কারিগরি বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট খাতের অংশীজন এবং অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপের সঙ্গে সমন্বয়ে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে ১৯টি ভূমিধস ঘটে এবং এ ধরনের দুর্যোগের ঘটনা প্রতি বছর প্রায় ৪ শতাংশ হারে বাড়ছে। অতিবৃষ্টি, দ্রুত নগরায়ন, বন উজাড় ও অপরিকল্পিত পাহাড় কাটার কারণে চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল ও আশপাশের জেলাগুলোতে এসব ঘটনা বেশি ঘটে। ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ এ ধরনের দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছেন, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অনেক মানুষ স্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুতি পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহায়তায়, ইউরোপীয় সিভিল প্রোটেকশন অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান এইড এবং জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এ উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। এই মোবাইল এ্যাপটি এটি সরকারের অনুমোদিত ‘ন্যাশনাল আর্লি ওয়ার্নিং রোডম্যাপ’-এর পিলার ২: “ঝুঁকি সম্পর্কিত তথ্য ও আগাম সতর্কতা” অংশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা বাংলাদেশের ভূমিধসপ্রবণ এলাকায় পূর্বাভাস- ভিত্তিক পদক্ষেপ ও আগাম সতর্কতা সংক্রান্ত তথ্য উন্নয়নে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ল্যান্ডস্লাইড ইনভেন্টরি অ্যাপ’ উদ্বোধন করা হয়, যা ভূমিধস সংক্রান্ত রিয়েল-টাইম তথ্য সরবরাহ করবে। সেভ দ্য চিলড্রেন ও রাইমস ইতোমধ্যে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের এ অ্যাপ ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যেন ভূমিধসের পরবর্তী সময়ে ক্ষয়ক্ষতিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে সংগ্রহ করতে পারে। ইতোমধ্যে গত ২৯-৩০ জুন ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সংগঠিত ভূমিধসের তথ্য জাতীয় তথ্য ভাণ্ডারে পরীক্ষামূলকভাবে সংযুক্ত হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানটি সংশ্লিষ্ট সব অংশীজন শিক্ষাখাত, সরকারি মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য খাতের প্রতিনিধিদের একত্রিত করে সেক্টরভিত্তিক আগাম সতর্কতা বার্তা প্রণয়ণ ও যাচাই করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে। এর মাধ্যমে ভূমিধস ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রতিষ্ঠানগত সমন্বয় ও প্রস্তুতি আরও জোরদার করার ওপর প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
সেভ দ্য চিল্ড্রেন-এর এই প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যের মাধ্যমে বান্দরবন ও চট্টগ্রামে পূর্বাভাসভিত্তিক আগাম কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। তারা দুর্যোগের সময় একত্রিত হয়ে প্রস্তুতিমূলক কাজ করে। তাদের কাজগুলো আরও গতিশীল করতে ল্যান্ডস্লাইড অ্যাপ-এর মতো কার্যকরী যেকোনও ধরনের সহায়তা বা সরবরাহ আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতার সাথে ট্যাবলেটের মতো বড় ডিসপ্লেকে একত্রিত করে বুক-স্টাইল ফোল্ডেবলগুলো; ফলে, এগুলো সাধারণ ফোনের মতো পাতলা ও টেকসই হয় না। তবে অপোর নিয়ে আসা ফাইন্ড এন৫ এই ধারণাকে অতিক্রম করে গেছে। পাতলা ও টেকসই ফোল্ডেবল তৈরির প্রযুক্তি না থাকায় অপো নিজেই উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছে। আর এই উদ্ভাবনের কারণেই অপো ফাইন্ড এন৫ ডিভাইসটি একইসাথে স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট, এই দুইয়ের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে পারছে। পাশাপাশি হালকা, পাতলা, দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই নির্ভরযোগ্যতাও নিশ্চিত করতে পারছে।
বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা বুক-স্টাইল ফোল্ডেবল স্মার্টফোন
মাত্র ৮.৯৩ মিলিমিটার পুরুত্বের ফাইন্ড এন৫ বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা বুক-স্টাইল ফোল্ডেবল ফ্ল্যাগশিপ। এটি এর কাছাকাছি প্রতিযোগী ফোল্ডেবল ডিভাইসের তুলনায় ২৬ শতাংশ পাতলা। ভাঁজ করা অবস্থায়ও এটি ৯ মিলিমিটারের কম পুরুত্বে থাকে এমন প্রথম ফোল্ডেবল। আর খোলা অবস্থায় এটি মাত্র ৪.২১ মিলিমিটার পাতলা, যা কাস্টম-ডিজাইন উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। খোলা অবস্থায় এটি বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ডিভাইসগুলোর মধ্যে অন্যতম।
