× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
There is no free service for doctors in Caesars business
google_news print-icon

ফ্রি সেবায় নেই, চিকিৎসক মেলে সিজার ব্যবসায়

ফ্রি-সেবায়-নেই-চিকিৎসক-মেলে-সিজার-ব্যবসায়
মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র মাগুরা। ছবি: নিউজবাংলা
জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জুনিয়র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হায়াত হোসেন জানান, জানুয়ারি মাসে মাগুরায় ২৭টি বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে ১৫৬টি। আর সিজার হয়েছে ৬৫৭টি। এর মধ্যে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকসহ এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগও উঠেছে।  

মাগুরা জেলায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রায় বিনা মূল্যে প্রসূতিসেবা থাকলেও সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের খুঁজে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ উঠেছে। বিপরীতে এসব বিশেষজ্ঞেরই চিকিৎসাসেবা মিলছে অনেক টাকার বিনিময়ে বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে।

সদর হাসপাতালের পাশাপাশি মাগুরার প্রসূতিসেবার ভরসার জায়গা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। কিন্তু সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই গত তিন মাস।

এদিকে বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে চাইলেই পাওয়া যায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে এসব হাসপাতালের মাসিক আয় কোটি টাকার ওপরে।

এমন ভারসাম্যহীন অবস্থায় জেলার দরিদ্র মানুষজন সরকারি বিনা মূল্যের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

১০ শয্যাবিশিষ্ট মাগুরার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি শহরের পুরাতন বাজার এলাকায় অবস্থিত। গত দুই বছর ধরে সেখানে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার থেকে শুরু করে প্রসূতি মায়েদের বিনা মূল্যে আল্ট্রাসনোগ্রামসহ অন্যান্য পরীক্ষা করানোর আধুনিক যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে। তখন এই হাসপাতালটির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন ডা. নন্দদুলাল বিশ্বাস। তিনি বদলি হওয়ার পর গত নভেম্বর থেকেই এই হাসপাতালটিতে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। তাই অপারেশন থিয়েটার বন্ধ।

কেন্দ্রটিতে বর্তমানে একমাত্র চিকিৎসক হিসেবে আছেন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সুমা সাহা। তিনি জানান, হাসপাতালটিতে এখন নরমাল ডেলিভারি ও সাধারণ চিকিৎসাসেবা চলছে। তবে পুরো কেন্দ্রটি তার একার পক্ষে সামলানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

এ ছাড়া সেখানে যেসব প্রসূতি সিজার করাতে আসছেন তাদের মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সদর হাসপাতালে সপ্তাহে মাত্র দুই দিন সিজার করানোর সুবিধা থাকায় বাধ্য হয়ে রোগীরা বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে যাচ্ছেন। এতে রোগীদের গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।

জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জুনিয়র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হায়াত হোসেন জানান, জানুয়ারি মাসে মাগুরায় ২৭টি বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে ১৫৬টি। আর সিজার হয়েছে ৬৫৭টি। এর মধ্যে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকসহ এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগও উঠেছে।

বিপরীতে, সরকারি মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে গত নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে অন্তত ১০০টি। সিজার হয়নি একটিও।

মাগুরার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে জানা যায়, সিজার করাতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগীরাই অনুরোধ করেন। প্রসববেদনা শুরু হলে খুব অল্প মায়েরই নরমাল ডেলিভারি হয়।

বেশির ভাগ রোগী চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্লিনিকেই ভর্তি হন। পরে সিজার করা ও সন্তান নিয়ে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত তাদের গুনতে হয় ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা।

বেসরাকারি হাসপাতালগুলোতে আবার দুই রকমের সিজার হয়। এক ধরনের সিজারে খরচ অপেক্ষাকৃত কম, অন্য ধরনটিতে বেশি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুরোনো এক ক্লিনিকের ম্যানেজার জানান, যেসব নিবন্ধিত চিকিৎসক কোনো একটি ডিপ্লোমা করে সার্জারি করা শিখেছেন তারা সিজার করাতে তুলনামূলক কম টাকা নেন। আর যদি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে সিজার করাতে হয়, তাহলে ৮ থেকে ১৪ হাজার টাকা গুনতে হয় রোগীদের। অন্যান্য খরচ মিলিয়ে এ ক্ষেত্রে একেকজন রোগীকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ করতে হয়।

এই হিসাবে শুধু জানুয়ারি মাসেই ৬৫৭টি সিজারে কোটি টাকার ওপরে ব্যবসা করেছে বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলো।

এক প্রসূতির স্বামী সুলতান গাজী অভিযোগ করেন, বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর ভিড় বাড়াতেই সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিকিৎসক খুঁজে পাওয়া যায় না।

সুলতান জানান, তার বাড়ি সদরের কাটাখাল এলাকায়। স্ত্রীকে নিয়ে প্রথমে মা ও শিশু কেন্দ্রে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে সিজার বন্ধ, তাই সদর হাসপাতালে যান মঙ্গলবার রাত ৮টায়। কিন্তু সেদিন সরকারি হাসপাতালে সিজার সম্ভব নয় জেনে সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যেতে বাধ্য হন।

ফ্রি সেবায় নেই, চিকিৎসক মেলে সিজার ব্যবসায়
প্রসূতিদের নরমাল ডেলিভারিতে চিকিৎসক পাওয়া না গেলেও সিজার করতে তাদের পাওয়া যায় দ্রুত। ছবি: নিউজবাংলা

