চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার পাইকারি ভোগ্যপণ্যের ব্যবসায়ী আবু জাহের। গত বছরের জুনে শুরু করেন ব্যবসা। পরের মাসে দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযানে এলে, ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় তাকে গুনতে হয় আর্থিক জরিমানা। এরপর লাইসেন্স করতে তৎপর হন তিনি।
তবে অভিজ্ঞতা না থাকায় পোহাতে হয় ভোগান্তি। সপ্তাহখানেক সিটি করপোরেশনের রাজস্ব সার্কেল অফিসে আসা-যাওয়ায় অর্থ ও সময় অপচয় হয় তার। এরপর হাতে পান ট্রেড লাইসেন্স।
শুধু ট্রেড লাইসেন্স নয়, হোল্ডিং ট্যাক্স ইস্যু ও নবায়নের ক্ষেত্রেও এ ধরনের বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হতো। অবশেষে এমন পরিস্থিতির অবসান হতে চলছে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, নাগরিক সেবা আরও সহজ করতে অটোমেশনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে ঘরে বসেই ট্রেড লাইসেন্স ও হোল্ডিং ট্যাক্স সেবা পাবেন নগরবাসী।
এ লক্ষ্যে পুরোপুরি অনলাইনে যাচ্ছে করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগের বড় এই খাতটি। ‘ই-রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট’ নামে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই পরিচালিত হবে ট্রেড লাইসেন্স ও হোল্ডিং ট্যাক্সসংক্রান্ত যাবতীয় কাজ।
চলতি সপ্তাহেই চালু হবে এ সুবিধা। ওয়েবসাইট তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে ২ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
তিনি জানান, করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ওয়েবসাইটটি তৈরি করছে ‘এটিএন অ্যান্ড আরকে সফটওয়্যার লিমিটেড’ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এটি উদ্বোধনের পর থেকে আগামী ১ বছর এর রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার কাজও করবে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া সার্বিকভাবে সমন্বয়ের কাজ করবে করপোরেশনের আইটি বিভাগ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘আরবান পাবলিক অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল হেলথ সেক্টর ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টের’ অধীনে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দেশের সাত সিটি করপোরেশনের মধ্যে এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে পরীক্ষামূলকভাবে রাজস্ব সেবার এ অটোমেশন সিস্টেম চালু হয়।
ঢাকার পর এবার চট্টগ্রাম সিটিতেও এই ই-রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বাস্তবায়িত হচ্ছে। যদিও এর আগে সাবেক মেয়র মঞ্জুরুল আলমের সময়ে এটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু নানা কারণে সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি৷
এই ওয়েবসাইট থেকে নগরবাসী কী কী সুবিধা পাবেন এবং তার জন্য কী করতে হবে তারও ব্যাখ্যা দেন নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, ই-রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নতুন ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন এবং হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে পারবে। অনলাইনে রাজস্ব সেবা পেতে প্রথমে ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি অনলাইনে জমা দিলে মিলবে একটি ট্র্যাকিং নম্বর। যার মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স ও হোল্ডিং ট্যাক্স ই-সেবা আবেদনের সর্বশেষ স্ট্যাটাস জানা যাবে। এ প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাই করে ১-২ দিনের মধ্যেই আবেদনকারীর মোবাইল নম্বরে মেসেজ করে জানিয়ে দেয়া হবে।
রাজস্ব বিভাগের অনুমোদনের পর ওয়েবসাইটে ঢুকলেই মিলবে কাঙ্ক্ষিত ট্রেড লাইসেন্স ও হোল্ডিং ট্যাক্স সনদের ই-কপি।
তবে কেউ চাইলে সার্কেল অফিসে এসেও একই পদ্ধতিতে ট্রেড লাইসেন্স ও হোল্ডিং ট্যাক্সের সেবা নিতে পারবে। নগরীর ৪১ ওয়ার্ড ৮টি রাজস্ব সার্কেলের কার্যালয়েই মিলবে একই সেবা।
ওয়েবসাইটটি চালু হওয়ার পর সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানটির ২৪ জন কর্মকর্তা ৮ সার্কেল অফিসে ই-রেভিনিউ বাস্তবায়নে রাজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে একযোগে কাজ করবেন। তবে এটির নিয়ন্ত্রণ করপোরেশনের আইটি বিভাগের কাছেই থাকবে বলে জানিয়েছেন আইটি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুরো ওয়েবসাইটটি তদারক করবে আইটি বিভাগ। কারিগরি ও রক্ষণাবেক্ষণ সহায়তা দেবে বেসরকারি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানটি। চলতি সপ্তাহে এটি উদ্বোধন করা হবে। প্রাথমিকভাবে ডাচ বাংলা ব্যাংক দিয়ে রাজস্ব ফি পেমেন্ট করতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে নগদ, সোনালী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংকের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যাবে।’
করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগসংশ্লিষ্টরা বলছেন অটোমেশন পদ্ধতির ফলে নগরবাসীর সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে। কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই মিলবে রাজস্ব সেবা। পাশাপাশি সহজেই জানা যাবে মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স ও বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্সের হালনাগাদ তথ্য। ফলে রাজস্ব আদায়ে গতি আসবে।
সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আদায়ে ওয়েবসাইটি নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এতদিন ট্রেড লাইসেন্স ও হোল্ডিং ট্যাক্সের জন্য আমাদের কাছে আসতে হতো। এখন এই পোর্টালের মাধ্যমে সহজেই মিলবে এসব সেবা।
‘সাতটি ব্যাংক ও নগদের মাধ্যমে করা যাবে অনলাইন পেমেন্ট। এ পদ্ধতির ফলে পেপারলেস যুগে প্রবেশ করছে রাজস্ব বিভাগ।’
আরও পড়ুন:চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরু থেকেই উচ্চ তাপমাত্রায় আলোচনায় রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা। মৃদু, মাঝারি, তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপমাত্রা দেখছে জেলাবাসী। মাঝে তাপমাত্রা সামান্য কমলেও ফের অতি তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের পশ্চিমের এই জেলা।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার মানে জেলায় আবারও অতি তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে এই জেলা।
আগের দিন বুধবারও এখানে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। ওইদিন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন তাপমাত্রা নেমেছিল ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেই তীব্র তাপপ্রবাহ বৃহস্পতিবার এসে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।
জেলা জুড়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনে অস্বস্তি আরও বেড়েছে। স্বস্তি মিলছে না কোথাও। তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে দিনের অধিকাংশ সময় মানুষ গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে।
গরমের প্রভাবে বাড়ছে রোগবালাই। গরমজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে। তীব্র তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ কাজে যেতে পারছে না। নষ্ট হচ্ছে ধান, কলা, আম, লিচুসহ মৌসুমী ফসল।
গোপালপুর গ্রামের কৃষক হান্নান আলী বলেন, ‘এই তাপে মাটে উঠতি ফসল নষ্ট হয়ি যাচ্চি। আর রোদির তাতে মাটে দাঁড়ানু যাচ্চি না। ধানের ক্ষেতে বেশি সেচ লাগচি। তাও আবার দিনের বেলায় পাম্পে পানি উটচি না। রাতি দিতি হচ্চি।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়েছে। জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ রূপ নিয়েছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে। সহসা বৃষ্টি হওয়ার কোনো পূর্বাভাস নেই। চলতি এপ্রিল মাসের শেষ দিন পর্যন্ত আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে ঘরে ঢুকে এক নারী ও তার মেয়েকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
গত সোমবারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগটি করেন ছেনুয়ারা বেগম নামের নারী।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত সোমবার রাত দুইটার দিকে শাহপরীর দ্বীপের পূর্ব উত্তরপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগমের ঘরের দরজা ভেঙে আয়ুব খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন প্রবেশ করেন। তারা ছেনুয়ারা ও তার মেয়ের হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় ঢুকিয়ে এলোপাতাড়ি লাথি ও ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে মা ও মেয়ে উভয়কে বিবস্ত্র করেন আইয়ুব ও তার লোকজন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্বর্ণ ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিষয়ে কাউকে জানানো হলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান৷
এ বিষয়ে ছেনুয়ারা বেগম বলেন, ‘সন্ত্রাসী আয়ুব খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন যুবক আমার বাড়িতে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রবেশ করে। পরে বাড়ি থেকে আমাকে জোরপূর্বক কয়েকজন লোক বের করে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে এবং আমার মেয়েকে নির্যাতন করে স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া বিষয়ে কাউকে বললে মেরে ফেলা হবে বলে চলে যায়।’
থানায় অভিযোগের পর আয়ুব হুমকি দিয়েছে জানিয়ে ছেনুয়ারা বলেন, ‘সেই আয়ুব খান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলে, মামলা হলে কী হবে? জামিন নিয়ে বাহির হয়ে আমাকে আর আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হবে বলে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে আমি টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’
এ বিষয়ে সাবরাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিম রেজু বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি এবং সঠিক তদন্ত করে পুলিশকে সহযোগিতা করব।’
অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং আমি মামলা করার জন্য ওসি বরাবর সুপারিশ করেছি।’
টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গণি বলেন, ‘আরও গভীরভাবে তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দায়িত্ব পালনকালে রুহুল আমিন নামে এক ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি যশোরের বেনাপোলে। বাবার নাম কোরবান আলী।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অধীন সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
শিবগঞ্জ থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের মধ্যে ট্রাক পরিদর্শন শেষে দুপুর পৌনে ১টার অফিস কক্ষে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন রুহুল আমিন। সহকর্মীরা তাকে দ্রুত শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন এসএম মাহমুদুর রশিদ জানান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রুহুল আমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই মারা যান। হাসপাতালে যারা নিয়ে এসেছিলেন তারা বলেছেন যে তিনি তৃষ্ণার্ত ছিলেন, পানি খেতে চেয়েছিলেন।
তবে তার মৃত্যু যে হিট স্ট্রোকে হয়েছে এটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। অন্য কোনো রোগেও তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে এখন যেহেতু প্রচণ্ড গরম চলছে তাই এটার প্রভাব থাকতে পারে।
রাজশাহীর বাগমারায় ভাড়া বাসায় আটকে রেখে এক মাস ধরে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার রাতে উপজেলার তাহেরপুর পৌর এলাকার হরিফলার মোড়ের একটি বাসা থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার ও এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক রাজু হোসেন (২৫) পেশায় চা দোকানি। তিনি তাহেরপুর পৌরসভার হরিফলা মহল্লার আবদুর রাজ্জাক শাহের ছেলে।
পুলিশ জানায়, অসুস্থ অবস্থায় তরুণীকে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়ার পর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই তরুণীর বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। ফোনে রাজুর সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৪ মার্চ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফোনে ভুক্তভোগী তরুণীকে তাহেরপুরে নিয়ে আসেন রাজু। পরে তাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় ওঠেন রাজু। সেখানে আটকে রেখে এক মাস ধরে রাজু ওই তরুণীকে ভয় দেখিয়ে ও মারধর করে ধর্ষণ করেন।
এক পর্যায়ে নির্যাতনের শিকার তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে পাশের বাড়ির লোকজন টের পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানান। তিনি থানায় খবর দিলে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ওই বাসা থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে। পরে ওই এলাকা থেকে রাজুকে আটক করে পুলিশ। রাতেই তরুণী বাদী হয়ে অপহরণ, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন।
রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মুখপাত্র রফিকুল আলম জানান, মেয়েটার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। আটক তরুণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে বুধবার রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় দুটি ড্রেজার জব্দ করেছে নৌ-পুলিশ।
মাওয়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের যশিলদিয়ায় বুধবার রাত দেড়টার দিকে পদ্মা নদীতে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় নিয়ম অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় ওই দুটি ড্রেজার জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, ড্রেজার জব্দ করার সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকৃত ড্রেজার দুটির বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেহেরপুরের গাংনীতে সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে আবদুল হান্নান (৭৫) নামের কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবীপুর দক্ষিণপাড়ায় বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রাণ হারানো আবদুল হান্নান দেবীপুর দক্ষিণপাড়ার খোদা বক্সের ছেলে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য হিরোক আহমেদ বলেন, ‘আজ সকালে আবদুল হান্নান নিজ গ্রামের মাঠে অবস্থিত সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। পরে স্থানীয়রা মরদেহটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিজ বাড়ি দেবীপুরে নিয়ে আসে।’
বামন্দী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিদুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছি। বতর্মানে মরদেহটি পরিবারের কাছে রয়েছে।’
নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আগ্রান ঈদগাহ মাঠ এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ওই ভ্যানের এক যাত্রী।
নিহত মোজাহার আলী একই উপজেলার পারকোল গ্রামের মৃত শাহাদত আলীর ছেলে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলীমুল ইসলাম জানান, মহাসড়ক পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক ভ্যানটিকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালক মোজাহার মারা যান। সেই সাথে ভানযাত্রী মিজান শেখ আহত হন।
তিনি বলেন, পরে স্থানীয়রা আহত মিজানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য