ফাইন্ড এন৫ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে হালকা বুক-স্টাইল ডিভাইস, যার ওজন মাত্র ২২৯ গ্রাম। এটি এর কাছাকাছি প্রতিযোগীর তুলনায় অন্তত ১০ গ্রাম হালকা; যার ওজন যেকোনো ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসের ওজনের কাছাকাছি। এই হালকা-পাতলা ফোনটি হাতে ধরে ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে এবং সাধারণ স্মার্টফোনের মতো খুব সহজেই পকেট বা ব্যাগে ফিট হয়।
হালকা-পাতলা অথচ টেকসই ও শক্তিশালী
হালকা-পাতলা গঠন, অথচ একইসাথে টেকসই ও শক্তিশালী হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ফাইন্ড এন৫-এর প্রতিটি দিক খুব সূক্ষ্মভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। ডিভাইসটিতে সর্বাধুনিক ও টেকসই টাইটানিয়াম অ্যালয় ফ্লেক্সন হিং (কব্জা) ব্যবহার করা হয়েছে। এর হিং কভার ও উইং প্লেট দুটিই অ্যারোস্পেস-গ্রেডের গ্রেড ৫ টাইটানিয়াম অ্যালয় থেকে থ্রিডি প্রিন্ট করা। ফলে এই ডিভাইসে ব্যবহৃত হিং এর আগের প্রজন্মের তুলনায় ৩৬ শতাংশ বেশি দৃঢ় ও ২৬ শতাংশ পর্যন্ত আকারে ছোট।
এছাড়াও, ফাইন্ড এন৫ টিইউভি রাইনল্যান্ড রিলায়েবল ফোল্ডিং সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে; যা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে শুরু করে -২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পর্যন্ত ১ লক্ষ বার ভাঁজ খোলার পরীক্ষায় অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জনের পরিচয় বহন করে। এই সার্টিফিকেশন ব্যবহারকারীদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী নির্ভরযোগ্যতা এবং কঠিন পরিস্থিতিতে মসৃণ ফোল্ডিং কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করে। এর ফ্রেম কাস্টমাইজড ৭০০০-সিরিজ অ্যালুমিনিয়াম থেকে তৈরি, যা আগের প্রজন্মের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি শক্তিশালী।
এর উন্নত অ্যারোস্পেস-গ্রেডের ফাইবার থেকে তৈরি ব্যাক কভার ৪৩ শতাংশ পাতলা এবং ড্রপ টেস্টে আরও বেশি স্থিতিস্থাপক। ডিভাইসটির ভেতরে ব্যাটারি কম্পার্টমেন্টে ব্যবহার করা হয়েছে কার্বন ফাইবার ও অ্যালুমিনিয়াম-সিরামিক কম্পোজিট। ফলে এটি একইসাথে শক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধি করে আবার, জায়গার পুরুত্বও কমিয়ে আনে। এর কোয়াড-স্ট্যাকিং মাদারবোর্ড আগের প্রজন্মের তুলনায় ২০ শতাংশ পাতলা ও ৩১ শতাংশ পর্যন্ত আকারে ছোট।
অভ্যন্তরীণ ডিসপ্লের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে ফাইন্ড এন৫-এ ডুয়েল শিল্ডেড ফ্লেক্সিবল স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে দুইটি সুরক্ষার স্তর রয়েছে। ইলাস্টোমার উপাদান থেকে তৈরি এর এক্সক্লুসিভ অ্যান্টি-শক ফিল্ম ডিভাইসটিকে ক্ষতিকর ফোর্স থেকে সুরক্ষিত রেখে। এটি ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শক প্রতিরোধ সক্ষমতা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখে।
ওয়াটার রেজিজট্যান্স সহ প্রথম ফোল্ডেবল
ফাইন্ড এন৫ আইপিএক্স৬, আইপিএক্স৮ ও আইপিএক্স৯ সার্টিফিকেশন অর্জনকারী বিশ্বের প্রথম ফোল্ডেবল স্মার্টফোন। এটি বৃষ্টি বা পানিতে পড়ে যাওয়ার মতো বাস্তব জীবনের পরিস্থিতি অনায়াসে মোকাবিলা করতে পারে। এই ওয়াটার রেজিজট্যান্সের জন্য ফাইন্ড এন৫ একটি উদ্ভাবনী মাল্টি-লেয়ার ওয়াটার-প্রুফ স্ট্রাকচার ব্যবহার করে, যেখানে অ্যাডহেসিভ ব্যাকিং ও নিখুঁত ডিসপেনসিং একটি সুরক্ষিত বন্ধন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অত্যাধুনিক উপকরণ, নির্ভুল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং উন্নত কাঠামোগত ডিজাইনের মাধ্যমে ফোল্ডেবল স্মার্টফোনের ধারণাকেই বদলে দিয়েছে অপো ফাইন্ড এন৫। ধারাবাহিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফাইন্ড এন সিরিজের ফোল্ডেবলগুলো প্রথমবারের মতো নির্ভরযোগ্য ডিভাইসে রূপান্তরিত হয়েছে। ফোনটি প্রমাণ করেছে যে, ফোল্ডেবল হলেও হালকা-পাতলা ডিজাইনের এবং একইসাথে, টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী হওয়া সম্ভব।
মন্তব্য