ওই ক্লিনিকে সরকারি হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক রাত ১১টায় সুলতানের স্ত্রীর সিজার করান।

সুলতান বলেন, ‘আমি দিনমজুর। দেয়ালে রং করে যে সামান্য আয়, তা দিয়ে সংসার চালাই। তাই স্ত্রী ও সন্তানের জন্য এখন ১৫ হাজার টাকা ধার করতে হয়েছে। ফ্রি সেবা তাহলে কই পেলাম।’

৭ দিন পর গত ৭ জানুয়ারি সদর হাসপাতালের পেছনে থাকা নিউ আল-বারাকা নামের একটি ক্লিনিকে রাশিদা বেগম নামের এক প্রসূতি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

রাশিদা মাগুরা সদর উপজেলার খর্দ গ্রামের রমজান শেখের স্ত্রী। তার শ্বশুর মাখন বিশ্বাস অভিযোগ করেন, অস্ত্রোপচারের আগে রক্তের প্রয়োজন হলে রাশিদার শরীরে ‘ও’ পজিটিভ রক্তের পরিবর্তে ক্লিনিকের প্যাথলজি থেকে ‘এবি’ পজিটিভ রক্ত দেয়া হয়। এতে জন্মের পরপরই অসুস্থ হয়ে মারা যায় নবজাতক।

অন্যদিকে ভুল রক্তের কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মা রাশিদাও। উপায়ান্তর না দেখে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রাশিদাকে দ্রুত ঢাকার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাশিদার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় সাভার থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে রাশিদার পরিবার। এ বিষয়ে মাগুরা জেলা সিভিল সার্জন থেকে একটি চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. শহিদুল্লাহ দেওয়ান নিউজবাংলাকে বলেন, চিকিৎসার মান উন্নয়নে অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ম মেনে ব্যবসা করতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটিকে বন্ধ করা হয়েছে। সামনে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অন্যদিকে মাগুরা জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক কাজী ফারুক আহমেদ বলেন, ‘প্রসূতিদের ভোগান্তির সমাধান হতে পারে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি। কেন্দ্রটিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খুবই দরকার। এ সেক্টরে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। তবু চেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির সেবার মান উন্নয়নে এর মধ্যেই সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়েছে বলেও জানান ফারুক আহমেদ।

আরও পড়ুন:
চার অ্যাম্বুলেন্স, তিনটিই অকেজো 
লাখো চোখের আলোর ভরসা ‘পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতাল’
২৮ ঘণ্টা পর কাজে ফিরলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
যৌন হয়রানির অভিযোগে চিকিৎসক প্রত্যাহার
করোনা শনাক্ত বাড়লেও হাসপাতাল ঠাসা ‘ঠান্ডাজনিত রোগীতে’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
In July 2021 the growth rate of revenue collection is about 20 percent 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৭,২৪৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। বিগত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১,৯১৬ কোটি টাকা। জুলাই-২০২৫ মাসে বিগত জুলাই-২০২৪ মাসের তুলনায় ৫,৩৩৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। জুলাই ২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪.৩৩%।

জুলাই’২৫ মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে। এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ১১,৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায়ের পরিমান ছিল ৮,৫৭১ কোটি টাকা। জুলাই ২০২৫ মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৩২.৪৫%।

আয়কর ও ভ্রমন কর খাতে জুলাই’২৫ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬,২৯৫ কোটি টাকা যা জুলাই’২০২৪ মাসের একই খাতে আদায়কৃত ৫,১৭৫ কোটি টাকার চাইতে ১,১২০ কোটি টাকা বেশি। আয়কর ও ভ্রমন করের ক্ষেত্রে জুলাই ২০২৫ মাসের আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২১.৬৫%।

২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে আমদানি ও রপ্তানি খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯,৬০২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮,১৭০ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ১৭.৫২%।

রাজস্ব আদায়ের এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং কাস্টমস শুল্ক-কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

সম্মানিত করদাতাগণ আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ পরিমান কর পরিশোধের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজের অন্যতম অংশীদার হবেন মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The main accused arrested in the murder of UP member

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র‍্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন

র‍্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।

মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।

কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।

ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
July in Kaliganj People from all walks of life took oath with millions of voices

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে শপথ গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী আয়োজিত ‘লাখো কণ্ঠে শপথ পাঠ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক ভাবগম্ভীর পরিবেশে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই মাসে নিহত শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ। তিনি উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান। দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, দুর্নীতি ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করার অঙ্গীকার করেন অংশগ্রহণকারীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও তনিমা আফ্রাদ বলেন, "জুলাই পুনর্জাগরণ কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি আমাদের চেতনার বাতিঘর। সেই শহীদদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। আজকের এই সম্মিলিত শপথ হোক দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার একটি নতুন অঙ্গীকার। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারে।"

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম উর্মি, কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।

বক্তারা জুলাইয়ের শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের এই সফল আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে এক নতুন মাত্রা দেয়। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি কালীগঞ্জের মানুষের মধ্যে দেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Snake panic in Feni after flood

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The creation of waterlogging at Benapole ports

পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

ব্যাহত হচ্ছে বন্দরে খালাশ প্রক্রিয়া
পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।

তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chakrias escaped accused Sajjad was detained in Coxs Bazar DB

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।

চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।

এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে