জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৯ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষ চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সারা দেশে ১ হাজার ৮৫৯টি কলেজের ৭০১টি কেন্দ্রে সর্বমোট ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯১ জন (নিয়মিত, অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন) পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেন।
যেকোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করেও ফল জানা যাবে। এ ক্ষেত্রে মেসেজ অপশনে গিয়ে NUDEGROLL no লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
এ ছাড়া পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন ও কলেজওয়ারি ফল রাত ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে www.nu.ac.bd/results পাওয়া যাবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে বিএনপিপন্থি শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিমের ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেয়া নিয়ে হট্টগোল হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম সিনেট অধিবেশনে তার আলোচনার শেষে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেন। এর পরেই প্রতিবাদ জানাতে থাকেন সিনেট সদস্যরা।
সিনেট সদস্য শেখ মনোয়ার হোসেন তাৎক্ষণিক এর বিরোধিতা করেন। বলেন, “‘জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান। কেউ ‘জয় বাংলা’ ছাড়া অন্য কোনো স্লোগান দিতে পারেন না।”
শেখ মনোয়ার হোসেনের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থি শিক্ষক ও সিনেট সদস্যরা। ওই সময় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, ব্যারিস্টার শিহাবউদ্দিন খান, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সেলিম, সাবিনা ইয়াসমিন, অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বিরোধিতা করেন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “এটি আমাদের বাক-স্বাধীনতা বিরোধী। আমরা ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে পারব। আমাদের সাংবিধানিকভাবে সে স্বাধীনতা আছে।”
পরে সিনেট সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল পারভেজ তার বক্তব্যে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া নিয়ে মন্তব্য করলে আবার হট্টগোল বাঁধে। সঙ্গে সঙ্গেই এর বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা।
সিনেট অধিবেশনের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ রাশেদা আক্তারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আরও পড়ুন:জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সাংবাদিকতায় আগ্রহ তৈরি ও সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার জন্য বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস ক্লাবে আয়োজিত কর্মশালায় সাংবাদিকতার হাতেখড়িসহ নাগরিক সাংবাদিকতার বিভিন্ন দিক শেখানো হয়েছে।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অ্যাকাডেমিক ভবনের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২১৫ নম্বর কক্ষে সকাল ১০টায় শুরু হওয়া কর্মশালা বিকেল ৪টার দিকে শেষ হয়। প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী কর্মশালায় অংশ নেন।
কর্মশালায় সংবাদের উপাদান ও পারিপার্শ্বিকতা বিষয়ে কথা বলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক আনন্দ বাজার পত্রিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি কুদ্দুস আফ্রাদ। এ ছাড়া মোবাইল জার্নালিজম ও এর পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে আলোচনা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কল্যাণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় চলতে ফিরতে শেখা নিয়ে আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও বর্তমানে ‘নগদ’—এর জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ অপু।
সাংবাদিকতার মৌলিক ধারণা, নাগরিক সাংবাদিকতা নিয়ে আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক শেখ আবু রাইহান সিদ্দিকী। কর্মশালায় অংশ নেয়া সবাইকে সার্টিফিকেট দেয়া হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোস্তাকিম ফারুকীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আরমান হাসানের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা বিডি নিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমের স্টাফ রিপোর্টার কাজী মোবারক হোসেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, সহকারী প্রক্টররা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উপদেশ দেন।
অনুষ্ঠান শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের ২০২২ সালের সাংবাদিক পুরষ্কার দেয়া হয়৷ সেরা প্রতিবেদক হিসেবে নিউজবাংলা টুয়েন্টিফোরের মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ, বিশেষ প্রতিবেদক হিসেবে এনটিভি অনললাইনের আহনাফ তাহমিদ ফাইয়াজ, অনুসন্ধানী প্রতিবেদক হিসেবে দৈনিক সকালের সময়ের ইউছুব ওসমান এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রতিবেদনের জন্য অনুপম মল্লিক আদিত্যকে ক্রেস্ট দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার জন্য দেশের দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ‘স্কাইফাইন্ডার’ সাবস্ক্রিপশনের অনুমোদন পেয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।
এতে দ্রুত ও সহজে তথ্য সংগ্রহ করে মৌলিক গবেষণা তৈরি ও বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সহায়তা পাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান এবং লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্কাইফাইন্ডার সাবস্ক্রিপশনের জন্য আর্থিক ও প্রশাসনিক অনুমোদন করেছে।
স্কাইফাইন্ডার সাবস্ক্রিপশনের ফলে রসায়ন বিভাগ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ফার্মেসি বিভাগ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগ, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার ক্ষেত্রে প্রকাশিত সব প্রয়োজনীয় তথ্য জার্নাল, কনফারেন্স, পেপার, অ্যাবস্ট্রাকট, প্যাটেন্ট ইত্যাদি দ্রুত ও সহজে সংগ্রহ করতে পারবেন, যা মৌলিক গবেষণা তৈরি ও বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্কাইফাইন্ডার সাবস্ক্রিপশনের অনুমোদন প্রদান এবং আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থার জন্য বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান এবং লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কাইফাইন্ডার সাবস্ক্রিপশনের জন্য রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুর রহমান উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আগামী তিন বছরের জন্য স্কাইফাইন্ডার সাবস্ক্রিপশন বাবদ ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৯২ টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামসুন্নাহার বলেন, ‘স্কাইফাইন্ডার এ অ্যাকসেসের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা, বিশেষ করে বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সারা বিশ্বে চলমান তাদের গবেষণাসংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য জানতে পারবেন। এর ফলে আমাদের গবেষকরা আধুনিক মানের গবেষণার পরিচালনা ও পরিকল্পনা করা সহজতর হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘এটা আনন্দের খবর। আমরা গবেষণায় জোর দিচ্ছি। গবেষণা বাড়াতে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি করেছি। গবেষণা বাড়াতে বাজেট বৃদ্ধিসহ নানা উদ্যোগ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আমরা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন র্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থান অর্জন করছি। আমাদের অনেক শিক্ষক বিভিন্ন গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।’
স্পেনের সিমাগো ইনস্টিটিউশন র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রসায়ন বিষয়ে গবেষণা সূচকে প্রথম স্থান অর্জন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্কাইফাইন্ডারে সাবস্ক্রিপশনের অনুমোদন পেয়েছে। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) এ অনুমোদন রয়েছে।
আরও পড়ুন:জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রীকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় দুই ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী ও শাস্তি পাওয়া দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন মো. খায়রুল ইসলাম ও মফিজুল্লা (রনি)।’
ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, গত ২০ মার্চ ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভলিবলের অনুশীলনের জন্য আসেন। ওই ছাত্রীর সঙ্গে ক্লাসের সিআর নিয়ে সমস্যা ছিল। বিষয়টি নিয়ে তাকে সোহেল, নাইম, খাইরুল, রনি অপমানজনক কথাবার্তা বলেন।
পরে তারা ভুক্তভোগী ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে আসতে বলে। পরে ওই ছাত্রী সেখান থেকে চলে আসার সময় খায়রুল বাজে কথা বলে বাধা দেন এবং মফিজুল্লা থাপ্পড় মারেন।
প্রক্টর বলেন, ‘ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে আনা অভিযোগ সত্য প্রতীয়মান হওয়ায় ৯ জুন শৃঙ্খলা বোর্ডের ৫৯তম সভার কার্যবিবরণীর ১৬ নম্বর সিদ্ধান্ত, যা ১৩ জুন অনুষ্ঠিত হওয়া ৮৮তম সিন্ডিকেটে ৫ নম্বর সিদ্ধান্তে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
‘সাময়িক বহিষ্কার হওয়া দুই শিক্ষার্থীকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তা আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জানানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টার বহিষ্কার ও অন্য এক শিক্ষার্থীর একটি কোর্সের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:পরীক্ষার উত্তরপত্রে অযাচিত এক বাক্য লিখে বেকায়দায় পড়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৬তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী। এমন আচরণের ব্যাখ্যা দিতে তাকে ডেকে পাঠিয়েছে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ।
তানভীর মাহতাব নামের এই শিক্ষার্থী পরীক্ষার অতিরিক্ত উত্তরপত্রে ‘স্যার, আজকে আমার মন ভালো নেই’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে হাসিঠাট্টা তামাশার পাত্রে পরিণত হয়েছেন তিনি।
মিডটার্ম পরীক্ষা শেষে অতিরিক্ত একটি উত্তরপত্র সঙ্গে নিয়ে আসেন তানভীর মাহতাব। বুধবার রাতে সেই উত্তরপত্রে ‘আজকে আমার মন ভালো নেই’ লিখে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেন তিনি। তারপর বিষয়টি সব জায়গায় ভাইরাল হয়ে যায়। পরে তিনি পোস্টটি ডিলিট করলেও এ নিয়ে চলছে হাসি-তামাশা।
তানভীর বলেন, ‘নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ নিয়ে টাইমলাইনে ফানি পোস্ট দিয়েছিলাম। উত্তরপত্রে ইনভিজিলেটরের স্বাক্ষরটাও আমার দেয়া। বুঝতে পারিনি বিষয়টি এভাবে ভাইরাল হয়ে যাবে। পরে বেকায়দা বুঝতে পেরে পোস্টটি ডিলিট করেছি।’
ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মমিন উদ্দীন এ বিষয়ে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমরা পরিষ্কারভাবে এখনো কিছু জানি না। ওই শিক্ষার্থীকে রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখা করতে বলা হয়েছে। তখন আমরা বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। আর ভাইরাল হওয়া ওই অতিরিক্ত উত্তরপত্রে ইনভিজিলেটরের স্বাক্ষরটি ইংরেজি বিভাগের কোনো শিক্ষকের নয়।’
বিষয়টিকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হলে ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা বহিষ্কার করতে পারি না। এটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে রোববার ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত দেব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি এখনও কিছু জানি না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ কে এম আক্তারুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বিভাগ যা বলবে তার ওপর পদক্ষেপ নির্ভর করছে। তাছাড়া উত্তরপত্রটি আমি দেখিনি। তাই এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ভবিষ্যতে হলে প্রবেশ করলে তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর।
মঙ্গলবার বিকেলে জগন্নাথ হলের সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য ভবনের ৭০১২ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী উৎসব রায় পালি অ্যান্ড বুড্ডিস্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
উৎসব রায়ের অভিযোগ, জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সত্যজিৎ দেবনাথের নেতৃত্বে তার ওপর হামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তিনি হলের বাইরে ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উৎসব বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে মঙ্গলবার নিজ রুমে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। বিকেলের দিকে সত্যজিতের নেতৃত্বে ২০-৩০ জনের একটি দল আমার কক্ষের দরজায় কড়া নাড়ে। আমি দরজা খুলে দিলে প্রথমে আমার ইমিডিয়েট জুনিয়ররা ভেতরে প্রবেশ করে। তখন আমি তাদের বলি- আমি তোমাদের সিনিয়র, আমার সম্মান রাখো।
‘তখন পেছন থেকে সত্যজিৎ দেবনাথ আমাকে মারতে বলেন। তারপর তারা আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে স্টাম্প ও রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে হল থেকে বের করে দেয়। এ সময় আশপাশের কেউ ভয়ে তাদের কিছু বলেনি। আমি জীবন সংশয়ে আছি। আমাকে কেন মারা হয়েছে তা-ও জানি না।’
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সত্যজিৎ দেবনাথ এ ব্যাপারে বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমাদের ফ্লোরের একটি রুম থেকে মোবাইল ফোন সেট খোয়া যায়। এ ঘটনায় উৎসব যাকে-তাকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হল থেকে বের করে দিয়েছে। এটার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমিই বরং তাকে মারধরের হাত থেকে বাঁচিয়েছি।
‘তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। ছিনতাই অথবা নারীঘটিত কারণে সে জেলও খেটেছে। নিয়মিত মাদকও সেবন করে।’
উৎসব রায় এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী ও হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিহির লাল সাহার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগে তিনি ১৯ জনের নাম উল্লেখ করেছেন।
তারা হলেন- ভূতত্ত্ব বিভাগের সত্যজিৎ দেবনাথ, বাঁধন, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সবুজ কুমার, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের শুভ সাহা, অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের রাজিব বিশ্বাস, যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের গণেশ ঘোষ, মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের অমিত দে ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের রিভু রিদম।
আরও রয়েছেন- লোকপ্রশাসন বিভাগের স্বাগতম বাড়ৈ, অর্থনীতি বিভাগের দীপ্ত রায়, উর্দু বিভাগের সবুজ শীল, যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের অভিষেক ভাদুরী, পাপন বর্মন, ইতিহাস বিভাগের সৌরভ সাহা, জয় দাস, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অপূর্ব দাস, পুষ্পেন্দু মণ্ডল, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অমৃত মণ্ডল ও ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের প্রীতম আনন্দ।
তারা সবাই জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মণের অনুসারী। আর অতনু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী।
অতনু বর্মণ এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। ঘটনার দিন আমি সুনামগঞ্জে ছিলাম।’
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিহির লাল সাহা বলেন, ‘বিষয়টি আজই জেনেছি। দায়িত্বপ্রাপ্ত আবাসিক শিক্ষককে বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে অনুসন্ধান করতে বলেছি। তারপর জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) রোভার স্কাউট গ্রুপের রোভার-ইন-কাউন্সিল ২০২২-২৩ এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
কাউন্সিলে ইংরেজি ইউনিটের সিনিয়র রোভার মেট এস কে জামিরুল সভাপতি এবং গণিত ইউনিটের সিনিয়র রোভার মেট হোসাইন মোহাম্মদ গোলাম রাজিক আদন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
শুক্রবার সকালে উপস্থিত সিনিয়র রোভার মেটদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নতুন কাউন্সিল গঠিত হয়। এরপর জবি রোভার স্কাউট গ্রুপের গ্রুপ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান খন্দকার কমিটি ঘোষণা করেন।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন জবি রোভার স্কাউট গ্রুপের রোভার স্কাউট লিডার ড. মিন্টু আলী বিশ্বাস ও কাজী ফারুক হোসেন।
নির্বাচিত নতুন কাউন্সিলে সহসভাপতি দুটি পদে চারুকলা ইউনিটের সিনিয়র রোভার মেট নাহিদ হাসান রাসেল ও রসায়ন ইউনিটের শরিফুল ইসলাম খান নির্বাচিত হয়েছেন। যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন দর্শন ইউনিটের সিনিয়র রোভার মেট এস এম শাহাদাত হোসেন অনু।
অন্যান্য পদে প্রোগ্রাম সম্পাদক মো. রাশেদ, ট্রেনিং সম্পাদক অভিজিৎ বাড়ৈ, দপ্তর সম্পাদক মো. আশিকুজ্জামান, প্রচার সম্পাদক মো. মিলন সরকার, প্রকাশনা সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক এম এইচ অন্তু, গার্ল-ইন-রোভার সম্পাদক খালেদা ইয়াসমিন স্বপ্না, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক কাজী মুসাব্বিরুল আলম, ক্রীড়া সম্পাদক নাসিম মাহম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, বহিঃযোগাযোগ সম্পাদক ইমরান হাসান, পাঠাগার সম্পাদক তন্ময় সরকার, আপ্যায়ন সম্পাদক রাকিব আকন্দ, স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে সামসুর নাহার স্মৃতি মনোনীত হয়েছেন।
এ ছাড়া কার্যকরী সদস্য হিসেবে থাকবেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোল্লা মামুন হাসান ও লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সিনিয়র রোভার মেট হিসেবে নিজ ইউনিটে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন ও রোভার-ইন-কাউন্সিলে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখায় শ্রেষ্ঠ সিনিয়র রোভার মেট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শরিফুল ইসলাম খান।
মন্তব্য