× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Khairuzzaman will be brought back to the country soon State Minister for Foreign Affairs
google_news print-icon

খায়রুজ্জামানকে দ্রুত দেশে আনা হবে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

খায়রুজ্জামানকে-দ্রুত-দেশে-আনা-হবে-পররাষ্ট্র-প্রতিমন্ত্রী
মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানের ইউএনএইচসিআর কার্ড। ছবি: সংগৃহীত
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবো। তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয় মিলে সিদ্ধান্ত নেবে মামলাটির কোন পার্যায়ে তাকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অথবা মামলাটি কীভাবে পুনরুদ্ধার করা হবে।’

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলহত্যার দায়ে অভিযুক্ত মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

স্থানীয় সময় বুধবার মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের আমপাংয়ের একটি বাসা থেকে খায়রুজ্জামানকে আটক করে দেশটির পুলিশ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘খায়রুজ্জামানকে ডিপোটেশন সেন্টারে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে। আমি যতদূর বুঝি আবারও তাকে সশরীরে জিজ্ঞাসাবাদ করার ও মামলাটিকে খতিয়ে দেখার সুযোগ আছে। সেটা আইন মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠিতে জানিয়েছে, অভিবাসন সংক্রান্ত আইন ভাঙায় তাকে আটক করা হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘শরণার্থী কার্ড তার আছে কি না আমি জানি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ায় আছেন। মালয়েশিয়া থেকে বের হতে পারেননি বা এ রকম কিছু। এ ধরনের অপরাধীদের অনেক দেশ আশ্রয় দিয়েছে, আপনার দেখেছেন। এ রকম সুযোগ মালয়েশিয়ায় নেই।

‘আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবো। তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয় মিলে সিদ্ধান্ত নেবে মামলাটির কোন পর্যায়ে তাকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অথবা মামলাটি কীভাবে পুনরুদ্ধার করা হবে।’

এদিকে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জাইনুদিন স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে নিয়ম মেনেই আটক করা হয়েছে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনারকে।

বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার ইংরেজি দৈনিক দ্য স্টারের অনলাইন সংস্করণের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনারকে আটকের বিষয়টি জানেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জাইনুদিন বলেন, ‘আইন মেনেই তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ রয়েছে ও তাকে আটকে তার নিজের দেশ থেকে অনুরোধ ছিল। তবে ঠিক কী অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আছে সেই ব্যাপারে কিছু জানাননি তিনি।’

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের সময়কালে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত ছিলেন খায়রুজ্জামান। জাতীয় চার নেতাকে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

এদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, খায়রুজ্জামানকে আটকের খবর পাওয়ার পর তার মুক্তি চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন মালয়েশিয়ার আইনজীবীরা।

খায়রুজ্জামানের মুক্তির আবেদন জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, ‘আমরা অভিবাসন বিভাগকে জানাতে চাই, মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান (ইউএনএইচসিআর কার্ড নম্বর ৩৫৪-১০সি০২২৬৭) নামের বাংলাদেশি নাগরিককে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়াই আটক করেছে।’

ইউএনএইচসিআরের কার্ডের অনুলিপিও এই লিগ্যাল নোটিশে যুক্ত করা হয়। খায়রুজ্জামানকে ছেড়ে দেয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দেয়া হয় এতে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর খায়রুজ্জামানকে ঢাকায় ফিরে আসতে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু জীবননাশের শঙ্কায় খায়রুজ্জামান কুয়ালালামপুরে ইউএনএইচসিআরের কাছে যান ও মালয়েশিয়ায় তার অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার জন্য পরিচয়পত্র পান। এরপর থেকে তিনি শরণার্থী হিসেবে বাস করছিলেন।

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর জোট সরকারের আমলে ঢাকার একটি বিচারিক আদালত ২০০৪ সালে খায়রুজ্জামানকে খালাস দেয়।

জেল হত্যার পর খায়রুজ্জামানকে সেনাবাহিনী থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ দেয়া হয় এবং তিনি কায়রোতে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিযুক্ত হন। সেখানে তিনি ১৯৭৬-১৯৮৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৬ সালের জুন মাসে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং একই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর অবসরে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার ও অবসর গ্রহণের আগে তিনি ফিলিপাইনের ম্যানিলায় ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

২০০১ সালের অক্টোবরের শেষে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই খায়রুজ্জামান জামিনে মুক্তি পান এবং ২০০৩ সালের ৪ মে তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মহাপরিচালক হিসেবে পুনর্বহাল করা হয়।

খালাস পাওয়ার পর খায়রুজ্জামান অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পান। এরপর তিনি মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত সেখানে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০০৭ সালের আগস্টে খায়রুজ্জামান আবার পূর্ণাঙ্গ সচিব পদে উন্নীত হন এবং প্রথম শ্রেণির রাষ্ট্রদূতের পদমর্যাদাসহ মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন।

আরও পড়ুন:
মালয়েশিয়ায় আটক সাবেক হাইকমিশনার খায়রুজ্জামান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Congress approves Trumps anti immigration law 4 Bangladeshis arrested

ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী আইন কংগ্রেসে অনুমোদন: ৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী আইন কংগ্রেসে অনুমোদন: ৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার গুরুত্বপূর্ণ নথিতে সই করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানায়, কংগ্রেসের অনুমোদন লাভের পর অবৈধ অভিবাসীবিরোধী ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে চার বাংলাদেশিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত অবৈধ অভিবাসনবিরোধী আইনে অনুমোদন দিয়েছে রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস।

সন্দেহভাজন বিদেশি অপরাধীদের বিচারপূর্ব কারাবাসের মেয়াদ বাড়ানোর একটি বিলও অনুমোদন করেছে কংগ্রেস।

আইনসভা কংগ্রেসের অনুমোদন লাভের পর সিনেটে ৬৫-৪৫ ভোটে অবৈধ অভিবাসনবিরোধী আইনটি সহজেই পাস হয়।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি বৃহস্পতিবার এ খবর জানায়।

এদিকে দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানায়, কংগ্রেসের অনুমোদন লাভের পর অবৈধ অভিবাসীবিরোধী ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে চার বাংলাদেশিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত কারও কাছেই বৈধ কাগজপত্র ছিল না। এদের মধ্যে একজন এথেন্সের ও অন্যজন ভেনেজুয়েলার নাগরিক। তারা দুজনই খুনের মামলার আসামি।

প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন এক এক্স বার্তায় বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসীদের অবশ্যই আটক করা হবে এবং তাদের কখনও আমাদের দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’

মাইক জনসন বলেন, ‘আমেরিকানরা নিরাপত্তা দাবি করে এবং নিরাপত্তা দাবির অধিকারও তাদের রয়েছে।’

নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চার বাংলাদেশিকে।

অভিবাসী ধরপাকড়ে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে স্কুল-গির্জা-হাসপাতালেও।

সংবেদনশীল এসব স্থানে অভিবাসী আটক কার্যক্রমের ওপর থেকে এক দশকের বেশি সময়ের নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে সেসব স্থানে ধরপাকড়ে আর কোনো বাধা নেই। এ সিদ্ধান্তে আতঙ্কিত অভিবাসীরা।

প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কালবিলম্ব করেননি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শপথ নিয়েই শক্ত হাতে অবৈধ অভিবাসী দমন শুরু করেছেন তিনি।

ধরপাকড় শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নানা অঙ্গরাজ্যে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। এর মধ্যে চার বাংলাদেশিও রয়েছেন ।

নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে ওই চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস ইনফোর্সমেন্ট (আইস)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরিচয়পত্র দেখাতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাদের গ্রেপ্তার করে সাদা পোশাকের পুলিশ। এ ঘটনার পর বাঙালি অধ্যুষিত এলাকার সড়ক ও রেস্তোরাঁয় লোকজনের ভিড় নেই বললেই চলে। চরম আতঙ্কে রয়েছেন বৈধ কাগজপত্রহীন অভিবাসীরা।

এদিকে এখন থেকে স্কুল, গির্জা এমনকি হাসপাতালগুলোতেও অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।

আইস এবং কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন সংস্থাগুলোর ওপর গেল এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এসব স্থানে অভিযান পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা ছিল।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটির পক্ষ থেকে এ নিষেধাজ্ঞা বাতিল করাসহ জারি করা হয় নতুন নির্দেশনা।

এতে বলা হয়, স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে যাতে কেউ লুকিয়ে না থাকতে পারে, তাই এ নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হয়।

অপর নির্দেশনায় বলা হয়, বৈধ কাগজপত্র না থাকা কেউ গ্রেপ্তার হলে সেই ব্যক্তি যদি যুক্তরাষ্ট্রে দুই বছরের বেশি সময় ধরে তার অবস্থান করার প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে তাকে দ্রুতই দেশ থেকে বের করে দিতে পারবে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে গ্রেপ্তারের অনুমতি দেওয়ার ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে বলে সতর্ক করেছেন আইনজীবীরা।

সেন্টার ফর ল’ অ্যান্ড সোশ্যাল পলিসি এক বিবৃতিতে জানায়, এ পদক্ষেপের কারণে অভিবাসীদের পরিবার ও তাদের সন্তানের পাশাপাশি আমেরিকান শিশুরাও মারাত্মক মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে পারে।

এরই মধ্যে মেক্সিকো সীমান্তে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। নিশ্চিত করা হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এ আদেশের আওতায় অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার একটি প্রকল্পও বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষীরা।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে ফিরল টিকটক
আমার প্রশাসন চাপ না দিলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতো না: ট্রাম্প
দাবানল: লস অ্যাঞ্জেলেসে নিহত বেড়ে ২৪
দাবানল: লস অ্যাঞ্জেলেসে ক্ষতি রেকর্ড ছাড়াবে
দাবানল: লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রাণহানি বেড়ে ১০

মন্তব্য

বাংলাদেশ
ActionAid Bangladesh Country Directors emphasis on sustainable water management
বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান

টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় জোর একশনএইড বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টরের

টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় জোর একশনএইড বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টরের রাজধানীর একটি হোটেলে বুধবার বিকেলে ‘বাংলাদেশে পানি আলোচনার ১০ বছর: পানি জাদুঘরের অবদান’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অতিথি ও আয়োজন সংশ্লিষ্টরা। ছবি: একশনএইড বাংলাদেশ
একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, ‘ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা অর্জনের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে আলোচনা এবং সহযোগিতা গড়ে তোলা প্রয়োজন, যাতে ঐতিহ্যগত ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞান উভয়কেই একত্রিত করা যায়।’

রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে পরিবেশগত এবং মানবিক প্রয়োজনের ভিত্তিতে নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে একশনএইড বাংলাদেশ-এর ‘বাংলাদেশে পানি আলোচনার ১০ বছর: পানি জাদুঘরের অবদান’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান করা হয়েছে।

রাজধানীর একটি হোটেলে বুধবার বিকেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বইয়ের পর্যালোচনা করেন পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ এবং ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. সুফিয়া খানম।

একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারপারসন ইব্রাহিম খলিল আল জায়াদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন সেন্টার ফর অল্টারনেটিভসের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও গবেষণাবিষয়ক পরামর্শক ড. হাসিব মো. ইরফানুল্লাহ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের শিক্ষক ও সেন্টার ফর সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্টের (সিএসডি) পরিচালক ড. সামিয়া সেলিম।

স্বাগত বক্তব্য দেন একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির।

তিনি বলেন, ‘ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা অর্জনের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে আলোচনা এবং সহযোগিতা গড়ে তোলা প্রয়োজন, যাতে ঐতিহ্যগত ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞান উভয়কেই একত্রিত করা যায়।

‘এ লক্ষ্যে পানিসম্পদের গুরত্ব, পানির ন্যায্যতা এবং নদীর অধিকার নিশ্চিত করবার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে একশনএইড বাংলাদেশ। টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে একশনএইডের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা তুলে ধরার লক্ষ্যে এই বই প্রকাশ করা হয়েছে।’

পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ এবং ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, ‘পানি হচ্ছে সীমিত সম্পদ। জলবায়ু পরিবর্তন এ সীমিত সম্পদকে আরও জটিল করে তুলছে। যেমন: এক জায়গায় বন্যা এবং অন্য জায়গায় খরা। আমাদের খুব দ্রুতই এ সমস্যা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

টেকসই পানি ও নদী ব্যবস্থাপনার জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতার জোট গঠনের আহ্বান জানান এ ইমেরিটাস অধ্যাপক।

তিনি আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আন্তসীমান্ত পানি ব্যবস্থাপনার পক্ষে জোরালো কণ্ঠস্বর তৈরি করতে আঞ্চলিক জোট গঠন করা প্রয়োজন। আঞ্চলিক ঐকমত্যের অভাবে পানি অধিকার রক্ষায় আমরা শক্ত অবস্থানে যেতে পারিনি।

‘ভবিষ্যতে আমাদের সফল ও কার্যকরী মডেল তৈরি করতে হবে, যা আমাদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পানি ও নদী সমস্যাগুলো চিহ্নিত ও সমাধান করতে পারবে।’

সেন্টার ফর অলটারনেটিভসের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘নদীকে শুধু পানির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার সুযোগ নাই। কারণ পানি, জ্বালানি, জীববৈচিত্র্য ও পলিমাটির এক বহুমুখী সমন্বয়ে নদীর অস্তিত্ব।

‌‘পানির পাশাপাশি এ অনিবার্য উপাদানগুলো নিয়েও আমাদের আলোচনায় আসতে হবে। আমাদের মনস্তাত্ত্বিক ভাবনায় এ পরিবর্তন এনে সবগুলো বিষয়কে আন্তসীমান্ত নদী ব্যবস্থাপনার আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. সুফিয়া খানম বলেন, ‘পানি জাদুঘরের পরিধি সম্প্রসারণ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা গড়ে তোলা, যাতে পানির টেকসই ও ন্যায়সংগত ব্যবস্থাপনার দিকে রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, সেই বিষয়েও এই বইয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যা টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।’

পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও গবেষণাবিষয়ক পরামর্শক ড. হাসিব মো. ইরফানুল্লাহ বলেন, ‘প্রমাণভিত্তিক অ্যাডভোকেসি ভালো, তবে প্রমাণ, প্রাসঙ্গিক ও জ্ঞান দিয়ে নীতি প্রভাবিত করা আরও ভালো। আমাদের নীতিতে গবেষণাভিত্তিক রেফারেন্সের পরিমাণ এক-তৃতীয়াংশেরও কম। এটি একটি বড় গ্যাপ, যা আমাদের পূরণ করতে হবে।’

সমাপনী বক্তব্যে একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারপারসন ইব্রাহিম খলিল আল জায়াদ বলেন, ‘পানিসম্পদ ও তার ব্যবস্থাপনা নিয়ে মানুষের চিন্তার প্রসার, পানি নিয়ে বিভিন্ন উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশ ঘটানো, বিভিন্ন ধরনের সংলাপকে উৎসাহিত করা, পানি নিয়ে একত্রে কাজ করতে জোট গঠন, আন্তসীমান্ত কার্যক্রমের উৎসাহ প্রদানে নিরবচ্ছিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একশনএইড বাংলাদেশ। পানি ব্যবস্থাপনাকে টেকসই করতে এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশা করি।’

অনুষ্ঠানে ভিডিওবার্তায় প্রকাশনার অংশ হতে পেরে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন ভারতের দ্য ওয়াটার রিসোর্সেস কাউন্সিলের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ড. মানসী বাল ভার্গব।

এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষক ও সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (সিএসডি)-এর পরিচালক ড. সামিয়া সেলিম, একশনএইড বাংলাদেশের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসহ জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

বইটিতে অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে একশনএইড বাংলাদেশের ১০ বছরের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টার (যেমন: আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন আয়োজন এবং বাংলাদেশের প্রথম পানি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পানির ব্যবস্থাপনা টেকসই করা) বিষয়গুলো উঠে এসেছে।

একশনএইডের জমিকেন্দ্রিক থেকে পানিকেন্দ্রিক কৌশলে স্থানান্তরিত হওয়ার পক্ষে সমর্থনের (যেখানে নীতিমালা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে একত্র করা হয়েছে) বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে এ বইয়ে।

কমিউনিটির অংশগ্রহণ, স্থানীয় উদ্যোগ এবং জেন্ডার সমতা নিশ্চিতকরণের গুরুত্বকে তুলে ধরাসহ টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর কৌশলগুলোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে বইটিতে।

আরও পড়ুন:
তিস্তা ইস্যুর সমাধান হতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
টানা বর্ষণে তলিয়েছে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল, পানিবন্দি লাখো মানুষ
পাবনায় শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
ফের বাড়ছে যমুনার পানি, ডুবছে নতুন নতুন এলাকা
বৃষ্টির পানিতে ডুবে রাজধানীতে শিশু নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dr Yunus wants ECBs help to bring back the smuggled money

পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে ইসিবির সহায়তা চান ড. ইউনূস

পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে ইসিবির সহায়তা চান ড. ইউনূস সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে স্থানীয় সময় বুধবার ইসিবির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: বাসস
অধ্যাপক ইউনূস ক্রিস্টিন লাগার্ডকে বলেন, স্বৈরাচারী শাসকের ঘনিষ্ঠ ধনকুবেররা শুধু দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে এবং শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে প্রতি বছর ১৬ বিলিয়ন ডলার করে দেশ থেকে পাচার হয়েছে।

স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিলিয়ন ডলারের অর্থ ফিরিয়ে আনতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের সহায়তা চেয়েছেন।

স্থানীয় সময় বুধবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে ক্রিস্টিন লাগার্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ওই সময় তিনি ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের কাছে এ সহায়তা চান।

অধ্যাপক ইউনূস ক্রিস্টিন লাগার্ডকে বলেন, স্বৈরাচারী শাসকের ঘনিষ্ঠ ধনকুবেররা শুধু দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে এবং শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে প্রতি বছর ১৬ বিলিয়ন ডলার করে দেশ থেকে পাচার হয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এটি ছিল একটি বিশাল ডাকাতি।’

তিনি উল্লেখ করেন, প্রথমে এসব ধনকুবেররা ব্যাংক দখল করে নেয় এবং পরে যে ঋণ নিয়েছে, তা আর পরিশোধ করেনি।

লাগার্ড অন্তর্বর্তী সরকারের পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধার উদ্যোগে সমর্থন জানান এবং তিনি সুপারিশ করেছেন, বাংলাদেশ এ অর্থ পুনরুদ্ধার ও দেশে ফেরানোর জন্য আইএমএফের সাহায্য নিতে পারে।

বৈঠকে তারা জুলাই বিপ্লব এবং বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন। ওই সময় লাগার্ড বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি তার সমর্থনের কথাও জানান।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক আরিফুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ
৪ আগস্টের পর ৪০ মাজারে ৪৪ বার হামলা: প্রেস উইং
চুরি হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: সিএ প্রেস উইং
মেয়াদ বাড়ল সংবিধান সংস্কার কমিশনের
৩৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকার কম্বল কিনবে সরকার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Order to pay Tk 10 lakh to children who lost their hands and feet due to electricity

বিদ্যুতে হাত-পা হারানো শিশুকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ

বিদ্যুতে হাত-পা হারানো শিশুকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট ভবন। ছবি: বাসস
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

পল্লী বিদ্যুতের লাইনে বিদ্যুতায়িত হয়ে ডান হাত ও ডান পা হারানো শিশু রাকিবুজ্জামানের চিকিৎসায় জরুরি আর্থিক সহায়তা হিসেবে ৩০ দিনের মধ্যে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুহম্মদ তারিক-উল ইসলাম ও ফরিদ হাসান মেহেদী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ, শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।

রিট আবেদনকারী পক্ষের দাবি সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার প্রতাপনগরের মো. আবদুর রাজ্জাকের বসতবাড়ির ওপর দিয়ে নকশা-বহির্ভূতভাবে টানা বিদ্যুতের লাইনে ২০২১ সালের ৯ মে বিদ্যুতায়িত হয় সাত বছরের শিশু রাকিবুজ্জামান। এতে শিশুটির হাড়-মাংস ঝলসে যায়। বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই বছরের ১২ মে শিশুটির ডান হাত বগল থেকে ও ডান পায়ের হাঁটু থেকে নিচের অংশ কেটে ফেলা হয়।

এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে ২০২১ সালের ২৫ মে শিশুটির বাবা সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে ক্ষতিপূরণ ও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় শিশুটির অঙ্গহানির ঘটনায় ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর শিশুটির বাবা হাইকোর্টে রিট করেন।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল জারির পাশাপাশি শিশুটির কী কী চিকিৎসার প্রয়োজন এবং এর সম্ভাব্য ব্যয় জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালকের প্রতি নির্দেশ দেন।

ওই নির্দেশ অনুসারে ইনস্টিটিউটের পরিচালক ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রতিবেদন জমা দেন, যেখানে সর্বমোট খরচ নির্ধারণ করা হয় ২ কোটি ৬৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৮২ টাকা। একপর্যায়ে শিশুটির চিকিৎসায় জরুরি আর্থিক সহায়তা হিসেবে ১০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশনা চেয়ে ৫ জানুয়ারি সম্পূরক আবেদন করেন তার বাবা।

আবেদনের শুনানি শেষে আদেশ দেন উচ্চ আদালত।

আরও পড়ুন:
সামিনা লুৎফাকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতির নির্দেশ
হাইকোর্টে শুরু হচ্ছে কাগজমুক্ত বিচার কার্যক্রম
ঘাটাইলে পল্লী বিদ্যুতের গ্রিডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ভোগান্তিতে গ্রাহক
এস আলমের বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর অব্যাহতি সুবিধা বাতিল
শেখ হাসিনা, জয় ও টিউলিপের দুর্নীতি অনুসন্ধানে রুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Human rights violations during the July coup report of the United Nations mission in mid February

জুলাই অভ্যুত্থানকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘন: জাতিসংঘ মিশনের প্রতিবেদন মধ্য ফেব্রুয়ারিতে

জুলাই অভ্যুত্থানকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘন: জাতিসংঘ মিশনের প্রতিবেদন মধ্য ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক (বাম দিক থেকে দ্বিতীয়) বুধবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ছবি: ইউএনবি
ভলকার তুর্ক বলেন, জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় থেকে প্রতিবেদনটির প্রকাশনা সামনে রেখে বাংলাদেশের সঙ্গেও এটি শেয়ার করা হবে।

গত বছরের জুলাই থেকে আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধানী মিশনের প্রতিবেদন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, যা মধ্য ফেব্রয়ারিতে প্রকাশ করা হবে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এমন তথ্য জানান।

স্থানীয় সময় বুধবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার মধ্যে এ বৈঠক হয়।

পরে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এমন তথ্য জানান।

এ সময় রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘের সহায়তা চান ড. ইউনূস।

ভলকার তুর্ক বলেন, জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় থেকে প্রতিবেদনটির প্রকাশনা সামনে রেখে বাংলাদেশের সঙ্গেও এটি শেয়ার করা হবে।

শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সময় অপরাধের তদন্ত করায় জাতিসংয়ের মানবাধিকার কমিশনকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা। এ ছাড়া ছয়টি স্বাধীন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনও একই সময়ে প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তাদের পর্যবেক্ষণ, এসব প্রতিবেদন একটি অন্যটির পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে।

ওই সময় রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সহায়তার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধানের কাছে আহ্বান জানান ড. ইউনূস।

এ ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়ে তুর্ক বলেন, তিনি এ বিষয়ে মিয়ামারে জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত জুলি বিশপসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলবেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি থেকে সরকার পতন আন্দোলন এবং তার পরবর্তী সময়ে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে কাজ করেছে জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধানী মিশন।

গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে তারা।

অভিযোগের সত্যতা উদঘাটন, দায়-দায়িত্ব চিহ্নিতকরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মূল কারণ বিশ্লেষণের পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সুপারিশ করবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল।

আরও পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থান: এনটিএমসি-বিটিআরসির কাছে থাকা সব তথ্য সংরক্ষণের নির্দেশ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের গেজেট প্রকাশ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেবে না এলডিপি
জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ১০০ জনের কর্মসংস্থানের প্রস্তাব
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর জুলাই ঘোষণাপত্র ‍চূড়ান্ত: প্রেস সচিব

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Invitation to Chief Adviser to Munich Security Conference

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকের ফাঁকে মঙ্গলবার বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফ হিউসজেন। ছবি: বাসস
রাষ্ট্রদূত হিউসজেন প্রধান উপদেষ্টাকে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে জার্মান শহর মিউনিখে অনুষ্ঠেয় গুরুত্বপূর্ণ বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানান।

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফ হিউসজেন মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

রাষ্ট্রদূত হিউসজেন প্রধান উপদেষ্টাকে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে জার্মান শহর মিউনিখে অনুষ্ঠেয় গুরুত্বপূর্ণ বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানান।

বৈঠকে তারা জুলাই অভ্যুত্থান, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট এবং অনলাইনে ভুল তথ্য প্রচার নিয়ে আলোচনা করেন।

রাষ্ট্রদূত হিউসজেন বলেন, ফেসবুকের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুয়া খবর ও ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।

তিনি পরামর্শ দেন যে, বাংলাদেশ ইউরোপীয় দেশগুলোর উদাহরণ অনুকরণ করে একটি আইন প্রণয়ন করতে পারে যাতে বিষয়বস্তু যাচাই করার জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন হয়।

সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদও যোগ দেন।

আরও পড়ুন:
ডিবি কার্যালয়ে আয়নাঘর ও ভাতের হোটেল থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাদা পোশাকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না ডিবি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থেকে কাজ করছে: প্রধান উপদেষ্টা
সমাজসেবা প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব: প্রধান উপদেষ্টা
সব পাঠ্যবই কবে দেয়া যাবে সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারব না: শিক্ষা উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Ordinance issued for the appointment of Supreme Court Judges

সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে অধ্যাদেশ জারি

সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে অধ্যাদেশ জারি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ। ফাইল ছবি
প্রধান বিচারপতি এ কাউন্সিলের চেয়ারপারসনের দায়িত্বে থাকবেন।

স্বতন্ত্র কাউন্সিলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মঙ্গলবার জারিকৃত আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে নিয়োগের নিমিত্ত বা পরামর্শ প্রদান প্রক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতিকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে, এই অধ্যাদেশ উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাইপূর্বক সুপারিশ করার জন্য একটি স্থায়ী কাউন্সিল থাকবে এবং তা সুপ্রিম জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল নামে অভিহিত হবে।’

এতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি এ কাউন্সিলের চেয়ারপারসনের দায়িত্বে থাকবেন।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের দুজন বিচারক (একজন অবসরপ্রাপ্ত ও একজন কর্মরত), হাইকোর্টের দুজন বিচারক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়ে সাত সদস্যের এ কাউন্সিল গঠন করা হবে। অপর সদস্য হবেন এ কাউন্সিলের চেয়ারপারসন মনোনীত একজন আইনের অধ্যাপক বা আইন বিশেষজ্ঞ।

এ কাউন্সিল নিজ উদ্যোগে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম সংগ্রহ করবে। একই সঙ্গে যেকোনো মানুষ, যেকোনো আইনজীবী যাতে নিজের ইচ্ছায় আবেদন বা কারও নাম প্রস্তাব করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা রয়েছে। এ কাউন্সিল প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করার পর সাক্ষাৎকার নেবে।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল পদাধিকার বলে কাউন্সিলের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং তিনি ও তার দপ্তর কাউন্সিলের কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবেন।

তবে রেজিস্ট্রার জেনারেল নিজে বিচারক পদে প্রার্থী হলে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রিতে কর্মরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে গ্রেডেশন তালিকা অনুযায়ী তার পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কাউন্সিলের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং অনুরূপভাবে জ্যেষ্ঠ দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ বা তৎপরবর্তী কর্মকর্তা প্রার্থী হলে গ্রেডেশন তালিকা অনুযায়ী তার পরবর্তী কর্মকর্তা এ দায়িত্ব পালন করবেন।

কাউন্সিলের সব সভা চেয়ারপারসন নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। তবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে নিয়োগের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বিচারকের সংখ্যা নির্ধারণ করার জন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুরোধপ্রাপ্ত হলে, প্রধান বিচারপতি এ উদ্দেশ্যে অবিলম্বে কাউন্সিলের সভা আহ্বান করবেন।

সুপ্রিম কোর্টের কোনো অতিরিক্ত বিচারকের পদে নিযুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্যূন দুই মাস আগেই কাউন্সিলের সভা আহ্বান করতে হবে।

গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে সম্ভাব্য শূন্যতা অথবা বিচারাধীন মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয়তা অথবা নিষ্পত্তি সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়াদি অথবা এসব বিষয় সম্মিলিতভাবে বিবেচনাক্রমে কাউন্সিলের সভায় সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় বিচারকের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে, যা প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করবেন।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বা নিজ বিবেচনায় রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনীয় বিচারকের সংখ্যা চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করে উল্লিখিতসংখ্যক বিচারক নিয়োগের লক্ষ্যে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ চাইলে উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই করার উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি কাউন্সিলের পরবর্তী সভা আহ্বান ও অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

কাউন্সিলের সব সভায় চেয়ারপারসন সভাপতিত্ব করবেন এবং তার অনুপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সভায় উপস্থিত আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে প্রবীণতম বিচারক সভাপতিত্ব করবেন।

আরও পড়ুন:
বিচারকদের ভারতে প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত বাতিল
নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রমে ফিরল সুপ্রিম কোর্ট
হাসান আরিফের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচার কার্যক্রম বন্ধ বৃহস্পতিবার
দুই বিচারককে বদলি
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অপ্রীতিকর ঘটনায় প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ

মন্তব্য

p
উপরে